শুধু তুই Part-13

0
2312

#শুধু তুই#
#Part_13
Writer_ Raidah Islam Nova

আমি উম উম করে শব্দ করছি। চোখ দিয়ে পানি পরছে।কিন্তু ফারিশের গালের থেকে হাত সরানের নামও নেই। চোখের পানি ওর হাতে পরতেই ফারিশ আমার গাল ছেড়ে দিয়ে পেছন দিকে ঘুরে রাগে সাপের মতো ফোঁস ফোঁস করতে লাগলো।

আমিঃ মি. নাহান আমাকে তার কাছে যেতে বলেছিলো।আমি জানতাম না সে আমাকে ডেকেছে।
ফারিশঃ নাহান যেতে বলেছে পই পই করে নাচতে নাচতে চলে গেছো।আমি যেতে বলছি সেটা কানে দিচ্ছো না।
আমিঃ আপনি নাহানের সাথে নিজেকে কেন তুলনা করেন? আমি কি করবো না করবো সেটা আমার ব্যাপার।আমি কে আপনার?

ফারিশঃ তুই আমার সবকিছু। আর তুই কি করবি না করবি, সে সব তোর নয় আমার মেটার।বিকজ আমার অসতিত্ব,জীবন,বেঁচে থাকার কারণটাই যে #শুধু তুই#

আমি চুপ হয়ে গেলাম। ফারিশের চোখ দুটো টকটকে লাল হয়ে আছে।যে কোনো সময় আমার গালে দুটো পরতে পারে।আমি চড়- থাপ্পড়কে অনেক ভয় পাই।ছোটবেলায় একবার পড়া না পারায় ইংরেজি স্যারের হাতে কষিয়ে একটা চর খেয়েছিলাম।গাল তো লাল হয়েছিলোই সাথে তিনদিন ব্যাপী জ্বর ছিলো।বিছানা থেকে উঠতে পারি নি।আমি এই ঘটনার পর থেকে চড়- থাপ্পড় অনেক ভয় পাই।তারপর থেকে ঐ স্যারের সব পড়া আমি মুখস্ত তো করতামই সাথে ঠোঁটস্ত রাখতাম।যাতে স্যার জিজ্ঞেস করার সাথে সাথে বলে দিতে পারি।এখনো চড়ের কথা মনে হলে গলা শুকিয়ে যায়।

ফারিশঃযাবে কি না বলো? নয়তো সব ছবি তোমার চাচার কাছে পাঠিয়ে দিলাম।(ধমক দিয়ে )
আমিঃ হুম যাবো।প্লিজ আপনি এই ছবিগুলো পাঠাবেন না।উনারা অন্য কিছু ধরে নিবে।
ফারিশঃ ঠিক আছে পাঠাবো না।কিন্তু এক শর্তে।
আমিঃ কি শর্ত?
ফারিশঃ তুমি ওদের দুজনকে রাজী করবে।ওদের রাজী করানোর দায়িত্ব তোমার।
আমিঃ আমি কি করে রাজী করবো?
ফারিশঃ সেটা তোমার ব্যাপার।আমি জানি না।
আমিঃ আমি কিভাবে কি করবো? আমি কিছুই বুঝতে পারছি না।
ফারিশঃ বললাম তো তোমার ব্যাপার।তোমাকে ৫ মিনিট সময় দিচ্ছি। এর মধ্যে রিনি ও এশাকে রাজী করবে।
আমিঃ কিভাবে কি….
ফারিশঃ তোমার সময় শুরু হয়ে গেছে।
আমিঃ ধূর ভালো লাগে না।যত ভেজালে আমিই পরি।

আইভি রাগে বিরবির করতে করতে চলে গেল ওদেরকে কনভেন্স করতে।ফারিশ মুচকি হেসে মোবাইল হাতে নিলো।মোবাইলে থাকা যাবতীয় ছবি মানে নাহান ও আইভির ছবিগুলো ডিলিট করে দিলো।

ফারিশঃ আই এম সরি টুনটুনি পাখি। আমি এমনটা করতে চাইনি।কিন্তু কি করবো বলো তোমাকে রাজী করার জন্য এছারা কোনো উপায় ছিলো না।আমি তোমাকে নাহানের সাথে একসেপ্ট করতে পারি না।অনেক বেশি জেলাস ফিল করি।মনে হয় নাহান তোমাকে আমার কাছ থেকে নিয়ে যাবে।তোমায় নিয়ে গেলে আমি বাঁচবো কি করে বলো।তাই বার বার তোমার সাথে রুড ব্যাবহার করে ফেলি।আমায় মাফ করে দিও।আমি তোমাকে কষ্ট দিতে চাই না।

আইভি অনেক কষ্টে রিনি ও এশাকে রাজী করলো।সেখান থেকে এক টানে হোটেলে চলে গেল।

বর্তমানে…….

ফারিশ জোরে ব্রেক কষতেই আমি সামনে ঝুঁকে পরলাম।সাথে সাথে আমার ভাবনা ভেংগে গেল।
ফারিশঃ বাইক থেকে নামো।
আমিঃ কেন?
ফারিশঃ আমরা এসে পরছি।
আমিঃ ও ও

বাইক থেকে নেমে আশেপাশে চোখ বুলালাম।জয়গাটা ভীষণ সুন্দর।অনেকটা গ্রাম সাইডে।কিছু দূর হাঁটতে চোখে পরলো নদী।নদীর পারে অসংখ্য কাশফুল।নদীর মাঝে পালতোলা দুটো নৌকা। সব মিলিয়ে চারিদিকের পরিবেশটা এক কথায় অপূর্ব। হালকা ঠান্ডা বাতাস বইছে। বাতাসে কাশফুলগুলো দোল খাচ্ছে।আমাদের তিনজনের জায়গায়টা খুব পছন্দ হয়েছে। আমরা দৌড়ে নদীর পাড়ে গিয়ে দাঁড়ালাম।নদীর পারের ঠান্ডা বালুতে এক হাতে বোরকা ধরে খালি পায়ে হাঁটতে বেশ ভালো লাগছে।রিনি নদীর পানিতে পা ভিজিয়ে খুশিতে ব্যাঙের মতো লাফাচ্ছে।পানির ছিটেফোঁটায় ওর বোরকা ভিজে যাচ্ছে সেদিকে খেয়াল নেই। এশা কাশফুলের দিকে ছুটে গিয়েছিলো।আমি চোখ বন্ধ করে হাত দুটো মেলে দিয়ে বড় করে নিশ্বাস নিচ্ছি আর ছাড়ছি।কতদিন পর বিশুদ্ধ বাতাস নিলাম। পরিবেশটাও নিরিবিলি।আমার খুব ভালো লাগছে।

ঢাকা শহরে এদিকে ময়লা-আবর্জনা তো ঐ দিকে ড্রেন,নয়তো ময়লার স্তূপ এসবের কারণে বাতাস প্রতিনিয়ত দূষিত হচ্ছে।সেখানে দুদন্ড শান্তিতে নিঃশ্বাস ছারার ও জো নেই। তার সাথে গাড়ি,কল- কারখানা, বিভিন্ন ফ্যাক্টেরির যন্ত্রপাতির শব্দতো আছেই।আমি এখনো দুই হাত মেলে রেখেছি।বাতাস আমাকে ছুঁয়ে যাচ্ছে।নিজেকে কাকতাড়ুয়া মনে হতেই হাত নামিয়ে নিজের মনে হেসে উঠলাম। কিছু সময় পর দেখি এশা কাশফুল দিয়ে পুরো ভূত হয়ে এসেছে।
এশার সারা শরীর কাশফুলে সাদা হয়ে আছে। আমি ও রিনি ওকে দেখে হাসতে হাসতে পেটে খিল দেওয়ার জোগার।আমদের দুজনকে হাসতে দেখে এশা রেগে অনেকগুলো কাশফুল নিয়ে আমার ও রিনির পেছনে দৌড়াতে শুরু করলো। আমরাও প্রাণপণে নদীর কিনার ঘেষে দৌড়াচ্ছি।এশা যা রেগে আছে আমাদের বাগে পেলে সাদা ভূত বানিয়ে ফেলবে।আমরা নিজেদের মধ্যে এতটাই বিভোর ছিলাম যে আমাদের সাথে যে তিনটা বাঁদর আছে সে কথা ভুলেই গেছি।

আইভি,এশা,রিনি তিনজন দৌড়াচ্ছে আর ছোট বাচ্চাদের মতো খিলখিল করে হাসছে।তা কিছু দূর থেকে মনোযোগ সহকারে তিন জোরা চোখ প্রত্যক্ষ করছে।ফারিশ মোবাইল হাতে ভিডিও করছে।মেহেদী ও জন মেয়ে তিনজনের ছবি তুলছে।মেয়ে তিনজন নিজের মতো করে সময় কাটাচ্ছে।কতদিন পর এরকম পরিবেশ পেলো।পড়ন্ত বিকালের মিষ্টি রোদে মেয়ে তিনটার মুখে পরে আরো মায়াবী দেখা যাচ্ছ। দূর থেকে আরো দুই জোরা চোখ ওদের ছয়জনকে পুংখানুপুংখভাবে লক্ষ্য করছে।মোবাইলে খুব সাবধানে ওদের ছয়জনের যাবতীয় কিছু ভিডিও করে নিচ্ছে।ওরা যদি জানতো এখানে এলে অনেক বড় বিপদে পরবে তাহলে কখনই আসতো না।এই দুই জোরা চোখের মালিকরা তারাই, যারা হোটেলে ওদের ভিডিও করেছে।এখানেও ফলো করতে করতে চলে এসেছে।

আমাদের যাওয়ার সময় ঘনিয়ে এলে।বিকালের রোদ পরে এসেছে।এখন না গেলে কপালে চাচীর হাতে ঝাড়ুর বারি আছে।ঝাড়ু নিয়ে সারা বাড়ি দৌড়ানিও খেতে পারি৷বড় রাস্তায় উঠে আমরা সবাই একটা ছোট টং দোকান থেকে চা খেলাম।চা – টা খেতে সেই রকম স্বাদ ছিলো। অবশেষে আমরা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।যাওয়ার সময় মনটা অনেক খারাপ ছিলো।অনেক মজা হয়েছে।সবার সাথে সময় কাটাতে ভালো লেগেছে।এখন মন চাইছে ফারিশকে ধন্যবাদ দিতে।পুরো প্লানটা ওর ছিলো।আজকের এতো সুন্দর মুহূর্তগুলো ফারিশ আমাদের গিফট করলো।সব ওর জন্য হয়েছে।না,যতটা খারাপ ভেবেছিলাম ততটা নয়।ছেলেটা সত্যি ভালো তবে বেশি নয়। আমার ওপর অধিকার খাটায়।এই রে আমি আবার এই লম্বু তালগাছটার প্রেমে- টেমে পরে গেলাম না তো।ওহ্ না,এ কখনো হতে পারে না।

ভাবতে ভাবতে ফারিশের পিঠে হেলান দিয়ে প্রায় ঘুমিয়ে গিয়েছে আইভি।ফারিশ কে তার আজ ভালোই লেগেছে।ও যদি জোর করে ওদের নিয়ে না যেতো তাহলে এত সুন্দর সময় কাটাতে পারতো না।সন্ধ্যার আগে সবাই যার যার বাড়ি পৌঁছে গেলো।আইভির ঘুমের কারণে ফারিশকে ধন্যবাদ দেওয়া হলো না।ঘুম ঘুম চোখে বাসায় ফিরে গেলো।

???

এভাবেই কেটে গেলো বেশ কিছু দিন।রিনি ও এশা অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে গেছে মেহেদী ও জনের সাথে। তবে সম্পর্ক চলছে না।আইভি ও ফারিশ দুজন দুজনের সাথে ঝগড়া, রাগ,অধিকার খাটানো নিয়েই থাকে।এর মধ্যে ফারিশকে নিয়ে রিটার সাথে আইভির ঝামেলা হয়েছে। যা মেহেদী সলভ করে ফেলেছে।মেহেদী এখন ফারিশ ও জনের বেস্ট ফ্রেন্ড।এক দন্ড কেউ কাউকে ছারা চলে না।

সকালবেলা আমি সারা বাড়ি এক করে ফেলেছি।আমার প্লাজু খুঁজে পাচ্ছি না।

আমিঃ এশু ঐ এশু।কোথায় গেলি?
এশাঃ ঐ ছেমরি এমন ছগলের মতো ম্যা ম্যা করতাছোত কে?
আমিঃ আমার প্লাজু পাইতাছি না।
এশাঃ কোথায় রাখছিলি?
আমিঃ আমিতো বারান্দায় কালকে রোদ দিয়ে রেখেছিলাম।
এশাঃ দেখ সেখানেই আছে।
আমিঃ আমি ভালো মতো দেখেছি সেখানে নেই।কোন চোরে বা চুন্নী আমার প্লাজু চুরি করে নিয়ে গেছে।
এশাঃ কোন প্লাজু?
আমিঃ ঐ যে সেদিন কিনে আনলাম লুংগি ছাপার মতো দেখতে সেটা।
এশাঃ তাহলে সেটা কেউ লুংগি ভেবে চুরি করে নিয়েছে।
আমিঃ কোন চোরে নিলোরে আমার সাধের প্লাজুরে।তুই আমায় ছেরে কোথায় গেলিরে।আমি তোকে অনেক পছন্দ করতাম রে।?

আমি ফ্লোরে হাত-পা ছরিয়ে বিলাপ করে কান্না শুরু করে দিলাম।কি করবো? আমার শখের প্লাজু।আমি একদিন মাত্র পরেছি।এর মধ্যে চুরি হয়ে গেলো। আমরা যেই দালানে থাকি সেখানকার ফ্লাটের বারান্দা থেকে প্রায় জামা – কাপড় চুরি হয়ে যায়।আমার সাধের প্লাজুটাও আজকে গেলো।বিষন্ন মন নিয়ে ভার্সিটির জন্য তৈরি হয়ে খাবার টেবিলে বসলাম।মনটা এখনো খারাপ আমার লুংগি ছাপার প্লাজু।
আমার কি দোষ ঐ চেক ছাপার প্লাজুটা আমার অনেক পছন্দ হয়েছে।তাই লুংগি ছাপা জেনেও আমি ঐ টা কিনে এনেছিলাম।সেটাও ঐ মুখপোড়া চোরের চুরি করতে হলো।আমি খাবার নিয়ে নাড়াচাড়া করছি।আমার প্লাজু ই ই ই ?।চাচ্চু আজ বাসায়। কিছু সময় পর চাচ্চু বাজার নিয়ে বাসায় ঢুকলো।চাচ্চুকে দেখে আমার চোখ চড়কগাছ। আমি জোরে চিৎকার করে উঠলাম।

আমিঃ চা– চু — চু—–
চাচাঃ কি হয়েছে?
আমিঃ তুমি কি পরছো?
চাচাঃ কি পরবো আবার? পাঞ্জাবী ও আমার লুংগি চেকের পায়জামা।
আমিঃ ??
চাচাঃ কি হয়েছে মা- মণি? তুই কাঁদছিস কেনো?
আমিঃ আমার প্লাজু। ই ই ই ই?
চাচাঃ তোর প্লাজুর কি হয়েছে?
আমিঃ তুমি আমার প্লাজু পরেছো।
সবাইঃ কি ই ই ই ই?
আমিঃ হুম।ও আমার প্লাজু— রে?

আমার কথা শুনে চাচি,এশা,চাচ্চু নিজের পায়জামার দিকে তাকালো। সবার চোখ কপালে উঠে গেছে।
চাচ্চু আমার প্লাজু পরে সারা বাজার ঘুরে এসেছে।একবার ও খেয়াল করে নি।আসলে আমার প্লাজু ও চাচ্চুর একটা পায়জামা সেম ক্যাটাগরির চেক।তাই চাচি ভুলে নিজের রুমে নিয়ে গেছে। আর আমার চাচা খেয়াল না করে তারাহুরোয় আমার প্লাজু পরে বাজারে চলে গেছে।চাচী, চাচাকে চোখ গরম করে বললেন।

চাচীঃ বলি তোমার চোখের মাথা খেয়েছো নাকি? বুড়ো বয়সে ভিমরুতিতে ধরলো।মেয়ের প্লাজু নাকি ফ্লাজু —-
এশাঃ মা ঐ টা ফ্লাজু না প্লাজু।( মুখ টিপে হেসে)
চাচিঃ ধুর,চুপ কর ছেমরি।ঐ একটা হইবোই সেটা পরে নাচতে নাচতে বাজার থেকে তোর বাপে ঘুরে এলে। ( চাচার দিকে তাকিয়ে)তোমার বোধশক্তি কি হারিয়ে গেছে।কোথায় তোমার পায়জামা আর কোথায় ঐ লের লের করা মেয়ের ফ্লাজু।বুঝতেও পারলে না যে এটা তোমার পায়জামা না।
চাচাঃ আমার কি দোষ? আমি তো আলনায় পেলাম।তুমি আনার সময় খেয়াল করো নি এটা আমার নাকি আমাদের মেয়ের।দোষ তো সব তোমার? তুমি খেয়াল করে আনো নি কেন?
চাচিঃ এখন সব আমার দোষ।নিজের দোষ আমার ওপর আর চাপিয়ো না।যাও গিয়ে এটা পাল্টে এসো।নাকি তোমার পছন্দ হয়েছে এটা খুলবে না বলে পণ করে রেখেছো।
চাচাঃ যাচ্ছি যাচ্ছি।মনে থাকতে এসব আর না দেখে পরবো না।

আমি ও এশা এতক্ষণ ধরে তাদের কথা শুনছিলাম।দুজনই মুখ চেপে হাসছি।

চাচাঃ সরিরে মা,খেয়াল করি নি।বুঝতেই তো পারছিস বুড়ো হয়ে গেছি।
আমিঃ না চাচ্চু সমস্যা নেই। এটা আমি তোমাকে দিয়ে দিলাম। আমার থেকে তোমাকে এই প্লাজুতে খুব ভালো মানিয়েছে।অনেক সুন্দর লাগছে দেখতে।?
চাচাঃ তবে রে পাঁজি, বজ্জাত।দাড়া তুই……

তার আগেই আমি এশাকে টানতে টানতে নিয়ে চললাম। বাসা থেকে দৌড়ে ভার্সিটির উদ্দেশ্যে রিকশায় চরে বসলাম।রিকশায় উঠে বুকে থু থু দিলাম। বড্ড বাঁচা বেঁচে গেছি।চাচ্চুকে ঢের রাগানো হয়েছে।আমার দরকার নেই আর প্লাজুর।আমি ভাগি এখান থেকে।

(চলবে)

#

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে