#শেষ_বিকেলের_প্রণয়
#লেখিকা_আলো_ইসলাম
৮
— ছুটি জানালার পর্দা গুলো সরিয়ে দিতেই রোদ গিয়ে তাশরিফের গায়ে পড়ে। রোদের আভাস পেয়ে তাশরিফের চোখ মুখ কুচকে আসে। ছুটি বারান্দার দিকে তাকাতেই নাকমুখ কুচকে আসে অনেক গুলো পোড়া সিগারেট পড়ে থাকতে দেখে।
– আজকাল সিগারেটও খাওয়া হয় তাহলে! মনে মনে বলে ছুটি। এরই মধ্যে তাশরিফের কন্ঠস্বর ভেসে আসে।
– কে ঘরে? ঘুমন্ত গম্ভীর কন্ঠ। ছুটি কয়েকটি সিগারেটের টুকরো তুলে এনে তাশরিফের সামনে ধরে বলে এইগুলা কি? তাশরিফ অবাক চোখে তাকায়। যে ঘুম ভাব ছিলো তার চোখে এখন আর নেই৷ বরং রসগোল্লার ন্যায় চোখ করে থেকে বিস্মিত কন্ঠে বলে তুমি এখানে?
– হ্যাঁ আমি এতে এতো অবাক হওয়ার কি আছে? আগে বলো এইসব কি? তাশরিফ পুনরায় অবাক হয় ছুটির মুখে তুমি শুনে। সেই আগের ছুটিকে দেখতে পাচ্ছে সে।
– কি দেখতে পাচ্ছো না নাকি? তুমি আমার ঘরে কেনো? আর এই বাড়িতে কি করছো? তাশরিফ একের পর এক প্রশ্ন করে যায়।
— কেনো! আমি কি আজ নতুন আসছি এখানে? ছুটি বলে ভ্রু উঁচিয়ে।
– হুম নতুনই ধরতে গেলে। তিন বছর পর,তাশরিফের কথায় ছুটি দমে যায়। কথা ঘোরাতে কফির কাপটা হাতে তুলে তাশরিফের সামনে ধরে বলে তাড়াতাড়ি শেষ করে ফ্রেস হয়ে এসো৷ আমি নাস্তা বানিয়েছি সবার জন্য, সবাই এক সাথে খাবো আর একটা কথা তুমি তো সিগারেট খেতে না ইনফ্যাক্ট অনেক ঘৃণা করতে তুমি সিগারেট আর আজ তুমি…
– আগে আমি অনেক কিছুই করতাম না, যা এখন করি। এটা নতুন কিছু না। তুমি এখানে কেনো এসেছো? আর আমাকে এইসব অর্ডার করার তুমি কে? নিয়ে যাও কফি৷ আমি আর কফি খাইনা। তাশরিফ নিজেকে কঠোর প্রমাণ করতে চেষ্টা করছে।
— তোমার সাথে আমার একটা চুক্তি হয়েছিলো বিয়ে ভাঙার জন্য । ভুলে গিয়েছো হয়ত! আমি বলেছিলাম তোমায় যে, এই বিয়ে করবো না তুমি না চাইলে কিন্তু আমার কথা শুনে চলতে হবে তোমাকে। ছুটির কথায় তাশরিফ ভ্রু কুচকে বলে আমি চলবো তোমার কথায়?
– ছুটি ঘাবড়ে যায়। আমতাআমতা করে বলে না মানে এই যে বদমেজাজি তাশরিফ খান আছে এটা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
– তাহলে কি সব ফিরে পাবো আমি? হঠাৎ তাশরিফের এমন কথায় চমকে তাকায় ছুটি।
— তাশরিফ মুখ ঘুরিয়ে নেয়, আবেগের বশে ভুল কথা বলে ফেলেছে সে।
– একবার চেষ্টা তো করাই যায় তাই না? এখনো তো অনেক সময় বাকি তাশরিফ ভাইয়া। কেনো এমন ছেলেমানুষী করছো৷ কেনো সবাইকে কষ্ট দিচ্ছো? রানীমা কতটা কষ্ট পাচ্ছে ভেবে দেখেছো?
– তুমি এখন যাও ছুটি, আমার এইসব জানার বা বোঝার নেই৷ আমি যেমন আছি তেমনই থাকবো। আগের তাশরিফ খান ম’রে গেছে৷ এখন যে তাশরিফের অস্তিত্ব আছে কিছুদিন পর হয়তো এটাও থাকবে না।
– ছুটির চোখ ভরে আসে তাশরিফের কথায়।
– আর একটা কথা, তুমি কি চাও আমি খুব ভালো করে জানি, তুমি এখানে কেনো এসেছো এটাও জানি৷ তাই বলব ফিরে যাও। বৃথা চেষ্টা করে নিজের কষ্ট বাড়িও না আর। পরে যখন সত্যটা সামনে আসবে তখন কিন্তু তুমি বা তোমরা অনেক কষ্ট পাবে আমাকে পুনরায় ঘৃণা করবে। তাই বলছি এইসব করো না৷ আমাকে আমার মতো থাকতে দাও।
– সেটা নাহয় আমাকে বুঝতে দাও, যদি সত্যি মনে হয় আমার বোঝার মধ্যে ফাক থেকে গেছে, আমি তোমাকে চিনতে পারিনি, যদি সব কিছুর পর এটাই দাঁড়ায় যে তুমি দোষী তবে আমি তোমাকে শাস্তি দেবো। তোমার শাস্তির ব্যবস্থা আমি করে দেবো। বলতে পারো তোমার বিরুদ্ধে গিয়ে আমি সাক্ষী দেবো কোর্টে। ছুটির কথায় তাশরিফ করুণ চোখে তাকায়।
– তোমার মধ্যে কি বিশ্বাস আছে নাকি অন্ধ অবিশ্বাসের মালা গেঁথে পথ খুঁজতে চেষ্টা করছো আমি বুঝতে পারছি না৷ তাশরিফ বলে কৌতুহলী হয়ে।
– আমি তোমাকে একজন খুনি হিসেবে ঘৃণা করি এটাই সত্য আর একজন নির্দোষ হিসেবে বাঁচাতে চাই। কফিটা শেষ করে নিচে এসো। আশা করি আমাকে এই নিয়ে আর কিছু বলতে হবে না। আর একটা কথা, এত সিগারেট স্বাস্থ্যের জন্য ভালো না এটা তুমিও জানো, তাই অনুরোধ করবো অভ্যাস বদলাও। তাশরিফ তাচ্ছিল্যের হাসি রাখে তাই দেখে ছুটি একটা দীর্ঘ শ্বাস ফেলে বলে নিচে যাচ্ছি আমি।
–কফিটা নিয়ে যাও। তাশরিফের কথায় ছুটি কফির কাপ হাতে তুলে নিয়ে বলে এমনিতেও এটা নিয়ে যেতাম আমি। ঠান্ডা কফি তো আর খাওয়া যায়না। ছুটি কথা শেষ করেই চলে যায়। তাশরিফ এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে ছুটির দিকে।
— বিকেলের দিকে ছুটি একটা বই নিয়ে ড্রয়িংরুমে বসে পড়ছিলো। তাশরিফ সকালের দিকে বেরিয়েছে তবে ছুটি যতটা প্রত্যাশা করেছিলো তাশরিফ কে নিয়ে তার কিছুই হয়নি৷ তাশরিফ না কফিটা খেলো আর না সকালে নাস্তা করেছে। মমতা খান আর ছুটি দুজনেই হতাশ হয় তাতে। তাশরিফ যে তার সিদ্ধান্তে অনড় এটা বেশ বুঝতে পারছে সবাই।
– হঠাৎ দুটি হাত এসে চোখ বেধে দেয় ছুটির। আচমকা এমন হওয়াতে প্রথমে ঘাবড়ে গেলেও পরে ছুটি মুখে হাসি এনে বলে আমি জানি তুই এসেছিস ছায়া! তোর আপাইকে ফাঁকি দেওয়া এত সহজ নয়। ছুটির কথায় হাতের বাধন আগলা হয়ে আসে। ছুটি হাসি মুখে পিছু ফিরতেই চোখ ছানাবড়া। লাফিয়ে উঠে বলে এই কে আপনি ?
– সামনে থাকা ব্যক্তির মুখে হাসি থাকলেও ছুটির চেহারা দেখে তার মুখের প্রকৃতি বদলে যায়। জেঁকে বসে মুগ্ধতা।
– ছুটি ভ্রু কুচকে বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে আছে সুদর্শন যুবকের দিকে।
– ও হ্যালো! কে আপনি? আর এইভাবে আমার চোখ ধরার সাহস হয় কিভাবে আপনার? মুগ্ধতা কাটিয়ে বেরিয়ে আসে রোহান। অস্ফুটস্বরে বলে সো বিউটিফুল।
– ছুটির মেজাজ খারাপ হয়ে যায় এবার।
– আপনি কি বোবা হুম! বলা নেই কওয়া নেই হুট করে এসে চোখ ধরে আবার এখন মূর্তি হয়ে দাঁড়িয়ে। আপনার কি মাথায় সমস্যা আছে?
– ছুটির প্রবল চিৎকারে রোহান কানে হাত দিয়ে বলে আস্তে মিস— ছুটি কিছু বলে না।
– আসলে মিস্টেক আমারই৷ আমি ভেবেছিলাম এটা ছায়া আই মিন তুমি ছায়া।
– ছায়া! ছায়া তো আমার বোন। আপনি কে শুনি? ছায়াকে কিভাবে চিনেন হুম?
– আই সি! ইউ মিন ইউ আর ছুটি, বেশ উত্তেজনার সাথে বলে রোহান।
– আমাকেও চেনে! কিন্তু আমি তো উনাকে চিনি না। কে ইনি? মনে মনে ভাবে ছুটি। ছুটির মুখভঙ্গি দেখে রোহান বুঝতে পারে ছুটি কি ভাবছে।
– হাই আইম রোহান, ফ্রম লন্ডন। এতখনে ছুটির বোধগম্য হয়। রানীমা তাহলে ইনার কথায় বলেছিলেন।
– কিন্তু ছুটি কল্পনার জগতে রোহানকে যেমন ভেবেছিলো এখানে তো তার উল্টো লাগছে সম্পুর্ণ। ছুটি ভেবেছিলো উকিল মানুষ গুরুগম্ভীর, আর মুডি হবে৷ কিন্তু রোহান বেশ হ্যান্ডসাম, গোছানো একজন পার্সন।
– আপনি আমাকে কীভাবে চিনেন? আমি তো আপনাকে কখনো দেখিনি। ছুটির কথায় রোহান সুন্দর একটা হাসি দিয়ে বলে দেখবে কি করে, আমি তো এই দিয়ে সেকেন্ড টাইম আসলাম বাংলাদেশ। প্রথমবার এসেছিলাম ব্রো, আই মিন তাশরিফের বিয়েতে। তখন তুমি ছিলে না৷ কিন্তু অনেক ইচ্ছে ছিলো তোমাকে দেখার রোহান একটু এগিয়ে এসে বলে ছুটিকে।
– কেনো, আমি কি কোনো সার্কাসের জোকার যে আমাকে দেখার ইচ্ছে থাকবে। আর আমাকে দেখার এত সখই বা কেনো আপনার।
– বলছি তার আগে একটা কথা, আমি তো তোমার সাথে তুমি করে বলছি যদি তুমিও আমাকে তুমি বলতে খুশি হতাম। রোহানের কথায় ছুটি চোখ মুখ জড়ো করে।
– না মানে! আমরা তো প্রায় সেম এজ তাই বলছিলাম।
– মোটেও না। আপনি আমার থেকে অনেক সিনিয়র তাছাড়া আমি যে-কাউকে তুমি বলিনা৷ আপনাকে বলার তো প্রশ্নই আসে না৷
— ব্রো ঠিকই বলেছিলো তুমি অনেক সুইট। ছুটি হতভম্ব হয়ে তাকায় রোহানের এই কথায়।
– এখানে সুইটের কি দেখলেন আপনি আজব?
— এ্যানি ওয়ে,তুমি না জানতে চেয়েছো আমি কিভাবে চিনি তোমাকে, আমি তোমাকে পিকচারে দেখেছিলাম। ব্রো অনেক পিকচার দিয়েছিলো তোমাদের একসাথে। ইনফ্যাক্ট ব্রো অনেক কথাও বলতো তোমাকে নিয়ে। আমি তো এখানে এসে তোমাকে এক্সপেক্ট করেছিলাম বিয়েতে। আনফরচুনেটলি তুমি ছিলে না।
– ছুটি আমতাআমতা করে বলে আমি ওই সময় কাজে গিয়েছিলাম একটা তাই বিয়েতে এটেন্ড থাকতে পারিনি।
– হ্যাঁ জানি। বাই দ্যা ওয়ে, নাইচ টু মিট ইউ! হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলে রোহান৷ ছুটি রোহানের দিকে তাকিয়ে বলে মাত্র আলাপ হলো, ভালো লাগছে কি খারাপ ক’দিন গেলে তবেই বুঝবো। ছুটির কথায় রোহান মুচকি হেসে হাত নামিয়ে নেয়। চুল গুলো হাত দিয়ে একপাশে নিয়ে বলে ছবির থেকেও বেশি সুন্দর তুমি।
– ছুটি ঘাবড়ে যায়। লজ্জায় লাল হয়ে উঠে রোহানের কথায়। কি রিয়াক্ট করবে বুঝে উঠতে পারে না।
– আচ্ছা আপনি ছায়াকে কিভাবে চিনলেন? ছুটি কথা ঘোরানোর চেষ্টা করে।
– ওই যে বললাম বিয়েতে এসেছিলাম। তখনই আলাপ হয়,ছায়া তো অনেক কিউট আর সুইট একটা মেয়ে। তার থেকে কিউট তুমি শেষ কথা আস্তেই বলে রোহান।
– আপনার কাছে দেখি মিষ্টির দোকান। যাকে দেখেন তাকেই সুইট আর কিউট লাগে আপনার। ছুটির কথায় ভড়কে যায় রোহান।
– যাই হোক রানীমা নেই৷ কাজে বাইরে গেছেন৷ আপনার জন্য রুম রেডি আছে। আপনি যান গিয়ে ফ্রেশ হয়েনিন। আমি আপনার জন্য নাস্তার ব্যবস্থা করছি।
– তুমি কি এখানেই থাকো? ছুটির কথা শেষ হতেই বলে রোহান ।
– হুম এখানেই থাকি! কোনো সমস্যা? ভ্রু উঁচিয়ে বলে ছুটি।
– নাহ! একদম সমস্যা নেই৷ আরও তো হ্যাপি আমি যে, তোমাকে সব সময় দেখতে পাবো। মনে মনে বলে কথাটা রোহান।
– আচ্ছা আমি যাই ফ্রেস হয়। রাস্তায় এত জ্যাম আর ধুলোবালি ভরা। এখুনি শাওয়ার না নিলে র্যাস হয়ে যাবে স্কিনে।
– আসছে জমিদার, মনে মনে বলে ছুটি।
–সন্ধ্যার সময় ছায়া আসে খান বাড়িতে। ছুটি তখন তার ঘরে ছিলো। ল্যাপটপে কি একটা করছিলো সে। মমতা খান সন্ধ্যার আগে বাড়ি ফিরে রোহান এসেছে শুনে। তাশরিফের তো খোঁজ নেই৷ তবে আজ আবিরও আছে সাথে। তাশরিফ এই একটা মানুষকে এলাউ করে সব সময় তার সাথে। কোনো বিরক্তি আসে না আবিরের প্রতি। তবে আবির কখনো বিভ্রান্ত করেনা ইলহামের ব্যাপারে তাই হয়তো তাশরিফের আরো বেশি ভালো লাগে আবিরকে।
– রানীমা আপাই কোথায়? ছায়াকে দেখে মমতা খান মুচকি হেসে বলে ছায়া মা তুমি? এসো।
– ছায়াও হেসে বলে আপাইকে দেখতে এলাম।।
– তোমার আপাই তো ঘরে আছে। মমতা খানের কথায় ছায়া বলে দেখা করে আসি আমি। ছায়া উপরে যাওয়ার জন্য ছুট লাগায়। ছুটি উপরেই থাকে তাশরিফের এক ঘর পরে।
– ছায়া সিঁড়ি থেকে ইউটার্ন নিতেই কেউ একজন তার লম্বা চুলের বিনুনি ধরে টান মা’রে। ছায়া হাল্কা ব্যথা পাই তাতে। মুখ দিয়ে আপনাআপনি আর্তনাদ বেরিয়ে আসে।
– আবির ভাইয়া! দাঁতে দাঁত চেপে বলে ছায়া।
– আমাকে বিরক্ত না করলে আপনার পেটের ভাতের হজম হয়না তাই না। কথাটা বলতে বলতে ছায়া পিছু ঘুরেই হা হয়ে যায়। সামনে রোহান উচ্চস্বরে হাসছে ছায়ার কান্ড দেখে।
আপনি? মুখে হাসি ছায়ার।
– সারপ্রাইজ! দুই হাত মেলে বলে রোহান হাসি থামিয়ে।
– কখন, মানে কবে এসেছেন? বেশ অবাক হয়ে বলে ছায়া।
– এইতো আজকেই এসেছি,বিকালে। তা কেমন আছো কিউটি। রোহানের কথায় ছায়া মুচকি হেসে বলে আমি ভালো আছি৷ আপনাকে যে আবারও দেখবো ভাবিনি। রোহান হাসে শুধু।
– আচ্ছা তুমি আবিরের নাম নিলে কেনো? আবিরও তোমার সাথে এমন দুষ্টামি করে নাকি?
– করে না আবার। আমার পেছনে না লাগলে তো উনার দিনই কাটে না৷ অসভ্য লোক একটা গাল ফুলিয়ে বলে ছায়া। ছায়ার কথায় রোহান বলে আবিরের আর কি দোষ বলো। এমন কিউট পুতুলের মতো একটা মেয়েক না ছুঁয়ে কেউ থাকতে পারে। ছায়ার নাক টেনে দিয়ে বলে রোহান৷ ছায়া লাজুক হাসে। এদিকে নিচে থেকে এক জোড়া চোখ দেখছে ওদের দুজনকে। রোহান আর ছায়াকে একসাথে হাসাহাসি করতে দেখে ভীষণ রাগ হচ্ছে তার। রোহানকে যেনো একদমই পছন্দ না ছায়ার পাশে।
– তা আপাই-এর সাথে দেখা হয়েছে? আলাপ হয়েছে আপনাদের? ছায়া বলে।
– হুম, এসেই তো বড় একটা ব্লান্ডার করে ফেলেছি আমি তোমার আপাইয়ের সাথে। রোহানের কথায় ছায়া বিস্ময় নিয়ে বলে কি করেছেন?
– রোহান সব বলে তখনের কথা। ছায়া তো হেসে গড়াগড়ি।
– কেমন লাগলো আমার আপাইকে?
– বিউটিফুল! রোহান বলে এক কথায়।
– আমি বলছি মানুষ হিসেবে কেমন দেখলেন আমার আপাইকে।
– অনেক ঝগরুটে! রোহানের এই কথাটা ঠিক মানতে পারে না ছায়া। তাই মুখটা মলিন করে বলে মোটেও না৷ আমার আপাই অনেক ভালো আর শান্তশিষ্ট।
– কিন্তু আমি তো দেখলাম ভয়ংকর রাগী আর ঝগরুটে। কথাটা বলে রোহান আবার হাসে এরপর বলে আইম জোকিং ইয়ার। তোমার আপাই অনেক কিউট আর সুইট, এন্ড বিউটিফুল লেডি। ঠিক তোমার মতো।
– উহু, আমার থেকেও বেশি মিষ্টি আমার আপাই। ছায়ার কথায় রোহান ভাবান্তর হয়ে বলে উমম, হাফ পারসেন্ট বেশি। আবারও দুজনের অট্টহাসি৷ এরই মধ্যে ছুটি আসে সেখানে ছায়ার গলা পেয়ে…
চলবে…