#সন্দেহ
#সৌরভে_সুবাসিনী(moon)
#পর্বঃ৩০
.
.
.
-সীমো…. আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ।যেহেতু তুমিও এর সাথে জড়িয়ে আছো তাই তোমার সম্মতি আমার প্রয়োজন। সীমো আজ আমাদের দুজনের জন্য অনুর এই অবস্থা।মানো না মানো আমরা মেয়েটার সুখের কথা চিন্তা করে ওকে নরকে ঠেলে দিয়েছি। তাই…
– তাই!
– তাই আমি অনু ও আহামাদের দায়িত্ব নিতে চাচ্ছি।
.
.
সীমন্তিনী অসহায় চোখে তাকিয়ে আছে নীলের দিকে। কি বলছে এসব? নীল কি জানে না? কতটা ভালোবাসে তাকে! ওর দুচোখের ভাষা তো আজো বড্ড চেনা লাগছে কিন্তু কি বলছে এসব?
.
.
– এই না! সীমো! তুমি ভুল বুঝছো। পাগলী আমি ওটা বলিনি। আমার লাইফে তুমি ছাড়া আমি কাউকে চিন্তা করতে পারি না। কিন্তু অনুর টা কি আমরা দেখতে পারি না? আমি আর তুমি দুজনে মিলে অনুর দায়িত্ব নিবো। তুমি তোমার বাচ্চা টা কে সামলাবে আর আমি তুমি,অনু মিলে আহামাদ কে। আমরা অনুকে নিয়ে এখানে থেকে চলে যাবো। অনেক দূরে। অনু পড়াশোনা শেষ করবে, নিজের পায়ে দাড়াবে।আমরা শুধু ওর পাশে থেকে সাপোর্ট দিবো আর আহামাদ কে বড় করবো। দায়িত্ব নিতে হলে যে বিয়েই করতে হবে এমন তো নয়! তাই না? প্লিজ কান্না করছো কেনো?
.
.
সীমন্তিনী উঠে এসে নীল কে জড়িয়ে ধরলো । হ্যাঁ! এই তো সেই চিরচেনা গন্ধ সেই চিরচেনা সুখ। এই সুখ ছাড়া যে সে মরেই যাবে।
সীমন্তিনীর চোখের পানি নাকের পানি তে শার্ট ভিজে যাচ্ছে নীলের।
.
– তুমি কি রাজি না সীমো?
– তুমি এত ভালো কেনো? ;
– ভুল শুধরানোর চেষ্টা করছি রে।
– হুম!
– আরো একটা কথা
– কি?
– বিয়ের জন্য আমি পাঁচ লাখ টাকা জমিয়েছিলাম। ইচ্ছা ছিলো ধুমধাম করে তোমায় ঘরে তুলবো কিন্তু
– উঁহু! লাগবে না। ওটা আমাদের অনেক কাজে লাগবে অনুর জন্য।
– হ্যাঁ পাগলী। এখন তো কিছু খেয়ে নাও৷ প্রচন্ডরকম ক্ষুধা লেগেছে।
– হুম চলো।
.
.
.
সব টা শুনে বোকার মতো বসে আছে নীলাভ্র। ইরা এতটা নিচে নেমে গেছে? ইরা? ভালোবাসায় কি কমতি ছিলো? এভাবে কেনো ঠকালো তাকে? কি দোষ তার? নিলয় কে ভালোবাসলে আগে কেনো বললো না সে?
নিজে বিয়ে দিতো ওদের। তারপর অনু মেয়েটার উপর এত অত্যাচার? দ্রুত ফোন বের করে কল দিলো নীল কে।
.
– নীল কই তোরা?
– সীমো কে বাসায় দিতে এসেছি।
– অনু সাইন করেছে?
– হ্যাঁ! ইরা এসে করিয়ে নিয়ে গেছে।
– অনু করে দিলো?
– আর কত এবং কেনো সহ্য করবে? তোমার বউ তো আজ খুব খুশি। পেরেছে তো যা চাইছে তাই।
– তুই….কি করে…
– চক্ষু লজ্জা কিংবা নীলয়ের ভরসা তে ছিলাম। ইরা যে অনুকে….
– তুই বাসায় আয় আমি আর পারছি না।
– আজ সীমন্তিনীর বাসায় থাকবো। ইচ্ছা হচ্ছে না ওই বাড়িতে যেতে।
– আমার খুব প্রয়োজন তোকে। আমি যে আর পারছি না।
.
নীলাভ্র কাঁদছে। নীলের বুক ধকধক করছে। কোনমতে জিজ্ঞেস করলো
.
– ভাই ঠিক আছো? তুমি কোথায়? এখানে আসো না হলে বল আমি আসছি।
.
– নাহ্ ভাই! আমিই আসবো।
.
.
হঠাৎ অনুর পালস্ রেট বেড়ে যায়। এতবড় একটা ধাক্কা। সামলাতে সময় তো লাগবেই তারপর আবার এসময়। ঘুমের ইঞ্জেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে। পাশে আহামাদ ঘুমাচ্ছে।
.
মোটামুটি সবাই বাসায় চলে গেছে। আজ যা হলো তাতে সবার মন খারাপ। মেঝভাবী চাইলে মানিয়ে নিতে পারতো। কি হতো একটু সেক্রিফাইস করলে? আরে কার জোড়ে সে এত দূর যাবে কখনো ভেবে দেখেছে?
মেয়েদের জীবন এতটা সহজ না। সমাজ প্রতি পদে ছোট করবে, বয়স ই বা আর কতো? শকুনের কু নজর পড়বে। কিভাবে সামলে থাকবে? তার বাবা তো তাকে নিবে না। নিলে তো আর মামার কাছে থাকতো না। ডিভোর্স এর পর শ্বশুর বাড়ি রইলো কই?
মামার বাড়ি আবার যাবে? আচ্ছা মেঝভাবী কি উনার জোড়ে এত দূর আগালো?
সত্যি কি ওদের মধ্যে?
না না। কি সব ভাবছি। যার সাথে কয়েকদিন পর বিয়ে তাকে নিয়ে অন্য মেয়েকে নিয়ে ভাবা ঠিক হচ্ছে না। সে যে সাম্য কে খুব ভালোবেসে ফেলেছে। ওর হাসি, ওর চোখ সব খুব টানে। কিন্তু….
.
.
এসব ওত শত কথা ভেবে ডিউটিরুম থেকে বেরিয়ে কেবিনের দিকে এগুচ্ছে আশা।মেঝভাবী তো ঘুমে। মনে হয় মানুষটা একা বসে আছে। আপাতত তার ডিউটি শেষ। মানুষ টার কাছেই যাওয়া যাক৷
অনুকে আলাদা ভি আইপি কেবিনে রাখা হয়েছে। এখানে সব আছে। মাইক্রোওভেন থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব। যেহেতু কয়েকদিন থাকতে হবে তাই সাম্য এই কেবিন নিয়েছে। ডাবল বেড যে সাথে থাকবে তার ও যেনো কোন কষ্ট না হয়। মানুষ টা পারেও বটে।
এসব কথা ভাবতেই আশা মনে মনে হাসছিলো।
.
.
নীলের খুব উশখুশ লাগছে। এ বাসায় এর আগে যে আসেনি এমন কিন্তু নয়। এসেছে রাত থেকেছে কিন্তু আজ হঠাৎ এমন লাগছে কেনো? বড়ভাইয়ার কথা শুনে? সে তো বললো সে আসছে। কি হচ্ছে কে জানে। শাওয়ার নিয়ে সবে এসে বাহিরে ব্যলকণি তে বসেছে নীল। সীমন্তিনী কফির মগ নিয়ে আসতেই পাশে রেখে ওকে বসিয়ে কোলে মাথা রাখলো নীল। সব টেনশন যেনো কোথায় হাওয়া হয়ে যায় এসময়। সন্ধ্যে ঘনিয়ে আসছে আর নীল চোখ বন্ধ করে সীমন্তিনী কে অনুভব করছে।
.
.
.
সাম্যর বড্ড অসহায় লাগছে। অনুকে আজ বড্ড বলতে ইচ্ছে করছে কেনো সেসময় সাম্য অনুকে এড়িয়ে চলেছিলো কেনো কল, ম্যাসেজগুলোর রিপ্লে অনু পায়নি। আচ্ছা অনু? তোর কেনো মনে হয় তোর সাম্যদা পাল্টে গিয়েছিলো? তুই তো সব বুঝিস কিন্তু তখন কেনো বুঝিস নি তোর সাম্যদা কোন বিপদে পড়েছে? কেনো বুঝিস নি তোর সাম্যদার কষ্টগুলো যা তোকে বার বার বলতে গিয়েও পারেনি।
.
.
-খুব ভালোবাসেন তাই না?
– হ্যাঁ! খুব ভালোবাসি।আমার শমপাপড়ি কে।.
.
কথাটার উত্তর দিয়ে পিছনে তাকিয়ে দেখে আশা দাঁড়িয়ে আছে। আশ্চর্য! সাম্য তার হবু বউকে বলছে সে অনুকে ভালোবাসে, বড্ড বেশি ভালোবাসে।
.
.
চলবে
#সন্দেহ
#সৌরভে_সুবাসিনী(moon)
#পর্বঃ৩১
.
.
অনুর পাশেই সাম্য বসা।আশাকে ইশারা করলো বসতে কারণ কেউ ছিলো না যে ওদের দেখার মতো৷ তাই তাদের এখানেই বসতে হচ্ছে। সাম্য গলার স্বর নিচু করে জিজ্ঞেস করলো ওদিক টায় বসি? অনু ঘুমাচ্ছে তাছাড়া আহামাদ জেগে গেলে কান্না করতে পারে। অনুর ঘুমে সমস্যা হবে।
আশাও সম্মতি জানালো। ফ্ল্যাক্সে করে আনা গরম পানি ঢেলে সাম্য কফি বানিয়ে আশার দিকে এগিয়ে দিলো। আশা মনে মনে ভাবছে লোক টা কফিও বানাতে পারে?
অবশ্য অবাক করা কিছু নয়। স্বাভাবিক কারণ দেশের বাহিরে ছিলো। পরিবার ছাড়া কত কিছুই তো পারতে হয় আর কেউ না জানুক আশা অন্তত জানে।
কফির মগ হাতে নিয়ে সাম্য আশার মুখোমুখি বসলো। অনেক কথা বলার আছে এই মেয়েকে। আর এভাবে সে আটকে রাখবে কেনো?
.
.
সাম্য- আপনাকে কিছু কথা বলার ছিলো…..
আশা- জ্বী বলুন…
– আমার বয়স যখন সাত বছর তখন ফুইমা হঠাৎ করে খুব কান্না করছিলো। সারা শরীর ঘামে জবজবে। বাবা আর দাদু ফুইমা কে নিয়ে দ্রুত হাসপাতালে গেলেন৷ রাতের বেলা ছিলো আর সীমো ছোট তাই আমি মা আর সীমো বাড়ি রইলাম। সকাল হতেই ফুইমার কাছে গিয়েছিলাম। ফুইমা হেসে আমার কোলে ছোট্ট একটা বাবু দিয়ে বলেছিলেন নে সাম্য তোর পিচ্চি পুতুল। কোলে নিয়ে সত্যি দেখি আমার পিচ্চি পুতুল। তারপর থেকে খুব আগলে রেখেছি৷
অনুর সব কিছু ছিলো আলাদা। অন্য সবার মতো ও ছিলো না। প্রচুর চঞ্চল মেয়ে শুধু পরিবার জানতো। ওর তখন বয়স তিন বছর। সীমন্তিনীর সাত চলছিলো। খেলার সময় সীমোর পুতুল ভেঙে গেলে সে কি কান্না সীমো… শুধু বলতো অনু ওর বাচ্চাকে ভেঙে ফেলেছে। তখন অনু কি বুঝলো কে জানে? অনু এসে সীমোর কোলে বসে বলেছিলো আমিই তো তোমার বাচ্চা! আমাকে আদর করো।
.
সেদিন থেকে অনু হয়ে উঠলো সীমোর পিচ্চি বাচ্চা৷ তারপর সময় যাচ্ছিলো। অনুর তখন বয়স সবে চৌদ্দ। দুই বছর পর অনুকে দেখে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে দেখা ছাড়া আমার উপায় ছিলো না।
জানেন তো প্রেম হতে সময় লাগে কিন্তু ভালোবাসা হতে কয়েক মূহুর্ত যথেষ্ট। তাই হলো।
সারাদিন সামনে থাকতো অনু বাচ্চা স্বভাব ছিলো কারণ শুধুই অনু ছিলো ওর ফ্যামিলির মধ্যে ছোট। বাচ্চা বাচ্চা বলতে বলতে বাচ্চাই ছিলো তখনো। ওর ও সময়ের পাগলামি, নদীর পানিতে সাতার না জানা অনুর আমার গলা জড়িয়ে পানিতে ভেসে থাকা ছিলো লাইফের বেস্ট মোমেন্ট।
হঠাৎ ফুইমা মারা গেলো। অনুর বাবার বিয়ে সব দ্রুত হলো। ওকে নিয়ে আসতে চাইলাম ও আসলো না।সারাদিন ফুইমার কবরের পাশে থাকতো। ভয় লাগছিলো খুব। তারপর ওর বাবার প্রস্তাব। বাবা গিয়ে নিয়ে এলো অনুকে কিন্তু আমার শমপাপড়ি হারিয়ে গেছে ততদিনে। চুপচাপ থাকতো। মাস কয়েক খুব ভালই চললো তারপর অনুর জেএসসি পরীক্ষা শুরু হলো। বাইকে করে নিয়ে আসছিলাম, রাস্তায় ঘুমিয়ে যায়, অবাক লাগলেও সত্যি। খুব কষ্টে বাসায় নিয়ে এসে জিজ্ঞেস করলে বলে রাতে পড়ার পর বাকী সময় আমাদের গল্প করতেই কেটে যায়, ও কখন ঘুমাবে?
এভাবে চললে যে অনুর ক্ষতি হবে বুঝছিলাম কিন্তু আমার কাছে আসতে না করলে শোনার মতো মেয়ে ও না। কিন্তু প্রচুর আত্নসম্মানবোধ। বাধ্য হয়েই কিছু করেছিলাম যার জন্য অনু আমার থেকে দূরে যায়। কারণ সাম্য অনুর জন্য নিরাপদ হলেও একজন পুরুষের কাছে ও নিরাপদ ছিলোনা। সেদিন অনুর থেকে কষ্ট আমার বেশি ছিলো। অনু মনে করলো ওর সাম্যদার চাহিদা শুধু শারিরীক, শুধুই অবহেলা করতে জানে কিন্তু ভিতরের কথাটা ও জানার চেষ্টা করলো না। ধীরেধীরে অনু বাসার সব কাজ করতো এটা আমার লাগতো।তবুও কিছুই বলতাম না কারণ অনুর নিজে
নিজের প্রতি দায়িত্ব টা নেওয়া খুব প্রয়োজন ছিলো। আমিও চাইতাম যে অনু আমার মায়ের সাথে থাকুক আর মা এতটা নির্ভরশীল হোক যাতে অনু ছাড়া অসম্পূর্ণ থাকে।অনু এটা জানতো না সেরাতের পর আমার প্রতি রাত কেটেছে ঘুমহীন। প্রতিরাত কাটতো অনুর রুমের দরজার সামনে । ওকে দেখে কিন্তু ও জানতো না৷ সময় যাচ্ছিলো অনুর দহনে আমিও পুড়ে কয়লা হচ্ছিলাম। বাহিরে যাওয়ার আগের রাত টা ছিলো আমাদের কাছে অনেকটা কষ্টের। সেরাতে মান অভিমান ভেঙে যায়। যেদিন চলে যাচ্ছিলাম অনু জড়িয়ে খুব কান্না করেছিলো। তারপর যখন সত্যি চলে গেলাম অনু আমার দিকে একবারো তাকিয়েছিলো না।
চলে যাওয়ার পর অনুর সুবাস অনুর স্পর্শ সব যেনো আমার শার্টে লেগেছিলো। আমি আজ অবধি শার্ট ধুইনি।
অনুর হাসি, ওর সাথে ফোনে কথা বলা, আমার কাজ দিন শেষে দুজনের ফোনালাপ। দিন ভালোই চলছিলো কিন্তু হঠাৎ করেই সব পাল্টে গেলো। অনু বুঝলো আমি পাল্টে গিয়েছি কিন্তু…..
.
– কিন্তু কি?
.
সাম্য থেমে আশার পাশ থেকে উঠে আহামাদ কে দেখে নিলো। না এখনো উঠেনি। ফিরে এসে আবার বলতে
.
– প্রথম প্রথম রুমমেট গুলো ভালোই ছিলো। কিন্তু ধীরেধীরে বুঝলাম যে ওরা ভালো না। ড্রাগ ডিলার ছিলো কিন্তু ততদিনে দেরি হয়ে গেছে। আমি পুরো ভাবে ফেসে যাই কিন্তু ওদের থেকে বেরুতে পারছিলাম না। সবাই জানতো অনুর কথা। ওদের বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন স্থানে ওদের এজেন্ট ছিলো। আমি ওদের বিপক্ষে গেলেই অনুর কিছু করতে পারে। না পারছিলাম অনুকে বলতে না পারছিলাম সইতে। তারপর হঠাৎ মাডার হলো তাদের একজন। পুলিশ কেস হলো । প্রায় চৌদ্দ মাস পর আমি ঝামেলা থেকে মুক্তি পাই কারণ পুলিশ কে সাহায্য করেছিলাম।
খুব খুশি হয়ে এপার্টমেন্টে আসার সময় কয়েকজন আমাকে এটাক করে। মেরে রাস্তায় ফেলে চলে যায়। সাথে ফোন, ওয়ালেট সব নিয়ে যায়। হঠাৎ কয়েকজন লোক এসে আমাকে দেখে হাসপাতালে নিলেও অবস্থা ভালো ছিলো না।
২৭ দিন পর রিলিজ হয়েই নতুন ফোন কিনে সিম উঠানোর পর অনুর নাম্বার থেকে কতশত কল, ম্যাসেজ দেখতে পাই। কিন্তু সত্যি ততদিনে দেরি হয়ে গেছে। অনুর বিয়ে হয়েছে তখন সাত দিন। ও হয়তো ভেবেছে সাম্যদা অবহেলা করছে তাকে, খেলছে ইমোশন নিয়ে, কতটা খারাপ কিন্তু আমি ওকে এসব জানাতে পারিনি।কারণ
আমার প্রতি রাগ-অভিমান নিয়ে তখন সে তোমার ভাইয়ের সংসার করছে।
.
.
চলবে
Secand part kobe diben apekkai achi,golpho to khubi sundor chilow.