সত্য ঘটনা অবলম্বনে | আমার অধিকার তুমি পর্ব : ৭

0
3487

সত্য ঘটনা অবলম্বনে
আমার অধিকার তুমি
পর্ব : ৭
লেখিকা: সুরভী শেখ

আসলে আমি এই বিয়েটা করতে পারবোনা (শ্রাবণী)

কি (উৎসব অবাক হয়ে)

আরে ব্যাটা ফাজিল আমার পিছনে লাগতে আসছিলে না এখন আপনাকে হাড়ে হাড়ে বুঝাবো এই শ্রাবণী কি জিনিস (শ্রাবণী মনে মনে)

প্লিজ শ্রাবণী এমন করো না। আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচবো না (উৎসব অনুনয়ের সুরে)

আসলে আমি আপনাকে বিয়ে করতে চাই না আপনি দেখতে সুন্দর অনেক বড় বিজনেসম্যান ও কিন্তু (শ্রাবণী)

ও হ্যালো তুমি কি ভাবছো আমি তোমার কাছে ভিক্ষা চাইবো ।মোটেও না তুমি মনে মনে যা ভাবছো সেটা হচ্ছে না বুঝতে পারছ আমি উৎসব শেখ আমাকে নাজেহাল করা তোমার মত পুঁচকে মেয়ের সাধ্য না। তুমি চাইলে বিয়েটা হবে আর না চাইলে ওই বিয়েটা হবে ।Because I love you I need you in my life you are my at any cost I own your heart. বুঝতে পারছ নিশ্চয়ই।(উৎসব রাগ ও ভাব দেখিয়া)

এ আমি আপনাকে বিয়ে করবো না। আপনি খুবই পচা সে প্রথম দিন থেকে আপনি আমার সাথে ঝগড়া করে আসছেন ।আর সারা জীবন আমি আপনার সাথে ঝগড়া করতে চাই না ।আমার এমন স্বামীর দরকার নেই দুই দিনেই 100 বার ঝগড়া লাগছে সারাজীবনের না জানি কত বার লাগবে থাক ভাই ভাই থাকেন সাইয়া হওয়ার দরকার নেই। (শ্রাবণী মাথা নিচু করে একনাগাড়ে বলে গেল)

আর একটা কথা বলবা উপরে তুলে ঠাস করে একটা আছাড় মারব।চলে এখন সবাই আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে ওইখানে যেয়ে আমি যা বলব সেটাই যেন থাকে তোমাকে যেন আর কিছু না বলতে দেখি মনে থাকে যেন। বেশি তিড়িংবিড়িং করবা কিডন্যাপ করে বিয়ে করে ফেলবো তখন ভালো লাগবে তো?(উৎসব রাগ দেখিয়ে)

আমি তারে কি নাজেহাল করব সেই তো আমার নাজেহাল অবস্থা করে দিয়েছে এর সাথে আমার বিয়ে হলে আমার কি যে অবস্থা হবে আল্লাহ মালুম দেখি কি হয় (শ্রাবণী মনে মনে)

যাবা নাকি কোলে তুলে নিয়ে যাব আমার কিন্তু কোন অসুবিধা নেই ভেবে দেখো (উৎসব ভাব দেখিয়ে)

না না আমি যাব যাচ্ছি ।এত কোলে তোলার শখ কেন এর আগে কতগুলো মেয়েকে কলে তুলেছেন।আমাকে তো বললেন একটা গার্লফ্রেন্ড ছিল আপনার ভাবে সাবে তো মনেহয় নিম্নে 100 থেকে 200 টা প্রেম করেছেন(শ্রাবণী কিছুটা রাগ দেখিয়ে)

You jealous my angel. Like seriously তুমি তো আমার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছ আমার জন্য ভালোই হলো বিয়ের পরে দুইজনের মধ্যে ভালোবাসার কোনো অভাব হবে না। (উৎসব মজা করে)

চুপ থাকবেন সব সময় খালি উল্টাপাল্টা কথা সরেন আমার সামনে থেকে আমি যাব। (শ্রাবণী)

তা তো যাবাই আমি তো আর বলিনি আমার কোলে এসে বসে থাকো (উৎসব শ্রাবণীকে লজ্জা দিয়ে)

আপনি একটা ফাজিল বেটা খচ্চর বেটা লুচ্চা বেটা (শ্রাবণী দাঁতে দাঁত চেপে)

What? কি বেটা বেটা শুরু করছ এত handsome একটা ছেলেকে তোমার ব্যাটা মনে হইতাছে like seriously. তুমি জানো তোমার handsome বর এর উপরে কত মেয়ে crashed.(উৎসব ভাব নিয়ে)

এ আসছে কি আমার handsome রে যেই না চেহারা নাম তার পেয়ারা। (শ্রাবণী মুখ ভেংচি দিয়ে)

এই পরী আমি তোমার তুমি শিকার যাচ্ছ তো (উৎসব মজা করে)

আমি কখন বললাম আপনি আমার? (শ্রাবণী অবাক হয়ে)

এইতো বললে আমার handsome। আমার খুবই ভালো লাগলো। ওকে চলো আজকে বিয়ে করে তোমাকে আমার সাথে নিয়ে যাব এইখানে রাখা যাবে না তোমাকে। তোমাকে ছাড়া থাকা অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে আমার কাছে (উৎসব শ্রাবণের কানে ফিসফিসিয়ে)

আমি ওনার কথায় লজ্জা পেয়ে উনার দিকে তাকিয়ে রয়েছি কি বলছে উনি !উনি কি বুঝতে পারছেন আমি কতটা লজ্জা পাচ্ছি নাকি আমাকে লজ্জা দিতে ওনার খুব ভালো লাগে বেটা আসলেই খারাপ (শ্রাবণী মনে মনে)

এই আপু তোদের হলো আব্বু ডাকছে তো। চলেন ভাইয়া আঙ্কেল ডাকছে আপনাকে অনেকক্ষণ তো বললেন কথা বাকি কথা না হয় পরে বলবেন। (প্রিয়া)

ঠিক আছে আমার শালিকা চলো চলো (উৎসব তাড়াহুড়ো করে)
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
শালিকা মানে (পিয়া অবাক হয়ে)

আরে তোমার বোন আমাকে এতই পছন্দ করেছে যে বলছে আমাকে ছাড়া নাকি বিয়ে করবে না ।আর মামার কাছে যেয়ে যেন বলি যেন আমি ওকে ছাড়া বাঁচব না আমারও কে চাই বেচারী লজ্জা পাচ্ছে তো তোমাদের কাছে তাই ঠিক বলতে পারবে না। ঠিক আছে আমিই বলব আর আজকে আমি আকদ/কাবিন করে যাব। এই জন্যই তো তোমাকে শালিকা ডাকলাম (উৎসব শ্রাবণীকে চোখ মেরে)

এই একদম আমার নামে মিথ্যা কথা বলবেন না কি মিথ্যাবাদী রে আল্লাহ করবো না আমি বিয়ে যান ভাগেন (শ্রাবণী রাগ দেখিয়ে)

দেখছো শালিকা বিয়ের আগে জান বানিয়ে ফেলেছে। কত পছন্দ করে আমাকে। আমি খুবই ভাগ্যবান এমন একটা বউ পাব ভালোই হলো (উৎসব)

প্রিয়া অবাক হয়ে একবার আমার দিকে একবার ওনার দিকে তাকাচ্ছে আর আমি লজ্জায় মাথা নীচু করে দাঁড়িয়ে আছি লোকটার মুখে কি কিছু আটকায় না বোঝেনা নাকি লোকটা তো আসলেই বজ্জাত। (শ্রাবণী মনে মনে)

চলো চলো শালিকা দেরি হয়ে যাচ্ছে যে জলদি বিয়ের প্রসেসিং টা চালু করি আমার যে আর তর সইছে না সরি সরি তোমার বোনের (উৎসব)

দেখো এবার আমাকে নাজেহাল করার খুব শখ হয়েছিল না এখন দেখবে এই উৎসব শেখ কি জিনিস।(উৎসব মনে মনে)

এই ওরা চলে এসেছে এস বাবা বস। তা চলো দুপুরের লাঞ্চ করবে তারপর না হয় বাকি কথা হবে (মামা)

প্রিয়া শ্রাবণীকে ভিতরে নিয়ে যাও আমার মামা আর চাচ্চুদের সাথে কিছু কথা আছে।(উৎসব)

যা প্রিয়া শ্রাবণীকে ভিতরে নিয়ে যা।(মামা)

ওইখানে যে কি কথা হচ্ছে উনি আবার আমার নামে উল্টাপাল্টা কিছু বলছে না তো ।এই লোকটা তো দেখি আমাকে বড় সমস্যায় ফেলে দিলো। বিয়ে করবো ঠিক আছে উনি আমাকে যথেষ্ট ভালোবাসে ওনার চোখ দেখে আমি বুঝতে পেরেছি। কিন্তু তাই বলে এত তাড়াতাড়ি বিয়ে করার কি হলো একটু সময় নেই তানা বেটা লুচ্চু। আর কি বলল পিয়া দের আমার ওদের সামনে যেতে লজ্জা লাগছে লোকটা যদি আমার বর হয় না ওর খবর আছে। (শ্রাবণী পায়চারি করে রাগ দেখিয়ে)

ডাইনিং রুমে

হ্যাঁ বাবা উৎসব বল কি বলবা (মামা ও চাচ্চু উদ্বিগ্ন হয়ে)

আসলে আমি চাচ্ছিলাম আজকেই আকদ টা সেরে ফেলতে। আমার শ্রাবণীকে খুবই পছন্দ ওর ও আমাকে পছন্দ। হয়তো আপনাদের কাছে বলতে পারবেনা লজ্জার কারনে। কিন্তু আমারও কে চাই আমি তাই চাচ্ছিলাম আজকে আকদ সেরে ফেলতে তারপরও আপনারা কোন একটা দিন দেখে তুলে দেবেন ওকে আমার হাতে(উৎসব)

তাও বাবা আমরা একটু ওর সাথে কথা বলতে চাচ্ছিলাম ।আমাদের সামনে লজ্জা পেলেও ওর চাচি মা আর মামীর কাছে তো লজ্জা পাবে না । ওরা নাহয় জিজ্ঞেস করে আসুক সারা জীবনের ব্যাপার বুঝতে পারসো বাবা তারাহুরোতে কোনো ডিসিশন নিতে চাচ্ছি না।(চাচ্চু)

ঠিক আছে আপনারা যা ভাল বোঝেন (উৎসব মন খারাপ করে)

আমি কি আর স্বাদে আপনাদের না করছি জিজ্ঞেস করতে যদি না করে দেয় আমার যে ওকে চাই। আল্লাহ প্লিজ প্লিজ ও যেন হ্যাঁ বলে দেয়।(উৎসব মনে মনে)

৩০ মিনিট পর

তাকি বলল শ্রাবণী (মামা ও চাচ্চু)

হ্যাঁ হ্যাঁ ও রাজি (চাচি মা)

সত্যি (উৎসব চিৎকার করে)

আরে ভাইয়া আস্তে বস(নিলয় উৎসবের হাত ধরে বসিয়ে)

উৎসব কি হচ্ছে এগুলা এইটা কোন কথা হইল বুঝলাম তোমার ওকে অনেক পছন্দ তাই বলে এত এক্সাইটেড! হয় হয় আমাদেরও এমন হয়েছিল তাই নারে আকাশ(মামা) কথাটা বলল (ছোট বাবা)

হুম ( মামা)

সবাই একসাথে হেসে উঠল উৎসব বাদে। বেচারা অনেক লজ্জা পেয়েছে।

আমার পরীটা এত জলদি রাজি হয়ে গেল ভালোই হলো ।আমিতো ভাবলাম না করে দেবে কত কিছু ভেবে বসলাম এতক্ষণে না করে দিলে কিডন্যাপ করে দরকার হয় বিয়ে করবো। তাও ওকে আমার চাই চাই(উৎসব মনে মনে)

আচ্ছা চলো সবাই দুপুরের লাঞ্চটা করে নিই তারপরে বিকালে না হয় শপিং করে রাত্রে আকদ সেরে ফেলা যাবে (চাচ্চু)

হ্যাঁ ছেলের বিয়ে বলে কথা কব্জি ডুবিয়ে খাবো (ছোট বাবা)

ছোট বাবার কথা শুনে সবাই একসাথে হেসে দিলাম।

সবাই একসাথে খেতে বসেছে চাচি মা আমাকে উনার পাশের চেয়ারে বসতে দিল ওনার সামনে বসে কি খাওয়া যায় আমার তো লজ্জায় কারো দিকে তাকাতেও পারছি না খাবো কিভাবে! (শ্রাবণী মনে মনে)

এত লজ্জা পেয়ে লাভ নেই পরী খাবার সময় খাবারে মনোযোগ দিতে হয় ।আমি তোমাকে কোন ডিস্টার্ব করছি না তুমি যদি বল আমি অন্য চেয়ারে বসি তাও তুমি খাও। খাওয়ার সময় ডিস্টার্ব আমার পছন্দ না আর ভালো মতো খেয়ে একটু মোটা হও যেই পাতলা তুমি ফু দিলে না উড়ে যাও(উৎসব ফিসফিসিয়ে)

না ঠিক আছে আমি খাচ্ছি আপনি বসুন সমস্যা নেই (শ্রাবণী আস্তে আস্তে)

এখনই এতো ফিসফিসিয়ে কথা বাসর ঘরে কি করবে শুনি (প্রিয়া মজা করে)

দেব না কানের নিচে একটা চড় চুপচাপ খেয়ে যা এখান থেকে। খাবারের সময় কথা বলতে নেই জানিস না। (শ্রাবণী রাগ দেখি)

তোমরা যে বলছো (প্রিয়া অভিমানের সুরে)

তোর পাকা কথা আমি ছুটাচ্ছি খাঁ আগে(শ্রাবণী দাঁতে দাঁত চেপে)

সবার খাওয়া-দাওয়া শেষে। সবাই 30 মিনিট রেস্ট নিয়ে মার্কেটে যেতে বলছে আমাকে কিন্তু আমার তো খুবই লজ্জা লাগছে উনার সাথে আমি কিভাবে যাই।

চাচি মা আমি না গেলে হয় না উনারা যা পছন্দ করে আনবে সেইটাই পরব কোন সমস্যা নেই।(শ্রাবণী অনুনয়ের সরে)

শোন আম্মু উনারা বলছে যেতে এখন প্রথমদিনই একটা কথা বলল সেটা যদি আমরা না শুনি কেমন দেখায় না। আর একটা কথা আকদতো ঢাকার ফ্ল্যাটে হবে তোমরা এখন শপিংয়ের জন্য বেরিয়ে যাও। আমরা সন্ধ্যার মধ্যে বেরিয়ে পড়বো ।তোমার দাদার ফ্ল্যাটের মধ্যে আকদ করানো হবে সেজন্যই ঢাকা চলে যাও আজকে। তারপর না হয় 10 দিন থেকে তুমি আবার তোমার মামার বাড়ি চলে এসো। (চাচি মা)

ও এই কথা আমাকে তো আগে বলনি (শ্রাবণী)

তোমার চাচ্চু তোমার মামার সাথে কথা বললো একটু আগে সেটা আমি জেনে তোমাকে জানালাম।আর অনেকদিন ধরে তোমার দাদা দাদুর ফ্ল্যাটে যাওয়া হয় না যদিও বা আমরা আসার আগে সব পরিস্কার করিয়ে রেখেছি ।আমরা সন্ধ্যার মধ্যে পৌঁছে টুকিটাকি সাজিয়ে নেবো । কারণ রাত্রের মধ্যে আকদ হবে তোমরা শপিং এর জন্য বেরিয়ে পড়ো যেহেতু শপিং করতে অনেক সময় লাগবে।(চাচি মা)

ঠিক আছে চাচি মা (শ্রাবণী)

রেস্ট নিয়ে আসরের নামাজ পড়ে আমি,প্রিয়া, টিয়া ,নিলয় আর উনি বেরিয়ে পড়লাম। মাঝ রাস্তা থেকে মিতু কেও পিকআপ করে নিল। উনি আর নিলয় সামনে বসেছিল। আমরা তিনজন মেয়ে পেছনে বসে ছিলাম। এখন মিতু আমাদের সাথে বসেছে। আমি ওর সাথে ওই দিনের জন্য ক্ষমা চেয়ে রাগ অভিমান ভেঙে নিলাম ।তারপরে শপিং মলে চলে গেলাম। আমরা উত্তরা শপিং কমপ্লেক্সে শপিং করতে গেলাম।
আমার দাদার
যে ফ্লাট সেটা উত্তরা এর এদিকে। আমার দাদাভাই তিনটা ফ্ল্যাট কিনেছিল একটা আব্বুর ,একটা চাচ্চুর আর একটা দাদু ও দাদার জন্য। আব্বু আম্মু থাকাকালীন আমরা ওই ফ্ল্যাটে ছিলাম আব্বু আম্মু মারা যাওয়ার 1 বছর আগে দাদা এবং ছয় মাস আগে দাদু মারা যায় তার কিছুদিন পরেই আব্বু কার এক্সিডেন্ট এবং আম্মু স্টক করে মারা যায় তারপর থেকে আমি মামার বাড়ি ছিলাম। (শ্রাবণী মনে মনে ভাবছে)

2 বছর আগে এসেছিলাম দাদুর বাড়িতে আর দুই বছর পরে উত্তরা আসলাম। শপিংমলে উনি আমার জন্য একটা শাড়ি কিনলেন মিষ্টি কালারের নেট শাড়ি। যেটা আকদ এ পড়ব। আর চারটা জামদানি শাড়ি ব্লু শাড়ি, সাদা শাড়ি ,কালো শাড়ি এবং কলাপাতা কালার শাড়ি । এবং পাঁচটা থ্রি পিস কিনলেন। প্রিয়া টিয়া এবং মিতুকে শাড়ি গিফট করলেন। সবার জন্যই শাড়ি ও পাঞ্জাবি পাজামা কিনলেন।(শ্রাবণী)

শ্রাবণী আমার জন্য এখন একটা শেরওয়ানি পছন্দ করে দাও (উৎসব)

ঠিক আছে চলুন। ওনাকে একটা আকাশী কালারের পাঞ্জাবি আমার টাকায় গিফট করলাম এবং সাদা মিষ্টি কালার মিশ্রণে একটা শেরওরানি কিনে দিলাম। শেরওয়ানি টা কিনতে চাচ্চু টাকা দিয়ে দিয়েছিল। যদিও বা ওনি নিতে চাননি। পিয়া আর আমার জোরাজুরিতে নিলেন। তারপরে আমার জন্য কিছু কসমেটিক্স কেনার জন্য দোকানে যাচ্ছিলেন আমি বারন করলাম কারণ চাচ্চু আমার জন্য অনেক কসমেটিকস এনেছে। কিন্তু উনি বললেন এটা নাকি নিয়ম এগুলা নাকি দিতে হয়। তাই আমি আর কিছু বলিনি তারপরে বাকি শপিং করে আমরা একটা রেস্টুরেন্টে সন্ধ্যার নাস্তা করতে ঢুকলাম। (শ্রাবণী)

সবাই অর্ডার দাও কে কি খাবা বল। আর এই যে লাভ বার্ডস আর এক মাস বাকি বিয়ের এত কথা কেমনে বলিস তোরা। একটু বলবি আমাকে মানে পুরো রাস্তা পুরো শপিংমলে দুজনে কথা বলতে ছিলি বলতেছিলি। কিভাবে পারিস একটু বুঝা আমাকে। (উৎসব)

ভাইয়া তুমি ছোট ভাইয়ের প্রেমে বেঘাত দিচ্ছ (নিলয়)

ঠিক আছে সরি এখন কে কি খাবি জলদি অর্ডার কর দেন আবার বাসায় যেতে হবে তো(উৎসব)

খাওয়া দাওয়ার পরে আমাকে পিয়াকে এবং মিতুকে আমাদের বিল্ডিং এর ফ্লাটের সামনে নামিয়ে উনারা বাড়ি চলে গেলেন কারণ কিছুক্ষণ পরে উনারা রেডি হয়ে আসবেন।(শ্রাবণী)

দাদুর বাসায় যেয়ে শাওয়ার নিলাম এখন বাজে সন্ধ্যা সাতটা তাই তাড়াতাড়ি করে রেডি হতে হবে উনি সব জানিয়ে দিয়েছেন পালারে সাজ এর দরকার নেই বাড়িতে হালকা লিপস্টিক আর আইলাইনার দিলেই হবে আর হাতভর্তি যদি সময় পাই মেহেদি দিতে বলেছে। উনারা আসবেন 9 টা বাজে। এখন আরো দুই ঘন্টা বাকি। উনি আমাকে 4টা মেহেদী কিনে দিয়েছিল তাই প্রিয়া আর মিতু কে দিয়ে দুই হাতে ভরে মেহেদি দিলাম 5 মিনিটে রং হয়ে যায় এই মেহেদী দিয়েছিল যাতে বেশি সময় বসে থাকতে না হয় ।তাও আমি মেহেদি দিয়ে আধাঘন্টা বসেছিলাম যাতে বেশি কালার আসে। Then হাত থেকে মেহেদী উঠিয়ে রেডি হতে বসলাম। টিয়া এসে বললো ওনারা চলে এসেছে। চাচি মা এসে শাড়ি পরিয়ে দিয়ে গেল আর মিতু সাজিয়ে দিয়েছিল। আমার এখন খুবই ভয় করছে একদিনের মধ্যে দেখতে এসে বিয়ে খুব আজিব লাগছে। মনের কোথাও একটু আনন্দ লাগছে এত কেয়ারিং একটা হাজবেন্ড পাচ্ছি সেজন্য (শ্রাবণী মনে মনে)
.…………….…………… চলবে……………………….

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে