#সে_প্রেমিক_নয়
#Mehek_Enayya(লেখিকা)
#পর্ব ৪২
রাত নয়টা। আজ রাতেও গতকালের মতো বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বৃষ্টির ছন্দময় আওয়াজের সাথে পালা দিয়ে বাতাসের তেজ তো আছেই! অন্ধকারে চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছে আনাবিয়া। মনোযোগ দিয়ে আবহাওয়া অনুভব করছে সে। তনুসফা হটাৎ অসুস্থ হয়ে পরায় রাকিয়া ঐ বাসায় চলে গিয়েছে। অবশ্য রাকিয়া আনাবিয়াকে এমন্ত অবস্থায় রেখে যেতে চায়নি। ইরান ও আনাবিয়া জোর করেই রাকিয়াকে তনুসফার কাছে পাঠিয়েছে।
আনাবিয়া ইরানের কথা ভাবছে নিশ্চুপ হয়ে। তখন জেদে বসে ইরান সত্যিটা বললেও অসম্পূর্ণ বলেছে। আনাবিয়া আগের থেকেই অবগত ছিল যে তার মা এখনও বেঁচে আছে। কিন্তু সে চাচ্ছিল ইরান নিজের মুখে সবটা তাকে বলে। এতো কিছু করেও আনাবিয়া ইরানের মুখ থেকে সত্যিটা শুনতে ব্যর্থ হয়। অবশেষে আজ ইরান নিজ মুখে স্বীকার করেছে।
তখন সত্যিটা বলার পর নিজেই হতভম্ব হয়ে পরে ইরান। হাত আপনা আপনি অধরে চলে যায় তার। আনাবিয়া হাতে চাঁদ পাওয়ার মতো উঠে দাঁড়ায়। ইরানের কাছে এসে জিজ্ঞেস করে,
-কোথায় আমার মম? কোথায় রেখেছেন তাকে? কেনো আমাকে এতদিন মিথ্যে বলেছেন ইরান?
ইরান দৃষ্টি নত করে ফেলে। নজর লুকানোর প্রয়াস করে সে। আনাবিয়া ইরানের হাত চেপে ধরে অধয্য হয়ে বলে,
-কোথায় আমার মম?
-আমি এখন কিছু বলতে পারব না। সঠিক সময় হোক তুমি নিজেই সবটা জেনে যাবে।
হাত ছাড়িয়ে নেয় ইরান। আনাবিয়াকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে বড় বড় পা ফেলে বেরিয়ে যায় রুম থেকে। দরজা খুলতেই ইরান রাকিয়ার মুখোমুখি হয়। কিছু না বলেই পাশ কেটে চলে যায় সে। রাকিয়া রুমে ভিতরে যেয়ে আনাবিয়াকে দেখে ভীত হয়ে পরে। চিন্তিত কণ্ঠে বলে,
-মা ঠিক আছিস? কী নিয়ে ঝগড়া হয়েছে তোদের মধ্যে?
-তেমন কিছু নয় মম। আমিই একটু বাড়াবাড়ি করেছি।
সেই দুপুরে বাড়ি থেকে বের হয় ইরান তারপর আর বাসায় আসেনি সে। না চাওয়ার শর্তেও আনাবিয়ার এখন চিন্তা হচ্ছে ইরানকে নিয়ে। কোথায় গেলো? কী করল? কিছু খেয়েছে কী না? ইসরাফদেরই বা কী হলো? কিছুই জানে না আনাবিয়া। ঘুমাতে ভালো লাগছে না তার। তাই বিছানা থেকে নেমে বেলকনিতে চলে আসে। দোলনায় বসে বাহিরের দৃশ্য দেখতে থাকে। ফোন না থাকায় অনেকদিন ধরে আনাবিয়া তার গ্রান্ডমার ও খালামুনির সাথে কথা বলতে পারছে না। একমাত্র তারাই হয়তো পারবে এইরকম অবস্থায় আনাবিয়াকে শুবুদ্ধি দিতে।
হটাৎ আনাবিয়া আঙিনায় ইরানকে দেখতে পায়। বৃষ্টির মধ্যে টইটুম্বুর হয়ে বাড়ির পিছনের দিকে যাচ্ছে। পরিহিত সাদা শার্ট ভিজে শরীরের সাথে লেপ্টে আছে। আনাবিয়া ভ্রু কুঁচকিয়ে তাকিয়ে থাকে সেদিকে। আনাবিয়া মনে মনে ভাবলো ইরানকে ফলো করবে। তাই রুমে এসে একটা চাদর দিয়ে নিজেকে ঢেকে রুম থেকে বেরিয়ে যায়। ধীরে ধীরে কদম ফেলে বাড়ির বাহিরে চলে আসে সে। ইরানের পিছন পিছন যেতে থাকে। বৃষ্টিতে ভিজে আনাবিয়াও চুবুচুবু।
নিদিষ্ট স্থানে আসতেই থেমে যায় ইরান। তীক্ষ দৃষ্টিতে আশেপাশে পর্যবেক্ষণ করে নেয়। সেইসময় কৌশলে দেয়ালের পিছনে লুকিয়ে পরে আনাবিয়া। ইরান সিক্রেট দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দেয়। ইরান যেতেই আনাবিয়া দৌড়ে আসে। অবাক হয়ে দরজা খুঁজতে থাকে সে। মনে মনে বলে,
-এখানেই তো এসেছিল হটাৎ কিভাবে গায়েপ হয়ে গেলো! তাহলে কী এখানে কোন সিক্রেট দরজা আছে? কিন্তু সামনের দেয়ালের পিছনে তো ইরানের পার্সোনাল লাইবেরি। তাহলে কী লাইবেরির নিচে কোনো সিক্রেট জায়গা আছে? থাকতেও তো পারে ব্যাকগ্রাউন্ড টাইপ!
অনেক খুঁজেও কোনো দরজার হদিস পেলো না আনাবিয়া। বৃষ্টির মধ্যে শুধু শুধু দাঁড়িয়ে থাকবে তাই ব্যর্থ হয়ে বাড়ির ভিতরে ফিরে যায় সে। রুমে এসে দ্রুত ড্রেস পরিবর্তন করে মাথা মুছে নেয়। বিছানায় বসে গভীর ভাবে ভাবতে থাকে পুরো বাড়ির সম্পর্কে।
_____________________🌸
ভেজা শরীর নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করতেই জমিন ভিজে যায়। একজন বডিগার্ড তৈয়ালে এগিয়ে দেয় ইরানের দিকে। সেটা দিয়ে মুখ মুছে ভিতরে প্রবেশ করে ইরান। প্রথম রুমে প্রবেশ করতেই তাজীবের সাথে সাক্ষাৎ হয় ইরানের। তাজীব জেনো ক্লান্ত কোনো কারণে।
-স্যার আপনি এসেছেন। ওদের হ্যান্ডেল করতে করতে আমি প্রায় শেষ!
ইরান কিছু বললো না। এগিয়ে আরো সামনে যায়। তিন চেয়ারে বেঁধে রাখা হয়েছে তিনজনকে। তিনজনের চোখে, মুখে পট্টি বাধা। ইসরাফকে দেখতেই ইরানের রক্ত টগবগ করতে থাকে। ঠিক উত্তাপ অগ্নিগিরির মতো!
-ওদের চোখ ও মুখের কাপড় খুলে দেওয়া হোক।
-জি স্যার।
একজন বডিগার্ড তিনজনের চোখের কাপড় খুলে দেয়। নোমান সাফির মুখে ভীত ভাব থাকলেও ইসরাফের মুখে নেই। সে পারছে না ইরানকে এখনই মেরে ফেলে। ইরান স্মিত হেসে ইসরাফের উদ্দেশ্যে বলে,
-তোর কী মরার ভয় নেই? কোন সাহসে আমার আনাবিয়ার গায়ে কলঙ্ক লাগাতে চেয়েছিলি তুই!
প্রথম কথাটা স্বাভাবিক ভাবে বললেও শেষে চিৎকার করে বলে ইরান। ইসরাফ বাঁকা হাসে। নিকৃষ্ট ভঙ্গিতে বলে,
-দোষ তো তুই করেছিস আমার ভালোবাসাকে আমার থেকে ছিনিয়ে নিয়ে! তাই আমিও একটু তোর সো কলড বউয়ের স্বাদ নিতে চেয়েছিলাম। সেখানে তোর দোষ বেশি। আগে নিজেকে শাস্তি দে পরে আমাকে দিতে আসিস।
-তুই কী জানতি না আনাবিয়া আমার বছর আগের ভালোবাসা?
-তোর পছন্দের জিনিস ছিনিয়ে নেওয়াই তো আমার কাজ। যেমন তোর বাপ্, মা, বোন সবই তো ছিনিয়ে নিয়েছি এখন শুধু তোর বউ আনাবিয়াই বাকি।
-মুখ সামলা ইসরাফ। মুখ সামলা। তোর নোংরা মুখ দিয়ে আমার আনাবিয়ার নাম উচ্চারণ করবি না।
-একশোবার নিবো ওর নাম কী করবি তুই? মেরেই তো ফেলবি। তাছাড়া আর কিছু পারিস?
ইরান তেমন প্রতিক্রিয়া করলো না। কিনারে রাখা চেয়ারে আয়েস করে বসে সে। দু হাত ঢলে শান্ত স্বরে বলে,
-তোদের মেরে হাত নোংরা করার ইচ্ছে আমার নেই! তাছাড়াও আম্মাকে ওয়াদা দিয়েছি তোকে নিজ হাত দিয়ে কখনই আঘাত করব না।
ইরান তাজীবের দিকে তাকায়। আদেশ স্বরে বলে,
-তাজীব।
-আর বলতে হবে না স্যার। আমি সব ব্যবস্থা করে রেখেছি।
-আজ অনেকদিন পর আমার বিগ বেবি তার পছন্দের খাবার পাবে তাজীব।
ইরানের কথা মতো তাজীব কিনারে একটা সুইচে টিপ দেয়। বিশাল বড় রুমের জমিন অর্ধেক অংশ ফাঁক হয়ে সুমিংপুলের মতো হয়ে যায়। ছোটোখাটো পুলে পানিতে থৈ থৈ করছে। ইসরাফ ও তার বন্ধুরা গোল গোল চোখ করে সবটা দেখছে। ইসরাফ আশ্চর্য হয়ে বলে,
-বাহ্! একদম নিজের রাজ্যত্ব নিয়ে বসেছিস দেখি!
-আরো অনেক কিছু দেখতে পাবি। ওয়েট এন্ড ওয়াচ।
তাজীব একটু ভীত হয়ে দূরে সরে আসে। ইরান বসা থেকে উঠে দাঁড়ায়। পেন্টের পকেটে হাত দিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়ায়। উঁচু আওয়াজে সিস্ বাজাতেই হটাৎ করে পানির আবহাওয়া পরিবর্তন হয়। পানির ভিতরে কিছু একটা নড়াচড়া করতে দেখা যায়। ইরান আদুরে ডাকে বলে,
-হেই বেবিবয় কাম ফাস্ট ইট’স্ ইওর ইটিং টাইম।
ইরানের কথা শেষ হতে দেরি কিন্তু তার বেবির আসতে দেরি হয় না। এক সুবিশাল কুমির মাথা বের করে খানিক সময়ের জন্য আবার পানির নিচে চলে যায়। নোমান সাফি ভয়ে কেঁদে দেবে এমন অবস্থা। অনুতপ্ত কণ্ঠে বলে,
-ভাই ছেড়ে দেন আমাদের। এই ইসরাফের কথা মতোই আমরা এইরকম করেছি। ছেড়ে দেন আমাদের।
-ছেড়ে দিতাম যদি না ঐ হাত দিয়ে আমার আনাবিয়াকে টাচ করতি! তোর, ইয়েস তোর নেইল লেগেই আমার আনাবিয়া শরীরে আঘাত পেয়েছে! তোকে আমি কিভাবে ছাড়ি।
ইসরাফের চোখেও মরার ভয় দেখা যায়। ইরান সেসব তোয়াক্কা করল না। গম্ভীর কণ্ঠে ইসরাফকে বলে,
-তোকে আমি নিজ হাত দিয়ে মারতে চেয়েছিলাম বাট মায়ের বাধ্য ছেলে যে! আবার বউরও পসেসিভ হাসব্যান্ড বটে!
এতো কিছুর পরও ইসরাফ মুখ ফুটে কিছু বললো না। ইরান কয়েকজন বডিগার্ডকে ইশারা করে তাঁদের পানিতে ফেলে দিতে বাধা অবস্থায়ই। নোমান সাফি কান্না করে দেয়। ইসরাফ চিৎকার করে বলে,
-আজ আমাদের মারবি কাল এভাবেই তোকেও কেউ মারবে ইরান। নিজের প্রিয়জনের ধারাই তোর মরণ হবে। মিলিয়ে নিস।
-ওকে। বাই বাই মাই বয়’স।
কয়েকজন বডিগার্ড মিলে পানিতে ফেলে দেয় তিনজনকে। নোমান সাফি বাঁচার চেষ্টা করলেও ইসরাফ কোনোরকম চেষ্টা করে না। ইসরাফের এমনেও বাঁচার ইচ্ছে নেই। ইসরাফের মতে আনাবিয়া ইরানকে একসাথে হাসিখুশি দেখার থেকে মরে যাওয়াই ভালো। কুমির সাথে সাথেই আক্রমণ করে তাঁদের ওপর। ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে দেয় তাঁদের দেহ। সাদা পানি রক্তে লাল হয়ে যায়। তাজীব এইরকম বীভৎস দৃষ্টি দেখে চোখ বন্ধ করে ফেলে। ইরান কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে বিষয়টা এনজয় করে তারপর বডিগার্ড ও তাজীবকে সবটা বুঝিয়ে বেরিয়ে আসে সিক্রেট জায়গা থেকে। তখনও বাহিরে ফোটাফোটা বৃষ্টি পরছিল। ইরান ভেজা শরীর নিয়ে নিজের রুমে প্রবেশ করে। মাথা ভার ভার লাগছে তার। গরম নিঃশাস নিগত করছে। অন্ধকারে কাবাড হাতিয়ে কোনোরকম শর্ট পেন্ট ও তৈয়ালে নিয়ে ওয়াশরুম চলে যায়।
ত্রিশ মিনিটের লম্বা শাওয়ার নিয়ে বের হয় ইরান। অলস ভঙ্গিতে চুল মুছতে মুছতে ডিভাইনে বসে। জালানা দিয়ে আসা আলোতে দেখা যাচ্ছে আনাবিয়া গভীর ঘুমে মগ্ন। ইরান তাকে ডিসটার্ব করতে চাইলো না। সেই দুপুর থেকে না খাওয়া সে। এতক্ষন ভেজা অবস্থায় থাকায় নিজের ভিতরে জ্বর জ্বর অনুভব করছে সে। মাথা ব্যাথা করছে, শরীর অস্বাভাবিক ভাবে গরম হয়ে আছে। বসে থাকতে না পেরে ডিভাইনে শুয়ে পরে ইরান। এখন এতো লম্বা মানুষ ডিভাইনে কিভাবে ঘুমায়! বিরক্ত হয়ে উঠে দাঁড়ায় ইরান। বিছানার সামনে গিয়ে করুণ কণ্ঠে ধীরে ধীরে বলে,
-আই এম সরি ডিয়ার বিছানায় শোয়ার জন্য। বাট জ্বরে নিঃশাস নিতে পারছি না আমি এখন বিছানা, কম্বলের আমার অনেক প্রয়োজন। সো ডোন্ট মাইন্ড।
বিছানায় শুয়ে আনাবিয়ার গায়ে দেওয়া কম্বলের ভিতরে ঢুকে পরে ইরান। কোলবালিশের মতো আষ্টেপিষ্টে জড়িয়ে ধরে আনাবিয়াকে। কিছুক্ষনের মধ্যেই ঘুমের দেশে পারি জমায় ইরান।
ধীরে ধীরে রাত গভীর হতে থাকে। বৃষ্টি কমে ঠান্ডা বাতাস বইতে থাকে। এতো ঠান্ডার মধ্যে পেটে, পিঠে ও ঘাড়ে গরম অনুভব করতেই ঘুম ভেঙে যায় আনাবিয়ার। বিরক্ত হয়ে চোখ মেলে। পেটে রাখা ইরানের হাত টাচ করতেই ভড়কে যায় আনাবিয়া। ঘুম সম্পূর্ণ উপড়ে যায় তার। পিছনে ফিরে ইরানকে দেখে কপালে ও গলায় হাত দিয়ে শরীরের তাপমাত্রা চেক করে নেয়। মৃদু আওয়াজে বলে,
-তার শরীর তো অনেক বেশি গরম! হয়তো বৃষ্টিতে ভেজার কারণে জ্বর এসেছে।
আনাবিয়া বিছানা থেকে নেমে রুমের বাতি জ্বালিয়ে নেয়। জ্বরের ঔষধ বের করতেই তার মনে পরে ইরান তো খাবার খায়নি। দরজা খুলে কিচেন থেকে খাবার নিয়ে আসে ইরানের জন্য। তারপর উঁচু কণ্ঠে ইরানকে ডাকে। কিন্তু ইরানের কোনো সাড়াশব্দ নেই। আনাবিয়া রেগে ইরানের চুল ধরে টান দেয়। ঘুম ঘুম চোখে অসহায় কণ্ঠে ইরান বলে,
-এখন আমি ঝগড়া করতে পারব না আনাবিয়া প্লিজ আগামীকাল সকালের জন্য রেখে দেও।
-ইউ স্টুপিড! বৃষ্টিতে ভিজে জ্বর বাঁধিয়ে এখন বেশি বেশি কথা বলছেন! উঠুন খাবার খেয়ে মেডিসিন নিন।
-আমি এখন খাবো না।
-আমি আদেশ করেছি চুপচাপ খান জলদি।
আনাবিয়া জোর করে মুখ ধুইয়ে খাবার খাইয়ে দেয় ইরানকে। তারপর মেডিসিন খাইয়ে বিছানায় শুয়ে দেয়। বাতি নিভিয়ে ইরানের পাশে শুয়ে পরে। জ্বরের ঘোরে ইরান আনাবিয়াকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে। আনাবিয়ার বক্ষে মাথা দিয়ে বলে,
-আমার মাথা ভীষণ ব্যাথা করছে একটু টিপে দেও না আনাবিয়া।
-ভালোই তো সুযোগের সৎ ব্যবহার কেউ আপনার থেকে শিখুক!
আনাবিয়া স্মিত হেসে ইরানের মাথা টিপে দেয়। কিছু সময়ের জন্য নিজেদের ঝগড়া, দন্ড, অভিমান, রাগ সব ভুলে একেঅপরকে আপন করে নেয় দুইজন। জ্বরের ঘোরে ইরান নিজের শান্তির স্থানে মাথা দিয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে আছে আর আনাবিয়া পরম যত্নে প্রিয় মানুষটির মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। এভাবে ঘুমিয়ে পরে দুইজন। এক ভয়ংকর প্রভাতের পর এক মধুময় রাত।
>>>>চলবে।