#স্বচ্ছ_প্রণয়াসক্ত
#পর্ব_১৪
#মুসফিরাত_জান্নাত
দিনপঞ্জিকায় বসন্ত নামতে আর একদিন বাকি।বসন্তের আগমনে বিলম্ব হলেও হাওয়া বইতে বিলম্ব হচ্ছে না একটুও।মন মাতানো হাওয়া দিয়ে যাচ্ছে আনাচে কানাচে।সেই হাওয়ায় উড়ছে ঐশীর ঘন কালো রেশমী চুল।সাথে এলোপাথারি নড়ছে কেবিনের পর্দা।বাতাসের উ’ন্মাদনায় ঝুলন্ত পর্দার যেমন স্থির থাকার সাধ্য নেই।তেমনি কোনো সংবাদও স্থির থাকতে পারে না।আনোয়ার খাঁনের অসুস্থতা ও এনজিওপ্লাস্টির খবর ছড়িয়ে গেলো মুখে মুখে।ঘটনার দিনেই একে একে এসে দেখে গেলো অনেকে।সেই সুবাদে ঐশীর বন্ধুমহলেরও দেখা মিললো ব্যক্তিগত মালিকানাধীন এই ক্লিনিকে।আনোয়ার খাঁনকে দেখা ও বান্ধবীকে মানসিক সাপোর্ট দিতে তাদের আগমন হয় সায়াহ্নের একটু পূর্বে।আনোয়ার খাঁনের সাথে দেখা করার পর ঐশীর সাথে একত্রে কেবিন থেকে বেরিয়ে আসে তারা।
বেশ কিছু সময় বান্ধবীকে সঙ্গ দেয় সবাই।করিডোরে দাঁড়িয়ে জেবা বলে,
“জানিস,আঙ্কেলের এই সংবাদ শুনে আমি কতোটা ভয় পেয়েছিলাম?বার বার তোর কথা মনে পড়ছিলো।কি যে তাড়াহুড়ায় এসেছি আমরা তা আর নাই বলি।”
ঐশী স্মিত হাসে।শান্ত কণ্ঠে বলে,
“সেটা তোদের আজকে আগমন দেখেই বুঝতে পেরেছি।”
তাসনিম বলে,
“যাক আল্লাহর রহমতে যে কোনো কমপ্লিকেশন ছাড়া ভালোয় ভালোয় অপারেশন সাকসেসফুল হয়েছে এই আলহামদুলিল্লাহ।”
তাসনিমের কথার সমাপ্তি ঘটার সাথে সাথেই অর্ক বলে,
“তুই কিন্তু একদম চিন্তা করবি না ঐশী।আঙ্কেল ঠিকই সেড়ে উঠবেন।এখন তো আর কোনো ভয় নেই।”
ঐশী ধীর কন্ঠে বলে,
“হুম।আল্লাহ মুখ তুলে চেয়েছেন বিধায় এ যাত্রায় রক্ষা হলো।আব্বুকে নিয়ে কতো চিন্তায় থাকি আমি।এ জন্যই তো ওনার এক কথায় হুট করে বিয়ে করতেও পিছপা হইনি।”
নিজের কথার সমাপ্তি টেনে ঐশী থামলো।যে যার মতো তাকে সান্তনাও দিলো।হটাৎ সায়ান বললো,
“তোর বিয়ে থেকে মনে পড়লো,শশুরকে দেখতে তোর জামাই আসে নাই?”
ঐশী সায়ানের দিকে তাকালো।শান্ত কণ্ঠে জবাব দিলো,
“হ্যাঁ এসেছিলো।এমনকি সব কিছুর দ্বায়িত্ব সে নিজেই পালন করছে।”
কথাটা শুনে জেবা আশেপাশে তাকিয়ে বললো,
“কই সে?আমাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবি না?নাকি সারাজীবন লুকিয়ে লুকিয়েই রাখবি।”
ঐশী কয়েক পলক ফেলে নির্লিপ্ত কণ্ঠে বললো,
“এতোক্ষণ এখানেই ছিলো।কোনো এক প্রয়োজনে বাইরে গিয়েছে একটু।”
সায়ান ব্যঙ্গাত্মক সুরে বলে,
“বাইরে গিয়েছে নাকি আমাদের আসার খবর শুনে বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছিস তুই?”
প্রতিবাদ করে ঐশী।
“আজব!আমি পাঠাবো কোন দুঃখে?সে নিজেই গিয়েছে।”
জেবা বলে,
“পাঠাতেও পারিস।এমনে তো দেখাতে বললে ছবিও দেখাস না।”
অর্ক জেবার সঙ্গ দিয়ে বলে,
“আরে পাঠাবে না?দেখ কোন চান্দি বের করা কাক্কুর সাথে বিয়ে হইছে।আমরা দেখলে তো ওর লজ্জা লাগবে এজন্য সবসময় আড়ালে রাখে।”
ঐশী কপট রাগ দেখায়।
“থামবি তোরা?আমার জামাই মোটেও চান্দু না।অনেক হ্যান্ডসাম সে।”
তাসনিম ফোঁড়ন কেটে বলে,
“তাইলে আমাদের দেখাস না কেন?”
জবাবে মুখ বাকিয়ে ঐশী বলে,
“যদি তোদের নজর লাগে এইজন্য দেখাই না।”
একসাথে টিপ্পনী কেটে হাসে সকলে।সায়ান ফোঁড়ন কেটে বলে,
“আরে তাই নাকি মাম্মা!জামাইয়ের এতো প্রশংসা।মনটা কেড়ে নিয়েছে বুঝি।তা তলে তলে জল গড়িয়ে এত্তোদূর গেল।আর কিচ্ছু টের পাইলাম না।ভালোই ভালোই।”
লজ্জায় লালাভ বর্ণ ধারণ করে ঐশী।আর কিছু বলতে পারে না সে।
সাঁঝ পেরিয়ে রাত নামে।নিজেদের কথার বরাদ্দ দিয়ে একত্রে বিদায় নেয় সবাই।
দূরের এক ফার্মেসীর সামনে দাঁড়িয়ে ওদের প্রস্থান করতে দেখে হাঁফ ছাড়লো সাদাত।সিন্থিয়ার কাছে থেকে ওদের আগমনী বার্তা পেয়ে, ওদের থেকে নিজেকে আড়াল করতেই তখন সড়ে পড়েছিলো সে।নিজের লম্বা কদম ফেলে এখন এগিয়ে আসে হসপিটালের দিকে।
__________
সায়াহ্ন বেলা কাটিয়ে রাত নামে ধরনীর বুক জুরে।বাহিরে এলোপাথাড়ি বাতাস বইলেও ঝিমিয়ে গিয়েছে ভেতরটা।সবার চোখে মুখে ক্লান্তির ছাপ।চিন্তা ও নির্ঘুম একটি রাতেই ভেঙে গিয়েছে সকলে।বাবার কেবিন রুমে সঙ্গ দিতে বসে রয়েছে ঐশীরা।যদিও সঙ্গটা মনের শান্তি মাত্র।চুপ করে গিয়েছেন আনোয়ার খাঁন।তার বিশ্রামে যেনো ব্যাঘাত না ঘটে সেদিকে সচেতন স্বরুপ নিরবে উপস্থিত সবাই।অথচ বাবার পাণে তাকানো চোখগুলো অসংখ্য কথা বলে যাচ্ছে।আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জানাচ্ছে এমন হৃদয় শীতল করা বটবৃক্ষের ছায়াকে এখনো দেখার সৌভাগ্য দান করায়।এই বৃক্ষ ছাড়া যে তারা অচল।
এভাবে নিরব দর্শনেই কেটে যায় এক প্রহর।লেগে আসা কোমড়টাকে একটু প্রশান্তি দিতে উঠে পড়ে তাবাসসুম।পা ফেলে বেড়িয়ে আসে সে করিডোরে।বাহিরে বের হতেই ধাক্কা খায় একটি শক্তপোক্ত দেহের সাথে।নাকে খানিকটা চোট পায় সে।চোখ মুখ কুঁচকে ফেলে দ্রুত।দেহের মালিককে না দেখেই গর্জে ওঠে তাবাসসুম।
“চোখ কি আকাশে রেখে ঘোরেন নাকি?দেখে চলতে পারেন না?”
“চোখ যেখানেই রাখি না কেনো?ধাক্কা তো ভুল মানুষের সাথে খাই নি।”
কারো রগড়পূর্ণ কণ্ঠ শুনে বিষ্মিত হয় তাবাসসুম। চোখ তুলে তাকিয়ে রাসেলকে দেখতে পায় সে।ক্রমেই মুখ ঘুঁচে ফেলে।তার জীবনে এই লোকটার অবস্থানের খবরটার জন্যই বাবাকে হারাতে বসেছিলো সে।এই ছেলের সান্নিধ্যে আর থাকবে না সে।কিছুতেই থাকা যাবে না।কোনো জবাব না দিয়ে গট গট করে প্রস্থান করে সে।সেদিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে রাসেল।মেয়েটা এমন করছে কেনো?অকারণেই এড়িয়ে গেলো তাকে।দোষটা কি তার কিছুই বুঝে আসে না তার।
রাতের ডিউটি শেষে আনোয়ার খাঁনকে এক পলক দেখতে এসেছে রাসেল।এই দর্শন তার দ্বায়িত্ববোধের পাশাপাশি নিজের মনের টানও বটে।যার দরুন একটু দীর্ঘ সময় বরাদ্দ থাকে আনোয়ার খাঁনের জন্য।এই সময়ের দীর্ঘতা তাবাসসুমকে এক পলক দেখার জন্যেও বটে।কিন্তু মেয়েটা দেখা দিলে তো।বেশ কিছু সময় বিলম্ব করে অতপর মনকে অসন্তুষ্ট রেখেই চলে যেতে হয় তার।
নার্স এসে রাতের খাবারের পর ওষুধ খাইয়ে দিয়ে যায়।রাত্রী বৃদ্ধি পাওয়ায় ঐশীদের বাড়ি পাঠিয়ে দেন সালেহা খাঁনম।বাবার সান্নিধ্যে আরও কিছু প্রহর কাটানোর সখ থাকলেও মায়ের কড়া শাসনের যাতাকলে পড়ে সাদাতকে নিয়ে বাড়ির পথ ধরে সে।হসপিটালে যে এতোজনের জায়গা সংকুলান হওয়া মুশকিল।
______
অন্তরীক্ষ জুরে রাতের গভীরতা বৃদ্ধি পেতেই গোল চন্দ্রিমার রাজত্ব বৃদ্ধি পায়।কিঞ্চিৎ আলো ছড়িয়ে পড়ে ধরনীর গায়ে জোছনা স্নান করাতে লাগে।বাহ্যিক পরিবেশ স্নিগ্ধতায় পরিপূর্ণ হলেও অভ্যন্তরীন পরিবেশ অস্বস্তিতে মোড়ানো।গতদিনের ন্যায় আজও সাদাতকে পাশে রেখে রাত কাটাতে হবে ঐশীর।অথচ ঘুমিয়ে গেলেই সে বেসামাল হয়ে যায়।প্রচণ্ড নড়াচড়ার দরুন গায়ের পোশাক ঠিক জায়গায় থাকে না।এ কারণে নিজের বোনের সাথেই বেড শেয়ার করে থাকার সাহস হয় না ঐশীর।সেখানে এই পুরুষটির সাথে কিভাবে থাকবে?গতদিন তো গায়ে ওড়না জড়িয়ে বেশ ঢেকেই ঘুমিয়েছিলো।অথচ ঘুমের মাঝে তাল হারিয়ে গিয়েছে।গায়ের ওড়না দুজনের মাঝে বর্ডার স্বরুপ অবস্থান নিয়েছে।আর তার যে হাল হওয়ার সেটাই হয়েছে।বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে তাকে।সে সময়টা স্মৃতিতে আসতেই আঁতকে ওঠে ঐশী।আজও কি তেমনটাই হবে?
কিছু প্রহর ভাবতেই মাথায় নতুন বুদ্ধি খেলে যায়।সচারাচর টি শার্ট ও ট্রাউজার পড়ে ঘুমালেও সাদাতের সান্নিধ্যে ওই পোশাকে অস্বস্তি বোধ হয় তার।এজন্য ওনার সামনে সালোয়ার কামিজ পরিধান করে মেয়েটি।সালোয়ারের উপর কামিজের অবস্থান ঠিক রাখার জন্য সেফটিপিন দিয়ে ভালো মতো আটকে দেয় সে।গায়ে ওড়না জড়িয়েও বিভিন্ন স্থানে সেফটিপিন লাগায়।এবার নিশ্চিন্ত মনে ঘুমানো চলবে।
এতো সময় ধরে নিভৃতে ঐশীর এই খাম খেয়ালিপনা দেখে যায় সাদাত।মেয়েটা কি পা’গল?ঘুমের ঘোরে নিজেকে স্থির রাখতে পারে না বলেই পোশাক এলোমেলো হয়।সেখানে সেফটিপিন এর মতো সুচালো মাথা যুক্ত জিনিস কিভাবে নিরাপত্তার জন্য লাগায় সে?এতে যে তার নিরাপত্তার চেয়ে অসাবধানে গায়ে ফুটে হুলস্থুল কাণ্ড হতে পারে সে খেয়াল আছে রমনীর?
রাতের ঘুমানোর প্রস্তুতি সেড়ে মাত্রই বিছানায় আসে ঐশী।তখনই নিরাবতার বিরাম দিয়ে ধাতস্থ কণ্ঠে সাদাত বলে,
“সেফটিপিন গুলো খুলে এসো।”
ভ্রু কুটি করে ঐশী।সেফটিপিন তো সে নিজের শরীর হেফাজতের জন্য লাগিয়েছে।তবে এতে সাদাতের আপত্তি কিসে?কিছু সময় ভাবতেই ঐশীর অপরিপক্ক মষ্তিস্ক অন্য দিকে মোড় নেয়।অনুভুতির বদল ঘটে।নোংরা চিন্তা মষ্তিস্কে বিচরণ করে।আপনা আপনি পুরুষটির প্রতি বাঁকা নজর চলে আসে তার।আর পাঁচ দশটা পুরুষ ও সাদাতের মাঝে কোনো পার্থক্য করতে পারে না এই মুহুর্তে।অথচ লোকটাকে কতোটা শুদ্ধতম ভেবেছিলো সে।ক্ষণেই তার হৃদয় তিক্ততায় ছেয়ে যায়।তিরস্কার করে সে বলে,
“সেদিন তো খুব বড় বড় কথা বলে আশ্বস্ত করলেন।আমার অস্বস্তি হয় এমন কিছুই করবেন না।এখন…।”
ঐশীর কথা সমাপ্তি টানতে দেয় না সাদাত।মেয়েটির মনোভাব তার শব্দের ধরণেই আঁচ করে ফেলে অভিজ্ঞ পুরুষটি।মেয়েটিকে থামিয়ে দিয়ে সে বলে,
“আশ্বস্ততা রক্ষার্থে তোমার ক্ষতি হবে জেনেও মুখ বুজে থাকা সম্ভব নয় ঐশী।এই সেফটিপিন গুলো গায়ে ঢুকলে কি অবস্থা হবে সে খেয়াল আছে?”
থতমত খায় ঐশী।সে তো এটা ভেবে দেখেনি।নিজের অস্বস্তি এড়াতে ক্ষত বিক্ষত হওয়ার পদক্ষেপ নিয়ে বসেছিলো সে।এতো বড় ভুল সিদ্ধান্ত কিভাবে নিলো সে?
ভুলটা নিজের থেকেও উল্টো সাদাতকে ভর্ৎসনা করায় আড়ষ্ট হলো ঐশী।নিজের নোংরা চিন্তা প্রকাশ পাওয়ায় লজ্জারা হানা দিলো।মাথা নত করে ফেললো মুহুর্তেই।
মেয়েটির মুখের নিম্নমুখী অবস্থানের জন্য তার রক্তিমা বর্ণ ধারণকৃত গন্ড যুগল দৃষ্টিতে পড়লো না সাদাতের।যার দরুন মেয়েটির অভিব্যক্তি বুঝতে ব্যর্থ হলো সাদাত।দৃষ্টি শূন্যে পতিত করে সে বললো,
“মাঝে মাঝে তোমার স্বস্তির চেয়ে নিরাপত্তা আমার নিকট অধিক প্রাধান্য পায়।গায়ে কাঁথা জড়িয়ে শুয়ে পড়ো।তাহলে বিব্রত হতে হবে না।”
একটু থামলো সাদাত।বিষ্মিত হলো ঐশী।ঠিকই তো।কাথা গায়ে দিলেই তো তার অস্বস্তিতে পড়তে হবে না।এতো সহজ উপায় থাকতে জটিলতার পথ কেনো বেছে নিলো সে?তার মাথায় কেনো বুদ্ধিটা এলো না?তটস্থ হয় ঐশী।নিভৃতে কয়েক সেকেন্ড অতিবাহিত হয়ে যায়। শাণিত কন্ঠে সাদাত আবারও বললো,
“ভয় নেই।আমার কথার হেরফের হবে না।নিশ্চিন্ত থাকতে পারো।তোমার অনুমতি ব্যতিরেকে গায়ে একটা আঁচরও দেবো না আমি।”
কথাগুলো বলে যথাযথ দূরত্ব বজায় রেখে বিছানার অপর পাশে শুয়ে পড়ে সাদাত।সারাদিনের ক্লান্তি ও গত রাতের ভাঙা ভাঙা ঘুমের দরুন আজকে বিছানায় পিঠ ঠেকতেই শান্তি অনুভুত হয়।নিমিষেই ঘুমের রাজ্যে তলিয়ে যায় পুরুষটি।যার দরুন সে দেখতে পায় না তার বলা কথায় সিক্ত হয়ে ঘরের একটি কোণে জমে রয়েছে ঐশী।ক্ষনকালের জন্য থমকে গিয়েছে সে।।বিহ্বল দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সাদাতের পানে।অজানা এক ভালোলাগার ঢেউ খেলে যাচ্ছে মনের সমুদ্র পাড়ে।সময় গড়িয়ে প্রহরে পদার্পন করতেই সম্বিৎ ফিরে তার।
একে একে পিনগুলো খুলে সে।অসাবধানতার দরুন একটি পিন ছুটে পায়ে গিয়ে আচর কাটে।কিঞ্চিৎ ব্যাথা অনুভুত হয় তার।অস্ফুটস্বরে আঃ বলে ওঠে সে।পরক্ষনেই মুখ বন্ধ করে ফেলে।পাছে আবার সাদাতের ঘুম না ভেঙে যায়।
এখন সে সত্যি উপলব্ধি করে কতোটা আহাম্মকের মতো সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলো সে।কাভার্ড থেকে একটা কাথা নিয়ে এসে গায়ে জড়িয়ে শুয়ে পড়ে।আস্তে আস্তে তলিয়ে যায় ঘুমের রাজ্যে।
চলবে