#সাদা_মেঘের_আকাশ
(৪)
লেখক: হানিফ আহমেদ
জানালার পাশে দাঁড়িয়ে নীল আকাশ দেখছিল নাওশিন। অনেক বছর হলো আকাশ দেখা হয় নি তার। তার নীল আকাশ ভীষণ পছন্দের। মাঝেমধ্যেই বাবার সাথে বসে নীল আকাশ দেখতো। বাবা আলতাফ হোসেন প্রায়ই নিজের প্রিয় স্ত্রী এবং মেয়েকে নিয়ে ছাদে বসে আকাশ দেখতেন। বলতেন, ‘ভালোবাসা যদি নীল আকাশের মতো পরিষ্কার হয়, তাহলে সেই ভালোবাসা যেন রাতের আকাশের ওই সুন্দর চাঁদ।’ সাজেদা বেগমের সাথে নানান গল্পে মেতে উঠতেন। সেই মুহূর্ত গুলো কতোই না মধুর ছিলো। নাওশিনের ৯বছর বয়সে তার প্রিয় বাবা আলতাফ হোসেন মৃ’ত্যুর স্বাদ গ্রহণ করেন। সবার মুখে সে শুনেছে, তার বাবা ঘুমের মধ্যেই হার্ট অ্যাটাক করে মৃ’ত্যু বরণ করেছিলেন।
কিন্তু যতোই সময় যাচ্ছে, তার ততোই মনে হচ্ছে তার বাবার মৃ’ত্যু স্বাভাবিক মৃ’ত্যু ছিলো না।
নাওশিন খুব কাছ থেকে দেখেছে নিজের প্রিয় মানুষকে পালটে যেতে। পৃথিবীতে তার প্রিয় বলতে অল্প কিছু মানুষই ছিলো৷ তার মধ্যে একজন তার মা। কিন্তু বাবার মৃ’ত্যুর পর দেখেছে সেই প্রিয় মানুষটিকে অল্প অল্প করে পরিবর্তন হতে।
পরিবর্তন শব্দটি অনেকটা মাথার উপরের বিশাল আকাশের মতোই। আকাশটি যতক্ষণ নীল, ততক্ষণ ওই আকাশ সবার ভালো লাগে। কিন্তু আকাশে যখন কালো মেঘ জমে, তখন মানুষ ঘরে আশ্রয় নেয়। কারণ আকাশের এই পরিবর্তন কেউ চায় না।
নাওশিন পরিবর্তন শব্দের অর্থ শিখবার পূর্বেই নিজের প্রিয় মা’কে পরিবর্তন হতে দেখেছে। যেই মানুষটি পৃথিবীর সব সুখ বলতে নিজের স্বামীকেই বুঝতো। সেই মানুষটি নিজের প্রিয় স্বামীর মৃত্যুর ৮মাসের মাথায় বিয়ে করে আনিছুর রহমানকে।
বাবার হাত ধরে থাকার বয়সে বাবাকে হারিয়েছে নাওশিন। বুঝেছিল মা তো আছেন। কিন্তু তখনই বুঝল সে পৃথিবীতে খুব একা। যখন পুতুল খেলার বয়সে তাকে ঘর মুছতে হতো, কাজ করলে ভাত পেটে যাবে, নয়তো না খেয়ে থাকতে হবে।
তবুও মাঝেমধ্যে নাওশিন খুব খুশী হতো। যখন পৃথিবীর আরো একজন প্রিয় মানুষ যিনি তার প্রিয় মামা খালেদ আহমেদ, উনার সাথে ঘুরতে যেতো, কিংবা তাদের বাসায় কিছুদিনের জন্য থাকতে যেতো।
হাতে কলম থাকার বয়সে সে বালতি ভরা কাপড় ধুতে শিখে যায়।
তখন থেকেই বুঝতে পেরেছিল। পৃথিবী ততোদিন ভালো, যতোদিন এই পৃথিবীতে প্রিয় মানুষগুলো বেঁচে থাকেন।
নাওশিন যখন নিজের জীবনকে পড়তে খুব ব্যস্ত। তখন তার মনে হলো তার থেকেও তো হাজার গুণ কষ্ট পেয়েও মানুষ বেঁচে আছে।
মাঝেমধ্যে ভাবতো নাওশিন, বন্দী চার দেয়ালে আ’ত্মহত্যা করবে। কিন্তু নিজের সাথে প্রতিনিয়ত যু’দ্ধ করত। বেঁচে থাকার জন্য বারবার তাকে নিজের মনের বিরুদ্ধে যেতে হতো। মন যখন বলতো এই পৃথিবী তোমার না। তখন নাওশিন বলতো, না এই পৃথিবী আমার। পৃথিবীটাকে আমি উপভোগ করার জন্যে হলেও বাঁচবো।
নাওশিন খুব কঠিন মুহুর্ত কাটিয়েছে। এই দিন গুলো হয়তো তাঁর অন্য রকম হতে পারতো, যদি তার প্রিয় বাবা বেঁচে থাকতেন।
পড়ালেখায় খুব মনোযোগী থাকার পরেও যখন তাকে আর পড়তে দেওয়া হয় নি। তখন তার ভীষণ কষ্ট হতো। পৃথিবী অসহ্যকর লাগতো। তার বাবা বলতেন, আমি আমার নাওশিনকে অনেক বড় করব। আমার নাওশিন মা যেমন সুন্দর, তার লেখাটাও তার মতোই সুন্দর।
হ্যাঁ আজ সে ১৬বছর বয়সের এক যুবতী। বড় হয়েছে ঠিকই, কিন্তু বাবার বলা সেই অনেক বড় শব্দটি আর কখনো হওয়া হবে না।
ভাতের প্লেট হাতে পারুল এসে নাওশিনের পাশে বসে। নাওশিন তখনও আকাশ দেখতে ব্যস্ত। পারুল নাওশিনকে খুব আস্তে করে বলল,
ভাত খেয়ে নাও নাওশিন। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতে চলল।
নাওশিন আকাশ দেখতেই ব্যস্ত। হয়তো তার কানে পারুলের বলা কথা যায় নি।
পারুল আবারও বলল,
নাওশিন আমি কিছু বলেছি তোমায়!
নাওশিন পারুলের দিকে তাকায়। ভাতের প্লেট হাতে দেখে নাওশিন শুধু বলল,
আমার খিদে নাই।
আমি যদি আমার হাতে খাইয়ে দেই তবুও?
নাওশিন কোনো কথা না বলে হা করে।
পারুল মিষ্টি হেসে নাওশিনকে খাইয়ে দিতে শুরু করে।
নাওশিনের মনে আছে। তার পরিবর্তন হওয়া মা তাকে বলেছিলেন, কেউ যদি কোনো আবদার করে। আর সেই আবদার যদি সৎ এবং ভালো হয়। তোর মনে হয়ে, তুই সেই আবদার মেটাতে পারবি। তাহলে আবদার করা মানুষটিকে কখনো ফিরিয়ে দিবি না।
নাওশিন ঠিকই পারুলের আবদারটি রাখে, সে তার মায়ের সেই কথাটি এখনো মেনে যাওয়ার চেষ্টা করে প্রতিনিয়ত। সব কিছুকে এক পাশে রেখে একটি শব্দতেই সে সব কিছু ভুলে যেতো, তিনি আমার মা।
কয়েক বার ভাত মুখে দেওয়ার পর বমি করে দেয় নাওশিন। এই খাবার তার পেটে হজম হতে চায় না। পারুল নাওশিনকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যায়।
কী হয়েছে বোন? শরীর খারাপ?
নাওশিনের চোখ দিয়ে পানি এসেছে বমি করার কারণে। খুব কষ্টে বলল সে,
আপা আমি ভাত খেতে পারছি না। এই ভাত পেটে যাওয়ার পর আমার কেমন জানি লাগে।
পারুল ছোট্ট করে প্রশ্ন করে,
তোমার কি খেতে ইচ্ছে করে?
নাওশিন বলল,
শুকনো রুটি আর এক গ্লাস পানি।
এই খাবার খেয়েই তো দিনের পর দিন, বছরের পর বছর কাটিয়েছে। যেই খাবার মুখে নিলেই তার বমি আসতো, আজ সেই খাবারই তার মন খুব করে চায়। এই খাবার এর মাধ্যমেই যে তাকে অ’ত্যাচার করা হতো। নাকে তার ভিন্ন ভিন্ন তরকারির ঘ্রাণ আসতো। কিন্তু খাবার বেলায় তার সামনে শুকনো রুটি আর এক গ্লাস পানি থাকতো। আর পাশেই তার মা আর মায়ের স্বামী ঘ্রাণ যুক্ত তরকারি দিয়ে ভাত খেতেন। প্রথমে অনেক প্রশ্ন করত, কান্না করত। কিন্তু ওদের মন গলত না।
খালেদ আহমেদ এবং তার পরিবারের মৃত্যুর আজ ৪দিন।
নাওশিনকে ওরা তার মামাকে শেষ দেখাটাও দেখতে দেয় নি। কারণ ওদের জানাযায় পুলিশ এর লোক উপস্থিত ছিলো। সেখানে নাওশিনের মা ছিলো। কারণ ভাইকে শেষ দেখা দেখবে, তাই আসছিল।
সেখানে কীভাবে নাওশিনকে নিয়ে যাবে ওরা। কীভাবে পুলিশের হাতে নির্দোষ নাওশিনকে তুলে দিতে পারে তারা।
আদিব তো সবাইকে বলেই দিয়েছে নাওশিন নির্দোষ। কিন্তু নিয়াজ মানতে নারাজ। সে বিশ্বাস করে নাওশিন খু’ন করেছে ওদের। তাকে কোনো ভাবেই বিশ্বাস করাতে পারছে না সবাই। তার এক কঠিন বক্তব্য।
নাওশিন যদি খু’ন না করে ওদের, তাহলে সে সেখানে কী করছিল? তোমরা যেয়ে কেন অন্য কাউকেই পাওনি, কেন নাওশিনকেই পেলে? সে কী তার মামার বাসা চিনে না? সে কী তার মামাকে চিনে নি? এই খু’ন গুলো নাওশিন করেছে।
নিয়াজের এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর কেউ দিতে পারছে না। সত্যিই তো নাওশিন সেখানে কী করছিল, তারা কী তা জানে? দুনিয়াতে এতো মানুষ থাকার পরেও নাওশিনকেই কেন সেই বাসায় পেতে হল?
সবাই যখন চুপ নিয়াজের এমন প্রশ্নে। তখন আদিব নাওশিনকে ডেকে আনে। এই কথার উত্তরগুলো নাওশিনই দিতে পারবে।
নাওশিন এসে সবার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। সবার মুখ মলিন হলেও নিয়াজের মুখ খুব কঠিন। নাওশিনকে উদ্দেশ্য করে এই সব কয়টি প্রশ্ন করে নিয়াজ। নাওশিন আদিবের দিকে তাকায়, সেও নাওশিনের উত্তরের অপেক্ষায়। নাওশিন চুপ করে আছে। নাওশিনকে কথা না বলতে দেখে নিয়াজ ধমক দিয়ে বলল, মুখ দিয়ে কী কথা আসছে না তোমার?
নাওশিন এতো কঠিন গলায় ধমক খেয়ে কেঁদে দেয়।
আদিব চোখের ইশারায় নিয়াজকে শান্ত হতে বলে। আদিব বলল,
নাওশিন নিয়াজের করা প্রশ্ন গুলো আমাদের সবার প্রশ্ন। তুমি চুপ না থেকে উত্তর দাও। আমার বিশ্বাস তুমি মানুষ মা’রতে পারো না। কিন্তু আমার ভাইটা এসব বিশ্বাস করতে পারছে না কোনো ভাবেই। তাই তুমি চুপ না থেকে উত্তর দাও ওর প্রশ্নের।
নাওশিন দীর্ঘশ্বাস নেয়, কপাল ঘেমেছে তার। চোখে এখনো পানির অংশ দেখা যাচ্ছে। প্রশ্ন আর প্রশ্ন। একটু ভালোভাবেই তো বাঁচতে পালিয়েছিল, কিন্তু বাস্তব এতো কঠিন কেন?
নাওশিন বলতে শুরু করে,
আমি দুইটা বছর ধরে ঘর বন্দী। আমার উপর এতোটা অ’ত্যাচার করেছে আমার মা আর তার স্বামী যে, এখনো ভাত মুখে নিলে সব অ’ত্যাচার এর কথা মনে পরে যায়।
আমাকে দিয়ে আমার মায়ের স্বামী একটি ব্যবসা শুরু করতে চেয়েছিল। এক জঘন্য খেলায় মেতে উঠতে চেয়েছিল। সেই খেলায় মেতে উঠতে আমি নিজেকে বাঁচানোর জন্য নিজেই প্রতিবাদ করতে শুরু করি। তারপর থেকেই ঘরবন্দী। আমাকে তিন বেলা ১টি রুটি করে আর এক গ্লাস পানি খেতে দিতো। জানিনা কীভাবে বেঁচে আছি আমি। পিচ্চি ভাই বায়েজিদ মাঝেমধ্যে লুকিয়ে করে দু একটি রুটি আমাকে খেতে দিতো। খুব কষ্ট হতো আমার। সেদিন রাতে বায়েজিদ আমাকে পালাতে সাহায্য করে। বায়েজিদকে আমার মায়ের স্বামী রাস্তায় পেয়ে এনেছে বলে দাবী করে, কিন্তু তার মতোই বায়েজিদ এর চেহারা। এই বিষয়ে কখনো আমার মাকে মাথা ঘামাতে দেখি নি।
সেই রাতের আগের রাত বায়েজিদ আমাকে পালাতে সাহায্য করবে বলেছিল, তারপর আমি নিজেকে তৈরি করি, কারণ আমাকে পালাতে হবে।
রাতের কোনো এক সময়ে বায়েজিদ বাহির থেকে দরজা খুলে দেয়৷ তারপর আমি পালিয়ে যাই। এই কাজে বায়েজিদকে সন্দেহ করবে না। কারণ বাসায় একজন কাজের মহিলাও আছে। সন্দেহ কাকে করবে সেটা ওদের বিষয়।
আমি অন্ধকার রাস্তায় হাটছিলাম। একা, গভীর রাত। মনের মধ্যে ভয়ের ঢেউ, কখন কী হয়। শরীর ক্লান্ত৷ হাটতে কষ্ট হচ্ছিল আমার। এক পর্যায়ে একটি বাসার দরজা খোলা পাই, বাসার গেইট খোলা ছিল, তাই দরজা যে খোলা সেটাও দেখতে পাই। আমি তখন কিছু না ভেবেই বাসায় প্রবেশ করি। মাথায় তখন এক মুঠো ভাতের চিন্তা ছিলো।
শেষ পর্যন্ত বলে থেমে নাওশিন।
বিশ্বাস করুন আমি আমার মামার বাসা চিনতাম না। অনেক পূর্বে আমি আমার মামার বাসায় গিয়েছিলাম৷ আমার বিশ্বাস এই বাসা নতুন, মামার নতুন কোনো বাসা। এই শহরে আমি মুক্ত ভাবে চলাফেরা করি না অনেক বছর।
আমি জানতাম না ওই ফ্লোরে থাকা মানুষটি আমার মামা ছিলেন। তাহলে আমি ভয় পেতাম না, মানুষটিকে জড়িয়ে ধরতাম নিজের বুকের সাথে। একবার দেখেই ভয় পেয়েছিলাম, দ্বিতীয় বার তাকাতে পারিনি। এতোটা নিষ্ঠুর ভাবে আমার মামাকে ঘা’তকের দল ক্ষ’তবিক্ষত করেছিল। চেনার কোনো উপায় ছিলো না।
আমাকে বিশ্বাস করুন। অ’ত্যাচার যাদের খাবার তারা কখনো মিথ্যে বলে না, তারা কখনো মিথে বলে না।
শেষের বাক্যটি শুনে আদিব নিজের চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি। আদিব নাওশিনের কাছে যায়। চোখের পানি মুছে দিয়ে বলল,
বোন কাঁদিস না। আমি জানি তুই মানুষ মা’রতে পারিস না। নিয়াজও এখন সেই কথা বিশ্বাস করবে। তুই আমাদের চিনতে না পারিস আমরা তোকে খুব ভালো করে চিনি। তোর মামার কাছে তোর অনেকগুলো ফটো আছে। সেগুলো আমাদের দেখাতেন। তোকে তো খুব ছোটবেলায় দেখেছিলাম। তোকে দেখিনি তখন, যখন তোর মা আ,,,
আদিব থেমে যায়। কথাটি মুখের মধ্যে রেখে দেয়। নাওশিন চুপচাপ নিচের দিকে তাকিয়ে আছে। তাকে আর চোখজোড়া থেকে কতো পানি ফেলবে। একটু সুখও কী তার কপালে নেই।
নাওশিন চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে।
আদিব মিনহাকে বলল নাওশিনকে রুমে নিয়ে যেতে৷
স্বামীর আদেশ পেয়ে মিনহা নাওশিনকে রুমে নিয়ে যায়।
নিয়াজ শুধু শুধু মেয়েটিকে কাঁদিয়ে দিলি।
মিফতার কথায় নিয়াজ চুপ৷
নিয়াজ শুধু বলল,
আমি মনকে বুঝ দিতে পারছি না ভাইয়া। তোমরা যদি এভাবে চুপ থাকো তাহলে আমি আমার পরিবারের সবাইকে যারা খু’ন করেছে৷ তাদের এক এক করে খু’ন করে জেলে যাবো৷ আমি আর পারছি না চুপ থাকতে। কী পেয়েছো চুপ থেকে? সেই তো ওরা আবার খু’নের খেলায় মেতে উঠলো।
নিয়াজের কথায় আদিব ধমক সুরে বলল।
নিয়াজ তোর কী মনে হয়, আমরা চুপ আছি? তোর র’ক্ত কী একাই গরম হয়? আমাদের কী গরম হয় না। আমরা চুপ নাই নিয়াজ। ওদের দুজনের ফাঁ’সি হয়েছে। দেশে যদি ভালো আইন থাকতো। তাহলে ওদের সবার শাস্তি হতো। এই যে তুই নাওশিনকে সন্দেহ করলি, এই মেয়েটাকে যদি তুই পুলিশে দিয়ে দেস, তাহলে আইন চিবিয়ে চিবিয়ে খাবে নিরীহ নাওশিনকে। বেঁচে যাবে দোষী মানুষগুলো। আইন নিজের হাতে নিবো না বলেই চুপ আছি। ওরা একটু জমির জন্য আজো এমন করতেছে৷ শুধুই কী জমি না-কি অন্য কিছু আছে সেটাও দেখবো এবার। তুই দয়া করে চুপ থাক ভাই। এভাবে উত্তেজিত হলে আমাদের চলবে না। আমরা নিরুপায়। আমাদের চাকরি করে খেতে হয়। আমার বা মিফতা কিংবা জাহেদের কিছু হলে আমাদের বাচ্চাকে কে দেখবে? বাবা চাচাদের মৃ’ত্যুর পর আমরা কতোটা অসহায় ছিলাম, দেখেছিস তো নিজের চোখেই।
জমি নিয়ে ওরা আজো কেন আমাদের পিছনেই লেগে আছে। কেন একের পর এক হ’ত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে তা তো আমরা জানবো ইনশা আল্লাহ।
নিয়াজ কোনো কথা না বলে নিজের রুমে চলে যায়। সে এভাবে চুপ করতে থাকতে পারবে না।
আদিব দীর্ঘশ্বাস নেয়, তাদের উপর কী আর কোনো ঝড়তুফান আসতে যাচ্ছে?
চলবে,,,