স্তব্ধের স্নিগ্ধতা পর্ব-০৮

0
1510

#স্তব্ধের_স্নিগ্ধতা
#মাশফিয়াত_সুইটি(ছদ্মনাম)
পর্ব:০৮

স্তব্ধ স্নিগ্ধতাকে নিয়ে শশুর বাড়ি বেড়াতে এসেছে আসার সময় অরিত্রি শিকদার একবারও তাদের সামনে আসেননি। অচেনা জায়গা হওয়ায় স্তব্ধের ভেতর ছটফট করছে, বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরাঘুরি আর পার্টি করাই তার অভ্যাস সব ছেড়ে এভাবে ঘর বন্দি বিরক্ত লাগছে।

সানজিদ ওয়াজেদ এবং শাহিলী ওয়াজেদ মিলে মেয়ে জামাইকে অনেক আপ্যায়ন করছেন। দুপুরে সবাই খেতে বসেছে শাহিলী ওয়াজেদ খাবার পরিবেশন করছেন স্নিগ্ধতার সবটা স্বপ্ন মনে হচ্ছে বাবার চোখের আড়ালে ছোট থেকে খাবার নিয়ে কম খোটা শুনতে হয়নি তার এমন অনেক বেলা গেছে না খেয়েই কাটিয়েছে আর অবসর সময়ে বাড়িতে খেটেছে। স্তব্ধের প্লেটে একের পর এক পদ দিয়েই যাচ্ছেন শাহিলী ওয়াজেদ স্তব্ধ নিষেধ করার পরেও শুনছেন না এবার স্তব্ধ অসহায় দৃষ্টিতে স্নিগ্ধতার দিকে তাকিয়ে ইশারা দিল। স্তব্ধের ইশারা বুঝতে পেরে স্নিগ্ধতা শাহিলী ওয়াজেদকে আটকিয়ে বলল,

– উনি এত খাবার খেতে পারবেন না মা জামাই আদরের জন্য এখনও অনেক সময় আছে এখন উনাকে ছেড়ে দাও।

স্তব্ধও তাল মিলিয়ে,
– হুম আন্টি এত খাবার খাওয়া আমার পক্ষে পসিবল না।

– তা কি করে হয় বাবা? সব রান্না তোমার জন্যই তো করা এগুলোর কি হবে?

– রেখে দিন রাতে আমি আর স্নিগ্ধ মিলে খেয়ে নিব প্রমিস।

– কিন্তু..

– প্লিজ আন্টি এমন করবেন না আমি আর খেতে পারবো না।

– আচ্ছা বাবা যাও।

স্তব্ধ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে দ্রুত জায়গা ত্যাগ করলো।শাহিলী ওয়াজেদ স্নিগ্ধতার উদ্দেশ্যে বললেন,
– তুই দাড়িয়ে আছিস কেন? যা গিয়ে দেখ জামাইয়ের কি লাগবে।

– যাচ্ছি।

স্নিগ্ধতাও স্তব্ধের কাছে গেল।স্তব্ধ বিছানায় লম্বা হয়ে শুয়ে আছে স্নিগ্ধতা পাশে বসে বলল,
– এভাবে শুয়ে পড়লেন কেন?

– শশুর বাড়ি মনে হয় এমনই হয় একবেলাই খাওয়ার টেবিলে বসিয়ে আমার অবস্থা খারাপ করে দিয়েছে আল্লাহ যানে বাকি সময়গুলো কি অবস্থা করে।

– আপনার কি এত আদর যত্ন ভালো লাগছে না?

– এটা তো আদর যত্নের নামে রীতিমত অত্যাচার তোমার শশুর বাড়িতে কি তোমার সঙ্গে এমন হয়েছে?

– আপনার মা তো আমাকে ছেলের বউ হিসেবে মানেন না কিভাবে আপনার থেকে আমায় আলাদা করবে সেই চিন্তায় মশগুল তাই এসব আমার সঙ্গে হবে কি করে।

– মম তোমায় মেনে নেয়নি তা জানি তাই বলে আমাদের আলাদা করবে এটা ভুল বললে।

– আমি ঠিক বলেছি কিছুদিন পর আপনিও টের পাবেন তবে কে মানলো না মানলো তা যেনে আমার কি আপনি নিজেই কি বিয়েটা মেনে নিয়েছেন? আমাকে নিজের বউ হিসেবে মেনে নিয়েছেন?

স্তব্ধ শোয়া থেকে উঠে বসলো নিচের দিকে দৃষ্টি রেখে বলল,
– আমার পরিস্থিতিটাও তোমার একটু বুঝতে হবে হুট করে আমাদের বিয়ে হয়ে গেছে এর জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না রাগ দেখিয়ে হয়তো প্রথমদিন বলেছিলাম তোমায় বউ হিসেবে মানি না তাই বলে আমাদের সম্পর্ক কি মিথ্যে হয়ে যাবে? তোমার পরিস্থিতিও আমি বুঝেছি তোমাকেও বাধ্য হয়ে আমাকে বিয়ে করতে হয়েছে তাই তোমার উপর আমার কোনো রাগ ক্ষোভ নেই, তবে তুমি কি সম্পর্কটা মেনেছ?

– আমি প্রথম থেকেই বিয়েতে রাজি ছিলাম না কেউ আমার ইচ্ছা অনিচ্ছাকে গুরুত্ব দেয়নি মা জোর করে ভয় দেখিয়ে বিয়েতে বসিয়েছিল বিয়েটা হয়েছে শুধু বর পরিবর্তন হয়ে গেছে কিন্তু যার সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছিল তাকে আমি চিনি না কখনও দেখিনি তাই আপনাকে স্বামী হিসেবে মেনে নিতে আমার কোনো সমস্যা নেই তবে আমি জোর করবো না আপনি যা চাইবেন তাই হবে আপনার সব সিদ্ধান্ত আমি মেনে নিব।

স্নিগ্ধতা ঘর থেকে বেরিয়ে গেল।স্নিগ্ধতার কথায় যে অভিমান মিশে আছে স্তব্ধ বুঝতে পেরেছে তবে কিসের এত অভিমান তাই অজানা।

শাহিলী ওয়াজেদকে কাজে সাহায্য করতে লাগলো স্নিগ্ধতা।শাহিলী ওয়াজেদ মুখ বাঁকিয়ে বললেন,
– মনে হচ্ছে বেশ সুখে আছিস সুখে থাকারই কথা যেই বড়লোক বাড়িতে বিয়ে হয়েছে শাশুড়ি কেমন মেনে নিয়েছে তোকে?

স্নিগ্ধতা কথাগুলো এড়িয়ে যাওয়ার জন্য,
– শুভ কোথায়?

– কাল সন্ধ্যায় মামার বাড়ি গেছে।

– আমি আসবো জেনেও মামার বাড়ি গেছে?

– আমি পাঠিয়েছি আমার ছেলেটার চাকরির ইন্টারভিউ আছে তোর মুখ দেখলে যদি চাকরিটা না হয়! তাই পাঠিয়ে দিয়েছি ওখান থেকেই ইন্টারভিউ দিতে যাবে।

– মা শুভ আমার ভাই হয় আমার মুখ দেখলে ওর চাকরি হবে না এগুলো কি বলো?

– বলেছি না আমায় মা বলে ডাকবি না আমি শুধু শুভর মা।

চোখের পানি আড়াল করে রান্না ঘর থেকে বেরিয়ে গেল স্নিগ্ধতা। সানজিদ ওয়াজেদ স্নিগ্ধতাকে ডাক দিলেন সেও বাবার পাশে গিয়ে বসলো। সানজিদ ওয়াজেদ স্নিগ্ধতার মাথায় হাত বুলিয়ে,

– সব জেনে বুঝে কেন ওই মহিলার কথা কানে নিয়ে মন খারাপ করিস? ওই মহিলার কোনো কথা কানে তুলবি না এখন আর ভয় নেই ওই মহিলা তোর কিছু করতে পারবে না।

– এইভাবে মা’কে সম্বোধন করছো কেন বাবা? আর যাই হোক উনি তোমার স্ত্রী।

– এখানেই তো সব দুর্বলতা, এই দুর্বলতার কারণে সব অন্যায় মেনে নিয়েছি দেখেও না দেখার ভান করেছি এর শাস্তি হয়তো আমাকেও একদিন ভুগতে হবে।

– তোমার উপর আমার কোনো অভিযোগ নেই বাবা।

সানজিদ ওয়াজেদ দীর্ঘশ্বাস ফেলে,
– দোয়া করি তুই যাতে অনেক সুখী হোস সব কষ্ট গুলো যেন ভুলে যাস।
_______________

শশুর বাড়ি একদিন থেকেই এত আদর আপ্যায়নে অস্থির হয়ে গেছে স্তব্ধ আজ বাড়িতে যাবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সানজিদ ওয়াজেদ আজ যেতে নিষেধ করলেও অনেক বাহানা দিয়ে রাজি করিয়েছে।

সবার থেকে বিদায় নিয়ে স্নিগ্ধতা গাড়িতে গিয়ে বসেছে। সানজিদ ওয়াজেদ স্তব্ধকে আলাদা ডাকলেন,স্তব্ধ গিয়ে জিজ্ঞেস করল,
– ডেকেছেন আঙ্কেল?

– হ্যা বাবা তোমার সঙ্গে কথা ছিল।

– জ্বি বলুন।

– আমি জানি আমার মেয়ে তোমার সঙ্গে সুখী হবে তবুও একটা অনুরোধ আমার মেয়েকে দেখে রেখো কখনও কষ্ট পেতে দিও না ছোট থেকে অনেক কষ্ট পেয়েছে তাই নিজের কষ্ট প্রকাশ করতে জানে না সব কষ্ট নিজের মধ্যেই লুকিয়ে রাখে।

– চিন্তা করবেন না আমি আছি তো।

– কখনও ওর হাতটা ছাড়বে না কথা দাও বাবা।

– কথা দিলাম আপনি নিশ্চিন্তে থাকুন।

– এবার শান্তি লাগছে দোয়া করি তোমরা ভালো থাকো।

স্তব্ধ মৃদু হেসে,
– আসি এবার।

– হুম সাবধানে যাও।

– আল্লাহ হাফেজ।

স্তব্ধ গাড়িতে উঠতেই ড্রাইভার গাড়ি ছেড়ে দিল। স্তব্ধ মোবাইলে গেইম খেলছে স্নিগ্ধতা আড়চোখে তাকিয়ে,
– আপনার নাম স্তব্ধ কে রেখেছে বলুন তো? নামের সঙ্গে চরিত্রের কোনো মিল নেই এত ছটফট করেন কেন?

– তোমার শশুর রেখেছে তবে আমার মত শান্ত-শিষ্ঠ ছেলে তুমি কোথাও পাবে না বুঝলে।

– হ্যা তার নমুনা দেখতেই পাচ্ছি।

– বিলিভ মি তোমার হাজব্যান্ড অনেক চুপচাপ।

– ওহ।

– ওহ কোনো উওর হলো? রোমান্টিক ভাবে কথা বলতে পারো না?

– না পারি না আপনি তো পারেন?

– হুম তোমার হাজব্যান্ড অনেক রোমান্টিক দেখবে?

– কি!

– রোমান্টিকতা।

– দেখার ইচ্ছে নেই আমি ভদ্র একটা মেয়ে তাই এসব বুঝি না।

– আমি কি অভদ্র নাকি?

– হ্যা আপনার বাবা আপনার সম্পর্কে সব বলে দিয়েছে আমায় উনার কথা শুনে আপনার কোনো ভদ্র এবং ভালো গুণ আমি জানতে পারিনি।

স্তব্ধ দুই আঙ্গুল দিয়ে কপাল ঘষে,
– এটা কি আমার ড্যড নাকি শত্রু? বউয়ের কাছে মান সম্মান রাখল না।

স্নিগ্ধতা মুচকি মুচকি হাসছে স্তব্ধের কথাগুলো শুনে।
______________

অরিত্রি শিকদারের ভাইয়ের মেয়ের বিয়ে উপলক্ষে শিকদার বাড়ির সবাই সেখানে গিয়েছে।অরিত্রি শিকদার সেদিনের পর থেকে পুরো ঠান্ডা হয়ে গেছে স্নিগ্ধতার ব্যাপারে কোনো কথাই বলেনি এতে রাতুল শিকদার অনেক অবাক হয়েছেন।

বাড়িতে এক প্রকার হৈচৈ লেগে গেছে,অরিত্রি শিকদারের ভাই বরাদ্দকৃত ঘরে তাদের বিশ্রাম নেওয়ার জন্য পাঠিয়েছেন। স্তব্ধ ফ্রেশ হয়ে বিছানায় শুয়ে আছে স্নিগ্ধতাও ফ্রেশ হয়ে আসলো কপাল কুঁচকে তাকিয়ে,

– বিছানার মাঝখানে শুয়ে আছেন কেন?সরুন আমি বসবো।

– এতক্ষণ জার্নি করে এসে বসবে কেন? আসো একটা ঘুম দেই একেবারে বিকেলে উঠবো।

– আপনি ঘুমান।

– আমি তো ঘুমাবোই তবে তোমায় নিয়ে।

– মগের মুল্লুক পেয়েছেন।

স্তব্ধ মুচকি হেসে স্নিগ্ধতাকে হেচকা টান দিয়ে নিজের সঙ্গে আবদ্ধ করে ফেললো আকষ্মিক এমন ঘটনায় স্নিগ্ধতা অনেকটা হকচকিয়ে গেছে। নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করেও পারেনি স্তব্ধ তাকে শক্ত করে ধরে আছে।স্তব্ধ চোখ বন্ধ করে বলল,

– এমন নড়াচড়া করে ক্লান্ত হওয়ার কি দরকার আমি না চাইলে এখান থেকে উঠতে পারবে না তাই নিজেও ঘুমাও আমাকেও ঘুমাতে দাও।

– রাতারাতি পাল্টে গেলেন কিভাবে?

– যেভাবে রাতারাতি ব্যাচেলর থেকে বিবাহিত হয়ে গেছিলাম সেভাবে।

স্নিগ্ধতা চুপসে গেল নড়াচড়াও বন্ধ করে দিয়েছে এছাড়া কোনো উপায় নেই স্তব্ধ এত সহজে ছাড়বেও না।

‘মিলির হবু জামাই কি করে? কোথায় থাকে জানা হলো না।’

– ছেলে এডভোকেট উওরা থাকে, ছেলে-মেয়ে দু’জন দু’জনকে পছন্দ করে আমাদেরও ছেলেকে ভালো লেগেছে তাই কথা-বার্তা বলে বিয়ে ঠিক করলাম।

– তাহলে তো ভালোই।

– স্তব্ধের বউকে এখনও মেনে নিচ্ছো না কেন অরিত্রি?

– এ ব্যাপারে কোনো প্রশ্ন করো না ভাবী।

অরিত্রি শিকদারের ভাবী এ বিষয়ে আর কথা বললেন না। ভাইয়ের থেকে বয়সে ছোট হলেও সবাই অরিত্রি শিকদার সম্পর্কে অবগত যার কারণে কেউ অরিত্রি শিকদারের উপরে তেমন একটা কথা বলে না।
______________

চারিদিকে অন্ধকার ঠাণ্ডা শীতল বাতাস বইছে বিয়ে উপলক্ষে সবাই একসঙ্গে হয়েছে তাই বড়রা বাদে বাকি সবাই ছাদে বসেছে আড্ডা দেওয়ার জন্য।স্নিগ্ধতা সবার সঙ্গে যোগ দিতে রাজি হয়নি মিলি জোরপূর্বক স্নিগ্ধতাকে ছাদে নিয়ে বসিয়ে দিল। মিলির সঙ্গে পরিচয় পর্ব শেষ কিন্তু বাকিদের মুখগুলো স্নিগ্ধতার কাছে অচেনা আশেপাশে চোখ বুলিয়ে স্তব্ধকেও দেখতে পেল না। মিলি স্নিগ্ধতার কানের কাছে মুখ নিয়ে বলল,

– ভাইয়া তার বন্ধু এবং স্তব্ধ ভাইয়া একসঙ্গে ঘুরতে বের হয়েছে আপাতত তুমি আমাদের সঙ্গেই গল্প করো ভাবী।

স্নিগ্ধতা কিছুটা লজ্জা পেয়ে গেল মনে মনে অভিমান ও হচ্ছে স্তব্ধ একবারও বলে গেল না পরক্ষনে নিজের মনকে শান্তনা দিল,’এতদিন পর পরিচিত জায়গায় এসেছে তাই হয়তো বলতে ভুলে গেছে।’

মিলিরা তিন ভাই বোন, মিলির বড় ভাই বিবাহিত মিলি মেজো আর ছোট আরেকটা ভাই আছে যে এবার কলেজে ভর্তি হয়েছে। মিলি স্নিগ্ধতার সঙ্গে সবার পরিচয় করে দিল, প্রথমে লজ্জা লাগলেও সবার সঙ্গে কিছুক্ষণ মিশে স্নিগ্ধতার ভালোই লাগছে।

মিলির মা সবাইকে খাওয়ার জন্য ডেকে গেছে তাই যে যার মতো নিচে নেমে গেল। বিয়ে উপলক্ষে বাড়িতে অনেক অতিথির ভিড় তাই যার যেখানে ইচ্ছে সেখানে খেতে পারবে।মিলি নিজের এবং স্নিগ্ধতার খাবার নিয়ে নিজেদের ঘরে চলে আসলো। দু’জনে খাবার খেয়ে বসে আছে,মিলি বায়না ধরে বলল,

– স্নিগ্ধ ভাবী আজ তুমি আমার সঙ্গে ঘুমাবে।

স্নিগ্ধতা ব্রু জোড়া কুঁচকে,
– স্নিগ্ধ বলে তো তোমার ভাই আমায় ডাকে।

– ভাইয়া তোমায় ভালোবেসে ডাকে তাই আমিও এবার থেকে তোমায় স্নিগ্ধ ভাবী বলেই ডাকবো।

স্নিগ্ধতা মৃদু হাসলো কিন্তু মনে মনে একটা কথাই আওড়াচ্ছে,’সত্যিই কি উনি আমায় ভালোবাসে?’

মিলি স্নিগ্ধতাকে ধাক্কা দিয়ে,
– ভাবী তোমাকে কিন্তু আজ আমার সঙ্গে থাকতে হবে আমরা অনেক গল্প করবো।

– তোমার ভাইয়াকে বলে আসি।

– ভাইয়াকে আমি বলেছি।

– কি বলল?

– রাজি হয়েছে।

স্নিগ্ধতা মন খারাপ করে বলল,
– ওহ।

চলবে……

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে