#স্পর্শের_বাহিরে_তুমি
#আদরিতা_জান্নাত_জুঁই
#part_6
তিয়াসা: যত্তসব ধান্দাবাজ লোক…আপনি কি ভেবেছেন আমি কিছু বুঝিনা…? খাম্বার মতো সামনে দাঁড়িয়ে আছেন কেনো… সাইট দেন আমি উঠঠ
কথা গুলো বলতে বলতে জামা কাপড় ঠিক করে কেবল মাত্র দাড়ালো…আর সামনের মানুষ টাকে দেখে তিয়াসার মাথা জীম ধরে এলো… আসলে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষটা হচ্ছে দূরন্ত…।
দূরন্ত: কি বললে তুমি..আমি ধান্দাবাজ..? তুমি ধান্দাবাজ মেয়ে..তোমাকে দেখলেই বুঝা যাই তুমি কি ধরনের মেয়ে… আর তুমি জানো কোথায় দাঁড়িয়ে কার সাথে কথা বলছো…?
তিয়াসা: এহহহ আইছে আমার কোন দেশের প্রেসিডেন্ট এর মেয়ের জামাই… আপনি জানেন আমি কে…???
দূরন্ত: তো বলো তুমি কোন দেশের মহা রাণী ভিক্টোরিয়া…।
তিয়াসা: আমি কোনো দেশের মহা রাণী ভিক্টোরিয়া না হলেও… এই ইউনিভার্সিটির owner তরিকুল আহমেদ এর একমাত্র ছেলের উডবি ওয়াইফ আমি…,।
আর আপনি এখানে এসেছেন কেনো..? আপনার যদি এই ইউনিভার্সিটি তে জব করার ড্রিম থেকে থাকে তাহলে সেটা চিরতরে ভুলে যান… কারন আমি…
দূরন্ত: কারন তুমি এই ইউনিভার্সিটির owner এর ছেলের বউ… আর তুমি না চাইলে হয়তো আমি এই ইউনিভার্সিটি কেনো..কোনো ইউনিভার্সিটি তেই জব পাবো না.. যেটা আছে সেটাও হয়তো চলে যাবে…!
কথা গুলো বিনয়ের সুরে বললো…
তিয়াসা: কথাটা মাথায় রাখবেন কেমন…!
দূরন্ত: মাথার থেকে মনে রাখলে বোধহয় বেটার হবে…।
তিয়াসা: হুমমম বেটার টা করায় আপনার জন্য বেটার…,
এদের দুজনের কথার মাঝে বেচারি সেতুর অবস্থা নাজেহাল… কারন হঠাৎ করে অচেনা একজনের সাথে যে তিয়াসা গল্পের থুরি ঝগড়ার ঝুলি খুলে বসবে…আর তাদের মাঝে যে আরো একজন মানুষ আছে তার কোনো হেলদোলই নেই…
সেতু: এই তিয়াসা কি শুরু করলি…চেনা নেই জানা নাই..লোকটার সাথে ঝগড়া শুরু করে দিলি..?
দূরন্ত: হ্যাঁ তোমার ফ্রেন্ড তো মিস ঝগড়ুটে…ঝগড়া করাটায় ওর কাজ…।
সেতু: বাই এনি চান্স আপনারা কি পূর্বপরিচিত..?
দূরন্ত: সেটা মিস ঝুগড়ুটের কাছ থেকে জেনে নিও…।
তিয়াসার দিকে একবার তাকিয়ে মিষ্টি হেসে চলে গেলো দূরন্ত…!
দূরন্ত চলে যেতেই সেতু চোখের ইশারায় তিয়াসা কে জিঙ্গেস করলো ঘটনা কি…?
তিয়াসা: কি হয়েছে…? এটা সেই লুচুর বস্তা বলেছিলাম না.. রিহা আপুর বিয়েতে…।
সেতু: ওহহহ আচ্ছা… খারাপ না…।
তিয়াসা: কি খারাপ না হুমম…?
সেতু: ক্লাসে যাবি নাকি এখানেই ক্লাস করার ইচ্ছে আছে..।
তিয়াসা: চলো যমুনাসেতু ক্লাসে গিয়েই ক্লাস করি…!
ক্লাসে এসে তিয়াসা আর সেতু থার্ড বেঞ্চে বসলো…বসতে না বসতেই সবার মুখে তাশরীফ নামের তারিফ এর বন্যা বয়ে চলছে…সবার কথায় স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে সবার ক্রাশ বয় এই তাশরীফ…কিন্তু এই তাশরীফ টা আবার কে…?
তিয়াসা নিজের কৌতূহল দমিয়ে না রাখতে পেরে… সামনে বেঞ্চের একজনকে জিঙ্গেস করে ফেললো
তিয়াসা: এক্সকিউজ মি এই তাশরীফ কে…?
মেয়েটা: হাই আমি তন্নি… তাশরীফ স্যার..তুমি চেনো না…? এই স্যার তো সবার ক্রাশ.. যে দেখে সেই স্যার এর লুকে ফিদা হয়…।
তিয়াসা: ওহহ আচ্ছা…।
তন্নী: তোমার নামটা কিন্তু বলো নি..?
তিয়াসা: ওহহ হ্যাঁ… আমি তিয়াসা..আর ও হচ্ছে আমার ব্রেস্ট ফ্রেন্ড সেতু…।
.
.
তিয়াসা কোনো কথা না বলে গালে হাত দিয়ে কি যেনো ভাবছে..মনে হচ্ছে বেশ সিরিয়াস কিছু…।
সেতু: আচ্ছা কি এতো ভাবছিস বল তো..।
তিয়াসা: ওই যে সেই ক্রাশ বয় এর কথা..।
সেতু: কোন ক্রাশ বয়..? ওই যে ধাক্কা
সেতু কে পুরো কথা শেষ করতে না দিয়েই…
তিয়াসা: ওই যমুনাসেতু তুই পাগল হয়েছিস না আমি হুমম..?
আমি তো তাশরীফ… স্যার এর কথা ভাবছি..।
তিয়াসা আর সেতুর কথা বলার মাঝে…
তন্নী: এই শুনো একটা গুড নিউজ আছে..মেবি তোমরা জানো না… আজ প্রথম ক্লাসটা নিবে আমাদের সবার ক্রাশ বয় তাশরীফ স্যার…।
তিয়াসা: সত্যিই…
অনেকটা এক্সসাইটেড হয়ে…।
হাতের কুনোই দিয়ে তিয়াসা কে গুতো দিয়ে..
সেতু: তুই এতো এক্সসাইটেড হচ্ছিস কেনো….?
তুই ক্রাশ খেয়েছিস নাকি..?
তিয়াসা: খাইনি তবে খেতে কতোক্ষন…।
.
.
___
.
.
সবার অপেক্ষার অবসান এবার..কারন সবার ক্রাশ বয় তাশরীফ এর এন্ট্রি ক্লাসে… ক্লাসে স্যার আসাতে সবাই দাঁড়িয়ে সালাম দিয়ে অলরেডি বসে পরেছে… সবাই তো ব্যস্ত তাদের ক্রাশ বয় কে দেখতে…
আর তিয়াসা সেই যে দাঁড়িয়েছে তো দাঁড়িয়েই আছে…বসার আর নাম নেই..চোখের যেনো পলকই পরছে না..একদম স্টাচো হয়ে দাঁড়িয়ে আছে..চোখ গুলো স্থীর তাশরীফ এর দিকে….
?? পড়েনা চোখের পলক…
…কি তোমার রূপের ঝলক ??
চলবে….