সোনার কন্যা পর্ব-০৬

0
431

#সোনার_কন্যা
#পর্ব৬
#রাউফুন

তাজফির দেখা মিললো নুরিশার চতুর্থ পরীক্ষার দিন। নুরিশা আজ কেন যেনো টঙের দোকানের দিকে না তাকিয়েও বুঝলো, ওখানে তাজফি আছে। তার মনে হচ্ছে তাজফি তার দিকে তাকিয়ে আছে। একটু পরেই একটা হরলিকস্ কিনে হাতে নিয়ে দৌড়ে আসবে। এসে বলবে, ‘অনেক দিন হলো তোমাকে হরলিকস্ কিনে দি না, তুমি কি রাগ করেছো? রাগ করো না বালিকা। এখন থেকে রোজ কিনে দেবো!’

এই কথার উত্তরে সে কপট রাগ দেখিয়ে বলবে, ‘নাহ রাগ করবো কেন? আমি কি এখনো সেই চোদ্দ বছরের বাচ্চা মেয়ে নাকি? আপনি কি চোখে দেখতে পান না? আমি এখন কত লম্বা হয়েছি দেখেছেন? আপনার কাঁধ ছুঁই ছুঁই মাথা আমার।’

কিন্তু না, তাজফি আসেনি। নুরিশা চোখ তুলে দেখলো লোকটা দোকানদারের সঙ্গে কোনো বিষয় নিয়ে কথা বলছে। খেয়াল করলো তার মুখ ভর্তি দাঁড়ি আর বড় বড় চুল। চুল গুলো কাঁধ অব্দি নেমেছে। এতো বড় বড় চুল আর দাঁড়ি কবে থেকে রাখলো তাজফি ভাই? এক মাসের মধ্যে এতো বড় বড় চুল, গোফ হয়ে গেলো? নুরিশা দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ব্রেঞ্চের উপর হাত দিয়ে ঠকঠক শব্দ করে তাজফির নজর তার দিকে ফেরালো। তাজফি মাথা ঘুরিয়ে তাকালো তার দিকে। একটা সুন্দর হাসি দিয়ে জিজ্ঞেস করলো,

‘আরে বালিকা যে, কিছু বলবে?’

‘নাহ, তাজফি ভাই, তেমন কোনো ব্যাপার নেই। দাদির শরীর টা খুব খারাপ, তিন চারদিন থেকে আপনাকে দেখতে চাইছেন। আপনি কি একবার আমাদের বাড়িতে যেতে পারবেন দেখা করতে?’

‘অবশ্যই যাবো।

‘আচ্ছা! আসছি!’ আসছি বলেও নুরিশা দাঁড়িয়ে রইলো। তার মনে হচ্ছে তাজফি ভাই আরও কিছু কথা বলবে। সত্যিই বললো। নুরিশা মনে মনে খুশি হলো কেন যেনো। কিন্তু মুখ টা গম্ভীর করেই রইলো উপরে উপরে। তাজফি লাইটার বের করে সিগারেট ধরালো। একটা টান দিয়ে ধোঁয়া উড়িয়ে বললো,

‘এক্সাম কেমন হচ্ছে তোমার? প্রশ্ন কমন আসছে?’

‘আসছে।’

‘ফুল মার্ক তুলতে পারছো?’

‘পারছি!’

‘ভেরি গুড! শুনলাম ফার্স্ট প্লেস কেউ পাচ্ছে না তুমি ছাড়া। সত্যি নাকি? আগে জানতাম তুমি খুবই দূর্বল স্টুডিওতে এখন শুনি খুবই ব্রিলিয়ান্ট হয়েছো৷ সবাই পরিবর্তন হয়, বিশেষ করে মানুষ জাতী খুবই দ্রুত পরিবর্তন হয়। মানুষ পরিবর্তনশীল বুঝলে? সময় আর পরিস্থিতি তো আর আমাদের কারো হাতে থাকে না। পড়াশোনা চালিয়ে যাও এভাবেই।’

নুরিশা মনে মনে বললো, ‘ঠিকই বলেছেন তাজফি ভাই, আপনিও সময়, পরিস্থিতির গ্যারাকলে পড়ে বিরাট বদলে গেছেন। এই যে এখন আগের মতো আমার দিকে তাকিয়ে কথা বলেন না পর্যন্ত! বিরাট এই পরিবর্তন কেন? সত্যিই মানুষ পরিবর্তনশীল!’

নুরিশা তাজফির দিকে কপাল ভ্রু কুঞ্চিত করে বললো,

‘থ্যাংক ইউ তাজফি ভাই। আমি আসছি আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে।’

নুরিশা কথা শেষ করে দাঁড়ালো। তাজফি আবারও দোকানদারের কাছে গিয়ে তার সঙ্গে খোশমেজাজে গল্প করতে লাগলো। এদিকে যে নুরিশা দাঁড়িয়ে আছে সেদিকে কোনো ভ্রুক্ষেপ ই নেই? লোকটা কি আগের মতো তাকে পছন্দ করে না? নাকি কোনোদিন তাকে পছন্দই করেনি? তবে কি সে ভুল ভাবতো? তার মনে হওয়া টা ভুল? তাজফি ভাইয়ের চোখে যে তার জন্য অনুভূতি দেখতে পেতো, এখনো পাই, সেটা কি ভুল? নাকি সে মুগ্ধতা নিয়ে লোকটাকে দেখে বলেই তার এরকম মনে হয়? চট করে নুরিশার মাথা গরম হয়ে গেলো। তাজফির নিকটে গিয়ে হাত ধরে টেনে দোকান থেকে বের করে আনলো। হাত টা হ্যাচকা টানে একটু ছিটকে দূরে সরিয়ে দিলো। শার্ট খানা চেপে ধরার দরুণ ফ্যাস করে তাজফির শার্টের হাতা খানা ছিড়ে গেলো। নুরিশা হতভম্ব হয়ে গেলেও গায়ে মাখলো না। তাজফি অবাক হয়ে নুরিশার দিকে তাকিয়ে আছে৷ হঠাৎই কি হলো শান্তশিষ্ট মেয়েটার?

‘দেখতে পাচ্ছেন না? চোখে কি আজকাল কম দেখেন? কখন থেকে রিকশার জন্য দাঁড়িয়ে আছি খেয়াল করেন নি? আগে তো যেচে রিক্সা ঠিক করে দিতেন প্রয়োজন না পরলেও৷ আর এখন যখন প্রয়োজন, রিকশা বা অটো কিছুই পাচ্ছি না তখন গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন? খোশগল্প শুরু করেছেন?’

হতবিহ্বল তাজফি তখনো নুরিশার রাগান্বিত মুখের দিকে তাকিয়ে থাকতে মত্ত্ব! নুরিশার রাগকে আজ ভয় লাগছে তার। ওর অগ্নিশর্মা হয়ে যাওয়া রূপের দিকে তাকিয়ে টু শব্দটি করলো না তাজফি। কোথাও একটা ফোন করে রিকশা ঠিক দিলো সে।

রিকশা আসতেই নুরিশা চুপচাপ রিকশায় বসে চলে গেলো। যতক্ষণ রিকশা দেখা গেলো তাজফি এক ভাবে তাকিয়ে রইলো! মেয়েটার মধ্যে কি তবে বালিকা থেকে কিশোরী রূপটা সত্যিই ফুটে উঠেছে? এ কেমন বোকা বোকা কথা! চার বছর কেটে গেলো চোখের সামনে দিয়ে সে টের পেলো না? অথচ এখনো তার মনে হয় মেয়েটা এখনো সেই বালিকা মেয়েটিই রয়ে গেছে। যে তাকে দেখলেই নাকের ডগা ফুলিয়ে বলতো, ‘আপনি আর আমাকে সবার সামনে দাঁড় করিয়ে হরলিক্স কিনে দেবেন না। একদম না। আমি রোজ একটা করে হরলিকস্ খাই না। আর আমাকে রোজ রিকশা ঠিক করে দেওয়ার প্রয়োজন নেই, আমি একাই রিকশা ঠিক নিতে পারি!’

আজ সেই বালিকার চোখ অন্য কিছু বলছিল, তাকে টানছিলো। তার দিকে ধাঁবিত করছিলো বালিকার সম্মোহনী দু-চোখ! সে এতোদিন কেন খেয়াল করেনি? নাকি এই পরিবর্তনে তার চোখে আজই ধরা দিলো মেয়েটা?

বারোটার পর তাজফি দেখা করতে গেলো আছিয়া খাতুনের সঙ্গে। যাওয়ার পথে দেখা হলো মতিউর রহমানের সঙ্গে। তাজফি সালাম দিয়ে জিজ্ঞেস করলো,

‘ভালো আছেন চাচা?’

‘ভালো আছি। তোমার কি খবর? দেখা যায় না যে!’

‘এই তো আল্লাহ্ রেখেছেন ভালোই!’

‘আজ বাড়িতে খতম পড়ানো হবে।’

‘ওহ আচ্ছা!’

‘এই খতম কেন পড়াচ্ছি জানো?’

‘জ্বী না, কেন?’

‘এই খতম আম্মার জন্য পড়াচ্ছি। এই খতম পড়ালে এক হয় অসুস্থ ব্যাক্তি একদম সুস্থ হবে আর না হলে মা’রা যাবে। আগেকার মানুষ বলতো।’

‘এসব এমনি, এগুলো বিশ্বাস করবেন না৷ শিরক করা হবে তবে! শিরক কারী ব্যাক্তিরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না! আল্লাহ্ তাদের ক্ষমা করেন না।’

‘আমি বিশ্বাস করি না। আম্মার হুকুমেই হচ্ছে সবটা। এলাকার সবাইকে দাওয়াত দিয়েছি! তুমিও খেয়ো!’

‘আচ্ছা।’

তাজফি আছিয়া খাতুনের ঘরে গেলো। আজ তাজফি ঘরে যাওয়ার পর আছিয়া খাতুন শরীরের গন্ধ ভালো ভাবে টেনে নিয়ে বলতে পারলেন তাজফি এসেছে।

‘কিগো প্রেমিকা, কেমন আছো?’

‘এইডা তোমার আওনের সময় হইলো? খবর কহন পাডাইছিলাম?’

‘সকালে নুরিশা বলেছে!’

‘আমি হেরও চারদিন আগে থেইকা খবর দেওনের চেষ্টা করছি। তোমারে পাওন যায় না। কই থাহো আইজকাল?’

‘এইতো থাকি, এদিক সেদিক!’

‘এহন কি করস? চাকরি পাইছস?’

‘নাহ!’

‘চার বছরে তোমার সাথের সব বন্ধুদের চাকরি বাকরি হইয়া গেলো, শুধু তোমার ই হইলো না?’

‘চাকরি ভালো লাগে না। যে টিউশনি গুলো করাচ্ছি ভাবছি সেগুলোও ছেড়ে দিবো। ব্যস্ততা ভালো লাগে না!’

‘তাইলে কি কইরা খাবা? থালা হাতে লইয়া ভিক্ষে করবা?’

‘নাহ, তোমাকে নিয়ে সারাদিন ঘুরবো প্রেমিকা! জলদি সুস্থ হয়ে যাও!’

‘আগামীকাল, শুক্কুরবার আমার জন্য খুতবায়ে খতম পড়ানো হইবো এলাকার লোকজনও খাওয়াইবো তুমি ও খাইয়ো! তুমিও তো ফকির মিসকিন দের মতোই!’

‘আচ্ছা!’

‘গোসা করলা কালাচাঁদ?’

‘নাহ, বেকার মানুষের মান-অপমান, রাগ থাকে না। ওদের গা সওয়া হয়ে যায় এসব। আর তুমি কি আমাকে ঐভাবে বলেছো যে রাগ করবো?’

‘বুড়ি মানুষের কথা ধরতে নাই। ওরা হয় একদম ছয় বছরের বাচ্চাদের মতোন। শোনো, আমি জানি আমি বাঁঁছুম না। আমি আজরাইল দেখবার পারি!’

‘আজরাইল কেমন দেখতে?’

‘কালা কালা দেহা যা। মনে হয় এই তো এইহানে কেউ দাঁড়াইয়ে আছে। কিন্তু খুঁজবার গেলেই হারাই যায়। আমি যদি ম’ই’রা যাই তুমি খাটিয়ার এক পাশ ধরবা। যা কিছু হোক না কেন। আর আমার নুরিরে দেহনের দায়িত্ব তোমার। ওর যেনো কোনো কষ্ট না হয়৷ ওরে দেইখা রাহনের দায়িত্ব আমি তোমারে দিলাম। কারণ আমি জানি তুমি ছাড়া আর কেউ-ই ওরে সুখী করবার পারবো না!’

‘আচ্ছা আমি আসছি!’

‘যাইবা? যাও। অসুস্থ মানুষের ঘরে কেউ বেশিক্ষণ থাকবার চাই না বুঝছো। আমি যতদিন থেইকা ব্যারামে পইরা রইছি ততদিন থেইকা আমার ঘরে কেউ বেশিক্ষণ থাহে নাই, গপ্পো করে নাই। শুধু তুমি আইলে বেশিক্ষণ থাইকা আমার লগে গপ্পো করো। তোমার জন্য আমি খাস দিলে দোয়া কইরা দিলাম। তোমার ম্যালা ভালো হইবো কালাচাঁদ!’

তাজফি আছিয়া খাতুনের রুম থেকে বেরিয়ে এলো। তার শরীর বড্ড খারাপ করছে। সে নুরিশা দের বাড়ির গেট পেরোতেই গলগলিয়ে বমি করে দিলো। কোনো রকমে হেঁটে নিজের বাড়ির দিকে রওনা হলো। একটা টাকাও নেই যে রিকশা করে যাবে। বমি করতে করতে নাকে মুখে উঠে গেলো। তার পা দুলছিলো।

‘কই যাইতাছেন তাজফি ভাই?’

‘কে?’

‘আমারে চিনবার পারছুন তাজফি ভাই?’

‘কে তুমি?’

‘আমি রকি! আপনে আমারে সাহায্য করছিলেন মনে নাই? ভাই আপনের কি শরীলডা খারাপ?’

‘হ্যাঁ শরীর টা খুব খারাপ লাগছে। তুমি কি আমাকে একটু আমার বাসায় পৌঁছে দিতে পারবে?’

‘পারুম মানে, আমি আপনের লাইগা জান কুরবান কইরা দিতে পারি। আহেন আমার কান্ধে ভর দিয়া লন।’

তাজফিকে পৌঁছে দিলো রকি।

‘ভাই, আপনের বাড়িতে কি কেউই নাই?’

‘নাহ, এখন তুমি যাও। আমি শুয়ে পরবো। ঘুমালেই ঠিক হয়ে যাবো আমি!’

রকিকে চলে যেতে বললেও রকি গেলো না। তাজফির দরজার কাছে বসে রইলো। তাজফির যদি আবার কোনো কিছু প্রয়োজন হয়। তাজফির মাত্রাতিরিক্ত শরীর খারাপে কোনো কিছু বলতে পারলো না। গা কাঁপিয়ে ডুকরে উঠলো সে। কাথা মুড়িয়ে ডুকরে ডুকরে কাঁদতে লাগলো। রকি চিন্তিত হয়ে তাজফির রুমের দরজা ঠেলে ভেতরে গেলো। তাজফির হুশ নেই। রকি তাজফির গা ছুয়ে দেখতেই ছিটকে গেলো। প্রচন্ড জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে তাজফির শরীর! রনি দৌঁড়ে চলে গেলো ডক্টর ডাকতে। সে থাকতে এই মানুষটার কোনো ক্ষতি সে হতে দেবে না।


তুমি জানো বালিকা? আমার ঘরে একটা ফ্যান ও নেই? খুব গরম পড়েছে। একটা হাত পাখা আছে, সেটাও ভেঙে যাওয়ার জোগার। বাতাস লাগে না!’

‘আপনি না স্টুডেন্ট পড়ান, একটা ফ্যান তো কিনতে পারেন! কিংবা একটা হাত পাখা!’

‘হাত পাখায় বাতাস করতে ভালো লাগে না। কারণ হাত নাড়ানোর পাঁচ মিনিটের মাথায় হাত লেগে যায়। বিরক্ত লাগে৷ তুমি কি আমাকে হাওয়া করবে?’

‘করবো। কিন্তু বিয়ের পর!’

‘তোমার আমার সঙ্গে বিয়ে হবে?’

‘ওমা হবে না কেন? হবে।’

‘তোমার আব্বা, মানবে না।’

‘কেন?’

‘তোমার আব্বা আমাকে অত্যন্ত অপছন্দ করেন।’

‘আপনি বুঝলেন কি করে? আপনাকে কখনোই বলেছে?’

‘নাহ!’

‘তাহলে?’

‘কারণ উনি জানেন আমি তোমাকে পছন্দ করি। আর কোনো বাবাই তার মেয়েকে একজন ভবঘুরে বেকার লোকের হাতে তুলে দিবে না। তার কলিজার টুকরা মেয়েকে কষ্টের মধ্যে ঠেলে দেবে নাকি? কোন বাবা চাইবেন তার রাজকন্যা কোনো ফকিরকে বিয়ে করুক?’

‘উফফ বেশি কথা বলছেন। এই কথা বলতে ভালো লাগছে না৷ অন্য কথা বলেন!’

‘অন্য কি কথা বলবো? তুমি জানো, আমি ইদানীং স্বপ্নে দেখি, তোমায় বিয়ে করছি!’

‘সত্যিই?’ চমকপ্রদ ভাবে হাসলো নুরিশা।

‘তুমি খুশি হলে?’

‘হুম খুব। আপনি খুশি না?’

‘নাহ। স্বপ্নে আমি তোমার বর‍, সেটা স্পষ্ট না। কারণ আমার মুখ দেখা যায় না। বরের জায়গায় একবার আমাকে তো একবার অন্য কাউকে দেখি, বিয়ে আমার তোমার সঙ্গে হচ্ছে অথচ আমার জায়গায় অন্য কেউ! এটা একটু অন্য রকম না?’

‘এসব উল্টোপালটা স্বপ্নের মানেই হয় না।’

নুরিশা তাজফির জ্বরের ঘোরে কল্পনায় রেগে চলে গেলো। আশ্চর্যের বিষয় হলো তাজফি স্পষ্ট দেখেছে নুরিশার নাকের ডগা লাল, রাগে তার কপলের মাংসপেশি ফুলে উঠেছে। কিন্তু এটা তো তার কল্পনা, অথচ এই কল্পনা টা কতটা জীবন্ত লাগছে, এমন কেন হচ্ছে? তার প্রচন্ড জ্বর এসেছে সেজন্য?

#চলবে

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে