শেষ বিকেলের প্রণয় পর্ব-০৭

0
733

#শেষ_বিকেলের_প্রণয়
#লেখিকা_আলো_ইসলাম
‘৭’

– জানিস ছায়া, ইলহামের ভাইয়ের কথা বলাতে উনি রেগে গেলেন অনেক। কিন্তু কেনো?
– আমিও সব শুনেছি আপাই! জানি না কেনো ভাইয়া এমন রিয়াক্ট করলেন।
– ইলহামের ভাই কোথায়? কেনো সামনে নিয়ে আসছেন না ইমরানকে, ইলহামের খু’নের দিন থেকে ইমরান মিসিং। অথচ উনি নাকি সমানে বলে যাচ্ছেন ইমরান তার হেফাজতে আছে ভালো আছে।

– তুই কিন্তু আমার প্রশ্নের জবাব দিসনি আপাই! তুই কি বিয়েটা আর করবি না? ছুটির কথার মাঝে বলে ছায়া।
– ছুটি অসহায় একটা লুক দিয়ে বলে উনার সাথে আমার বন্ধন কখনোই হবে না ছায়া। ভাগ্য আজও আমার সহায় হয়নি। উনি যখন চাননা বিয়ে করতে আমাকে তখন আমিও এই বিয়ে করবো না৷ তাছাড়া আমি উনাকে কথা দিয়েছি। ভালোবাসার মানুষকে সবাই পাইনা৷ তার মধ্যে তোর আপাইও একজন।

– ছায়ার খারাপ লাগে অনেক। কি বলবে বুঝতে পারছে না৷ সব কিছু ঠিক হয়েও হলো না৷ সেই এলোমেলো হয়ে গেলো আবার।

– তুই কিন্তু একদম তোর আপাইকে নিয়ে ভাববি না। যদি ভাবিস এই বিয়েটা না হওয়াতে আমি কষ্ট পাচ্ছি বা আমার খুব খারাপ লাগছে তাহলে বলবো তুই ভুল ভাবছিস। তোর আপাইকে তুই এখনো বুঝে উঠতে পারিসনি ছায়া।
– আমি একটুও কষ্ট পাচ্ছি না আর না কোনো খারাপ লাগা আছে আমার এইটা নিয়ে। সব অনুভূতি তো অনেক আগেই ফুরিয়ে গেছে৷ নতুন করে খারাপ লাগার মতো অনুভূতি অবশিষ্ট নেই আমার। আমি তো বিয়েটা করতে রাজি হয়েছিলাম রানীমার জন্য। উনি আমাকে ভরসা করেছিলেন তাই আমি সে ভরসা উপেক্ষা করতে পারিনি। জানিস ছায়া, রানীমার বিশ্বাস ছিলো তাশরিফ ভাইয়াকে আমি বোঝাতে পারবো, উনি হয়তো আমার কথা শুনবেন আমাকে উপেক্ষা করবেন না৷ যতই মুখে দুরছাই করুক না কেনো মনে মনে আমি উনার একটা বিশেষ স্থান দখল করে আছি। তাই রানীমা উনার সাথে আমার বিয়েটা দিতে চাই। আর আমিও আজ বুঝেছি রানীমার বোঝা বা জানায় ভুল ছিলো না৷ উনি সত্যি আমাকে মনের কোথাও একটা বন্ধুত্বের জায়গা আজও দিয়ে রেখেছেন৷ নিজেকে যতটা কঠিন দেখাতে চাইছেন সবার কাছে, আমার কাছে এসে উনি দুর্বল হয়ে যাচ্ছেন।

– সব সময় তোর সিদ্ধান্তকে সাপোর্ট করে এসেছি আমি। আজও তাই করবো। আমি জানি তুই যা করবি সবার ভালো সাথে তোর ভালো ভেবেও করবি। ছায়ার কথায় ছুটি মুচকি হেসে বলে যার এমন বোন আছে তার কি কোন আক্ষেপ থাকে নাকি থাকার কথা বল? আমি তো অনেক ভাগ্য করে তোকে পেয়েছি ছায়া।

– হয়েছে আমাকে আর বোঝাতে হবে না। ছায়া বলে আদুরে গলায়।

– শুনেছি তাশরিফ ভাইয়ার কেস’টা কোনো উকিল নিতে চাচ্ছে না। আগেরবার যে উকিল উনার কেসটা লড়েছিলো তিনিও এবার এই কেসের সাথে থাকবে না। কারণ সবাই জানে তাশরিফ ভাইয়া খু’নি আর সমস্ত প্রমাণও তার বিরুদ্ধে। তাই কেউ জেনেশুনে হারতে চাইনা বা এই কেসে নিজেকে জড়াতে চাইনা। পুলিশও উনার বিরুদ্ধে আছেন৷ যার জন্য রানীমা অনেক ভয় পাচ্ছে ছেলেকে হারিয়ে ফেলার। তাশরিফ ভাইয়া সব সময় নিজের দোষ স্বীকার করে যাচ্ছেন কিন্তু রানীমা জানে তাশরিফ ভাই কিছু করেনি। তাশরিফ ভাইয়া কেনো করছে এইগুলা সেটা বের করার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে রানীমা। রানীমা অনেকবার কথা বলার চেষ্টা করেছে উনার সাথে কিন্তু তাশরিফ ভাইয়া এড়িয়ে গেছে নিজেকে খু’নি বলেছে প্রতিবারই।

— অনেক রহস্যরে আপাই! ছুটির কথা শেষ হতেই ছায়া বলে।
– সে তো অবশ্যই। যাই হোক আজ তাশরিফ ভাইয়া এসে একদিক ভালো হয়েছে। তোরা যে ছুটিকে দেখতে চাস আজ থেকে সে ছুটিকে দেখতে পাবি। নিজের বদল দরকার আবারও।

– মানে? ছুটি বলে বিস্ময় নিয়ে।
– আমি আজ খান বাড়িতে যাবো। ছুটির মুখে এই কথা শুনে ছায়া বলে সত্যি তুই যাবি আপাই? সেই যে এসেছিস ও বাড়ি থেকে এরপর তো আর কেউ তোকে নিয়ে যেতে পারেনি সেখানে। ইলহাম ভাবিও কত বার দেখতে চেয়েছিলো তোকে৷ তুই তাও যাসনি।

– ও সব কথা থাক ছায়া! আমি আর অতীত নিয়ে ভাবতে চাইনা। আমার রানীমার সাথে কথা আছে। এই বিয়ে যে হচ্ছে না সেটা তো উনাকে জানাতে হবে। তুই এদিকটা সামলে নিস কেমন?

— তুই কিছু চিন্তা করিস না৷ আমি বুঝিয়ে বলবো সবাইকে। তুই এখন যা। ছুটি মুচকি হেসে রেডি হতে যায়।

—————————–

-” মমতা খানের চোখে চোখ রেখে বসে আছে ছুটি। বিয়েটা হচ্ছে না শুনে মমতা খান অনেক আপসেট হয়ে যান৷ এইতো সব ঠিক করলো সে আবারও সব ভেস্তে গেলো। তাশরিফ তার সিদ্ধান্তে বজায় থাকলো।

— আমার ছেলেটার কি হবে ছুটি? ওকে কিভাবে বোঝাবো ও যা করছে সেটা ভুল। আমি আছি ওর জীবনে একবারও ভাবছে না এটা। আমি ভেবেছিলাম তোর সাথে বিয়ে দিতে পারলে তাশরিফ অন্তত এটা বুঝতে পারবে তার সাথে আরেকটা জীবনও জড়িয়ে আছে এখন৷ তাই তার থাকাটা জরুরি। যে হেয়ালিপণা করছে ও এই বিষয় নিয়ে সেটা থেকে বেরিয়ে আসা দরকার। ও যে নির্দোষ এটা সবার সামনে আসা দরকার। কিন্তু এখন সেটাও বন্ধ হয়ে গেলো। আমি মনে হয় আর বাঁচাতে পারবো না আমার ছেলেটাকে। মমতা খান ভেঙে পড়েন অনেক।

– আমি থাকতে এমন কিছু হবে না রানীমা। আমি বিয়ে করবো না বলেছি তার মানে এই নয় আমি উনার জীবন থেকে উনার থেকে আবারও দূরে সরে যাবো। আমি উনাকে দিয়ে স্বীকার করাবো সব। উনি নত হবেন, নিজের ভালো অবশ্যই বুঝবেন।

– ছুটির কথায় যেনো ভরসা পাই মমতা খান। আশাপ্রদ হয়ে বলে সত্যি পারবি মা তুই?

– চেষ্টা তো করতে পারি তাই না। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আজ থেকে আমি এখানেই থাকবো উনার আশেপাশে থাকবো উনাকে স্বাভাবিক জীবনে নিয়ে আসার চেষ্টা করবো। মমতা খান স্বস্তি পাই আবারও।

— আচ্ছা রানীমা একটা কথা, উনার জন্য কি কোনো উকিলই ঠিক করা গেলো না? ছুটি বলে চিন্তিত কন্ঠে।

– কেউ রাজি না। অনেক টাকা অফার করেছি তাও কেউ রাজি হয়নি৷ সবার এক কথা তাশরিফই দোষী। ওকে নাকি ফাঁসির হাত থেকে কেউ বাঁচাতে পারবেনা৷ মমতা খানের চোখে পানি।
– তাহলে কি করে হবে! একজনকে তো দরকার উনার কেস লড়ার জন্য।
— তবে তুমি চিন্তা করো না ছুটি। একজন আছে যে তাশরিফের কেস লড়বে। মমতা খানের কথায় ছুটি উত্তেজিত কন্ঠে বলে কে সে রানীমা?
রোহান!

— রোহান? ভ্রু কুচকে বলে ছুটি।
– হ্যাঁ রোহান। আমার ভাতিজি,লন্ডনে থাকে৷ কিছুদিন আগেই ব্যারিস্টারি পাশ করেছে সেখানে। রোহান তাশরিফের কেসটা লড়তে চাই। কিন্তু ওকে এখানে এসে আদালতে কেস লড়তে দেবে কি-না প্রথমে সেটা নিয়ে সন্দেহ আছে। তাছাড়া তাশরিফের কেসটা অনেক জটিল। হতাশা নিয়ে বলেন মমতা খান।

– কেনো দেবে না৷ এখানে এসে কেস লড়ার জন্য দরখাস্ত দিলে তো হবে। হাইকোর্ট অবশ্যই সিদ্ধান্ত নেবে। ছুটি বলে উৎসাহ নিয়ে।
— উনি কবে আসবেন? কেস আদালতে উঠতে বেশি দেরি নেই আর।
— আসবে দুদিনের মধ্যে হয়তো। এখানে আসার সব বন্দোবস্ত হয়ে গেছে ওর।
— ওহ” তাহলে রানীমা আমি এখন উঠি। ছুটি উঠে দাঁড়ায়।

– আমি তোমার জন্য ঘর রেডি করে রাখছি। সন্ধ্যার দিকে চলে এসো তাহলে! সাথে ছায়াকেও নিয়ে এসো।
– না রানীমা৷। ছায়াসহ এখানে থাকলে হবে না। বাবা-মা বাড়িতে একা থাকে। ওদের দেখার জন্য তো একজন প্রয়োজন।

– তা ঠিক, আমি সন্ধ্যায় আবিরকে পাঠিয়ে দেব তুমি ওর সাথে চলে এসো। মমতা খানের কথায় ছুটি জ্বি বলে চলে যায়। মমতা খান একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে। চাপা আর্তনাদ সে দীর্ঘশ্বাসে।

— ছুটির কাছ থেকে এসে তাশরিফ বাড়ি ফিরেনি সারাদিন। মমতা খান ফোনে ট্রাই করে অনেকবার কিন্তু লাভ হয়নি। বারবারই ফোন সুইচ-অফ দেখিয়েছে। তাশরিফের যাওয়ার মতো নির্দিষ্ট কোনো জায়গা নেই। যেখানে খোঁজ নেবে তাশরিফের। আবির প্রায় সময় তাশরিফের সাথে থাকে কিন্তু আজ অফিসের কাজে বাইরে যেতে হয়েছিলো তাকে। তাই তাশরিফ কোথায় গেছে সেও জানে না।

-ছুটি রেডি হয় খান বাড়িতে আসার জন্য। বাড়িতে এসে বাবা মাকে বোঝায় ভালো করে। ছায়া অবশ্য আগেই বলে রেখেছিলো সব। বোঝানোর পর আরমান তালুকদার আর ছাবিনা তালুকদার বুঝতে পারে যে তাশরিফ যখন এই বিয়েতে রাজি না তখন এই বিয়ে না হওয়া ভালো। কৃতজ্ঞা দেখাতে গিয়ে নিজের মেয়ের জীবন নষ্ট করতে পারেনা তারা। বিয়ের জন্য তারা তো রাজি ছিলো এমনকি ছুটিও দ্বিমত করেনি আর। এখন আর কোনো দায় নেই তাদের এই নিয়ে।

— কত দিনের জন্য যাচ্ছিস আপাই? ছায়ার কথায় ছুটি ছায়ার দিকে এক পলক তাকিয়ে ব্যাগ গোছাতে গোছাতে বলে তা জানি না৷ তবে কাজ না হওয়া পর্যন্ত তো থাকছি ।
– আমি তো একা হয়ে গেলাম! মন খারাপ করে বলে ছায়া।
– কাল যদি উনার সাথে আমার বিয়েটা হয়ে যেতো তখন কি একা হইতিস না? ছায়া চমকানো চোখে তাকায়৷ সত্যি এটা তো ভেবে দেখেনি সে।

– গাল ফুলিয়ে তাকায় ছায়া কিন্তু কিছু বলে না মুখে।। -ছুটি তোমার হলো! আবির আসে ঘরে।
– আবির তুমি? কখন আসলে? এই তো আমার হয়ে গেছে প্রায়।।

– আমিও মাত্র আসলাম। কি রে কানি যাবি নাকি ওই বাড়ি?
– ছায়ার রাগ হয় আবিরের কথায়। এই একটা মানুষ যে ছায়াকে বারবার মনে করিয়ে দেয় তার চোখে সমস্যা সে সত্যি একজন অন্ধ চশমা ছাড়া।
– ছায়া মুখ ভেংচি কেটে ঘুরিয়ে নেয়। আবির মুচকি হাসে।

— তুই চশমা ছাড়া দাঁড়িয়ে কেনো আছিস। যা এখুনি চশমা পড়৷ নয়তো কোথায় আবার হুমড়ি খেয়ে পড়বি তখন আমাকেই ছুটে আসতে হবে তোকে নিয়ে হসপিটাল।
– ভালো হবে না কিন্তু আবির ভাইয়া। আপনি না অনেক পঁচা ধ্যাত! আপাই তুই কিছু বলবি না লোকটাকে।

– ছুটি হাসে ওদের কান্ডে। প্রথম থেকে আবির ছায়ার পেছনে লাগে৷ ছোট থাকতে ছায়া কেঁদে দিতো অল্পতে৷ তেমন আবিরও ছায়াকে রাগাতে ভালোবাসতো৷ আজও একই রয়ে গেছে ওদের সম্পর্ক।
এটা কিন্তু ঠিক হচ্ছে না আবির। তুমি আমার বোনটার পেছনে কেনো লাগছো হুম! জানো কত্ত কিউট লাগে আমার বনুটাকে চশমায়। ছুটি হাসি থামিয়ে বলে।

-তুমি আর মিথ্যা শান্তনা দিও না ওকে ছুটি। যত যাই বলো কানি তো কানিই! ছায়া এবার ভীষণ রেগে যায়। দাঁতে দাঁত চেপে বলে আজ আমি মে:রেই ফেলবো ইনাকে, ছায়া রেগে গিয়ে টেবিলের উপর থাকা কাচের গ্লাস তুলে। তাই দেখে ছুটি হকচকিয়ে উঠে বলে কি করছিস ছায়া লেগে যাবে তো।

এই রে চাশমিস ক্ষেপে গিয়েছে, আমি পালাই। ছুটি তুমি এসো আমি গাড়ির কাছে আছি বলে আবির ছুট লাগায়৷ ছুটি শব্দ করে হেসে উঠে। এদিকে ছায়া রাগে ফুসতে থাকে এখনো ।

তুই একদম হাসবি না আপাই! সব সময় উনি এমন করে আমার সাথে।
– তুই রাগ কেনো করিস উনার কথায় তাই তো তোকে রাগায়। তাছাড়া আবির কেমন জানিস না। ছোট থেকে তোর পেছনে লাগা স্বভাব। ছুটি আবারও হাসে।

– আমি তো পরে দেখে নেবো উনাকে। একবার যাই ওই বাড়ি তারপর বোঝাবো।

– আচ্ছা বাবা হয়েছে৷ আমি এখন বের হয়। সাবধানে থাকিস কেমন। আর যখন ইচ্ছে করবে ওই বাড়ি যাস৷ আমিও মাঝেমধ্যে আসবো বাড়িতে। ছুটি বলে ছায়ার গালে হাত রেখে।

— All The Best আপাই! ছুটি মুচকি হাসে।

— পরের দিন..
– ছুটি ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করে সবার জন্য। সকাল প্রায় ৯ টা বাজে। ছায়া এক কাপ ব্ল্যাক কফি নিয়ে তাশরিফের ঘরের দিকে আসে। গতকাল অনেক রাতে ফিরেছে সে। ছুটি যে এখানে এসেছে জানে না৷ তবে তার আর ছুটির বিয়ে যে হচ্ছে না এটা সে জানে।

— ছুটি তাশরিফের ঘরে এসে কফির কাপটা টেবিলে রাখে। তাশফিরের ঘর সব সময় খোলা থাকে মানে দরজা ভেজানো থাকে। ছোট থেকে দেখে আসছে ছুটি এমন। তাই আজও যে এর ব্যতিক্রম থাকবে না এটা ছুটি জানতো।
– নিষ্পাপ ঘুমন্ত মুখ! উপুড় হয়ে শুয়ে গালের নিচে এক হাত দিয়ে ঘুমাচ্ছে তাশরিফ। জানালার পর্দা টানা যার জন্য মনে হচ্ছে এখনো রাতের আঁধার কাটেনি। আর সে সুবাদে নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে তাশরিফ। ছুটি গিয়ে পর্দাগুলো সরিয়ে দেয়। সমস্ত রোদ ঢুকে পড়ে ঘরে। রোদের ছটায় চোখ কুচকে আসে তাশরিফের…

চলবে…

❌কপি করা নিষেধ ❌ ভুলক্রুটি মাফ করবেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে