#স্পর্শের_বাহিরে_তুমি
#আদরিতা_জান্নাত_জুঁই
#part_7
তিয়াসা স্টাচো হয়ে দাঁড়িয়ে আছে…তিয়াসার অবস্থা যে বেগতিক সেটা সেতু ব্রেস্ট ফ্রেন্ড হয়ে ভালো করেই বুঝতে পারছে…তিয়াসার হাত ধরে ঝাকুনি দিয়ে…
সেতু: কিরে ক্রাশ খাওয়া হলো….?
সেতুর ঝাকুনি তে তিয়াসা নিজের জগতে ফিরে এলো…সেতুর কথাটা ঠিক তিয়াসার কাছে কাটা গায়ে নুনের মতো লাগলো…সেতুর দিকে চোখ রাঙিয়ে তাকিয়ে বেঞ্চে বসে পরলো তিয়াসা… তিয়াসার এমন অবস্থা দেখে সেতুর দুঃখে হাসি পাচ্ছে.. প্রচুর হাসি পাচ্ছে… হাসি তেই যে সেতুর ফাসি… তাই হাসি কনট্রোল করে নিলো…
সেতু: কয় কিলোমিটার ক্রাশ খেলি রে…?
তিয়াসা: চুপপ করর বাঙ্গি গাছের পেত্নি… ক্রাশ নয় মস্তবড় বাশ খেলাম মনে হচ্ছে…।
সেতু: ক্রাশ বল আর বাশ দুটোই কিন্তু তোর জন্য প্রাপ্র…।
তিয়াসা: ওমনিই পল্ট্রি খেলি…? যেই দেখলি ওই বজ্জাত মার্কায় আমাদের ক্লাস টিচার ওমনিই…।
সেতু:আরে থাম বইন…
সেতু আর কিছু বলার আগেই তাশরীফ মানে দূরন্ত এগিয়ে এসে…
দূরন্ত: হয়ে গেছে কথা বলা..? আর যদিও বাকি থাকে সেটা যেতে যেতে বলে নিও কেমন…।
তিয়াসা: আসলেই আপনি একশো নাম্বার বজ্জাত…এই বজ্জাত নামটা জন্ম নিয়েছে শুধু আপনার জন্য… আপনি আগে কেনো বলেন নি আপনার নাম তাশরীফ… আর একটু আগে যে এতো গুলো কথা বললাম তখন কেনো বলেননি আপনি এই ইউনিভার্সিটির টিচার…!
দূরন্ত: তোমাকে আমার পুরো নাম বলার দরকার পরেনি..তাই বলা হয়নি…আর আমি এই ভার্সিটির টিচার সেটা বলার সাহস পাই নি আফটার অল তুমি owner এর ছেলের উডবি…তাই তোমার মুখের উপর কথা বলতে পারিনি..যদি চাকরিটা আর না থাকে…
তিয়াসা মনে মনে: তাহলে মনে হয় এই বজ্জাত বেটায় আসল খবর জানে না..না জানলে নাই আমারই ভালো…।
তিয়াসা প্রথমে আমতা আমতা করলেও পরে মনের ভিতর সাহস সঞ্চয় করে…
তিয়াসা: হুমম… আমি ওমন নয় যে ক্ষমতার অপব্যবহার করবো হুহহ..।
দূরন্ত: হ্যাঁ ম্যাম…আপনি তো মহান..আপনার মনটা তো Johnsion cream এর মতো নরম..!
.
.
কথা গুলো বলেই দূরন্ত চলে গেলো… এবং সবাই তিয়াসা কে জেয়ালস ফিল করা শুরু করে দিয়েছে…কি এমন কথা বললো এতোক্ষন তিয়াসার সাথে…আশে পাশের মেয়েরা তো তিয়াসার দিকে অগ্নি দৃষ্টি নিক্ষেপ করছে… সে দিকে তিয়াসার খেয়াল নেই… লাস্ট কথাটা দূরন্ত কি বলে গেলো..
তিয়াসা:ওই কি বলে গেলো রে…,
সেতু: কি জানি শুনতে পাইনি..!
সেতু কথাটা ঠিকি শুনছিল কিন্তু অযথা কথা বাড়বে বলে কিছু বললো না…। তবে মুখ টিপে হাসলো যেটা তিয়াসার নজর এড়ালো না…।
.
.
_______
.
.
তিয়াসা বাড়ি ফিরে ড্রেস চেন্জ না করেই সোফায় শরীর এলিয়ে দিলো…তিয়াসার ভাবি রাইসা এগিয়ে এসে..কি হয়েছে ননদীনি..? মনে হচ্ছে অনেক ট্রায়ার্ড…।
তিয়াসা: হুমমম..তুমি জানো…
এই পযর্ন্ত বলেই তিয়াসা মন খারাপ করায এক্সপ্রেশন আনলো মুখে…।
তিয়াসার ভাবি: কি হলো..মন খারাপ হয়ে গেলো কেনো…?
তিয়াসা: হবেনা..হওয়ার একশো একটা কারন আছে…।
তিয়াসার ভাবি: বলো না আমিও শুনি…
তিয়াসা মন খারাপ করেই কথা গুলো বললো…।
তিয়াসার ভাবি আজকে আর নিজের হাসিটা আটকে রাখতে পারলো না..হেসেই দিলো….
তিয়াসা: ভাবিইইই
তিয়াসার ভাবি: আমার দোষ নেই ননদীনি…আসলে ঘটনা গুলো অনেক ফানি…তাই হাসিটা আটোমেটিকলি চলে আসে..জানো আমি কি ভাবছি আদৌ কি সব ঘটনা কো-ইনসিডেন্স নাকি অন্য কোনো মিস্ট্রি আছে…?
তিয়াসা: আসলেই তুমি গোয়েন্দা গিন্নি…তবে সেটা তুমি ভাইয়ার উপরই এপ্লাই করো কেমন…আর ভাবি আমাকে কফি দিয়ো প্লিজ…
.
.
রাতে তিয়াসার ফোনে সেই নাম্বার থেকে এসএমএস আসলো ” জ্বীন ইজ ব্যাক ”
মেসেজটা দেখে তিয়াসা সিউর যে এটা কে হতে পারে…তিয়াসার কল্পনার বাহিরে ছিল যে এটা দূরন্ত হতে পারে…!
.
.
_____
.
.
পরেরদিন ভার্সিটিতে….
তিয়াসা আর সেতু কথা বলতে বলতে ক্লাসে যাচ্ছে…তখনই হঠাৎ তিয়াসা নিজের উড়নায় টান অনুভব করলো….পিছনে ঘুরতে ঘুরতেই তিয়াসার কাধ থেকে উড়নাটা পরে গেলো…!
চলবে…,!
[ রিচেক দিতে পারিনি..বানান ভুল হলে ক্ষমা করবেন ]