সত্য ঘটনা অবলম্বনে | আমার অধিকার তুমি পর্ব : ১২

0
3123

সত্য ঘটনা অবলম্বনে
আমার অধিকার তুমি
পর্ব : ১২
লেখিকা : Gangster queen(ছদ্মনাম)

তাও আমি সিওর হতে ভাবিকে নিয়ে সামনের একটা ক্লিনিকের গেলাম। সেখানে কিছু টেস্ট করালাম কালকে রিপোর্ট দেওয়া হবে।আমার খুব খুশি খুশি এবং ভয় ভয়ও লাগছে আমি একা এখানে কিভাবে কি করব। (শ্রাবণী)

রাতে বাসায় এসে দেখি আমার পরীটা শুয়ে আছে। ওতো এমন সময় শুয়ে থাকে না। আমি আসলে একসাথে খেয়ে-দেয়ে তারপর ঘুমায়। ওরকী শরীরটা খারাপ করেছে?
পরী ও পরী বউটা শরীলটা কি খারাপ আমার বউটার ঘুমাইতেছে যে এখন (উৎসব)

তুমি চলে আসছ কখন আসলা? না আমি এমনি একটু শুয়ে ছিলাম শরীর ভালই আছে। আমার আবার কি হবে ফ্রেশ হয়ে আসো আমি খাবার বাড়ছি। (শ্রাবণী)

আচ্ছা ঠিক আছে যাও আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি (উৎসব)

আমি শিওর না হয়ে ওকে বলতে পারছিনা। আগে শিওর হব তারপর ওকে বলব ও নিশ্চয়ই খুব খুশি হবে। তারপর দুজনে মিলে রাতের খাবার খেলাম ।রাতে ঘুমাতে যাওয়ার সময়। আচ্ছা উৎসব তোমার কাছে একটা কথা জিজ্ঞেস করি? (শ্রাবণী উৎসবের হাতের উপর শুয়ে)

হ্যাঁ আমার পরী টা বল (উৎসব)

আচ্ছা তোমার বেবি কেমন লাগে?মানে আর কি ছোট বাচ্চা কেমন লাগে? (শ্রাবণী)

ছোট বাচ্চা তো সবারই ভালো লাগে তা হঠাৎ এই প্রশ্ন কেন?(উৎসব)

না এমনি ওই পাশের বাড়ির ভাবীর বাচ্চা টা আছে না রাইসা।ওকে আমার খুবই ভালো লাগে সেইজন্য বললাম। তেমন কিছু না(শ্রাবণী)

তাই নাকি আমার পরীরকি একটা চাই নাকি সেইরকম কিউট বাচ্চা। চাইলে বলতে পারো আমি কিন্তু রেডি (উৎসব চোখ টিপ দিয়ে)

সব সময় খালি ফাজলামি না ঘুমাও তো সকালে আবার অফিস যেতে হবে না (শ্রাবণী)

আর মাত্র 14 দিন তারপরে তুমি আর আমি আবার হানিমুনে যাবো। কই বউকে নিয়ে একটু ঘুরব ফিরব নতুন বিয়ে হয়েছে তা না কাজের চাপে বউকে টাইম দিতে পারি না। আমার বউটা কি সে জন্য আমার উপর রাগ করেছে? (উৎসব)

আরে না রাগ করব কেন তুমি তো কাজের জন্য আসছ কাজ তো করতেই হবে (শ্রাবণী)

তারপর আমরা দুজন ঘুমিয়ে পড়লাম।সকালে ঘুম থেকে উঠে উৎসবের জন্য ব্রেকফাস্ট তৈরি করলাম তারপরে আমরা ব্রেকফাস্ট করলাম। ও চলে গেল অফিসে। তারপর আমি চলে গেলাম ক্লিনিকে। ভাবিও সাথে আছে। এই ভাবি আমার না খুব ভয় ভয় করছে। কেমন যেন একটা ফিলিংস হচ্ছে আমি আপনাকে বোঝাতে পারছি না (শ্রাবণী)

আরে এমন সময় এমন একটু হয়। আমার ও রাইসা হওয়ার আগের সময় এমন হয়েছিল আমার একটু সুখ ও আসার অপেক্ষা খুব ভালো লাগে জানো এই সময়টা। কিন্তু হওয়ার সময় আমি দেশে ছিলাম। তুমি তো এখানে পরিবারের সবাইকে ছাড়া তাই হয়তো একটু ভয় করছে। ঠিক আছে আমরা আছি না টেনশন করো না। তোমার হাজব্যান্ড তো খুবই কেয়ারিং সে শুনে খুবই খুশি হবে। (ভাবি)

হ্যাঁ সে তো খুবই খুশি হবে (শ্রাবণী)

Excuse me, please come doctor calling you.(নার্স) (এই যে শুনছেন ডক্টর আপনাকে যেতে বলেছে।)

Ok I’m coming(শ্রাবণী)(ঠিক আছে আমি আসছি)

May I coming doctor(শ্রাবণী)(আমি কি ভিতরে আসতে পারি ডক্টর)

Yes ,come please sit. So your report is too good. Congratulation You are pregnant. Where are your husband?(ডক্টর)(হ্যাঁ অবশ্যই আসুন এবং বসেন। তো আপনার রিপোর্ট খুবই ভালো আসছে। শুভেচ্ছা আপনি প্রেগনেন্ট। আপনার স্বামী কোথায়?)

Thanks a lot. He is busy. He don’t know in my pregnancy. Right now I am sure I am pregnant I talked to him. Again thanks a lot doctor.(শ্রাবণী)(ধন্যবাদ আপনাকে। ও একটু বিজি। আর ও জানেনা আমি যে প্রেগন্যান্ট। এখন আমি পুরোপুরি সিওর আমি প্রেগনেন্ট আমি ওকে জানিয়ে দেবো। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে ডক্টর)

Take care you and your baby. And please take rest in 3 month.(ডক্টর)(নিজের যত্ন নিবেন এবং বেবির ও। অন্তত তিনমাস একটু সাবধানে চলাফেরা করবেন।)

Ok doctor bye and see you(শ্রাবণী) (ঠিক আছে ডাক্তার আসি তাহলে আবার দেখা হবে)

Ok(ডক্টর)

চলেন ভাবি। (শ্রাবণী হাসিমুখে)

কি খবর শুনি একটু (ভাবি উৎসাহ নিয়ে)

আমি প্রেগনেন্ট ভাবি। আমার যে কি খুশি লাগছে আপনাকে বুঝাতে পারব না (শ্রাবণী ভাবিকে জরিয়ে ধরে)

খুবই খুশির সংবাদ। চলো চলো বাসায় চলো টাইমে টাইমে খাওয়া দাওয়া করতে হবে এখন থেকে।আর তোমার হাজব্যান্ড কেউ তো খবরটা জানাতে হবে উনি খুবই ভালো মানুষ খুব খুশি হবেন। (ভাবি)

হাঁ ও রাতে আসলে জানাবো ।এখন চলেন যাওয়া যাক। (শ্রাবণী)

হ্যা চলো (ভাবি)

বাসায় এসে দুপুরের খাবার খেলাম। আজকে কাজের চাপ এজন্য দুপুরে খেতে আসতে পারেনি। তাই ভাবলাম স্পেশাল কিছু বানাই ওর জন্য। যেই ভাবা সেই কাজ। গরুর মাংস, খিচুড়ি, ডিমের কোরমা, চিকেন ফ্রাই এবং বাদাম ফিরনি বানালাম। এখন ওর আসার অপেক্ষা। আচ্ছা ও শুনলে কি খুব খুশি হবে। আমার এখনই ভাবতে কেমন কেমন জানি লাগছে (শ্রাবণী)

সন্ধ্যা 7:30

আমি আজকে একটা ব্ল্যাক কালার জামদানি পড়লাম এখানে আসার পরে বেশিরভাগ থ্রিপিস বা শীতের গেঞ্জি পড়ে থাকতে হয়।শাড়ি পড়া হয়না তাই ভাবলাম শাড়ি পড়ে ওকে সারপ্রাইজ দেওয়া যাবে। আর তার থেকে বড় সারপ্রাইজ যে ওর জন্য অপেক্ষা করছে। ঘরটাকে একটু মম আর গোলাপের পাপড়ি দিয়ে সাজালাম। এখন ওর আসার অপেক্ষা।(শ্রাবণী)

তা আমার পরী বউটা আজকে এত সাজুগুজু করেছে ঘর কেও খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে ।আজকে এত রোমান্টিক যে আমার বউ। কি ব্যাপার?(উৎসব শ্রাবণীকে জড়িয়ে ধরে)

আগে যাও তো ফ্রেশ হয়ে আসো।তোমার পছন্দের রান্না করেছি খেয়ে তোমার সাথে খুবই ইম্পরর্টেন্ট একটা কথা আছে। জলদি যাবা জলদি আসবা (শ্রাবণী উৎসব কে ধাক্কাতে ধাক্কাতে)

যাচ্ছি তো (উৎসব যেতে যেতে)

ফ্রেশ হয়ে এসে তা বল বউ কি ইম্পরট্যান্ট কথা একটু। (উৎসব শ্রাবণীকে পেছোন থেকে জড়িয়ে ধরে)

আগে খাও পরে ইম্পরট্যান্ট কথা বলব।(শ্রাবণী উৎসব কে বসিয়ে দিয়ে)

আমার আর তর সইছে না আগে বল পরে খাবো (উৎসব উদ্বিগ্ন হয়ে)

আগে খাবার পরে কথা জলদি খাও যত দেরি করবা তত দেরিতে বলবো (শ্রাবণী খাবার বাড়তে বাড়তে)

ঠিক আছে মহারানী জো হুকুম আপনার (উৎসব মজা করে)

তারপর দুইজন খাওয়া-দাওয়া করলাম। এখনতো বল কি ইম্পরট্যান্ট কথা। (উৎসব টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে)

আচ্ছা তুমি ঘরে যাও আমি এগুলো ধুয়ে আসছি (শ্রাবণী)

আগে বল পরে ধৌও।(উৎসব শ্রাবণীর হাত ধরে)

জাস্ট ফাইভ মিনিট লাগবে তুমি যাও আমি আসছি (শ্রাবণী উৎসব কে ঘরে পাঠিয়ে দিল)

তারপর সবকিছু ধুয়ে গুছিয়ে রুমে গেলাম। তুমি চোখ বন্ধ করো (শ্রাবণী)

কেন চোখ বন্ধ করবো কেনো (উৎসব অবাক হয়ে)

প্লিজ একটু করো। এই চিটিং করবানা কিন্তু (শ্রাবণী)

কই চিটিং করলাম এই যে চোখ বন্ধ রাখছি দেখনা।(উৎসব)

চোখ খুলো। এটা পড়ো একটা ফাইল দিয়ে (শ্রাবণী)

কিসের ফাইল এটা? এটা আমি সত্যি দেখছি তো প্লিজ পরী আমাকে একটা চিমটি কাটো। তুমি সত্যি আমি ভাবতে পারছি না (উৎসব অনেক খুশি হয়ে)

হ্যাঁ এটা সত্যি রাজা রানীর প্রিন্স অর প্রিন্সেস আসতে চলেছে।(শ্রাবণী উৎসব কে জড়িয়ে ধরে)

আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। I love you so much Pori .Thanks a lot. Thank you thank you thank you so much for giving me a saccha beautiful and priceless gift(উৎসব প্রায় কান্না করে)

তুমি কান্না করছো কেন তুমি খুশি তো? (শ্রাবণী)

আমার লাইফের সেকেন্ড টাইম আমি এত খুশি (উৎসব শ্রাবণী কে জড়িয়ে ধরে)

সেকেন্ড টাইম মানে?(শ্রাবণী অবাক হয়ে)

আমার লাইফের ফার্স্ট খুশি আমি তখন হয়েছি যখন তোমাকে আমার জীবন সঙ্গিনী হিসেবে পেয়েছি। আর এখন তুমি আমাকে এক সন্তানের বাবা করতে যাচ্ছ তাই এটা সেকেন্ড খুশি।(উৎসব শ্রাবণীর গালে হাত দিয়ে)

তার পরে দুইজনে ফিন্নি খেয়ে মিষ্টিমুখ করলাম। বাংলাদেশ এ ফোন দিয়ে সবাইকে জানিয়ে দিল। সবাই আমার জন্য খুব দোয়া করল আর খুব তাড়াতাড়ি বাংলাদেশে ফিরে যেতে বলল। তারপর দুজনে ঘুমিয়ে পড়লাম।পরের দিন সকাল থেকে আমার কাজের ছুটি দিয়ে দিয়েছেন তিনি। এই তুমি আমাকে একটুও কাজ করতে দিবা না নাকি বসে থাকলে তো আমার শরীর অকেজো হয়ে যাবে। একটু জাস্ট ব্রেকফাস্ট টাতো তৈরি করতে দাও।(শ্রাবণী)

তুমি যদি এখন নেমে আসছে না তোমার খবর আছে। ব্রেকফাস্ট আমি করে নিয়েছি এখন থেকে ফুল রেস্ট নিবা। কোন কাজ করার কোন দরকার নেই।আজকে থেকে অফিসের কাজ ও আমি বাড়িতেই করবো আর তোমার দেখাশোনা টাও করবো বুঝতে পারছো।( উৎসব খাবার নিয়ে এসো)

এ আসছে কোন কাজ করবো না পটের বিবির মত বসে বসে খাব। আমি বসে থাকতে পারিনা। কিছু কাজ করতে দাও (শ্রাবণী)

ঠিক আছে করো আমার সাথে রোমান্স কোন কাজ না (উৎসব ধমক দিয়ে)

এএএএএএএ তুমি খুব পচা এখন ও আমায় ধমকাচ্ছো। তোমার সাথে কোন কথা নাই। দেখছিস বাবু তোর বাবাটা একটা আস্ত বজ্জাত খালি খালি আমার বকে ওর সাথে কাট্টি।(শ্রাবণী অভিমানের সুরে)

এই একদম ঢং করবা না। বাবু না থাকলে দিতাম একটা আছাড়। একত নিজে নিজে পাকনামি করে গেছো ক্লিনিকে। তার ওপর তুমি দুইদিন আগে যেনে আমাকে জানাইছো কালকে। সেইটার জন্য আমি এখনো তোমাকে ধরি নাই। এখন বলছি রেস্ট নিবা মানে রেস্ট নিবা তা না করে পেঁপে করে কান্না করছো।(উৎসব রাগ দেখিয়ে)

তুমি আবার আমাকে বকছো (শ্রাবণী কান্না করে)

চুপচাপ ব্রেকফাস্ট খাও। জলদি খাও আমি খাওয়াই দিচ্ছি। ওকে খাওয়াতে শুরু করলাম ধমক খেয়ে খেতে লাগলো। কিন্তু হঠাৎ করে যা করলো ভাবা যায়!(উৎসব অবাক হয়ে)

উৎসবের ধমক খেয়ে উনার হাতে খেতে লাগলাম। কিন্তু হঠাৎ করে বমি চলে আসলো তাই ওনার শরীরেই এই করে দিয়েছি। সরি সরি আমি বুঝতে পারিনি প্লিজ বকবেন না আমি পরিস্কার করে দিচ্ছি (শ্রাবণী তাড়াহুড়ো করে কান্না করে প্রায়)

ঠিক আছে কই কিছু হয়নি তো এত ভয় পাচ্ছ কেন। চলো তোমাকে ফ্রেশ করে আমি শাওয়ার নিয়ে নিচ্ছি ।। তারপর ওকে ফ্রেশ করে আমি শাওয়ার নিয়ে নিলাম। চলো আবার খাবে। (উৎসব)

আপনি কি পাগল একটু আগেই তো খেলাম।(শ্রাবণী অবাক হয়ে)

খেয়ে বমি করে দিয়েছো এখন আবার খাইতে হবে। কোন কথা না চুপচাপ খাও।(উৎসব)

আমার না এগুলো খেতে একটু ভালো লাগছেনা। আমার খুব আইসক্রীম, চকলেট খেতে মন চাচ্ছে নিয়ে আসবেন প্লিজ।(শ্রাবণী উৎসব আর এক হাত ধরে)

আইসক্রিম খেলে ঠান্ডা লাগবে বুঝছো পরী তখন বাবুর ও তো ঠাণ্ডা লাগবে। চকলেট খাও সমস্যা নাই আইসক্রিম চলবে না (উৎসব)

তুমি এনে দিবা কিনা বল নাইলে কিন্তু আমি কিছু খাব না বলে দিলাম। আমার এক্ষুনি আইসক্রিম চাই মানে চাই ।আমি কিছু জানিনা তুমি কই থেকে আইনা দিবা। আর আমি খাব তুমি যদি মানা করছ না আমি কিন্তু কিচ্ছু খাবো না বলে দিলাম।(শ্রাবণী রাগ দেখিয়ে)

পরী রাগ উঠিও না। আমি মানা করছি। আইসক্রিম খেলে দুইজনের ঠান্ডা লাগবে।(উৎসব দাঁতে দাঁত চেপে)

ঠিক আছে লাগবে না তুমি সরো আমার সামনে থেকে। (শ্রাবণী)
এটা বলে ওর সামনে থেকে এসে রুমের মধ্যে গেট লাগিয়ে দিলাম। কথা বলবো না ওর সাথে আমার আইসক্রিম খেতে মন চাইছে ও কেন দিবে না।(শ্রাবণী)

পরী গেট খুলো বলছি মাথা গরম করবা না দিব না আইসক্রিম তোমাকে খেতে।(উৎসব দরজায় ধাক্কা দিয়ে)

আইসক্রিম খেতে দিবা না কথা বলতে আসবে না যাও তুমি তোমার কাজে যাও! (শ্রাবণী রাগ দেখিয়ে)

তুমি গেট খুলবে কিনা? (উৎসব)

না খুলবোনা যাও তুমি তোমার কাজে যাও আমাকে নিয়ে ভাবতে আসবানা (শ্রাবণী)

তাই নাকি দেখা যাক।(উৎসব)

চলে গেল রাগ করে গেলে যাক। আমাকে আইসক্রিম খেতে দেবে না তো ওর সাথে কোন কথা নাই। আরে আরে করছো কি। কোল থেকে নামাও বলছি। তুমি রুমে আসলা কিভাবে?(শ্রাবণী অবাক হয়ে)

এই বাংলার সব চাবি আমার কাছে আছে বুঝতে পারছ তুমি কাকে রাগ দেখাচ্ছ। তোমার সাথে রাগ দেখাই না বলে কি লাই বেড়ে গেছে ।তুমি জানো আমাকে সবাই হার কাঁপানো ভয় পায়। আর তুমি আমার বউ হয়ে আমাকে ভয় পাওনা।(উৎসব শ্রাবণীকে খাটে বসিয়ে)

তুমি বাঘ না ভাল্লুক তোমাকে আমার ভয় পাইতে হবে। তুমি অনেক ভালো ছিলা আগে এখন দিন দিন পচা হয়ে যাচ্ছ। তোমার সাথে কাটতি কোন কথা নাই। (শ্রাবণী মুখ ভেংচি দিয়া)

রাগ করবা আমার সাথে খাবারের সাথে কি খাইতে বলছি আমি এখন খাও (উৎসব খাবার এনে)

ওর ধমক শুনে কোন রকম খেলাম। নাহলে আবার বকবে।পচা বজ্জাত বর একটা। আগে তো ভালো ছিল এখন আইসক্রিম খেতে কেন দিবে না এটা কোন কথা হইলো।(শ্রাবণী মন খারাপ করে বসে আছে)

এই পরী বউটা রাগ করছ। ঠিক আছে এই নাও একটা আইসক্রিম বেশি খাবা না কিন্তু একটাই। (উৎসব শ্রাবনীর হাতে আইসক্রিম দিয়ে)

থ্যাংক ইউ সো মাচ। তুমি তো আমার খুব ভালো বর লাভ ইউ। (শ্রাবণী খুশি হয়ে)

লাভ ইউ টু বউটা। তুমি খাও আমি একটু অফিসের কাজ করি। (উৎসব)

ঠিক আছে (শ্রাবণী মাথা নেড়ে)

এভাবেই হাসিখুশিতে চলে গেল আরো দুই মাস।উৎসব আমার এতই কেয়ার করেছে যা বলার মতো না আমি আসলেই ভাগ্যবতী। আমার এখন প্রেগনেন্সির তিন মাস চলছে। খুবই সাবধানে চলাফেরা করি আমি খাওয়া-দাওয়ার রুটিন মেনে করি। কারনটা হল আমার কেয়ারিং হাজবেন্ড। আমিও চাই আমার বেবীটা খুব সুন্দর মত পৃথিবীর আলো দেখুক। হঠাৎ করে উনি এমন একটা কথা বলল আমিতো শকড(শ্রাবণী)

পরী আমরা তিন দিন পরে বাংলাদেশ ব্যাক করছি (উৎসব শ্রাবণী কে জড়িয়ে ধরে)

সত্যিই। আমি খুব হ্যাপি। থ্যাঙ্ক ইউ কতদিন পরে বাংলাদেশের সবার সাথে দেখা হবে। কিন্তু আমাদের তো আর তিন মাস থাকার কথা না? (শ্রাবণী)

থাকতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমি চাইনা আমাদের বেবি সবাইকে ছাড়া হোক। এখন যদি আমি আরো তিন মাস থাকি। তোমার 6 মাস পরে যাবে তখন প্লেনে ট্রাভেল করাটা একটু রিক্স হয়ে যায়। তাই চলে যাচ্ছি (উৎসব)

থ্যাংক ইউ সো মাচ আপনি খুব ভালো। (শ্রাবণী উৎসব কে জড়িয়ে ধরে)

এখন তো আমি ভাল হবোই। এতদিনতো বজ্জাত অসভ্য ছিলাম। তাই না পরী(উৎসব মজা করে)

না মানে আসলে ওগুলা তেমন কিছু না এসব কথা বাদ দেন তো। আমি তো খুব এক্সাইটেড সব প্যাকিং করতে হবে। (শ্রাবণী)

ও হ্যালো আমি আছি কি করতে।তোমার কোন কাজ করতে হবে না। আমি প্যাকিং করে নেব (উৎসব)

ওকে। তিনদিন পরে আমরা বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। অনেকদিন পরে আপন মানুষ গুলোকে পেয়ে খুব আনন্দ হচ্ছে। রাইসা আর ভাবির সাথে অনেকদিন থেকে এসেছি। তাদের জন্য মনটা একটু খারাপ লাগছে। কিন্তু আপন মানুষ গুলোকে পেয়ে অনেক আনন্দিত আমি।(শ্রাবণী)

*****************(চলবে)*************

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে