#স্পর্শের_বাহিরে_তুমি
#আদরিতা_জান্নাত_জুঁই
#part_3
তিয়াসা কিছু বলার আগেই দূরন্ত রেগে গিয়ে তিয়াসাকে সাদের রেলিং এ চেপে ধরলো..
দূরন্ত: কি ভেবেছো তোমার সুন্দর নরম পিঠে কেউ ইচ্ছে করে হাত দিয়েছে…? আর তোমার মতো মেয়ের সাথে এটাই হওয়া উচিত…নিজেকে সব সময় ওপেন করে রাখলে তো যে কেউই এসব করতে চাইবে…।
তিয়াসা: আপনার বড্ডো সাহস…নিজে দোষ করে সেই দোষ আমার উপর চাপাচ্ছেন..? বজ্জাত লোক একটা..
দূরন্ত: সাট আপ… তোমার বড্ডো জেদ..তুমি যেটা করো সেটাই ঠিক তাই না..? তোমার সাথে যে কয়বার আমার আপত্তিকর কিছু ঘটেছে তার জন্য দায়ী তুমি…
তিয়াসা: দোষ করেছেন নিজে আর তার দায় দিচ্ছেন আমাকে…
দূরন্ত: ওকে ফাইন..তোমার পিঠে হাত দিয়েছি এটাই তো দোষ..কিন্তু কেনো দিয়েছি…? সেটা না জেনেই আমাকে তুমি যা নয় তাই বলে দিলে…খারাপ উপাদি টাও দিয়ে দিলে…দোষ করেছি সেটা সুধরে নিচ্ছি..
বলেই তিয়াসাকে গুড়িয়ে ওর জামার চেইনটা খুলে দিল দূরন্ত…
জামার চেইন খুলতেই তিয়াসা দূরন্তর দিকে ঘুরে দাড়ালো..
তিয়াসা: আই উইল কিল ইউ..
দূরন্ত: মহা জামেলা তো.. জামার চেইনটা লাগিয়ে দিলাম তখনও কিল করতে চাইলে..এখনন খুলে দিলাম এখনো কিল করবে…
কথাটা বলেই তিয়াসার গলা থেকে উড়নাটা টান দিয়ে নিয়ে..নিজের শরীরে লাগা কফিটা মুছতে থাকে আরাম করে…
তিয়াসা: আই উইল…
তিয়াসাকে থামিয়ে দিয়ে..
দূরন্ত: কষ্ট করে আর বলতে হবেনা…কিল করবে এটা আমি জানি…।
তোমাকে যে ভাবে দেখি সেভাবেই আমি বার বার খুন হয়ে যায়..
দূরন্তর কথা শুনে তিয়াসা নিজের দিকে তাকিয়ে খেয়াল করলো..তার বুকের উপর উড়নাটা নেই…ওমনিই তিয়াসা দূরন্তর উল্টো দিকে ঘুরে দাড়ালো….কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হলো না..কারন উল্টো দিক ঘুরতে পিঠের কিছু অংশ আবার দূরন্তর চোখে পরলো…।
দূরন্ত গান গাইতে গাইতে চলে গেলো…
? তোকে হেব্বি লাগছে রে…
তোকে হেব্বি লাগছে ?
তিয়াসা এতোক্ষন তবুও নিজেকে সংযত রেখেছিল..কিন্তু দূরন্তর গান শুনে মন চাচ্ছে..দূরন্তকে সাদ থেকে ফেলে দিতে….।
.
.
.
পরেরদিন…রিহার বিয়ে…কিছুক্ষন পর বর যাত্রী চলে আসবে…সবাই রেডি হচ্ছে…কিন্তু তিয়াসা বসে আছে…সামনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পরে আছে..শাড়ী লেহেঙ্গা গাউন..আর সব ড্রেসের সাথে ম্যাচিং অর্নামেন্টস…তিয়াসাকে এভাবে বসে থাকতে দেখে…
তিয়াসার মা [ সারমিন সুলতানা ]: এভাবে বসে আছিস কেনো..রেডি হয়ে নে…।
তিয়াসা: কোন ড্রেসটা পরবো..ভেবে পাচ্ছি না…।
তিয়াসার মা: লেহেঙ্গা পরতে পারিস ভালো লাগবে…।
তিয়াসা: বাই এনি চান্স পেট বের হবার চান্স কি আছে..?
তিয়াসার মা: তুই যে লাফালাফি করতে পারিস…কখন কোথা থেকে পিন খুলে যাবে বুজতেই পারবিনা..।
তিয়াসা: তাহলে গাউন পরবো…এটাই ঠিক আছে আমার জন্য…।
তিয়াসা সুন্দর করে সেজে.. ড্রেসিং এর সামনে দাঁড়িয়ে খুটিয়ে খুটিয়ে দেখছে..কোথাও কোন ভুল আছে কিনা..? উড়নাটা ভালো করে পিন আপ করে নিল দুই সাইটে…।
তিয়াসার কান্ড দেখে…
রিশা: এসব কি প্রি সেফটির জন্য করছিস..?
তিয়াসা: তা নয় তো কি..? তোর ভাই এই বিয়ে বাড়িতে একটা লুচুর পরোটাকে ইনভাইট করছে..সে যখন তখন যেখানে সেখানে গিয়ে যা কিছু করে ফেলে..।
রিশা: আই থিংক লুচুর পরোটা তোকে…
তিয়াসা: ইউ থিংক… হোয়াট…?
রিশা কিছু বলবে তার আগেই সবাই বর এসেছে বর এসেছে বলে হইচয় করা শুরু করলো…
রিশা: তাড়াতাড়ি চল…
বলেই তিয়াসাকে টেনে নিয়ে গেলো…।
বর যাত্রী আসছে সেখানে সবাই ভির জমিয়ে দাঁড়িয়ে আছে…রিশা তিয়াসাকে নিয়ে গেটের সামনে গিয়ে দাড়ালো… হঠাৎই তিয়াসা উড়নায় টান অনুভব করলো…পিছনে তাকিয়ে দূরন্তকে দেখে যেই কিছু বলতে যাবে…তার আগেই তিয়াসার মুখ চেপে ধরে সাইডে নিয়ে গেলো..
দূরন্ত: ইউ লুকিং সো বিউটিফুল…কিন্তু এতো সেজেগুজে সবাই কে দেখানোর কি আছে…?
চলবে…
[ আচ্ছা বিন্দুর কাহিনী নিয়ে সমস্যা হচ্ছে…তাহলে কালকে এক্সট্রা পার্ট দিয়ে বিন্দুর কাহিনী শেষ করে দিবো ]