সিক্রেট এজেন্ট পর্বঃ ০১
– আবির খান
দেশের কিছু বড় বড় বিশ্বস্ত নিরাপত্তা কর্মীদের হেড যারা আছেন তারা বসে কথা বলছে। মানে গোল টেবিলে মিটিং চলছে। এখানে ডিবি থেকে পুলিশ পর্যন্ত সবাই হাই লেভেলের। মানে প্রতি ডিপার্টমেন্টের চিফ সবাই। জনাব তুহিন আহমেদ এদের মধ্যে সবচেয়ে উপরে। মানে সবাই ওনার কথা শুনে। উনি সবার বস। তিনি বলে উঠলেন,”দেশের অবস্থাতো খুব খারাপ। প্রতিদিন নিউজ পেপারে এটা ওটা কত খবর দেখছি ক্রাইমের। সাধারণ মানুষগুলোর আমাদের প্রতি থেকে বিশ্বাস উঠে যাচ্ছে। আপনারা সবাই কি করছেন আমি বুঝতে পারছি না!!!” তুহিন আহমেদের পরে যিনি আছেন অর্থ্যাৎ জামাল সাহেব তিনি বললেন,”স্যার আমরা অনেক চেষ্টা করছি কিন্তু কন্ট্রোলে আনতে পারছি না। কারণ একটাই।” তুহিন আহমেদ বললেন,” কি কারণ??” জামাল সাহেব বললেন,”স্যার, এখনো ৩ টা মাফিয়া মিলে এসব করছে। তারা আমাদের সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে কিন্তু প্রমাণের অভাবে আমরা তাদের ধরতে পারছিনা।” তুহিন আহমেদ ক্ষিপ্ত স্বরে বললেন,”তাহলে এখন আমরা কি করবো?? এভাবে চললে তো দেশের অনেক বড় একটা ক্ষতি হয়ে যাবে।” সবাই যখন মাথা নত করে বসে ছিলো ঠিক তখন পুলিশ প্রধান হাসান সাহেব বলে উঠলেন,”স্যার আমার কিছু বলার ছিলো যদি পারমিশন পেতাম।” তুহিন আহমেদ বললেন, ” হ্যাঁ বলো।” হাসান সাহেব বললেন,”স্যার, আমরা যারা আছি কম বেশি প্রায়ই আমরা আমাদের নিজস্ব পোশাকে থাকি। ফলে শত্রু পক্ষ খুব সহজের আমাদের চিনে ফেলে। আমাদের মুখ তাদের কাছে পরিচিত হয়ে যায়। ফলে তারা আমাদের দেখলেই সতর্ক হয়ে যায়। তাই এর জন্য শুধু এখন একটাই রাস্তা আছে।” সবাই একসাথে বলে উঠলো, “কি হাসান সাহেব??” হাসান সাহেব জোর কণ্ঠে বললেন, “সিক্রেট এজেন্ট।” সবাই একসাথে অবাক হয়ে বলল,”সিক্রেট এজেন্ট!!!” হাসান সাহেব শান্ত গলায় বললেন,”জ্বি সিক্রেট এজেন্ট। এই সিক্রেট এজেন্টদের কেউ চিনে না জানে না এবং ধরতে পারে না। স্যার গত ২ মাস আগে ইয়াবা বিক্রেতার যে বড় চক্রটা ধ্বংস করেছিলো কিন্তু এই সিক্রেট এজেন্ট। এই সিক্রেট এজেন্ট খুব সাধারণ ভাবে থাকে চলে। কিন্তু মিশনের সময় হয়ে উঠে একজন যোদ্ধা।” তুহিন আহমেদ বললেন, “হ্যাঁ ঠিক বলেছো এখন ওকে মাঠে নামানোর সময় হয়েছে। ওকে খবর দেও।” সবাই বলে উঠলো, “কে এই সিক্রেট এজেন্ট??” হাসান সাহেব উজ্জীবিত হয়ে বললেন,”স্যার, সে আজ অব্দি একটা মিশনেও ফেল করেনি। প্রতিটি মিশনে সে সাকসেসফুল। ওয়েল ট্রেইনিং প্রাপ্ত একজন সৈনিক। যে বাঘের মতো শিকার করে। তার হাত থেকে বাঁচা ইমপ্সিবল। সে একাই ১০০। সে হলো আফরান, দ্যা সিক্রেট এজেন্ট অফ ফাইভ স্টার ইনকাউন্টার স্পেশালিষ্ট।” তুহিন আহমেদ বলে উঠলেন,”হ্যাঁ হ্যাঁ এখন ওকেই দরকার অামাদের। হাসান সাহেব, ওতো আপনার পরিচিত ওকে কাল আমার সাথে দেখা করতে বলেন। ওকে এক বড় মিশন দেওয়া হবে।” হাসান সাহেব কিঞ্চিৎ খুশি হয়ে বললেন,”জ্বি স্যার অবশ্যই।” এবার তুহিন আহমেদ সবাইকে উদ্দেশ্য করে বললেন,”তাহলে আমাদের মিটিং আজ এখানেই শেষ হলো। পরবর্তী সিদ্ধান্ত আপনাদের পরে জানানো হবে। সবাই একসাথে বলল,”ওকে স্যার।” এরপর সবাই চলে গেলো।
পরদিন সকালে,
“খোকা উঠ আর কতো ঘুমাবি। চাকরিতে যাবি না?? আর আমি বুঝিও না, তুই যে কি এমন চাকরি করিস এতো দেরি করে যাস তোকে কিছু বলেও না। আরে ওঠ খোকা।” আরফানের মায়ের প্রতিদিনের কাজ এটা। আরফান এত্তো ঘুমায় যে তার মা তাকে ডাক না দিলে সে ওঠেই না। ছেলেটার ঘুম বড্ড বেশি। আর বেশি হবেই বা না কেনো?? দেশের জন্য যে তাকে ভাবতে হয়। মায়ের ডাকাডাকিতে আফরানের ঘুম ভেঙে যায়। চোখ মিলে মায়ের পবিত্র মুখখানা দেখতে পায়। সকাল সকাল মায়ের মুখ না দেখলে আফরানের দিনটাই ভালো যায় না। আফরান উঠে বসে। আফরানের মা একটু অভিমানী কণ্ঠে বলেন,”তোকে আর কতোদিন আমি ডাকতে আসবো বলতো। এতো বড় হয়েছিস তাও নিজে নিজে উঠতে পারিস না।” আফরান মাকে জড়িয়ে ধরে একটা হাসি দিয়ে বলে,” মা জানো আমি কিন্তু ইচ্ছা করেই দেরি করে উঠি। যাতে দিনের শুরুটা আমার মায়ের পবিত্র মুখ দেখেই শুরু হয়। তাই ইচ্ছা করেই উঠি না।” “এহহ আসছে। এখনতো এমন বলছিস যখন বউ আসবে তখনতো আর মায়ের কথা মনে থাকবেনা।” আফরানের মা মজার সুরে কথাগুলো বলল। আফরান বলল,”ধুর কি যে বলো না মা। তোমার উপরে এক আল্লাহ ছাড়া আর কেউ নাই। তোমার জায়গা আমার কাছ থেকে কেউ নিতে পারবে না।” আফরানের মা মিনতির স্বরে বললেন,”খোকা এবার বিয়েটা করে ফেলনা বাবা। আর কতো একা থাকবি। ২৮ বছর হলো। সেই কবে তোর পড়া লেখা শেষ। ৫ বছর যাবত চাকরিও করছিস। ভালো টাকা আয়ও করিস। গাড়ি বাড়ি সবইতো আছে আমাদের। এবার বিয়েটা করে ফেল বাবা।” “শুরু হইছে না!! প্রতিদিন এই এক বিয়ে কর বিয়ে কর। আমি বিয়ে করলে কিন্তু আর তোমাকে ভালোবাসবো না। তারপর সারাদিন একাই থাকতে হবে।” আফরান মজা করে বলল। আফরানের মা উজ্জীবিত হয়ে বলল,”খোকা আমি তাও রাজি। কিন্তু তুই বিয়েটা করে ফেল। তোর ছেলে মেয়ে নিয়ে আমি সারাদিন বসে থাকবো। আমার সময় চলে যাবে। আর না করিস না বাবা।” মায়ের এমন আকুতি দেখে আফরান যে কি বলবে তার ভাষা খুঁজে পাচ্ছে না। আফরান বলল,”আচ্ছা মা করবো নে। আরো কদিন যাক তারপ….” হঠাৎই আফরানের ল্যান্ড ফোনটা ক্রিংক্রিং করে বেজে উঠে। আফরানের মুখ শক্ত হয়ে যায়। আফরান তাড়াতাড়ি বলে,”আচ্ছা মা তুমি এখন যাও আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি। যাও যাও।” “কিরে তোর এটায় ফোন আসলেই তুই এমন অদ্ভুত আচরণ করিস কেন??” আফরানের মা অবাক হয়ে বলে। আফরান অস্থিরতা নিয়ে বলে,”আরে কই। তুমি যাও, দেখি কে ফোন দিলো।” “আচ্ছা যাচ্ছি বাবা। তুই তাড়াতাড়ি আসিস।” আফরানে মা বলেই চলে গেলো। মা চলে গেলে আফরান তাড়াতাড়ি ফোনটা তুলে কিন্তু আবার সাথে সাথেই রেখে দেয়। কারণ এটা কোনো সাধারণ ফোন না। আফরানের সিক্রেট বেইসে কোনো ইনফরমেশন এলে অর্থ্যাৎ কোনো হাই ডিপার্টমেন্ট থেকে ম্যাসেজ আসলে এটা এলার্ট করে। আফরানকে এখনই ওর সিক্রেট বেইসে যেতে হবে। আফরান তাড়াতাড়ি ওর রুমের বাইরে গিয়ে আসে পাশে তাকিয়ে দেখে কেউ আছে কিনা। মানে ওর মা বা কাজের লোকরা আছে কিনা। আফরান দেখে কেউ নাই। ও রুমে এসে ওর বুক সেল্ফের কাছে এগিয়ে যায়। সেখান থেকে রেড কালারের বুকটায় ওর ফিঙ্গার প্রিন্ট দেওয়া মাত্রই ওয়াল ঘুরে যায়। আর আফরানকে সোজা লিফটে নিয়ে যায়। লিফট নিচে আন্ডারগ্রাউন্ডে নিয়ে যায় আফরানকে। অর্থ্যাৎ সিক্রেট বেইসে। আর উপরে বুক সেল্ফ আগের মতোই হয়ে যায়। ফলে কেউ বুঝতে পারে না। আফরানকে ওর ডিপার্টমেন্ট থেকে এই হাইটেক বাসা দেওয়া হয়। ওর ডিমান্ড অনুযায়ী এই সিক্রেট বেইস বানানো হয়। তবে প্রোগ্রামিং সব ওর করা। আফরানের মা জানে এই বাসা ওকে ওর সাধারণ অফিস থেকে দেওয়া হয়েছে। আফরান তাড়াতাড়ি একটা স্ক্যানারের সামনে দাঁড়িয়ে যায়। সেটা ওর হৃস্পন্দন আর চোখের রেটিনা স্ক্যান করে। করা মাত্রই এক্সেস দিয়ে দেয়। আফরান ভিতরে ঢুকে কম্পিউটারের সামনে বসে ম্যাসেজ অন করে পড়েই হাসান সাহেবকে ভিডিও কল দেয়।
— হ্যালো আফরান কেমন আছো??(হাসান সাহেব)
— জ্বি আঙ্কেল ভালো। আপনাদের কি অবস্থা?? গতকাল নাকি একটা জরুরি মিটিং হলো। (আফরান)
— ও মাই গড তুমি জানলে কিভাবে?? এটাতো গোপন মিটিং ছিলো। অবাক হয়ে।
— আঙ্কেল, আমি কে আপনে মনে হয় ভুলে গিয়েছেন। আচ্ছা এখন আসল কথা বলেন। আমি জানতাম এই মিটিং এর পর আমার তলব পরবে। বলেন এখন।
— বাবা, দেশের অবস্থাতো খুব খারাপ। কোনো ভাবেই কন্ট্রোলে আনতে পারছি না। আর এই সব…
— আমি জানি কে করছে।
— কে বলো তো। অবাক হয়ে।
— জাফর খান। দ্যা মোস্ট ওয়ান্টেড মাফিয়া। তার অধীনেই বাকি দুজন মাফিয়া কাজ করে।
— বাহ!!! তুমিতো দেখি সবই জানো। তার জন্যই তোমার বাবার মতো তোমাকেও আমার পছন্দ। তুমি না থাকলে আমাদের রাতের ঘুম হারাম হয়ে যেতো।
— আঙ্কেল আমরা সবাই এক। শুধু সবার দায়িত্ব সীমা ভিন্ন।
— হ্যাঁ। শোনো আফরান, আজ তোমাকে আমাদের সবচেয়ে বড় স্যার অর্থ্যাৎ তুহিন আহমেদ স্যারের সাথে দেখা করতে হবে। তিনি তোমার সাথে দেখা করতে চেয়েছেন। আমিও সাথে থাকবোনে।
— আচ্ছা তাহলে আমি একটু পর আসছি। আপনাদের ডিপার্টমেন্ট সম্পর্কে আমার কাছে একটা ইনফরমেশন আছে সেটাও বলতে হবে। এসেই বলছি।
— আচ্ছা আসো তাহলে।
কল কেঁটে দিয়ে আফরান ওর সাথীদের কল দেয়।
— শোন তোরা, নতুন মিশন শুরু হতে যাচ্ছে আই গেস। সবাই রেডি থাক। আর আর্মসগুলো ভালো করে ঝালাই করে রাখিস। এবারের মিশন অনেক বড়।
— আচ্ছা দোস্ত। সবাই বলল।
— আমি ফোন দিলে সবাই জায়গা মতো নরমাল ড্রেসে চলে আসিস।
— ঠিক আছে। সবাই বলল।
আফরান এরপর উপরে চলে যায়। গিয়ে ফ্রেশ হয়ে মায়ের সাথে নাস্তা খেতে বসে। চলুন এই ফাঁকে জেনে আসি আফরানের সাথীদের সম্পর্কে।
আফরানের সাথী হলো মোট ৫ জন ও ছাড়া। তারা হলো, সালমান, শামিম, নিলয়, রাফি আর মামুন। এরা হলো আফরানের টিম মেইট। এদের ছাড়া আফরানের মিশন ইম্পসিবল। এরা আফরানের শরীরের অঙ্গের মতো। একটা ছাড়াও চলা যায় না। এরা সবাই আফরানের ছোট বেলার বন্ধু। সবাই উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত। সবার মেধাও প্রচুর সার্প। ওর প্রতিটি সাথী বিভিন্ন বিষয়ে এক্সপার্ট৷ যেমন, শামিম হাইটেক বোমা বানাতে পারে, নিলয় মেডিসিন নিয়ে, রাফি আর মামুন গ্রেট সুটার আর সালমান হলো আর্মস স্পেশালিষ্ট। আর আফরান এসব কিছুর বিশেষজ্ঞ। এদের সবাইকে চালায় আফরান নিজে। এরা আবার আফরানকে ছাড়া চলতে পারেনা। পৃথিবীর কারো কমান্ড তারা শুনবে না শুধু আফরান ছাড়া। আফরানের জন্য যদি তাদের জীবন দিতে হয় তারা খুশি খুশি দিয়ে দিবে। কারণ তারা প্রচুর ভালোবাসে আফরানকে। এই ভালোবাসার অন্যতম একটা কারণও আছে। এই ৫ টা ছেলেই ছিলো গরীব পরিবারের।
কিন্তু আফরানের কারণে আজ তারা একেকজন যেমন ধনী তেমনি একেকজন একজন সৈনিক। আফরান সরকারের কাছ থেকে স্পেশাল পারমিশন নিয়ে এই সিক্রেট এজেন্টের টিম বানায়। ওদের ডিপার্টমেন্টের সবাই ওদেরকে সিক্স ম্যান ওয়ারিয়র্স নামে চিনে। কিন্তু ওদের দেখে নি। শুধু মাত্র বিশেষ হাই লেভেলের লোকেরা আফরানকে দেখেছে। যেমন তুহিন আহমেদ। তিনি সব ডিপার্টমেন্টের হেড। এই হলো আমাদের সিক্রেট এজেন্টস।
এবার জানা যাক এই সিক্রেট এজেন্ট আফরান সম্পর্কে। আফরান ওর বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে। আফরানের বাবা আর্মিতে ছিলেন। বাবার আর্দশেই আফরান এই পথে। আফরানের বাবা মারা গিয়েছেন ৫ বছর হয়েছে। বাবার শেষ কথা ছিলো,
— আফরান, আমার জীবনটা আমি দেশের জন্য বিলিয়ে দিয়েছি কোনো স্বার্থ ছাড়া। বাবা তুইও কিন্তু আমার পথে চলবি। দেশের জন্য কিছু করবি। আমার দেওয়া ট্রেনিংগুলো সবসময় প্রেক্টিস করবি। বল বাবা আমার কথা রাখবি।
বাবার সেই কথা রাখতে আর মানতে গিয়ে আফরান আজ দেশের এক নাম্বার সিক্রেট এজেন্ট। আফরান দেখতে এত্তো হ্যান্ডসাম যে মেয়েরা ওর জন্য পাগল। ফর্সা মুখ। হালকা চাপ দাড়ি। ঘন কালো বড় চুল। লম্বা সুঠাম দেহ। সিক্সপ্যাক বডি। মানে একদম নায়ক। সব দিক থেকেই পারফেক্ট আফরান।
নাস্তা শেষে ব্লাক কালারের বাইক নিয়ে চলে যায় তুহিন আহমেদের সাথে দেখা করতে তার বাসায়। ওয়েটিং রুমে বসে অপেক্ষা করছিলো আফরান আর হাসান সাহেব।
— আরে ইয়াং ম্যান আফরান যে। বসো বসো দাঁড়াতে হবে না। হাসান বসো।
আফরান আর হাসান সাহেব আবার বসলেন।
— স্যার আফরানকে নিয়ে আসলাম। (হাসান সাহেব)
— খুব ভালো করেছো হাসান।
আফরান বলে উঠলো,
— স্যার আমাকে ডেকে ছিলেন।
— হ্যাঁ ইয়াং ম্যান। আমি জানি তুমি সব কিছুই জানো। তাই আর কিছু বলতে চাই না। তাই তোমার কাছেই শুনতে চাই তুমি কি করবে।
— ধন্যবাদ স্যার। স্যার আসলে আগে একটা কথা বলতে চাই।
— হ্যাঁ অবশ্যই বলো।
— স্যার আপনাদের ডিপার্টমেন্টে আমার মতে জাফর খানের স্পাই আছে। যে অাপনাদের সব খবর জাফর খানের কাছে পৌঁছে দেয়। ফলে আপনারা যখন অ্যাকশনে যান তখন তারা তার আগেই পালিয়ে যায়। যার ফলে ধরতে পারেন না।
— হ্যাঁ এই স্পাইয়ের জন্যই মাফিয়া জাফরটাকে ধরতে পারিনা। আমরা জাওয়ার আগেই ও পালিয়ে যায়। তাহলে এখন কি করা যায় আফরান?? কিভাবে ওকে থামাবো আর কিভাবে এই স্পাইকে ধরবো??
— স্যার আমার প্লান সব রেডি। আমি আমার মতো করে কাজ করবো। কেউ কিছু জানবে না। জাফরের মেইন বিজনেস হলো মাদক আর নারী পাঁচার। আমি এই দুটো আগে দমন করবো। তাহলে ও এমনি ওর খোপ থেকে মুরগির মতো বেরিয়ে আসবে। আর ঠিক তখনই ও আমার গুলি খেয়ে মরবে। আর যে স্পাই সে এখন থাক। তাকে এখন ধরবো না। কারণ সেই জাফর খানকে বের করে দিবে।
— বাহ আফরান। সত্যিই আমি গর্বিত তোমাকে আমার ডিপার্টমেন্ট এ পেয়ে। আর হাসান সাহেব আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ। আমার মনে আছে আপনিই ওকে এনেছিলেন।
— স্যার কি যে বলেন। ওর বাবা আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু ছিলো। ওকে এই রাস্তায় আনার জন্য তিনিই আমাকে বলে গিয়েছেন। আমিও সেই কথা মেনে ওকে আপনার কাছে নিয়ে আসলাম। ও একদম ওর বাবার মতো। নিজের কাজের প্রতি খুব অনেস্ট আর সিনসিয়ার।
— হ্যাঁ ঠিক বলেছো। আফরানের বাবা অনেক ভালো একজন মানুষ ছিলেন। তার কথা এখনো সবাই মনে করে। আর তার ছেলে আফরান, সেও তার বাবার মতো একদম।
— জ্বি স্যার।
— তাহলে আফরান তুমি তোমার মতো কাজ করো। আমার সব ধরনের সাহায্য তুমি পাবে।
— ওকে স্যার। তাহলে কালই অ্যাকশনে যাচ্ছি। জাফর খান এবার শেষ।
— হ্যাঁ। তুমিই পারবা শয়তানটাকে শেষ করতে।
এরপর আফরান আর হাসান সাহেব বেরিয়ে গেলেন।
— আফরান, এই মিশনটা কিন্তু অনেক হার্ড। জাফর খান অনেক খারাপ একটা লোক। ওকে পারবে শেষ করতে??(হাসান সাহেব)
— আঙ্কেল, আমার দেশে কোনো আগাছা থাকবে না। শুধু দেখেন আপনি।
— বাহ!!! আচ্ছা চলো।
— হুম চলেন।
বিকেলে,
— হ্যাঁ তোরা এসে পর। আমি অপেক্ষায় আছি।
আফরান ওদের মিটিং প্লেসে দাঁড়িয়ে আছে। ওদের মিটিং প্লেস হলো একটা পুরনো বাড়ির পিছনে। আফরান সেখানে অনেকক্ষন যাবত অপেক্ষা করছে। হঠাৎই….
চলবে…
– কোনো ভুল হলে জানাবেন।
আর কেমন লেগেছে জানিয়েন কিন্তু। সাথে থাকবেন।