শেষ_পর্যন্ত পার্ট: ২৩

0
1965

শেষ_পর্যন্ত

পার্ট: ২৩

লেখিকা: সুলতানা তমা

সকালে আলিফার ডাকে ঘুম ভাঙ্গলো, ঘুম ঘুম চোখে আলিফার দিকে তাকালাম।
ভেজা চুলে ওকে খুব সুন্দর লাগছে। আলিফা চলে যেতে চাইলো, ওর হাত ধরে টান দিয়ে আমার বুকে শুয়ে দিলাম। এক হাত দিয়ে ওকে জরিয়ে ধরে রেখেছি, আরেক হাতে ওর ভেজা চুলগুলো থেকে টুপটুপ করে পড়া পানি নিয়ে ওর কানের কাছে ফিসফিস করে বললাম “ভেজা চুলে তোমায় খুব সুন্দর লাগে” আলিফা কিছু না বলে উঠে চলে গেলো। আশ্চর্য রাতে তো কতো ভালো ছিল আর এখন, তারমানে কি রাতে এসব ও আমাকে ভালোবেসে বলেনি নেশার ঘোরে বলেছে। আর এখন নেশার ঘোর কেটে যেতেই….
নাহ আলিফার সাথে কথা বলা প্রয়োজন কোনো কারণে হয়তো রেগে আছে। তাড়াতাড়ি উঠে নিচে আসলাম।

আলিফা তো রান্নাঘরে নেই, টেবিলে নাশতা সাজানো তাহলে আলিফা গেলো কোথায়।
নীলিমা: ভাইয়া কাকে খুঁজছ
আমি: তোর ভাবি কোথায়
নীলিমা: এক্ষণি তো দেখে গেলাম নাশতা খেতে বসলো, আজকে আমি নাশতা বানিয়েছি শুনে অনেক হেসেছেও
আমি: এইটুকু সময়ের মধ্যে গেলো কোথায়
নীলিমা: তুমি নাশতা করো আমি দেখে আসছি
আমি: ছোটমা কোথায় রে
নীলিমা: আম্মু সকাল সকাল চলে গেছেন বলেছেন আমরা যেন তাড়াতাড়ি চলে যাই
আমি: ঠিক আছে।
স্থির হয়ে বসতে পারছি না, হুট করে কোথায় চলে গেলো মেয়েটা। আচ্ছা ও সেদিনের মতো আজ আবার ছাদে যায়নি তো।

তাড়াতাড়ি ছাদে আসলাম, আলিফা ছাদের এক কোণে বসে আছে।
আমি: আলিফা এখানে কি করছ
আলিফা: (নিশ্চুপ)
আমি: আলিফা (টান দিয়ে ওকে আমার দিকে ফিরালাম)
আমি: আলিফা তুমি কাঁদছ কেন, একটু আগেই তো রুম থেকে আসলে তখনো হাসছিলে
আলিফা: (নিশ্চুপ)
আমি: প্লিজ কিছু তো বলো এভাবে কাঁদছ কেন
আলিফা: নাও (আমার দিকে একটা কাগজ এগিয়ে দিলো। হাতে নিয়ে তো আমি অবাক, ডিভোর্স পেপার)
আমি: এইটা কি আলিফা
আলিফা: প্রশ্নটা তো আমার তোমাকে করা উচিত। কেন এমন করলে রিফাত, কিসের প্রতিশোধ নিলে
আমি: প্রতিশোধ
আলিফা: হ্যাঁ এতোদিন তোমাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য এমন প্রতিশোধ নিলে
আমি: আলিফা কি বলছ এসব
আলিফা: প্রতিশোধ নেওয়ার ছিল অন্যভাবে নিতে পারতে এভাবেই নিতে হলো তাও আজকের দিনে
আমি: কি বলছ আমি কেন প্রতিশোধ নিতে যাবো আর কিসের প্রতিশোধ নিবো
আলিফা: আমিও তো ভাবছি কিসের প্রতিশোধ নিলে তোমাকে এতোদিন ভালোবাসিনি এইটার, বলতে পারো আমার দোষ কোথায় ছিল আ….
আমি: প্লিজ চুপ করো আমি তোমাকে ভালোবাসি আমি তোমার প্রতি প্রতিশোধ নিবো কেন
আলিফা: রিফাত কেন করলে এমন
আমি: আজব তো আমি কি করলাম
আলিফা: গতকাল যখন বলছিলে আমাকে অনেক বড় গিফট দিবে তখন আমি একটুও বুঝতে পারিনি আমার জন্য যে এতোবড় গিফট এর আয়োজন করেছ তুমি
আমি: আলিফা প্লিজ বিশ্বাস করো আমি জানিনা এই ডিভোর্স পেপার কোথা থেকে এসেছে
আলিফা: আমি যখন আনাইনি তারমানে তুমি এনেছ
আমি: কি বলছ এসব আমি এই ডিভোর্স পেপারের বিষয়ে কিছুই জানিনা
আলিফা: আর মিথ্যে বলতে হবে না রিফাত তুমি তো এক সপ্তাহ আগে বলেছিলে এক সপ্তাহ পর তুমি সিদ্ধান্ত নিবে আর আজকেই এক সপ্তাহ পূর্ণ হয়েছে তাই তুমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছ
আমি: হ্যাঁ আমি বলেছিলাম এক সপ্তাহ পর সিদ্ধান্ত নিবো তারসাথে তো এইটাও বলেছিলাম যে এই এক সপ্তাহ আমি বুঝার চেষ্টা করবো তুমি আমাকে ভালোবাস কিনা। আর রাতে তো সব ঠিক হয়েই গেছে তুমিও বলেছ আমাকে ভালোবাস তাহলে আমি তোমাকে ডিভোর্স দিতে যাবো কেন
আলিফা: ডিভোর্স পেপারটা আমার হাতে আছে রিফাত আর মিথ্যে বলে লাভ কি
আমি: তোমাকে বুঝাই কিভাবে আমি কেন তোমাকে ডিভোর্স দিতে যাবো
আলিফা: কারণ আমাকে তোমার প্রয়োজন শেষ রাতে তো বিছানায় নিয়ে নিয়েছ এখন তো ডিভোর্স দিবেই
আমি: আলিফা (একসাথে কয়েকটা থাপ্পড় দিলাম, বলে কিনা আমি…. ছিঃ)
আলিফা: তুমি আমাকে যতোই মারো সত্যি তো এটাই তুমি আমাকে ডিভোর্স দেয়ার জন্য এই পেপার আনিয়েছ। আর আমি যেন খুব সহজেই পেয়ে যাই সেজন্য নাশতার টেবিলের উপর রেখে দিয়েছিলে
আমি: একবার ভেবে দেখো আমি ডিভোর্স পেপার যদি আনিয়ে থাকি তাহলে তো তোমার হাতেই দিতাম লুকিয়ে নাশতার টেবিলে রাখার কি দরকার ছিল আর সবচেয়ে বড় কথা আমি তোমাকে ভালোবাসি আ….
আলিফা: হ্যাঁ তুমি ডিভোর্স পেপারটা আনাওনি আমি আনিয়েছি তাই তো
আমি: তোমার সাথে আর কথা বলার ইচ্ছা আমার নেই শুধু এইটুকু জেনে রাখো আমি তোমাকে ভালোবাসি তোমার শরীর কে না
আলিফা: তুমিও আমার শেষ কথা শুনে যাও ডিভোর্স পেপার যখন আনিয়েছ আমিও সাইন করে দিবো আর এক্ষণি।
দূর এই মেয়ের সাথে কথা বললে শুধু ঝগড়া হবে, তাড়াতাড়ি নিচে চলে আসলাম।

নীলিমা রেডি হচ্ছে আজব মেয়ে তো আমাদের রেখেই চলে যাবে।
নীলিমা: ভাইয়া তুমি এসেছ, আমি চলে যাচ্ছি তোমরা পরে এসো
আমি: একসাথে গেলেই তো হয়
নীলিমা: না আমার একটু কাজ আছে, কাজটা সেরে বাসায় যাবো
আমি: ঠিক আছে।
নীলিমা বেরিয়ে পড়ার সাথে সাথে আমিও বেরিয়ে পড়লাম।

বাসার সামনেই রাস্তার পাশে এসে বসলাম। আমার তো মাথায় কিছুতেই ঢুকছে না ডিভোর্স পেপারটা আসলো কোথায় থেকে। আমি আলিফাকে ভালোবাসি ডিভোর্স দিতে যাবো কেন, যদি আলিফা আমাকে ভালো না বাসতো বা রাতুল ফিরে আসতো তাহলে নাহয় ডিভোর্স এর কথা ভাবতাম। আচ্ছা আমি যখন ডিভোর্স পেপারটা আনাই’নি তাহলে এইটা আনলো কে আর নাশতার টেবিলেই বা রাখলো কে। হঠাৎ নীলিমার কথা মনে পড়লো, এমন নয় তো নীলিমা পেপারটা আনিয়েছে আর ও নাশতার টেবিলে রেখে দিয়েছে যেন আলিফা বা আমি পেয়ে যাই আর আমাদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি হয়ে ডিভোর্স হয়ে যায়। কিন্তু নীলিমা এমন কাজ কেন করবে। মাথায় কিছুই ঢুকছে না সবকিছু এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে।
আলিফা: রিফাত (হঠাৎ আলিফার ডাকে পিছন ফিরে তাকালাম। ওর হাতে ডিভোর্স পেপার তারমানে সাইন করে নিয়ে এসেছে)
আমি: বাহ্ আমাকে সত্যি খারাপ ভেবে সাইনটা করে দিলে তো
আলিফা: আরে শু….
আমি: কি শুনবো হ্যাঁ আবার এটাই বলবে যে আমি খারাপ তোমাকে ভোগ করে ফেলেছি তাই আর প্রয়োজন নেই বলে ডিভোর্স দিয়ে দিচ্ছি
আলিফা: আমার কথা তো শুনো
আমি: তুমি শুনো ভালো করে, যতোটা খারাপ আমাকে ভাবছ ততোটা খারাপ আমি নই। আর ভোগ করা সেটা তো শত্রুকে করা যায় তুমি তো আমার ভালোবাসা। ভালোবাসা কে কখনো ভোগ করা যায় না বুঝেছ
আলিফা: তখন থেকে উল্টাপাল্টা বলেই যাচ্ছ আমাকে কিছু বলার সুযোগ’ই দিচ্ছ না। থাকো তুমি তোমার ভালোবাসা আর নীতিকথা নিয়ে আমি চলে যাচ্ছি।
পেপারটা ছুড়ে ফেলে দিলো, হাতে নিয়ে দেখি আলিফা সাইন করেনি। তারমানে কি আলিফা বুঝতে পেরেছে আমি পেপারটা ওখানে রাখিনি। যদি বুঝে থাকে তাহলে তো আলিফার সাথে এইটা নিয়ে কথা বলে বের করা দরকার কে করেছে এই কাজ। পিছন ফিরে তাকিয়ে দেখি আলিফা চলে যাচ্ছে, মাঝ রাস্তায় যেতেই একটা গাড়ি এসে ওকে ধাক্কা দিয়ে চলে গেলো। দৌড়ে আলিফার কাছে গেলাম। চারপাশে শুধু রক্ত, আলিফা মাটিতে লুটিয়ে পড়লো।
আমি: আলিফা
আলিফা: রিফাত আমার খুব কষ্ট হচ্ছে।
আলিফা আর কিছু বলতে পারলো না….
আমি: আলিফা….
রিয়ান: ভাইয়া কি হয়েছে ভাবির নাম ধরে চিৎকার করছ কেন (রিয়ানের ধাক্কায় চারপাশে তাকালাম, কেবিনের সামনে একটা চেয়ারে বসে আছি পাশে আব্বু আর রিয়ান)
রিয়ান: ভাইয়া কি হয়েছে শরীর খারাপ লাগছে
আমি: আআআলিফা আলিফা
রিয়ান: চিন্তা করো না ভাবির অপারেশন হয়ে গেছে
আমি: অপারেশন হয়ে গেছে
রিয়ান: হ্যাঁ তুমি এখানে নিশ্চুপ হয়ে বসেছিলে তাই আব্বু তোমাকে ডাকতে নিষেধ করেছিলেন
আমি: রিয়ান আলিফা বাঁচবে তো
রিয়ান: প্লিজ ভাইয়া এভাবে কেঁদো না অপারেশন তো হয়ে গেছে, ডক্টর বলেছে আর কিছুক্ষণের মধ্যেই ভাবির জ্ঞান ফিরে আসবে
আমি: সব দোষ আমার
আব্বু: রিফাত কেন পাগলামি করছিস এক্সিডেন্ট হয়েছে আর এক্সিডেন্ট এর উপরে তো কারো হাত নেই
আমি: না আব্বু সব দোষ আমার। আমি যদি তখন বাইরে না যেতাম তাহলে তো আলিফাও বাইরে যেতো না আর এমন হতো না
আব্বু: দূর পাগল ছেলে যা হবার ছিল তাই হয়েছে নিজেকে দোষে লাভ নেই। এখন বৌমা কে সুস্থ করে তোলা প্রয়োজন
আমি: হুম।

রিয়ানের কাধে মাথা রেখে বসে আছি আর অপেক্ষা করছি কখন আলিফার জ্ঞান ফিরবে কখন আমি ওর কাছে যেতে পারবো। পুরো একটা বছর পর আলিফা আমাকে ভালোবেসেছে আর আজ কিনা এমন হলো তাও আমার জন্মদিনে। আসলে দোষটা আমারই, তখন যদি আলিফার সাথে রেগে গিয়ে বাইরে না বেরুতাম তাহলে আলিফাও বেরুতো না আর এমন হতো না। বাইরে গিয়েছিলাম যদি আলিফার হাতে ডিভোর্স পেপার দেখে এভাবে রেগে গিয়ে ওকে কথা না শুনাতাম তাতেই ভালো হতো। আলিফা রাগ করে চলে যেতো না আর মাঝ রাস্তায় যেতেই এক্সিডেন্ট’টাও হতো না। হঠাৎ ডিভোর্স পেপারের কথা মনে পড়লো, আমার কেন যেন মনে হচ্ছে এর পিছনে নীলিমা আছে।
আমি: আব্বু নীলিমা কোথায়
আব্বু: বাসায় আছে তোর ফোন পেয়ে আসতে চেয়েছিল আমি না করেছি সবাই এসে কি করবে
আমি: ছোটমারা থাকবে তো
আব্বু: হ্যাঁ কয়েকদিন থাকবে ওরা (থাকতে তো হবেই, বাসায় গিয়ে নীলিমাকে জিজ্ঞেস করতে হবে কেন করেছে এমন)
নার্স: আপনাদের রোগির জ্ঞান ফিরেছে চাইলে কথা বলতে পারেন (নার্স এর কথা শুনে যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছি। এক দৌড়ে আলিফার কাছে চলে আসলাম)

আলিফা নিশ্চুপ হয়ে শুয়ে আছে, ওর কাছে গিয়ে হাটু গেড়ে ফ্লোরে বসে পড়লাম। আলিফার হাত আমার দু হাতের মুঠোয় এনে খুব কাঁদছি। আজকে যদি আলিফার কিছু হয়ে যেতো আমি বাঁচতাম কিভাবে। হঠাৎ আমার গালে আলিফার হাতের স্পর্শ পেলাম, আলিফা আমার চোখের পানি মুছে দিচ্ছে অথচ ওর চোখ দিয়েও পানি ঝরছে।
আমি: আলিফা বিশ্বাস করো ডিভোর্স পেপারের ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা। আমি আনিনি ডিভোর্স পেপার, আমি তোমাকে ভালোবাসি আর সারাজীবন বাসতে চাই। আমি ডিভোর্স চাই না আলিফা।
আলিফা: (কথা বলার চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে না, কষ্ট হচ্ছে ওর)
আমি: তোমার কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে কথা বলতে হবে না চুপ করে শুয়ে থাকো।
আলিফা নিশ্চুপ হয়ে শুয়ে আছে আর আমি ওর হাত ধরে এখনো কেঁদে যাচ্ছি। মনের ভিতরের ভয়টা এখনো কাটেনি, নিলাকে যেভাবে হারিয়ে ছিলাম আজ যদি এমন কিছু হতো তাহলে তো আমি শে…..
আব্বু: রিফাত দেখ কে এসেছে (আব্বুর ডাক শুনে দরজায় তাকালাম, নিজের অজান্তেই আমার দু হাতের মুঠোয় থেকে আলিফার হাতটা ছেড়ে দিলাম। উঠে দাঁড়িয়ে এক দৃষ্টিতে সামনে তাকিয়ে আছি)
আব্বু: উনি তোর আলিফাকে রক্ত দিয়ে বাঁচিয়েছেন
নার্স: হ্যাঁ বলতে পারেন আপনারা খুব ভাগ্যবান ঠিক সময় উনি এসে রক্ত না দিলে রোগিকে বাঁচানো যেতো না
আব্বু: হ্যাঁ মা আমরা সত্যি ভাগ্যবান
নার্স: রক্ত পাওয়া যাচ্ছিল না বলে ডক্টর তো রোগিকে বাঁচানোর আশাই ছেড়ে দিয়েছিলেন কিন্তু হঠাৎ করে উনি এসে রক্ত দেওয়াতে রোগিকে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। বলতে পারেন উনি আপনাদের রোগিকে নতুন জীবন দিয়েছেন।
আর কারো কোনো কথা আমার মাথায় ঢুকছে না, মাথা খুব ঘুরছে দাঁড়িয়ে থাকতে পারছি না। আস্তে আস্তে পিছাতে পিছাতে গিয়ে দেয়ালে ঠেকলাম, এখনো সামনের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি। আমার মন কিছুতেই মানতে চাইছে না যে রাতুল ফিরে এসেছে আর আমার সামনের ছেলেটাই রাতুল, যে কিনা আলিফাকে রক্ত দিয়ে ওকে আজ নতুন জীবন দিলো। আলিফার দিকে তাকালাম, রাতুলের দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। আলিফার ঠোঁটের কোণে হাসি, চোখে খুশির কান্না। এখন আমি কি করবো রাতুল যে ফিরে এসেছে আমার মন তো তা মানতে চাইছে না। রাতুলের থেকে আলিফাকে কেড়ে নিবো….? তাহলে আমার ভালোবাসার মূল্য কি আমি তো স্বার্থপর হয়ে যাবো। দুচোখ দিয়ে অঝরে পানি ঝরছে, আর একবার সামনে তাকালাম রাতুল আলিফার দিকে তাকিয়ে আছে আলিফাও রাতুলের দিকে তাকিয়ে আছে। দুজনের চোখেই আনন্দের কান্না। আচ্ছা আলিফা রাতুলের কাছে ফিরে যাবে না তো…?

চলবে?

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে