স্তব্ধের স্নিগ্ধতা পর্ব-০৬

0
1508

#স্তব্ধের_স্নিগ্ধতা
#মাশফিয়াত_সুইটি(ছদ্মনাম)
পর্ব:০৬

‘তুই ভুল বুঝছিস রুশি এটা যাস্ট একটা এক্সিডেন্ট স্তব্ধের বিয়ে নাতাশার সঙ্গেই হবে আমি শিঘ্রই ওই মেয়েটার সঙ্গে স্তব্ধের ডিভোর্স করাবো।’

– যা করার কর তুই আমি এই সপ্তাহের মধ্যেই দেশে ফিরছি।

কলটা কেটে গেল,অরিত্রি শিকদার চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। চিৎকার করে আরিয়াকে ডাকতেই আরিয়া চলে আসলো। মায়ের পাশে বসে,
– কি হয়েছে মম?

– রুশি ফোন করেছিল সবকিছু কিভাবে যেন জেনে গেছে।

– সবকিছু জেনেছে!কি জেনেছে?

– স্তব্ধের বিয়ের কথা জেনে গেছে।

– তাতে কি হয়েছে?

– কি হয়েছে মানে? বুঝতে পারছিস না রুশিকে কথা দিয়েছিলাম নাতাশার সঙ্গে স্তব্ধের বিয়ে দিব এখন স্তব্ধের বিয়ে হয়ে গেছে আজই উকিলের সঙ্গে কথা বলতে হবে যা রেডি হয়ে আয় আমরা এখনি বের হব।

– মম কাউকে না জানিয়ে এসব করা ঠিক হবে না।

– তোর কাছ থেকে ঠিক ভুল শিখতে হবে নাকি? যা বলছি তাই কর।

আরিয়া মাথা নাড়িয়ে রেডি হতে চলে গেল।রেডি হয়ে মা-মেয়ে দু’জনে বেরিয়ে গেল নৌসিনকে রাহেলা বেগমের কাছে দিয়ে গেছে।

স্নিগ্ধতা বিছানায় হেলান দিয়ে বসে আছে স্তব্ধ সোফায় বসে মোবাইল টিপছে। গতকাল রাতে আরিয়া আর স্তব্ধ মিলে স্নিগ্ধতার মাথায় পানি ঢেলেছে ওষুধ খাইয়েছে জ্বরের ঘোরেই,এখন তেমন জ্বর নেই তবে স্তব্ধ বিছানা থেকে নামতে নিষেধ করেছে। স্নিগ্ধতা করুন দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল,

– আমি এখন সুস্থ তবুও কেন ঘর থেকে বের হতে দিচ্ছেন না?

– পুরোপুরি সুস্থ নও বিশ্রাম করো।

– এভাবে বসে থাকলে আরও অসুস্থ হয়ে যাব।

– যেতে দিতে পারি একটা শর্তে।

– কি শর্ত?

– আমার প্রশ্নের সঠিক জবাব দিতে হবে।

– ঠিক আছে বলুন।

মোবাইল রেখে স্নিগ্ধতার কাছাকাছি এসে বসে স্তব্ধ জানতে চাইল,
– আদ্রিককে তুমি কিভাবে চেনো?

স্নিগ্ধতার হাস্যজ্জল মুখটা মলিন হয়ে গেল।ক্ষীণ স্বরে বলল,
– আমরা এক ভার্সিটিতে পড়তাম উনি আমার দুই ব্যাচ সিনিয়র ছিলেন ওখান থেকেই পরিচয়।

স্তব্ধের যেন এই উওরটা পছন্দ হলো না কপাল কুঁচকে বলল,
– ওহ তবে তোমার মুখ দেখে কেন জানি মনে হচ্ছে অন্য কোনো ব্যাপার আছে।

– অন্য কি থাকবে?

– না কিছু না সত্যি বললে ভালো।

– আপনার সঙ্গে কিভাবে পরিচয়?

– ড্যড এর ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বন্ধুর ছেলে।

– ওহ। এবার আমি যাই?

– কোথায় যাবে?

– নিচে।

– নিচে কি কাজ?

স্নিগ্ধতা করুন চোখে তাকালো স্তব্ধ দৃষ্টি সরিয়ে,
– যাও।

স্নিগ্ধতা দৌড়ে চলে গেল স্তব্ধ পেছন থেকে বলল,
– আস্তে যাও পড়ে যাবে তো….

স্নিগ্ধতা রাহেলা বেগমের ঘরে এসে বিছানায় বসে পড়লো। রাহেলা বেগম ছোট নৌসিনের সঙ্গে খেলছিলেন,নৌসিন স্নিগ্ধতাকে দেখতেই দৌড়ে গিয়ে গলা জড়িয়ে ধরে বলল,

– মামী কুতায় গেথিলে?

– ঘরে ছিলাম নৌসি মামণি।

– আসো আমরা খেলি।

স্নিগ্ধতাও নৌসিনের সঙ্গে খেলতে লাগলো, তারপর খেলা শেষে নৌসিনকে গোসল করিয়ে খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিলো। রাহেলা বেগম বললেন,

– শুনলাম তোর নাকি জ্বর এসেছিল?

– হুম এখন আর নেই আমি সুস্থ।

– দাদুভাই সেবা যত্ন করেছে নাকি?

– হুম আপুও ছিল।
_______________

‘মি. শাহিল দু-তিন দিনের মধ্যেই আমার ছেলের ডিভোর্সটা করাতে চাই প্লিজ আপনি তাড়াতাড়ি এর ব্যবস্থা করুন যত টাকা লাগে দিব।’

– আপনার ছেলে আর ছেলের বউকে এখানে আসতে হবে তাদের সঙ্গে কথা না বলে কিভাবে কি।

– কারো সঙ্গে কথা বলার দরকার নেই আমি যা বলবো আমার ছেলে তাই শুনবে।

– কিন্তু..

একটা টাকার বান্ড্যালে মি.শাহিলের দিকে এগিয়ে দিয়ে অরিত্রি শিকদার বললেন,
– ডিভোর্স পেপার তৈরি করে রাখবেন আমি লোক পাঠিয়ে দিব নেওয়ার জন্য সাইন হয়ে গেলে বাদ বাকি কাজ আপনার।

অরিত্রি শিকদার মি.শাহিলের অফিস থেকে বেরিয়ে গেলেন আরিয়াও সাথে ছিল। নিজের মা’কে আজ অচেনা লাগছে তার কাছে। গাড়ির কাছে আসতেই আরিয়া বলল,

– মম তুমি বাড়িতে চলে যাও আমার একটা কাজ আছে কাজটা করে চলে আসব।

– কি কাজ? আমিও যাই চল।

– না মম তোমায় কষ্ট করে যেতে হবে না তুমি বাড়িতে যাও।

– আচ্ছা সাবধানে যাস।

অরিত্রি শিকদারের গাড়ি চোখের আড়াল হতেই আরিয়া তার গন্তব্যে চলে গেল।

‘স্টুপিড কোথাকার সামান্য একটা কাজও করতে পারো না শুধু বলেছিলাম স্নিগ্ধতাকে বিয়ে করতে কিন্তু তাও করতে পারলে না কি দরকার ছিল বিয়ের আগের দিন আকাম করতে?’

– আমার কাজ সম্পর্কে পুলিশ জানলো কিভাবে এটাই তো বুঝতে পারছি না স্যার।কত বড় বড় ডিল করলাম কাক পক্ষীও টের পেল না আর এই ছোট একটা কাজের জন্য গেলাম খবর পেয়ে গেল।

– সত্যিই তো পুলিশ জানলো কিভাবে? কে জানালো?

– স্যার আমার মনে হয় কি জানেন।

– কি?

– সব চাল ওই স্নিগ্ধতার, মেয়েটা অনেক চালাক ওই এসব করেছে।

– স্নিগ্ধতা এসব কখনও করতে পারবে না ওর এতটা সাহস নেই এর পেছনে অন্য কারো হাত আছে।

– সে কে স্যার?

– স্টুপিড আমি জানলে কি চুপ করে বসে থাকতাম? বিয়ে যখন হলোই অন্য কারো সঙ্গে হতে পারতো তা না হয়ে স্তব্ধ শিকদারের সঙ্গে কেন বিয়ে হতে হলো।

– স্নিগ্ধতাকে কেউ বাঁচাতে চাইছে।

– হুম তুমি তোমার মুখ বন্ধ রাখো তোমাকে দেশের বাইরে পাঠানোর ব্যবস্থা করে ফেলেছি ভোরের আলো ফুটার পর যেন এই দেশে দেখতে না পাই।

– আচ্ছা স্যার আসি তাহলে।

ভাঙাচোরা গোডাউন থেকে বেরিয়ে গেল রিয়াদ।যাকে স্যার বলে সম্বোধন করছিল সেই মাস্ক পরিহিত ব্যক্তিটিও কিছুক্ষণ পর চলে গেল।
_____________

‘আরিয়া তুই এখানে! কোনো কিছু হয়েছে নাকি?’

– কি হয়নি তাই বলো ড্যড।

– কেন?

– মম আজ উকিলের কাছে গেছিল ভাই আর স্নিগ্ধতার ডিভোর্স করাতে এডভান্স টাকাও দিয়ে এসেছে।

– কিহ!

– আমাকে নিয়ে গেছিল সাথে করে,মমকে দেখে বুঝতে পারলাম ওদের ডিভোর্স করিয়েই ছাড়বে দু’দিনের মধ্যে।

আরিয়া সোজা অফিসে চলে এসেছে রাতুল শিকদারের সঙ্গে দেখা করতে।আরিয়াকে আলাদা ভাবে রাতুল শিকদার বুঝিয়েছেন যার কারণে আরিয়াও স্নিগ্ধতাকে মেনে নিয়েছে। রাতুল শিকদার কিছুক্ষণ ভেবে বললেন,

– এত কাঠ খড় পুড়িয়ে তোর ভাইয়ের বিয়ে দিলাম আর তোর মম কিনা এত সহজে ডিভোর্স করিয়ে দিবে? তোর মম এখনও আমায় চিনতে পারেনি তুই ওই উকিলের ঠিকানাটা আমায় দিয়ে যাস তোর মম যেন জানতে না পেরে তুই যে আমাকে সব বলেছিস।

– ওকেহ ড্যড কোনো প্রয়োজন হলে বলো আমি আছি।

– তোর প্রয়োজন হবে খুব শিঘ্রই।

– প্রথম প্লান কি?

– তোর ভাইকে আমার বউমার প্রেমে ফেলতে হবে তারপর যা করার তোর ভাই করে নিবে ছেলেকে চিনি তো।

– তাহলে তো অনেক খাটতে হবে।

– তা তো হবেই বাড়িতে যা এবার তোর মম আবার চিন্তা করবে।

– আসছি আমি বাড়িতে দেখা হবে।

– হুম।

রাতুল শিকদার রহস্যের হাসি হাসলেন। একজনকে ফোন করে গাড়ি বের করতে বলে অফিস থেকে বেরিয়ে গেলেন।

আরিয়া বাড়ি পৌঁছে গেছে, বাড়িতে এসে ঘুমন্ত নৌসিনকে দেখে স্বস্তি পেল।স্নিগ্ধতা আরিয়ার খাবার ঘরেই দিয়ে গেছে। স্তব্ধ আজ অফিসে যায়নি কারণটা মূলত স্নিগ্ধতা।স্নিগ্ধতার জ্বর এসেছিল বলে অনেক চিন্তায় পড়ে গেছিল তাই বাড়ি থেকে বের হয়নি অথচ তাকেই এখন দেখতে পাচ্ছে না। স্তব্ধের রাগ ক্রমশ বাড়ছে এভাবে বাড়িতে একা একা বসে থাকতে বিরক্ত লাগছে বিড়বিড় করে বলছে, ‘যার জন্য বাড়ির বাইরে গেলাম না সেই এখন ঘরের বাইরে কতবড় সাহস আমায় ইগনোর করছে স্তব্ধ শিকদারকে ইগনোর করছে এর শোধ আমি তুলবোই।’

স্তব্ধ গিয়ে তৈরি হয়ে নিলো স্নিগ্ধতা ঘরে এসে স্তব্ধকে এভাবে দেখে,
– কোথাও যাচ্ছেন আপনি?

স্তব্ধ শুনেও না শোনার ভান ধরে রইলো।স্নিগ্ধতা স্তব্ধের কাছাকাছি গিয়ে দাঁড়িয়ে,
– কিছু বলছেন না কেন কোথাও কি যাচ্ছেন?

– হুম।

– আপনি তো আজ কোথাও যাবেন না বলেছিলেন।

– এখন যাব একা একা ভালো লাগছে না।

– একা কোথায় এই যে আমি আছি।

স্তব্ধ ব্রু কুঁচকে স্নিগ্ধতাকে ভালো করে দেখে নিয়ে বলল,
– তোমাকে দরকার নেই যাও গিয়ে দিদান আর নৌসির কাছে বসে থাকো ওরাই তোমার সব।

স্তব্ধ ওয়ালেট নিয়ে দ্রুত বেরিয়ে গেল স্নিগ্ধতা তার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে অবাক দৃষ্টিতে,
– আমাকে রাগ দেখালো কেন আমি কি করলাম?
.
.
রাত হয়ে গেছে স্তব্ধ বাদে সবাই খাবার টেবিলে বসে আছে।স্তব্ধ এখনও বাড়িতে ফেরেনি, রাতুল শিকদার অরিত্রি শিকদারের দিকে তাকিয়ে,

– তোমার ছেলে কি আবারো রাত করে বাড়ি ফেরা শুরু করছে নাকি? এখনও বাড়িতে ফিরলো না অফিসেও গেল না।

– আমি কি করে জানবো ছেলের ব্যাপারে সব সিদ্ধান্ত তুমিই তো নাও।

– এখন তো কেউ কিছুই জানবে না।

সবাই চুপচাপ খাবার খেয়ে নিজের ঘরে চলে গেল।স্নিগ্ধতার অনেক চিন্তা হচ্ছে স্তব্ধের জন্য তাই সে আর খেলো না স্তব্ধের অপেক্ষায় বসে রইল। এক ঘন্টা বসে থাকার পরেও স্তব্ধের ফেরার নাম নেই সালেহা এসে বলল,

– তুমি খাইয়া নেও মা স্তব্ধ বাবা খেয়েই আসবো।

– অপেক্ষা করতে তো সমস্যা নেই।

– স্তব্ধ বাবা বিয়ার আগেও অনেক দেরি কইরা বাড়ি ফিরত রাতে খাইয়া আসতো তাই কইলাম।

– ওহ আমি ঘরে গেলাম তাহলে।

– খাইবানা?

– না।

স্নিগ্ধতা না খেয়েই ঘরে চলে গেছে এমন দুয়েক বেলা না খেয়ে থাকার অভ্যাস আছে তার এমন অনেক দিন গেছে কোনো কাজে ভুল হলে শাহিলী ওয়াজেদ তাকে খেতে দেয়নি। স্তব্ধের ঘরে ছোট খাটো একটা বুকসেল্ফ আছে সেখান থেকে একটা বই নিয়ে পড়া শুরু করলো।

সন্ধ্যা পর্যন্ত বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরাঘুরি করে রাতে ক্লাবে গিয়ে ইচ্ছে মতো ড্রিংকস করেছে স্তব্ধ। আগেও খেতো তবে বিয়ের পর স্নিগ্ধতার কথা ভেবে খায়নি কিন্তু আজ স্নিগ্ধতার উপর রাগ করেই আবারো খেলো কেন এত রাগ নিজেরই অজানা।

বাড়িতে ফিরেছে স্তব্ধ দরজা খুলে দিয়েছে সালেহা।স্তব্ধ চুপচাপ এলোমেলো পায়ে নিজের ঘরে চলে গেল সালেহা বুঝতে পেরে দীর্ঘশ্বাস ফেলে চলে গেলেন।

এখনও বই পড়ছে স্নিগ্ধতা ঘুম গুলো হারিয়ে গেছে।স্নিগ্ধতা ছোট থেকেই বই প্রেমি বই পেলে আর কোনদিকে খেয়াল থাকে না।স্তব্ধ ঘরে এসে জোরে দরজা আটকে দিতেই স্নিগ্ধতা কিছুটা ভয় পেয়ে গেল বুকে থু থু দিয়ে আবারো বইয়ের দিকে তাকালো তবে মনোযোগ স্তব্ধের দিকে আড়চোখে স্তব্ধের কর্মকাণ্ড দেখছে। স্তব্ধ এলোমেলো পায়ে বিছানায় এসে মাথা নিচু করে বসে আছে একটু পর স্নিগ্ধতার দিকে চোখ গেল তার। দৃষ্টি সরিয়ে বিছানায় ঢপাস করে শুয়ে পড়ল,স্নিগ্ধতা বইটা রেখে স্তব্ধকে পরখ করে দেখে নিলো।

– এভাবে শুয়ে পড়লেন কেন? ফ্রেশ হয়ে আসুন যান।

স্তব্ধ চোখ মেলে তাকাল স্নিগ্ধতার দিকে তারপর আচমকা স্নিগ্ধতাকে টেনে নিজের পাশে শুইয়ে দিয়ে স্নিগ্ধতার মুখের দিকে ঝুঁকে আছে।স্নিগ্ধতা চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে নিজেকে ছাড়ানোর জন্য ছটফট করছে কিন্তু স্তব্ধের থেকে নিজেকে ছাড়াতে পারছে না।স্তব্ধ নেশালো কন্ঠে বলল,

– স্নিগ্ধ বেইবি নাড়াচাড়া করো না একটু দেখতে দাও তো।

– কি!

– তোমাকে, তুমি এত সুন্দর কেন? জানো তোমার নামের সঙ্গে তোমার মুখশ্রীর অনেক মিল আছে।

– ওহ।

– তুমি একটা চোর।

– কিহ!আমি চোর? কি চুরি করেছি?

– আমার মন চুরি করেছ।

– এ্যা!

– হু তোমাকে দেখার পর থেকে আমার মন আর আমার কথা শুনে না তুমি আগে কেন আসলে না?

– সত্যি করে বলুন তো কি খেয়ে এসেছেন?

– ইয়াম্মি জুস খেয়েছি।

– জুস খেলে মানুষ উল্টো পাল্টা বকে?

– তুমি খাবে ইয়াম্মি জুস? জুসটা অনেক টেস্টি, আসো তোমাকে উম্মাহ দেই।

– একদম না মুখে এত গন্ধ কেন কতদিন ব্রাশ করেন না?

– উম পাঁচদিন।

– আবারো ভুল কথা বলছে সরুন তো।

– সরলেই তুমি পালিয়ে যাবে আমায় রেখে।

– যাব না।

চলবে……..

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে