সিক্রেট গ্যাংস্টার পর্ব-১৪

0
1611

#সিক্রেট_গ্যাংস্টার❤️
#লামিয়া_রহমান_মেঘলা
#পর্ব_১৪

বাবা আর আমি মিলে অনেক রকম রান্না করলাম।
বাবা বেশ মজার মানুষ।
আমাদের হাসি মুখ দেখে নামতেই দেয় না।
এমন এক জন মানুষ তিনি।
প্রায় ২ ঘন্টার মধ্যে সব রান্না হয়ে গেল।
খাবার টেবিলে সব সাজিয়ে রাখলাম।
এক সাথে সবাই মিলে খেয়ে নিলাম।
খাবার শেষ করে বাবা গেলেন বাইরে।
আমি রুমে এসে জানালার পর্দা সরিয়ে বাইরে দেখছি।
এখান থেকে সামনের দৃশ্য টা বেশ সুন্দর আমার বাসা থেকে তো শুধু বিল্ডিং আর বিল্ডিং দেখা যেত কিন্তু এখান থেকে বেশ সবুজ সৌন্দর্য দেখা যায় ।
আমি আমার মতো বাইরে দেখতে ব্যাস্ত ঠিক তখনি মনে হলো কেউ পেছন থেকে জড়িয়ে ধরেছে।
আমার তো বুঝতে বাকি নেই সে কে।
তাই চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলাম।
–কি দেখে আমার মেঘ?
–সবুজ গাছ।
–আচ্ছা আমাকেও একটু দেখো তোমার জন্য বসে থাকি দিন ভর।
–ও আচ্ছা তাই।
–এক দম তাই।
–তাহলে একটা কাজ করা যায়।
–কি কাজ।
–একটা ছবি টানানো যায় এ ঘরে আপনার সেখান থেকে দেখা যায়।
–আমি তাজা তন্য তোমার সামনে থাকতে তোমার ছবির দরকার কেন?
–আপনি সমানে থাকলে তো দেখা কম দুষ্টুমি বেশি হবে তাই।
–ওরে পাজি তাই তো এখনো তো দুষ্টুমি শুরুই করলাম না।
কথাটা বলেই আমার পেটে সুরুসুরি দিতে শুরু করে,
–এই না আমার ভিশন সুরুসুরি প্লিজ না।
কে শুনে কার কথা সে তো হাত দিয়ে তার খেলা খেলছে এদিকে হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা হয়ে গেছে আমার,
–আল্লাহ প্লিজ আর না আর হাসতে পারছি না প্লিজ।
মেঘের কাহিল অবস্থা দেখে আমান ছেড়ে দিলো মেঘ কে।
–কি এতেটুকু তে কাহিল।
–এটাকে এতোটুকু বলে (হাঁপাতে হাঁপাতে)
পাজি বর যাহ কথা নাই।
–ওরে বাবা বৌ দেখে রাগ করে আসো রাগ ভাঙিশে দেয়।
–এই না খবরদার দুরে যাও আমি আর হাসতে পারব না পেটে খিল ধরে গেছে।
–আচ্ছা আর কিছু করছি না আসো।
–না আসবো না।
–এসো।
–না।
–আচ্ছা তবে আমি আসছি,
কথাটা বলে আমান এগোতে নিলে আমি দিলাম দৌড় ।
কিন্তু বেশি দুর যেতে পারি নি তার আগে ধরে ফেলেছে,
–এবার কি হবে,
–আপনার এতো বড়ো বড়ো হাত যে আমি ধরা খেয়ে যাই।
–ও বাবা তাই নাকি।
–হয় 😑
–আচ্ছা ঠিক আছে তবে লুকোচুরি খেলা যাক।
–সত্যি (উত্তেজিত হয়ে)
–হুম সত্যি ।
তুমি লুকাবে আমি খুঁজবো।
যদি খুঁজে পাই এই বাড়ির মধ্যে তাহলে তুমি আমাকে তা সব করতে দিবে যা আমি দিন ভর করতে চাই। আর যদি না পাই ২০ মিনিটের মধ্যে তবে তুমি যা চাও তাই।
–ওকে ডান ছাড়ুন৷
–ওকে
তাহলে আপনি ৫০ পর্যন্ত কাউন্ট করবেন ।
–হুম ডান তোমার সময় শুরু হলো,
১,২,৩….
আমান গুনতে থাকলেন আমি দৌড়ে বেরিয়ে এলাম।
সামনে থাকা স্টোর রুমের মতো ঢুকলাম।
সেখানে অন্ধকার এর মধ্যে নিশ্চিত খুজে পাবে না।
হালকা আলো আসছে বাইরে থেকে থাই গ্লাসের ওপার থেকে।
সেই মৃদু আলোতে আমি একটা বই রাখা rack মনে হলো তার পেছনে গিয়ে লুকালাম।
আমি তার পেছনে যেতেই কিছু একটা পরার শব্দ হলো,
–এই রে ফেসে গেছি এবার ধরে ফেলবে।
জলদি করে সেটাকে ওঠাতে গিয়ে একটা ছবি দেখতে পেলাম।
৪০-৫০ বছর বয়সের কোন পুরুষ মানুষের মনে হলো।
ছবির পেছনে প্রোফেসর আর একটা নাম লেখা বুঝা যাচ্ছে না কিন্তু তার পাশে খান লেখা।
বুঝা যাচ্ছে কোন প্রোফেসর তার কোন নাম এর পদবি খান হিসাবে লেখা।
কিন্তু এটা কে।
আমি বেশ অবাক হলাম ছবিটা দেখে এনাকে আমি কখনো দেখি নি।
ছবি নিশে পর্যবেক্ষণ করছিলাম ঠিক তখনি কেউ ঝড়ের গতিতে আমার থেকে ছবিটা নিয়ে নিলো।
আমি সামনে তাকিয়ে আমানকে দেখতে পেলাম।
ভ্রু কুচকে তাকালাম।
উনি কিছুটা সাভাবিক হয়ে বললেন,
–ধরে ফেলেছি মেঘ ২০ মিনিট এখনো হয় নি।
–ওকে আগে আমাকে একটা উত্তর দিন।
–উত্তর পরে আগে দেখি তোমায় দিয়ে আজ কি কি করাবো।
–আমান কিন্তু,
উনি আমাকে এভোয়েট করে আমাকে কোলে তুলে নিলেন,
–আরে আমি হাঁটতে পারবো,
–না আমি যা বলব তাই,
আমি কিছুটা অবাক নয়নে তাকিয়ে রইলাম।
সে আমাকে নিয়ে রুমে এলো,
–কি হলো এভাবে কি দেখো।
–আমি কিছু,।
–কাপড় পরো তোমার বাসায় যাবো আজ।
–কি!
–কি না জি।
–সত্যি,
–হ্যাঁ সত্যি কাপড় বদলে নেও আমি অন্য রুমে রেডি হচ্ছি।
–ওকে।
আমি মহা খুশিতে কাপড় নিয়ে বাধরুমে গেলাম৷
মেঘ উত্তেজনার বসে সবটা ভুলে গেল।
,
সুন্দর করে রেডি হয়ে নিলাম।
আমার রেডি হবা শেষে আমান আসলো।
ওকে দেখে আকাশ জুড়া হাসি দিলাম।
ও মুচকি হেসে বলল,
–চলো,
আমি ওনার সাথে বার হলাম,
–আচ্ছা বাবা!
–বাবাও আসবে কিন্তু আলাদা।
–ওহ তাহলে অনেক মজা হবে।
–হুম।
আমান গাড়ি চালাতে চলাতে বলল।
কিছু সময় পর আমরা আমার বাসায় পৌঁছে গেলাম।
মা বাবা আমাদের দেখে মহা খুশি,
চলবে,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে