#স্বচ্ছ_প্রণয়াসক্ত
#পর্ব_২৩
#মুসফিরাত_জান্নাত
সাদাত ও ঐশীর একত্রে কাটানো এই মুহুর্তটা দেখে ফেলেছে জেবা ও তাসনিম।চোখে মুখে তাদের অপার বিষ্ময়।নিজের চোখকে যেনো বিশ্বাস করতে পারছে না।সাদাতের বলা কথাটা কর্ণগোচর না হলেও অভিব্যক্তিটা ভালোই পরিলক্ষিত করেছে তারা।বিষ্ময়ে বিহ্বলতায় ভয় ডর হারিয়ে ফেলে তারা।আশ্চর্য হয়ে জেবা বলে,
“কাহিনি কি স্যার?আপনারা এমন করছেন কেনো স্যার?”
হতভম্ব হয়ে যায় সাদাত।ভীতসন্ত্রস্ত হয় ঐশীও।নিজেদের সম্পর্কটা অপ্রকাশ্য রাখার জন্য বোনের বিয়েতেও এদের দাওয়াত দিলো না সে।অথচ এখন কিনা তা প্রকাশ পেয়েই গেলো।এর জবাবে কি বলবে তারা?
ভয়ার্ত চোখদুটো মেলে সাদাতের দিকে তাকায় ঐশী।সাদাতের চেহারার ভঙ্গিমা দেখে আচমকা মাথায় অন্য খেয়াল আসে ঐশীর।মুখ টিপে হাসে সে।খুব তো লজ্জা দিচ্ছিলো তাকে।এবার ওদেরকে কি উত্তর দিবে সেটাই দেখতে আগ্রহী সে।
নিজেকে আত্মস্থ করে ফেলে সাদাত।দৃষ্টি তুলে তাকিয়ে জেবা ও তাসনিমের বিভ্রান্ত মুখশ্রী দেখে ভ্রু সংকুচিত হয়ে এলো তার।প্রতিউত্তরে নির্লিপ্ত কণ্ঠে সাদাত পাল্টা প্রশ্ন করলো,
“কেমন করছি আমরা?”
থতমত খেলো জেবা। কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে পড়লো সে।তাসনিম কনুই দিয়ে গুঁতো মে’রে ক্ষীন স্বরে বললো,
“কার সামনে কি বলিস?কথা বুঝে শুনে বলতে পারিস না?”
সম্বিৎ ফিরে জেবার।কিছুটা আমতা আমতা করে বললো,
“না মানে আপনাকে তো আগে হাসতে দেখিনি কখনো।আর ঐশীও লজ্জা পাচ্ছে।তাই ভাবলাম কিছু হয়েছে নাকি।”
জেবার কথাগুলো শুনে বিরক্ত হলো সাদাত।মনে মনে বললো,
“এতো ভাবতে কে বলেছে এদের?চোখে পট্টি বেঁধে হাটতে পারে না?একে তো মিয়া বিবির কারবারে এন্ট্রি মারছে।তার উপর আসছে ফ্যাসাদে ফেলতে।”
মনের কথাগুলো মনের মাঝেই চেপে রাখলো সাদাত।উত্তরে ধাতস্থ কণ্ঠে কিছু একটা বলতে যাবে তার পূর্বেই বেজে উঠলো সাদাতের মুঠোফোন।এই সময়ে কলদাতাকে সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত রহমত মনে হলো সাদাতের।কল পিক করে কোনো মতো কেটে পড়লো সে।সাদাতের যাত্রা পথে তাকিয়ে হতাশার নিশ্বাস ফেললো ঐশী। সে ভেবেছিলো সাদাতকে মাইনকা চিপায় পড়ার মজাটা লুফে নিবে। সেখানে নিজেই চিপায় পড়ে গেলো।সাদাত যেতেই ঐশীর উপর হুমড়ি খেয়ে পড়লো দুজন।তাসনিম বিভ্রান্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো,
“কাহিনি কি দোস্ত সত্যি করে বলতো?তোদের মাঝে আসলে কি চলছে?”
অসহায় দৃষ্টি মেলে ঐশী।সে চাইলেও যে আর ব্যাপারটা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয় তা স্পষ্ট বোধগম্য হয় তার নিকট।কিছু সময় ইতস্তত করে মাথা নত করে ফেলে সে।অতপর বিড়বিড় করে বলে,
“আমাদের মাঝে কিছু চলছে না দোস্ত,দৌড়াচ্ছে।”
ঐশীর কথার আগা মাথা কিছু বুঝে আসে না তাদের।জেবা বিষ্মিত হয়ে বলে ওঠে,
“মানে?”
“মানে হলো সত্যিটা প্রকাশের ভয়ে, সংকোচে পেটের নাড়িভুরি উল্টে পাল্টে যাচ্ছে।”
তাসনিম বিরক্ত হয়ে বলে,
“কি আবোল তাবোল বকিস।কাহিনি কি খুলে বল।”
কিছুটা ইতস্তত করে ঐশী মাথা নুইয়ে বলে,
“তোরা টিচার সাদাতকে হাসতে দেখিস নি।আমার স্বামী সাদাতকে হাসতে দেখেছিস।”
কথাটা শেষ করে জিভ কাটে ঐশী।আরও ভড়কে গেলো তারা।জেবা সন্দিগ্ধ হয়ে তাকিয়ে প্রশ্ন করলো,
“দোস্ত ভুতে কি তোদের ধরছে না আমাদের ধরছে?কিছু তো বুঝতেছি না।এগুলা কি কস তুই?”
ভ্রু কুটি করলো ঐশী।
“বাংলা কথা বোঝোস না?বিয়ে হইছে আমাদের।উই আর ম্যারিড।”
এবার যেনো বড় একটা বিস্ফোরণ ঘটলো।
“কি?”
একসাথে বলে উঠলো দু’জনে।ওদের কণ্ঠটা বেশ উঁচু হওয়ায় আশেপাশের অনেকে তাকালো ওদের দিকে।ঐশী দু’জনের পিঠে চাটি মেরে বললো,
“আস্তে কথা বলতে পারিস না?”
জেবা কণ্ঠ নামিয়ে বলে,
“এমন কথা শোনার পরও কথা আস্তে হবে কেমনে?তুইই ক?”
তাসনিম সন্দিগ্ধ হয়ে বলে,
“দোস্ত এটা কোনো প্র্যাঙ্ক নয় তো?”
বিরক্ত হলো ঐশী।
“প্র্যাঙ্ক করতে যাবো কোন দুঃখে?সত্যি যা তাই বললাম।তোরা বিশ্বাস করলে কর না করলে নাই।”
ঐশীর অভিব্যক্তি দেখে একে অপরের মুখের দিকে তাকালো ওরা।সে যে মিথ্যা বলছে না তা স্পষ্ট হলো।এর মাঝেই সেখানে আগমন হলো অর্ক ও সায়ানের।কোনো একটা টপিক নিয়ে গল্প করতে করতে এখানটায় এসে থেমে গেলো ওরা।ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে তিনজনের মুখের দিকে চেয়ে রইলো।ঘটনা বুঝতে না পে’রে সায়ান বললো,
“এমন তবলা ধরে আছিস কেন?কি হইছে তোদের?”
জেবা বিড়বিড় করে বলে,
“কানে একখান বাড়ি মারতো দোস্ত।কানটা আমার ঝির ঝির করতাছে।এটা কি শুনলাম আমি।”
বিহ্বল হয়ে একে অপরের দিকে এক পলক তাকালো সায়ান ও অর্ক।বিমূঢ় হয়ে অর্ক বললো,
“কি শুনছোস তুই?”
জেবা চোখ গোল গোল করে ঐশীর দিকে ইশারা করে বললো,
“অয় নাকি বিবাহিত।”
অর্ক মুখ ঘুচে বললো,
“হ্যা তা তো জানি।এখানে এমন করার কি হইলো।”
তাসনিম ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া ভঙ্গিতেই বললো,
“কিন্তু যা জানস না তা হলো,ওর জামাই সাদাত স্যার।”
সায়ান বিহ্বল হয়ে বলে,
“অ্যাঁ..!ঘটনা কি সত্যি দোস্ত?”
চোখ পাকিয়ে অর্কও তাকিয়ে আছে।ঐশী ছোট্ট করে জবাবে মাথা দোলালো।হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো ওরা।কারেন্টের শক খাওয়ার মতো স্ট্যাচু হয়ে রইলো।বিষ্ময়ে মুখের খেই হারিয়ে ফেলেছে ওরা।একেকজনের মুখ হাফ ইঞ্চি পরিমাণ ফাঁকা হয়ে গেলো।যদি কোনো মশা মাছির আনাগোনা থাকতো এই এরিয়ায় নিশ্চিত ওদের মুখে ঢুকে যাবে।ঐশী এদের এমন ভঙ্গিমা দেখে ঠোঁট চেপে হাসতে থাকলো।পালাক্রমে সিন্থিয়াও উপস্থিত হলো।একেকজনের চেহারা দেখে থতমত খেলো সে।সিন্থিয়াকে দেখে জেবা ওর ঘাড়ে মাথা রেখে বললো,
“দোস্ত অয় বলে সাদাত স্যারের বউ লাগে।”
অপ্রস্তুত হয়ে পড়লো সিন্থিয়া।কিছুটা সময় নিয়ে চাপা স্বরে ঐশীকে বললো,
“তোদের বিয়ের ব্যাপারটা যে এদের জানালি তা ভাইয়া জানলে কি হবে তা কি মাথায় আছে তোর?”
“হ আছে বইন।আমি কি আর সাধে জানাইছি।তোর ভাইয়ার জন্যই এদের জানাইতে হইছে।”
ঐশীদের কথার মাঝপথে থামিয়ে দিয়ে অর্ক বলে,
“এক মিনিট।সাদাত স্যারের সাথে ওর বিয়ের কথা তোর ভাই জানলে কি হইবো?আসলে কি নিয়ে কথা বলতেছু তোরা?তোর ভাইয়ার লগে গোপনে ওর প্রেম আছিলো না তো?”
ঐশীকে শাসাতে গিয়ে বেখেয়ালে নিজেদের সম্পর্কটাও টেনে এনেছে সিন্থিয়া। তড়িৎ জিভ কাটে সে।তাসনিম বলে,
“থাকতেও পারে। মিসেস জাদরেল হওয়ার খবরও আমাদের জানাইলো না।সেখানে প্রেম আর এমন কি!”।
জেবা ফোঁড়ন কেটে বলে,
“আমি ড্যাম শিওর ঐশীরে ভুতে ধরছে।তাই এমন করতাছে।”
দীর্ঘশ্বাস ফেলে ঐশী।সবার উদ্দেশ্যে তাকিয়ে বলে,
“দাঁড়ায় থাকতে থাকতে পা লেগে গেছে।কোথাও বসি চল।তারপর সব ব্যাখ্যা করছি।তখন বিচার করিস ভুতে আমারে ধরছে নাকি সত্যি বেরোচ্ছে।”
“তোরে ভুতেই ধরছে। তুই কি বাড়িতে থেকে আসার সময় ফ্রুটিকা খাইয়া আসছোছ নাকি যে সত্যি কথা বের হবে?তুই তো বট তলা দিয়ে আসছু।ওখানকার ভুত তোর ঘাড়ে চাপছে।”
কটাক্ষ করে প্রতিউত্তরে বলে জেবা।একটু পরে আবার মিইয়ে যেয়ে বলে,
“কিন্তু সাদাত স্যারকে কিসে ধরছে?স্যারই বা অমন অভিব্যক্তি নিয়ে হাসলো কেনো?”
জেবার এমন বিভ্রান্ত মুলক কথা শুনে বিরক্ত হয় তাসনিম।ওর পিঠে একটা গুতো মে’রে বলে,
“ভুতে ওদের না তোরে ধরছে।এমন ফাও প্যাঁচাল পারা বাদ দিয়ে চল তো কোথাও বসি।”
তাসনিমের কথায় সায় মেলালো সবাই।উদ্ভ্রান্ত চেহারা নিয়েই বটগাছের দিকে যাত্রা করলো ওরা।তা দেখে দীর্ঘ শ্বাস ছাড়লো ঐশী।
_______
চৈত্রের কাঠ ফাটা রোদে তপ্ত পরিবেশকে শীতল করতে বয়ে চলেছে দমকা হাওয়া।রোদ্দুরের তাপদাহে সমান তালে বহমান পবনের স্পর্শে দুলছে বিশাল দেহি বটবৃক্ষের পাতা।তাদের নড়াচড়ায় জমিনের বুকে নৃত্য করছে রোদ ছায়ার সংমিশ্রণ।বেখেয়ালে এই নৃত্য গিয়ে পতিত হচ্ছে ঐশীর বন্ধুমহলের উপর।সকলের দৃষ্টি ঐশীতে নিবদ্ধ।সাদাতের সাথে তার বিয়ে থেকে শুরু করে সিন্থিয়া ও সাদাতের ভাই বোনের সম্পর্কের পুরো কাহিনি বর্ণনা করে চলেছে ঐশী। মনোযোগী শ্রোতা হয়ে সব শুনলো ওরা।কিছু সময় নিরবেই কেঁটে গেলো।
জেবা মাথায় হাত চেপে বললো,
“তোরা কেও ধর আমারে।আমার এই অবলা মাথা একসাথে এতো লোড নিতে পারতেছে না।ঘুরাইতেছে খালি।কখন যে ঠাস করে পড়ে যাব আল্লাহ মালুম।”
সায়ান স্বগোতক্তি কণ্ঠে বললো,
“অভিনয় তো ভালোই পারিস তোরা।এতো বড় সত্যি কথা আমাদের থেকে কেমনে লুকাতে পারলি ভাই?হাও?একটুও বুক কাঁপলো না তগো?”
অর্ক বিচক্ষণের ন্যায় নিজের ঠোঁটে চিমটি কেটে বলে,
“এইজন্যই তোর বরের ছবি দেখাইতি না এখন বুঝলাম।”
নিরবেই সবটা শুনে গেলো তাসনিম।কিছুটা সময় পর সে মুখ খুলে বললো,
“যা হওয়ার তা হয়েই গেছে।ঐশী যে মীর জাফরগিরী করছে তার পাওনা দিবোনা আমাদের?”
অসহায় বদন খানি নিয়ে ঐশী বলে,
“কি পাওনা?”
“আজকে ট্রিট দিবি তুই।তোদের বিয়ে উপলক্ষে প্লাস এতোবড় সত্যি লুকানোর শাস্তি স্বরুপ আমাদের সবার মর্জি মাফিক ট্রিট দিবি।”
খাওয়ার ব্যাপারে জেবার আগ্রহ সবার পূর্বে।সেখানে ফ্রীতে হলে তো কথাই নেই।সে উৎফুল্ল হয়ে বলে,
“একদম ঠিক কথা বলছিস তুই।আমার এই ঝির ঝির করা মাথা ওর ট্রিট পাইলে যদি এখন থামে।”
মুখ বাকায় ঐশী,
“হ খাইয়া তো কাম পাইলাম না।তোদের মতো রা’ক্ষসের দলকে খাওয়াবো।আমারে ফতুর করে ছাড়বি তোরা।”
অর্ক বলে,
“এসব বলে পার পাবি না তুই।আজকে ট্রিট দিতেই হবে তোর।নইলে তোদের বিয়ের খবর জনে জনে ছড়াই দিবো।”
ঐশী নাকচ করলেও রেহাই মেলে না তার।বাধ্য হয়ে কলেজ বাঙ্ক দিয়ে বন্ধুমহলকে ট্রিট দেয়।
_________
সময়ের বহমানতায় উড়ে চলে যায় কয়েকটা মাস।বসুন্ধরা থেকে চৈত্র বিদায় নিয়ে বৈশাখ জৈষ্ঠ্য ডিঙিয়ে আষাঢ় মাসের আগমন হয়েছে।বাইরে ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি পড়ছে।বৃষ্টির সাথে সমান তাল মিলিয়ে বইছে শীতল হাওয়া।সেই হাওয়ায় উড়ছে জানালার পর্দা।সাথে উড়ছে ঐশীর পড়নের সুতি ওড়না।কলেজ যাওয়ার জন্য ভালো জামা কাপড় পড়ে তৈরি হয়েছিলো সে।কিন্তু পরক্ষণেই দমে যায়। বৃষ্টির আগমন ও পেটের মাঝে অকারণেই ব্যাথা অনুভুত হওয়ায় কলেজ যাওয়ার প্ল্যান স্থগিত করে সে।তাই তৈরি হয়েও কলেজে আর যোগদান করে না সে।আবার সব খুলে হালকা পোশাকে নিজেকে আবৃত করে নেয়।পেটের ব্যাথাটাকে স্ত্রী রজের পূর্বাভাস ভেবে বাড়িতেই রয়ে যায় সে।কিন্তু সারাদিন কেটে বিকেল হলেও কোনো লক্ষণ প্রকাশ পায় না।বিগত কয়েকদিন হলোই এমন অনুভুত হচ্ছে তার।হুট হাট পেটের ব্যাথা জাগ্রত হয়ে আবার একাই মিলিয়ে যাচ্ছে।এই ব্যাথাকে ভুলে থাকার জন্য এক কাপ চা হাতে করিডোরে আসে ঐশী।সেখানে পাতা বেতের চেয়ারে বসে ভাবুক হয়।একা একা অলস দাওয়ায় বসে তার বিয়ে থেকে শুরু করে আজ অবধি নিজের অনুভুতির পরিবর্তনগুলো সম্পর্কে ভাবে।শুরুতে সাদাতকে মেনে না নিতে পারলেও এখন সাদাত তার কতো নিকটতম লোকে পরিনত হয়েছে তা ভাবতেই অবাক হয়।লোকটিকে ছাড়া এক মুহুর্তও কেমন পানসে লাগছে।কিছু সময় হাঁসফাঁস করে কাটিয়ে দেয় সে।তাও মন শরীর কোথাও স্বস্তি মেলে না।হটাৎ তার সেদিনের ঘটনাটা মনে পড়ে।তাদের মধুরতম মুহুর্তের কথা ভেবে যেমন লজ্জিত হয়।তেমনি আঁতকেও ওঠে সে।সেদিন বেখেয়ালে কোনো একটা ভুল করে বসেছিলো তারা।সেই ভুলের ফলটাই পেটে ব্যাথ্যার সৃষ্টি করছে না তো?প্রশ্নটা মনে উঁকি দিতেই এক অন্য রকম অনুভুতির সাক্ষাৎ পায় ঐশী।বিগত কয়েক মাস হলো পিরিয়ড মিস হয়েছে বিষয়টা খেয়াল হতেই কিছুটা দ্বিধায় পড়ে যায় সে।দৌড়ে ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাড়ায় ।অকারণেই নিজেকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখে।আবার মা হবে ভাবতেই লজ্জালু ভাবে হাসি দেয়।এক অন্যরকম ভালো লাগায় তলিয়ে যায় সে।তার এই অনুভুতির আশকারায় মাথায় কাজই করে না বিষয়টা জানলে সাদাত কিভাবে নিবে।সে তো তার আপন ভাবনায় মগ্ন।
চলবে