#শুধু তুই#
#Part_15
Writer_ Raidah Islam Nova
এক মুহূর্তে দেরী না করে আইভিকে নিয়ে গাড়িতে উঠে গেলো আরোশ। গাড়িতে উঠেই আইভিকে ওর পাশের সিটে বসিয়ে গাড়ি স্টার্ট দিলো।মুখে তার টেডি স্মাইল। এক হাত দিয়ে গাড়ি চালাচ্ছে আরেক হাতে ফোন বের করে কাউকে কল করলো। যাকে ফোন করছে সে আর কেউ নয় তখনকার অন্ধকার রুমে থাকা ব্যাক্তিটা।
আরোশঃ আমি আমার জিনিস পেয়ে গেছি। এবার তুমি তোমার কাজ হয়ে যাবে।আমি তোমাকে অবশ্যই সাহায্য করবো।
ফোনের অপর পাশে থাকা ব্যাক্তিটা বললো—
আমি নিজের স্বার্থ ছারা কাউকে সাহায্য করি না।তোমাকে তোমার কাজ বুঝিয়ে দিয়েছি।তুমি তোমার কাজ করো।
আরোশঃ নো টেনশন,আমি কথা দিয়ে কথা রাখি।তুমি আমাকে এতো দামী একজনকে গিফট করলে আর আমি তোমাকে হেল্প করবো না।তা কি করে হয়?
ব্যাক্তিটা বললো—
তুমি ওর গায়ে একটা আঁচড় ও দিবে না।
আরোশঃকেন?
—-কারণ তোমার সাথে আমার ডিল হয়েছে আমার কাজ শেষ হলেই তুমি আইভিকে পাবে।তার আগে তুমি ওর হাতের নখ ও বাজে ভাবে স্পর্শ করতে পারবে না।
আরোশঃ কিন্তু….
—- কোনো কিন্তু নয়।যেটা কথা হয়েছে সেটাই করবো।এখন তুমি শুধু ওর ব্রেন ওয়াশ করবে ফারিশের নামে।যতে ফারিশকে আইভি যতটা পছন্দ করে তার থেকে ১৪ ডবল বেশি ঘৃণা করে।
আরোশঃওকে।আমি আমার কথার খেলাপ করি না।
—- গুড জব।আই উইশ ফোর ইউ।ফারিশ আমার, আইভি তোমার।কখনো আমি ওদের এক হতে দিবো না। এখন শুধু সঠিক জায়গায় গুটি চালা বাকি
এখন আইভিকে নিয়ে কোথায় যাচ্ছো?
আরোশঃআপাতত আমাদের গেস্ট হাউসে।পরে না হয় ওকে নিয়ে বিদেশ পারি দিবো।
— আমি বারবার বারণ করছি ওর সাথে উল্টো- পাল্টা কিছু করবে না।সময় হলে আমি নিজেই ওকে তোমার হাতে তুলে দিবো।যে কাজের জন্য নিয়ে যেতে বলেছি সেটা করো।যদি কোনো এসপার-ওসপার হয় তাহলে আমার থেকে ভয়ানক খারাপ আর কেউ হবে না।তোমাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতেও আমি ২য় বার ভাববো না কথাটা মাথায় রেখো।
আরোশঃ ওকে সবকিছু তোমার কথামতোই হবে।আমার শুধু আইভিকে পেলেই চলবে।আর কিছু লাগবে না।ওকে নিয়ে আমি বিদেশে চলে যেতে চাই।তুমি আমাকে এক সপ্তাহ আগে যখন ছবি পাঠিয়েছিলে তখনই আমি আইভিকে পছন্দ করে ফেলেছি।তখনই পণ করে নিয়েছিলাম যে কোন কিছুর বিনিময়ে আমার ওকে চাই। তাই তো তোমার অফার আমি সদরে গ্রহণ করে নিয়েছি।বলতে পারো আইভীর প্রেমে আমি হাবুডুবু খাচ্ছি।
—– হাবুডুবু খাও আর যাই করো আমার কাজ হওয়া চাই। ভালো থেকো।বিদায়।
ফোনটা রেখে অচেনা মানুষটা কিছুটা গম্ভীর হয়ে বললো—-
আমায় তুমি বোকা পেয়েছো আরোশ আহমেদ। আমি তোমার হাতে আইভীকে তুলে দেই আর তুমি আমার কাজ না করে ওকে নিয়ে জার্মান পারি দেও।আমি আমার ক্ষেত্রে খুব সেয়ানা।নিজের ভালো তো পাগলেও বুঝে।আর আমিতো সুস্থ মানুষই।এট এনি কোস্ট আমার শুধু ফারিশকে চাই।
???
প্রায় সন্ধ্যা হয়ে এসেছে।কালো গাড়ি থেকে আইভি একরাশ বিষন্ন মনে বের হলো।আজ তার ফারিশকে নিয়ে সব স্বপ্ন শেষ।ঘন্টা খানিক আগে ও সব ঠিক ছিলো।এমনটা ভেবে আরোশ মনে মনে খুশি হলো।যাক যা বলেছে তাতে আইভী জীবনেও ফারিশের সাথে কথা ও বলবে না।গাড়ি ঘুরিয়ে চৌধুরী বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলো।এয়ারপোর্ট থেকে ফোন পেয়ে এক মিনিট ও দেরী করে নি।গাড়ি নিয়ে একটানে ভার্সিটি চলে গেছে।আইভি পেছন ঘুরে আরোশের গাড়ি না দেখে খুশি হয়ে পাগলু ডান্স দিলো।
আমিঃ বেডা,আমারে কি বোকা পেয়েছো? নাকি হিন্দি সিরিয়ালের নায়িকা ভাবো যে যা বলবে তাই বিশ্বাস করবো।হনুমানের নাতি, কুমির শালা, বিলাইয়ের বাচ্চা, গরিলার দুলাভাই, তেলাপোকার নানা,পেত্নীর জামাই?। তোর জীবনে বউ জুটবে না কপালে।আমি দোয়া করে দিলাম।আইভীর কথা কখনও ভুল হয় না।মিলিয়ে নিস।আরোশ নাকি নারোশ কি জানি নাম? নিজেকে কি ভাবে কে জানে?আমাকে কিডন্যাপ করে নিজেকে বড় হিরো ভাবিস?ফারিশ জানতে পারলে তোর কি হবে তোর ধারণার বাইরে।একবারে মেরে টিনের চালে রোদে দিয়ে রাখবে।আমাকে ফারিশের নামে ভুজুংভাজুং বুঝিয়ে দিবে আর আমি ফিটার খাওয়া বাচ্চা তাই বিশ্বাস করে নিবো।আল্লাহ যদি কবুল করে নেয় তাহলে আমি ফারিশকেই বিয়ে করবো।দেখে নিস তুই।বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা।
এশা বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখলো আইভি একা একা কি যেনো বলছে আর বির বির করছে।সারা বিকাল ওকে খুঁজতে খুঁজতে হয়রাণ।ভার্সিটিতে ভেবেছিলো বাসায় ফিরে এসেছে।বাসায় এসে দেখে সেখানে নেই।ফারিশ,জন,মেহেদী, রিনি,এশা ও ওর বাসার সবাই খুঁজে পাগল প্রায়। ফারিশের এমন অবস্থা হয়েছে যে কিছু খন পরে পাগলা গারদে পাঠাতে হতো ।এশা ফোন করে ফারিশকে বললো আইভি বাসায় ফিরেছে।ফারিশের জীবনটা যেনো ফিরে এলো। এতখনে সারা ঢাকা মাথায় তুলে ফেলেছিলো ফারিশ।প্রায় সব জায়গায় তন্নতন্ন করে ফেলেছে।আর আইভি এখনো হাত নারিয়ে নাচ করছে।মনে হচ্ছে পাগল হয়ে গেছে।
এশাঃ আমরা সবাই পাগল হয়ে তাকে খুঁজছি। আর মহারাণী গেইটের সামনে নাচ করছে।আজ রুমে আয় তুই।তোর একদিন কি আমার একদিন। অবশ্য আমার কিছু করতে হবে না যা করার ফারিশ করবে।
এশা ছুটে নিচে নামলো।আইভি এখনো নিজের মনে হাসছে।আইভিকে পেছন থেকে জোরে ধাক্কা মারলো।
এশাঃ কোথায় ছিলি তুই? জানিস তোকে কত খুঁজেছি? আমাদের সবাইকে টেনশনে রেখে মহারাণী দিব্যি দাঁত কেলাচ্ছেন।আমরা কিছু খন পর চাচাকে ও পুলিশকে খবর দিতাম।ভাগ্যিস ফারিশ মানা করলো।নইলে এতোখনে তুই খবরের হেড লাইন হয়ে যাতি।ফারিশ তোকে সামনে পেলে কাঁচা চিবিয়ে খাবে।এমনটাই ফোনে আমাকে বলেছে।
আমিঃ এবার একটু থাম।আমাকে একটু বলতে দে।ভেতরে তো যেতে দিবি।এমনেই একজন ফাউল লোকের পাল্লায় পরে বকবকানি শুনে মাথা ধরে গেছে।ভেতরে চল,সব বলছি।
???
চৌধুরী বাড়িতে বলা যায় আজ ছোটোখাটো একটা উৎসব। এতো বছর পর নাহানের বাবা আশফাক চৌধুরীর বাল্যকালের বন্ধু সোহেল আহমেদ তার পরিবার নিয়ে এসেছে । সোহেল আহমেদের একমাত্র মেয়ে তৃণা।এয়ারপোর্ট থেকে এসে তারা চৌধুরী বাড়িতে উঠেছে।
তৃণা,তার বাবা – মা ও আরোশ এসেছে। নাহান তো পুরো সারপ্রাইজড।তৃণা, নাহানকে সারপ্রাইজ দিতেই না বলে হুট করে চলে এসেছে।নাহান তো তৃণাকে দেখে পুরো শকড।নাহান ছারা বাসার সবাই জানতো সোহেল আহমেদ যে তার পরিবার নিয়ে আসবে।
আরোশ তৃণার একমাত্র ফুফুর একমাত্র ছেলে।জার্মানে ওর বাবার বিজনেসের একটা ভালো পজিশনে আছে।আর আরোশ ওর বাবার টাকা ওরানোর পাইলোটের কাজে নিয়োজিত আছে।ডিস্ক বার,মদের নেশা,মেয়েবাজ ছেলে আরোশ আহমেদ।আপাতত এতটুকু জানেন।বাকিটা না হয় পরে বলবো।
গাড়ি নিয়ে চৌধুরী বাড়িতে ঢুকলো আরোশ।মনটা তার অনেক ভালো।কিছু দিনের মধ্যে সে আইভিকে পেতে চলেছে। ড্রয়িং রুমে শিষ দিতে দিতে ঢুকেলো।সবাই সেখানে নাহান ও তৃণার এনগেজমেন্ট নিয়ে কথা বলছে।রিটা নিজের মনে হাতে নেলপলিশ লাগাচ্ছে। নাহান ও তৃণা কফি খাচ্ছে আর হেসে হেসে গল্প করছে।
আরোশঃ হাই ওল।
নাহানঃ হেই আরোশ,হোটস্ আপ।
আরোশঃ আম ওলোয়েজ ফাইন ব্রো।এখন তো আরো বেশি ফাইন।
রিটার দিকে তাকিয়ে রহস্যময়ী হাসি দিলো আরোশ।কথাগুলো ওর দিকে তাকিয়েই বললো।
নাহানঃ কেন?( ভ্রু কুঁচকে)
আরোশ একধ্যানে রিটার দিকে তাকিয়ে আছে।নাহানের কথায় হুশ ফিরলো।রিটার দিক থেকে চোখ নামিয়ে বললো।
আরোশঃ না মানে আসলে এতদিন পর বি.ডি.তে আসলাম তাই অনেক খুশি।
নাহানঃ তাই বলো।আমি ভাবলাম আমার শালার আবার কোনো মেয়ের পছন্দ হলো কি না।
আরোশঃ না তেমন কিছু না।
তৃণাঃ কোথায় ছিলি এতখন?
আরোশঃ আর বলিস না।আসলে একটা জরুরি কাজ পরে গিয়েছিল। তাই করতে করতে এতো দেরী হলো।
তৃণাঃ মেয়ে পটানো ছারা তোর কোনো কাজ আছে নাকি।
আরোশঃ তুই কিন্তু আমাকে অপমান করছিস?
তৃণাঃ তোর আবার অপমান বোধ আছে নাকি?
নাহানঃ হয়েছে থামো তোমরা।( রিটার দিকে ঘুরে)আরোশ মিট মাই অনলি সিসটার রিটা চৌধুরী। রিটা ও তৃণার কাজিন আরোশ আহমেদ।রুমকি আন্টির একমাত্র ছেলে।
রিটাঃ হাই মিস্টার আরোশ।( রিটা হাত বাড়িয়ে দিতেই আরোশ হাতটা লুফে ধরে নিলো।)
আরোশঃ হ্যালো।নাইস টু মিট ইউ।
রিটাঃ নাইস টু মিট ইউ টু।
দুজন একে অপরের দিকে রহস্যজনক হাসি দিয়ে হাত ছারিয়ে নিলো।আরোশ রিটার কানের কাছে গিয়ে ফিসফিস করে বললো।
আরোশঃ ইউ লুক সো গর্জিয়াস।
রিটাঃ থ্যাংন্ক ইউ।
নাহানঃ আরোশ ফ্রেশ হয়ে এসো।সারা দিন মনে হচ্ছে অনেক টায়ার্ড ছিলে।রিটা ওকে গেস্ট রুমটা দেখিয়ে দিয়ে আয়।
রিটাঃ ওকে ভাইয়া।
(আরোশের দিকে তাকিয়ে)চলুন মি. চকলেট বয়।
আরোশঃ হোয়াটস্ এ নেম।আই লাইক ইট।
( মেকি হাসি দিয়ে)
রিটা,আরোশকে রুম দেখাতে নিয়ে গেলো।নাহান ও তৃণা দুজন গল্প করছে।কতদিন পর তাদের দুজনের দেখা হলো।কিছু দিন পর এক সুতোয় গাঁথা হবে দুটো মন।ভাবতেই ভালো লাগছে দুজনের।
???
আমি ওয়াসরুম থেকে বের হতে না হতেই দেখলাম এশা রনচন্ডী রুপ নিয়ে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
এশাঃ তুই কি বলবি কোথায় ছিলি?
আমিঃ একটু জিরতে দে।এভাবেই চাচ্চুর প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে আমি শেষ। ভাগ্যিশ চাচি আমাকে বাচিয়ে দিলো নয়তো চাচ্চু বাবাকে ফোন দিয়ে সব জানিয়ে দিতো আর বাড়িতে এতখনে তুলকালাম কান্ড ঘটে যেতো।লাভ ইউ চাচি,তুমি আছো বলে এখনো বেঁচে আছি।তা না হলে কচু গাছের সাথে আমাকে লটকাতে হতো।
এশাঃ তোর ডায়লগ বন্ধ কর।কোথায় গিয়েছিলি সেটা বল।
আমিঃ আমি তো কোথাও যাই নি। আমাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো।আমি কিডন্যাপ হয়েছিলাম।
এশাঃ আহা্ আমার বোনরে।খেয়ে- দেয়ে কাজ পাও না তোমাকে কেউ করবো কিডন্যাপ।পাবনা থেকে পালিয়ে আসা ব্যাক্তিরাই পারে এসব করতে।আমাকে আর ঘোল খাইয়ো না।যা সত্যি তাই বলো।
আমিঃ আমি সত্যি বলছি?।
এশাকে আমি পুরো ঘটনা খুলে বললাম।কি ভাবে আমাকে আরোশ কিডন্যাপ করে নিয়ে গেছে।
এশাঃ সত্যি!!!!
আমিঃ হুম ?।
এশাঃ ফিরলি কি করে?
আমিঃ বলছি।
ফ্লাশবেক……….
চোখ খুলে আইভি নিজেকে একটা অচেনা রুমের বেডে আবিষ্কার করলো। মাথাটা ঝিম ঝিম করছে।
পাশের সোফায় বসে টি টেবিলের ওপর আরাম করে পা তুলে একমনে মোবাইল টিপছে আরোশ।বেচারার আফসোসের শেষ নেই। চোখের সামনে একটা মেয়ে আছে আর তাকে সে বাজে ভাবে স্পর্শ তো দূরে থাক হাতটা পর্যন্ত টাচ করতে পারছে না।তাই মনের দুঃখ কমাতে মোবাইল ডুব মেরেছে।
চোখ খুলে নিজেকে এমন এক জায়গায় দেখতে পারবো ভাবিনি।হালকা করে মাথাটা তুললাম।আশেপাশে চোখ বুলাতেই তখনকার সেই ছেলেটাকে দেখতে পেলাম।আস্তে করে মনে করার চেষ্টা করলাম কি হচ্ছে?মনে পরতে বেশ খানিকক্ষণ লাগলো।চোখের সামনে আরোশকে দেখে মেজাজটা গরম হয়ে গেল।আমার বুঝতে বাকি নেই ও আমাকে কিডন্যাপ করেছে।হঠাৎ করে আরোশ আমার দিকে তাকিয়ে শয়তানি হাসি দিলো।প্রথমে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।হয়তো ও আমার সাথে কিছু করেছে? কিন্তু না।আমার বোরকা,হিজাব সব ঠিকই আছে।আমাকে উঠতে দেখে আমার সামনে এসে বসলো।
আরোশঃ হেই আইয়ু বেবস্ হোটস আপ?
আমিঃ আপনি আমাকে এখানে কেন এনেছেন? আপনি আমার নাম কি করে জানলেন? কি চাই আপনার?
আরোশঃ কুল ডাউন বেবস্।এতো প্রশ্নের উত্তর আমি কি করে দিবো।একটা একটা করে প্রশ্ন করো।
আমিঃ আপনি আমাকে এখানে কেন এনেছেন? আপনার সাথে আমার কি শত্রুতা? আমাকে যেতে দিন প্লিজ।
আরোশঃ ওয়েট তোমার আগের কোশ্চেয়ন গুলোর উত্তর তো আগে দেই তারপর না হয় নতুন কথার উত্তর দিবো।তোমার নাম আইভি ইসলাম।তোমায় সবাই বেশিরভাগ সময় আইয়ু বলে ডাকে।তোমাকে চাই আমার।কেন এনেছি জিজ্ঞেস করেছিলে? একটা জিনিস দেখাতে ও বলতে।তোমার সাথে আমার কোনো শত্রুতা নেই। শত্রুতা থাকবে কি করে আমি তো তোমায় ভালোবাসে ফেলেছি।
আমিঃ হারমজাদা কি পাগলা গারদ থেকে ছুটে এসেছে নাকি? কি পাগলের মতো উল্টো – পাল্টা বকছে।কি দিন আসলোরে আইভি তোর এখন পাগলের সাথেও টাইম ওয়েস্ট করতে হবে? আল্লাহ তুমি কোনে? মোরে উঠাইয়া নিয়ে যাও।আমার আর এই আজব মানুষের দুনিয়ায় ভালো লাগে না।?
( মনে মনে)
(চলবে)