সাপলুডুর সমাপ্তিতে পর্ব-০২

0
920

#সাপলুডুর_সমাপ্তিতে
তন্বী ইসলাম

০২

নয় বছর আগে…..

তখন আমি সবেমাত্র এসএসসি পরীক্ষার্থী।

প্রি টেস্ট এক্সাম শেষ হবার আগেই ঈদের আমেজ চলে এসেছে। ঠিক সেই কারণে একটা এক্সাম বাকি থাকতেই স্কুল কর্তৃক ঈদের ছুটি ঘোষনা করা হয়। একেতো সামনে ঈদ সেই কারণে মনটা বেশ খুশি.. কিন্তু এই খুশির মাঝেও একটা এক্সাম বাকি থাকা মানে গলায় কাটা আটকে থাকা। মন ভার নিয়ে বাসায় এলাম সেদিন। কিন্তু বাসায় আসামাত্রই মনটা আবারও খুশিতে ভরে গেলো। নানু এসেছেন আমাদের দুই ভাইবোনকে নিয়ে যেতে। উনার খুব ইচ্ছে হয়েছে এবারের ঈদটা আমরা উনার সাথেই কাটাবো। আমিও যেতে এক পায়ে রাজি। নানুর সাথে ছোটভাইকে নিয়ে রওনা হলাম পরের দিন সকালে। কথা হলো ঈদের দুদিন কিংবা তিন দিন পর আমার বড় ভাইয়া গিয়ে আমাদের দুই ভাইবোনকে নিয়ে আসবে।

ঈদ কাটলো বেশ ভালো করেই। এর মাঝেই এক দিন আমার ভাইয়া গিয়ে উপস্থিত হলো সেখানে। এবার ফিরে আসার পালা। রাতটা কাটিয়ে পরের দিন ভোরে রওনা করলাম রেলস্টেশনের দিকে। তখনকার সময়ে আমার বাড়িমুখো এই একটা ট্রেন ই ছিলো। কোনো কারণবশত যদি এটা মিস হয়ে যায় তাহলে বাসে আসা ছাড়া আর দ্বিতীয় কোনো অপশন নেই। আর বাসা আসা মানে আমার জন্য জীবন আর মৃত্যুর মাঝামাঝি অবস্থান করা।

অনেক হুড়োহুড়ি করে ট্রেনে উঠতে পারলাম ঠিকই, তবে বসার জন্য কোনো সিট পাইনি। একেতো এই একটা ট্রেন, তার উপর ঈদের আমেজ। লোকজনের যাতায়াত তখন একটু বেশিই। প্রায় দুটো স্টেশনের মতো দাঁড়িয়ে থাকতে হলো আমাকে। এরপর একটা সিট পাওয়া গেলো।।আমার ভাইয়া আমাকে সুকৌশলে সেই সিটে বসিয়ে দিয়ে নিজেরা খানিক দূরে দাঁড়িয়ে রইলো। আমার পাশে এসে দাঁড়িয়ে থাকার মতো অবস্থাও তখন ছিলো না। আমি যেই সিটে বসেছি সেই সিটেই জানলার পাশে বসা ছিলো এক সুদর্শন ছেলে। যদিও আমাদের দুজনার মধ্যে তখনও চোখাচোখি কিংবা মুখে কোনো কথাও হয় নি। লোকজন যে পাশে দাঁড়ানো আমি সেই পাশে বসা ছিলাম বিধায় আমার গায়ের সাথে অনেক লোকের স্পর্শ লাগছিলো, খুব অস্বস্তি হচ্ছিলো আমার। তবে মানিয়ে নেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় ছিলো না তখন।

কয়েক মুহূর্ত বাদে আমার পাশের সিটে বসা ছেলেটা উঠে দাঁড়িয়ে খুবই ভদ্রতার সহিত আমাকে বললো
“তুমি এই পাশে এসে বসো। আমি ওখানটায় বসছি।
আমি অবাক হয়ে বললাম
“কেন?
“ওপাশে অনেক লোকজনের যাতায়াত। তোমার গায়ে ব্যাথা লাগতে পারে।
আমি মুগ্ধ হলাম ছেলেটির কথায়। বিনাবাক্য প্রয়োগ করেই চলে গেলাম সে ছেলেটির সিটে। ট্রেন চলছে নিজ গতিতে। একেতো গরমের দিন, তার উপর ট্রেন ভর্তি লোকজন গিজগিজ করছে।। ভ্যাবসা গরমে শরীরে জ্বালা ধরছে। কপাল বেয়ে ঘাম নিচে পরছে বার বার। আমি আমার হাতের তালুতে এক ভাবে ঘাম মুছেই যাচ্ছি। ছেলেটি সেটা খেয়াল করে তার ব্যাগের পকেট থেকে আমাকে টিস্যু বের করে দিতেই আমি মুচকি হেসে ভদ্রতার সহিত মানা করে দিলাম।

আমাকে অবাক করে দিয়ে ছেলেটি জোরপূর্বক আমার হাতে টিস্যু টা গুজে দিলো। আমি বিস্ময়ে তাকালাম তার দিকে। ছেলেটি তার হাস্যোজ্জ্বল মুখে বললো
“সামান্য টিস্যুই তো। ঘাম টা মুছে নাও, কিছুটা হলেও আরাম পাবে।
আমি তাই করলাম। ছেলেটি নিজ থেকে আবারও বলে উঠলো
“আমি ফায়াজ। তুমি?
আমি মুচকি হেসে বললাম
“তনিমা। সবাই আমাকে তনু বলেই ডাকে।
ছেলেটি হাসলো। কয়েক সেকেন্ড চুপ থেকে বললো
“তোমার নাম টা বেশ সুন্দর। যাচ্ছো কোথায়?
“বাড়ি যাচ্ছি, নানু বাড়িতে ছিলাম।
ছেলেটি হেসে বললো
” তুমি নানু বাড়ি থেকে আসছো, আর আমি নানু বাড়ি যাচ্ছি।

আমি হাসলাম নিঃশব্দে। বেশি কথা বলা যাবেনা। বড় ভাইয়া আছে সাথে, বেশ রাগী সে। যদি কোনোভাবে দেখে ফেলে কোনো অপরিচিত ছেলের সাথে ভাব জমিয়েছি তাহলে বাড়ি গিয়ে অনেক বকবে। যদিও দেখার কোনো চান্স নেই, সে ভীড়ের মাঝে লুকিয়ে আছে। তবুও নিজেকে সাবধানে রাখতে দোষের কি!

ছেলেটি আবারও নিজ থেকে বলা শুরু করলো
“কিসে পড় তুমি?
আমি ছোট্ট করে বললাম
“ক্লাস টেন, এসএসসি দিবো এবার।
ফায়াজ নামের ছেলেটি হেসে বললো
“তাহলে তো দেখছি তুমি আমার হাঁটুর বয়সী।
আমি অবাক হয়ে তাকালাম। কিছু বলার আগেই সে বললো
“আমি ঢাকা কলেজ থেকে মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি গতবার। এখন বিসিএস এর প্রিপারেশন নিচ্ছি। পাশাপাশি একটা সরকারি ব্যাংকেও জব করছি।
আমি বিস্মিত চোখে তাকালাম ছেলেটির দিকে। ছেলেটি আপনমনে আবারও বলতে লাগল
” আসলে চাকরিটা পেয়েছি আমার বড় চাচার মাধ্যমেই। উনিও সেই ব্যাংকে জব করেন, জব টা পেতে উনি আমাকে অনেক হেল্প করেছেন।
“ওহ!
“তোমরা কয় ভাইবোন?
“দুই ভাই, এক বোন।
“তুমি একা?
“হুম।
“ওরা তোমার ভাই?
“জ্বি।
ছেলেটি কয়েক সেকেন্ড চুপ থেকে বললো
“তোমার ভাইয়া কি করে?
“একটা বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করে।
ছেলেটি নিজ থেকে আবারও বলে উঠলো
” আমরা তিন ভাই এক বোন। আমার বড় ভাই হাই স্কুলের হেড টিচার, মেঝো ভাই পুলিশের বড় কর্মকর্তা আর ছোট বোন প্রাইমারি স্কুলের টিচার। আমার বাবা কৃষি ব্যাংকের অফিসার, আর মা আমার গৃহিণী।

আমি অবাক হয়ে শুনতে লাগলাম ছেলেটির কথা। অসম্ভব সুন্দর একটা পরিবার। পুরো পরিবারটাই প্রতিষ্ঠিত, আসলে টাকা থাকলে সবই সম্ভব। মনে মনে ভাবলাম।

আরো কিছুটা সময় চলে গেলে ছেলেটির নজর এলো আমার হাতের দিকে। ঈদ বিধায় হাত ভর্তি মেহেদি দেওয়া ছিলো। সে আমার হাতের দিকে তাকিয়ে নরম গলায় বললো
“মেয়েরা মেহেদি দিয়ে জনসমাগমে যাক এটা আমার পছন্দ নয়, কারণ মেয়েদের সাজগোছ শুধুমাত্র তার স্বামীর জন্য করাই উচিৎ। তবে তোমাকে ভালোই লাগছে।
উনার কথায় আমি কিছুটা ইতস্তত বোধ করলাম, তবে আমার মুখ দিয়ে একটা কথাও বের হলো না। হঠাৎ ছেলেটি বলতে লাগলো
“আমার খুব ঘুম পাচ্ছে।
এখানে আমার কি বলার থাকতে পারে বুঝলাম না। তাও ভদ্রতার খাতিরে বললাম
“ঘুম পেলে সিটে হেলান দিয়ে ঘুমিয়ে পরুন।
“তোমার কাধে মাথা রেখে ঘুমাই?

হঠাৎ উনার এমন কথায় আমি কিছুটা ঘাবড়ে গেলাম। যথাদ্রুত সম্ভব কয়েক ইঞ্চি দূরে সরে গিয়ে বসলাম উনার কাছ থেকে। উনি হেসে বললাম
“ভয় পেলে?
এবারে আমি কোনো উত্তর দিলাম না।

বাইরের গাছগুলো দেখছি আমি। সাই সাই করে সবকিছু কেমন করে যেন পিছনে চলে যাচ্ছে। আমি মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে আছি সেদিকে ।
“আমার বন্ধু হবে তুমি?
আমি বিস্ময়ে তাকালাম তার দিকে। সে আবারও তার হাস্যোজ্জ্বল মুখে বললো
” হবে আমার বন্ধু? আমার কোনো মেয়ে বন্ধু নেই।
আমি কোনো চিন্তা ভাবনা না করেই মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বলে দিলাম।।এতো সুদর্শন ছেলের বন্ধুত্বের অফার কিভাবে ফিরিয়ে দেওয়া যায়! বুঝা গেলো ছেলেটি খুশি হলো খুব, আমিও খুশি হলাম এমন একজনের বন্ধু হতে পেরে।

সে আবারও বলল
“আমি আমার বন্ধুর সাথে কিভাবে যোগাযোগ করবো?
আমি সংকোচে বললাম
“কিভাবে?
“তোমার ফোন নাম্বার দাও…
“আমার তো ফোন নেই।
সে কিছু একটা ভেবে বললো
“তোমার আম্মুর নেই?
“আছে।
“সেটাই দাও।
আমি বিনা সংকোচে আম্মুর ফোন নাম্বারটা উনাকে দিয়ে দিলাম।

দেখতে দেখতে আমার স্টেশন চলে এসেছে। এবার আমার নামার পালা। উনার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে যখন ট্রেন থেকে নামবো তখন খেয়াল করলাম উনি এক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি লজ্জায় চোখ সরিয়ে নিলাম, মনের মধ্যে অজানা এক অনুভূতি কাজ করতে শুরু করে দিয়েছে ততক্ষণে, একেই বুঝি বলে ভালোবাসা। যদিও ভালোবাসার মানেটা তখনও আমার কাছে অস্পষ্ট, তবে ভালোবাসার অধ্যায়টা তখন থেকেই শুরু।

বাড়ি আসার পর থেকেই মনটা বেশ ফুরফুরে লাগলো আমার। বার বার মনটা নেচে নেচে উঠছে, মনে দোলা লেগেছে খুব। চাচাতো বোনেরা আমার অবস্থা দেখে আমাকে নিয়ে মজা করা শুরু করে দিয়েছে। সেদিন দিনে কিংবা রাতে সেই ফায়াজ নামের লোকটা আর কল করেনি। তবে পরদিন সকাল সকাল কল দিয়ে আমার সাথে কথা বলার তীব্র বাসনা জানিয়েছে। আমিও খুশিমনে তার সাথে কথা বলতে শুরু করলাম।

দিন গড়িয়ে যাচ্ছে, প্রতিদিনই আমাদের মধ্যে দুষ্টু মিষ্টি কথা চলছেই। তখনও পর্যন্ত তথাকথিত বন্ধুত্বের মধ্যেই আমরা আটকে আছি। এর মাঝে একদিন সে ফোন করে ভালোবাসার দাবী করে, আমি মন থেকে তাকে পছন্দ করলেও মুখে জানাতে পারিনি। ছেলেটা সেদিন খুবই কান্নাকাটি করে, আমি সহ্য করতে পারিনা সেটা। তখন থেকেই শুরু হয় আমাদের প্রেমের সম্পর্ক। আমিতো অনেক খুশি, বর্তমানে এমন ছেলে পাওয়া দুষ্কর। সে দেখতে শুনতে ভালো, সরকারি চাকরি করে, ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ডটা ভালো.. মোটকথা আমি খুবই খুশি তাকে ভালোবেসে। সেও খুশি, তার কথা বলার ধরণই বলে দেয় সে আমাকে কতটা ভালোবাসে।

রোজার ঈদে তার সাথে আমার পরিচয়, এখন কুরবানির ঈদ চলছে। সম্পর্ক টা আগের চেয়েও গভীর হয়েছে। শত ব্যস্ততার মাঝেও আমাকে কল করার কথা ভুলে না সে, মাঝে মাঝে মিষ্টি মধুর মেসেজ করে। মেসেজের কথাগুলো আমার কলিজায় স্পর্শ করে যেনো। এই মাঝে তার খুব ইচ্ছা হয় আমাকে ভিডিওতে দেখার। কিন্তু এটার কোনো উপায় ছিলো না। তখন এন্ড্রয়েড ফোন শুধু আমার ভাইয়ারই ছিলো, আর সে থাকতো শহরে। আমি তাকে আমার ব্যর্থতার কথা জানালে সে কিছুটা মন খারাপ করে। এরপর সে সিদ্ধান্ত নেয় আমাকে একটা এন্ড্রয়েড ফোন গিফট করবে, যেনো প্রতিদিনই আমাকে দেখতে পারে৷ আমি মুখে অস্বীকার করলেও মন থেকে ঠিকই খুশি ছিলাম। ফোনের লোভে নয়, তাকে দেখার লোভে। কারণ তখন আমাদের আর্থিক অবস্থা ঠিক ততটাও ভালো ছিলো না যে চাইলেই আমি একটা ফোন কিনতে পারবো।

ফোন নিয়ে যেদিন আসার কথা ছিলো ঠিক সেদিনই সে ফোন করে জানালো আসতে পারবেনা। একটা ঝামেলার মধ্যে আছে সে। আমার বুকে দাগ কাটলো, ঝামেলা মানে, কোনো খারাপ কিছু নয় তো? প্রেমের শুরুটা আবেগ আর ঝোকের মাথায় হলেও এখন আমি তাকে পরিপূর্ণ ভাবেই ভালোবাসি, তার কোনো ক্ষতি হোক আমি চাইনা। চাইতে পারি না। প্রায় সপ্তাহখানেক তার সাথে আমার কোনোরকম যোগাযোগ ছিলো না। আমি চাতক পাখির ন্যায় অধীর আগ্রহে বসে থাকি কখন সে কল করবে, আমার কলিজা ঠান্ডা হবে। অবশেষে অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে সে আমাকে কল করে৷ সেদিন আমার খুশি দেখে কে। আবারও সম্পর্ক টা আগের মতো স্বাভাবিক হয়।

প্রায় সাড়ে তিন মাসের সম্পর্ক আমাদের। ইদানিং সে খুবই ব্যস্ততার মাঝে দিন কাটায়, ঠিকমতো আমার সাথে কথা বলার সময়টাও পায় না। তবে এ নিয়ে আমার কোনো আক্ষেপ নেই, কারণ সে যথাসম্ভব আমাকে সময় দেওয়ার চেষ্টা করে, রাতে ফোন করেও অনেক সময় কথা বলে, যে কারণে মায়ের ফোনটা কৌশলে নিজের কাছেই রেখে দেই।

সেদিন সকাল বেলা ইচ্ছে করলো তার সাথে কথা বলার। আমি নিজ থেকে কল দিলাম, ফোন টা ওপাশ থেকে কেটে দেওয়া হচ্ছে, আবারও দিলাম। কিন্তু এখনো কেটে দেওয়া হলো। ভাবলাম সে হয়তো ব্যস্ত আছে। কিন্তু মনে একটা খটকা থেকেই গেলো, এই টাইমে তার অফিস নেই, তাহলে এত ব্যস্ততা কিসের? আমি ফোনটা হাতে নিয়ে অধীর আগ্রহে বসে রইলাম। এক সময় আমার ফোনে কল এলো। নাম্বারটা দেখে বুকের পাথরটা নেমে গেছে ততক্ষণে। আমি উৎফুল্লতার সাথে কল রিসিভ করে সালাম দেই। উনি মলিন মুখে সালামের জবাব দিলো।

আমার কপালে সামান্য ভাজ পরলো। উৎকন্ঠা নিয়ে বললাম..
“আপনার কন্ঠ এমন শোনাচ্ছে যে, অসুস্থ আপনি?
সে নরম গলায় বললো
“এখন কথা বলা যাবেনা। পরে ফোন দেই..
” কেন?
“ব্যস্ত আছি।
এবার আমার বেশ রাগ হলো। খানিক তেজ দেখিয়ে বললাম
” ইদানিং আপনি আমাকে প্রচন্ড ব্যস্ততা দেখান। কিসের এতো ব্যস্ততা আপনার? এখন তো অফিস টাইম নয়, তাও কেন কথা বলতে আপনার এতো দ্বিধা,? কোথায় আছেন আপনি?

চারিদিকে শুনশান নিরবতা আমাকে গ্রাস করছে, কারো মুখে কোনো কথা নেই। আমি কথা বলছি না ইচ্ছে করেই, তার উত্তরের অপেক্ষায় আছি যে। সে কয়েক মুহূর্ত নিরব রইলো, একটা সময় অপরাধীর গলায় সে বলে উঠলো…

“আমি বিয়ে করেছি তনু, শশুরবাড়িতে আছি এখন… তাই চাইলেও কথা বলতে পারবো না। প্লিজ ভুল বুঝো না আমায়……

চলবে…..

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে