সত্য ঘটনা অবলম্বনে
আমার অধিকার তুমি
পর্ব: ৯
লেখিকা: Gangster queen(ছদ্মনাম)
আমি আরো কিছুক্ষণ কোরাআন পড়ে ওনার জন্য চা করতে গেলাম (শ্রাবণী)
যেহেতু উনি দুপুরে শুধু সুপ খেয়েছে উনার হয়তো ক্ষুদা লাগছে। তাই আমি চা এবং সিঙ্গারা বানালাম তারপর সেগুলো নিয়ে উনার কাছে গেলাম।
এই নিন চা করেছি আর সিঙ্গাড়া দুপুরে তো শুধু সুপ খেয়েছেন এখন নিশ্চয়ই খিদে পেয়েছে।(শ্রাবণী)
এতকিছু করতে গেল কেন আমি জ্বর আসলে বেশি কিছু খেতে পারিনা। তাও তুমি করেছ একটা দাও আর চা দাও। তারপর একটা ওষুধ খাব খুব মাথাব্যথা করছে (উৎসব)
নিন আপনার জেকয়টা পারেন সে কটায় খান খেতে হবে না হলে ওষুধ খেলে তো কাজ হবে না। (শ্রাবণী)
তারপরে আমরা চা এবং সিঙ্গারা খেয়ে ওনাকে ওষুধ খাইয়ে আমি জিনিস গুলো রেখে আসতে গেলাম। এখন আমি দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে আছি ওই সময় উনিত ঘুমিয়েছিলেন ওরা কেউ তো আসছে না ।এখন উনিকি কিছু করবেন নাকি আমার এত ভয় কেন করছে (শ্রাবণী মনে মনে)
পরী এই পরী শোনো না কোথায় গেলে জলদি আসো (উৎসব ডাক দিয়ে)
এই যে আমাকে ডাকছে এখন তো যেতেই হবে আল্লাহর নাম নিয়ে যাই দেখি কি বলে। জি বলুন দাঁড়িয়ে থেকে (শ্রাবণী)
কই ছিলে এত সময় পাশে বস তোমার সাথে কিছু কথা আছে। (উৎসব)
হ্যাঁ বলুন আমি তো শুনছি দাঁড়িয়ে থেকে (শ্রাবণী)
আগে এদিকে এসে বোসো বলছি। পরী আমার খুব ভয় পাচ্ছে আর একটু ভয় দেখানো যাক (উৎসব মনে মনে)
আমি উনার সামনে যে বসে উনি হঠাৎ করে আমার হাত ধরে টেনে উনার কাছে নিয়ে গেলেন খুব কাছে এতটা কাছে যে ওনার নিঃশ্বাস তা আমার মুখে বাড়ি খাচ্ছিল হঠাৎ করে উনি এমন একটা কাজ করলেন যাতে আমি পুরাই শকড (শ্রাবণী)
হঠাৎ করে ওর হাত ধরে টেনে আমার খুব কাছে নিয়ে আসলাম আর আমার ঠোট দিয়ে ওর পুরো মুখে চুমুতে ভরিয়ে দিলাম। আমার ওকে খুব কাছে পেতে ইচ্ছে করছে। কারো কথা শোনার মন-মানসিকতা আমার এখন নেই। বড়রা কি বলেছে তা ভুলে আমি ওকে কাছে পেতে চাই।(উৎসব)
পরী #আমার_অধিকার_তো_তুমি তাই না তোমাকে আমার চাই খুব কাছে চাই দেবে সেই অধিকার প্লিজ (উৎসব অনুনয়ের সুরে)
আমি কি বলবো ভেবে পাচ্ছিনা আমি এখনো প্রস্তুত না। আমি আরো কিছুদিন ওনাকে জানতে চাই বুঝতে চাই। যদিও আমাদের বিয়ে হয়ে গেছে ।আমি তাও চাই এই একমাস আমরা বন্ধু হিসেবে থাকি। কিন্তু উনি কি সেটা মানবে মনে তো হচ্ছে না। (শ্রাবণী মনে মনে)
এই পরী কিছু তো বলো প্লিজ কিছু বলো (উৎসব শ্রাবনীর গলায় মুখ রেখে)
আ আ আমার কিছুদিন সময় চাই আমি আপনাকে আরো ভালো মতো জানতে চাই প্লিজ (শ্রাবণী অনুনয়ের সুরে)
হঠাৎ করে উনি আমার থেকে সরে গেল তারপরে ঘুরে শুয়ে পড়লেন । উনি নিশ্চয়ই আমার উপরে রাগ করেছে আমি কি করবো আমি যে বুঝতে পারছি না কিছু।
হঠাৎ হাহাহাহা(উৎসব উচ্চস্বরে হেসে)
আরে পরী ভয় পেয়েছো আমি মজা করছিলাম দেখছিলাম আমার পরী আমার কথা শুনে নাকি নিজের মনের কথা প্রধান্য দেয়।(উৎসব মজা করে)
আপনি আসলে একটা বজ্জাত এইভাবে কেউ ভয় দেখায় (শ্রাবণী রাগ মিশ্রিত কন্ঠে)
আমি সত্যিই তোমাকে খুব কাছে পেতে চেয়েছিলাম কিন্তু তুমি যে এখনও সাড়া দিচ্ছনা সেই জন্যই মজা করলাম আমি তোমার মনের ইচ্ছা প্রাধান্য দেব পরী(উৎসব মনে মনে)
কি হল চুপ হয়ে গেলেন যে (শ্রাবণী)
না কিছুনা আচ্ছা শোনো আমি একটু শাওয়ার নিতে চাচ্ছিলাম (উৎসব কথা এড়িয়ে)
এই অসময় শাওয়ার নিবেন কেন(শ্রাবণী অবাক হয়ে)
আমার জ্বর ছেড়েছে ঘাম দিয়েছে ওষুধ খাওয়ার কারণে শরীরটা ম্যাজম্যাজ করছে গোসল না করলে আমি আজ ঘুমাতে পারবো না তাই সন্ধ্যা হবার আগেই গোসল করতে চাচ্ছিলাম (উৎসব)
না এ অসময় আর শাওয়ার নেওয়ার দরকার নেই।আমি তোয়ালে ভিজিয়ে আনছি আপনার শরীর মুছে দেবো ঠিক আছে। এখন গোসল করলে আবার জ্বর আসার সম্ভাবনা আছে (শ্রাবণী)
ঠিক আছে (উৎসব)
তোয়ালে ভিজিয়ে আনলাম এখন ওনার শরীলটা মুছতে আমার খুবই লজ্জা লাগছে কারন শার্ট খুলে দেন শরীর মুছতে হবে আমি কিভাবে কি করব ভাবতে পারছিনা। এই যে শুনছেন আপনার শার্টটা একটু খুলবেন প্লিজ (শ্রাবণী মাথা নিচু করে)
এমা আর একটু আগে তুমি আমাকে বারণ করে আবার এখন তুমি আসো আমার কাছে আমার বুঝি লজ্জা লাগে না। তুমি না বললে একটু আগে তোমার সময় চাই সময় শেষ ভালোই হলো আসো (উৎসব মজা করে)
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
আপনি কি জানেন আপনি একটা বজ্জাত, খাটাশ এবং লুচ্চা বেটা। আমি আপনার শার্ট খুলতে বলেছি কারণ আপনার শরীর মুছে দেবো তাই.(শ্রাবণী রাগ দেখিয়ে)
তো তুমি এসে খুলে দাও না এতেও লজ্জা পাচ্ছ । দেখতেই তো পারছো আমি খুবই দুর্বল(উৎসব শ্রাবণীকে লজ্জা দিয়ে)
তা তো পাচ্ছি কত দূর্বল আপনি. ঢং দেখলে বাঁচি না।সারাদিন শুধু লজ্জা দেবে আর আবার ঢং করবে এত খোন লজ্জা দিয়ে এখন দুর্বল দেখাচ্ছে আমাকে (শ্রাবণী বিড়বিড় করে উৎসবের শার্ট খুলতে খুলতে)
কি বিড়বিড় করছো একটু জোরে বল আমিও শুনি (উৎসব ভুরু কুঁচকে)
আপনার মাথা আর আমার মুন্ডু চুপচাপ থাকুন তো এত কথা কেন বলেন বলেন তো। (শ্রাবণী রাগ দেখিয়ে)
তুমি অসহায় এই বাচ্চাটার উপর এত রাগ দেখাতে পারো না পরী(উৎসব মজা নিয়ে)
এখানে ওখানে খুঁজে এখানে বাচ্চাটাকে (শ্রাবণী অবাক হয়ে)
কেন দেখতে পারছ না আমি (উৎসব চোখ টিপ দিয়ে)
বুইড়া ব্যাটা বলে কি দুইদিন পরে ২-3 বাচ্চার বাপ হবে এখন আসছে তিনি নাকি বাচ্চা (শ্রাবণী)
এমা পরী তোমার তিনটা বাচ্চা চাই। আমি তো ভাবলাম একটা ফুটবল টিম বানাবো ঠিক আছে তোমার তিনটা আর আমার ফুটবল টিম 15 জনের একটা টিম তৈরি করব ঠিক আছে(উৎসব লজ্জা দিয়ে)
আপনি কি পাগল নাকি ১৫টা বাচ্চা আমি তো মরেই যাবো (শ্রাবণী অবাক হয়ে)
ওটা তুমি হো হো করে হেসে উঠলো।
এতক্ষণ আমি ওনার সাথে কি কথা বলছিলাম ভাবতেই লজ্জায় আমার অবস্থা খারাপ ।এই লোকটা আসলেই বজ্জাত সব সময় লজ্জা দেয় আমাকে। তারপরে ওনার শরীর মুছিয়ে অন্য একটা টি-শার্ট পরিয়ে দিলাম। ব্ল্যাক কালার উনাকে কি যে সুন্দর লাগছে মন চাচ্ছে চোখ দিয়ে গিলে খাই। কিন্তু ওনার সামনে তো আর এসব বলতে পারব না ।তাহলে ভাববে আমি খুবই বেহায়া একটা মেয়ে। সবসময়ই ছেলেরা কেন মেয়েদের প্রশংসা করে মেয়েরাও কিন্তু ছেলেদের প্রশংসা করতে পারে। আমার বরটা মাশাল্লাহ খুব সুন্দর। (#কেউ_নজর_দিবে_না_বুঝছো ???)
তারপর উনার সাথে বসে বসে অনেক গল্প করলাম ভালোই সময় কাটালাম। সন্ধ্যা নাগাদ সবাই চলে আসলো।তারপর তারা তিন দিন ছিল এই তিনদিন আমরা সবাই খুব মজা করেছি।
উনি যাওয়ার দিন খুব মন খারাপ করছিল। কিন্তু কিছু করার নেই উনাদের সবারই কাজ আছে। আমি আরো এক সপ্তা এই বাড়িতেই ছিলাম। দুইদিন এসে উৎসব দেখা করে গেছে।এখন আমি ওনাকে উৎসব বলেই ডাকি ওনার খুব জোরাজুরিতে উনার নাম ধরে ডাকি। তবে আপনি বলি তুমি না।
আমি যেদিন মামার বাড়ি চলে যাব তার আগের দিন বিকালে উৎসব আসছিলেন। আমাকে ,বনুকে, মিতু, রিঙ্কি এবং টিয়া কে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন। সবাই ঘুরে চলে আসলাম আসার সময় উনি আমাকে একটা নুপুর গিফট করলেন আর বললেন এগুলো যাতে আমি শুধু উনার সামনে পড়ি উনি পড়িয়ে দেবেন কোন একদিন কিন্তু আমার সাথে সব সময় রাখতে বলেছেন।
তাই আমিও রেখে দিলাম।
এবং পরের দিন মামা বাড়ি চলে গেলাম। কারণ কলেজ এ এক্সাম। ধুমছে পড়াশোনা শুরু করলাম। উৎসবের কথা খুব মনে পরতো। কিন্তু কিছু করার নেই। তাই পড়ায় মনোযোগী হলাম। দেখতে দেখতে পরীক্ষা শুরু হয়ে গেল এবং 15 দিনের মধ্যে পরীক্ষা শেষ হল। পরীক্ষাগুলো খুবই ভালো কেটেছে। পরীক্ষার মাঝখানে একদিন এসে উনি দেখা করে গেছিলেম আমার খুবই ভালো লেগেছে।
আমার জন্য অনেক পদের ফল ,হরলিক্স ,দুধ ,চকলেট, চিপস, আইসক্রিম আরো অনেক কিছু দিয়ে গেছে যাতে রাত জেগে পড়ি আর এগুলো খায় নিজের অযত্ন করলে
খবর আছে এগুলো বলে গেলেন।
আমি নাকি এখন তার সম্পদ আমার যদি অযত্ন হয় উনি আমাকে গিলে খাবেন কি সুন্দর কথা এগুলো শুনলে আমার হাসি পায় লোকটা আসলেই পাগল (শ্রাবণী)
দেখতে দেখতে নিলয় ও মিতুর বিয়ের দিন ঘনিয়ে আসল। যদিও বা কাবিন আগে হয়ে গেছে জাস্ট উঠিয়ে নেবে। এর দুই সপ্তাহ পরেই আমাদের বিয়ে আমার খুবই আনন্দ আনন্দ লাগছে আবার ভয় ভয়ও লাগছে আবার কান্না পাচ্ছে সবাইকে ছেড়ে নতুন পৃথিবীতে পা রাখব আমি।
মিতুর ও নিশ্চয় এমনই হচ্ছে। ওদের বিয়ের শপিং নিলয় ওরা নিজেরাই করেছেন। খুব সুন্দর সুন্দরও শাড়ি দিয়েছে আমার খুব ভালো লেগেছে ওদের শপিং গুলো। ওদের বিয়েতে খুব মজা করলাম ।(শ্রাবণী)
এখন আমরা আবার ঢাকা যাবো। দাদুর বাড়িতেই আমার বিয়ের অনুষ্ঠান হবে তাই বিয়ের একসপ্তাহ আগে চলে যাচ্ছে মামার বাড়িতে থেকে বিয়েটা দিতে চেয়েছিলেন মামা কিন্তু চাচ্চু বলল (শ্রাবণী)
দেখেন আকাশ ভাইয়া কি করবো বলেন ও ও দাদুর বাড়ি থেকে বিয়ে টা হলে ভালো হয় ।আমরা সবাই এটাই চাচ্ছিলাম আপনি প্লিজ রাগ করবেন না ।আমি জানি মেয়েটা আপনার কাছেই বড় হয়েছে এইটা ওর বাড়ি ।কিন্তু তাও ওর বাবার বাড়ি দাদুর বাড়ি থেকে ওকে বিদায় দিলে বেশি ভালো হয়। আমার মতে প্লিজ আপনি মেনে জান(চাচ্চু)
অনেক জোরাজুরির পরে মামা রাজি হয়ে গেল।
ঠিক আছে তাহলে আমরা কালকে সবাই চলো যাই (মামা)
আমি আমার জিনিস গুছাচ্ছিলাম এই ঘরটায় আমি ছিলাম ।খুব কান্না পাচ্ছে বোনুকে ধরে কান্না করে দিলাম ওদের সবাইকে ছাড়া কিভাবে থাকবো আমি ।আমার এখন থেকেই এত কান্না পাচ্ছে নতুন পৃথিবী যদিও বা সবাই আমার আপন তাও একটু ভয় তো লাগবে।বোন ও মামা ও কান্না করলো মামিকে ধরে কান্না করলাম মামী প্রথম আমাকে ধরে কান্না করলো হয়তোবা তার থেকে দূরে যাবো সেজন্য মায়া বেড়েছে ।আর এই কয়দিন মামী আমার অনেক যত্ন নিয়েছে।পরের দিন সবাই ব্যাগ পত্র গুছিয়ে ঢাকায় চলে আসলাম মামার বাড়ি এখন গেলে স্বামীকে নিয়ে যাব ভাবতেই কোথাও একটা ভালোলাগা এবং কষ্ট হচ্ছে। (শ্রাবণী মনে মনে)
সবাই বাসায় চলে আসলাম খুব ক্লান্ত থাকায় আমি ফ্রেশ হয়ে দুপুরে খেয়ে একটু ঘুমোতে গেলাম। হঠাৎ মনে হল কেউ আমার ওপর হাত পা তুলে ঘুমিয়ে আছে। বনু শোন না একটু ঘুমাতে দে এমন হাত পা তুলে দিয়েছিস কেন আমার উপর আমি কি তোর কোলবালিশ একটা লাথি মেরে খাট থেকে ফেলে দেবো (শ্রাবণী ঘুম ঘুম চোখে)
আমার পরী আমাকে লাথি মারবে তাই নাকি এত বড় সাহস তোমার উঠো বলছি ।পাক্কা এক ঘন্টা ধরে বসে আছি ডাকছি শুনছো না এখন একটু ধরে শুলাম আর তুমি বলছ আমাকে লাথি মারবা কত বড় সাহস তোমার(উৎসব রাগ দেখিয়ে)
আমি এক লাফে উঠে বসলাম চেয়ে দেখি উনি আমার দিকে রাগ মিশ্চিত লাল চোখ নিয়ে তাকিয়ে আছে।আমি ভেবেছিলাম বনু সরি আপনি কখন আসলেন আমি তো আর জানি না তাই জন্য ভুল হয়ে গেছে প্লিজ রাগ করবেন না (শ্রাবণী ভয়ার্ত কন্ঠে)
এখনও শুয়ে আছো যে নামাজ পরবেনা কয়টা বাজে (উৎসব ঘড়ির দিকে তাকিয়ে)
আসরের নামাজ পড়োনি কেন তুমি ঘুমাচ্ছো যে এখনো (উৎসব অবাক হয়ে)
আ আ আসলে আমার নামাজ নাই (শ্রাবণী মাথা নিচু করে)
নামাজ নেই এটা আবার কেমন কথা। ওওওও সরি সরি সরি আমি বুঝতে পারি নাই (উৎসব)
ঠিক আছে আপনি বসুন আমি আপনার জন্য নাস্তা নিয়ে আসি।(শ্রাবণী)
না পরী লাগবে না তুমি বোসো।আমি নাস্তা খেয়েছি। এক ঘন্টা আগে এসেছি আমি জামাই আদর অলরেডি পাওয়ার শেষ ।বউয়ের আদর এখনো পেলাম না। (উৎসব মন খারাপ করে)
সময় হলে ঠিকই পাবেন (শ্রাবণী আস্তে আস্তে)
সেই সময়টা কখন আসবে বলতো (উৎসব উৎকণ্ঠা হয়ে)
আপনি কি আমার মনের কথা শুনতে পান আপনার সাথে আবার জিন পরি নাই তো সত্যি করে বলবেন (শ্রাবণী ভয়ার্ত দৃষ্টিতে)
আসলে আসলে আমার সাথে একটা পরী আছে আম্মু রা চেয়েছিল ছাড়াতে পারে নাই। এখন সেই পরী তোমাকে ছাড়তে বলছে কি করব বল তো। না হলে তোমার আর আমার ঘাড় মটকে খাবে (উৎসব মজা করে)
দেখুন মজা করবেন না আমি এসব একদম ভয় পাইনা (শ্রাবণী ভয়াভয় কন্ঠে)
হাহা তা তো দেখতেই পাচ্ছি। তুমি জানো না আমার পরী যে তুমি অন্য পরীরা আসলে লাত্থি দিয়ে খেদায় দিবো। আমার একটা পরীতেই হবে আর কারো দরকার নেই (উৎসব)
অনেকক্ষণ গল্প করে উৎসব সন্ধ্যা নাগাদ চলে গেলেন। উনি কালকে আসবেন বিয়ের শপিং করতে সেটা বলতেই আজকে আসছিলেন সকাল দশটার মধ্যে আমাকে এবং সবাইকে রেডি থাকতে বলেছেন ওই বাড়ির সবাই আর এই বাড়ির সবাই মিলে একসাথে শপিং করবে কালকে (শ্রাবণী)
পরের দিন সকালে সবাই নাস্তা করে রেডি হয়ে বসে রইলাম উনারা এসে আমাদের পিকআপ করে শপিং মলে গেলাম।দুই ফ্যামিলির সবাই মিলে শপিং করলাম দুপুরে খাওয়া-দাওয়া করলাম দেন আবার শপিং করলাম তারপর সন্ধ্যা নাগাদ আমরা বাড়ি চলে আসলাম। (শ্রাবণী)
…………………….( চলবে)…….…………