#স্পর্শের_বাহিরে_তুমি
#আদরিতা_জান্নাত_জুঁই
#part_27 & Last
তিয়াসা নিজের পেটে উপস্থিত মানুষটার স্পর্শ পেয়ে.. সাথে সাথেই সেই হাতটা নিজের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে ধরে ঝ্যাংটা দিয়ে সরিয়ে দিলো…
তিয়াসা: কোন সাহসে আর কোন অধিকারে আপনি আমাকে ধরেছেন?… একটু আগের বলা কথা গুলো এতো তাড়াতাড়ি ভুলে গেলেন…?
তিয়াসা প্রচণ্ড রেগে কথা গুলো বলতে বলতে পিছনে ঘুরলো… আর পিছনে দাড়িয়ে থাকা মানুষটাকে দেখে ভূত দেখার মতো চমকে উঠলো…
তিয়াসার এমন চমকে উঠাতে সেই মানুষটার কোনো পাত্তাই নেই.. তিনি ব্যাস্ত তার হেয়ার স্টাইল নিয়ে..বা হাত দিয়ে চুল ঠিক করছে আর ঠোঁটের কোনে বাকা হাসি…!
আর তিয়াসা তো রীতিমতো কাপছে… কারন সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষটাই হচ্ছে দূরন্ত ইফরাদ নয়…কিন্তু এখানে তো ইফরাদ এর থাকার কথা দূরন্ত এলো কোথা থেকে….?
তিয়াসা স্পেস লেস হয়ে দাঁড়িয়ে আছে… কি আর করার বাধ্য হয়ে…
দূরন্ত: কি হলো ওমন স্টাচু হয়েই থাকবে নাকি সারা রাত..? এতোক্ষনে খুশি হয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরবে তা না…!
কিছু অভিমানী সুরে….।
তিয়াসা: আপনাকে দেখে খুশি হওয়ার কিছু নেই… আর আপনি এখানে কি করছেন…??
দূরন্ত: কেনো আমার জায়গায় ইফরাদকে দেখলে বেশী খুশি হতে বুজি…??
তিয়াসা:খুশি হওয়া না হওয়া ফ্যাক্ট না… এখানে যার থাকার কথা সে কোথায়…??
দূরন্ত: এই তো তোমার সামনেই দাঁড়িয়ে…
তিয়াসা: দেখেন সব কিছু নিয়ে মজা করাটা আপনার হ্যাবিট হয়ে গেছে হয়তো… প্লিজ লিভ…!
দূরন্ত: তুমি কি বলতে চাচ্ছো আমি গিয়ে ইফরাদকে পাঠিয়ে দিবো…??
তিয়াসা: এতো উপকার করতে হবেনা… শুধু আপনি যান তাহলেই হবে…..
কিছুটা জুরে….।
তিয়াসার কথা শেষ হতেই তন্নী রুমে প্রবেশ করলো…তন্নী কে দেখে তিয়াসা একবার তন্নী তো আরেকবার দূরন্তর দিকে তাকাচ্ছে… দুজনকে দেখে তিয়াসা টু হানড্রেড পার্সেন্ট কনফিউস্ড…!
তন্নী: একি করছো ভাবি..? তুমি কি কালকের বিজ্ঞাপনে হেড লাইন হতে চাও নাকি… বাসর রাতে স্বামী কে রুম থেকে বের করে দিয়ে….
তিয়াসা: দেখ তন্নী… তোদের এই চিপ ড্রামা যাস্ট অসহ্য লাগছে আমার কাছে… নতুন করে আবার কোন ড্রামা শুরু করেছিস…??
তন্নী: ওকে ওকে রিলাক্স…বলছি….
তিয়াসা: কি বলবি..? আর কি বা বলার আছে…??
তন্নী: অনেক কিছু কিন্তু সেগুলো ভাইয়া বলবে… প্লিজ তুই শান্ত হয়ে শুনবি এবং সিচুয়েশন বুঝার চেষ্টা করবি….
তিয়াসা: হ্যাঁ সব সিচুয়েশন বুঝতে গিয়ে সিচুয়েশন ডিপেন্ট করে কাজ করতে গিয়ে আজ আমি এখানে…।
তন্নী: তিয়াসা তোর বিয়েটা ইফরাদ ভাইয়া নয়..আমার ভাইয়ার সাথে হয়েছে….।
তন্নীর কথা শুনে তিয়াসার খুব হাসি পেলো… নিজেকে পুতুল মনে হলো… যখন যার যেমন খুশি খেলবে যেমন খুশি বলবে….।
তিয়াসা ফিক করে হেসেই দিলো.. সাথে চোখের পানিও বেড়িয়ে এলো…
তিয়াসার অবস্থাটা বুঝতে পেরে দূরন্ত তিয়াসার হাত ধরে তিয়াসার চোখের পানি মুছে দেয়ার জন্য হাত বাড়াতেই তিয়াসা দু কদম পিছিয়ে গেলো…
এবার তন্নী তিয়াসার দুহাত শক্ত করে ধরে..
তন্নী: আমি তোর অবস্থাটা সত্যিই ফিল করতে পারছি… তোর সাথে যেটা হয়েছে সেগুলো আন এক্সপেক্টেট.. কিন্তু আজকের পর থেকে যা হবে সব তোদের এক্সপেক্টেট… কিছু সমস্যা বা ভুল বুজাবুজির জন্য তোদের দুজনকেই এতোটা সাফার করতে হয়েছে… কিন্তু দেখ সেই তোরা দুজন এক হলি… সব কিছু অপেক্ষা করে..!
তিয়াসা: কি বলছিস এসব.. কিছুই বুঝতে পারছিনা…।
তন্নী: হ্যাঁ ভাইয়া সব এক্সপ্লেইন করবে….
আর বিয়েটা সত্যিই কিন্তু ভাইয়ার সাথে হয়েছে….।
তিয়াসা কে হালকা হাগ করে রুম থেকে চলে গেলো তন্নী…।
তিয়াসা এক গোলকধাঁধায় আটকে আছে… তন্নী কিসব আবোল তাবোল বলে গেলো…
দূরন্ত: এই সত্যিই কিন্তু আমাদের বিয়েটা হয়েছে..তুমি বিশ্বাস করেছো তো…??
তিয়াসা: কিন্তু কি করে…? আর আমার বাড়ির লোক’ই বা রাজি হলো কেনো…??
দূরন্ত: তার মানে রাজি না হলে তুমি খুশি হতে…??
তিয়াসা:জানিনা… কি থেকে কি হয়েছে সব বলেন…।
দূরন্ত তিয়াসার হাত ধরে করিডোরে নিয়ে গেলো…রকিং চেয়ারে বসে তিয়াসা কে কোলে বসানোর প্রস্তুতি নিতে নিতে তিয়াসা পাশে থাকা অন্য একটা চেয়ারে গিয়ে বসলো… দূরন্ত ও উঠে তিয়াসার পাশে গিয়েই বসলো… তিয়াসার হাত দুটো শক্ত করে ধরে…নিজের ঠোঁটের কাছে নিয়ে এসে ডিপলি তিয়াসার হাতের উপর কিস করলো…
তিয়াসার হাত নিজের মুষ্টিবদ্ধ রেখেই দূরন্ত বলতে শুরু করে… তিয়াসার পরিক্ষার আগে থেকে কেনো তিয়াসা কে একটু একটু ইগনোর করা শুরু করেছিল…………..!
.
.
দূরন্ত:তোমার হয়তো মনে আছে বা তুমি হয়তো খেয়াল করেছিলে তখন আমার খাশি টা একটু বেশিই হতো… তোমার সাথে কথা বলার সময় ও এরকম কয়েকবার হয়েছে… তারপর শুধু খাশি নয় বুকেও ব্যাথা করতো… প্রথমে তেমন পাত্তা দেইনি সব কিছু নরমাল ভাবেই নিয়েছি… কিন্তু বুকের ব্যাথাটা বেশি আর প্রায় সময়’ই হতো তখন আমার মনে ভয় ঢুকে গিয়েছিল হয়তো আমার বড় কোনো রোগ হয়েছে….
তিয়াসা: কি বলছেন এসব…? আপনি ঠিক আছেন তো…??
এতোক্ষন তিয়াসার হাত দূরন্ত মুষ্টিবদ্ধ করে রেখেছিল… আর এখন তিয়াসাও নিজের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে দূরন্তর হাত আকড়ে ধরেছে…
আবার বলতে শুরু করে…
দূরন্ত: আর তখন থেকে মানে তোমার পরিক্ষার আগ থেকে জ্বর খাশি প্লাস বুকে ব্যাথা ছিল… সেই কারনে তখন তোমার সাথে কথা কম বলেছি… তুমি বুজতে পারলে তো টেনশন করবে তাই…. আর তারপর একদিন ডক্টর এর কাছে যাই… আমার সব সিম্পটমস বলাতে ডক্টর সাসপেক্ট করে আমার bronchoalveolar carcinoma হয়েছে…. মানে যাকে বলে lungs cancer…. আসলে আমার শরীর খারাপ এর যে সব লক্ষণ ছিল সেখান থেকে কিছু মিলে গিয়েছিল..আর তাতেই ডক্টর সাসপেক্ট করে বলেছিল…এটাও বলেছিল তাদের ধারনা ভুল ও হতে পারে….কয়য়েকটা টেস্ট করে এসেছিলাম সেদিন..যার রিপোর্ট গুলো সাত দিন পর দিবে বলেছিল….আর তারপর থেকেই আমার ব্রেস্ট ফেন্ড নবনীর সাথে তোমাকে দেখিয়ে দেখিয়ে ওর বেশি ক্লোজ হয়েছি…
কিন্তু সেটাই যে আমি মনে প্রানে বিশ্বাস করে নিয়েছিলাম… সব সময় মনে হতো আমার যদি কিছু হয়ে যায়..তাহলে তো তোমার জীবনটা এখানেই থেমে যাবে… আমি তো সেটা চাইনি..আমি তো চেয়েছি আমার তিয়া সব সময় হাসি খুশি থাকবে.. সুখী হবে… সেই আমিই যদি আর কষ্টের কারন হয়ে থাকি সারা জীবন তাহলে মরেও আমি শান্তি পাবোনা… তারপর থেকেই তোমার সাথে মিস বিহেভ করেছি এবং ইগনোর করেছি…আর এতো দিনে তোমার পরিক্ষা ও শেষ হয়ে গিয়েছিল… engaged এর সময় তো এরকমই কথা ছিল তোমার পরিক্ষার শেষেই আমাদের বিয়ে হবে… আর এসব তো আমার বাড়ির কাউকেই জানাইনি… তারা তো তাদের ছেলের বউ কে ঘরে তুলার আকুল হয়ে পরেছিল… আমার বাবা তোমার বাবার সাথে প্রায় বিয়ের ডেট ফিক্সড করে ফেলেছিল… তখন আমি তিসান ভাইয়ার সাথে কথা বলে সাত দিন সময় চাই… সাতদিন পর রিপোর্ট আসবে আর তার উপর ডিপেন্ড করবে আমার উত্তর….
কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে আর কিছুটা কোইনসিডেন্সে সাত দিন পর রিপোর্ট ঠিকি পেলাম হাতে তবে সেটা পজিটিভ… আই মিন ডক্টর যেটা সাসপেক্ট করেছিল সেটাই brochoalveolar carcinoma…।
রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর থেকেই শুধু তোমার আর পরিবারের সবার মুখ ভেসে উঠেছে আমার চোখের সামনে… আমি যেনো তোমার সারাটা জীবন দেখতে পেয়েছিলাম… তাই সেদিন সেখানে দাড়িয়েই তোমাকে রিজেক্ট করে দেই……!
যাতে আমার দেয়া অবহেলা অপমান আর প্রতারণায় আমার প্রতি তোমার মনে ঘৃনা জন্মে… হয়তো ভুলতে তোমার কিছুটা ইজি হবে… আমার এমন প্রতারনায় হয়তো নিজের পরিবারের মান সম্মান এর কথা ভেবে হলেও নিজের জীবনটাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে… ! তাদের কথায় হয়তো নতুন করে জীবন শুরু করবে…..
চোখের পানি মুছে রিপোর্ট হাতে নিয়ে হসপিটাল থেকে বেরিয়ে আসার সময় নবনীর সাথে দেখা…. ও মেডিসিন বিশেজ্ঞ ডক্টর… ওর সাথেও শেয়ার করিনি এসব…. ও আমার চোখ মুখ দেখে আর হাতে রিপোর্ট এর কাগজ দেখে অনেকবার জিঙ্গেস করে… কিন্তু তবুও বলিনি… ও আমার হাত থেকে জোর করে কাগজ নিয়ে রিপোর্ট দেখে… এবং আমাকে ইনসিউর করে যে এরকম অনেক হয় রিপোর্ট এক্সচেঞ্জ হয় কিংবা রিপোর্ট ভুল আসে….
তারপর নবনীর কথা মতো ওর পরিচিত ডক্টর এর কাছে গিয়ে টেস্ট করায়…তুমি যেদিন বিয়ের শপিং করতে যাও সেদিন মানে বিয়ের তিন আগে….
জানো রিপোর্ট এর আগের সারা রাত তাহাজ্জুদ নামাজ পরেছি… আল্লাহ যেনো রিপোর্ট টা ভুল আসে… বিয়ের আগেরদিন রাতে রিপোর্ট নিতে যাই সাথে নবনী ও যাই…আর আমার সাথে মিরাক্কেল ঘটে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে…. আসলে প্রথম টেস্ট ও নেগেটিভ আসে… কিন্তু নেইম কোইনসিডেন্সে রিপোর্ট চেন্জ হয়…আমার আফিসিয়াল নেইম ই যতো প্রবলেমের মূল তাশরীফ…।
রিপোর্ট নেগেটিভ আসাতে এক মুহূর্তের জন্য সারা পৃথিবীর খুশি সব আমার মনে ঢেউ খেলতে শুরু করে… তোমার হাসি মুখটা আমার চোখের সামনে ফুটে উঠে…তখন’ই আবার পৃথিবী টা থমকে গেলো… এটা ভেবেই যে তোমাকে তো আমি হারিয়ে ফেলেছি প্রায়…আর মাত্র ২২-২৩ ঘন্টা তারপরেই তুমি অন্য কারো….কি করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না…নবনী আমার থেকে ফোন নিয়ে ইফরাদ কে এসএমএস করে আর ইমিডিয়েটলি মিট করতে বলে… প্রায় ৪৫ মিনিট নাগাদ ইফরাদ আসে…আমি কিছুই বলতে পারিনি ইফরাদকে যা বলার নবনী বলেছে… আর খুব সহজে ইফরাদ কনভেস হয়ে যায়… ও হয়তো চেয়েছিল আমরা দুজন এক হয়… বা এটা হয়তো বুঝতে পেরেছিল তুমি হয়তো ওকে কখনো ভালোবাসতে পারবেনা..
তারপর সেদিন রাতে সেখানেই তিসান ভাইয়াকে ইফরাদ ফোন করে ডাকে…এবং সব কিছু বুঝিয়ে বলাতে সব মেনে নেই…আর আমার আর তোমার বিয়েটা হবে সেটাই ফাইনাল হয়….
দূরন্তর কথা শেষ হওয়ার আগেই তিয়াসা দূরন্তকে জড়িয়ে ধরে রেখেছে নিজের মাঝে…দূরন্তকে জড়িয়ে ধরেই
তিয়াসা: এতো কিছু হয়ে গেছে আর আমাকে কিছুই জানাননি… আর বিয়ে পরানোর সময় তো আমি কিছুই বুঝতে পারানি সব কথা মাথার উপর দিয়ে গেছে…!
দূরন্ত: হুমমম তাতো যাবেই… আপনি মেন্টাল ডিসটার্ব আর উইক ছিলেন… যার কারনে সব কিছু আপনার ঝাপসা আর ঘোলা লেগেছে… বিয়ে পরানোর কিছু সময় পর তো অজ্ঞান হয়েই পরেছিলে… ভাগ্যিস সেখান নবনী ছিল..তাই সব কিছু ম্যানেজ করা গেছে…!
তিয়াসা দূরন্তকে ছেড়ে দিয়ে উঠে করিডোরের গ্রিল ধরে দাড়িয়ে…
তিয়াসা: আমাকে এসব বললে কি হতো?… তাহলে তো একটা দিন অন্তত কষ্টটা কম হতো…।
দূরন্ত: সারপ্রাইজ…
আজকের পর থেকে কোন কষ্ট তোমাকে স্পর্শ করতে পারবেনা…!
তিয়াসা কে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে…
দূরন্তর হাতের উপর নিজের হাত রেখে…
তিয়াসা: আপনি কি ভেবেছিলেন ইফরাদ ভাইয়ার সাথে বিয়ে হলেও আপনাকে কি কোনো দিন ভুলতে পারতাম..আর না কোনো দিন উনাকে মেনে নিতে পারতাম…।
দূরন্ত: আচ্ছা এসব কথা বলতে বলতে রাতটাই শেষ হয়ে যাবে.. এসব নিয়ে আবার অন্য কোনো কথা বলবনি…
আর তুমি কি আমাকে এখনো আপনি করেই বলবে… কেমন দূরের দূরের লাগে না….?
তিয়াসা: আপনি করে বলতেই ভালো লাগে… তবে ট্রাই করবো তুমি বলার….
দূরন্ত তিয়াসা কে নিজের দিকে ঘুরিয়ে কপালে কিস করে কোলে তুলে রুমের দিকে পা বাড়ালো…।
তিয়াসা কে বেডের উপর বসিয়ে দিয়ে কাবার্ড থেকে একটা শাড়ি বের করে তিয়াসার সামনে দিল…
তিয়াসা জিঙ্গাসা দৃষ্টিতে দূরন্তর দিকে তাকালো…
দূরন্ত: এটা তুমি পরবে…!
তিয়াসা: এখন…??
দূরন্ত: হুমম আমি দেখবো…
তিয়াসা ঝটপট ড্রেস চেন্জ করে চলে আসলো… দূরন্ত বেডের উপর বসে আছে গিয়ে তার পাশে বসলো…
দূরন্ত একটা চিরকুট তিয়াসার হাতে দিল…
তিয়াসা: কি আছে এতে…??
দূরন্ত:আমি পরিনি… এটা ইফরাদ দিয়েছে… পরে দেখো…।
তিয়াসা: আজ নয়.. কাল পরি..?
দূরন্ত: না এখনই পড়ো… আমাদের জীবনে ইফরাদ এর অবদান খুব অপরিসীম… এটা ভুললে চলবেনা.. ও হয়তো তোমাকে আমার থেকে কোনো অংশে কম ভালোবাসতো না…
দূরন্তর কথা অনুযায়ী তিয়াসা চিরকুট খুলে পড়তে লাগলো…
” অনেক অনেক শুভেচ্ছা তোমাদের নতুন জীবনের… আমি সত্যিই চেয়েছিলাম কোনো মিরাক্কেলের মাধ্যমে হলেও তোমরা এক হও…আর সেটাই হয়েছে… আল্লাহ তোমাদের এক হওয়াটা লিখেছিল তাই তোমরা এক হয়েছো…. তোমরা খুব সুখী হবে এটাই দোয়া করি…
আর একটা কথা রাখবে….?
তোমার জন্য কিছু জিনিস কিনেছিলাম… খুব ইচ্ছে ছিল তুমি চোখ বন্ধ করে বসে থাকবে আর আমি নিজের হাতে তোমাকে সব পরিয়ে সাজিয়ে দিবো…. আর আমার প্রতিটা স্পর্শে থাকবে অফুরন্ত ভালোবাসা… আর তোমার চোখ বন্ধ করে থাকাতে হবে আমার প্রতি তোমার অঘাত বিশ্বাস….
কিন্তু সেইসব তো আর সত্যি হওয়ার নেই.. কারন স্পর্শের_বাহিরে_তুমি….
যাইহোক কিছু জিনিস দূরন্তর কাছে দেয়া আছে.. সেগুলো তুমি পরবে কি…? পরলে যাস্ট খুশি হতাম…
অনেক অনেক ভালো থেকো তোমরা…!
চিরকুটটা পরে তিয়াসার কিছুটা মন খারাপ হয়ে গেলো…
দূরন্ত: ডোন্ট বি আপসেট… মন খারাপ করে কি আজকের রাতটা নষ্ট করবে নাকি… অনেক ট্রাভেলের পর এই কাঙ্ক্ষিত রাতটা পেয়েছি… তো লেটস স্টার্ট…
তিয়াসা: কি…??
দূরন্ত: কি আবার বুঝোনা…??
তিয়াসা: না…
বলেই দূরন্তর বুকে মুখ লুকিয়ে ফেললো…
দূরন্ত: খুব ভালোবাসি আমার তিয়াটাকে…
তিয়াসা: আমিও তোমাকে খুবব খুবব ভালোবাসি…..
দূরন্ত তিয়াসা কে কোলে তুলে বেডে শুইয়ে দিলো…
তারপর যা মন চাই দূরন্ত তিয়াসা করুক… তাতে আমাদের কি…..??
……..সমাপ্ত…….
হ্যাপি এন্ডিং… রিডার্সরা এবার হ্যাপি….???
[ রিচেক দিতে পারিনি বানান ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন ]
Khub sundor golpota. …..