#স্বচ্ছ_প্রণয়াসক্ত
#সুচনা_পর্ব
#লেখিকা_মুসফিরাত_জান্নাত
পাত্র হিসেবে সাদাত স্যারকে দেখে হতভম্ব হয়ে যায় ঐশী।না মানে তার কপালে কি এটাই লেখা ছিলো?কি এমন পাপ করেছিলো বুঝে পায় না সে।যার জন্য এমন অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।টিচারের সাথে স্টুডেন্টদের বিয়ে হওয়াটাকে সারাজীবন নিচু নজরে দেখে এসেছে সে।এই কাহিনিকে নির্ভর করে যত গল্প-উপন্যাস, নাটক-সিনেমা আছে সব স্কিপ করে এসেছে।আর আজ সে নিজেই কিনা কোনো টিচারের পাত্রী হিসেবে উপস্থিত হয়েছে।তাও কিনা আবার ওনাদের পছন্দ হলে আজকেই বিয়ে হবে।কল্পনা করা যায়,এই লোকটা যদি রাজী হয়ে যায় তবে তার কপালে কি হবে?আদৌ কি এই লোকের সাথে সংসার নামক বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে সে?নিজের টিচারের সাথে রোম্যান্টিক সম্পর্ক কেমনে সম্ভব?ভাবতেই শরীর ঘিন ঘিন করে তার।অবশ্য তাকে পছন্দ করার কোনো কারণ অবশেষ নেই। তার চেয়ে বরং অপছন্দ করার যথেষ্ট কারণ আছে।
কলেজের সবচেয়ে রাগী ও গম্ভীর টিচার সে।তাকে সবসময় থমথমে চেহারায় দেখা যায়।কলেজের সবার জন্য আতংকের নাম সাদাত,রাশভারি গোছের মানুষ।ঐশীর শিক্ষাজীবনের দুই বছরে সাদাতকে একবারও হাসিমজা করতে দেখেনি।নিয়মের ব্যাপারেও খুব সচেতন সাদাত।সে কলেজে আসার পর থেকে অনেক নিয়ম পাল্টে গিয়েছে।পূর্বে ইনকোর্স পরীক্ষা না দিলেও একদিনে সব সাবজেক্টের পরীক্ষা নিয়ে মোটামোটি নাম্বার দিয়ে পাশ করিয়ে দেওয়া হতো।এছাড়াও ইনকোর্স পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেই পাশ করিয়ে দেওয়া হতো। কিন্তু তার সাবজেক্টে এই সিস্টেম নেই।যেদিন পরীক্ষা ঠিক সেইদিনই উপস্থিত হতে হবে এবং নিজ যোগ্যতায় পাশ করে তবেই ফিলআপ করার সুযোগ পাবে।অন্যথায় টাকা দিয়েও কোনো সুযোগ মেলে না।ফেল করিয়ে দেয়।প্রচুর ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানব সাদাত।নিজের ব্যক্তিত্বের মতোই রুপ সম্পন্ন ব্যক্তি।গায়ের রং চড়া,দেখতে অসম্ভব রকমের সুন্দর।নজরকাড়া মুখের অদল,দেহের গঠন সুঠাম।সব মিলিয়ে সুপুরুষ বলা যায়।ঠিক এই কারণে কলেজে ঐশীদেরর ডিপার্টমেন্টে সবার আতংক হলেও অন্য ডিপার্টমেন্ট এর প্রায় মেয়েরই ক্রাশ সে।তার গম্ভীর মুড আর এটিটিউড মেয়েদের হার্টবিট বৃদ্ধিতে যথেষ্ট।সে যখন কলেজে প্রবেশ করে,মুখে গম্ভীর্যতার প্রলেপ এঁকে আসে।প্রয়োজনের বেশী কথা বলা তার ধাঁচে নেই।ঐশীর কোনো এক কু সময়ে তার সাথে পরিচয় হয়েছিলো।সেদিন থেকে সাদাত মানেই তার কাছে এক আ’তঙ্কের নাম,তাও ভ’য়ানক আ’তঙ্ক।তার সাথে সাদাতের কলেজে খুব বাজে একটা ঘটনা ঘটেছিলো।সেখান থেকেই সব শুরু আর সাদাত তাকে আড় চোখে দেখে।মাস ছয়েক আগের ঘটনা।কাওকে ইনফর্ম না করে সাতদিন দাদু বাড়ি গিয়ে থেকেছে ঐশী।কলেজে যাওয়া হয় নি এই কয়দিন।দীর্ঘদিন পর দাদু বাড়ি গিয়ে মজা মাস্তি করে সাতদিন পর কলেজে গিয়েছিলো সে।তার বেস্ট ফ্রেন্ড সিন্থিয়া কপট রাগ দেখায় তার সাথে।তাকে না জানিয়ে এতোদিন অন্যত্র থাকায় গাল ফুলায় মেয়েটি।ওকে নিয়ে ক্লাস বাঙ্ক মে’রে ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়ায় সে।তবুও মন গলে না সিন্থিয়ার।ভারী বিপদে পড়ে ঐশী।এক পর্যায়ে মজার ছলে বলে,
“আমাকে যখন না দেখে থাকতেই পারিস না,তোর বড় ভাইয়ের সাথে বিয়ে পড়িয়ে ভাবি বানালেও তো পারিস।সবসময় চোখে চোখে রাখতে পারবি।এই সুযোগে ফ্রীতে কারও বউও হয়ে গেলাম।”
উৎসুক হয় সিন্থিয়া।কৌতুহল নিয়ে জিজ্ঞেস করে,
“তুই শিওর তো আমার বড় ভাইকে বিয়ে করবি?”
“আলবাদ শিওর।আমি তো দেখতে মাশআল্লাহ অনেক সুন্দরী।তবুও বাড়ি থেকে বিয়ের কথা বলে না।বলবে কেমনে?আমার আগে তো আপুর সিরিয়াল।এই সুযোগে সিরিয়াল ক্রস করে আমার বিয়েও হয়ে যাবে।হি হি কি মজা!আর তাছাড়া তোর মতো বোনের ভাই নিশ্চয়ই অনেক রোম্যান্টিক এন্ড হ…”
কথা শেষ করতে পারে না ঐশী।শোনা যায় খুক খুক কাশির শব্দ।ঘাড় ঘুরিয়ে সাদাতকে দেখতে পায় তারা।সরু চোখে ঐশীর দিকে তাকায় সাদাত।তার জীবনে বোধহয় এমন বিরল অভিজ্ঞতা আগে হয় নি।ক্লাস বাঙ্ক মে’রে কোনো মেয়ে নিজের মুখে নিজের বিয়ের ঘটকালি করে এমনটা হয়তো চোখে পড়েনি তার।সাদাত তাদের দিকে অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকিয়ে চলে যায়।যাওয়ার আগে গম্ভীর গলায় বলে,
“একটু পরেই আমার ক্লাস শুরু হবে।তা বাদ দিয়ে এখানে কি করছেন আপনারা?ক্লাস করার নিয়ত নেই নাকি?অবশ্য সারাক্ষণ বিয়ের চিন্তা মাথায় ঘুরলে ক্লাস করার কথা মনে থাকবে কেমনে?এইজন্যই তো পড়াশোনার এই হাল।যে হারে ফেল করছেন,প্রথম বর্ষে টেনেটুনে প্রোমোটেড হলেও দ্বিতীয় বর্ষে দুইবছর থাকা ছাড়া উপায় থাকবে না।বলা যায় না কয়েক বছরও থাকা লাগতে পারে।এরচেয়ে পড়াশোনায় মন দেন।ক্লাসে আসেন।”
গটগট করে চলে যায় সাদাত।মাইনকা চিপায় পড়ে সারাদিন ঘোরার ইচ্ছে থাকলেও সাদাতের ক্লাসটা করতে হয়।টানা পঁয়তাল্লিশ মিনিট ক্লাস করে বিরক্ত হয় ঐশী।রাগে ফোঁসফোঁস করে অনেকগুলা বকা দেয় সাদাতকে।দাঁত কিড়মিড় করে বলে,
“এই স্যার ভাঙা ভটভটি,ঠ্যাব ঠ্যাব করা মাইকের মতো সবসময় এমন করে।আমাদের দুই তিন বছর রিটেইক দেওয়ার অভিশাপ দেওয়া না?এই স্যারের বউ সারাজীবন রিটেইক খাবে দেখিস।আমার মতো নিরীহ, মাজলুম ব্যক্তির দোয়া আল্লাহ ফেলবেন না।প্রচুর চেষ্টা করেও এই স্যার তার বউকে পাশ করাতে পারবে না।পরে অসহায় হয়ে কপাল চাপড়াবেন।সবচেয়ে, খারাপ,জঘন্য মন মানসিকতার একটা মেয়ের সাথে এর বিয়ে হবে।সেই মেয়ে কোনো কাজেও পারদর্শী হবে না।বউয়ের রান্না খেয়ে স্যারের প্রচুর গ্যাস হবে।এ বেলা ও বেলা গ্যাসের মেডিসিন খেয়েও বায়ুদূষণ করে মান সম্মান ডুববে স্যারের।তখন বুঝবে আমাদের শান্ত ব্রেনে অপমান করার পরিণাম কি।হুহ!”
সিন্থিয়া ফিসফিস করে বলে,
“থাম এবার।তখন যে আমার বড় ভাই কে বিয়ে করতে চাইলি।সে কে জানিস?”
ঠোঁট টিপে হাসে মেয়েটি।বুকের ভিতর ধুক করে ওঠে ঐশীর।সন্দিহান নয়নে তাকায়।তার সন্দেহকে সঠিক প্রমান করে সিন্থিয়া জানায়,
“সাদাতই আমার বড় ভাই।”
কোথাও যেন ঠা’ডা পরে এমন শব্দ পায় ঐশী।পায়ের তলা ফাঁকা হয়ে যায়।যাকে উদ্দেশ্য করে মজা করলো, সেই ব্যক্তি সাদাতই হতে হলো?চোখ বড় বড় করে তাকায় সে।
“আল্লাহর বান্দী,তাইলে তুই ওনাকে স্যার ডাকিস কেন?আর এটা আমাদের থেকে গোপন করার কারণ কি?”
“বেডার যেই পারসোনালিটি ভাই!পারসোনাল লাইফ আর প্রোফেশনাল লাইফ আলাদা রাখতে চায় সে।যেন কখনো আমাকে স্যারের বোন বলে এক্সট্রা ফ্যাসিলিটিস পাচ্ছি এমনটা কেও না বলে।এইজন্য বিষয়টা আড়ালে রাখতে বলে ভাইয়া।আমিও তার কড়া আদেশের তলে বন্দী আছি।”
যাতাকলে পড়ে যায় ঐশী।এই লোকটার সামনে এখন থেকে যাবে কেমনে?এর মাঝেই লাগে আরেক বিপত্তি।কাল রাতে কাজিনদের সাথে ট্রুথ অর ডেয়ার খেলতে নিয়ে ঐশীর ডেয়ার ছিলো ক্রাশ এন্ড কনফেশন গ্রুপে সাদাতকে নিয়ে কনফেশন দিয়ে চব্বিশ ঘণ্টা রেখে দেওয়া।আসলে ঐশীর কাজিনরাও জানতো সাদাতকে কতোটা অপছন্দ করে সে।এই কারণেই মজা নিয়ে এই ডেয়ার দেয়।আর সেই গ্রুপের পোস্টে কে যেনো সাদাতকে মেনশন দেয়।তরতর করে রা’গ ওঠে সাদাতের।টিচারকে নিয়ে এ ধরনের মস্করা একদম নিতে পারে না সে।পিওনকে দিয়ে ডেকে পাঠায় ঐশীকে।এক রাশ অস্বস্তি ও ভয়ে ভয়ে কম্পিত পায়ে হেঁটে অফিস রুমে যায় ঐশী।পুরো রুম ফাঁকা।সাদাত বাদে আর কেও নেই।কাঁপা গলায় অনুমতি চায় ঐশী,
“আমি কি ভেতরে আসতে পারি,স্যার?”
মুখের গম্ভীর্যতাকে আরও কয়েক গুন বাড়িয়ে দেয় সাদাত।থমথমে গলায় বলে,
“আসেন।”
হাঁটি হাঁটি পা পা করে এগিয়ে যায় ঐশী।
“আমাকে ডেকেছিলেন স্যার?”
রা’গে চোয়াল শক্ত করে সাদাত।ভারী,গম্ভীর,বিরক্তিভরা স্বরে প্রশ্ন করে,
“এসব কি?’
সাদাতের মেলে ধরা ফোনের স্ক্রিনে তাকাতেই ভয়ে মিইয়ে যায় ঐশী।তার চোখ দুটিতে কুতকুতে ভয়।জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে জবাব দেয় সে,
“স্যার কাজিনরা ডেয়ার গেম দিয়েছিলো আর বলেছিলো আপনার ছবি এড করে কনফেশন দিয়ে চব্বিশ ঘন্টা রেখে দেওয়ার জন্য।”
“টিচার রা কি ট্রুথ অর ডেয়ার খেলার ব্যক্তি?”
”না স্যার, ভুল হয়ে গিয়েছে,আর হবেনা।”
”অন্যায় কয়েক ধাপে করেছেন আপনি।আমাকে ক্লাস টাইম পরে যা নয় তাই বলে অভিশাপ দিয়েছেন।আমার পারমিশন ছাড়া আমার ফেসবুক প্রফাইল থেকে ছবি নিয়েছেন।তারপর টিচারকে নিয়ে মশকড়া করে কনফো দিয়েছেন।কলেজে এসব করার জন্য আসেন?”
”স্যার আর এমন হবেনা।”
“আপনার বাবার নাম্বার দিন।”
ভয়ার্ত চোখে সাদাতের দিকে তাকায় ঐশী।মায়াবী,করুন দৃষ্টি।মন গলে না সাদাতের।তখন ক্লাসে ফেলে আসা মার্কার নিয়ে আসতে গিয়ে তাকে দেওয়া ঐশীর সব অভিশাপ শুনে ফেলেছে সে।ফোন নাম্বার নিয়ে ঐশীর বাবাকে কল করে নালিশ দিলো সে, সাথে ঐশীকে ওয়ার্নিং ও দিয়ে দিলো।সাদাত থমথমে ভঙ্গিমায় তাকে বললো,
”এখন থেকে আপনাকে আমার নজরে রাখবো।”
তখন থেকেই সম্পর্কের অবনতি তাদের।কেও কাওকে সহ্য করতে পারে না।আর এখন কিনা তার সামনেই পাত্রী হয়ে বসে আছে?উহু পাত্রী বললেও ভুল হবে।অর্ধাঙ্গীনি হতে চলেছে সে।কাজী সাহেব চলে এসেছেন।কাগজ পত্র থেকে শুরু করে সব রেডি করছেন।মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানেই হয়ে গেলো তাদের বিয়ে।এখন থেকে সে আর শুধু ঐশী নয়।মিসেস ঐশী শেখ সে,সাদাত শেখের অর্ধাঙ্গিনী।
তার পূর্বের নাম ঐশী খাঁন।মা-বাবার ছোট মেয়ে।অনার্স সেকেন্ড ইয়ারে পড়ে। বিএসসি অনার্স।আসলে সাদাতের বিয়েটা ঐশীর বড় বোনের সাথে ঠিক ছিলো।তাদের পরিবার আর পাঁচ দশটা টা পরিবারের মতো নয়।তার বাবা পুরানো রীতি আজ ও ধরে রেখেছে।আর এ ব্যাপারে সে ভীষণ স্ট্রং।আগেকার দিনের মতো বিয়ের আগে ছেলে মেয়েদের মত নেওয়াটাকে প্রাধান্য দেয় না।ঐশীর বাবা আনোয়ার খাঁন বড় মেয়ে তাবাসসুমের অমতেই ঘরোয়া পরিবেশে বিয়ে ঠিক করেন।আজ তাদের আকদ ছিলো।কিন্তু ঐশীর মুখে সাদাতের হিটলার আচরণের কথা শুনে ভয় পেয়ে যায় তাবাসসুম। ঐশীও বোনের করুন পরিস্থিতির বর্ণনা করে করুন স্বরে হায় হুতাশ করে।এই অবস্থা থেকে রেহাই পেতে বিয়ের দিন সকালে পালিয়ে চলে যায় সে।আর তার শাস্তি পেতে হয় ঐশীর।মান সম্মান রক্ষার্থে ছোট মেয়েকেই সাদাতের পাত্রী হিসেবে প্রস্তাব দেওয়া হয়।তারাও সম্মতি জানায়।বড় বোনের জন্য ঠিক করা পাত্রকে নিজের জীবনে জুড়ে নিতে হয় ঐশীর।আজ থেকে যে তার জীবনটা জা-হা-ন্না-মে পরিণত হতে চলেছে তার আর বুঝতে বাকি নেই।
_________
বিয়ে পড়ানো শেষে ঐশীকে ঘরে পাঠানো হয়।ভারী শাড়ী গহনা তখনও তার গায়ে লেপ্টানো।সাদাত ঘরে প্রবেশ করেই দরজা লাগিয়ে দেয়।খট করে শব্দ করে ওঠে।সেই শব্দে কেঁপে উঠল ঐশীর অন্তরআত্মা।ঘরে প্রবেশ করে ঐশীর দিকে আড়চোখে একবার তাকায় সাদাত।শাণিত কন্ঠে বলে,
“আপনি ওয়াশরুমে গিয়ে চেঞ্জ করে নিন।আমি বুঝতে পারছি আপনার অস্বস্তি হচ্ছে। এইভাবে বড় বোনের পাত্রকে নিজের বর হিসেবে মেনে নেওয়া যে কারোর জন্যই অস্বস্তিকর।তার উপর অচেনা অজানা একটা মানুষের সাথে বিয়ে হয়েছে আপনার।খারাপ লাগা বা অস্বস্তি ফিল হওয়াটাই স্বাভাবিক।কি করব বলেন?পরিস্থিতিটাই এমন ছিলো।যাই হোক আমার দ্বারা আপনার কোনো অস্বস্তি ফিল হয় এমন কিছুই হবে না।আপনার মানসিকভাবে প্রস্তুত হওয়ার সময়টুকু পাবেন।”
সাদাত তো ঐশীর মুখ না দেখেই সুন্দর করে কথা বলছে।মুখ দেখার পর কি বলবে সৃষ্টিকর্তা বাদে কেও জানে না।কতক্ষণ ই বা মুখ ঢেকে রাখতে পারবে ঐশী?মনে মনে বিড়বিড় করে সে,
“ঐশীরে তুই ফেঁসে গেছিস।আজন্মের মতো ফেঁসে গেছিস।সাদাত স্যার তোর মুখ দেখলেই বিস্ফোরণ ঘটবে।যতক্ষণ সে দেখতে না পাবে তত সময়ই শান্তি তোর।”
কিন্তু কত সময়ই বা মুখ লুকিয়ে রাখবে সে?এক পলক চোখ তুলে তাকায় ঐশী।হটাৎ বাইরে গোলমালের আওয়াজ শোনা যায়।মেয়েলী করুন কন্ঠে কান্নার আওয়াজ ভেসে আসে।হলোটা কি?তড়িৎ দরজা খুলে বেরিয়ে যায় সাদাত।চপল পায়ে পিছু নেয় ঐশীও।
চলবে?