সাদা মেঘের আকাশ পর্ব-০৮

0
709

#সাদা_মেঘের_আকাশ
(৮)
লেখক: হানিফ আহমেদ

আদিবদের বাসায় তালা ঝুলানো দেখে পুলিশ অফিসার হামিদুর রহমান খুব অবাক হন। এতোটাই অবাক হয়েছেন যে তার মনে হচ্ছে তিনি চোখের সামনে বিশেষ কিছু দেখেছেন। তবে তিনি তো তাদের পালাতেই একটি পথ দিয়েছিলেন, কিন্তু এরা এতো তাড়াতাড়ি যে পালাবে সেটা কখনো ভাবেন নি। এখন মনে হচ্ছে তিনি কোনো ভুল করেছেন, খুব বড় ভুল করেছেন সেদিন পালানোর পথ করে দিয়ে। তাহলে কী চৌধুরী পরিবারের খু’নের সাথে ওরা জড়িত? নির্দোষ হলে তো ওদের পালানোর কথা না। হামিদুর রহমান এবার খুব মন খারাপ করলেন, তিনি কী সৎ পথে থাকতে পেরেছেন? কিন্তু তিনি যে সেদিন নিয়াজ কে ইচ্ছে করেই সাথে করে নিয়ে যান নি। তাহলে কী তিনি সৎ পথে নেই? মুহূর্তেই চোখজোড়া ভিজে যায় তার।

নাওশিন বসে আছে আর ভাবছে। কী হচ্ছে এসব? সকালে উঠে আতিকা বেগমকে ছাড়া কাউকেই বাসায় পায়নি নাওশিন। সকালের আলো ফোটার পূর্বেই ওরা ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় লুকানোর প্রস্তুত নিয়ে নিজেদের ঠিক করা গন্তব্যে যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েছে।
ওদেরও কী তার মতো অবস্থা হলো। বাসস্থান ছেড়ে আজ শুধুই পালিয়ে বেঁচে থাকার শতো চেষ্টা৷ নাওশিন দীর্ঘশ্বাস নেয়। একটি কথা তার খুব মনে পরছে আজ। এক গভীর রাতে সে আ’ত্মহত্যা করতে চেয়েছিল। বন্ধ দরজার ভিতর সে যা কিছুই করুক না কেন, কেউ জানবেই না। নাওশিন সব ধরণের প্রস্তুত নিয়েছিল সেই রাতে। তার চোখজোড়া বারবার ভিজে যাচ্ছিল। তার বেঁচে থাকার ইচ্ছেটা বারবার বেড়েই যাচ্ছিল। তবুও সব ভাবনার শেষে তার মন তাকে বলত, আ’ত্মহত্যা কর নাওশিন।
মনের সাথে বোঝাপড়া করে যখন বেঁচে থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছিল, তবুও তার মনে হচ্ছিল আ’ত্মহত্যা করলেই বুঝি সে বেঁচে যাবে। কিন্তু মনের মধ্যে একটি প্রশ্ন উঁকি দিতো তার, ম’রে যাওয়ার মাধ্যমে কীভাবে বাঁচবে সে। এই সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়া কী ভালো হবে তার। তখন তার বয়স ১৫বছর ছিলো।
আ’ত্মহত্যার শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত একজন মানুষ বাঁচতে চায়। বেঁচে থাকার জন্য নিজের মনের সাথে লড়াই করে। মন যখন অবুঝ হয়ে যায়, তখন সেই মনের বিরুদ্ধে যেতে পারলেই একজন মানুষ বেঁচে যায়। নাওশিনও সেদিন শতো চেষ্টা করার পর মাথা থেকে আ’ত্মহত্যা এর চিন্তা মাথা থেকে নামাতে পারে। একটি কথাই বারবার মনে এনেছিল সেদিন, আমি নিজের ক্ষতি নিজে করবো না।
মানুষ কতো কষ্ট পাওয়ার পরেও বেঁচে থাকার যু’দ্ধ করে যাচ্ছে, সেটা আজ সে নিজের চোখে দেখতে পারছে।
ওই মানুষগুলো, যারা আ’ত্মহত্যা করে। তারা যদি নিজের সাথে যু’দ্ধ করে ওই চিন্তার মুহূর্ত জয় করে নিতে পারে, তাহলে সে বুঝতে পারতো। মানুষ বেঁচে থাকার জন্য কতো কষ্ট করে। কিন্তু হায়! মানুষের আজ সেই ধৈর্য নাই।
আমি ভালো নেই। আমার কেউ নাই। আমি অসহায়। আমার খুব কষ্ট। আমি ম’রে যেতে চাই।
এই বাক্যগুলোই আ’ত্মহত্যার হাতিয়ার।
একবার মনকে জয় করে বেঁচেই দেখো না। তোমার থেকে কতো কষ্টে মানুষ বেঁচে থাকে।
সুখ কখনো আসবে, এই কথার উপর বিশ্বাস রেখেই প্রতিটা মানুষ বাঁচে৷

চৌধুরী পরিবারের তিনটি মানুষের খু’ন হয়। পরিবারটা আজ ভালো নেই। তারা এক সময় যে মৃ’ত্যুর খেলা মানুষের সাথে শুরু করেছিল। আজ তাদের উপর কেউ শুরু করেছে সেই কঠিন খেলা।
আজ শিহাব চৌধুরীর মৃ’ত্যুর চারদিন হয়েছে। রামিনা বেগম চুপচাপ বসে থাকেন।
বাবার মৃ’ত্যু কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছে না রামিনার তিন ছেলে।
শিহাব চৌধুরীর বড় ছেলে, সে একজন সরকারি কলেজের শিক্ষক। তার নাম মেহরাব চৌধুরী। ছোট দুই ভাইকে বুকে টেনে নিয়ে বুঝাচ্ছে কান্না না করতে। কিন্তু তার চোখও বারবার ভিজে আসছিল। এই খা’রাপ মানুষটির প্রথম পরিচয় হল তাদের কাছে, উনি তাদের জন্মদাতা পিতা। আর প্রতি বাবা একজন ভালো মানুষ।
মেহরাব চৌধুরী নরম কণ্ঠে নিজের সব চাচা এবং চাচাতো ভাইদের উদ্দেশ্যে বলল,
তোমাদের কী এখন শিক্ষা হওয়া উচিত না? তিন তিনটে মানুষকে কেউ খু’ন করেছে। তোমাদের কী মনে হয় না, তোমরা যাদের উপর অ’ত্যাচার করেছো। তাদের মধ্যে কেউ একজন হলেও তো প্রতিশোধ নিতে চাইবে। হয়তো প্রতিশোধ নিচ্ছে। আমার খুব কষ্ট হয়, তোমরা এখনও সেই গান গেয়ে যাচ্ছো। র’ক্তের বদলে র’ক্ত। এখন তো একটু শিক্ষা পাওয়ার কথা তোমাদের।

মেহরাব চৌধুরীকে জালাল চৌধুরী ধমক দিয়ে থামিয়ে দিলেন।
তুই চুপ কর। তুই কী মনে করিস তুই একাই শিক্ষিত হয়েছিস। আমরা সেই সময়ে এসএসসি পাস করেছি। যখন সারা গ্রাম খুঁজে অল্প কিছু মানুষই শিক্ষিত ছিলো। আমাদের পরিবারের একের পর একজন মানুষকে ওরা মে’রে যাচ্ছে। আমরা কেন চুপ থাকবো। সেই পুরোনো রূপে ফিরবো। বদলা নিবো। চুপ করে থাকার মানুষ এই চৌধুরী পরিবার না।

মেহরাব দীর্ঘশ্বাস নেয়৷ ওরা যেন সেই কয়েকশো বছর পূর্বেই রয়ে গিয়েছে। তার বলতে খুব ইচ্ছে করে। একের পর এক মানুষের উপর তো সারা জীবন অ’ত্যাচার করেই গিয়েছো৷ আজ তার ফল পাচ্ছো। অ’ত্যাচার খেয়ে বেঁচে থাকা মানুষ হয়তো আজ খুব শক্তি নিয়ে ফিরেছে। হয়তো তারা নিজের প্রিয়জনদের বদলা নিচ্ছে। কিন্তু মেরহাব কিছু বলল না। এই মানুষগুলোকে সে বুঝাতে পারবে না। ক্লাসে যেমন এক ধমকে সবাইকে শান্ত করে ফেলতে পারে। কিন্তু এই মানুষগুলোকে লক্ষকোটি ধমক দিলেও ওরা শুনবে না।

মানুষ মানুষের জন্য। প্রিয় মানুষেরা অনেক সময় দূরে সরে যায়। অচেনা কেউ তখন খুব আপন হয়ে উঠে।
নাওশিনের মা যেখানে তাকে দিনের পর দিন কষ্ট দিয়েছে। সেখানে অচেনা কিছু মানুষ তার খুব আপন হয়েছে। এটাই হয়তো পৃথিবীর নিয়ম। পৃথিবী তার গতিতে চলে। চলন্ত গাড়ি যেমন সামনে থাকা মানুষ কিংবা গাড়িকে আ’ঘাত করে, তেমনি পৃথিবীও আ’ঘাত করে।
নাওশিন উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছে। কে খু’ন গুলো করছে। কিন্তু উত্তর পাচ্ছে না সে। তার মামাকে কে মে’রেছে, এখনই বা কারা ওদের মারছে। কোনো উত্তর সে পাচ্ছে না। নাওশিন আজ এই ৭ভাইয়ের দিকে তাকাচ্ছে। সবাই একেক জায়গায়। সময় কতো তাড়াতাড়িই না পরিবর্তন হয়ে যায়৷
কিন্তু খু’ন গুলো কে করছে? এই ৭ভাইয়ের মধ্যে কী কেউ? নাওশিন কিছু বুঝে উঠতে পারছে না। তিনজন মানুষের খু’ন হয়েছে, কে এই খু’নের খেলায় মেতেছে।
নাওশিন আতিকা বেগমের কাছে যায়। একা থাকলে তার মাথাতে এসবই ঘুরবে শুধু। তার থেকে কারো সঙ্গে থাকলে অন্তত এইসব চিন্তা মাথা থেকে যাবে।
আপা কী করছেন?
আতিকা কিছু একটা ভাবছিলেন, নাওশিনের প্রশ্নে তার দিকে ফিরে তাকান।
এইতো বসে আছি। তোর বুঝি ভালো লাগছে না একা একা?
নাওশিন বলল,
এতো বছর তো একা থেকেছি। কিন্তু এখন লোকালয়ে এসে একা থাকতে ভুলে গিয়েছি আপা।
আতিকা এক গাল হেসে বললেন,
আমার হয়েছে একবারে উলটো রে নাওশিন। লোকালয় থেকে আমি আলাদা। মানুষের ভীড়ে নিজেকে খুবই একা মনে হয়। এই যে আমি তোর সাথে গল্প করছি। তবুও আমাকে ভীষণ একা মনে হচ্ছে। মনে হয় একাই আমি ভালো থাকা শিখে যাচ্ছি।
নাওশিন উনার কথায় কেমন অনেক হাজারো লুকানো কথার খোঁজ পায়। তাই প্রশ্ন করল,
কেন আপা?
কিন্তু উনি উত্তর দিলেন না৷ শুধু বললেন,
আমার মাথার চুলগুলো টেনে দিবি।
নাওশিন অবাক হলো, উনি কিছু লোকাচ্ছেন।
নাওশিন আর কিছু বলল না। শুধু এটা বুঝল,
মানুষ যতোটা স্বাভাবিক দেখাতে চায় নিজেকে, আসলে মানুষ ততোটা স্বাভাবিক না। প্রতিটা মানুষের নিজস্ব একেকটি উপন্যাস আছে, আছে লুকায়িত গল্প৷ কিছু কষ্টের কবিতা, ছন্দগুলো শুধুই লুকানো চোখের পানি। তবুও মানুষ হাসে, হাসলেই যে মানুষ ভাবে সে খুব সুখী।

দুনিয়া কতোটা কঠিন, সেটা হয়তো মৃ’ত্যুর পূর্বে কোনো মানুষ আন্দাজ করতে পারে। আর সেই মৃ’ত্যু যদি হয় অস্বাভাবিক, তাহলে সত্যিই কষ্টটা দিগুণ।
মেরহাব চৌধুরী, গোবরে ফোটা এক গোলাপ৷ কলেজ থেকে ৭দিনের ছুটি নিয়ে এসেছিল। আজ তার ছুটি শেষ হয়েছে৷ মা এবং দুই ভাইয়ের থেকে বিদায় নিয়েছে৷ মা রামিনা বেগমকে বুকের সাথে মিশিয়ে কথা দিয়েছে সে, বিয়েটা এবার করেই নিবে। নিজের ছোট দুই ভাই রাহাত চৌধুরী এবং রায়হান চৌধুরী বারবার বলেছে ভাইয়া আমরা তোমার সাথে আসি। তোমাকে গাড়ি পর্যন্ত তুলে দিবো।
মেরহাব দুই ভাইকে বুকে জড়িয়ে বলছে শুধু।
মাকে দেখে রাখ তোরা৷ একা কোথাও বের হবি না। আমার চাচারা এবং চাচাতো ভাইদের মতো খা’রাপ পথে যাবি না। আর দুই মিনিটের রাস্তা, আমি একাই পারবো। আর মাত্র তো সকাল ১০টা। দুই মিনিটের রাস্তা না হয় এক মিনিটে হেটে যাবো।

মেরহাব চোখের পানি ফেলে সামনে থাকা মানুষটির দিকে তাকায়। মুখোশ পরা, কোনো ভাবেই চিনতে পারছে না সে মানুষটিকে। মনে মনে বারবার কালেমা পড়ে নিচ্ছে। তার চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করছে।
তুমি যেই হও না কেন, আমি নির্দোষ। আমাকে ছেড়ে দাও। আমার মা সহ্য করতে পারবে না আমার মৃত্যুর সংবাদ শুনলে। আমাকে ছেড়ে দাও। আমি বাঁচতে চাই। আমি আগামী প্রজন্মকে মানুষ গড়ার দায়িত্ব নিয়েছি। আমাকে খু’ন করো না, একটি প্রজন্মের শিক্ষককে তুমি খু’ন করবে তাহলে।
কিন্তু মনের কথা মনেই রয়ে যায়। কারণ তার মুখ বাঁধা।
পরিবারের শত্রুতা তাকেও আজ কেড়ে নিচ্ছে। প্রতিশোধ নেওয়া মানুষটি হয়তো ভালো খা’রাপ চিনে না। সে চিনে এই পরিবারের সবাই দোষী৷
মেরহাব নিজেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। কিন্তু কোনো ভাবেই নিজেকে ছাড়াতে পারছে না। সে তো কিছু করেনি। তাহলে তাকে কেন প্রতিশোধ এর আগুনে পুড়তে হবে।
মেরহাব চোখ বন্ধ করে আছে। তাকাতে পারছে না। তার দুই চোখে নিজের মা আর অনার্সে পড়া দুই ভাইয়ের মুখটিই ভাসছে। সাথে আরো একটি চোখজোড়া ভাসছে। আর সেই চোখজোড়া হলো সামনে থাকা মুখোশ পরা মানুষটি। তার মনে হচ্ছে সে চিনে, চোখজোড়া তার কতোই না চেনা।
মনে হলো তার শরীর থেকে কেউ ডান হাতটি আলাদা করে দিয়েছে৷ হ্যাঁ চোখ মেলে তাই দেখলো সে। কিন্তু তার চটপট করার কোনো উপায় নাই। চিৎকার করার শক্তি নাই। নাই প্রতিরোধ করার।
সে ব্যথা সহ্য করতে পারছে না। তার চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে হচ্ছে। আমাকে ছেড়ে দাও, আমি তোমার হয়ে আমার সব চাচা সহ চাচাতো ভাইকে বুঝাবো। আমি আগামী প্রজন্মকে ছেড়ে নিজের বাড়ির সবাইকে ভালো করার দায়িত্ব নিবো। ওদের কাজের জন্য কেন আমি ম’রব।
মুখোশ পরা মানুষটি মুখোশ খুলেন মেরহাব অনুভব করে তার শরীরের চারটি অঙ্গ নাই। ঠিক সেই পূর্বের তিনজনের মতোই তাকে খু’ন করা হচ্ছে।
চোখের সামনের মানুষটিকে দেখে আকাশটা ভেঙে যেন তার মাথায় পড়ে। কিন্তু এখন তাকে মৃ’ত্যুর স্বাদ নিতে হবে।
বুক ক্ষ’তবিক্ষত করে মৃ’ত্যু নিশ্চিত করে মানুষটি।
মেরহাব নিজের মৃ’ত্যুর পূর্বে সে খু’নীকে চিনেছে। কিন্তু সাক্ষী দেওয়ার জন্য সে আর আজ পৃথিবীতে বেঁচে নেই।

একের পর এক লা’শ, এই দৃশ্য দেখে পুলিশ অফিসার হামিদুর রহমান বারবার কেঁপে উঠছেন৷ চোখজোড়া ভিজে যাচ্ছে৷
বিকেল ৫টায় মেরহাবের লা’শ পাওয়া যায় তাদেরই বাড়ি থেকে ৫কিলোমিটার দূরে। হামিদুর রহমান খুব অবাক হয়েছেন। কীভাবে সম্ভব, রাস্তা দিয়ে কতো মানুষই তো হেটে যাচ্ছেম গাড়ির পর গাড়ি যাচ্ছে। কিন্তু কেউ কেন খু’ন হতে দেখছে না। কে করছে এসব? নিয়াজের পরিবার? কিন্তু ওরা তো পালিয়ে আছে? কে মেতেছে এই কঠিন খেলায়?
বাসার আশেপাশের সবার আজ চোখে পানি। এই প্রথম চৌধুরী বাড়ির কারো মৃ’ত্যুতে সবার অন্তর কাঁদে। একজন ভালো মানুষকে হারিয়েছে তারা। একটি অহংকারে ভরা পরিবারের মধ্যে মেরহাব যেন ছিলো একটি গোলাপ। যার ঘ্রাণে সবাই মুগ্ধ ছিলো।
রামিনা বেগম এর চোখের পানি শুকিয়ে গিয়েছে। স্বামীর পর বড় সন্তানকে হারিয়েছেন। পেটের সন্তান না হলেও মেরহাবকে নিজের দুই সন্তানের মতো বড় করেছেন। তিনি সহ্য করতে পারছেন না। এইসবের জন্য তারই পরিবার দায়ী। কোন মানুষ প্রতিশোধ নিচ্ছে, সেই প্রতিশোধ ভালো মানুষটিকেই কেড়ে নিলো তার থেকে।
দুই ভাই চিৎকার করে কাঁদছে। কী দোষ ছিলো তাদের ভাইয়ের? শুধুই কী এই চৌধুরী পরিবারের ছেলে বলে তাকেও মৃ’ত্যুর স্বাদ নিতে হল।
রামিনা বেগম আকাশের দিকে তাকিয়ে আছেন। হয়তো আজ সব স্মৃতি উনাকে গিলে খাচ্ছে। স্বজন হারানোর ব্যথা সহ্য করার ক্ষমরা খুঁজতে ব্যস্ত হতে চাচ্ছেন ওই নীল আকাশের বুকে।

চলবে,,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে