#স্তব্ধের_স্নিগ্ধতা
#মাশফিয়াত_সুইটি(ছদ্মনাম)
পর্ব:০৫
‘গতকাল বলেছিলাম অস্বীকার করেছ আজ কি বলবে? আজ প্রমাণ তোমার সামনে তুমি নিজেই আমায় জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়েছ।
– আমি ইচ্ছে করে ধরিনি।
– আবার মিথ্যে বলছো, ওয়েট তুমি কি লজ্জা পাচ্ছো? শুনো আমাকে তোমার জড়িয়ে ধরার ইচ্ছে হলে বলতেই পারতে আমি নিজে তোমায় জড়িয়ে ধরতে হেল্প করতাম কিন্তু তুমি এভাবে লুকিয়ে কেন ধরলে? এখন আমি সবাইকে মুখ দেখাবো কি করে একটা মেয়ে আমার অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে রাতের আঁধারে জড়িয়ে ধরে শুয়ে ছিল কি লজ্জা কি লজ্জা।
স্তব্ধ কপাল চাপড়াতে চাপড়াতে ওয়াশরুমে ঢুকে গেল স্নিগ্ধতা হা করে এখনও ওইদিকে তাকিয়ে আছে আর ভাবছে কিছুক্ষণ আগের কথা। সকালে স্তব্ধের ঘুম আগে ভেঙেছিল ঘুম ভাঙতেই স্নিগ্ধতার এক হাত নিজের উপর দেখে চেঁচিয়ে উঠে স্তব্ধ। স্তব্ধের চেঁচামেচির শব্দে স্নিগ্ধতা জেগে যায় আর তারপরেই কথাগুলো বলে।
স্নিগ্ধতা গালে হাত দিয়ে বসে বিড়বিড় করছে,’কি নির্লজ্জ ড্রামাবাজ ছেলে কি বলে গেল আমি উনার সুযোগ খুঁজছি কাউকে লজ্জায় মুখ দেখাতে পারবে না ভুলে না হয় হাতটা চলে গেছিল তাই বলে এসব বলবে এছাড়া আমি তো তার বউ নাকি।’
– আমায় কি বকা দিচ্ছো?
স্নিগ্ধতা ঘাবড়ে গিয়ে তাকাতেই স্তব্ধকে দেখতে পেল।লাল টি-শার্ট কালো টাউজার পরিহিত,চুল গুলো ভেজা কপালে পড়ে আছে হাতে সাদা টাওয়াল।স্নিগ্ধতা একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে স্তব্ধের দিকে,স্তব্ধ টাওয়ালটা স্নিগ্ধতার দিকে ছুড়ে দিয়ে,
– আমাকে হট লাগছে তাই না?
স্নিগ্ধতা টাওয়াল হাতে নিয়ে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে,
– এ্যা!
– এ্যা নয় হ্যা যাও গোসল করে এসো।
– গোসল কেন করবো?
– শরীরের জীবাণুগুলোকে দূর করতে হবে না।
– জীবাণু!
– হুম দ্রুত যাও।
স্নিগ্ধতা মাথা নাড়িয়ে গোসল করতে চলে গেল।স্তব্ধ মাথা মুছতে মুছতে আনমনে বলল,’একটা মেয়ে এমন শান্ত শিষ্ঠ কিভাবে হয়?এত কিছু বললাম একটুও ঝগড়া করলো না ইন্টারেস্টিং গার্ল।’
_______________
ব্লাক প্যান্ট,ব্লাক ব্লেজার হুয়াইট শার্ট আর গলায় টাই পড়ে অফিসে যাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে গেছে স্তব্ধ। নাস্তা করে রাতুল শিকদারের সঙ্গে অফিসে বের হয়ে গেল। স্তব্ধকে সবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে কাজ বুঝিয়ে দিয়ে নিজের কেবিনে চলে গেলেন রাতুল শিকদার।
‘আপু ভেতরে আসবো?
– হুম এসো।
স্নিগ্ধতা চায়ের কাপ আরিয়ার দিকে এগিয়ে দিয়ে,
– আপু চা টা খেয়ে নিন।
– আমি তো চা আনতে বলিনি।
– সালেহা আন্টির কাছে শুনলাম আপনার নাকি মাথা ধরেছে তাই কড়া করে চা বানিয়ে আনলাম খেলেই কমে যাবে।
– সাংসারিক মেয়ে।
স্নিগ্ধতা ট্রে নিয়ে চলে যাচ্ছিল পেছন থেকে আরিয়া ডাক দিয়ে,
– কোথায় যাচ্ছো?
– নিচে।
– কোনো কাজ আছে?
– না।
– তাহলে বসো তোমার সঙ্গে ভালো করে কথাই হলো না আমার ভাইয়ের বউ বলে কথা তোমার সঙ্গে ভালো করে পরিচিত হই।
স্নিগ্ধতা মাথা নিচু করে আরিয়ার পাশে গিয়ে বসলো। আরিয়া জানতে চাইল,
– তুমি কি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছ?
– বিবিএ
– কোন বিষয়ে?
– ফাইন্যান্স।
– ভালো তো।
কিছুক্ষণ কথা বলে স্নিগ্ধতা চলে গেল।স্নিগ্ধতা এমনিতে অনেক শান্ত শিষ্ট মেয়ে কেউ কিছু না বললে সহজে কথা বলে না।
______________
রাতুল শিকদারকে বলে অফিস থেকে বেরিয়ে যায় স্তব্ধ। হাতে অনেকগুলো শপিং ব্যাগ নিয়ে বিকেলে বাড়িতে ঢুকলো। আশেপাশে ভালো করে তাকিয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে,’কেউ নেই দেখছি বাঁচা গেল।’
নিজের ঘরের দিকে যাওয়া ধরলো স্তব্ধ পেছন থেকে অরিত্রি শিকদার ডাক দিয়ে,
– কিরে তোর হাতে ব্যাগ গুলো কিসের?
স্তব্ধ শুকনো ঢুক গিলে মেকি হেসে,
– শপিং ব্যাগ।
– তা তো জানি কিন্তু কার জন্য এত শপিং করেছিস?
স্তব্ধ কিছু একটা ভেবে মনে মন বলছে,’সত্যিটা বললেই মম ক্ষেপে যাবে।’
– চুপ করে আছিস কেন?
– আমার জন্যই করেছি এখন কি নিজের জন্যও কিছু কিনতে পারবো না মম?
– পারবি না কেন আমি এমনিতেই জিজ্ঞেস করলাম আচ্ছা ঘরে যা।
– হু।
স্তব্ধ ঘরে এসে বিছানায় ব্যাগ গুলো রেখে ফ্রেশ হতে চলে গেল।কয়েক মিনিট পর ঘরে এসে চারিদিকে চোখ বুলিয়ে ডাকা শুরু করলো,
– স্নিগ্ধ…..স্নিগ্ধ……
স্নিগ্ধতা বেলকুনি থেকে বের হয়ে,
– জ্বি বলুন।
স্তব্ধ কপাল কুঁচকে,
– তুমি এতক্ষণ বেলকুনিতে ছিলে অথচ ঘরে আমি এলাম টের পাওনি সত্যি করে বলোতো তোমার মাথায় কি সমস্যা আছে?
– এমন করে বলছেন কেন!
– এই ব্যাগ গুলোতে কিছু শাড়ি আর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আছে সব তোমার যাও গুছিয়ে রাখো।
স্নিগ্ধতা সব গুছাতে লাগলো স্তব্ধ গালে হাত দিয়ে স্নিগ্ধতার দিকে তাকিয়ে আছে। গুছানো শেষ হতে স্তব্ধ আবারো ডাক দিয়ে,
– স্নিগ্ধ শুনো।
– বলুন।
আরেকটা ব্যাগ এগিয়ে দিয়ে,
– এই শাড়ি আর গহনা পড়ে সন্ধ্যায় রেডি হয়ে থেকো আমরা বাইরে যাব।
– বাইরে কেন যাব?
– পার্টি আছে আমার ফ্রেন্ডরা তোমায় দেখতে চায়।
– আচ্ছা।
স্নিগ্ধতা ব্যাগটা আলাদা রেখে রাহেলা বেগমের ঘরের দিকে গেল।স্তব্ধ মোবাইল নিয়ে বিছানায় হেলান দিয়ে বসে আছে।
রাহেলা বেগম বসে বসে পান চিবুচ্ছেন স্নিগ্ধতা উনার পাশে বসে,
– দিদান এত পান খাওয়া ভালো না।
– অভ্যাস হয়ে গেছে রে নাত বউ তুই খাবি একটা বানিয়ে দিব?
– উহু আমি তোমার মতো অভ্যাস বানাতে চাই না।
রাহেলা বেগম হেসে,
– দাদুভাই কোথায়?
– ঘরে।
– তাহলে তুই এখানে কি করছিস? যা ঘরে যা।
– পরে যাব।
বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে গেল স্নিগ্ধতা স্তব্ধের দেওয়া শাড়ি আর গহনা পড়ে রেডি হয়ে নিলো। স্তব্ধ আগেই রেডি হয়ে গাড়ির কাছে গেছে।অরিত্রি শিকদার প্রথমে রাগ করলেও আরিয়া তাকে ম্যানেজ করে নিয়েছে।
স্তব্ধ গাড়িতে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে মোবাইল টিপছে স্নিগ্ধতা স্তব্ধের সামনে এসে দাঁড়িয়ে,
– আমি রেডি।
স্তব্ধ মোবাইল থেকে চোখ সরিয়ে স্নিগ্ধতার দিকে তাকাতেই চোখগুলো বড় বড় হয়ে গেছে।স্নিগ্ধতার পরনে গাড় সবুজ রঙের জরি বসানো শাড়ি সাথে ম্যাচিং গহনা এবং হিজাব পরা। স্তব্ধের এমন চাহনিতে স্নিগ্ধতার অস্বস্তি লাগছে গলা খাঁকারি দিয়ে বলল,
– এভাবে তাকিয়ে আছেন কেন? দেখতে কি খারাপ লাগছে?
– তোমাকে দেখতে খারাপ লাগবে কেন? তুমি আকাশ থেকে নামা অপ্সরী আহা আমার বউটা কি সুন্দরী।
স্নিগ্ধতা থতমত খেয়ে গেল লাজুক দৃষ্টি দিয়ে,
– কি বলেন এগুলো?
স্তব্ধ নিজেকে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করে,
– যাও গাড়িতে গিয়ে বসো দেরি হয়ে যাচ্ছে।
স্নিগ্ধতা গাড়িতে গিয়ে বসলো স্তব্ধ চালকের জায়গায় বসে গাড়ি চালানো শুরু করলো।গাড়ি চালানোর ফাঁকে আড়চোখে বারবার স্নিগ্ধতাকে দেখছে কিন্তু স্নিগ্ধতার কোনো খেয়াল নেই সে তো জানালা দিয়ে বাইরের সৌন্দর্য দেখতে ব্যস্ত। স্তব্ধের মন আজ নিজের নিয়ন্ত্রণে নেই অনিচ্ছা সত্ত্বেও বারবার স্নিগ্ধতাকে দেখতে ইচ্ছে করছে। গাড়ি এসে গন্তব্যে থামলো স্তব্ধ নেমে স্নিগ্ধতাকেও নামিয়ে দিল।
ফাইভ স্টার হোটেলে পার্টির আয়োজন করা হয়েছে বাইরের দৃশ্যটা অনেক সুন্দর।স্তব্ধ স্নিগ্ধতার হাত ধরে,
– ভেতরে চলো।
ভেতরে প্রবেশ করে স্নিগ্ধতা আরও চমকে গেছে চারিদিকে মানুষজন ভর্তি সাজানো গুছানো,বিভিন্ন ফ্লোরে পার্টি চলছে। ওরা দুতলায় গেল, স্তব্ধের সব বন্ধু-বান্ধব এবং তাদের গার্লফ্রেন্ডরা এসেছে।স্তব্ধ আর স্নিগ্ধতা যেতেই বন্ধুরা এগিয়ে এসে একসঙ্গে বলল,
– কংগ্ৰাচুলেশন।
স্তব্ধ এবং স্নিগ্ধতা মুচকি হাসলো।রাজ এগিয়ে এসে,
– ভাবী তো অনেক সুন্দর।
স্নিগ্ধতা যেন লজ্জা পেয়েছে স্তব্ধ চোখ রাঙানি দিতেই রাজ থেমে গেল এদের মধ্যে স্তব্ধ আর নিলয় হচ্ছে বিবাহিত রাজ অবিবাহিত সিঙ্গেল বাকিদের গার্লফ্রেন্ড আছে ।নিলয় প্রেম করে পালিয়ে বিয়ে করেছে, এতক্ষণ এদের লাভ স্টোরির কথাই স্নিগ্ধতা মনোযোগ সহকারে শুনছিল। সবাই খুব দ্রুত স্নিগ্ধতার সঙ্গে ভাব জমিয়ে নিয়েছে এমনিতে স্তব্ধের বন্ধুরা মিশুক প্রকৃতির।
স্তব্ধ সবাইকে,সাথে স্নিগ্ধতাকেও দেখছে আর ভাবছে,’বিয়ে হয়েছে তিনদিন হলো একদিনও আমার সামনে হাসতে দেখলাম না ঝগড়া করার জন্যও কথা বলল না অথচ আমার বন্ধু আর তাদের গার্লফ্রেন্ড বউদের সঙ্গে কি হেসে কথা বলছে আমি কেউ না মনে হচ্ছে এরাই আপন।’
নিলয় স্তব্ধকে কনুই দিয়ে ধাক্কা মে’রে
– বউয়ের দিকে তাকিয়ে কি ভাবছিস?
– কই কিছু না তো।
– খুব তো বিয়ে করবি না বলেছিলি কোনো মেয়ে ছুঁতে আসলে কত থাপ্পড় মে’রেছিস আর এখন রাতারাতি এক মেয়ের জামাই হয়ে গেলি।
– সবটা জেনেও আজেবাজে বকিস কেন?
– আঙ্কেলের সঙ্গে একদিন দেখা করে গালে চুমু খাবো।
– কেন!
– তোকে এভাবে ট্রাপে ফেলে বিয়ে করানোর জন্য ভাবী কিন্তু সবদিক দিয়ে বেশ ভালো।
– দেখাই তো হলো আজকে এত তাড়াতাড়ি কিভাবে বুঝলি?
– এই নিলয়ের মানুষ চিনতে সময় লাগে না বুঝলি।
– এই জন্যই প্রথম প্রেমে ছ্যাকা খেয়েছিলি।
– আস্তে বল নায়রা শুনতে পেলে ঝাটা পেটা করবে।
– করুক তোর ঝাটাই দরকার।
– বন্ধু হয়ে এসব বলিস যা প্রমিস করলাম একদিন তোকে তোর বউয়ের হাতে মার খাইয়েই ছাড়বো।
– আমাকে মা’রবে তাও আবার স্নিগ্ধ! হাসি পাচ্ছে তবুও তুই এই আশায় বেঁচে থাক।
রাজ ব্রু নাচিয়ে,
– তোরা দু’জন কি ফিসফিস করছিস?
– তোকে বলবো কেন?(নিলয়)
– আমি না তোদের বন্ধু আমাকে বললে কি সমস্যা?
– এগুলো বিবাহিত পুরুষের গোপন কথা তোর শোনার দরকার নেই।(নিলয়)
– আজ বিবাহিত না বলে।
অনেকক্ষণ গল্প করে তারপর সবাই একসঙ্গে রাতের খাবার খেল। রাত এগারোটা বাজে সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে স্তব্ধ আর স্নিগ্ধতা সেখান থেকে বের হয়ে গাড়ির কাছে আসলো স্নিগ্ধতাকে দেখেই বুঝা যাচ্ছে আজকে সে অনেক হ্যাপি।
গাড়িতে উঠতে যাবে সেসময় পেছন থেকে কেউ জোরে ডাক দিল,
– এই স্তব্ধ….
স্তব্ধ আর স্নিগ্ধতা দু’জনেই পেছনে ঘুরলো, আগন্তুক লোককে দেখে স্তব্ধ হালকা হাসলো স্নিগ্ধতার কপাল কুঁচকে এসেছে মুখে ভয় স্পষ্ট স্তব্ধের শরীর ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে ডান হাত জড়িয়ে ধরে আছে, স্নিগ্ধতার এমন কাজে বিষ্মিত হয়ে গেল স্তব্ধ। লোকটি এগিয়ে এসে,
– স্তব্ধ তুমি এখানে?
স্তব্ধ হাসার চেষ্টা করে উওর দিল,
– একটা পার্টি ছিল বন্ধুদের সঙ্গে তাই এসেছিলাম কিন্তু তুমি এখানে?
– সেইম কারণ।
স্নিগ্ধতার ভয়টা ক্রমশ বাড়ছে লোকটা স্নিগ্ধতার দিকে তাকাতেই স্তব্ধ হেসে বলল,
– এ হচ্ছে আমার ওয়াইফ স্নিগ্ধতা আর স্নিগ্ধতা এ হচ্ছে..
– বলতে হবে না ও আমাকে খুব ভালো করেই চেনে তাই না স্নিগ্ধা?
স্তব্ধ অবাক হয়ে গেছে স্নিগ্ধতা আরও শক্ত করে স্তব্ধের হাত আঁকড়ে ধরলো স্নিগ্ধতার এমন ব্যবহারে স্তব্ধের মনে অনেক প্রশ্নের সঞ্চয় হয়েছে।স্তব্ধ জানতে চাইল,
– তোমাকে চেনে মানে?
– হুম আমরা দু’জন দু’জনকে চিনি কিভাবে চিনি সেটা না হয় স্নিগ্ধার কাছ থেকেই জেনে নিও আজ তাহলে আসি অন্য একদিন দেখা হবে।
– ওকেহ।
লোকটি চলে যেতেই স্নিগ্ধতাকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে স্তব্ধ বলল,
– তুমি একে চেনো?
– ও হচ্ছে আদ্রিক।
– কিভাবে চেনো আর এমন করছো কেন?
– কেমন করছি? বাড়িতে চলুন না এখানে ভালো লাগছে না।
স্তব্ধকে আর কিছু বলতে না দিয়ে স্নিগ্ধতা গাড়িতে উঠে বসলো।স্নিগ্ধতার এমন ব্যবহারে স্তব্ধ চুপ হয়ে আছে নিজেও গাড়িতে উঠে চালানো শুরু করলো আর একটু পর পর তাকিয়ে স্নিগ্ধতার ছটফটানি দেখছে। বাড়ির সামনে গাড়ি থামতেই স্নিগ্ধতা গাড়ি থেকে নেমে দ্রুত ভেতরে ঢুকে গেল।
গাড়ি গ্যারেজে রেখে স্তব্ধও ঘরে চলে এলো এর মধ্যেই স্নিগ্ধতা ফ্রেশ হয়ে গেছে।স্তব্ধও গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসলো এতক্ষণে স্নিগ্ধতা বিছানায় চোখ বন্ধ করে শুয়ে পড়েছে। স্তব্ধও চুপচাপ লাইট নিভিয়ে তার পাশে শুয়ে পড়লো মনের মধ্যে অনেক প্রশ্ন উঁকিঝুঁকি মা’রছে।
___________
অনেক বেলা হয়েছে স্তব্ধ ঘুম থেকে উঠে জিম করে গোসল সেরে ফেলল কিন্তু স্নিগ্ধতার এখনও ঘুম থেকে উঠার নাম নেই।স্তব্ধ ঘুমন্ত স্নিগ্ধতার পাশে গিয়ে বসে ঘুম ভাঙানোর জন্য অনেকবার ডাকল কিন্তু স্নিগ্ধতা উঠলো না গালে হাত দিতেই চমকে গেল। জ্বর এসেছে স্নিগ্ধতার শরীর অনেক গরম স্তব্ধ ভয় পেয়ে গেছে দ্রুত আরিয়াকে ডেকে আনলো।
চলবে………