সত্য ঘটনা অবলম্বনে | আমার অধিকার তুমি পর্ব : ১৩ এবং শেষ

1
4086

সত্য ঘটনা অবলম্বনে
আমার অধিকার তুমি
পর্ব : ১৩ এবং শেষ
লেখিকা :Gangster queen(ছদ্মনাম)

সবাইকে অনেকদিন পরে পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত। সবাই মিলে বাড়ি চলে আসলাম। তারপরের মাসগুলো ছিল আমার জন্য খুবই আনন্দের। বেবি আস্তে আস্তে বড় হতে লাগল ও জন্ম নেওয়া পর্যন্ত আমার ফিলিংস গুলো খুবই সুন্দর ছিল। আমার এখন নয় মাস চলছে। একদিন রাত্রে সাড়ে তিনটা বাজে।এই উৎসব শোনো না আমার না খুব চকলেট খেতে মন চাইতেছে ফ্রিজ থেকে এনে দিবা। (শ্রাবণী উৎসব কে ধাক্কাতে ধাক্কাতে)

এত রাত্রে চকলেট খাইতে মন চায় তোমার। আচ্ছা আনতেছি তুমি বস (উৎসব ঘুম জড়ানো কন্ঠে)

ও চকলেট এনে দিয়ে আবার শুয়ে পড়লো। চকলেট খাচ্ছিলাম আবার। এই উৎসব আমার না কেক খেতে মন চাইতেছে একটু এনে দিবা।(শ্রাবণী)

কি কি খাইতে মন চাইতেছে একটু বল সবগুলো একবারে নিয়ে আসি। (উৎসব)

আচ্ছা কেক আনো তারপরে কি খেতে মন চাইতেছে সেটা পরে বলব।(শ্রাবণী)

একবার বল নিয়ে আসি বারবার নিছে যাইতে ভালো লাগে বলো(উৎসব)

তুমি আনবে না আমি যেয়ে নিয়ে আসবো?(শ্রাবণী রাগ দেখিয়ে)

যাইতেছি (উৎসব ঘুম জড়ানো কন্ঠে)

উৎসব সেই কখন কেক আনতে গেছে এখনো আসছে না কেন। হঠাৎ করে আমার পেটে পেন হওয়া শুরু করল। যদিও প্রথমে অল্প অল্প লাগছিল কিন্তু আস্তে আস্তে বাড়তে লাগলো ।ব্যথা এতই বাড়ল যা বলার মতো না ।আমি চিৎকার দেব তার অবস্থায় আমি নেই।(শ্রাবণী কান্না করতে করতে)

হঠাৎ ঘরে এসে দেখি পরী বিছানা থেকে নিচে পড়ে আছে। পরী কি হইছে তোমার তুমি নিচে পরছ কিভাবে (উৎসব শ্রাবণীকে কুলে উঠিয়ে)

আমার খুব পেইন হচ্ছে প্লিজ কিছু করো আমি আর সহ্য করতে পারছি না (শ্রাবণী কান্না করতে করতে)

তারপর আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল। ওয়ারি সালাউদ্দিন হাসপাতাল এ ভর্তি করা হল। এক ঘন্টা পর আমার বেবি ভূমিষ্ঠ হলো। ওকে কোলে নিয়ে আমার এত দিনের কষ্ট সব ভুলে গেলাম। আমার প্রিন্সেস।একটা মেয়ে হয়েছে ছোট ছোট হাত পা দিয়ে নাড়াচাড়া করছে আমি ওর দিকে তাকিয়ে আছি। (শ্রাবণী খুশি হয়ে)

ওকে যখন অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল আমার কেমন যেন লাগছিল তা কাউকে বলে বোঝানো যাবে না ।আমার পরী আমাদের বেবির জন্য খুব কষ্ট করছে।ওর কষ্ট আমি সহ্য করতে পারছিনা। প্রায় এক ঘন্টা সবার অপেক্ষার প্রহর শেষে আমাদের বেবির কান্নার আওয়াজ পেলাম। নার্স যখন বেবিটা আমাদের কাছে দিল। আমার ওয়াইফ কেমন আছে নার্স?ও সুস্থ আছে তো? (উৎসব উৎকণ্ঠা হয়ে)

আপনার ওয়াইফ সুস্থ আছে ।আপনার মেয়ে হয়েছে এই নিন ।অনাকে আর আধা ঘণ্টা পরেই বেডে দেওয়া হবে তখন আপনারা দেখা করতে পারবেন।(নার্স)

আধাঘন্টা পরে যখন আমি আমার পরীকে দেখলাম আমি আমার লাইফের ৩ বাড়ের মত খুশি হলাম। পরী শরীর কেমন লাগছে এখন তোমার। সুস্থ বোধ করছ। দেখো আমাদের মেয়ে হয়েছে। (উৎসব শ্রাবনীর মাথায় হাত দিয়ে)

জি সুস্থ বোধ করছি ।তা তোমার এই অবস্থা কেন আমিতো মরে যাইনি না ।এতো কান্না করছো কেন তুমি চোখমুখের অবস্থা দেখছ পুরাই পাগল লাগতাছে (শ্রাবণী)

এখন সুস্থ থাকলে দিতাম একটা আছাড় ফাজিল মেয়ে এসব কোন ধরনের কথা। (উৎসব রাগ দেখিয়ে)

আমি আবার কী বললাম আজিব (শ্রাবণী অবাক হয়ে)

তুমি মরার কথা কেন বললা মুখ দিয়ে। আর যদি এসব ফালতু কথা শুনছি না তোমার খবর আছে (উৎসব)

ও সরি সরি আচ্ছা ঠিক আছে। এত রাগ দেখাতে হয় দেখতে পারছ না আমি অসুস্থ(শ্রাবণী হাতের ক্যানোলা দেখিয়ে)

হ্যাঁ এখন অসুস্থ তুমি আর যদি ফালতু কথা বলছো না তোমার খবর আছে বলে দিলাম। (উৎসব)

আচ্ছা বাবুর আব্বু আর বলবো না ঠিক আছে(শ্রাবণী)

ঠিক আছে আমার বাবুর আম্মু টা (উৎসব মুচকি হেসে)

দুইদিন পরে আমাকে রিলিজ দিয়ে দেওয়া হল। আমাকে আমার মামা মামার বাড়ি নিতে চেয়েছিল আর চাচ্চু চাচ্চুর বাড়ি।যেহেতু মেয়েরা প্রথম বেবি হলে বাবার বাড়িতে থাকে সেজন্য।কিন্তু আমার বজ্জাত বর টা সবাইকে সাফ জানিয়ে দিল তার বউ‌ আর বেবিকে ছাড়া সে এক মুহূর্ত থাকতে পারবে না। তাহলে তুমি আমার সাথে বাড়ি চলনা (শ্রাবণী মন খারাপ করে)

না পরী সবাই এ বাসায় এসে থাকুক। আমরা কোথাও যাচ্ছি না। আর পরশুদিন নির্জয়‌ আসছে। আমি একটা কথা বলি (উৎসব)

ও তাই নির্জয় আসছে খুবই ভালো খবর। হ্যাঁ বল শুনি (শ্রাবণী)

মামা,মামি,পিয়া,চাচ্চু, চাচি আর রিঙ্কি কে কয়েকদিনের জন্য নিয়ে আসি কি বলো। সবাই একসাথে থাকবো ভালো হয়না (উৎসব মুচকি হেসে)

তুমি যা মনে করো। (শ্রাবণী)

আমার প্রিন্সেস টা। পরী প্রিন্সেসের ক্ষুধা লাগছে ওকে খাবার খাওয়াও। আমি আম্মুর সাথে কথা বলে আসি (উৎসব)

ঠিক আছে (শ্রাবণী)

আম্মু তোমার সাথে কিছু কথা বলার ছিল। (উৎসব)

হ্যাঁ বল (আম্মু)

আমি চাচ্ছিলাম মামা ,মামি, চাচ্চু ,চাচি ,পিয়াও রিঙ্কি কে কয়েকদিনের জন্য এখানে নিয়ে আসে। শ্রাবণী কে তো যেতে দিলাম না সেইজন্য সবাই মিলে একসাথে খুব ভালো সময় কাটাতাম ও মজা করতাম (উৎসব)

নিয়ে আয় এতে আমার কাছে জিজ্ঞেস করার কি আছে। (আম্মু)

ঠিক আছে কালকে যেয়ে নিয়ে আসব (উৎসব)

আচ্ছা ।তা আমার দাদু মনিটা কী করে?(আম্মু)

তোমার দাদু মনি এখন খেয়ে ঘুমাচ্ছে মনে হয় (উৎসব)

ও আচ্ছা ও উঠলে আমার কাছে দিয়ে যাস।(আম্মু)

ঠিক আছে। (উৎসব বলে বেরিয়ে গেল)

আমার প্রিন্সেস টা কি ঘুমাইছে। এমা প্রিন্সেস আর পরী দুইজনেই ঘুম। আমি আর কি করবো আমিও ঘুমাই (উৎসব)

দুইদিন পর সবাইকে নিয়ে আসা হল। নির্জয় ও আসলো। সবাই খুব ভালো দিন কাটাচ্ছিলাম। সবাই আনন্দে ছিলাম। কিন্তু একদিন রাতে আমি পানি আনতে কিচেনে গেলাম ।আর যা দেখলাম তাতে আমি খুশি হব না শকড হব ভেবে পাচ্ছিনা। নির্জয় আর পিয়া দুজনে বসে গল্প করছে।এত রাতে ওদের কিসের গল্প থাকতে পারে। ওদের সামনে এখন যাওয়া যাবে না কালকে জিজ্ঞেস করবো। (শ্রাবণী)

কই গেছিলা (উৎসব বাবুকে কোলে নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে)

পানি আনতে গেছিলাম। একটা কথা বলার ছিল? (শ্রাবণী বাবুকে কোলে নিয়ে)

হ্যাঁ বল (উৎসব খাটে বসে)

তুমি রাগ করবে নাতো (শ্রাবণী)

আগে বল তারপর না হয় বুঝব (উৎসব)

নির্জয় এবং প্রিয়া এর মধ্যে কিছু চলছে। ওদের কে কিচেনে গল্প করতে দেখলাম। আমি শিওর না তুমি একটু নির্জয় কে জিজ্ঞেস করো আমি প্রিয়াকে জিজ্ঞেস করবো।(শ্রাবণী)

চললে চলুক প্রবলেম কি। ভালোই হবে তাইনা (উৎসব খুশি হয়ে)

ওরা এখনো ছোট। নির্জন এর 19 বছর প্রিয়ার 16 তে পড়ল দুই মাস আগে। এখন এটা ভালোবাসা না অন্যকিছু সেটা তুমি সিওর কিভাবে ২জনেই আন ম্যাচিওর। এটা হয়তো ভালো লাগা। পরে দুইজনে কষ্ট পাবে তাই এখন অল্প থাকতেই আমাদের সিকিওর থাকতে হবে। যদি ভালোবাসা হয়তো ভালো আমি খুবই খুশি হব। কিন্তু ভালো লাগা থাকলে পরে দুজন দুজনকে আর ভালো না লাগলে তখন কেউ একজন কষ্ট পাবে ।আর আমি দুইজনের একজনের কষ্ট পেতে দেখতে পারবো না বুঝতে পেরেছ কালকে জিজ্ঞেস করবো প্লিজ(শ্রাবণী)

ঠিক আছে এখন তাহলে বাবুকে নিয়ে ঘুমাও। এত টেনশন নিতে হবেনা। (উৎসব)

পরে 2 জনকে জিজ্ঞেস করা হলো। তারা দুজনে বলছে তারা দুজন দুজনকে ভালোবেসে ফেলেছে। তাই আমি দুজনকে উৎসবকে সাথে নিয়ে চারজন বসলাম। (শ্রাবণী)

এভাবেই সবাইকে ডেকে কিছু বলবা (উৎসব)

আচ্ছা বনু বলছে ও নির্জয় কে ভালোবাসে এবং নির্জন সেটাই বলছে। তবে আমার কিছু কথা আছে যদি তোমরা দুজনে মেনে চলতে পারো তোমাদের বিয়ের ব্যবস্থা আমি আর উৎসব মিলে করব।(শ্রাবণী)

জি ভাবি বলেন (নির্জয়)

হ্যাঁ আপু বলো আমরা দুইজনে সব করতে রাজি আছি (প্রিয়া)

যেহেতু এখন তোমাদের বয়স খুবই কম। আর বনু তোর কিছুদিন পরে এসএসসি পরীক্ষা। আমি চাচ্ছি তুই ইন্টার পাস কর। আর নির্জয় তুমি তোমার পড়াশোনাটা শেষ করো। তারপর না হয় তোমরা দুজন দুজনকে কতটা ভালোবাসো এটা দেখা যাবে। তোমাদের হয়তো মনে হচ্ছে তোমরা দুজন দুজনকে ভালোবাসো হয়তো বাস হয়তোবা না। হয়তোবা এটা ভালোলাগা। তোমরা যদি আমাকে সিওর দিতে পারো যে তোমাদের ভালোবাসা আমি যেটুকু সময় দিয়েছি সে পর্যন্ত থাকবে তাহলে আমি এবং উৎসব মিলে তোমাদের বিয়ে দেবো। আমি চাই তোমরা দুইজনে সময় নাও।(শ্রাবণী)

হ্যাঁ এটা পরী তুমি ঠিক বলছো। তোমরা দুই জনই ছোট আমি এতে একমত এখন তোমরা বলো কি করবে?(উৎসব)

ঠিক আছে আমরা দুজনই তোমাদের দুজনের কথা মানছি ।আমারা নিজেদের আগে প্রতিষ্ঠা করব ততদিন পর্যন্ত যদি আমাদের ভালোবাসা সত্যি হয় অবশ্যই থাকবে। আর যদি এটা ভালো লাগা হয় তাহলে দুজন দুজনের পথ আলাদা করে নেব ।কেউ কারো প্রতি কোন দাবি রাখবো না(নির্জয়)

ঠিক আছে আপু তুমি যা বল (প্রিয়া)
“এখনই জয়েন করুন আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে।
আর নিজের লেখা গল্প- কবিতা -পোস্ট করে অথবা অন্যের লেখা পড়ে গঠনমূলক সমালোচনা করে প্রতি সাপ্তাহে জিতে নিন বই সামগ্রী উপহার।
আমাদের গল্প পোকা ডট কম ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
তারপর থেকে সুখে-দুখে আমাদের দিন চলে যাচ্ছে। খুব সুখে আছি আমরা আমাদের মেয়ে ঊষা কে নিয়ে। চার বছর পর 2009 সাল জুলাই মাসের 25 তারিখ আজকে প্রিয়া এবং নির্জয় এর বিয়ে হচ্ছে।ওরা ওদের দুজনকে প্রতিষ্ঠা করে দুজনের ভালোবাসা প্রমাণ করেছে এখন ওরা দুজন দুজনকে খুব ভালোবাসে আমি এবং উৎসব মিলে পরিবার এর সবাইকে রাজি করিয়ে ওদের বিয়ে দিচ্ছি।
ঊষা মনি এত দুষ্টামি করে না চাচ্চুর বিয়াতে দেরি হয়ে যাচ্ছে না জলদি রেডি হতে হবে জলদি আসো। চাচ্চু তোমার খালামণিকে নিতে যাবে তুমি যাবানা। এত দৌড়ালে সাজাবো কিভাবে বলো তুমি কি পচা সেজে যেতে চাও (শ্রাবণী ঊষার পিছে দৌড়াতে দৌড়াতে)

চাচ্চু খালামণিকে কেন বিয়ে করবে (ঊষা)

কারণ চাচ্চু তোমার খালামনির প্রেমে হাবুডুবু খায় (উৎসব)

এই তোমার সব সময় ফালতু কথা না বললে তোমার হয়না নাকি। মেয়ের সামনে এসব কি ধরনের কথা হ্যা (শ্রাবণী রাগ দেখিয়ে)

এ বাবা সত্যি কথা বললাম তো।আমি এখন আমিও তোমার প্রেমে হাবুডুবু খাই তুমি খাও না। এতো হ্যান্ডসাম বর্ টাকে তোমার নজরে পড়ে না। (উৎসব চোখ টিপ দিয়ে)

তোমরা বাপ-বেটি রেডি হবা না বুঝছি আমি। তোমরা থাকো আমি গেলাম রেডিহতে আমার এত তোমার সাথে ফাউ প্যাচাল আর টাইম নাই (শ্রাবণী রাগ দেখিয়ে চলে গেল)

দেখছো আম্মুটা তোমার আম্মু দিনদিন কেমন স্টার প্লাসের ভিলেন হয়ে যাইতেছে। আমাদের দুজনের ভালবাসার দেখতেই পারে না। (উৎসব মন খারাপ করে)

আব্বু তুমি আম্মুকে স্টার প্লাসের ভিলেন বললা এক্ষুনি আম্মুকে যায়ে বলতেছি তুমি দাঁড়াও তোমার আজকে হচ্ছে (ঊষা এই বলে চলে গেল)

মা -মেয়ে দুইটাই হয়েছে পল্টিবাজ। এরা আমার অবস্থা কাহিল করে রাখছে। বউটা বিয়া করলাম কি শান্তশিষ্ট দেইখা এখন দেখি স্টার প্লাসের ভিলেন হয়ে গেছে। কালকে ডিস ছাড়তে হবে আকসারা নাটক এর উল্টাপাল্টা কাহিনী দেইখা আমার বউও ভিলেন হয়ে যাচ্ছে। আর মেয়েটাও হচ্ছে সারাদিন আম্মুর সাথে লেগে থাকে কৈ মেয়ে বাবার সাপোর্ট টানবে তা না।(উৎসব বিড়বিড় করে)

ভাইয়া তুমি এখনো রেডী হও নাই কি এত বিড়বিড় করতেছ যাও রেডি হও জলদি জলদি রেডি হও (নির্জন)

আরে ভাইয়া কি হইছে এমন মন খারাপ দেখাইতেছে কেন তোমার (নিলয়)

বিয়ের জন্য কি তারা রেডি হব তো। আর বলিস না মা -মেয়ে দুইটাই আমার কলিজা ভাজা ভাজা কইরা ফালাইতাসে।(উৎসব)

আর এদিকে মা ছেলে মিলে আমাকে জ্বালায় মারতাছে। (নিলয়)

ও বলা হয়নি নিলয় ও মিতুর একটা ছেলে আছে ও ঊষার থেকে দুই মাসের বড় নাম (নিতুল)

হ্যাঁ আমরা তো তোমাদের জীবন ভাজা ভাজা করি সব সময় আর কিছু বলার বাকি আছে নাকি রেডি হইতে যাবা(শ্রাবণী)

আর বলিস না শ্রাবণী তোর দেওরটা একটা বজ্জাত। আমার জীবন তেজপাতা করে এখন সবার সামনে ভালো মানুষ নিশি দেখাচ্ছে (মিতু)

আচ্ছা সরি সরি আমাদেরই ভুল এখন যাই রেডি হতে না হলে নির্জয় আবার হার্ট অ্যাটাক করবে দেরি হয়ে যাইতাছে দেইখা(উৎসব)

তারপর ওদের দুজনের বিয়ে খুব ভালোমতো সম্পন্ন হল। সবাই এ বিয়েতে খুশি। বিয়ের দুই দিন পরে ওরা হানিমুনে ইন্ডিয়া গেল। ওরা দুজন দুজনের সাথে খুবই খুশি। সকালে নাস্তা খাচ্ছিলাম এমন সময়। আম্মু আমার শরীরটা না ভালো লাগছে না আমি আর খাব না। (শ্রাবণী)

কেন মা কি হয়েছে তোমার।শরীরটা কি খুব খারাপ লাগছে। এই উৎসব শ্রাবণী কে নিয়ে এক্ষুনি ডাক্তারের কাছে যা।(আম্মু উদ্বিগ্ন হয়ে)

কি হইছে পরী শরীর অনেক খারাপ লাগছে আমাকে তো বলোনি আগে কখন থেকে খারাপ লাগছে বল। চলো তোমাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাই(উৎসব ও উদ্বিগ্ন হয়ে)

না না এত খারাপ না শরীর ঠিক আছে ।আমার খেতে মন চাইতেছে না এজন্য জাস্ট তেমন কিছুই না (শ্রাবণী)

এত কথা বুঝি না জলদি যাও রেডি হও এক্ষুনি ডাক্তারের কাছে যাব। (উৎসব)

আরে যেতে হবে না বলতে বলতে হঠাৎ মাথা ঘুরে পড়ে গেলাম। তারপরে যখন চোখ খুললাম আমি হসপিটাল বেডে। কি হইছে? ঊষা কোথায় উৎসব?আর এখন আমাকে কোথায় আনছো?(শ্রাবণী অবাক হয়ে)

Congratulation my angel you are second time pregnant pregnant(উৎসব খুশি হয়ে জড়িয়ে ধরে) (অভিনন্দন আমার পরী তুমি দ্বিতীয়বারের জন্য মা হতে যাচ্ছ)

সত্যিই আমি খুব খুশি । Congratulation to you my dear husband. You also gonna be second time father(শ্রাবণী ওকে জড়িয়ে ধরে) (অভিনন্দন তোমাকে ও আমার প্রিয় স্বামী। তুমিও দ্বিতীয়বারের জন্য বাবা হতে যাচ্ছ)

তারপর থেকে আমাদের লাইফ খুব সুন্দর মত চলে আসছে। আমাদের একজন ছেলে হয়েছে ছেলের নাম রাখা হয়েছে (শ্রাবণ) ওদের দুজনকে নিয়ে আমরা খুবই সুখে আছি। নির্জয় এবং পিয়া ওদের একটা মেয়ে হয়েছে নাম ( প্রিয়ন্তী)। ওরা এখন অস্ট্রেলিয়াতে স্যাটেলেইট।

আপনাদের সবার দোয়ায় আগামীতেও যাতে সুখে শান্তিতে থাকতে পারে সেই প্রার্থনা করবেন। (শ্রাবণী এবং উৎসব)

*********************সমাপ্ত********************

এতদিন পর্যন্ত আমার গল্প পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনাদের সবার সহযোগিতায় এবং দোয়ায় ভবিষ্যতে আরো সুন্দর সুন্দর গল্প পরিবেশন করতে চাই।সবাই পাশে থাকবেন ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন আসসালামু আলাইকুম।

1 মন্তব্য

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে