#স্পর্শের_বাহিরে_তুমি
#আদরিতা_জান্নাত_জুঁই
#part_9
তিয়াসা অনেকক্ষন যাবৎ দরজায় ধাক্কাচ্ছে কিন্তু কিছুতেই দরজা খুলছে না…!
সেতু ক্লাসে এসে তিয়াসা কে দেখতে না পেয়ে…তন্নী কে জিঙ্গেস করে…
সেতু: আচ্ছা তিয়াসা তো এসেছে… ও কোথায় গিয়েছে জানো..?
তন্নী: ও মে বি ওয়াস রুমে গিয়েছে…. এই দিশা তোমাকেও তো দেখলাম তুমি আর তিশা ওয়াস রুমের ওই দিকে যাচ্ছো তিয়াসা কে দেখোনি…।
দিশা: আমি কই না তো… আমরা ওই দিকে গিয়েছিলাম বাট ওয়াস রুমে যাইনি…।
সেতু: যদি ওয়াস রুমেই গিয়ে তো এতোক্ষন হয়ে গেল এখনো আসছে না কেনো…?
ওদের কথা বলার মাঝেই দূরন্ত ক্লাসে চলে আসলো…আর ক্লাসে এসেই দূরন্তর চোখ তিয়াসা কে খুজতে লাগলো… সেতুর পাশের জায়গাটা ফাকা যেখানে তিয়াসা বসে…সেতুর কাছে এগিয়ে এসে…
দূরন্ত: তিয়াসা কোথায়…? ক্লাস টাইমে ও কোথায় গিয়েছে…!
দিশা মনে মনে: আসতে না আসতেই তিয়াসার খবর নেয়া শুরু হয়ে গেছে… আমাদের কি চোখে পরেনা নাকি…?
সেতু: স্যার আমি ক্লাসে আসার পর থেকেই তিয়াসা কে দেখতে পাইনি… আমি একটু আসছি স্যার…তন্নী চলো আমার সাথে….।
দূরন্ত মনে মনে: তিয়াসা তো একা কোথাও যাওয়ার কথা না…সেতু কে ছাড়া একাই কোথায় গেলো…।
তন্নীর কথা মতো তিয়াসা কে খুজতে ডিরেক্ট ওয়াস রুমে সামনে গেলো সেতু… আর সেতুর ভাবনায় ঠিক হলো…ওয়াস রুমের দরজা বাইরে থেকে লক করা…ওয়াস রুমের দরজা খুলে দিতেই তিয়াসা ওয়াস রুম থেকে বেরিয়ে জোরে জোরে নিশ্বাস নিতে লাগলো…
তিয়াসা: এই যমুনা সেতু এতোক্ষনে তোর আসার সময় হলো..? কখন থেকে এখানে আটকে আছি জানিস…?
তন্নী: তুমি একা এসেছো কেনো..? কাউকে সঙ্গে নিয়ে আসবে তো…
সেতু: হ্যাঁ একা এসেছিস কেনো… আমার জন্য তো একটু ওয়েট করতে পারতিস..?
তিয়াসা:আরে তখন তুই কিংবা তন্নী ছিলি না ক্লাসে…তাই আর অন্য কাউকে বলিনি…কি করেই বা বলবো বাকি গুলো যেভাবে তাকাই আমার দিকে…মনে হয় ওদের পাকা ধানে মই দিয়েছিলাম কোনো কালে…!
তন্নী: কোনো কালে নই..এই কালেই ওদের পাকা ধানে নয় ক্রাশে মই দিচ্ছো..তাই আরকি…
তিয়াসা: ধুররর ওদের ওই ক্রাশকে দেখার টাইম আমার নেই… আর উনি আমার কাছে টিচার ছাড়া অন্য কিছু নয়…
সেতু: এতো যে পকপক করছিস ভয় পাসনি..?
তিয়াসা: ধুরর ভয় পেতে যাবো কেনো…? আমি এতোটাও ভিতু নয়…ভয় তখনই পেতাম যখন আমার সাথে খারাপ কিছু হওয়ার সম্ভাবনা দেখতাম… যে এই কাজটা করেছে তার উদ্দেশ্যে ছিল আমাকে শুধু ভয় দেখানো যার জন্য ওয়াস রুমের লাইট প্লাস বাইরে থেকে দরজা লক করে দিয়েছিল…।
সেতু: হয়েছে তোর ভাষন… আমি তো ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম ওই ছেলে গুলো….
সেতুকে পুরো কথা শেষ না করতে দিয়ে…
তিয়াসা: ওই ছেলে গুলোর এতোটাও সাহস হয়নি যে তারা মেয়েদের ওয়াস রুম পযর্ন্ত চলে আসবে…
তন্নী: তাহলে…?
তিয়াসা: এই চলো তো… এতোক্ষনে মনে হয় দূরন্ত বাই সাইকেল ক্লাসে চলে এসেছে…
অবাক হয়ে
সেতু+তন্নী: দূরন্ত বাই সাইকেল…?
তিয়াসা: এতো অবাক হওয়ার কিছু নেই… এটা আমার দেয়া নিক নেম..
.
.______
.
দূরন্ত: এতোক্ষন কোথায় ছিলে…?
তিয়াসা: আসলে স্যার…
দূরন্ত: আসলে নকলে আবার কি…?
তিয়াসা: আসলে নকলে আপনার শাকচুন্নিদের মাথা [ মনে মনে ]
ওয়াস রুমের দরজা আটকে গিয়েছিল খুলতেই পারছিলাম না…
দূরন্ত: তো পরে খুললে কিভাবে…?
তিয়াসা: ওই যে সেতু আর তন্নী ওদের হেল্প নিয়ে অবশেষে দরজা খুলতে সক্ষম হয়েছি…।
সেতু: এই এসব কি বলছিস…
তিয়াসা: ঠিকি তো বলেছি…তোরাই তো হেল্প করলি…!
দিশা আর তিশা দুজনে যেনো কি ফিসফিসিয়ে কথা বলছে…তিয়াসা ওদের দিকে তাকিয়ে মুচকি একটা হাসি দিল…পরিবর্তে ওরাও একটা হাসি দিলো…!
অতপর দূরন্ত ক্লাস শুরু করলো…. ক্লাসের সবাই কে একে একে প্রজেক্টর এর সামনে ডাকলো… social work এর presentation করার জন্য…
ফাস্ট বেঞ্চের সবাই গিয়ে প্রেজেন্টাশন করলো…কিন্তু দিশা সব উলট পালট করলো…দূরন্তর কাছে ঝারি খেয়ে ধপাস ধপাস করে বেঞ্চে বসলো…কয়েকজনের পর দূরন্ত তিয়াসা কে ডাকলো…
তিয়াসা সামনের বেঞ্চ পযর্ন্ত গিয়ে কিছু একটার সাথে পা আটকে পরে যেতে নিলো….!
চলবে…..
[ বানান ভুল ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ]