শুধু তুই Part-02

0
3437

#শুধু তুই #
Part-02
Writer _Raidah Islam Nova

হঠাৎ আমাদের সামনে রিটা ও মেহেদী তাদের দল নিয়ে হাজির হলো।অনেকক্ষণ ধরে খেয়াল করছিলাম আমাদের দিকে সবাই কেমন কেমন করে তাকাচ্ছে।সবার হাব- ভাব দেখে মনে হচ্ছে আমরা কোনো আজব প্রাণী।সবাই যে ভাবে তাকাচ্ছে, কেউ আমাদের দুই বোনকে কোনো চিড়িয়াখানায় আটকে রেখেছে।মেহেদী কটমট করে জনের দিকে তাকালো। ওর মুখে, হাতে অনেক জায়গায় ব্যান্ডেজ করা।

মেহেদীঃ ফারিশ কই?
জনঃ আমায় জিজ্ঞেস করছিস কেন? নিজে খুঁজে দেখ।আমি কি ওর সাথে আছি? ফারিশের খবর আমি কি করে জানবো?

মেহেদী এক হাত দিয়ে জনের কলার ধরলো।

মেহেদীঃ ভালোয় ভালোয় বলে দে। নয়তো খারাপ হয়ে যাবে কিন্তু।
জনঃ আমার কলার ছার।তোর সাথে আমার কোনো শত্রুতা নেই। আমি চাচ্ছি না অনুষ্ঠানের মধ্যে কোনো ঝামেলা করতে।
রিটাঃ তুই না চাইলেও আমরা তো চাই।

ওদের কথা শুনে আমার ও এশার একপ্রকার রাগ চেপে গেল।আমি জনের কলার থেকে মেহেদীর হাত টান মেরে সরিয়ে দিলাম।আমার ব্যবহারে সবাই অবাক হয়ে গেলো।

আমিঃ এক্স কিউজ মি।আপনার রাগ ফারিশের সাথে আপনি জনের সাথে এমন করছেন কেন? ফারিশের সাথে পারেন না বলে ওর সাথে লাগতে এসেছেন।সমস্যা কি আপনাদের? কি ভাবেন নিজেকে? ভি.পি হয়েছেন বলে যা খুশি তাই করবেন।

রিটাঃ ইউ রাস্কেল। তোমার সাহস কি করে হয় মেহেদীর সাথে এভাবে কথা বলার। তুমি জানো ও কে? (রেগে)

আমিঃ আমার জানার কোনো প্রয়োজনও নেই। আপনারা এখন আসতে পারেন।যদি আপনারা এর পরও আমাদের সাথে এরকম করেন তাহলে আমরা কোমপ্লেন করতে বাধ্য হবো।

মেহেদীঃ তোমার সাহস কি করে হয় আমার সাথে গলা উঠিয়ে কথা বলার।তোমাকে আমি কি করতে পারি তোমার ধারণার বাইরে। (রেগে)

আমিঃ ঐ হুমকি দেওয়া আর মেয়েদের হ্যারেস করা ছারা অন্য কিছু পারেন নাকি। ( ভেংচি কেটে )

আমার কথা শুনে ওরা সবাই রেগে আইটেম বোম হয়ে আছে।এশা বারবার হাত দিয়ে খোঁচা মেরে আমাকে থামতে বলছে আমি তা গ্রাহ্য করছি না।আমি আরো কিছু বলার আগেই জন আমাকে হাতের ইশারায় চুপ করতে বললো।আমি চুপ হয়ে গেলাম রিটা আমাদেরকে উদ্দেশ্য করে রেগে চেচিঁয়ে উঠলো।

রিটাঃ ভার্সিটিতে ভর্তি হতে না হতেই ফারিশ ও জনের ফ্যান হয়ে গেছিস তোরা দুজন।বাহ্, বাহ্, তা তোদের কত টাকা দিয়ে বশ করলো জন।নাকি রোম ডেট করার পারমিশন পেয়েছিস।অবশ্য তোদের মতো গাইয়া মেয়েরা আর কি বা পারে।বড়লোক কিংবা হ্যান্ডসাম ছেলে পেলেই গলায় ঝুলে পরিস।গেঁয়ো কোথাকার? এদের দেখলেও ঘেন্না করে।

এতক্ষন এশা চুপ করে থাকলেও এখন আর পারলো না।আমার তো ইচ্ছে করছে শাকচুন্নিটার চুল ছিঁড়তে।

এশাঃভদ্রভাবে কথা বলুন।আপনি কিন্তু আমাদের অপমান করছেন।কাদের গেঁয়ো বলছেন? নিজের দিকে একটু তাকান।কি পরে এসেছেন? দেখে তো মনে হচ্ছে এক গজ কাপড় কোনোমতে কষ্ট করে শরীরে পেচিয়ে এসেছেন। নিজের চাল- চলনের নেই ঠিক সে নাকি অন্যেকে গেঁয়ো বলে।( মুখ ভেংচিয়ে)

রিটাঃ তুই একটা সামান্য মেয়ে হয়ে আমাকে অপমান করিস।

আমিঃ তোর আবার সম্মান আছে নাকি যে তোকে অপমান করবো।মান- সম্মান থাকলে কি কেউ এসব ড্রেস পরে আাসে।( আস্তে করে)

আস্তে করে কথাগুলো বললেও রিটা আমাকে বির বির করতে শুনে ফেললো।তবে কোনো কথাই ও স্পষ্ট শুনে নি।শুনলে কেয়ামত হয়ে যেতো। আমাদের দুজনের দিকে চোখ পাকিয়ে তাকালো।

রিটাঃআমার সাথে পাংগা নিতে এসেছিস।তোদের দুজনকে যদি আমি এই ভার্সিটি থেকে না তাড়াই তাহলে আমার নামও রিটা চৌধুরী নয়।

রিটা রাগে বির বির করতে করতে চলে গেল।মেহেদী জনের দিকে রাগী চোখে তাকালো।

মেহেদীঃ কোথা থেকে পটিয়েছিস এদেরকে? তা কোন কূপের পানি খাওয়ালি যে তোদের পক্ষে কথা বলছে।

জনঃ আমি আগেও বলেছি এখনো বলছি। আমি এখানে কোনো সিনক্রিয়েট করতে চাচ্ছি না।এখান থেকে মানে মানে কেটে পর। নইলে তোর হাল আমি বেহাল করে দিবো।আর ওদের দুজনকে নিয়ে কোনো বাজে কথা বলবি না।

মেহেদীঃ কেনো রে কি হয় ওরা তোর? ওদের জন্য এতো দরদ কেন তোর?

মেহেদী জনকে কাধেঁ ধাক্কা দিতে দিতে পেছনে নিয়ে যেতে লাগলো।একপর্যায়ে দুজনের মাঝে হাতাহাতি শুরু হয়ে গেল।যেই মাত্র দুজন মারামারি শুরু করবে সেখানে প্রিন্সপাল চলে আসলো।অবাক করা ব্যাপার দুজনেই ভদ্র ছেলের মতো চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলো।যেনো কিছুই হয়নি।মেহেদী জনের কানে ফিস ফিস করে বললো।

মেহেদীঃ ভাগ্য ভালো বলে বেঁচে গেলি।তোদের দুজনের জন্য অনেক বড় বিপদ অপেক্ষা করছে।

জনঃ দেখা যাবে।আমরা কাউকে ভয় পাই না।শত হোক ইংরেজ বাচ্চাতো।ভয় নামক বস্তুটা আমাদের ডিকশনারিতে নেই।

মেহেদী ওর দল নিয়ে চলে গেল।

জনঃ শালা,তোর বাপের ভার্সিটি বলে যা খুশি তাই করবি আর আমরা মেনে নিবো। কি ভেবেছিস তুই নিজেকে।প্রিন্সিপাল স্যার না এলে এতক্ষণে তোকে হসপিটালে ভর্তি করে ফেলতাম।

এশাঃ ওর বাপের ভার্সিটি এটা।
জনঃ হুম।রিটার বাবা ও মেহেদীর বাবার ফিফটি ফিফটি শেয়ারে এই ভার্সিটি।ওদের সাথে এভাবে কথা বলাটা আপনাদের ঠিক হয়নি।আপনারা মেয়ে মানুষ কখন কি বিপদ হয়ে যায় বলাতো যায় না।

কথাটা ভেবে আমরা দুজনেই কিছুটা ভয় পেলাম। শত হোক ওরা ছেলে।একদিন যদি আমাদের একা পায় নিশ্চই এর উশুল উঠাবে।তারপরও সেটা জনকে বুঝতে না দিয়ে বললাম।

আমিঃ নো টেনশন, আল্লাহ আমাদের সাথে আছে। কোনো সমস্যা হবে না।
জনঃ আপনাদের আল্লাহের ওপর খুব বিশ্বাস তাই না।
আমিঃ হুম।

আমরা কোনো কথা না বাড়িয়ে চুপচাপ করে চেয়ারে বসে অনুষ্ঠানে মনোযোগ দিলাম।কোনো কথা বলতে ইচ্ছে করছে না।এশা আমাকে খোঁচাতে লাগলো।

আমিঃ এশু কি হয়েছে তোর? আমাকে খোঁচাচ্ছিস কেনো?
এশাঃ ওয়াশ রুমে যাবো।
আমিঃ ঠিক আছে চল। (জনের দিকে তাকিয়ে) আপনি এখানে থাকেন আমরা একটু ওয়াশ রুম থেকে আসছি।
জনঃ তারাতাড়ি আসবেন।আমি অপেক্ষায় রইলাম।
এশাঃ ঠিক আছে।

আমরা দুজন ওয়াশ রুমে চলে যেতেই জন ফারিশকে ফোন দিলো।

জনঃ সত্যি ব্রো মেয়ে দুটো পুরোই অন্যরকম।ব্যবহারও অনেক ভালো।যাক গড তাহলে আমাদের জন্য কাউকে পাঠালো।যীশু কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

ফারিশঃ আমারও মনে হয়।তুই চার্চে গিয়ে তোর জন্য প্রে করে আসিস।নয়তো আমার হাতে মার খেতে খেতে মরেই যাবি।

জনঃ কেনো?
ফারিশঃ তোকে সবসময় ওদের সাথে থাকতে বলেছি।আর তুই ওদের একা ছেরে দিলি কেন?যদি কোনো ঝামেলা হয় তাহলে তোর খবর আছে।

জন কয়েকটা শুকনো ঢোক গিলে ফারিশের কথার উত্তর দিলো।

জনঃ ওরা তো ওয়াশ রুমে গেছে আমিও কি মেয়েদের ওয়াশ রুমে যাবো নাকি।এক মিনিট তুই কি করে জানলি?ব্রো কই তুই?

ফারিশঃ তোদের আশেপাশেই আছি।
জনঃ এতো ভালবাসা রাখবি কই? মাত্র দুইদিন দেখে ব্রো তুই কোনো মেয়ের জন্য পাগল হয়ে গেলি।আই কান্ট বিলিভ দিস।

ফারিশঃ কথা কম বল।তোকে যেই কাজে পাঠিয়েছি সেই কাজ কর।

জনঃ ব্রো মেয়েটা কিন্তু মুসলিম।কথাটা মাথায় রাখিস।ওকে পেতে হলে অনেক কাঠ – খোর পোরাতে হবে।ব্যাপারটা যতটা ইসিলি ভাবে দেখছিস ততটা ইসিলি না।

ফারিশঃ তোকে এতটা ভাবতে হবে না।আমারটা আমিই বুঝে নিবো।তোকে ওদের চোখে চোখে রাখতে বলেছি সেটা করবি।অন্য কোন কথা নয়।

এদিকে আমরা দুজন পরেছি ঝামেলায়।আমরা দুজন ওয়াশ রুম থেকে আসছিলাম তখন আমাদের রিটা ওর বেহায়া বান্ধবীর দল পথ আটকে রেখছে।রিটা,পিংকি,লাবণ্য, পরশি চারজন বরলোক বাপের বখে যাওয়া মেয়ে।অনেক উশৃংখল,দেমাগি ও
অহংকারী মেয়ে।ওরা চারজন সবসময় একসাথে থাকে।

রিটাঃ এই যে জনের পোষা বিড়াল কোথায় যাওয়া হচ্ছিলো।
পিংকিঃ রিটু বেবি এই মেয়ে দুটো তোকে অপমান করেছে।(ঢং করে)
রিটাঃ হ্যাঁ,পিকু বেবি।ওকে আমার সাথে লাগার মজা বুঝাবি না।
পরশিঃ নিশ্চয় বেবি।
এশাঃ আমাদের পথ ছাড়ুন।

সবগুলো চোখে চোখে কি যেনো ইশারা করে শয়তানি হাসি দিলো।

লাবণ্যঃ তোদের আটকে কে রেখেছে? চলে যা।

আমরা পাশ কাটিয়ে চলে যেতে নিলে পরশি,এশাকে ল্যাং মেরে ফেলে দিলো।এশা ধপাস করে মাটিতে পরে গেলো।আমারতো রাগ সাত আসমানে উঠে গেলো।এর জন্যই ওরা ডেভিল মার্কা হাসি দিচ্ছিলো।আমি রেগে সামনে যেতে নিলে এশা আমার হাত ধরে আটকালো।

রিটাঃ আরে দেখ দেখ সাথের মেয়েটা কি রকম লুচির মতো ফুলছে।ওকে ও একটু মজা দেখাই।

কথাগুলো বলে ওরা সবাই অট্টহাসিতে ফেটে পরলো।সেই মুহূর্তে আমার মনে হলো আমি কোনো শেওড়া গাছের পেত্নীর হাতে পরেছি।আমাকে ওদের সামনে ডাকলো।আমি এশাকে উঠিয়ে ওদের সামনে দাঁড়ালাম।

আমিঃ কি বলবেন জলদী বলুন? আমার আপনাদের বেশি কথা শোনার টাইম নেই। ( অন্য দিকে ঘুরে)

আমার এই ত্যাড়া কথাটা ওদের সহ্য হলো না।পিংকি হুংকার দিয়ে উঠলো।

পিংকিঃ এই মেয়ে তুই কার সাথে কথা বলছিস তুই জানিস? তোর জিহবা আমি টেনে ছিরে ফেলবো।

আমিঃ আমি কি তোকে ছেরে দিবো নাকি।তোর চুল ছিড়েঁ আমি শাক রাঁধব। ( মনে মনে)

সামনাসামনি বললে ওরা আমাকে আস্ত রাখবে না।তাই মনে মনেই ওদের চৌদ্দ গুষ্ঠী উদ্ধার করছি।আমাকে চুপ করে থাকতে দেখে লাবণ্য চেচিয়ে উঠলো।

লাবণ্যঃ সামনে এসে তোর বোরকা খুলে সেই বোরকা দিয়ে আমাদের জুতা সাফ কর।এটা তোর পানিসমেন্ট।

এশাঃ আমরা কোনো অপরাধ করি নি যে পানিসমেন্ট পেতে হবে।( ভয়ে ভয়ে)
পরশিঃ আবার মুখে মুখে কথা বলছিস।যা বললাম তা কর নইলে খারাপ হয়ে যাবে।

এশা ভয় পেলেও আমার একটুও ভয় করছে না।ইচ্ছে করছে ঠাটিয়ে কয়েকটা চর মারতে।চুপ করে হাত গুঁজে ওদের সামনে দাঁড়িয়ে আছি।

রিটাঃ কি বললাম শুনিস নি? ( রেগে+ চিৎকার করে)

রিটার চিৎকারে সবাই কিছুটা ভয় পেলেও আমি ঠায় দাঁড়িয়ে আছি।শান্তভাবে জবাব দিলাম।

আমিঃ কিছু বললেন আপু???
আমার কথা শুনে ওরা যেনো আরো রেগে গেলো।কেউ রাগলে তাকে রাগাতে আমার খুব ভালো লাগে।ওদের রাগতে দেখে আমি যে কতটা খুশি হচ্ছি মনে মনে তা আপনাদের বোঝাতে পারবো না।

পরশিঃ তোকে বোরকা খুলতে বলেছি।বোরকা খুলে সেইটা দিয়ে আমাদের জুতা সাফ করবি।

রিটাঃ তোর ঐ কমদামি গুলিস্তানের বোরকা দিয়ে যে আমরা জুতা মুছতে চাচ্ছি সেটাই বেশি।

লাবণ্যঃ নে শুরু কর।তোদের ভাগ্য ভালো যে তোরা আমাদের জুতা মোছার পারমিশন পেয়েছিস। আমরা আবার যেই সেই গাঁইয়া মেয়েকে এরকম অফার করি না।

আমি কোনো কথা না বলে চোখ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ওদের দেখছি।ওদের কথা শুনে এশা রাগে ফাটছে। আমিও কম যাই না ওদের সাথে ত্যারামি করতে লাগলাম।
ও আমিতো একটা কথা বলতে ভুলেই গেছি।আমি মোটেও প্রতিবাদী মেয়ে নই।কিন্তু প্রচুর ঘারত্যারা টাইপের মেয়ে ।ত্যারামি করতে আমি অনেক পছন্দ করি।ত্যারামী আমার রক্তের সাথে মিশে আছে। কেউ আমাকে রাগালে তার সাথে আমি অবশ্যই ত্যারামি করবোই।

আমাকে এভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে লাবণ্য সামনে এগিয়ে এলো।তখন মনে হলে আমাদের পেছনের দেয়াল থেকে কেউ আড়ালে সরে গেলো।অনেকক্ষন ধরে মনে হচ্ছে কেউ আমাদের আড়াল থেকে দেখছে।
পরশি ও লাবণ্য আমার চুলের মুঠি ধরতে এলেই ভেতর থেকে গন্ডগোলের আওয়াজ এলো।ওরা আমাদের ছেরে দিয়ে ভেতরের দিকে ছুটলো।যাওয়ার আগে আমাদেরকে রিটা শাসিয়ে গেলো।

রিটাঃ ভাগ্য ভালো বলে বেঁচে গেলি। পরেরবার দেখে নিবো।আমাদের মুখে মুখে কথা বলার শাস্তি তোকে পেতেই হবে।

এক মিনিটও না দাঁড়িয়ে দৌড়ে চলে গেলো।তখনি আমাদের সামনে জন মোটর সাইকেল নিয়ে হাজির হলো।

জনঃ জলদি করে উঠুন।এখানকার পরিবেশ মোটেও ভালো নয়।ভেতরে গন্ডগোল হচ্ছে।আজকে বোধহয় আর অনুষ্ঠান হবে না।আপনাদের বাড়ি পৌঁছে দিয়ে আসি।

এশাঃ কি হয়েছে ভেতরে?
জনঃ সেটা আপনাদের এখন না জানলেও চলবে।তারাতাড়ি চলুন।ভেজাল হওয়ার আগেই আমরা ভাগি এখান থেকে।(যদি আপনাদের কিছু হয় তাহলে ফারিশ আমাকে আস্ত রাখবে না।)( মনে মনে)

আমরা দুজনের কেউই জনের বাইকে উঠতে চাই ছিলাম না।একপ্রকার জোর করেই আমাদেরকে বাইকে উঠালো।আমরা বেশি কথা না বলে জলদি করে উঠে পরলাম।এভাবেই আজকে অনেক ঝামেলায় পরেছি নতুন করে কোনো ঝামেলায় পরতে চাই না।

জনের পেছনে এশা তারপর আমি বসেছি।জন জোরে একটান দিয়ে ভার্সিটি থেকে আমাদের বাসার সামনে এসে বাইক থামলো।আমরা অনেক জোরাজুরি করেও তাকে ভেতরে নিতে পারলাম না।জন চলে গেল।আমরা দুজন ওর ব্যবহার দেখে কিছুটা অবাক হয়েই বাসার ভেতরে চলে গেলাম।বাসার ভেতরে ঢুকেই আমাদের চোখ দুটো গোল গোল হয়ে গেলো।এটা আমরা কি দেখছি!!!

( চলবে)

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে