#শুধু তুই#
#Part_17
Writer_ Raidah Islam Nova
ডেনেল জে স্কিনার ও মা জেনিফার এলবার্ট একমাত্র ছেলে ফারিশ জে স্কিনার।ডেনেল ও জেনিফার ভালবেসে বিয়ে করেছিলো।ডেনেলের পরিবার মেনে নিলেও জেনিফার পরিবার মেনে নেয়নি।কারণ ডেনেলদের আর্থিক অবস্থা ভালো ছিলো না।যেখানে জেনিফার পরিবারিক নামকরা বিজনেস ছিলো সেখানে ডেনেল ছোট একটা ফলের দোকান চালাতো।তাদের সম্পর্কটা কলেজ থেকে শুরু হয়ে ভার্সিটিতে গিয়ে বিয়ের মাধ্যমে শেষ পরিনতি পায়।জেনিফার সব ছেরে ডেনেলের হাত ধরে যেদিন বের হয়ে গিয়েছিলো সেদিন তার পরিবার তাকে একটা কথাই বলেছিলো তুমি ২য় বার এই বাড়িতে ঢুকতে পারবে কিন্তু তুমি যদি ডেনেলকে ছেরে দেও।কোন কথা না শুনেই সে তার ভালবাসার মানুষের কাছে চলে এলো।
ডেনেল ছোট থেকে বড় হওয়া পর্যন্ত অনেক কষ্ট করেছে। চার্চে খুব অনরম্বর ভাবেই তাদের বিয়েটা সম্পন্ন হয়।দুজনের ছোট্ট একটা সংসার।ডেনেলের বাবা- মা,দুই ভাইবোন গ্রামে থাকে।১ম, ১ম কষ্ট হলেও জেনিফার নিজেকে মানিয়ে নেয়। তাদের বিয়ের দুই বছরের মাথায় জন্ম নেয় ফারিশ।বাবা-মা দুজনেই ভীষণ খুশি ফারিশকে নিয়ে। ওর বদামী কালার চুল ও বিড়ালের মতো চোখ দুটো দেখতে অপূর্ব। তার চোখ দুটোর কারণে সে সবার কাছে পরিচিত ছিলো মিনি কেট।মানে ছোট বিড়াল। ফারিশের বয়স যখন ১০ বছর তখন থেকে তার বাবা-মা দুজনের সাথে প্রায় ঝামেলা লেগে থাকতো।দিনকে দিন শুধু কোলহ,ঝগড়া, এমন কি ওর মায়ের গায়ে হাত তোলা পর্যন্ত শুরু হয়ে গেলো।দুজনের মধ্যে মিস আন্ডারস্টেনডিং লেগেই থাকতো।ছোট্ট ফারিশের এসব মোটেও ভালো লাগতো না।ঝামেলা বাড়তেই লাগলো।এক পর্যায়ে এমন একটা জায়গায় গিয়ে থামলো যে দুজনেই ডির্ভোসের সিদ্ধান্ত নেয়। ফারিশকে তারা দুজনের কেউ চায় না।১২ বছর বয়সী ফারিশ সেদিন চার্চে গিয়ে অনেক প্রে করেছিলো যাতে তার বাবা-মা এটা না করে।তা আর হলো না।তার বাবা-মা আলাদা হয়ে গেল।তারপর থেকে ফারিশ কখনও চার্চে সিড়িতে ও পা রাখেনি।যেদিন ওর বাবা-মা আলাদা হয়েছিল সেদিন ছোট্ট ফারিশ কাঁদতে কাঁদতে তাদের কাছে একটা আর্জি জানিয়ে ছিলো।
ফারিশঃ ডোন্ট ডু দিস পাপা,মাম্মা। আই লাভ ইউ সো মাচ।প্লিজ ডোন্ট সেপারেট।ইউ আর মাই হার্ট।আই নিড ইউর লাভ।মাম্মা, পাপা নোট গো এয়ো।প্লিজ ডোন্ট ডু দিস।
কিন্তু তারা তাদের ছেলেটার কথা শুনলো না।তার বাবা তাকে “সেন্ট জোসেফ ” এতিমখানায় রেখে এলো।কারণ দুজনের কেউ তাদের সন্তান চায় না।বাবা-মা থাকতেও সে আজ এতিম। সেখানেই পরিচয় জনের সাথে । তার বাবা- মা দুজনেই কিছু দিনের মধ্যে বিয়ে করে সংসার শুরু করে দেয়। তাদের বলির পাঠা হয় ছোট্ট ফারিশ।ফাদার জুনিয়েট বাংলাদেশ থেকে একটা কাজের জন্য ইংল্যান্ডে গিয়েছিলেন।ফিরে আসার সময় সেন্ট যোসেফে ঘুরে আসতে গিয়েছিলেন।সেখানে তার জন ও ফারিশকে দেখে খুব পছন্দ হয়।ওরা দুজন ছিলো খুব ভদ্র ও শান্ত। যার কারণে সবাই ওদের পছন্দ করতো।ফাদার জুনিয়েট ওদের বাংলাদেশ নিয়ে আসতে চায়।ওরা দুজন রাজী হয়ে যায়।সেখানকার কতৃপক্ষ কে বলে নিজ দায়িত্বে ওদের বাংলাদেশ নিয়ে আসে।নিজের ছেলের মতো লালন-পালন করতে থাকে।
???
ফারিশ আজ সারাদিন বিজি।আজকে ওদের ফাদার যে এতিমখানাটা চালায় সেটা সাজাচ্ছে।আজ তার টুনটুনি পাখিকে এখানে এনে বড় করে সারপ্রাইজ দিবে সাথে ফিল্মি স্টাইলে প্রপোজ করবে। মেহেদী, জন,আরো অনেকে মিলে সব কাজ গুছাচ্ছে।হঠাৎ একটা সাদা গাড়ি এসে গেইটের সামনে থামলো।গাড়ি থেকে নাহান বের হয়ে এলো।নাহানকে দেখে মেহেদী ছুটে গিয়ে জরিয়ে ধরলো।
মেহেদীঃ ভাইয়া, তুমি এখানে?
নাহানঃ একটা কাজে এসেছি।ফারিশ কোথায়?
জনঃ কেন নাহান? এনি থিং রং?
নাহানঃ ওকে একটু ডাকো। আমার দরকার আছে ওর সাথে। ( সিরিয়াস হয়ে)
ফারিশঃ মেহেদী কে এসেছে?
ফারিশ ভেতর থেকে বের হয়ে এলো।
ফারিশঃ আপনি?
নাহানঃ তোমার সাথে আমার কথা আছে।
ফারিশঃ কি কথা?
নাহানঃ আগামী পরশু আমার এনগেজমেন্ট।
ফারিশঃ কার সাথে? ( ভয় পেয়ে)
নাহানঃ আমার ভালোবাসার মানুষের সাথে।
ফারিশঃ কি নাম তার?( কাঁপা কাঁপা কন্ঠে)
ফারিশ ভয় পেয়ে গেলো।ও ভাবছে আইভীর সাথে নাহানের এনগেজমেন্ট।
নাহানঃ ওর নাম তৃণা।জার্মান থাকতে আমাদের সম্পর্ক শুরু হয়ে। আমার বাবার বন্ধুর মেয়ে। আমি চাই তুমি ও জন দুজনেই আমার এনগেজমেন্ট পার্টীতে এটেন্ড করো।আমি অনেক আশা নিয়ে এসেছি। প্লিজ আমাকে ফিরিয়ে দিও না।
ফারিশঃ আমরা নিশ্চয়ই যাবো।
নাহানঃ থ্যাংক ইউ।আমি সত্যি অনেক খুশি হবো তোমরা এটেন্ড করলে।
নাহান হেন্ডসেক করে চলে গেল।গেইটের কাছে যেতেই ফারিশ পেছন থেকে ডাক দিলো।
ফারিশঃ নাহান
নাহানঃ কিছু বলবে?
ফারিশ কোন কথা না বলে নাহানকে জড়িয়ে ধরলো।ফারিশের মনে ভীষণ অপরাধবোধ কাজ করছে।সে আইভী ও নাহানকে নিয়ে কিভাবে বাজে সন্দেহ করতে পারলো?সত্যি নাহান খুব ভালো ছেলে।নাহান ফারশের কান্ডে অবাক হয়ে গেলো।হলোটা কি ওর? কখনো তো সামনে এসে কথাটা পর্যন্ত বলতো না।আর আজ জরিয়ে ধরেছে।
ফারিশঃ বেস্ট ওফ লাক।
ফারিশ নাহানকে ছেরে দিয়ে ভেতরে ঢুকে পরলো।নাহান কিছু সময় দাঁড়িয়ে থেকে গাড়িতে উঠে গেল। অনেক কাজ বাকি আছে।হাতে মাত্র আজকে ও কালকের দিন।
???
গতকালের বিকালে আইয়ু কোথায় তারাহুরো করে গিয়েছিলো কে জানে?এশা হাজার জিজ্ঞাসা করেও তার উত্তর পায় নি।গতকাল সেখান থেকে ফেরার পর একটা কথাও কারো সাথে বলেনি।চুপচাপ মুর্তির মতো বসে আছে। বিকালে আইভী বিষন্ন মনে বারান্দায় বসে আছে।
আজ আমি ভার্সিটিও যায় নি।কিছুই ভালো লাগে না।এশা হাতে একটা গিফট বক্স নিয়ে ঢুকলো।
এশাঃ নে ধর এটা তোর?
আমিঃ (নিশ্চুপ)
এশাঃ ধরছিস না কেন? এটা পরে তৈরি হয়ে নে আমরা একটু বের হবো।
আমিঃ আমি কোথাও যাবো না।
এশাঃ প্লিজ এমন করিস না।চল।
শেষ পর্যন্ত এশার জোরাজুরিতে উঠতেই হলো। বাক্সটা হাতে নিয়ে খুললাম।ভেতরে একটা হালকা মিষ্টি কালারের গাউন।গাউনটা হাতে নিয়ে বসে আছি।এটা যে ফারিশ পাঠিয়েছে তার বিন্দু মাত্র সন্দেহ নেই।
এশা ঠেলে – ধাক্কিয়ে আমাকে ওয়াশরুমে ঢোকালো।আমি ঐ টা পরেই বের হলাম।সাথে মিষ্টি কালারের একটা হেজাব বাধলাম।
এশাঃ তোকে তো অনেক সুন্দর লাগছে।মাশাল্লাহ। আল্লাহ কারো নজর না লেগে যায়।আজ তো ফারিশ তোর উপর ক্রাশ খাবেই খাবে।
অন্য সময় হলে আমি কিছু একটা বলতাম।কিন্তু এখন চুপ করে রইলাম। এশা হালকা আকাশি কালার গাউন পরেছে।সাথে ঐ কালারের হেজাব।আমি শান্ত কন্ঠে এশাকে জিজ্ঞেস করলাম।
আমিঃ আমরা কোথায় যাচ্ছি?
এশাঃ গেলেই দেখতে পারবি।
আমিঃ না বললে আমি যাবো না।
এশাঃ আইয়ু প্লিজ ত্যারামী করিস না।বললাম তো গেলেই দেখতে পারবি। তোর জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে।
আমিঃ আমার জন্য আবার সারপ্রাইজ।আমি এভাবেই অনেক বড় সারপ্রাইজ পেয়ে বসে আছি।
কথা গুলো বলে একটা তাচ্ছিল্যের হাসি দিলাম।এশা কোনোমতে চাচীকে ম্যানেজ করে আমাকে নিয়ে বাসা থেকে বের হলো।সন্ধ্যা শেষ হয়ে প্রায় রাত হয়ে আসছে।রাস্তা থেকে রিনিকে ও সাথে নিয়ে নিলাম।তিনজন মিলে কোথায় যাচ্ছি কিছুই বুঝতে পারছি না। রিনি আজ খয়েরী রঙের গাউন পরেছে।সাথে ঐ কালারের হিজাব বাধা।এটা বোধহয় মেহেদী গিফট করেছে।
???
ফারিশ আজ অনেক খুশি। কিছুখনের মধ্যে সে তার আইভী কে তার মনের কথা জানাতে পারবে।ফারিশের পরনে কালো কোর্ট- প্যান্ট।সাথে ম্যাচ করে কালো জুতো,ঘড়ি ও সানগ্লাস। চুলগুলো জেল দিয়ে সেট করা।জনের পরনে কফি কালার ও মেহেদীর পরনে সাদা কালারের কোট- প্যান্ট।তিনজনকেই আজ খুব সুন্দর লাগছে। সারা এতিমখানা বেলুন, ফুল ও পার্টি জালি কাপড় দিয়ে ডেকেরোশন করা। এতিম খানার সব বাচ্চারা আজ নতুন জামা-কাপড় পরেছে।সবাইকে জামা- কাপড় থেকে শুরু করে ডেকরেশন পর্যন্ত তিন বাঁদর করেছে।জন বাচ্চাদের সাথে ছবি তুলছে। ফারিশ সবকিছু আবার চেক করে দেখছে সবকিছু ঠিক আছে কিনা। মেহেদী এক কোণায় মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে আছে। চোখ দুটো তার পানিতে টলমল করছে। দুপুর অব্দি তো সব ঠিক ছিলো। একটা ফোন এসে ওর সব আশা,স্বপ্ন, ভালবাসা চুরমার করে দিলো।সে আজ হেরে গেছে পরিস্থিতির কাছে।
আমাদের রিকশাটা এতিমখানার সামনে গেইটের কাছে থামলো।আমি কিছু বুঝতে পারছি না।ভাড়া মিটিয়ে গেইটের ভেতরে ঢুকলাম। সবকিছু ঘুটঘুটে অন্ধকার।আমি গেইটের ভেতর পারা দিতেই কিছু একটার সাথে বেজে পরে যেতে নিলাম।সাথে সাথে সারা এতিমখানা লাইট জ্বলে উঠলো। সামনে তাকিয়ে দেখি বিশাল বড় একটা সুইচ।ঐ টা পা বেজে পরে যাচ্ছিলাম।অনেকগুলো গোলাপের পাপড়ি এসে পরলো আমাদের গায়ে।সামনে তাকিয়ে দেখি গেইটের দুই পাশ দিয়ে ছোট ছোট বাচ্চারা গোলাপের পাপড়ি ভর্তি ডালা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সবাই আমাদের ওপর পাপড়ি ছুড়ে মারছে।কিছু সামনে এগিয়ে যেতেই আরেকটা বাচ্চাদের লাইন।তারা সিরিয়াল বাই সিরিয়াল আমাদের দিকে এগিয়ে আসছে।সবার হাতে টকটকে লাল গোলাপ। একজন একজন করে আমাদের তিনজনকে গোলাপ দিয়ে যাচ্ছে। আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছি চারপাশে। কি সুন্দর করে ডেকরেশন করা। আমার মন ভালো হয়ে গেল।
আমাদের হাত ভর্তি গোলাপ।এখনো বাচ্চারা আমাদের ওপর পাপড়ি ছিটাচ্ছে।আরেকটু সামনে যেতেই তিনটা লাল ফ্রক পড়া ছোট বাচ্চা মেয়ে আমাদের সামনে এসে আমাদের হাত ধরে ভেতরে নিয়ে গেল।বাচ্চা তিনটা একি রকম,একি কালার ফ্রক পরেছে।একি ভাবে সেজেছে। তিনজনই দেখতে বেশ কিউট।আমাদের হাত ধরে ভেতরে একটা ছোট বাগানে এনে বাচ্চা তিনটা হাত ছেরে পেছনে দৌড় দিলো।সামনে তাকাতেই আমরা তিনজন তিনটা ছেলেকে পেছন দিকে ঘুরে থাকতে দেখলাম।
???
ফারিশ,জন,মেহেদী পেছন থেকে ঘুরে ওদের তিনজনকে দেখে হা করে তাকিয়ে রইলো। পূর্ব দিকে তিনটা ছোট টেবিল।দুটো করে চেয়ার রাখা। টেবিলের ওপর থেকে তিনটা গোলাপ ফুলের তোড়া নিয়ে এসে তিনজন হাঁটু গেড়ে আমাদের সামনে বসলো।
ফারিশঃ অনেক দিন ধরে তোমায় একটা কথা বলবো ভাবছি।যদিও কাল সেটা বলে দিয়েছি।আই লাভ ইউ। ডু ইউ লাভ মি? যেদিন তোমাকে দেখেছিলাম সেদিন নিজের ওপর জিদ করে নিজেকে শেষ করে দিতে চেয়েছিলাম।কিন্তু তোমাকে দেখে থেমে গিয়েছি।ভেবেছি তোমার জন্য আমার বাঁচতে হবে।আমার অস্তিত্ব, ভালবাসা,স্বপ্ন, ইচ্ছা,আকাংখা #শুধু তুই #
আই রিয়েলি লাভ ইউ। তোমার জন্য আমি মুসলিম হয়ে যাবো।একবার তুমি শুধু মুখ দিয়ে বলো তুমি আমাকে ভালবাসো।আমি আমার জাত,ধর্ম,বর্ন সব ছেরে চলে আসবো তোমার কাছে।একবার তুমি রাজী হয়ে যাও।
আমি পাথরের মতো মুখে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কোন শব্দ মুখ দিয়ে বের হচ্ছে না।
জনঃ এশা এবারও কি আমায় ফিরিয়ে দিবে।আমি সত্যি তোমাকে অনেক ভালবাসি।তোমার জন্য আমিও মুসলিম হয়ে যাবো। প্লিজ তুমি আমাকে একসেপ্ট করে নেও।
এশা জনের হাত থেকে তোড়াটা নিলো।ওকে দাঁড়া করিয়ে জরিয়ে ধরলো।
এশাঃ আমিও আপনাকে অনেক ভালবাসি।
মেহেদীঃ রিনি তুমি কি আমাকে ভালোবাসো?ভালোবাসো কিংবা না বাসো তুমি আমার।চাইলেও কেউ তোমাকে আমার থেকে আলাদা করতে পারবে না। আমি তোমাকেই বিয়ে করবো।আই লাভ ইউ রিনি।
রিনিও মেহেদীর হাত থেকে ফুলের তোড়াটা নিয়ে মেহেদীকে জরিয়ে ধরলো।
রিনিঃ আমি আপনাকে ভালোবাসি।কিন্তু আপনি কোথায় আর আমি কোথায়? আপনার পরিবার কখনো আমাকে মেনে নিবে না।
মেহেদীঃ সেটা আমার ব্যাপার তোমায় চিন্তা করতে হবে না।
ফারিশ এখনো অধীর আগ্রহ নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি মনে ভেতর সব কষ্ট জমিয়ে রেখে কান্না চেপে রেখে বললাম।
আমিঃ আমি সরি।আপনাকে আমি ভালোবাসি না।কোথায় আমি আর কোথায় আপনি? আপনি মুসলিম হলেও আমি আপনাকে বিয়ে করবো না।আপনাকে আমার জন্য মুসলিম হতে হবে না।
কথাগুলো বলে এক মিনিট ও দাঁড়ালাম না।দৌড়ে সেখান থেকে চলে এলাম।একটা রিকশা নিয়ে চোখ মুছতে মুছতে বাসার উদ্দেশ্য রওনা দিলাম।
আইভী আজ এমন কথা বলবে সেটা ফারিশ জীবনে ও ভাবে নি।হাতে থাকা গোলাপের তোড়াটাকে দুমড়ে মুচড়ে ছুড়ে ফেলে দিলো।গলার টাইটা খুলতে খুলতে ধীর শান্ত পায়ে গেইট দিয়ে বের হয়ে গেল।চোখ দুটো তার লাল হয়ে পানি টলটল করছে।
( চলবে)
#