সম্পর্কের মারপ্যাঁচ পর্ব-২

0
2012

#সম্পর্কের_মারপ্যাঁচ
পর্ব-২
#tani_tass_ritt

তখনি প্রাভতি দৌড়ে এসে রুদ্র কে জড়িয়ে ধরলো।ভয়ে তার পুরো শরীর কাঁপছে।

“ভাইয়া আমাকে বাঁচাও।আমি আজকে কিছু করিনি।আমি ঘুমিয়েছিলাম,ঘুমের মধ্যেই চাচি এসে আমাকে মারা শুরু করে।তারপর আমাকে টানতে টানতে এখানে নিয়ে এসে ঝারু দিয়ে পেটাচ্ছে।” বলেই হাউমাউ করে কাঁদতে থাকে।

তখনি রুবি বেগম এসে প্রভাতির চুলের মুঠি ধরে টান দেয়।
“ছাড় আমার ছেলেকে।ওকে বিচার দেয়া হচ্ছে তাইনা।চরিত্রহীন মেয়ে কোথাকার।মেরে একদম তক্তা বানিয়ে ফেলবো।” বলেই প্রভাতিকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলো।

রুদ্র যেয়ে প্রভাতিকে উঠিয়ে নিজের রুমে নিয়ে গেলো।রুবি বেগম কিছু বলতে এলেই রুদ্র তার দিকে চোখ গরম করে তাকালে সে আর কিছু বলতে পারে না।

রুদ্র প্রভাতিকে চেয়ারে বসিয়ে নিজে তার সামনে হাটু গেড়ে বসলো।
মেয়েটাকে দেখে তার খুব মায়া লাগছে।ফর্সা শরীরের রক্ত জমাট বাঁধার দাগ পরে গেছে।নিজের অজান্তেই রুদ্রের চোখ ঝাপসা হয়ে এলো।প্রভাতির কান্না রুদ্রের বুকে কাঁটার মতো বিধছে।

“এই যে মায়া পরী চুপ। আর কাঁদবিনা।”
প্রভাতির কান্না যেনো আরো বেড়ে গেলো।
“ভাইয়া আমার খুব ব্যাথা করছে সারা শরীরের।আমাকে অনেক জোরে জোরে মেরেছে।দেখো দেখো আমার শরীরে কেটে গিয়েছে।”
বলেই প্রভাতি পেটের কাছ থেকে কামিজটা একটু উঁচু করে দেখালো।

রুদ্র দেখতে পেলো জায়গায়া একদম নীল হয়ে আছে।
“আমি মলম লাগিয়ে দিচ্ছি।প্লিজ কাঁদিস না।আমি তোকে অনেক গুলো চকলেট কিনে দিবো।”

চকলেটের কথা শুনে প্রভাতি খুশি হয়ে গেলো।নিমেষেই ভুলে গেলো একটু আগে তার সাথে কি হয়েছে।রুদ্র প্রভাতির হাতে পায়ে মলম লাগিয়ে দিয়ে ময়নার মা কে ডাক দিলো।

“আপনি ওর শরীরের বাকি অংশে লাগিয়ে দেন।” বলেই রুদ্র মায়ের রুমে গেলো।

রুবি বেগম ইজি চেয়ারে বসে নিরবে অশ্রু ফেলেছে।রুদ্রকে আসতে দেখে সে জলদি করে চোখের পানি মুছে ফেললো।কিন্তু নিরবের চোখে ঠিকই পড়লো।

“মা তুমি আমাকে বলবে তোমার সমস্যা টা কোথায়? ওকে মেরে যদি তুমি নিজেই কান্না করো তাহলে ওকে কেনো মারো? বাচ্চা মেয়েটা তোমার কি ক্ষতি করেছে?”

“তোর লজ্জা করেনা ওর হয়ে ওকালতি করতে?কাল রাতে যে দুজন মিলে বৃষ্টিতে ভিজেছিলি কি ভেবেছিস আমি দেখিনি? বলেছিলাম না ওর থেকে দূরে থাকতে? তা না হলে খারাপ হবে।”

“না মা লজ্জা করেনা।লজ্জা তো তোমার করা উচিৎ যে ওর মতো মেয়ের উপর তুমি এমন নির্যাতন করো।যদি ওর সাথে এতোই প্রব্লেম ছিলো তাহলে ওর বাবা মা মারা যাওয়ার পর ৬ বছরের বাচ্চা মেয়েটাকে তুমি কেনো নিয়ে এসেছিলে? ওকে এভাবে মারতে?”

রুবি বেগম চুপ করে আছে।কোনো কিছু বলছেন না।

“কি করলে তুমি ওকে মারবে না? ওর সাথে এমন খারাপ আচরণ করবে না? ”

“তুই শুনবি আমি যা বলবো?”
“হ্যা শুনবো।”

“তুই ওর থেকে দূরে থাকবি।তুই আজই ঢাকা তোর খালার বাসায় চলে যাবি।আর এখানে আসবিনা।যদি এখানে এসেছিস বা ওর সাথে যোগাযোগ করেছিস তাহলে প্রভাতিকে আমি এমন মার মারবো যা তোর কল্পনার বাহিরে।”

রুদ্র মায়ের এমন কথা শুনে ধাক্কা খেলো।সে তার প্রভাতিকে দেখা ছাড়া কিভাবে থাকবে।কিন্তু তাকে যে এটা করতেই হবে।তা না হলে এই বাচ্চা মেয়েটাকে যে আরো কষ্ট পেতে হবে।রুদ্র আর কিছু না বলে মায়ের কথায় রাজি হয়ে গেলো।নিজের রুমে যেয়ে ব্যাগ গোছাতে লাগলো।

কিছুক্ষণ পর প্রভাতি রুদ্রের রুমে এসে দাড়ালো।

“রুদ্র ভাই তুমি আজ চলে যাবে? তুমি যেও না।তুমি ছাড়া এ বাড়িতে আমার ভালো লাগেনা।চাচি শুধু আমাকে মারে।চাচাও আমাকে আদর করে না।প্লিজ তুমি যেও না।তা না হলে আমাকে নিয়ে যাও।” খুব করুণ করে বললো প্রভাতি।

রুদ্রের ইচ্ছে করছে প্রভাতিকে নিয়ে কোথাও য
পালিয়ে যেতে।

“একদিন আমি তোকে এই নরক থেকে বের করবো।খুব শীঘ্রই সেইদিন আসবে।” মনে মনে বললো রুদ্র।

রুদ্র দু হাত দিয়ে আলতো করে প্রভাতির গাল চেপে ধরলো।

“তুই না আমার স্ট্রং পিচ্চি।তোকে তো অনেক বড় হতে হবে।মন দিয়ে লেখাপড়া করবি বুঝলি।তোর কাজ শুধু লেখা পড়া করা।আর তোর চাচি তোকে আর মারবে না। তুই একদম ভয় পাস না।”

প্রভাতি শুধু মাথা নাড়লো।

সেদিন বিকেলে প্রভাতির হাড় কাঁপানো জ্বর এলো। রুদ্রের ইচ্ছে করছে না এই সময় তাকে ছেড়ে যেতে। কিন্তু সে যে নিরুপায়। কিছু করার নেই।

সেদিন সন্ধ্যায় সে আবার ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলো।

খালার বাসায় ঢুকতেই রিয়া দৌড়ে এলো।
“ভাইয়া তুমি এসেছো।জানো আমার পড়ালেখায় কত সমস্যা হচ্ছিলো।”

রুদ্র রিয়াকে দেখে মুচকি একটা হাসি দিলো।
“আজ তোকে সব পড়া বুঝিয়ে দিবো ঠিকআছে?”

(রিয়া রুদ্রের খালাতো বোন।ক্লাস ১০ এ পড়ে।)

“আজ না কাল।শুনো আমার বেস্ট ফ্রেন্ড তিথিও আসবে তোমার কাছে পড়তে।ওর ও কিছু সমস্যা আছে।”

“আমি ওকে পড়াতে পারবোনা?” ভ্রু কুঁচকে বললো রুদ্র।

“উফ ভাইয়া আমি এতো কিছু বুঝিনা।আমি ওকে কথা দিয়েছি।তুমি ওকে পড়াবে মানে পড়াবে।”

“আচ্ছা বাবা পড়াবো।আমার জন্য এক কাপ কড়া করে কফি বানিয়ে নিয়ে আয়।”বলেই রুদ্র নিজের রুমে চলে গেলো।

রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলো। সাদা কালার টিশার্ট আর ট্রাউজার পরলো।এখন একটু ভালো লাগছে তার।৫ মিনিট পর রিয়া হাজির হলো কফি নিয়ে।

” নক নক আসতে পারি?”
“আরে আয়।”
“নাও তোমার কফি।জলদি খেয়ে নাও।”

“আচ্ছা”

রিয়া কফিটা দিয়ে চলে গেলো।রুদ্র কফির মগ টা নিয়ে বারান্দায় রাখা দোলনাটায় বসলো। কফিতে একটু চুমুক দিয়ে চোখ বন্ধ করে প্রভাতির কথা ভাবতে লাগলো।না জানি মেয়েটা কি করছে।

জানালা দিয়ে এই দৃশ্য উপভোগ করছে তিথি।২ দিন রুদ্রকে না দেখে তার মনে হচ্ছে সে দুই জনম ধরে রুদ্রকে দেখে না।এখন মন ভরে সে তাকে দেখে নিচ্ছে।আর কাল সে তার কাছে পড়তে যাবে এটা ভেবেই আনন্দে তার মন নেচে উঠছে।

আজ রুদ্রের খুব ক্লান্ত লাগছে।সে রুমে গিয়ে শুতেই ঘুমিয়ে গেলো।

★★★★★★★★★
এইদিকে প্রভাতি জ্বরে আবোলতাবোল বকছে।রুবি বেগম সেই কখন থেকে পাশে বসে তাকে জল পট্টি দিচ্ছে।মেয়েটার মুখের দিকে তাকিয়ে তার খুব মায়া হলো।
তার চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে প্রাভিতির গালে গিয়ে পরলো।
★★★★★★

পরের দিন সকালে ১০ টায় রুদ্রের ঘুম ভাংলো। নাস্তা করে সে বই নিয়ে পড়তে বসলো।আর মাত্র ২ মাস আছে তার এইচ.এস.সি পরীক্ষার।

পড়তে পড়তে যে বিকেল হয়ে গেলো সে টেরই পেলো না।এই তার সমস্যা পড়তে বসলে দুনিয়াদারি ভুলে যায়।

বিকেল ৪ টে নাগাদ তিথি এলো।

“ভাইয়া ভাইয়া আমার বেস্টফ্রেন্ড তিথি এসেছে।”

“আচ্ছা ওকে রুমে নিয়ে আয়।”

পড়নে হালকা আকাশী রঙের থ্রিপিস।খোলা চুল। এক কথায় অপূর্ব লাগছে তিথিকে।যে কোনো ছেলে দেখলেই প্রেমে পরে যাবে।কিন্তু রুদ্র তিথির দিকে ঠিক মতো তাকালোই না।ব্যাপারটা তিথির একদম ভালো লাগেনি।

রুদ্র যতক্ষন সময় পড়ালো তিথি ড্যাব ড্যাব করে রুদ্রের দিকে তাকিয়ে ছিলো। দুবার চোখাচোখি হয়েছে রুদ্রের সাথে।

রুদ্র তার পরীক্ষা আর প্রভাতিকে নিয়ে এতোই মগ্ন যে সে তিথিকে খেয়ালই করলো না।কোনো রকম পড়িয়ে তাদেরকে ছুটি দিয়ে দিলো।

তিথি বাসায় ফিরে রাগে ফুসতে লাগলো।

“কিসের এতো দেমাগ এই ছেলের।আকবার তাকালো ও না।” মনে মনে বললো তিথি।

দেখতে দেখতে প্রায় দু মাস কেটে গেলো।আর মাত্র এক সপ্তাহ বাকি রুদ্রের পরীক্ষার।সে মন দিয়ে পড়াশুনা করছে।

কিন্তু পরীক্ষার আগে সে প্রভাতিকে একনজর দেখতে পাবেনা এটা ভেবেই তার বুকে হাহাকার হচ্ছে।যেভাবেই হোক তাকে প্রভাতির সাথে দেখা করতেই হবে।

যেইভাবা সেই কাজ। রুদ্র রিয়ার সাথে সব আলোচনা করলো।রিয়া যেহেতু সব জানে শুধু মাত্র সেই পারবে তাকে সাহায্য করতে।

রুদ্র রিয়াকে ডেকে বললো তাকে সাহায্য করতে।

“আরে ভাইয়া কোনো প্যারাই নেই।সব আমি ম্যানেজ করবো।”

“এই না হয় আমার লক্ষি বোন।”

“আচ্ছা ভাইয়া তোমার প্রভাতি তো এখনো কিছুই বুঝে না পুরোই বাচ্চা। এই বাচ্চার প্রেমে পড়লে কি করে আমি আজ ও বুঝলাম না।”

“আমি নিজেও জানিনা রে।এই মেয়ে যে কবে বুঝদার হবে।অবশ্য হবেই বা কি করে ও তো ঐরকম পরিবেশেই বড় হয়নি আর বয়সই বা কত।মার খেতে খেতেই তো ওর জীবন যাচ্ছে।” মন টা খারাপ হয়ে গেলো রুদ্রর।

রিয়া ব্যাপারটা বুঝতে পারলো।
“আরে বাচ্চা বউ কিন্তু খারাপ না।” বলেই চোখ টিপ দিলো।

“আমার পাকনা বুড়ি।” বলেই রিয়ার মাথায় আস্তে একটা বারি দিলো।

রুদ্র ঐদিন রাতেই টঙ্গাইলের উদ্দেশ্যে রওনা হলো।এইদিকে রুদ্র যে ঘরে নাই এটা রিয়া ছাড়া কেউ জানে না।

রাত ১ টার নাগাদ সে সেখানে গিয়ে পৌছালো।কোনো রকম পেছনের দরজা দিয়ে ঢুকে সরসরি প্রভাতির রুমে চলে গেলো।

যেয়ে দেখলো প্রভাতি বেঘোরে ঘুমোচ্ছে।ঘুমালে এই মেয়ের কোনো হুশ থাকে না।রুদ্রের মাঝে মাঝে সন্দেহ হয় প্রভাতিকি কুম্ভকর্ণের যমজ বোন নাকি।

সে গিয়ে প্রভাতির পাশে বসলো।

“এই পিচ্চি উঠো।”

৩-৪ বার ডাকার পর প্রভাতি আস্তে আস্তে চোখ মেললো।চোখ ছোট ছোট করে তাকিয়ে,
“তুমি এখানে কিভাবে এলে?”

“আমি তোর স্বপ্নে এসেছি।”
“ওহ স্বপ্নে এসেছো? কেনো সত্যি সত্যি আসলে কি হতো?”

রুদ্রের খুব হাসি পাচ্ছে প্রভাতির এমন বাচ্চা বাচ্চা কথা শুনে।

“শুনো এখন তুমি আমার সাথে খেলবে ।”

“এই মেয়ে কবে বড় হবে।এতো দূর থেকে এসেছি নাকি তার সাথে খেলতে।” ভাবতেই রুদ্রের নিজের কপাল নিজে ফাটাতে ইচ্ছে হলো।

“তুমি জানো ঐদিনের পর থেকে চাচি আর আমাকে মারেনি।এমনকি বকেও নি। ইয়ে কি মজা।”

রুদ্র একটু শান্তি পেলো প্রভাতির কথা শুনে।

প্রভাতি ঘুমের মধ্যেই কিসব বকছে সে নিজেও জানেনা।এক কথার সাথে অন্য কথার দূর দূরান্ত পর্যন্ত কোনো মিল খুঁজে পাচ্ছে না রুদ্র।তাও তার শুনতে খুব ভালোলাগছে।মুগ্ধ হয়ে শুনছে সে কথা গুলো।

কথা বলতে বলতে এক পর্যায়ে প্রভাতি ঘুমিয়ে পড়লো।রুদ্র আর তাকে জাগালো না।সে তার দিকে চেয়ে রইলো।চেয়ে থাকতে থাকতে যে কখন ভোরের আলো ফুটে উঠেছে টেরই পায়নি।হঠাৎ তার খেয়াল হলোভোর হয়ে গিয়েছে।সে প্রভাতির কপালে আলতো করে একটা চুমু দিয়ে সেখান থেকে বেড়িয়ে গেলো।

ঢাকায় পৌঁছে সে আবার তার পড়ায় মনোযোগ দিলো।দেখতে দেখতে তার এইচএসসি শুরু হয়ে শেষ ও হয়ে গেলো।এবার সে ইঞ্জিনিয়ারিং কোচিং এ ভর্তি হলো।যেভাবেই হোক তাকে বুয়েটে চান্স পেতেই হবে।কেনোনা নিজে প্রতিষ্ঠিত হয়েই সে প্রভাতিকে বিয়ে করবে।

★★★★★★★★

এইদিকে প্রভাতির দিন এখন আগের থেকে ভালোই যাচ্ছে।রুবি বেগম তাকে এখন তেমন কিছু বলে না।আবার আদর ও করে এমন ও না।সে নিজের মতো পড়ালেখা আর পুতুল দিয়ে খেলে দিন পার করছে।তার বাচ্চামি স্বভাব কবে যাবে কারো জানা নেই।

★★★★★★
রুদ্রের এডমিশন টেস্ট এসে পরলো এবং সে বুয়েটে চান্সও পেয়ে গেলো।তার জীবনের প্রথম সফলতা।সে এখন আরো মনোবল জোগাড় করছে যেভাবেই হোক তার প্রভাতিকে পেতেই হবে।

এই খুশির খবর পেয়ে রুবি বেগম খুশিতে আত্নহারা হয়ে গেলেন। সে তখনি রুদ্রকে বাড়ি আসতে বললেন।

রুদ্র বাড়ি যাবে শুনে রিয়াও বায়না ধরলো সেও বাড়ি যাবে।কেনোনা আর ২ মাস বাদে তার এস.এস.সি।একটু ঘুরে আসলে ভালো লাগবে।তার জোরাজোরি দেখে কেউ আর না করলোনা। রিয়া বাড়ি যাবার কথা শুনে তিথিও তার পিছ ধরলো সেও রিয়ার সাথে যাবে।পরে রিয়ার মা তিথির মাকে রাজি করালো।

রুদ্র, তিথি,রিয়া আর রিয়ার মা তারা টাঙ্গাইলের উদ্দ্যেশ্যে রওনা দিলেন।রুদ্রের তো খুশিতে নাচতে ইচ্ছে করছে।

রুদ্র আসবে শুনে প্রভাতিও বেশ খুশি। কেনোনা গত কালই তার বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে। রুদ্র রিয়া আসলে সে খেলতে পারবে ভেবেই খুশিতে লাফাচ্ছে সে।

রুদ্র ওরা দুপুর নাগাদ পৌছে গেলো।পৌছেই রুদ্র প্রভাতির রুমে গেলো।রুমে গিয়ে দেখলো প্রভাতি জানালা দিয়ে কার সাথে যেনো কথা বলছে।রুদ্র কাছে যেতেই যা দেখলো…..
চলবে…

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে