সত্য ঘটনা অবলম্বনে| আমার অধিকার তুমি পর্ব : ৮

0
3030

সত্য ঘটনা অবলম্বনে
আমার অধিকার তুমি
পর্ব : ৮
লেখিকা: Gangster queen(ছদ্মনাম)

এত ক্যারিং একটা হাজবেন্ড পাচ্ছি তাই মনের কোণে কোথাও একটু আনন্দ আনন্দ লাগছে সবাই আমার জন্য দোয়া করবে প্লিজ।পিয়া এসে বলে গেল তারা নাকি চলে এসেছেন তাই আমি আর একটু আয়নায় নিজেকে দেখে নিলাম উনি যেইভাবে বলেছে সেই ভাবেই সেজেছি আশা করি ওনার ভালো লাগবে (শ্রাবণী মনে মনে)

শ্রাবণী চলো উৎসব রা বাইরে অপেক্ষা করছে (চাচি মা)

চাচি মা আমার না খুব ভয় করছে কেন বলতো (শ্রাবণী)

এরকম সব মেয়েদেরই হয় মা ভয় পেয়োনা উৎসব যথেষ্ট ভালো ছেলে ,তোমাকে সুখী রাখবে সে। চলো সবাই অপেক্ষা করছে যে (চাচি মা)

প্রিয়া মিতু ও চাচি মা আমাকে নিয়ে গেল। দাদুর ডাইনিং রুমে সবাই বসে আছে কাজী এক সাইডে বসে কাবিননামার কাগজ লেখালেখি করছে। আমাকে নিয়ে তার অপজিট সোফায় বসানো হলো। সে আমার দিকে তাকিয়ে রয়েছে আমি তার দিকে একবার তাকিয়ে মাথা নিচু করে বসে রইলাম। উৎসবকে দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে যদিও বা সেই দিকে তাকিয়ে থাকতে পারিনি লজ্জার কারনে। কিন্তু সে আমাকে দেখে যাচ্ছে আমার খুবই লজ্জা লাগছে (শ্রাবণী মনে মনে)

আমার পরীটাকে মিষ্টিকালারে খুবই সুন্দর দেখাচ্ছে। আমার কথা মতোই হালকা সেজেছে খুব ভালো লেগেছে প্রথমে আমার কথা শোনার জন্য খুব তাড়াতাড়ি তুমি আমার হবে পরী (উৎসব মনে মনে)

আমাদের দুজনের কবুল বলার সময় উনি খুব তাড়াতাড়ি বলে ফেললো তা নিয়ে পুরো ডাইনিংয়ে হাসা হাসির রোল পড়ে গেল। আর আমার বলার সময় আমি খুব সময় নিয়ে এবং আস্তে আস্তে বলছিলাম যাতে করে সবাই একটু বিরক্ত হচ্ছিল পাক্কা পনেরো মিনিট নিয়ে তিন কবুল বলেছি আমি ।উৎসব তো পারেনা আমাকে কাচা চিবিয়েখায়(শ্রাবণী)

আমাদের বিয়ে পড়ানো শেষ রাতের খাবার খেতে খেতে বারোটা বেজে গেল। আমাদের বিয়ের ডেট ঠিক করা হলো এক মাস পর নিলয় ও মিতু এর বিয়ের দুই সপ্তাহ পরে । আর বড়রা সবাই ডিসিশন নিল একমাস পরে যখন উঠিয়ে নেয়া হবে তখন বাসর হবে। এখন শুধু দেখা-সাক্ষাৎ করা যাবে এর বেশি কিছু না। এই কথা শুনে উৎসব এর মুখ দেখার মতো হয়েছিল সবাই তো ওকে পচাইতে ছিল আর আমি হাসতে হাসতে শেষ। বেচারা। আমাদের যেহেতু তিনটা ফ্লাট সবাই ভাগে ভাগে থাকবো। দাদুর ফ্ল্যাটে উৎসব নিলয় ছোট বাবা ছোটমা থাকবেন। আব্বুর ফ্লাটে আমি, মিতু ,পিয়া, টিয়া, রিংকি এবং আমার শাশুড়ি আম্মু থাকবো। আর নিলয়ের বাবা মা চলে গেছে। চাচ্চুর ফ্ল্যাটে চাচু ,চাচি মা, মামা ও মামি থাকবে। তো সবাই ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি এমনসময় বনু বলল (শ্রাবণী)

এই আপু তোমার কষ্ট হচ্ছে না পাশের ফ্ল্যাটে বর রেখে আমাদের সাথে শুতে।ভাইয়ার কিন্তু খুব কষ্ট হচ্ছে বেচারা এত কষ্টে বিয়ে করল সবাইকে বোঝাতে ভাইয়ার ঘাম ছুটে গেছে আর সেই জায়গায় বেচারার আরও দেড় মাস বউ ছাড়া থাকতে হবে কি কষ্ট কি কষ্ট। (প্রিয়া)

ওর কথা শুনে সবগুলা হাহাহা করে হেসে উঠলো। এই বনু তুই কিন্তু খুব পেকে গেছিস বেশি না বোকে ঘুমাতো সবাই আমার খুব ঘুম পেয়েছে আমি খুব টায়ার্ড। (শ্রাবণী রাগ দেখিয়ে)
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
সবাই ওর ঝাড়ি খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ল।

আমিও খুব টায়ার্ড থাকার কারণে ঘুমিয়ে গেলাম। (শ্রাবণী)

অন্যদিকে

এত কষ্ট করে সবাইকে বুঝিয়ে বিয়ে করলাম কি এইজন্য দেখতো আমার বউ ছাড়া থাকতে হবে ভাবা যায়। এরা আমার সাথে কি ইনসাফ করলো। এগুলো আমি নিতে পারছি না বউ পাশের ফ্ল্যাটের রেখে নাকি আমি তাকে ছাড়া ঘুমাবো (উৎসব কান্নাজড়িত কণ্ঠে)

আরে ভাইয়া আর একটা মাস এই তো তারপর তো ভাবি সারা জীবন তোমারই এমন করছ কেন। (নিলয়)

হ্যাঁ তুমিও তো তোমার বউ ছাড়া রয়েছে না কত শালা ওইদিনই বিয়ে করে বাসর শুদ্ধ করে ফেলেছিস আর আমাকে দেখাচ্ছিস একমাস এর কথা না শয়তান যা ঘুমা। (উৎসব রাগ দেখিয়ে)

ওকে গুড নাইট (নিলয়)

নিলয় রা যেদিন মিতুকে দেখতে গেছিলো ওই দিনই ওদেরও কাবিন হয়ে যায়। ওদের বাসর হয়েছে। কিন্তু একমাস পরে তুলে দিবে সেই জন্য ওরা এক সাথে থাকে না। যদিও বা মাঝে মাঝে ঘুরতে যায় এবং দুজন খুব ভালো টাইম স্পেন্ড করে। তাই উৎসব ওর উপর রেগে গেল বেচারা বিয়ে করে বউ ছাড়া থাকছে কি কষ্ট কি কষ্ট।

সারারাত উৎসব ঘুমাতে পারেনি।

ফজরের আযান শুনে সবাই উঠে যে যার মত নামাজ পড়তে চলে গেল। ছেলেরা সবাই মসজিদে চলে গেল আর মেয়েরা ঘরে নামাজ পরল। তারপরে মামি, চাচি মা ,ছোটমা ও আম্মু রা সকালের নাস্তা বানাতে গেল। আমিও যেতে চেয়েছিলাম কিন্তু আম্মু বারণ করল।যদিও ছোট মা অসুস্থ রান্না করতে পারবে না জাস্ট ওনাদের সাথে বসে একটু গল্প করবেন এই জন্য উনি ওখানে আছে। আমার আর কি করা হলে এসে সবার সাথে গল্প করছিলাম। তারপরে সবাই বেরিয়ে গেল আমি একটু বই পড়ছিলাম। আধাঘন্টা পরে বনু এসে বলল নাস্তা তৈরি সবাই বাইরে হাঁটতে গেছে আর উনি নাকি বাড়ি গেছিল উনার কিছু ফাইল আর জামা কাপড় আনতে কারণ আজকে উনি একটা মিটিং-এর জন্য অফিস যাবেন ।

এই আপু আমিও নিচে ওদের সাথে ঘুরতে যাচ্ছি তুমি একটু ভাইয়ার নাস্তা টা দিয়ে দিও টেবিলে রাখা আছে। ভাইয়া সাড়ে নয়টার মধ্যে অফিসে যাবেন ভাইয়া নাস্তা চেয়েছেন তুমি একটু দিয়ে আসবে আমি গেলাম বাই (প্রিয়া)

টেবিলে গিয়ে দেখলাম বৌওয়া ও 6 পদের ভর্তা রাখা। আজকে সকালে এই নাস্তায় করা হবে।আর একটা প্লেটে পরোটা ও হালুয়া দেখলাম মনে হয় রিংকির জন্য ছোট বাচ্চা তো মনে হয় ঝাল খেতে পারে না। আমি আমার মত করে বৌউয়া ও ভর্তা গুলো সাজিয়ে দাদুর ঘরে নিয়ে গেলাম। খাবারগুলো যেহেতু চাচ্চুর ঘরে ছিল। আসবো (শ্রাবণী)

হ্যাঁ এস পারমিশন নাওয়া লাগবে নাকি আমি আর তুমি তো। জলদি আমাকে খাইয়ে দাও ফাইলে কিছু কাজ করছি মিটিংটা দশটার মধ্যে সাড়ে 9 টার মধ্যে বের হয়ে যাব খাবার টাইম নাই তুমি একটু খাইয়ে দাও প্লিজ। (উৎসব ফাইলে দিকে তাকিয়ে)

আসলে আমি কাউকে খাইয়ে দিতে পারি না actually কাউকে কোনদিন খাইয়ে দেইনি (শ্রাবণী)

আরে তুমি যেভাবে হাত দিয়ে খাও সেইভাবে খাওয়াবা প্লিজ জলদি খাওয়া ও আমি একটু ফাইলে কাজ করছি (উৎসব ফাইলে দিকেই তাকিয়েই)

আমি আমার মত করে ভর্তা মাখিয়ে বৌউয়া এক লোকমা ওনার মুখে তুলে দিলাম। উনি ফাইল থেকে মুখ উঠিয়ে একবার আমার মুখের দিকে তাকালেন তারপর আবার ফাইলে মুখ গুঁজে খেতে লাগলেন আমি ওনাকে খাওয়াতে লাগলাম। খাওয়া শেষে যখন আমি চলে আসতে নিলাম (শ্রাবণী)

পরী ফ্রিজে আইসক্রিম আছে?(উৎসব)

হ্যাঁ আছে কি করবেন? (শ্রাবণী)

আসলে ব্রেকফাস্ট এর পরে আমি আইসক্রিম খাই তো সেই জন্য একটা নিয়ে আসবা প্লিজ। (উৎসব)

ঠিক আছে। এটা আবার কেমন সিস্টেম ব্রেকফাস্ট এর পরে কেউ আইসক্রিম খায় খেলে খেতে ও পারে যায় নিয়ে যায়। একটা কোন আইসক্রিম নিয়ে ওনার হাতে দিলাম (শ্রাবণী)

মনে কোন কথা না বলে প্যাকেটটা খুব তাড়াতাড়ি করে ছিঁড়ে খেতে লাগলো আমি জাস্ট হা করে তাকিয়ে আছে কেউ এই ভাবে আইসক্রিম খায় আজিব তো। (শ্রাবণী মনে মনে)

ঠিক আছে পরী আসি তাহলে দুপুরের আগে চলে আসব ভালো থেকো(উৎসব)

আমার গালে হাত দিয়ে উনি কথাটা বলে বেরিয়ে গেল। তার কিছুক্ষণ পরে সবাই বাড়ি ফিরে আসলো আমাকে নাস্তার জন্য ডাকা হলো আমি নাস্তার টেবিলে গেলাম সবাই যখন নাস্তা খেতে বসলাম এমন টাইমে আম্মু এমন একটা কথা বলল আমি শুনে জাস্ট শকড(শ্রাবণী)

উৎসব নাস্তা খেয়ে যায়নি। ছেলেটা আমার ঝাল খেতে পারে না সেজন্য পরোটার হালুয়া বানালাম না খেয়েই চলে গেল। (আম্মু)

কেন ঝাল খেতে পারে না কেন (মামি)

আসলে ওর ঝাল খেলে অনেক সমস্যা হয় ।খুব ছোট থেকেও ঝাল খেতে পছন্দ করে না ।একদিন ওর বন্ধুরা দুষ্টামি করে ঝাল খাইয়ে দিয়েছিল আমার ছেলেটা পুরো এক সপ্তাহ ধরে জরে ভুগেছে ।তার জন্য আমরা কেউ ওকে ঝাল খাবার দেই না । ওর খাবার ঝাল ছাড়া বানানো হয় খুব হালকা ঝাল দিয়ে তাও। (আম্মু)

এ আমি কি করলাম এই জন্যই উনি তখন আইসক্রিম খেতে চাইল। এখন কি হবে উনি যদি সত্যিই ঝাল খেতে না পারে এতগুলো খাবার কেন খেলো তাও এত ঝাল দিয়ে। আমি খাওয়ালাম বলে।এই কথা শোনার পরে কোনরকম খেয়ে আমি ঘরে যে বসে রইলাম আমার খুবই খারাপ লাগছে ।সারাদিন আর বেরোইনি আমার খুব কান্না পাচ্ছিল একটা সময় কান্না করেই দিলাম এখন ওনার যদি সত্যি জ্বর চলে আসে তখন কি হবে আমি নিজেকে ক্ষমা করতে পারবোনা।(শ্রাবণী কান্না করতে করতে মনে মনে)

দুপুর 1 টা নাগাদ উনাকে উনার ম্যানেজার এসে দিয়ে গেল। খুব জ্বর এসেছে ।চাচি মা আমাকে এসে দাদুর ঘরে ঢেকে গেলেন উনার কথা শুনেআমি জাস্ট অবাক এটা কি হলো সবাইকে বলে দিই আমার জন্য উনার জ্বর এসেছে সবাই আমার উপর খুব রাগ করবে তাই না করলে করুক। (শ্রাবণী মনে মনে)

আমি ঐ ঘরে গেলাম আমার যাওয়ার পরে সবাই আস্তে আস্তে বেরিয়ে গেল উনি আমাকে ওনার পাশে বসতে বলল আর আম্মু বলল।

শ্রাবণী মা তুমি ওর পাশে বস আমি ওর জন্য আর তোমার জন্য খাবার দিয়ে পাঠিয়ে দিচ্ছি ওকে খাইয়ে ওষুধ খাইয়ে তুমি খেয়ে ওর সাথে থাকো। কেন যে জ্বর আসলো ছেলেটার আমার?(আম্মু কথা বলতে বলতে চলে)

আমি উনার দিকে তাকিয়ে আছি ভেবেছিলাম রাগ দেখাবো এখন উনার চেহারা দেখে আমার নিজের প্রতি নিজের রাগ হচ্ছে উনাকে জিজ্ঞেস করে খাওয়ানো উচিত ছিল আর উনিবা এমন কেন আমাকে বলতে তো পারতো খুব খারাপ উনি। আপনি খুব খারাপ মানুষ তো বললেই তো পারতেন আপনি জাল খেতে পারেন না আমি কি তাহলে জোর করে আপনাকে খাবারগুলো খাওয়াতাম ।আপনি কি বলুন তো এই জ্বরটা আমার জন্য এসেছে এখন নিজেকে নিজের মারতে মন চাইতেছে (শ্রাবণী রাগ দেখিয়ে কান্নার করে)

ও আমার পরী টা প্রথমবার তুমি কিছু খাওয়া ছিলে মানা করে কি করে। তাই খেয়ে নিলাম ।ঠিক আছে সমস্যা নেই জ্বর এসে ভালোই হলো তুমি আমার সাথে থাকবে তো। আমার তো খুব খুশি লাগছে তোমাকে আর কোন ছাড়াছাড়ি নাই। এখন থেকে তুমি আমার সাথে থাকবে এই জন্যই তো তোমাকে সকালে আর বলি নাই আমি তো জানি আমার ঝাল খেলে জ্বর আসে আর জ্বর আসলে আম্মু নিশ্চয়ই তোমাকে আমার সাথে থাকতে বলবে ভালো বুদ্ধি না(উৎসব মুচকি হেসে অনেক কষ্টে কথাগুলো বলল)

এই লোকটা আসলেই বজ্জাত জ্বরের মধ্যে উল্টাপাল্টা ভাবনা (শ্রাবণী অবাক হয়ে)

বনু এসে আমার আর ওনার খাবার দিয়ে গেল আর বলে গেল যাতে আমি ওনার সাথেই থাকি।

আপু আন্টি বলে পাঠিয়েছে খাবার খেয়ে উনার সাথে থাকবে ।আর এই ঘরে এখন আর কেউ আসবে না তুমি মেইন গেট লাগিয়ে দিও ।আমরা সবাই দুপুরে খেয়ে বিকালে একটু ওয়ারী যাবো তুমি আর ভাইয়া একলাই থাকবে সন্ধ্যার মধ্যে আমরা সবাই চলে আসব ।তুমি মেনগেট টা লাগিয়ে নিও ঠিক আছে।(প্রিয়া)

হঠাৎ সবাই ওয়ারী যাবে কেন?(শ্রাবণী)

এই তোমার শ্বশুর বাড়ি থেকে ঘুরে আসতে ।তুমি তো আর যেতে পারবেনা। আর ভালোই হলো ভাইয়া ও এখানে থাকবে আমরা সবাই ঘুরে আসি ঠিক আছে (প্রিয়া)

ঠিক আছে। (শ্রাবণী)

থ্যাংক ইউ শালিকা আমার বউটাকে আমার কাছে একা’ দিয়ে যাওয়ার জন্য (উৎসব মুচকি হাসি)

ওয়েলকাম দুলাভাই (প্রিয়া হাসতে হাসতে চলে গেল)

ওনাকে খাইয়ে ওষুধ খাইয়ে দিলাম। তারপরে আমি খেয়ে নিলাম আমি উনার পাশে বসে ছিলাম।

এই পরী একটা অনুরোধ করি রাখবা প্লিজ (উৎসব)

কিছু লাগবে আপনার বলুন আমাকে আমি এক্ষুণি করে দিচ্ছি কোন সমস্যা হচ্ছে কি? (শ্রাবণী উদ্বিগ্ন হয়ে)

আর এ না না কোন সমস্যা নাই।একটা অনুরোধ করবো তুমি একটু আমার পাশে সুবা প্লিজ (উৎসব অনুনয়ের সুরে)

আমি ওনার দিকে একবার তাকালাম বলে কি লোকটা আমার বুঝি লজ্জ্বা করে না আজিব মানুষ (শ্রাবণী মনে মনে)

ও আমার সামনে বসা ছিল তাই হাত ধরে টেনে আমার হাতের উপর শুয়ে দিলাম বেচারী লজ্জায় শেষ। পরী এত লজ্জা পেতে হবে না আমি তোমার স্বামী ।আর আমি এমন কিছু করবো না যাতে তুমি লজ্জা পাও ।আমি জাস্ট তোমাকে একটু জড়িয়ে ধরে ঘুমাবো খুব ঘুম পাচ্ছে আমার।(উৎসব মুচকি হেসে)

উনি হঠাৎ আমার হাত ধরে টেনে উনার পাশে শুয়ে দিলেন ।আমি ওনার দিকে তাকাতে পারছি না চোখ বুঝে নিলাম। আমাকে ওনার হাতের উপর শুয়ে ছিলেন এখন আস্তে করে ওনার বুকের মধ্যে আমার মাথাটা দিয়ে বললেন (শ্রাবণী)

ঘুমাও পড়ি আমিও ঘুমাই (উৎসব)

আমি চোখ বন্ধ করে অনেক কিছু ভাবলাম কিছুক্ষণ পরে মনে হলো উনি ঘুমিয়ে গেছে। উনার শরীরের গরম তাপ আমার শরীরে লাগছিল(শ্রাবণী)

একটা সময় আমিও ঘুমিয়ে পড়লাম। ঘুম ভাঙলো আসরের আযান শুনে। এখনো আমাকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ঘুমিয়ে আছে এখনো ওনার ঘুম ভাঙ্গিয়ে উঠে নামাজ পড়তে হবে না হলে আমার কিছু করার নাই। এই যে একটু আমাকে ছাড়বেন প্লিজ নামাজ পড়বো আমি (শ্রাবণী)

আর পাঁচ মিনিট পরী দেন ছাড়ছি তুমি তারপরে নামাজ পড়ো। (উৎসব)

ঠিক পাঁচ মিনিট পর উনি আমাকে ছেড়ে উল্টো হয়ে ঘুমিয়ে পড়লেন উনার এখনো জ্বর কমেনি নামাজ কাজা করবে । তাই আমি যেয়ে নামাজ পড়ে নিলাম। আমার নামাজ শেষে তাকিয়ে দেখি উনি আমার পাশে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ছেন। আমার খুবই ভাল লাগল এই ব্যাপারটা জ্বর নিয়ে উনি নামাজটা পড়েছেন। নামাজ শেষে উনি কিছুক্ষণ বসে রইলেন তারপরে বললেন।

তুমি নাকি আসরের পরে কোরআন শরীফ তেলাওয়াত করো আমি বিছানায় যেয়ে সুই তুমি আমাকে সোনাবা প্লিজ।বসে বসে শুনতাম কিন্তু মাথার ব্যথায় বসে থাকতে পারছি না আমি বিছানায় শুই তুমি কোরআন তেলাওয়াত করো আমি শুনতে চাই। (উৎসব)

ঠিক আছে চলুন আপনাকে সুইয়ে দেই। ওনাকে ধরে খাটে শুইয়ে দিলাম তারপরে খাটের সামনে জায়নামাজ বিছিয়ে কোরআন তেলাওয়াত করতে লাগলাম এক ঘন্টা কোরআন তেলাওয়াত করার পর। আমার পড়া শেষ আপনাকে এখন একটু চা করে দেই (শ্রাবণী)

এতো জলদি শেষ আর পাঁচ মিনিট পড় ও দেন একটু চা করে দিও(উৎসব)

আমি আরো কিছুক্ষণ কোরআন পরে উনার জন্য চা করতে গেলাম (শ্রাবণী)
………..………..……….. চলবে………..…………….

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে