#স্বচ্ছ_প্রণয়াসক্ত
#পর্ব_২৮
#মুসফিরাত_জান্নাত
পেরিয়ে গিয়েছে তিনটি মাস।ঐশী ও সাদাত আবারও ডাক্তার রুবাইদা ইসলামের কাছে এসেছে চেকআপের জন্য।নতুন করে আল্ট্রাসাউন্ড করে ও বর্তমান শারিরিক লক্ষণ অনুযায়ী তিনি নিশ্চিত করে বললেন,
“কংগ্রাচুলেশনস মিসেস. ঐশী।আপনি বেশ ভালোভাবেই রিকোভার করেছেন।এখন নতুন করে কোনো কমপ্লেক্সিটি সৃষ্টি হওয়ার আগেই দ্রুত বেবি নিয়ে নিন।আমি কিছু মেডিসিন লিখে দিচ্ছি, যেগুলো কনসিভ করতে সাহায্য করবে।”
ডাক্তারের কথাগুলো শুনে শুরুতে খুশি হলেও শেষে লজ্জা পেতে হলো ঐশীকে।এই ডাক্তারি পেশাটা বেশ অদ্ভুত রকমের।এদের ভয়,ঘৃণার পাশাপাশি লজ্জাটাও খুইয়ে ফেলতে হয়।কেমন লজ্জাজনক বিষয় নিয়ে খোলাখুলি আলাপ করতে হয় তাদের।যেমন প্রয়োজনের খাতিরে এখন ঐশীদের কিছু বিষয় নিয়ে কথা বলছেন তিনি।লজ্জায় মাথা নুইয়ে ফেলে ঐশী।আড়চোখে একবার সাদাতের দিকে তাকায় সে।সাদাতেরও চোখমুখে লজ্জার রেশ ফুটে রয়েছে।সেও যে ভীষণ অসস্তিবোধ করছে তা স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে।দুজনের মুখশ্রী দেখে হালকা হাসেন ডাক্তার রুবাইদা ইসলাম।এদের মতো লজ্জাশীলা জুটি হয়তো তিনি এর আগে কখনো দেখেন নি।মানুষ সাধারনত বাচ্চার জন্য ব্যগ্র হয়েই তার দ্বারস্থ হয়েছে।তাই সন্তান লাভের চিন্তায় লজ্জারা ঠাই পায়নি কারো ভিতরে।সেখানে বিবাহিত এই দম্পতি একদম নতুন না হয়েও যত লজ্জা ও সংকোচবোধ করছে তা মুখে হাসি আনতে বাধ্য করলো গভীর স্বভাবের গাইনীকে।হালকা হেসে শালীন ও স্বল্প কথায় নিজের বক্তব্য শেষ করে তাদের বিদায় দেন তিনি।
অনেকটা খুশি ও খানিকটা লজ্জা নিয়ে ফিরে আসে ঐশী ও সাদাত।লজ্জায় কেও কারো চোখে চোখ রাখে না।সোজা গিয়ে গাড়িতে বসে পড়ে তারা।গাড়িতে বসে ঐশী চক্ষুদ্বয় মুদিত করে।সাথে সাথে তার ঠোঁটের রেখা প্রশস্ত হয়।এটা প্রাপ্তির হাসি।কিন্তু এই প্রাপ্তিটার জন্য কতোটা কষ্ট গিয়েছে তার উপর সে নিজেই জানে।তিন মাসে দশ কেজি ওজন কমিয়েছে সে।অবশ্য তার এই পরিশ্রমের সঙ্গী হয়েছে সাদাত।দূর থেকেই সময়ে সময়ে কল দিয়ে ঐশীর উপর তদারকি করেছে সে।যেমন,সকাল, দুপুর ও রাতে খাওয়ার সময়ে, সকাল বিকাল হাঁটা ও ব্যায়াম করার সময়ে বা বেলা এগারোটার দিকে লেবু-পানির ডেটক্স ওয়াটার খাওয়ার সময় ইত্যাদি বিষয়গুলো ফোন কলেই নিয়ন্ত্রণে রেখেছে সে।এছাড়া মানসিক সাপোর্ট তো ছিলোই।ঐশীর নিয়মানুযায়ী জীবন যাপনের ফলে কোনো জটিল পর্যায়ে না গিয়ে নরমাল প্রোজেস্টিন এবং ইস্ট্রোজেনযুক্ত পিল নিয়েই সুস্থ হয়ে গিয়েছে সে।তার সুস্থতা ও পূনরায় উর্বরতা ফিরে পাওয়ার সময়টার কষ্টটা ভেবে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে সে।দু চোখ মেলে সাদাতকে দেখে বলে,
“ফাইনালি আমি মা হতে পারবো।ইশ কি যে খুশি লাগছে আমার।পিসিওডি রিকোভারের এই জার্নিটা যে এভাবে আয়ত্ত করে ফেলবো শুরুতে কল্পনায়ই ছিলো না আমার।থ্যাংকস আপনাকে।আপনি সাপোর্ট না করলে হয়তো এতো অল্প সময়ে সেড়ে উঠতে পারতাম না আমি।”
স্ত্রীর প্রশান্ত মুখশ্রী পাণে তাকিয়ে হালকা হাসে সাদাত।জবাবে কণ্ঠ খাদে নামিয়ে বলে,
“থ্যাংকস জানানোর প্রয়োজন নেই।এটা আমার দ্বায়িত্বের পাতায় ছিলো।যদিও আমার সাপোর্ট ছাড়া কোনো কিছুই পারবে না তুমি।ডাক্তার যে সন্তান ধারণের জার্নিটার কথা বললো তাও কি আমাকে ছাড়া আয়ত্ত করতে পারবে বলো?আমি বলি কি অতীতকে নিয়ে না ভেবে ফিউচার এর প্রস্তুতি নাও।আফটার অল..!”
কথাটা সম্পূর্ণ না করেই ঠোঁট কামড়ে হাসে সাদাত।সাদাতের ইঙ্গিত বুঝতে পেরে লজ্জায় নুইয়ে যায় ঐশী।লালাভ আভা জমে দুই গালে।অস্ফূটস্বরে বলে,
“অসভ্য কোথাকার।”
_____
পবনের স্রোতের মতো যেমন দেখতে দেখতেই অনেকগুলো দিন বয়ে গিয়েছে।তেমন তার সাথে বেশ কিছু হিসেবও পাল্টে যেতে বাধ্য হয়েছে।ঐশীর অনার্স শেষ হলে সাদাতের সাথে আনুষ্ঠানিকতার সহিত মেয়েকে তুলে দেওয়ার চুক্তি হলেও,বর্তমান প্রেক্ষাপটে সেই হিসেব ভাঙতে হলো মুরুব্বীদের।সন্তান লাভের জন্য তাদের একত্রে থাকা প্রয়োজন।এছাড়াও বাবার বাড়ি থেকে গর্ভবতী হওয়াটাও বেমানান।তাই একত্রে বসে ছোটখাট অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের একত্র করার তারিখ নির্ধারন করা হলো।সে হিসেবে আজ তাদের হলুদ সন্ধ্যা।কাল আয়োজন করে ঐশী হয়ে যাবে মিসেস সাদাত শেখ।
ঘরোয়া পরিবেশেই হলুদের আয়োজন সম্পন্ন করা হচ্ছে।গাধার মতো খেটে চলেছে বাড়ির পুরুষগুলো।এমনকি অর্ক ও সায়ানও তাদের কাজে যোগ দিয়েছে।এর মাঝে ঘরে বসে মেহেদী লাগাচ্ছে মেয়েরা।ঐশী নিজের হাত রেখে অন্যদের মেহেদী লাগিয়ে দিতে ব্যস্ত হয়েছে।বিশেষ করে জেবার ঘ্যান ঘ্যানানি থামাতে ওর হাতটাই আগে সিলেক্ট করেছে সে।চোখে মুখে তার বিরক্তি লেপ্টানো।প্রচুর নড়ছে জেবা।যার ফলে মেহেদী ডিজাইন এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে।টিস্যু পেপার দিয়ে ছড়িয়ে যাওয়া স্থানটুকু মুছে ঐশী বলে,
“সমস্যা কি তোর?চুপ থাকতে পারিস না?”
জেবা মুখ ঘুচে বলে,
“চুপ থাকবো কেমনে তোদের ঘরে যে মশার উৎপাত শুরু হইছে।আমাকে চুপ থাকতে দিলে তো।”
কথাটা বলে আরও একটু নড়ে ওঠে জেবা।ফলস্বরুপ পাশে বসা তাসনিমের হাতে গুতো লাগে।সাথে সাথে তার মেহেদী খানিকটা ছড়িয়ে যায়।রুষ্ট হয়ে সে বলে,
“মশার চেয়েও বেশি জ্বালাস তুই।আমার হাতের কি অবস্থা করলি?”
সাথে সাথে প্রতিবাদ করে জেবা।
“দোষ কি আমার নাকি?দোষ মশার।আর তুই আমাকে বকতেছিস।মশা আমাকে ডেঙ্গু ধরানোর ধান্দা না করলেই তো কিছু হতো না।”
সরু চোখে তাকায় তাসনিম।তিক্ত কণ্ঠে বলে,
“তা মশার সাথে কি শত্রুতা করছিস তুই যে আমাদের কাওকে না ধরে তোকেই খালি মশা ধরে?”
আশেপাশে পর্যবেক্ষণ করে ঐশীও জিজ্ঞেস করে,
“সেটাই তো।ঘরে এরোসল স্প্রে করে দিয়ে রাখা আছে।একটা মশার চিহ্ন দেখি না।তুই মশা কই পাস?”
চারিদিকে চোখ বুলায় জেবাও।মুখ ভার করে বলে,
“তাহলে আমার পায়ের কাছে প্যান প্যান করছে কি?”
কথাটা বলতেই জেবার উরুর দিকে তাকায় সবাই।তার উরুর নিচে চাপে পড়া ফোন ভাইব্রেশনে কেঁপে কেঁপে উঠছে ও ক্ষীন শব্দ করছে।যেটাকে জেবা মশার প্যানপ্যানানি ধরে নিয়েছে।এবার দুজনেই বেশ ফুঁসে ওঠে।ঐশী দাঁতে দাঁত চেপে বলে,
“আমার বিয়েটা হোক আগে।তোকে পাবনা সিট বুকিং দিয়ে দিবো তখন।তার ছেঁড়া বেডি।”
দাঁত দিয়ে জিভ কাটে জেবা।প্রতিউত্তরে কিছু বলতে যাবে তার আগে তাসনিম বলে,
“তোর মাথার তার একেবারে ছিঁড়ে গেছে দেখছি।মশা ফোন সব এক করে ফেলছিস।তা কে ফোন করতেছে ধর।”
ফোনটা হাতে নিয়ে জেবা তাকিয়ে দেখে সিন্থিয়া কল করেছে।কল পিক করে এদের কথার সব রাগ সে তার উপর ঢালে।হিস হিস করে বলে,
“কি হইছে এতো কল দিস কেন?কে ম’রছে?”
সিন্থিয়া ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বলে,
“আমাকে রেখে ওখানে মজা তো করতেইছিস।আবার কল দিছি তাও ভাব দেখাইতেছিস।এই তোদের বিচার?”
জেবা খানিকটা নত হয়ে বলে,
“ভাব দেখাই নাই বইন।তোর জন্য সব আমাকে বলদ উপাধি দিলো।”
“আর এদিকে এইখানে আমি বলদ হইয়া পড়ে আছি।ঐশীর বিয়ে তোরা সব ওখানে।আর আমি থাকতে পারছি না।আমার যে কেমন ছটফটানি লাগতেছে তা তোরা বুঝবি না।”
“তা তোর ভাইয়ের সাথে ঐশীকে বিয়ে করাইতে গেছিলি কেন?তাহলেই তো এমন হতো না।”
সিন্থিয়ার উত্তর শোনার আগেই মাথায় একটা চাটি খায় জেবা।চোখ পাকিয়ে সাইডে তাকিয়ে দেখে ঐশী রাগী চোখে তাকিৈ আছে।কপট রাগ দেখিয়ে সে বলে,
“খবরদার আমার সাথে ওনার বিয়ে নিয়ে কিছু বলবি না।”
“বাহ বইন অফিসিয়ালি মিসেস জাদরেল হওয়ার আগেই জাদরেল গিরি শুরু করে দিয়েছিস।এই তোর বিচার?”
মুখ ভার করে বলে জেবা।তাসনিম মুখ টিপে হেসে বলে,
“স্যারের প্রতি টান তোর ভালোই হইছে দেখছি।ওনাকে নিয়ে কিছু বলতে দিস না।”
“এরকম জামাই পেলে তোরাও বলতে দিতি না।”
বিড়বিড় করে কথাটা বলে ঐশী।এর মাঝেই ঘরে হুড়মুড় করে ঢুকে দুইটা বাচ্চা মেয়ে।আগে আসা মেয়েটির সাথে ধাক্কা খেয়ে নাকে ব্যাথা পায় পরে আসা বাচ্চাটা।তড়িৎ মারামারি লেগে যায় ওদের।তাদের গ্যাঞ্জামে নিজেদের কথার টপিক ভুলে ওদের সামলাতে ব্যস্ত হয় ঐশীরা।
_____
ধুসর অম্বরে আজ নক্ষত্রের ভীর নেই।কালো মেঘের আড়ালে লুকিয়ে আছে চাঁদ৷আবছা গঠন দৃশ্যমান।ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাক শোনা যাচ্ছে প্রখরভাবে। ঘড়ির কাঁটা চলছে দুইয়ের ঘরে।একটু শব্দ করে ঘরের দরজা খুলে ভিতরে ঢুকলো সালেহা খাঁনম।চোখ তুলে তাকালো ঐশী।হলুদের অনুষ্ঠান শেষে সেই কখন ঘরে ঢুকেছে সে।তাকে চেয়ারে বসা দেখে সালেহা বলে ওঠে,
“ঘুমাস নি এখনো?”
মিহিস্বরে উত্তর দেয় ঐশী,
“ঘুম আসছে না আম্মু।তুমি ঘুমোও নি কেনো?”
মেয়ের শানিত প্রশ্নটা যেনো তীরের বেগে বিঁধে সালেহার কলিজায়।বড় মেয়ের শূন্যতা তাও ছোট মেয়ের মুখ দেখে পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন তিনি।কিন্তু এ মেয়ে চলে গেলে কি নিয়ে থাকবেন?এই চিন্তা কি ঘুমাতে দিচ্ছে তাকে?ঐশীর বিয়েতে এতো মানুষের ভীরেও চারিপাশ কেমন শূন্যতায় ঝিমিয়ে রয়েছে তার নিকট।মনের ভিতর হাহাকার করছে ভীষণ।মেয়ের ঘুমন্ত বদন দেখে বুকের হাহাকার মেটাতে এসেছিলেন তিনি।কিন্তু মেয়েও যে তার মতো জাগ্রত আছে তা ক্ষুনাক্ষরেও ভাবেন নি।মেয়ের নিষ্পাপ মুখ খানা দেখে বুক পুড়ে ওঠে তার।নিজেকে ধাতস্থ করে নিয়ে তিনি বলেন,
“আজ রাতটা তোর সাথে থাকতে মন চাইলো খুব।তাই শেষ বারের মতো তোর কাছে ঘুমাতে এলাম”
মায়ের আবেগ জড়ানো এমন বুলিতে ঐশীরও হয়তো কিছু অনুভুত হলো।সারাজীবন শক্ত খোলসে আবৃত থাকা ঐশী আজ নরম হয়ে গেলো।দৌড়ে গিয়ে মা’কে জড়িয়ে ধরে ডুকরে কেঁদে ওঠে সে।বুকের বা পাশে এতোদিনের বন্ধন ছেড়ে যাওয়ার শূন্যতা সেও ভোগ করা শুরু করছে।যার জন্যই তো না ঘুমিয়ে এই বাড়িটাকে চোখ জুরিয়ে দেখছে সে।কান্না জড়ানো কণ্ঠে সে বললো,
“মেয়েদের জীবনটা এমন কেনো আম্মু?জন্ম থেকে বেড়ে ওঠা স্থানটাই কিনা একসময় আত্মীয় বাড়ির মতো হয়ে যায়।যেখানে একসময় সবকিছুতে নিজের দখলদারিত্ব ছিলো,সেই জায়গাটাই বিয়ের পর থেকে অচেনা জায়গা হয়ে যায়।দেখো এই আমিই,তোমাদের জন্মানো কন্যা। সে কিনা এখন থেকে দাওয়াতের পাত্রী হয়ে যাবো।অদ্ভুত না?”
মেয়ের কথায় বুকটা মোচড় দিয়ে ওঠে সালেহা খাঁনমের।কিন্তু উপরে যথাসম্ভব শক্ত থাকেন তিনি।দু চোখ ভিজে ওঠার জন্য বিদ্রোহ করলেও তাদের দমিয়ে দিলেন তিনি।তিনি ভেঙে পড়লে যে তার মেয়ের অবলম্বন হয়ে থাকার কেও থাকবে না।পিতৃস্থান ত্যাগের কষ্টে চুরমার হয়ে যাবে সে।এ কারণে ঐশীকে সান্ত্বনা দিতে তিনি বলেন,
“মেয়েদের জীবনটা এমনই মা।আমিও তো এক বাড়িতে বড় হয়ে এই সংসারে এসেছি।তোর বোনও গিয়েছে।এক সময় দেখবি ওই পরের ঘরটাই আপন হয়ে যাবে।স্বামী,সন্তান নিয়ে আর এ বাড়ির কথা মনে করারই অবকাশ পাবি না।এসব কিছুই মনে হবে না তখন।তাছাড়া সাদাত অনেক ভালো ছেলে।তোকে এ বাড়ির কথা মনে করার সময়ই দিবে না দেখিস।”
মাথা নাড়ায় ঐশী।মুখে কোনো রা করে না।তা দেখে তপ্ত শ্বাস ফেলেন সালেহা খাঁনম।মেয়েকে স্বান্তনা দিলেও বুকটা ভেঙে যায় তার।বাবা মা হওয়াটা খুব বেদনার।মেয়েদের বিয়ে না হলেও দূর্ভোগ পোহাতে হয়।আবার বিয়ে হয়ে গেলেও কলিজা চেরা যন্ত্রনা ভোগ করতে হয়।সারা জীবন কন্যার শূন্যতায় বুক খাঁ খাঁ করে বেড়ায়।অথচ এর মাঝেও পরিতৃপ্তি খুঁজতে হয়।মেয়েকে কাছে টেনে নিয়ে তিনি বলেন,
“কালকে অনেক ধকল যাবে তোর উপর দিয়ে।এখন ঘুমাতে চল।”
আবারও মাথা নাড়ায় ঐশী।মেয়ের হাত ধরে বিছানায় যান সালেহা খাঁনম।বিছানায় শুয়ে পড়ে তারা।মেয়ের মাথায় বিলি কেটে দিয়ে অনেক গল্প করেন তিনি।কষ্টে টান ধরে তাদের।এক পর্যায়ে ঘুমিয়ে যায় তারা।
চলবে