সে পর্ব-৪

0
907

#গল্পপোকা_ধারাবাহিক_গল্প_প্রতিযোগিতা_২০২০
সানজিদা তাসনীম রিতু
সে পর্ব-৪

–“রিশা, ঘরের দরজা বন্ধ কর, সন্ধ্যায়…” একি মা, কাঁদছিস কেন এভাবে!”
-“মা, কি হলো আমার সাথে এগুলা মা? আমি কিছুই বুঝতে পারছিনা।”
আমাকে দুহাতে আগলে ধরে মা বললো- “তুইতো আমাকে কিছু বলিস না, কিছু জানতেও দিচ্ছিস না, আমাকে খুলে বল?”
-“আর বলে কি হবে মা? আমি চাইনা ওগুলো আর মনে করতে। তুমি যাও, নামাজ পড়ে নাও।”
দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে মা উঠে দাঁড়ালো, “দরজাটা বন্ধ করে দে।” বলে মা চলে গেলো।
দুমাস হতে চললো ওই ঘটনার পর। শরীরের জ্বালাপোড়া নেই এখন আর কিন্তু এই দগদগে ক্ষতগুলো আমাকে কিছু ভুলতেই তো দেয়না। আমি মনে না করেও থাকতে পারিনা, ওটা যদি রিশাদ না হয় তাহলে কে ছিলো নাকি বলবো কি ছিলো! হালকা আলোতে ভাবনায় ছেদ পড়লো। মা যাওয়ার পর দরজা বন্ধ করা হয়নি, ঘরের লাইট ও জ্বালানো হয়নি। সন্ধ্যা পার হয়ে গেছে, আমাদের বাড়ির কাছাকাছি কোনো বাড়িও নেই, তাহলে আলো আসছে কোত্থেকে!
ভালো করে তাকিয়ে দেখলাম দুমাস আগে যেই ফুলের চারাটা লাগিয়েছিলাম সেটা এখন পুরোদস্তুর একটা গুল্ম গাছ। অদ্ভুত সুন্দর মাঝারি আকারের নীলচে ফুল ফুটেছে একটাই, আলোটা ওই ফুল থেকেই ঠিকরে বের হচ্ছে যেনো। আচ্ছা কি ফুল যেনো এটা? নার্সারির ওই লোকটাতো বলেছিলো বিদেশি নাকি, নামটা মনে আসছেনা। আমি কৌতূহল আর মুগ্ধতা নিয়ে বাগানের দিকে হাঁটতে লাগলাম।
“কি অপূর্ব!” মনে মনে ফুলটার প্রশংসা না করে পারলাম না। এত সুন্দর অদ্ভুত ফুল আমি কোথাও দেখিনি। হাত দিয়ে ছুঁতে যাবো এমন সময় মৃদু ক্যাচ ক্যাচ শব্দ শুনলাম যেমনটা আমার রকিং চেয়ারে হয়। ঝট করে বাঁ দিকে তাকালাম যেখানে চেয়ারটা আছে, বিস্ফোরিত হয়ে দেখলাম ওটা একাই দোল খাচ্ছে, অথচ তেমন বাতাস তো নেই…
“মা, মা দরজা খোলা।” দৌঁড়িয়ে মায়ের দরজার সামনে গিয়ে ধাক্কাচ্ছি।
কোনো সাড়া শব্দ নেই,দরজা খোলেনা কেনো! ওদিকে আমার বাগান জুড়ে এতোক্ষনে হালকা বাতাসের খেলা শুরু হয়েছে, হচ্ছে কি এসব। আরও জোরে দরজাতে হাত দিয়ে বাড়ি মারতে লাগলাম, আতঙ্কিত চোখজোড়া বাগানের দিকেই। প্রচণ্ড জোরে করাৎ করে বাজ পড়লো অদূরেই, ঝলকা আলোতে দেখলাম ফুলগাছটার কাছে রিশাদ দাঁড়িয়ে হাসছে, কি বিদঘুটে হাসি!!!

মাথায় হালকা ব্যথা নিয়ে চোখ খুললাম, ঝকঝকে সকাল। আমি মায়ের ঘরের দরজার সামনে পড়ে আছি। পুরো শরীর ভেজা, বৃষ্টি হয়েছিলো হয়তো। রাতের কথা মনে হতেই তাড়াতাড়ি উঠে বসলাম। মায়ের ঘরের দরজা এখনও বন্ধ,আজব তো! মা তো অনেক সকালেই উঠে পড়ে।

-“আপনি বলতে চাচ্ছেন আপনি অজ্ঞান হয়ে পড়ে ছিলেন কিন্তু এদিকে আপনার মায়ের লাশ পড়ে আছে গোসলখানায়?” ইন্সপেক্টর রাফিউল প্রশ্নবিদ্ধ চোখে তাকিয়ে থাকলেন আমার দিকে.

এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি মাসে জিতে নিন নগদ টাকা এবং বই সামগ্রী উপহার।
শুধুমাত্র আপনার লেখা মানসম্মত গল্প/কবিতাগুলোই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। এবং সেই সাথে আপনাদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরষ্কার।

গল্পপোকার এবারের আয়োজন
ধারাবাহিক গল্প প্রতিযোগিতা

◆লেখক ৬ জন পাবে ৫০০ টাকা করে মোট ৩০০০ টাকা
◆পাঠক ২ জন পাবে ৫০০ টাকা করে ১০০০ টাকা।

আমাদের গল্প পোকা ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এই লিংকে ক্লিক করুন: https://www.facebook.com/groups/golpopoka/?ref=share