#স্পর্শের_বাহিরে_তুমি
#আদরিতা_জান্নাত_জুঁই
#part_10
দূরন্ত এগিয়ে এসে ধরার আগেই…
তিয়াসা বেঞ্চের উপর হাত রেখে নিজেকে ব্যালেন্স করে সোজা হয়ে দাড়ালো… দাড়ানোর সাথে সাথে পা দিয়ে নিচের দিকে গোতা দিলো…আর সাথে সাথে দিশা চিৎকার করে উঠলো…আহহহ….!
তিয়াসা: তোমার আবার কি হলো… পরে তো যাচ্ছিলাম আমি…তুমি চিৎকার করছো কেনো…?
দিশা: তুমি এটা ইচ্ছে করে করলে তাই না…?
তিয়াসা: আরে ধুরর কি বলো এসব… পাগলেও তো নিজের ভালো বুঝে..আর তুমি বলছো আমি নিজে নিজে ইচ্ছে করে পরে যাবো…?
দিশা:একদম ড্রামা করবেনা…তুমি খুব ভালো করেই জানো আমি কি বলছি… তুমি আমার পায়ে ইচ্ছে করে এতো জোরে গোতা দিয়েছো…।
দূরন্ত আর ক্লাসের বাকি সবাই নিরব দর্শকদের মতো ব্যপারটা দেখে যাচ্ছে…আসলে কি হচ্ছে সেটাই বুঝার চেষ্টা করছে…।
দূরন্ত এগিয়ে এসে কিছু বলার আগেই…
তিয়াসা: ওহহ হ্যাঁ আমি গোতা দিয়েছি…কিন্তু সেটা যে তোমার পা ছিল সেটা আমি নিচের দিকে তাকিয়ে দেখিনি গো…তাহলে আমি তোমার পায়ের সাথেই বেজে পরে যেতে নিয়েছিলাম…?
দৃরন্ত: তুমি তিয়াসাকে ইচ্ছে করে পা দিয়ে ল্যাং দিয়ে ফেলে দিতে চেয়েছিলে…?
দিশা: না স্যার…আমি আসলে…
দিশা কে কথা শেষ করতে না দিয়ে…
তিয়াসা:তুমি আসলে এটা তোমার বাসার ড্রয়িং রুম ভেবেছিলে…ইমাজিন করছিলে মেবি তুমি তোমার বাসার ড্রয়িং রুমে সোফায় বসে আছো..আর পা দুটো উত্তর বঙ্গে আর দক্ষিণ বঙ্গে দিয়ে রেখেছিলে…তাই না…?
দিশা: না মানে..আমি ইচ্ছে করে পা টা বেঞ্চের বাহিরে দেইনি…
তিয়াসা: হুমম… জানো দিশা আমার না একটা গুড হ্যাবিট আছে… আমি যদি কোনো জিনিস এর থেকে আঘাত পাই সেটাকেও আঘাত করি…হোক সেটা জড় পদার্থ কিংবা মানুষ..তা না করলে না আমার রাগটা কমেনা… আসলে এটা রাগ কমানোর একটা প্রসেসিং বলতে পারো…,।
কিন্তু তোমার ভাগ্য টা সেই লেভেলের ভালো গো… ভাগ্যিস আমি আজকে হাইহিল আই মিন পেন্সিল সুজ পরে আসিনি… না হলে তো তোমার পায়ের রফাদফা হয়ে যেতো… দু একদিন ঠিক মতো হাটতেই পারতে না ??..
যদিও দূরন্ত ক্লাসে ছিল…কিন্তু দূরন্তর কিছু বলার প্রয়োজন পরেনি..যার মেটার সেই হ্যান্ডেল করে নিচ্ছে স্মুথলি…।
দূরন্ত: দেখো দিশা তুমি প্রাইমারি স্কুলে পরো না যে পা মেলিয়ে দুদিকে দিয়ে রাখবে বাচ্চাদের মতো…তুমি হয়তো ভুলে গেছো এটা ইউনিভার্সিটি…তুমি তো এখনো প্রাইমারি স্কুলের লেভেলেই আছো… ম্যানার্স বলে যে কিছু আছে তুমি বোধহয় জানো না…?
দিশা:স্যরি স্যার..
দূরন্ত:স্যরি বললেই কি সব সমস্যার সমাধান হয়..?.যদি তিয়াসা পরে যেতো তাহলে কি হতে পারতো তোমার ধারনা আছে…?
তিয়াসা তো মনে মনে সেই খুশি…উচিত শিক্ষা হয়েছে…
তিয়াসা: থাক স্যার.. ও বুঝতে পারেনি…।
.
.
.
________
.
.
.
ক্লাস শেষে…সবাই একে একে ক্লাস দেখে চলে যাচ্ছে কিন্তু দিশা বেচারি বেঞ্চেই বসে আছে… দিশার কাছে এগিয়ে এসে…
তিয়াসা: তোমার কি খুব ব্যাথা করছে…? বুঝলে তো এবার কতো মরিচ এ কতো ঝাল…
মুখে এক বিজয় এর হাসি রেখে কথা গুলো বলে…তিয়াসা চলে আসে…!
দিশা নিজের হাত মুষ্টিবদ্ধ করে হাত টা বেঞ্চে পাঞ্চ করলো…।
তিশা: ওই মেয়েটার রাগ কেনো নিজের উপর দেখাচ্ছিস…।
দেখলি কি ভেজা বেড়ালের মতো আচরণ করলো.. ড্রামা কুইন ওভারলোড…
দিশা: তিয়াসার সব থেকে বড় ভুল..ও এই দিশার সাথে লাগতে এসেছে…।
.
.
তিয়াসা সেতু আর তন্নী তিনজন মিলে ক্যানটিনে গিয়ে বসলো…
চলবে….