শেষ_পর্যন্ত
পার্ট: ২১
অফিসে যাবার জন্য রেডি হচ্ছি আর রাতের কথা ভাবছি। রাতে আলিফা যা করেছে, কেন যে শুধু শুধু আমাকে সন্দেহ করছে, অবশ্য নীলিমার আচরণে সন্দেহ হওয়াটা স্বাভাবিক। রাতে খেতে বসে নীলিমা আমার দিকে বার বার তাকাচ্ছিল আলিফা সেটা লক্ষ করে রুমে এসে আমার সাথে কি ঝগড়াটাই না করলো। আবার নীলিমা এসে আলিফাকে ওর রুমে নিয়ে গেলো থাকার জন্য, এতেও আলিফার সমস্যা বলে নীলিমা নাকি চায় না আমরা দুজন এক রুমে থাকি। স্বামী স্ত্রী এক রুমে থাকবে এটাই তো স্বাভাবিক এতে নীলিমা না চাওয়ার কি আছে। অবশ্য একদিকে আমার জন্য ভালোই হয়েছে নীলিমাকে দেখে আলিফা জ….
আলিফা: এই তুমি রেডি হচ্ছ কেন কোথায় যাবে (হঠাৎ আলিফার চিৎকারে কেঁপে উঠে পিছন ফিরে তাকালাম)
আমি: এই তোমার সমস্যা কি এভাবে চিৎকার করে কথা বলছ কেন
আলিফা: আমার সমস্যা তুমি অফিসে যেতে পারবা না
আমি: মানে কি কেন
আলিফা: তুমি অফিসে যাবা আর আমি একা একা ওই বজ্জাত মেয়েটার সাথে বাসায় থাকবো
আমি: বজ্জাত মেয়ে আবার কে
আলিফা: কেন তোমার ওই চাচাতো বো নী… (তাড়াতাড়ি গিয়ে আলিফার মুখ চেপে ধরলাম, কি মেয়েরে বাবা মুখে কিছুই আটকায় না)
আমি: এভাবে নাম বলছ ও যদি শুনে কষ্ট পাবে তো (আমার হাত ঝটকা দিয়ে ছাড়িয়ে দিলো)
আলিফা: কষ্ট পেলে পাইছে আমার স্বামীর দিকে নজর দিলে খুন…. (আমি ওর দিকে তাকিয়ে আছি দেখে থেমে গেছে, সবসময় বলে ভালোবাসে না আর এখন স্বামী বলছে)
আমি: থেমে গেলে কেন বলো ওকে খুন করে ফেলবে
আলিফা: (লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে ফেললো)
আমি: যে মেয়ে আমাকে ভালোবাসে না সে কিভাবে আমার জন্য অন্য মেয়েকে খুন করার কথা ভাবছে সেটা তো আমার মাথায় আসছে না
আলিফা: আর আসতে হবেও না, অফিসে যাওয়া লাগবে না চুপচাপ বাসায় বসে থাকো।
আলিফা দৌড়ে রুম থেকে চলে গেলো। ভালোই লজ্জা পেয়েছে, পাগলী একটা সবসময় ভালোবাসা লুকানোর চেষ্টা করে।
রেডি হয়ে নিচে আসলাম, আলিফাকে কোথাও দেখতে পাচ্ছি না। নীলিমা ড্রয়িংরুমে বসে আছে তাই ওকে বলে অফিসে যাওয়ার জন্য পা বাড়ালাম, ওমনি রাগিণী এসে হাজির।
আলিফা: তোমাকে না বলেছি অফিসে যেতে হবে না
আমি: আরে যেতে হবে রিয়ান একা আছে
আলিফা: আমি রিয়ানের সাথে কথা বলবো, তুমি রুমে চলো।
নীলিমা: ভাবি ভাইয়া যখন অফিসে যাবে না চলো আমরা ঘুরতে যাই (আলিফার দিকে তাকালাম এখন ওর মুখটা দেখার মতো হয়েছে, নীলিমার এই কথায় আলিফা রেগে ফুলে পুরো বেলুন)
আলিফা: অন্য দিন যাবো তুমি এখানে বসো আমরা আসছি।
আলিফা আমার হাত ধরে টেনে রুমে নিয়ে আসলো। আজ কপালে কি আছে আল্লাহ্ জানেন।
আলিফা: বউ রেখে ওই বজ্জাত মেয়েটাকে বলে অফিসে যাওয়া হচ্ছে (রেগেছে ভালোই আর একটু রাগালে খারাপ হয় না)
আমি: কিসের বউ তুমি তো আমাকে ভালোই বাস না, তাহলে আমি যাকে খুশি বলে যাবো তোমার তাতে কি
আলিফা: আমার তাতে কি বুঝাচ্ছি (একের পর এক কিল দিতে শুরু করলো)
আমি: ওরে বাবারে আমি শেষ
আলিফা: কেন আর ওকে বলে অফিসে যাবা না, ওকে ঘুরতে নিয়ে যাবা না।
আমি: যাবো তাতে তোমার কি
আলিফা: এই মেয়ে আমার সামনেই তোমার দিকে কিভাবে যেন থাকায় বাইরে গেলে তো….
আমি: কি ভয় হচ্ছে নাকি হিংসে হচ্ছে (ওকে জরিয়ে ধরে আছি, কিছুনা বলে চুপচাপ আমার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে)
আলিফা: জানিনা, অফিসে যেও না।
আলিফা চলে গেলো। এবার তো নিশ্চিত ও যে আমায় ভালোবাসে। আর দু-তিনটা দিন ওকে কষ্ট দেই তারপর নাহয়….
আলিফা: রিফাত নিচে এসো। (মহারাণীর ডাক পড়েছে, তাড়াতাড়ি নিচে চলে গেলাম)
নীলিমা ড্রয়িংরুমে বসে বসে টিভি দেখছে। আলিফা এসে নোডলস আর কপি রেখে গেলো। বাব্বাহ হঠাৎ এতো আদর কার জন্য আমি নাকি নীলিমা। নীলিমা তো হবে না নিশ্চিত, যা হিংসে করে ওকে।
আলিফা: সবাই একসাথে মুভি দেখবো আর নোডলস খাবো
আমি: বাব্বাহ হঠাৎ….
নীলিমা: ভাইয়া সবসময় ভাবির সাথে লাগো কেন, ভাবি ইচ্ছে করে এসব বানিয়েছে খাও তো
আমি: ওকে
আলিফা: এমা আমার জন্য তো চামচ আনিনি তোমরা খাও আমি রান্নাঘর থেকে চামচ নিয়ে আসছি। (আলিফা ওর নোডলস হাতে নিয়ে রান্নাঘরের দিকে গেলো)
নীলিমা: ভাইয়া দেখতো আমার চোখে কি যেন পড়েছে (এইরে এখন কি করি, ওর চোখ দেখতে গেলে তো ওর কাছে যেতে হবে। আলিফা দেখলে তো রেগে যাবে)
নীলিমা: কি ভাবছ দেখনা আমার চোখ জ্বলছে খুব
আমি: হুম দেখছি। (ভয়ে ভয়ে নীলিমার একটু কাছে গিয়ে ওর চোখে হাত দিলাম। সাথে সাথে ঠাস করে কিসের যেন একটা শব্দ হলো। তাকিয়ে দেখি আলিফা রাগে নোডলস সব ফ্লোরে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে)
আমি: আলিফা কি হয়েছে।
আমার কথার কোনো উত্তর না দিয়ে দৌড়ে রুমে চলে গেলো।
রুমে এসে দেখি বিছানায় শুয়ে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে। ইসস বেশি কষ্ট দিয়ে ফেললাম না তো। আস্তে আস্তে গিয়ে ওর পাশে বসলাম। চুলে হাত বুলাতে বুলাতে ডাক দিলাম।
আমি: আলিফা
আলিফা: আমার কাছে এসেছ কেন যাও ওর কাছে যাও
আমি: আরে নীলিমার চোখে কি যেন পড়েছিল তাই
আলিফা: মিথ্যে কথা বজ্জাত মেয়ে একটা ইচ্ছে করেই মিথ্যে বলেছে যেন তুমি ওর কাছে যাও
আমি: তুমি যা ভাবছ তা না আর ও তো আমার বোন
আলিফা: হুম বোন তবে চাচাতো বোন। (আমার দিকে রাগি চোখে তাকিয়ে কথাটা বলে চলে গেলো)
বসে বসে ভাবছি এভাবে চললে হবে নাকি। নীলিমা আসাতে আলিফা আমাকে অফিসে যেতে দিচ্ছে না, সবকিছুতে সন্দেহ করছে। নীলিমাকে যেভাবেই হউক আব্বুর কাছে পাঠাতে হবে। তাড়াতাড়ি ছোটমাকে ফোন দিলাম।
ছোটমা: কিরে নীলিমা তোদের বাসায় গেছে
আমি: হুম ছোটমা
ছোটমা: ও নাকি তোর জন্মদিন পর্যন্ত থাকবে, আর তোর জন্মদিনে তো আমরাও যাবো তখন নিয়ে আসবো
আমি: ওকে
ছোটমা: তোর কি মন খারাপ
আমি: নাতো, আচ্ছা এখন রাখি পরে ফোন করবো
ছোটমা: ঠিক আছে।
দূর ও নাকি আমার জন্মদিন পর্যন্ত থাকবে। ছোটমাকে কিছু বলতেও পারলাম না, বললে উনি কষ্ট পাবেন।
রাতের খাবার খেয়ে এসে সোফায় বসলাম। আলিফা সবকিছু গুচাচ্ছে আর নীলিমা আমার পাশে বসে টিভিতে কার্টুন দেখছে। আমি নীলিমার এতো কাছে বসা দেখে আলিফা বার বার তাকাচ্ছে, ওকে রাগানোর জন্য আমিও সরছি না। কিন্তু নীলিমা আমাদের দুজনকে অবাক করে দিয়ে কার্টন দেখে হাসতে হাসতে এসে আমার উপরে পড়ে গেলো। আলিফাকে রাগাতে চেয়েছিলাম কিন্তু এতোটা না, পাগলী তো এই দৃশ্য দেখে রাগে গজগজ করতে করতে রুমে চলে গেছে। তাড়াতাড়ি ওর পিছন পিছন রুমে আসলাম।
আলিফা জানালার কাছে দাঁড়িয়ে নীরবে কেঁদে যাচ্ছে। রাগাতে গিয়ে ওকে কাঁদিয়ে ফেললাম, কিন্তু আমার কি দোষ আমি জানতাম নাকি নীলিমা এমন করবে। বুঝতেছি না নীলিমা কি এসব ইচ্ছে করে করছে নাকি। এইটা পড়ে ভাবা যাবে আগে রাগিণীর রাগ ভাঙানো প্রয়োজন। আস্তে আস্তে আলিফার কাছে গিয়ে ওর কাধে হাত রাখলাম। সাথে সাথে ও পিছনে ঘুরে আমাকে জরিয়ে ধরে জোরে জোরে কাঁদতে লাগলো। এখন কি করি আমি তো ওকে একটু রাগাতে চেয়েছিলাম এভাবে কাঁদাতে চাইনি।
আমি: আলিফা কেঁদো না প্লিজ।
আমার কথা শুনে আরো জোরে কাঁদতে শুরু করলো। আরো কিছু বলতে গেলে হয়তো আরো বেশি কাঁদবে তাই আর কথা বাড়ালাম না, আলিফাকে জরিয়ে ধরে ওর কপালে একটা চুমু একে দিলাম।
সকালে রোদের আলো মুখে পড়তেই ঘুম ভেঙে গেলো, দেয়াল ঘড়িতে তাকিয়ে দেখি নয়টা বাজে। এতো বেলা হয়ে গেলো আলিফা ডাকলো না। তাড়াতাড়ি উঠে তাড়াহুড়ো করে রেডি হচ্ছি, আজ অফিসে যেতে হবেই। আলিফার জন্য একটা সপ্তাহ অফিসে যাওয়া হয়নি, নেহাত রিয়ান ছিল তাই বাসায় বসে থাকতে পেরেছি কিন্তু আজ যেতেই হবে।
আলিফা: এই কোথায় যাচ্ছ তুমি
আমি: প্লিজ আজ আটকিয়ো না আজ অফিসে যেতেই হবে।
আলিফা: ওকে যাও তবে একটা কথা কি মনে আছে তোমার
আমি: কি কথা
আলিফা: আমরা এখানে এসেছি কতদিন হয়েছে
আমি: হুম মনে আছে তবে এক সপ্তাহ হতে এখনো একদিন বাকি
আলিফা: আমার তো মনে হয় একদিন আগেই রেজাল্ট পেয়ে গেছ
আমি: আর একদিন অপেক্ষা করলে হয়তো এরচেয়ে বেশি কিছু পাবো (আলিফার একদম কাছে গিয়ে বললাম, ও মুখ গোমড়া করে অন্য দিকে তাকালো)
আমি: কি হয়েছে
আলিফা: নীলিমা কিন্তু একটু বেশি বাড়াবাড়ি করছে ওকে আমি আর সহ্য করতে পারছি না
আমি: ছোটমাকে বলে পাঠিয়ে দিবো
আলিফা: ওকে।
দুজন একসাথেই নিচে আসলাম আলিফা রান্না ঘরে চলে গেলো, আমি বের হবো তখন নীলিমা ডেকে দাঁড় করালো।
আমি: কিরে কিছু বলবি
নীলিমা: দাঁড়াও আসছি (নীলিমা আমার দিকে এগুচ্ছে কেন বুঝতে পারছি না, রান্নাঘরের দিকে তাকালাম আলিফা রাগি চোখে আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে)
আমি: তাড়াতাড়ি বল কি আমার অফিসের দেরি হয়ে যাচ্ছে
নীলিমা: অফিসে যাচ্ছ অথচ টাই টাও ঠিক করে বাঁধনি। (আরে কি বলে এসব, টাই তো ঠিকি আছে তারমানে নীলিমা ইচ্ছে করে এসব করছে। ও আমার একটু কাছে আসতেই আলিফার দিকে তাকালাম চোখ দুইটা আগুনের মতো হয়ে আছে হাতে চাকু সেটা আমাকে দেখাচ্ছে)
নীলিমাকে ঠিক করতে হবে না বলে এক দৌড়ে বাসার বাইরে চলে আসলাম।
সারাদিন অফিসের কাজে ব্যস্ত ছিলাম এখন রাত আটটা বাজে বাসায় ফেরা উচিত নাহলে আবার আলিফা রাগ করবে।
ড্রাইভ করছি আর ভাবছি নীলিমা আসাতে ভালোই হয়েছে তারচেয়ে বেশি ভালো হয়েছে নীলিমার এসব আচরণে। নীলিমা না আসলে আলিফা হয়তো নিজের ভালোবাসাটা উপলব্ধি করতে পারতো না। এই এক সপ্তাহে আলিফা নিজের ভালোবাসা ভালো ভাবেই বুঝতে পেরেছে। আমিও বুঝে গেছি আলিফা সত্যি আমাকে ভালোবাসে শুধু এতোদিন ওর ভালোবাসা লুকানোর চেষ্টা করেছে। আর আলিফা তো সকালে বললো একদিন আগেই নাকি রেজাল্ট পেয়ে গেছি, সত্যিই তো এক সপ্তাহ হতে আরো একদিন বাকি অথচ এর মধ্যেই আমি আলিফার মন বুঝে ফেলেছি। আলিফা এখন আর আগের মতো দুরকম ব্যবহার করে না হয়তো সত্যি আমাকে ভালোবেসে ফেলেছে। হঠাৎ পাশের একটা দোকানে চোখ পড়লো অনেক গুলো গোলাপ একসাথে দেখে ভালোই লাগছে। নেমে আলিফার জন্য এক গুচ্ছ গোলাপ নিলাম।
বাসায় এসে কলিংবেল চাপতেই নীলিমা দরজা খুলে দিলো। আমার হাতে গোলাপ ফুল দেখে ও খুশিতে নাচতে নাচতে ফুলগুলো ওর হাতে নিয়ে নিলো। শুধু ফুলগুলো নিয়েই শান্ত হয়নি আমাকে জরিয়েও ধরেছে। পাশে আলিফা তাকিয়ে আছে, এসব দেখে কিছুনা বলে রান্নাঘরে চলে গেলো। আমি নীলিমাকে ছাড়িয়ে রুমে চলে আসলাম।
শার্ট খুলতে খুলতে ভাবছি, নীলিমা আজ সব রোমান্স মাটি করে দিলো। ভেবেছিলাম আজ আলিফাকে গোলাপ গুলো দিয়ে নতুন করে প্রপোজ করবো নতুন করে জীবনটা শুরু করবো কিন্তু তা আর হলো না। আলিফা খুব রাগ করেছে দেখেই বুঝা গেছে, রাগ করাটা তো স্বাভাবিক। হঠাৎ আলিফা দৌড়ে এসে আমাকে পিছন থেকে জরিয়ে ধরলো, অন্যমনস্ক ছিলাম তাই টাল সামলাতে না পেরে ডাইরেক্ট বিছানায় গিয়ে পড়ে গেলাম। আলিফা খুব কাঁদছে দেখে গড়িয়ে ওকে বুকে নিলাম। চোখের সামনে এলোমেলো হয়ে পড়ে থাকা চুলগুলো সরিয়ে দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম
আমি: কি হয়েছে…?
আলিফা: (নিশ্চুপ)
আমি: এভাবে কাঁদছ কেন বলো (বুকে মাথা রেখে আরো জোরে জোরে কাঁদতে শুরু করলো। নাহ এই একটা সপ্তাহ ওকে বেশি কাঁদিয়ে ফেলছি আর না)
আমি: রাগিণী তুমি এভাবে কাঁদলে আমার বুঝি ভালো লাগে, প্লিজ লক্ষীটি কান্না থামাও।
আলিফা: রিফাত আমি আর পারছি না
আমি: কি পারছ না তুমি
আলিফা: ওই মেয়েটাকে আর সহ্য করতে পারছি না, আমার কেন যেন মনে হচ্ছে মেয়েটা আমার কাছ থেকে তোমাকে কেড়ে নিচ্ছে।
আমি: দূর পাগলী আমাকে আবার কেড়ে নিবে কে আমি তো তোমারই। (আলিফা কান্না থামিয়ে কিছুক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে রইলো, তারপর আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বললো)
আলিফা: রিফাত আমি তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি (আমি যেন নিজের কান কে বিশ্বাস করতে পারছি না। তারমানে শেষমেশ আলিফা আমাকে ভালোবেসেছে)
আলিফা: কি হলো কিছু বলছ না যে।
কি বলবো খুশিতে তো দুচোখ দিয়ে পানি ঝরছে। আলিফাকে শক্ত করে জরিয়ে ধরলাম। কাঁদতে কাঁদতে আলিফার কপালে আলতো করে আমার ভালোবাসার স্পর্শ একে দিলাম।
চলবে?