#সিঁদুর_রাঙা_মেঘ
#সুরাইয়া সাত্তার ঊর্মি
পর্ব-২৫,২৬,২৭
আজ ইউসুফের বিয়ে। সকলেই রেডি হচ্ছে। ইউসুফকে জাবেদ আর সাবিত রেডি করিয়ে দিচ্ছে। কুহু দূর থেকে ফোনে সব কিছু রেকর্ড করে নিচ্ছে। কাল তারা চলে যাবে এ স্মৃতি টুকুই সম্বল কুহুর কাছে।
—“চুপি চুপি আর কত ছবি, আর ভিডিও করবি আপি?”
মিহুর কথায় কুহু খানিকটা ভয় পেয়ে ফোন লুকিয়ে আসতেই মিহু আবার বলে,,
—“আপি লুকিয়ে লাভ নেই আমি দেখছি। যাকে তুই ভালবাসিস না, বিয়ে করবি না বলে পালালি তার জন্য চোখে আজ জল কেন তোর? তোর তো খুশি হওয়ার কথা!”
মিহুর কথায় কিছুই বলতে পারে না কুহু। চোখে জল টুকু মুছে রুমে পা বাড়ায়।
পিছন থেকে মিহু ছোট শ্বাস ছেড়ে বলে,,
—“থাকতে যখন পারছোনা আটকাচ্ছো না কেন আপি? প্লীজ আটকাও এটাই শেষ সুযোগ।”
বরযাত্রী একে একে বাড়ি থেকে বের হতে লাগলো। কুহু আর মাইশা বাসায় থেকে গেল। কুহু পারবেনা তার ভালবাসার মানুষটিকে অন্য কারো জন্য কবুল বলতে দেখে। কুহু রুমে দরজা দিয়ে চোখের পানি বিসর্জন দিচ্ছে। তখনি দরজায় কেও টোকা দেয়। কুহু দরজা খুলতেই স্বয়ং ইউসুফকে দেখে বিস্মিত হয়। বিস্ময় ধরে রাখতে না পেরে জিগ্যেস করে,,
—” আপনি এসময় এখানে?”
ইউসুফ মেকি হেসে একটি কাগজ এগিয়ে দিয়ে বলে,,
—” নতুন সম্পর্ক গড়তে যাচ্ছি তাই পুরাতন সম্পর্ক ভাঙ্গতে এলাম। নে তোর মুক্তির চাবিকাঠি! ”
কুহু কাগজটি হাতে নিলো ঠোঁট কামরে কান্না চাপানোর বৃথা চেষ্টা করলো। ইউসুফ সাথে সাথে স্থান ত্যাগ করলো।
কুহু দরজা লাগিয়ে সেখানেই বসে পড়লো। কাগজটি বুকে সাথে জড়িয়ে হাউ-মাউ করে কাঁদতে লাগলো। একটি সাক্ষরের মাঝেই মুহূর্তে শেষ হয়ে যাবে তাদের সম্পর্ক। ভাবতেই আরো কান্না আসচ্ছে কুহুর। বুকের ভিতর ভিষণ রকম জ্বালা করছে তার। যা তীব্র হচ্ছে খুব। কুহু সইতে পারলো না আর খাটের সাথে লাগানো টেবিল ড্রয়ার থেকে ঘুমের ঔষধ বের করে নিলো। এক সাথে ১০,১৫ টা বড়ি ছুটিয়ে হাতে নিলো। হাত কাঁপাচ্ছে তার ভিষণ রকম। এ বিয়ে ভাঙ্গতে চায় না কুহু। না চায় অন্য কারো হতে। ইউসুফের অর্ধাঙ্গীনি হয়েই পৃথিবী ত্যাগ করতে যায়। সে ভেবেই কুহু ঔষধটুকু মুখে দিতে চাইলো। ঠিক সেই মুহূর্তে মাইশার গলার ওয়াজ পাওয়া গেল নিচ থেকে। সে ইউসুফ বলে এক গগনবিদারী চিৎকার দিয়েছে। কুহু সঙ্গে সঙ্গে ঔষধ ফেলে দৌড়ে নিচে যেতেই দেখলো……..
পেইজ উল্টাতে নিবে চিত্রা তখনি কোথা থেকে একটি হাত ডায়েরি হওয়ায় উঠিয়ে নিলো। হুর অবাক হয়ে চেঁচিয়ে উঠলো। সামনে লোকটিকে দেখে শুকনো ঢুক গিলে ভয়ে ভয়ে বলল,,
—” আপনি এখানে কি করেন? বাবা বাসায় নেই পরে আসুন!”
নাওয়াজ চিত্রার কথা কর্ণপাত না করলো না। সে তার মুখে বিশ্রী হাসির রেখা টেনে বলল,,
—“সুন্দরী ফোন কেনো তুলছিলে না আমার?”
চিত্রা রেগেই উত্তর দিলো,,
—” আপনি আমার ইম্পর্টেন্ট কেউ নন যে তুলতে হবে! আমার ডায়েরি দিন!”
চিত্রার কথায় রাগ হলো নাওয়াজ তাও বাঁকা হেসে বলল,,
–” ইম্পর্টেন্ট হইনি! হতে কতখন? আফটার ওল তুমি আমার হবু বউ!”
চিত্রা এক রাশ ঘৃণা নিয়ে বলল,,
—” দুঃখ স্বপ্ন আপনার । আমি বেঁচে থাকতেও এ স্বপ্ন কখনো পূরণ হবে না আপনার!এবার আমার ডায়েরি দিন। আর বের হোন রুম থেকে।”
নাওয়াজ হাসলো আবার ডায়েরি উপরে তুলে ধরলো আরো। চিত্রা এবার লাগাতে লাগলো ধরার জন্য। তখনি নাওয়াজ তার বিচ্ছিরি নজরে চিত্রার পা থেকে মাথা স্ক্যান করতে লাগলো। আজ এমনিতেও সে ডিংক্স করেছে। নেশা তখন ঠিক মতো না হলেও চিত্রাকে দেখে নেশা ভাল করে চেপেছে। চিত্রা তা বুঝতে পেরে রুম ত্যাগ করতে চাইলো। নাওয়াজ তখন ডায়েরিটা ফেলে চিত্রাকে হেচকা টান মেরে বিছানায় ফেলে দিলো। চিত্রা বিস্ময় নিয়ে চেচিয়ে বলল,,
—” এসব কি করছেন আপনি। বের হোন আমার রুম থেকে!”
নাওয়াজের হেলদোল হলো না। তার মাথায় এখন চিত্রার নেশা ভর করেছে সে এ মুহূর্তে চিত্রার দেহটাই চায়। সে কাঁধ এ পাশ ওপাশ করে ঝাঁকালো। বিশ্রী গালি দিয়ে বলল,,
—” আমাকে বিয়ে কিভাবে না করিস আজ দেখবো। ”
বলেই হামলে পড়লো চিত্রার উপর। চিত্রা চিৎকার দিতে লাগলো। চিত্রার চিৎকারে টুম্পা এসে রুম ধাক্কাতে লাগলো। ভিতর থেকে লাগালো রুম। কি করবে ভেবেই ডেকে আনলো দারোয়ানকে। দারোয়ান দরজা ভাঙ্গার ট্রাই করতে লাগলো। এর মাঝেই টুম্পা ল্যান্ড লাইনে কল করলো চিত্রার বাবাকে। তিনি রাস্তায়, বাসায় পিড়ছিলেন। এমন ঘটনা শোনে ড্রাইভারকে জলদি চালাতে বললেন গাড়ি। পুলিশকে কল করলেন তিনি।
এদিকে চিত্রা না পেরে কামড় বসালো কানের মাঝে নাওয়াজের। নাওয়াজ ব্যথায় ছাঁড়তেই চিত্রা উঠে যেতে নিবে তখনি চিত্রার চুলে মুঠি ধরে এক থাপ্পড় লাগালো।থাপ্পরে চোটে রক্ত বের হয়ে গেল ঠোঁটের কোনা কেঁটে চিত্রা কিছুতেই পেরে উঠছে না নাওয়াজের সাথে। যেন অসুরের শক্তি ভর করেছে। চিত্রা নে পেরে পাশের টেবিলে থাকা ছবির ফ্রেম নিয়ে লাগাতার নাওয়াজের মাথায় মারতে লাগলো। নাওয়াজ ব্যথায় কুকিয়ে উঠে। মাথা চেপে ধরে। চিত্রা তখন ছাড়া পেয়ে এক দৌড়ে দরজা খুলে বের হয়ে আসে। চিত্রাকে এমন জীর্ণশীর্ণ অবস্থা দেখে টুম্পা আকাশ থেকে পরে।তাড়াতাড়ি একটি ওড়না ধারা তার পড়নের ছেঁড়া কাপড় ঢেকে দেয়। নাওয়াজ বের হতে চাইলে দারোয়ান তার লাঠি দিয়ে তারে পিটাতে থাকে। চিত্রা ভয়ে গুটিশুটি মরে সোফায় টুম্পাকে ধরে বসে কাঁপছে।
তখনি চিত্রার বাবা পুলিশ সহ বাসায় ঢোকেন মেয়ের এ হাল দেখে তিনি ভেঙ্গে পড়েন। চিত্রা বাবাকে দেখে হাউ মাউ করে কাঁদতে লাগে। নাওয়াজ তখন আধমরা দারোয়ানের মার খেয়ে। তাকে পুলিশ টেনেটুনে নিয়ে যায়৷ চিত্রার বাবা বলেন,,
—” এই জানোয়ারের মৃতুদন্ড চাই!”
পুলিশ বলল,,
—“একে মৃত্যু দন্ড দিলেও কম হবে। এর কত রস আজ বের করবো! মেয়ের খেয়াল রেখেন!”
পুলিশ চলে যাওয়ার পর মিজান সাহবে অপরাধীর সুরে বললেন,,
—“মা মাফ করে দিস না বুঝে এমন জানোয়ারের হাতে তোকে তুলে দিতে চেয়েছিলাম। আমাকে ক্ষমা করিস।”
হাত জোর করতেই চিত্রা নামিয়ে দিলো। বাবার চোখের পানি মুছে বলল,,
—“বাবা এসব বলো না। তুমিতো ভালই চাইছিল আমার। তুমি কি জানতে এমন হবে? এসব বলো না আর। বাবা-মা কখনো তার সন্তানের খারাপ চায় না। কিন্তু মাঝে মাঝে ভুল ডিসিশন নিয়ে ফেলে।”
মিজান সাহেব মেয়ের মাথায় হাত বুলিয় বললেন,,
—“এখন থেকে তুই যা বলবি তাই হবে মা। তাই হবে। তোকে হারাতে চাইনা আমি আর!”
পরম মমতায় জড়িয়ে ধরলেন তিনি তার মেয়েকে ঠিক যেভাবে একটি ছোট পাখিকে আগলে রাখে তার মা। ঠিক তেমনি।
পর্ব-২৬
বেশ কয়েকদিন এভাই কেঁটে গেল। চিত্রা মানসিক, শারিরীক দুই দিক দিয়েই অসুস্থ হয়ে পরেছিল। এখন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। চিত্রার বাবা এ কদিন মেয়েকেই সময় দিয়েছেন বেশী। এখন হাসি খুশি দিন পার করছে সে। চিত্রা সুস্থ হওয়ার কিছুদিন পর সেই ডায়েরির খোঁজ করলো। ডায়েরি পেয়ে সে এক ঝাঁক হতাশা ছাড়া কিছুই পেলো না। ডায়েরিটি জানালা ভেদ করে বাহিরে পরেছিল। কাঁদার পানিতে শেষের বেশ কিছু পেইজের লেখা মুছে গেছে। কিভাবে জানবে এখন সে? কি হয়েছিল সেদিন। মাইশা কেন চিৎকার দিলো? আর কুহু কি ঘুমের ঔষধ খেয়েছিল? ইউসুফের সাথে হুরের কি বিয়ে হয়েছিল? এত এত প্রশ্নের ভিরে হারিয়ে যেতে লাগলো চিত্রা একটিরও উত্তর নেই? কি করবে সে? কোথায় পাবে এর উত্তর? চিত্রা দীর্ঘ শ্বাস ছাড়লো। ইদানীং নতুন রোগে ভুগছে। বেশী ভাবলেই মাথা ব্যথা করে। উফ। অসহ্য।
মিজান সাহেব ডাক্তার জেবিনের কাছে এসেছেন। মূলত তিনি একজন সাইকোলজিস্ট। চিত্রাকে তিনি কাউন্সিলিং করছেন।সেই ইনসিডেন্টের ফলে মানসিক ভাবে অনেক চাপ পরে মাথায়। মাঝে মাঝেই রাতে এর প্রভাব বেশী পরে। ঘুমের মাঝে চিৎকার চেঁচামেচি করে উঠে চিত্রা। ডাক্তার বললেন,,
—” আমি সাজেস্ট করবো চিত্রার জায়গায় বদলানোর জন্য। কোথাও ঘুরতে পাঠান আশা করি ভাল লাগবে তার। পরিবেশ বদল করা খুব জরুরী তার জন্য।”
মিজান সাহেব ডাক্তারের কথায় সায় দিলেন। মেয়েকে দ্রুত অন্য কোথাও নিয়ে যাবেন তিনি। মনে মনে এটি ঠাহর করে নিলেন তিনি।
বাসায় ফিরে মেয়ের উদাস মন দেখে জিজ্ঞেস করলেন মিজান,,
—“মা তোর মন খারাপ?”
চিত্রা তার আঙুলের দিকে তাকিয়ে মাথা এদিক ওদিক নাড়িয়ে বলল,,
—” না বাবা ভাল লাগচ্ছে না!”
মিজান মেয়ের পাশে বসে বললেন,,
—“তাহলে কোথা থেকে ঘুরে আয়! ভাল লাগবে!”
চিত্রা খুশিতে চোখ জোড়া চকচক করে উঠলো বলল,,
—” বাবা সত্যি বলছো?”
মাথা নাড়ায় মিজান। চিত্রা খুশিতে গদগদ হয়ে বলল,,
—” বাবা সামনের মাসে ফুপির বড় মেয়ে মোহানার বিয়ে আমি এটেন্ড করতে চাই।”
মিজান বিস্ময় নিয়ে বললেন,,
—” সে তো প্যারিসে। এত দূর একা কিভাবে জাবি তুই?”
চিত্রা আবদারের সুরে বলল,,
—” প্লীজ বাবা যেতে দাও না। আমি ঠিক যেতে পারবো।”
মিজান সাহেব ভাবলেন একটু ডাক্তারের কথা মনে করে তিনি রাজি হয়ে গেলেন।
পর্ব-২৭
জানালার কাচ ভেদ করে এক মুঠো রোদ প্রবেশ করছে রুমে। যা চিত্রার মুখে পড়ছে। চিত্রা বিরক্ত হওয়ার বদলে মিষ্টি হাসি মুখে ফুটিয়ে উঠে বসলো। আজ সে প্যারিসের পথে যাত্রা করবে। জীবনের প্রথম একা এতটা পথ জার্নি করবে সে। তার দুটি কারণ। ইউসুফ-কুহুর শেষ পরিনতি কি হয়েছিল। আর তার বড় বোন মোহোনার বিয়ে খাবে বলে।
চিত্রা উঠে ওয়াশরুমে চলে গেল। একটু সময় আজ নষ্ট করতে চায় না সে। একদম না। ফটাফট রেডী হয়ে লাগেজ নিয়ে বের হয়ে গেলো চিত্রা। সাথে মিজান আর টুম্পাও গেলেন এগিয়ে দিতে চিত্রাকে।
প্যারিসের মাটিতে পা রাখতেই ছোট শ্বাস টেনে নিলো চিত্রা। প্যারিসকে সকলেই স্বপ্নের শহর বলে থাকে। কেউ কেউ ভালবাসার শহরও বলে থাকে পযটকদের খুব পছন্দের স্থান এটি। চিত্রা ছোট থেকে এদেশে ঘুরতে আসার স্বপ্ন ছিল। ছোট থেকেই ভাবতো, এদেশে পা রাখতেই কোনো এক রাজকুমারের সাথে দেখা হবে তার। তারই রাজকন্যায় পরিনিত হবে সে। কিন্তু আফসোস এমনটি হবার নয়। চিত্রার ভাবনার মাঝেই উপস্থিত হয় মোহোনা। এসেই ঝাপটে ধরে বোনকে। চিত্রা তো চিৎকার করেই বসে। আজ কত বছর পর তাদের দেখা। দুজনেই সমবয়সী বলেই বন্ধুত্ব অনেক তাদের মাঝে। তাদের কান্ডে আশেপাশের মানুষ জন অবাক হয়ে দেখতে লাগলো তাদের। চিত্রা তখন লজ্জা পেয়ে গাড়িতে চড়ে বসলো। ধীরে ধীরে তার সব কথা মোহানাকে বলতে লাগলো। সব শোনার পর মোহনা বলল,,
—” তুই ঠিকানা এনেছিস?”
চিত্রা হেসে মাথা নাড়ায়,,
—” মালি কাকার কাছ থেকে এনেছি। ”
—“তুই এতো সিউর কিভাবে? সেটা শুধু গল্পও হতে পারে? সে বাসার মানুষদের নাম শুধু ব্যবহার করেছে। যা ভাছিস কিছুই না!”
—” সে যাই হোক। লাষ্ট কি হয়েছে তাই জানা জরুরি। ”
মোহোনা মাথা নাড়ায়। বলে,,
—“পাগল তুই!”
চিত্রা দাঁত কলিয়ে হেসে দেয়।
মোহনাদের বাসায় গিয়ে ফুপি আর বাকি সবার সাথে কুশলাদি বিনিময় করে রুমে চলে আসে চিত্রা। বাবাকে ভালো মতো পৌঁছে গেছে খবর দিয়ে বের হয়ে পরে তারা আবার। সেই ঠিকানা খুঁজতে।
ঘন্টা খানিক অতিবাহিত হওয়ার পর মোহোনা বলল,,
—” মালি তোকে ভুল ঠিকানা দেয়নি তো?
চিত্রাকে চিন্তিত দেখালো। বলল,,
—” দেয়ার তো কথা না।আচ্ছা তারা বাসাতো চেঞ্জ করে নি?”
—” করতেই পারে।”
চিত্রা হতাশ হলো। সেদিন বাসায় ফিরে পরেরদিন আবার বের হয় তারা। খালি হাতেই ফিরে প্রতিবার। তখনি মোহোনা বলে,,
—” এত বড় শহরে কোথায় কোথায় খুজি বলতো? আচ্ছা তাদের কারো ছবি আছে তোর কাছে?”
চিত্রা সঙ্গে সঙ্গে বলে,,
—” হে আছে তাদের ছবি তুলে এনেছি আমি। দাঁড়া দেখাই তোরে!”
ফোন বের করে ছবি দেখাতেই মোহোনা চমকে গিয়ে বলল,,
—” এতো ইউজারসিফ। ”
—“মানে?এ তো ইউসুফ, ইউজারসিফ হবে কেন?
—” বুদ্ধু এ ইজারসিফ। কিন্তু কথা হচ্ছে এর চোখ কেটস্ আই না তো এর চোখ ডীপ ব্লু ভ্যাম্পায়ারের মতো!”
চিত্রা অবাক হয়ে বলল,,
—” কি বলছিস? তুই চিনিস কিভাবে?”
—” আমি কেন প্যারিসের সবাই চিনে একে। অল্প বয়সে নিজের একটি ফ্যাশন ডিজাইনার প্রতিষ্ঠান দাড় করিয়েছে। তার বাসা তো আমাদের বাসার এখানেই।”
চিত্রা খানিকটা চেচিয়ে বলল,,
—” গাধা আগে বলিস নি কেন? চল নিয়ে আমাকে।”
মোহোনা বলল,,
—“ওর ওখানে গিয়ে কি হবে? ওকে তো খুঁজছিস না!”
চিত্রা বলল,,
—” ডায়েরিটা অনেক পুরাতন ছিল হয়তো এর বাবা, দাদার আমলের হবে।”
মোহোনা হা হয়ে গেল। বলল,,
—” কি বলিস এসব। এত কিছু ভাবিস কেমনে?”
চিত্রা হেসে ফেললো,,
—“কোনো কিছুর প্রতি শক্ত টান থাকলে তা তোমায় ধরা দিবেই। ”
মহোনা সহমত জানালো। বুড়ো আঙ্গুল উচিয়ে থামস আপ দেখালো। চিত্রা তাদেখে আবার হেসে ফেললো। মনে মনে দোয়াও করলো সঠিক মানুষকে যেন পেয়ে যায়।
চলবে,