সাদা মেঘের আকাশ পর্ব-০৯

0
735

#সাদা_মেঘের_আকাশ
(৯)
লেখক: হানিফ আহমেদ

আতিকা রুমে পায়চারি করছিলেন। তার আজ খুব মন খা’রাপ। বাজার করতে বের হয়েছিলন তিনি, নিজের পরিবারে একের পর এক খু’ন হচ্ছিল, সেই ঘটনা হজম করে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু মেরহাবের খু’ন এর কথা শুনে তিনি কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছেন না। কে নিচ্ছে প্রতিশোধ। নিজের দুই ভাই এবং ভাইয়ের ছেলের খু’নের খবর শুনে একটুও মন খা’রাপ করেন নি তিনি। কিন্তু মেরহাব, ওতো খুব ভালো ছিলো। তাকে কেন খু’ন করা হল। কে মেতেছে এই কাজে।
আতিকার চোখ থেকে টপটপ করে পানি পড়ছে। মনের আকাশ বারবার গর্জন করছে। কোনো ভাবেই মনকে শান্ত করতে পারছে না। তার ভাইগুলো এবং চাচাতো ভাইগুলো না হয় খা’রাপ ছিলো৷ কিন্তু মেরহাব? তার কী দোষ?
এই যে মাসের পর মাস একা থাকছেন তিনি, কীভাবে চলছেন, সবই তো মেরহাব এর জন্যই। মাস শেষে পাঁচ হাজার টাকা নিজের ফুফুকে দিতো। চৌধুরী পরিবার তার থেকে মুখ তুলে নিলেও মেরহাব ঠিকই ছিলো। আজ সেই ভালো মানুষটিও পৃথিবীতে নেই। কাল কেউ থাকে খু’ন করেছে৷
আতিকা বেগম, যার আসল নাম আতিকা চৌধুরী। বাবা মুহিত চৌধুরী। আতিকা চৌধুরী তারা চার ভাই এক বোন। এর মধ্যে দুই ভাইকেই কেউ মে’রেছে। কিন্তু কে সেই ব্যক্তি?
আতিকা অন্যায়ের প্রতিবাদে ছিলো এক কঠিন মানুষ। প্রতিবাদে সে নিজের সৌন্দর্য লুকিয়ে এক কঠিন রূপ নিতো। অন্যায় সহ্য করার শক্তি তার ছিলো না।
চৌধুরী পরিবার এর অ’ত্যাচার তার কখনো ভালো লাগেনি৷ জোর করে মানুষের জমি দখল। মানুষকে আ’ঘাত করা, এসবের বিরুদ্ধে সে প্রতিবাদ করত তার প্রতিবাদ ভালো লাগতো না বাবা মুহিত চৌধুরীর। তাই তাকে বিয়ে দিয়েছিল একজন ব্যবসায়ীর কাছে। আতিকার স্বামী কামরুল হাসান ছিলেন চাল ব্যবসায়ী।
বিয়ের ১০বছর পর যখন আতিকা নিজের ভাগের জমি চেয়েছিল। তখন থেকেই শুরু হয় তার উপর অ’ত্যাচার।
কামরুল হাসান ব্যবসায় বড় ধাক্কা খেয়েছিলেন। ভেঙে গিয়েছিলেন তিনি। ভিতরে ভিতরে কষ্টে শেষ হয়ে যাচ্ছিলেন। স্বামীর এই অবস্থা কোনো ভাবেই নিতে পারছিলেন না আতিকা। তাই নিজের ভাগের জমি বিক্রি করে স্বামীকে আবারও উঠে দাঁড়াতে সাহায্য করবেন। কিন্তু সে ভুলে গিয়েছিল। তার বাবা ভাই জমি লোভী। কিন্তু সেও হাল ছাড়েনি। আর সেই হাল না ছাড়ার কারণেই হারিয়েছেন নিজের স্বামীকে।
আতিকা চৌধুরী নিজের স্বামীকে হারাবেন সেটা কখনো কল্পনা করেন নি।
কামরুল হাসানকে খু’ন করেছে তারই বাবা ভাই মিলে। ১৯৯৫সালে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে যায় তার পরিবার। আতিকা এবং তার স্বামী কখনো ভাবেনি সেখানে তাদের জন্য কী অপেক্ষা করছিল।
মোরগ জ’বাই করে খাওয়ানো হয়েছিল সেদিন। কিন্তু গভীর রাতটা যে কোনো নিষ্ঠুর রাত হবে সেটা তিনি কখনো কল্পনা করেন নি।
রাত তখন দুইটা, জমি নিয়ে তখনো আলোচনা হচ্ছিল। কামরুল হাসান খুব অবাক হয়েছিলেন। তার স্ত্রী তার জন্য বাবার সম্পত্তি বিক্রি করতে চাচ্ছে। এই অবাক হওয়াই যেন তার শেষ অবাক হওয়া ছিলো। কামরুল হাসান যখন বলতে চেয়েছিলেন নিজের স্ত্রীকে, আমার এসব লাগবে না। কিন্তু বলতে পারেন নি।
আতিকার ভাইগুলো তার উপর ঝাপিয়ে পরে। আতিকা শতো চেষ্টা করেও পারেন নি নিজের স্বামীকে বাঁচাতে। তার ভাইগুলো চিৎকার করে বলছিল আর মা’রছিল কামরুল হাসানকে,
যার জন্য তুই সম্পত্তির ভাগ চাচ্ছিস, আজ তার শেষ দিন।
কতোটা নিষ্ঠুর ওরা, নিজের আপনজনকেও রেহাই দিলো না।
সেই মামলা এখনও আদালতে দৌড়াচ্ছে, কিন্তু কোনো কিছুই হয় নি।
মানুষ কতোটা নিষ্ঠুর যে, নিজের বোন বোনের ছেলের সামনেই বোনের স্বামীকে মে’রে ফেলে।
কামরুল হাসানের মৃ’ত্যুর সময় আনিকের বয়স ছিলো ৭বছর। নিজের বাবার মৃ’ত্যু সে তার নিজ চোখে দেখেছিল।
আজ আনিকও ঘর ছাড়া। তার মনে প্রতিশোধ এর আগু’ন জ্বলছে। কিন্তু তার মা অপেক্ষা করবেন, আইনের। আইন কি শাস্তি দেয়। সেটারই অপেক্ষায়। ২০০১যখন নিজের বাবার ফা’সি হয়, তখন একটুও মন খা’রাপ হয় নি তার। কারণ অপরাধীর শাস্তিতে মন ব্যথিত করাও একটি অপরাধ। তাই অপেক্ষা করছিলেন, হয়তো ফল পাবেন। কিন্তু আনিক এই অপেক্ষা করতে পারবে না। সে তার বাবার খু’নীদের খোলা আকাশের নিচে মুক্ত ভাবে চলাফেরা করতে দেখতে চায় না। তাই তো বাসা থেকে চলে গিয়েছে আজ ৩বছর হল। এই তিন বছরে একটাবার এর জন্যেও সে তার মায়ের কাছে আসেনি। সে প্রতিশোধ নিবে। মেরহাব পা’গলের মতো খুঁজেছে আনিককে। কিন্তু কোনো ভাবেই পায় নি। মেরহাব জানে আনিক প্রতিশোধ নিতে চায়। কিন্তু তবুও মেরহাবকে ভয় পায় আনিক। এইজন্য একটাবার সামনাসামনি কথা বলতে চেয়েছিল। কিন্তু কোথাও পায়নি সে।
মেহরাবের সাথে একটাবার কথা বললে সে বুঝবে। এই বিশ্বাস মেহরাবের ছিলো।

আতিকার মনে একটি প্রশ্ন এসে বাসা বাঁধলো।
খু’ন গুলো কী আনিক করে যাচ্ছে? তার বড় দুই ভাই এবং শান্ত আর মেহরাব এর খু’ন হয়েছে। তার দুই চাচার ঘরের কোনো ভাই বা ভাইয়ের ছেলের খু’ন হয় নি। আতিকার অন্তর কেঁপে উঠে। তাহলে কী আনিক এসব করে যাচ্ছে? কিন্তু মেহরাবকে কেন মা’রবে আনিক? আতিকা আর কিছু ভাবতে পারছেন না। কোনো কিছুই ভালো লাগছে না উনার। চিৎকার করে কান্না করলে একটু ভালো লাগতো। কিন্তু সেটাও পারবেন না।
উনি এই সাত ভাইকেও সন্দেহ করতে পারছেন না। ওরা তো চুপচাপ শুধু বাঁচতে চেয়েছিল। আইনের হাতের দিকে ওরাও তাকিয়ে আছে এখনো। তাহলে তিনি সন্দেহ কাকে করবেন।
আদিব বা তার ভাইগুলো আতিকার আসল পরিচয় জানে। আতিকাই বলেছেন সব।
কে খু’নি। সেটা আতিকা জানতে চান। কেন একজন নির্দোষ মানুষকে খু’ন করা হল। এই প্রশ্ন তিনি করবেন।
আর খু’ন গুলো যদি তার সন্তান করে থাকে। তাহলে মেহরাবের খু’ন করার জন্য তিনি তার সন্তানেরও ফা’সি চাইবেন। নির্দোষ মানুষকে কেন সে খু’ন করবে।

চৌধুরী বাড়ির কেউ এখন আর একা কোথাও বের হয় না। তাদের ভালো থাকা কেউ কেড়ে নিয়েছে। একের পর একজনকে খু’ন করে যাচ্ছে কেউ। কে করছে এসব, তারা কেউই জানে না। কার এতো সাহস হলো।
জালাল চৌধুরী চুপচাপ বসে আছেন। কোনো কিছুই তার ভালো লাগছে না। নিজের দুই দুইটা ভাইকে হারিয়েছেন, হারিয়েছেন ভাইয়ের দুই ছেলেকে। কিছু করতে চাচ্ছেন। এভাবে চুপ থাকলে হয়তো আরো কাউকে হারাতে হবে।
জালাল চৌধুরী বুঝে উঠতে পারছেন না, এই খু’ন গুলো কে বা কারা করে যাচ্ছে। পুলিশ তো আদিবের পরিবাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে৷ ওরা ছাড়া আর কে হতে পারে খু’নি?
উত্তর তিনি কোনো ভাবেই পাচ্ছেন না। তাদের পরিবারের মানুষ এর উপর নজর দেওয়ার সাহস কে পেলো। সেটা তিনি দেখতে চান।

আদিব বসে আছে একটি রুমে। হাতে চায়ের কাপ। একদিকে তার মন খুব ভালো। তিন তিনটে মানুষ খু’ন হয়েছে। নিজের পরিবারের খু’নিদের খু’ন হচ্ছে৷ এতে তো ভালো লাগবেই। কিন্তু মনটা ভালো নেই। সেই খু’নের আসামী হিসেবে তাদেরকেই ওরা ফাঁসিয়ে দিয়েছে। সবাইকে কেড়ে নেওয়ার মাধ্যমে সুখটা অনেক পূর্বেই কেড়ে নিয়েছিল। আজ ওরা তাদের বাসস্থানটাও কেড়ে নিয়েছে। থাকতে হচ্ছে লুকিয়ে৷ সাতটা ভাই আজ সাত জায়গায়, কেউ কারো সাথে সাক্ষাৎ নাই। অপরাধ না করেও আজ তারা অপরাধী।
আরো একটি খু’ন হয়েছে আদিব।
কথাটি শুনে আদিব তাকায়, কথাটি তার বন্ধু মিসবাহ উদ্দিন বলেছেন। মাত্রই অফিস থেকে এসেছে সে।
আদিব চায়ের কাপ হাত থেকে রাখতে রাখতে বলল,
কে খু’ন হয়েছে?
মেরহাব চৌধুরী। একই ব্যক্তি খু’ন করেছে, একই ভাবে।
ওহ! শুনেছিলাম মেহরাব চৌধুরী মানুষটি ভালো। ওরা আমাদের ফাঁসাতে একের পর এক খু’ন কেন করে যাচ্ছে?
প্রশ্নে মিসবাহ চুপ। সে কীভাবে জানবে এসব।
আদিব চুপচাপ বসে আছে। একের পর একজনকে খু’ন করা হচ্ছে। কিন্তু কে করছে তা কেউ জানে না।
আদিব এভাবে লুকিয়ে থাকতে পারছে না। কোনো দোষ না করে কেন এভাবে লুকিয়ে থাকতে হবে। এই পালিয়ে থাকা মানে তো পুলিশের কাছে অপরাধী হওয়া। কিন্তু এছাড়া তো উপায়ও দেখছে না। ওদের খু’ন এর দায় তাদের উপর চাপিয়ে তাদেরকে জেলে থাকতে হবে। আদিব কী করবে বুঝে উঠতে পারছে না। তার কী করা উচিত, সে জানে না।

আতিকা চায়ের কাপ হাতে নাওশিনের পাশে বসেন। এক কাপ চা নাওশিনের হাতে তুলে দিলেন।
নাওশিন চায়ের কাপ হাতে নিয়ে জিজ্ঞেস করল,

আপা আপনার চোখ লাল কেন?

আতিকা চুপ থাকেন। নাওশিন আবারও একই প্রশ্ন করল। এবারও উনি চুপ। তৃতীয় বার আর নাওশিন প্রশ্ন করেনি। চায়ের কাপে চুমুক দিতে থাকে একের পর এক।
আতিকা বললেন,

বাসা থেকে পালিয়ে আসলি। আর বাসায় যাবি না?

নাওশিন বলল,
হ্যাঁ যাবো তো। তবে নিজেকে শক্তিশালী করে।
নাওশিনের কথায় কিছু বলতে চাচ্ছিলেন, কিন্তু চুপ থাকেন তিনি।
আপা আপনি বাসায় একাই থাকেন সব সময়?
উনি শুধু বললেন,
হ্যাঁ তিন বছর ধরে একা থাকি।
নাওশিন জানতে চায়, কেন একা থাকেন তিনি। নাওশিনের আবদারে উনি এক এক করে সব বলে দিলেন।
নাওশিন দীর্ঘ সময় নিয়ে চুপ থেকে সব শুনে খুব অবাক হয়। উনি চৌধুরী পরিবারের মেয়ে। তার শরীরের লোম দাঁড়িয়ে গিয়েছে। কীভাবে পারলো এই নিষ্ঠুর কাজ করতে। নিজের পরিবারের মেয়ের স্বামীকেও রেহাই দিলো না ওরা।
আতিকা নীরবে চোখের পানি ফেলে যাচ্ছেন। নাওশিন বুঝতে পেরেছিল, উনারও কোনো কষ্টের দিন আছে, যা উনাকে ভিতরে ভিতরে কষ্ট দিচ্ছে প্রতিনিয়ত।
উনার চোখ লাল থাকার কারণ বুঝতে পারে। তারও কষ্ট হচ্ছে একজন ভালো মানুষকে কেন কেউ খু’ন করল। নাওশিন পরক্ষণেই ভাবলো, প্রতিশোধ কী ভালো খা’রাপ বুঝে।
সে ভাবতো পৃথিবীতে তার থেকে কষ্টে হয়তো আর কোনো মানুষ নেই। কিন্তু তার ভাবনা ভুল, সেটা প্রতিটা মুহূর্তে বুঝতে পারছে।
চার দেয়ালে বন্দী থাকলে হয়তো এটাই সারাক্ষণ ভাবতো৷ সেই হয়তো সবচে দুঃখী।
তোমার মন খা’রাপ, মানুষের সাথে মিশে যাও। বুঝতে পারবে তোমার মন খা’রাপের কারণটা তুচ্ছ।
তুমি রিকশায় বসে আছো। সামনে থাকা চালকের সাথে কথা বল। তার পা ব্যথা উঠেছে ঠিকই, তোমাকে নিয়ে যেতে তার কষ্ট হচ্ছে, তবুও ক্লান্ত শরীরে হাসি মুখে তোমার সাথে কথা বলবে।
মন ভালো করার জন্য তোমাকে প্রথমে লড়াই করতে হবে৷ চুপসে বসে থাকলে কোনো কিছুই তুমি পাবে না।
নাওশিন বুঝতে পেরেছে তার থেকে হাজার কষ্টেও মানুষ বেঁচে আছে। এই পৃথিবীতে কষ্ট ছাড়া এমন কোনো মানুষ আছে বলে তার জানা নেই।

চৌধুরী পরিবারের খু’ন গুলো খুব নিখুঁত ভাবে হচ্ছে। কোনো একটি প্রমাণ পাচ্ছে না। কে করছে এসব তার কিছুই জানতে পারছে না কেউ।
জালাল চৌধুরী বাড়ির গেইট খোলা দেখে খুব অবাক হন। রাত ৮টায় কে গেইট খুলল? নাকি খোলাই ছিল?
কারো তো বাহিরে যাওয়ার কথা না। সবাই ভিতরে ভয় পেয়ে বসে আছে। নিজের বড় ভাইদের বুঝালো সে, কিন্তু সবাই কেমন ভয়ের মধ্যে আছে। চৌধুরী পরিবারে এই ভয়? জালাল চৌধুরী কোনোভাবেই আশা করেন নি। বাড়ির গেইটে তালা দিয়ে আসেন তিনি।
এতো বড় বাড়ি, এতো এতো মানুষ। কিন্তু চারটা মানুষকে কেউ মে’রে ফেলতেই সবাই চুপ। সবার বাঘের মতো গর্জন কী বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে?
জালাল চৌধুরী এসবের কোনো উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না।

রাত ১১টা। হামিদুর রহমান নিজের চার বছরের মেয়েকে কোলে নিয়ে খেলা করছিলেন। ব্যস্ততার পর মেয়ের স্পর্শ পেলে তিনি সব ক্লান্তি ভুলে যান। উনার সুখ যেন উনার স্ত্রী আর দুই বাচ্চাকে ঘিরে।
তিনি খেলার ফাঁকে ফাঁকে মেয়েটার চুলে হালকা টান দিচ্ছেন, মেয়েটাও এতে চিৎকার করে হেসে দিচ্ছে। সে বুঝতে পারছে, এই টান আদরের, ভালোবাসার।
হামিদুর রহমান যখন নিজের মেয়েকে নিয়ে খুব ব্যস্ত তখনই কেউ দরজায় শব্দ করে।
হামিদুর রহমান একটু অবাক হলেন, এতো রাতে কে আসলো আবার?
মেয়েকে কোলে করে নিয়েই দরজা খুললেন। সামনে থাকা মানুষটিকে দেখে খুব অবাক হলেন, এবং মনের মধ্যে ভয়ও ঢুকে। শুধু প্রশ্ন করলেন তিনি,
তুমি?

চলবে,,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে