#সাদা_মেঘের_আকাশ
(৭)
লেখক: হানিফ আহমেদ
চৌধুরী পরিবারে আরো একটি খু’ন। মানিক চৌধুরী এর পর তার বড় ছেলে শান্ত চৌধুরীকে ঠিক একই ভাবে মা’রা হয়েছে। চৌধুরী বাড়িতে শুধু কান্নার শব্দই শুনতে পাচ্ছে মানুষ। বিশাল বড় চৌধুরী বাড়ি। ইট পাথরের শহরে চৌধুরী বাড়িটি যেন একটুকরো গ্রাম। চার দিকে দেয়াল ফেরানো। আর সেই দেয়ালের ভিতর অনেকগুলো বড় বড় ঘর, আছে তিনটি বিশাল পুকুর। মুহিত চৌধুরী, মুহিব চৌধুরী এবং মুকিত চৌধুরী তিন ভাইয়ের মোট ১৪ছেলেকে নিয়ে তাদের বিশাল একটি পরিবার। সেই ১৪ছেলে থেকে এখন চৌধুরী পরিবারটি অনেক অনেক বড় হয়েছে।
মুহিত এবং মুহিব চৌধুরীর ফাঁ’সি হয়েছিল ২০০১ সালে। মুকিত চৌধুরী এখনও বেঁচে আছেন। কথা বলতে পারেন না, বয়স নব্বই এর উপর৷ দুই চোখ মেলে শুধু তাকিয়েই থাকতে পারেন। এর বেশি কিছু তিনি পারেন না। অথচ এই মুকিত চৌধুরী এক সময় নিজের বড় দুই ভাইয়ের সাথে মিলে কেড়ে নিয়েছেন কতো মানুষের জমি, কেড়েছেন কতো মায়ের সন্তান, কতো নারীর স্বামীকে রাতের অন্ধকারে মে’রে গাছে ঝুলিয়েছেন।
৩জনের ১৪সন্তান। রাজত্ব যেন তাদেরই ছিলো। কেউ প্রতিবাদ করতে চাইলেই বলতো, আমাদের ১৪টি লাঠি আছে। ওদের উপর কেউ কোনো কথা বলতে পারতো না। তিন ভাই এবং নিজেদের সন্তানদের নিয়ে অ’ত্যাচার চালাতো মানুষগুলোর উপর। জোর করে মানুষের জমি দখল থেকে শুরু করে সব ধরণের খা’রাপ কাজই করতো।
আজ সেই পরিবারেই একের পর এক খু’ন হচ্ছে।
সাধারণ মানুষগুলোর অন্তর এতে একটুও আহত হয় নি। তারা যেন এক ভিন্ন সুখ পাচ্ছে। তাদের অন্তর কাঁদতো আজ, যদি কোনো ভালো মানুষকে খু’ন করা হতো৷
শিহাব চৌধুরী রেগে গর্জে উঠেছেন। সে এর শেষ দেখতে চায়। কে তার বড় ভাই এবং ভাতিজাকে খু’ন করেছে তাকে সে নিজের চোখের সামনে চায়। চৌধুরী পরিবারের দুই দুইটা প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। কার এতো সাহস সে দেখতে চায়।
পুলিশ অফিসারের সামনে চিৎকার করে বলে যাচ্ছে শিহাব চৌধুরী,
আপনারা চুপ করে আছেন কেন? ধরছেন না কেন ওই খু’নীদের৷ আমার ভাইয়ের পর আমার ভাতিজাকে ওরা খু’ন করেছে৷ আপনারা চুপ করে আছেন?
পুলিশ অফিসার হামিদুর রহমান শুধু বললেন,
এই খু’নও কী ওরাই করেছে?
শিহাব চৌধুরী এবার আরো বেশি রেগে যান। চিৎকার করে বলে উঠলেন।
আপনারা যদি ওদের জেলে ভরতে না পারেন। তাহলে আমরা তাদের কবরে পাঠাতে বাধ্য হবো। খু’নের বদলে খু’ন।
হামিদুর রহমান এবার কঠিন গলায় বললেন,
চুপ থাকুন। দোষীদের জন্য আইন আছে। আইনের কাজ আইনের মানুষ করবে।
হামিদুর রহমান চলে যান। এসেছিলেন এদের বক্তব্য শুনতে।
শিহাব চৌধুরী রেগে লাল হয়ে আছেন। তার শরীর কাঁপছে বেশি রেগে যাওয়ার কারণে। চিৎকার করে বললেন,
চুপ থাকলে চলবে না। নিজেদের তৈরি রাখো। জ্বলে উঠতে হবে, ভেঙে দিতে হবে সেই হাত, যেই হাত কেড়ে নিয়েছে আমার ভাই এবং ভাতিজাকে। কার এতো সাহস। চৌধুরী পরিবারের মানুষ খু’ন করেছে।
এই বলে ৬২বছর বয়সী শিহাব চৌধুরী বেরিয়ে যান। তার র’ক্ত এখন খুব গরম। এভাবে চুপ থাকতে পারবে না। এই শহরে কার এতো সাহস বেড়েছে যে চৌধুরী পরিবারের দিকে চোখ তুলেছে, তার তা দেখতে হবে।
শিহাবকে পিছন ডাকলেন রামিনা, কিন্তু শিহাব পিছন ফিরে তাকান নি। রামিনা হলো শিহাব চৌধুরীর দ্বিতীয় বউ। প্রথম বউয়ের মৃ’ত্যুর পরেই রামিনাকে বিয়ে করেন তিনি।
রামিনা চিৎকার করে বললেন,
তোমরা কেউ আটকাও আমার স্বামীকে। এই বয়সে এতো রেগে যাওয়া উনার শরীরের জন্য ভালো না।
রামিনার কথার উত্তরে জালাল চৌধুরী বললেন,
ভাবি, ভাইয়াকে আটকানোর প্রয়োজন নাই। বিপরীত হতে পারে। এমনিই কারো মন ভালো নেই। ভাইয়াও একটু পর দেখবেন চলে আসবেন রাগ কমে যাওয়ার পর।
বিকেল ৪টা, শহরে ধুলোবালি মাখা বাতাস। মানুষের ক্লান্ত শরীরে বাতাসের সাথে ধুলোবালিও লাগছে।
ক্লান্ত মানুষ নিজেদের গন্তব্যে ফিরতে ব্যস্ত। শহর এখন খুবই ব্যস্ত৷ কতো রঙের মানুষ এই শহরে, কেউ কারো দিকে চোখ তুলেও থাকায় না। কারো কারো হাত নিজেদের পকেটে, কখন যে পকেট কাটা পরে। সেই চিন্তাই মানুষের মনে।
শহর যখন খুব ব্যস্ত নিজের বুকে থাকা মানুষ নিয়ে। তখনই কেউ একজন ব্যস্ত নিজের কাজে। তার খুব পিপাসা, তা মেটাতেই সে খুব ব্যস্ত।
বেঁধে রাখা মানুষটির সামনে বসে আছে সে।
এইতো দিনটা হাসো হাসো করছে। আকাশটা লাল হয়ে আসছে, ঘড়ির কাটা এখনো চারটাতেই রয়েছে।
বেঁধে থাকা মানুষটি আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে। মুখটাও তার বাঁধা। আকাশের দিকে তাকিয়ে শুধুই সাদা মেঘের আকাশ দেখতে পারছে। এই সাদা মেঘের আকাশ তাকে কিছু মনে করিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু তার সামনে এখন মৃ’ত্যু দাঁড়িয়ে আছে, তার কী ঠিক হবে অতীতে যাওয়া?
তার অন্তর কাঁপছে। পারছে না কোনো ভাবে বিশ্বাস করতে, একটু পর সে এই পৃথিবীতে থাকবে না। আবারও আকাশের দিকে তাকায়, নীল আকাশটা সাদা মেঘে ঢেকে রেখেছে। এই যেন সাদা মেঘের আকাশ।
বেঁধে থাকা মানুষটি আকাশ দেখছে আর নিজেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার শতো চেষ্টা করছে।
তোদের বংশটি একবারেই শেষ করতে পারিনি, একজনকে নিয়ে খালেদ পালিয়ে গেল। তোদের ওই একজন হলো আকাশে থাকা সাদা মেঘ। আকাশে ভেসে থাকা ছাড়া আর কোনো কাজ নেই যেমন ওই সাদা মেঘের, তেমনি তার আকাশ হবে সাদা মেঘের আকাশ।
এই বলে শরীর থেকে একের পর এক মাথা আলাদা করছিল সবাই মিলে।
বেঁধে থাকা মানুষটি এসব ভাবতেই কেঁপে উঠে। আজ তো এই নীল আকাশটি সাদা মেঘে ঢাকা।
কে ওই মুখোশ পরা মানুষটি? কে হতে পারে?
পিছনে হাত দুটো বাঁধা তার। মুখটাও আজ তার বন্ধ। কোনো ভাবেই শব্দ করতে পারছে না।
এবার মুখোশ খুলে মানুষটি।
মুখোশের ভিতরে থাকা মানুষটির মুখ দেখে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে সে। হয়তো প্রশ্ন করার, চিৎকার করার শত চেষ্টা করছে, কিন্তু আজ সে নিরুপায়।
হিং’স্র রুপে প্রথমেই দুই পা কাটতে ব্যস্ত হয়ে পরে মানুষটি।
দুই পা দুই হাত কাটার পর বুকটি ক্ষ’তবিক্ষত করে মৃ’ত্যু নিশ্চিত করে।
হাসি মুখে আকাশের দিকে তাকিয়ে সে বিদায় নেয় পিপাসা মিটিয়ে।
সন্ধ্যা হয়েছে। নাওশিন বসে আছে জাহেদ এবং সামিনের সামনে। সে ভাবছে হয়তো ওরা তাকে দেখতে আসছে। সে বসে আছে আতিকার পাশে। এই বাসায় আতিকা একাই থাকেন, উনার এক ছেলে ছিল। কিন্তু সে বাড়ি ছেড়েছে বেশ কিছুদিন হয়েছে।
দরজার শব্দ হয়।
আতিকা দরজার কাছে দাঁড়িয়ে কে জিজ্ঞেস করেন, দরজার ওপাশ থেকে উত্তর আসলো,
আমি আদিব আপা।
দরজা খুললেন তিনি। আদিব এসে জাহেদ এবং সামিনকে দেখতে পেয়ে ওদের পাশে বসে।
এক এক করে মিফতা, রবিনও আসে। মিফতা বসতে বসতে বলল,
সিএনজিতে শুনলাম মানিক চৌধুরীর বড় ছেলে শান্ত চৌধুরীকেও কেউ খু’ন করেছে।
মিফতার কথায় আতিকা বলে উঠলেন,
মিফতা আস্তে কথা বল।
কেউ কোনো কথা বলছে না। সবাই চুপ
নাওশিন বুঝতে পারছে না ওরা সবাই কেন এখানে এসেছে। সে আর চুপ করে থাকতে পারছে না। কিন্তু কথাও বলতে পারছে না।
সামিন বাসায় বাজার আছে কী?
আদিবের প্রশ্নে সে বলল,
হ্যাঁ ভাইয়া কালকেই এক সপ্তাহের বাজার করেছি।
আদিব বলল,
যাক বাবা বাঁচা গেল। আমরা তো এখন আর কেউই লোকালয়ে বের হতে পারবো না।
রবিন বলল,
বলছিলাম না ওরা আমাদের ফাঁসানোর জন্য এমন করছে। দেখেছো আজ ওরা আমাদের পালিয়ে থাকতে বাধ্য করেছে।
ওরা যেন কী ভাবছে। রবিনের কথায় নাওশিন বুঝতে পারে। পুলিশ থেকে বেঁচে থাকার জন্য সবাই এখানে এসেছে। এই তিন রুমের বাসায় এতো জনের জায়গা হবে কীভাবে?
খু’নগুলো কে করছে, আর ওরা নিজের মানুষদের মে’রে কেন -ই বা আমাদের ফাঁসাবে।
মিফতার কথায় আদিব বলল,
আমাদের ভালো থাকা কেড়ে নেওয়ার জন্য এরা এতোটা উঠেপড়ে লেগেছে কেন? আমাদের পরিবারকে শেষ করেও ওদের মন ভরে নি? আমরা এতোটা চুপ থাকার পরেও এই অবস্থা।
আতিকা বেগম বললেন,
কারো ঠোঁট যেন আর না নড়ে। বস তোরা, আমি চা তৈরি করে নিয়ে আসি তোদের জন্য।
আদিবের বলতে ইচ্ছে হল, আপা চা গলা দিয়ে নামবে না।
কিন্তু কথাটি বলতে পারলো না।
আতিকা তাদের আপন কেউ না। উনার সাথে ২০০১সালে পরিচয় হয় কোর্টের বারান্দায়৷ আদিব যখন নিজের ভাইগুলোর চোখের পানি মুছে দিয়ে বোঝাচ্ছিল, খালেদ আহমেদও তাদের সাথে ছিলেন। সেই দিন আতিকা বেগম দূর থেকে দেখছিলেন সব। কাছে এসে তিনি জানতে চান কী হয়েছে। কিন্তু ওরা কান্না করছিল। খালেদ আহমেদের থেকে সব শুনি তিনি উনার বাসায় নিয়ে যান সেদিন ওদের। তারপর এভাবেই একটু একটু করে ওদের খুব আপন হয়ে যান তিনি।
খালেদ আহমেদ মাঝেমধ্যেই এই বাসায় ওদের নিয়ে আসতেন৷ ওরাও আতিকা বেগমকে খুব আপন করে নেয়।
রাত ১১টায় দরজায় আবারও শব্দ হয়। আতিকা পূর্বের মতোই একই কাজ করলেন। ওপাশ থেকে উত্তর আসে আপা আমি সাইফ।
দরজা খুলে দেন, সাইফ ভিতরে প্রবেশ করে।
নিয়াজ ছাড়া সবাই এখানেই উপস্থিত হয়। আজকের রাতটা তারা এখানেই থাকবে, কাল থেকে সবাই আলাদা আলাদা হ্যে যাবে।
সাইফ তুই কোথায় ছিলি?
মিফতার প্রশ্নে সাইফ কিছুক্ষণ নীরব থেকে বলল,
ভাইয়া এক বন্ধুর বাসায় উঠেছিলাম, কিন্তু ওর বাবা সব শুনে বললেন পুলিশের ঝামেলা উনার মোটেই ভালো লাগে না। তারপর আমি এখানেই চলে আসি।
মিফতা আর কিছু বলল না। কতোটা অসহায় আজ ওরা। একা বাসায় নিজেদের স্ত্রী বাচ্চাদের রেখে আজ তাদের লুকিয়ে থাকতে হচ্ছে।
নিয়াজ কোথায়?
আদিবের প্রশ্নে কেউ কিছু বলল না। তবে আতিকা বললেন,
নিয়াজ সকালেই ফোন করেছিল। শান্ত চৌধুরীর খু’নের কথা সে আমায় বলল। আর বলল সে তার এক বন্ধুর বাসায় উঠেছে।
কেউ আর কোনো কথা বলল না। রাত আস্তে আস্তে গভীর হচ্ছে। নাওশিন আতিকার রুমে শুয়ে আছে। তাকে কঠিন গলায় বলা হয়েছে চোখ মেলে তাকানো তার নিষেধ, ঘুমাতেই হবে তাকে। এই কঠিন গলায় কথা বলা মানুষটি হলেন আতিকা।
ওদের ছয়জনকে দুই রুমে বিছানা করে দিয়ে বললেন আতিকা,
আর কারো ফিসফিস করে কথা বলার কণ্ঠটাও আমার কানে না আসে৷ সবাই ঘুমাবে। আমি জেগেই আছি।
আতিকা বেগম নাওশিনের পাশে এসে শোয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
নাওশিনের দিকে তাকালেন তিনি, কতো ছোট মেয়েটা। কিন্তু এই বয়সেই এতো কষ্ট। আদিব সেদিন ফোন দিয়ে বলল, আপা নাওশিন নামের এক মেয়েকে তোমার বাসায় রাখবো। তারপর সব বলে। তিনিও সব শুনে দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বললেন, ঠিক আছে।
দুনিয়াটা কতো সুন্দর, কিন্তু এই দুনিয়ার মানুষ কেন সুন্দর নয়?
সকালে শিহাব চৌধুরীর লা’শ খুঁজে পায় তার পরিবার। এর আগের দুজনের মতোই তাকে খু’ন করা হয়েছে।
রাগ করে বাড়ি থেকে বের হওয়ার এক ঘন্টা পরেই সবাই তাকে খুঁজতে ব্যস্ত হয়ে পরে কিন্তু তার কোনো হদিস পাওয়া যায় নি। আজ খুঁজতে খুঁজতে একটি আবর্জনায় ভরা নালার পাশেই শিহাব চৌধুরীর লা’শ পাওয়া যায়। দেখেই বুঝা যাচ্ছে, একই ব্যক্তি তাকে খু’ন করেছে। শিহাব চৌধুরীর চোখ দুটো এখনো সেই ভাবেই বড় বড় রয়েছে। মৃত্যুর পূর্বে খু’নিকে দেখে যেভাবে চোখ দুটি বড় করেছিলেন।
চৌধুরী পরিবারের আরো একজনের খু’ন। বিষয়টা এবার শহরে হৈচৈ ফেলে দিয়েছে।
কে করছে এসব। চৌধুরী পরিবারের সবাই এখন খুব উত্তেজিত৷ এবার তারা এর শেষ দেখতে চায়। কে মেতেছে এই খেলায়, সেটা তারা দেখতে চায়।
স্বামীর মৃত্যুর সংবাদ শুনে একরকম পা’গল হয়ে গিয়েছেন রামিনা বেগম। মানুষটা যেমনই হোক, এই মানুষ তার স্বামী। এই খা’রাপ মানুষটিকে সে স্বামী রূপে গ্রহণ করেছিল। আজ সেই মানুষটিকে কেউ খু’ন করেছে। তিন যেন পা’গল হয়ে গিয়েছেন।
শিহাব চৌধুরীর দুই স্ত্রীর ঘরে ৩ছেলে আছে। ওরা খুবই ভালো, কারণ রামিনা বেগম তাদের মা। কোনো ভালো মায়ের সন্তান কখনো খা’রাপ হয় না। শিহাব চৌধুরীর প্রথম স্ত্রী যখন মা’রা যান, তখন শিহাব চৌধুরীর ১বছরের এক বাচ্চা ছিলো। উনার স্ত্রীকে কলেরায় কেড়ে নিয়েছে।
রামিনা বেগম কান্না করছেন, যতোই হোক এই মানুষ তার স্বামী। শত চেষ্টা করেও ভালো পথে নিয়ে আসতে পারেনি৷ সেই পথ মানুষটিকে খু’নের দরজায় নিয়ে যায়।
চলবে,,,