শুধু তুই ৩ পর্ব-৩০+৩১

0
1521

#শুধু তুই ৩
#পর্বঃ৩০
#Tanisha Sultana

“ও গো আপনার লাগে নি তো?
নিধি আদির পায়ে পারা দিয়ে সুর টেনে বলে। আদি ব্যাথায় চোখ মুখ কুচকে নেয়। আদি নানু মা জিসান আর তোহা চলে এসেছে। ওরা নিধির দিকে হা করে তাকিয়ে আছে।
” ইয়ে মানে না লাগে নি
আদি ঢোক গিলে বলে। নিধি হাতে চিমটি কাটে।
“কেমন লাগছে বেবি? ফিসফিস করে বলে নিধি।
” ব্যাথা পাচ্ছি।
আদিও ফিসফিস করে বলে। সবাই শুনতে পেলে আবার লজ্জাটা আদিকেই পেতে হবে৷ সবাই ভাববে আদি বউয়ের হাতে মাইর খায়।
নিধি দাঁত কেলায়।
“আদি এই মেয়েটা কে?
তোহা তেরে এসে বলে।
” ও আমার
আদির কথা শেষ হওয়ার আগেই নিধি বলে।
“ও মা জানো না? ও আমার একমাত্র বর। বিয়ে করেছি। এইতো এখন হানিমুন করে ফিরছি।
আদির হাত ধরে নিধি।
আদির মা ভ্রু কুচকে ফেলে। আদির নানু হা টাএকটু বর করে তাকায়। জিসান আর আদির কাশি উঠে যায়।
তোহা দাঁত কটমট করে। আদির একটা পুচকে মেয়ের সাথে বিয়ে হয়েছে এটা তোহা জানে। তাই তো এসেছে এই পুচকিটাকে সরিয়ে তোহা নিজে আদির বউ হবে।

” আআমি আসছি
আদি কোনো রকমে তারা দিয়ে চলে যায়।
“তোমারা হঠাৎ?
গম্ভীর গলায় বলে আদির মা।
” আপনার কথা খুব মনে পড়ছিলো তো তাই।
এক গাল হেসে বলে নিধি।
আদির ম একবার নিধির দিকে তাকিয়ে চলে যায়। নানু সোফায় এসে বসে। খুব ভালো করে নিধিকে পর্যবেক্ষণ করছে।
নিধি এক লাফে এগিয়ে এসে নানুকে সালাম করে। নাু কিছুটা ভয় পেয়ে যায়।
“কেমন আছেন নানুমনি?
নানুর পাশে বসে বলে নিধি।
” হুম ভালো
মুখ বাঁকিয়ে বলে নানু। কারণ তার নিধিকে পছন্দ ন। সে তো আদির সাথে নিজের নাতির বিয়ে দিতে চায়।
নিধি ভেংচি কেটে উঠে দাঁড়ায়। ইগনোর করলো নিধিকে।
“এই মেয়ে
তোহা নিধির পথ আটকে দাঁড়িয়ে বলে।
নিধি তোহার দিকে তাকিয়ে মেকি হাসে।
” কিছু বলবেন আপা? হেসে বলে নিধি।
“আপা? তোহা ভ্রু কুচকে বলে।
” আসলে নিজের থেকে বয়সে কয়েক বছরের বড়দের বলতে হয় আপু। তার থেকে একটু বড়দের বলতে হয় আফা আর বুড়ি ননদদের বলতে হয় আপা।
হাত কি বাতাস নিতে নিতে বলে নিধি।
“আমি বুড়ি? রেগে বলে তোহা।
” আপনি বুড়ি এটা ডাকঢোল পিটিয়ে বলার কি আছে আপা। সুর টেনে বলে নিধি।
“ডিসগ্রাসটিং
শোনো ভালোই ভালোই বলছি আদির থেকে দুরে থাকবে।
আঙুল তুলে বলে তোহা।
” ও মা কি বলছেন আপনি? বিয়ে কি মানুষ দুরে দুরে থাকার জন্য করে না কি?
লজ্জা মাখা হাসি দিয়ে বলে নিধি।
তোহা চোখ পাকিয়ে তাকায়।
“আদি শুধু আমার। বুঝলা? আর দেখে নিও আদি আমাকে কতোটা কেয়ার করে। আমার কতো যত্ন করে। এসব দেখে তুমি জ্বলবা।
” ওহহহ আচ্ছা। ঠিক আছে জ্বলবোনি।
নিধি হেসে বলে।
“আসছে
তোহা বলে রাগে ফুসতে ফুসতে চলে যায়।
” হুহহহহ আইছে। পুরান পাগলের ভাত নাই নতুন পাগলের আমদানি।
নিধি মুখ বাঁকিয়ে রুমে চলে যায়।

আদি সবে মাএ গোছল শেষে তোয়ালে দিয়ে চুল মুছতে মুছতে বাইরে বের হয়। থ্রি কোয়াটার প্যান্ট খালি গায়ে। শরীরে বিন্দু বিন্দু পানি জমে আছে৷ জাস্ট অসাম লাগছে আদিকে।
নিধি আদির দিকে হা করে তাকিয়ে আছে। আদি জীম করে না তবুও মোটামুটি ভালোই বডি। হিরোদের থেকে কম নয়।
নিধি ধপাস করে দরজা বন্ধ করে দেয়। দরজা বন্ধ হওয়ার শব্দে আদি নিধির দিকে তাকায়।
“দরজাটা লোহার না। ভেঙে যাবে তো।
বিরক্তি নিয়ে বলে আদি।
“দরজা ভাঙলো তো সমস্যা। ওই আপা সব সময় আমার রুমে উঁকি মরবে। আমার বরটাকে চোখ দিয়ে গিলে খাবে। আর কখনো দরজা জোরে বন্ধ করবো না।
নিধি মনে মনে বলে।
” কি মন বোঝার মেশিন আবিষ্কার করছো না কি?
আয়না দেখতে দেখতে বলে আদি।
“নাহহহ আপনাকে জব্দ করার মেশিন আবিষ্কার করছি। যতসব।
এমন একটা ভাব নিয়ে থাকে যেনো সালমান খান।
নিধি ভেংচি দিয়ে বলে।
” ওই একদম ভেংচি দেবে না। আমার একদম পছন্দ না।
রেগে বলে আদি।
“ভেংচি কই দিলাম। আমি তো চুম্মা দিলাম।
” আমি দেখেছি তুমি ভেংচি দিছো
“ভেংচি দেই নি চুমু দিছি😘
” মুখ বাঁকিয়ে ভেংচি দিছো
“আজিব তো
মুখ বাঁকিয়ে তো চুমুও দেয়। আমি চুমু দিয়েছি। এখন আপনার চুমুতে এলার্জি আছে৷ তাই আপনি ভেংচি ভেংচি করছেন।
আদি নিধির সামনে এসে দাঁড়ায়। মেয়েটা অতিরিক্ত কটা।
” আমাকে তুমি শেখাও কোনটা কিস আর কোনটা ভেংচি?
দাঁত কটমট করে বলে আদি।
“কি রে
দিলাম চুমু ভেবে নিলো ভেংচি। এখন আবার সেটা নিয়ে দাঁত কটমট করছে। এ কার পাল্লায় পড়লাম আমি। আস্ত একটা নিরামিষ।
মরা কান্না জুড়ে দিয়ে বলে নিধি।
” স্টপ
আদি ধমক দিয়ে বলে। নিধি চুপ হয়ে যায়।
“আর কখনো ভেংচি দিলে দাঁত ভেঙে দেবো। আই হেট ভেংচি।
“ওকে ভেংচি দেবো না। যদিও এখনও দেয় নি। কিন্তু চুম্মা কিন্তু দেবো। আই লাভ চুম্মা।
আদি নিধির দিকে তাকায় নিধি চুপ করে যায়।
নিধি আবার ভেংচি দিতে যায় আর তখনই আদি তাকায়। নিধি ভেংচি টাকে চুমুতে পরিনত করে।
” ইডিয়েট
আদি বিরবির করে বলে কাজে মন দেয়।
আদি সরতেই নিধি বুকে থু থু দেয়।
“এ কে রে? সামান্য একটা ভেংচি দিয়েছি তাতেই এতো চিল্লা চিল্লি। ননসেন্স।
নিধি ওয়াশরুমে যায় ফ্রেশ হতে।
শাড়ি ছেড়ে কালো একটা থ্রী পিছ পড়ে নেয়।

আদি ফ্রেশ হয়ে রুমে বসে বসে ল্যাপটপ এ অফিসের কাজ করছিলো। তখন তোহা ঢুকে দুই মগ কফি নিয়ে। আদির দিকে এক মগ এগিয়ে দেয়।
আদি একটা ঢোক গিলে কফির মগ ধরে।
” আমি নিজে হাতে বানিয়েছি। শুধু তোমার জন্য।
বলে তোহা।
“ওহহহহ থ্যাংক্স
” খেয়ে বলো কেমন হয়েছে?
আদি মুখে দেয়। খেতে ভালোই হয়েছে।
“হুমমম ভালোই।
আদি হাসার চেষ্টা করে বলে।
তোহা তো আদির দিকে তাকিয়ে মিটমিট করে হেসেই চলেছে।

” কফিটা খুব ভালো হয়েছে তাই না স্বামী
নিধি কন্ঠ শুনে আদি চমকে ওঠে। আর কফির মগটা ছিটকে পড়ে যায়। কিছুটা কফি আদির হাতে পড়ে আর কিছুটা তোহার হাতে।
তোহা চিল্লিয়ে ওঠে।
আদি ঢোক গিলে।
“এমন বউ যেনো আর কারো না হয়। দরজাল
আদি মনে মনে বলে।
নিধি এগিয়ে আসে। তোহা চলে গেছে ততোখনে লাফাতে লাফাতে।
নিধি এসে আদির হাত ধরে। লাল হয়ে গেছে।
নিধি আদির দিকে তাকায়
” কফি খাবেন তো আপনি? এবার আমি কফি বানাবো। খেয়ে বলবেন ভালো হয়েছে৷ না বললে
নিধি শাশিয়ে পেস্ট এনে পোরা জায়গায় লাগিয়ে হনহনিয়ে বের হয়ে যায়।
আদি মাথায় হাত দেয়।
“এবার আমাকে কফির হাত থেকে কে বাঁচাবে?

চলবে

#শুধু তুই ৩
#পর্বঃ৩১
#Tanisha Sultana

আদির হাত বেশ খানিকটা পুরে গেছে। সাথে পায়ের কিছু অংশও পুরে গেছে।
ব্যাথায় চোখ মুখ কুঁচকে আছে আদি। নিধি রেগে হনহনিয়ে গিয়ে আদির পোরা জায়গা চেপে ধরে।
“আরও খাবি তোহার স্পেশাল কফি
দাঁতে দাঁত চেপে নিধি।
আদি ব্যথায় চিৎকার করছে।
” ছাড়ো উ উ উ
আদি বলে।
“আগে কান ধরে আর কফি খাবেন না তারপর ছড়বো।
রাগ দেখিয়ে বলে নিধি।
” খাবো না খাবো
প্লিজ ছাড়ো। আ আ আ
আর্তনাদ করে বলে আদি।
“খাবো না খাবো কি? আর কানে হাত কই?
আদি অসহায়ের মতো নিধির দিকে এক পলক তাকিয়ে দুই কানে হাত দেয়।
” আমি আর জীবনেও কফি খাবো না।
কাঁদো কাঁদো ফেস করে বলে আদি।
নিধি ছেড়ে দেয়।
আদির চুল গুলো এলোমেলো করে দেয়।
“আমার মিষ্টি বর
” আমার জল্লাদ বউ
আদি বির বির করে বলে।
নিধি কোথাও একটা চলে যায়। আদি হাতে ফু দিচ্ছে।
একটু পরেই নিধি বরফ আর মলম নিয়ে হাজির। খুব যত্ন করে আদির হাতে বরফ দিয়ে দেয়। সাথে ফু ও দিচ্ছে। নিধির চোখের কোনে পানি চিকচিক করছে। ব্যাথাটা মনে হচ্ছে আদির না নিধির লেগেছে।
“বেশি ব্যাথা পাইছেন?
নাক টেনে বলে নিধি।
আদি নিধির চোখের দিকে তাকায়। টুপ করে পানি গড়িয়ে পড়ে। আদি মনে মনে হাসলেও বাইরে মুখটা শক্ত করে রাখে।
” ব্যাথা দিয়ে আবার বলছো বেশি ব্যাথা পাইছি কি না?
রাগ দেখিয়ে বলে আদি।
নিধি এবার ভ্যা ভ্যা করে কেঁদে ফেলে। কাঁদতে কাঁদতে মলম লাগাচ্ছে।
“আমি না সত্যিই স্টুপিট একটা মেয়ে। কোনো কান্ডবঙ্গান নেই আমার। সব সময় ইডিয়েটের মতো কাল করি।
কাঁদতে কাঁদতে বলে নিধি।
আদির বেশ মজা লাগছে।
নিধি মলম লাগানো শেষ করে কান ধরে দাঁড়ায়।
” সরি
হু হু কেঁদে বলে।
আদি উঠে দাঁড়ায়। নিধির হাত ধরে।

“ইটস ওকে। ব্যাথা বেশি পাইনি৷ কিচ্ছু হয় নি।
নিধির কান্না থামে না। কেঁদেই যাচ্ছে। আদি নিজেকে বুকের সাথে মিশিয়ে নেয়।
” কিচ্ছু হয় নি। শান্ত হও
নিধির মাথায়,হাত দিয়ে বলে।
“হাত পুরেছে আমার আর কষ্ট পাচ্ছো তুমি। এটা কি করে?
নিধি আদির শার্ট টেনে নাক মুছে। আদি রেগে দুরে সরে যায়।
নিধি হেসে চোখের পানি মুছে।
” বয়েই গেছে আমার আপনার ব্যাথার জন্য কাঁদতে। দরজার দিকে আপনার পেয়ারের তোহা দাঁড়িয়ে ছিলো। তাকে দেখানোর জন্য একটু একটি
কেমন হলো মিস্টার হাঁদারাম বর আমার?
চুল ঠিক করে একটু পার্ট নিয়ে বলে নিধি।
আদি রেগে যায়৷ তার মানে ওর প্রতি নিধির কোনো সিমপ্রেথিও নেই।
একটিং করলো? কতো বড় সাহস।
আদি রেগে হনহনিয়ে চলে যায়।
আদি চলে যেতেই নিধি মুচকি হাসে।
“আপনি ব্যাথা পেলে আমারও ব্যাথা করে। কিন্তু আপনাকে কেনো বলবো? আপনি তো বুঝে-ও না। কবে বুঝবেন আপনি?
তবে ব্যাপার না। আমি বুঝিয়ে নেবো। ইভা আপুর বিয়ে শেষ হওয়ার আগেই মিস্টার হাঁদারাম আমাকে প্রপোজ করবেন। আর আমাকে হেল্প করবে তিথি। যদি না করে না তাহলে আদার মতো থেঁতলিয়ে দেবো হুহহহহহ
নিধি বলে।

চুল মুছে মুখে স্নানে মেখে সুন্দর করে শাড়ি পড়ে বের হয় নিধি। এবাড়িতেও আসার পর থেকে কিছুই পেটে পড়ে নি৷ ইভাদের বাড়ি থেকে খেয়ে এসেছে।

খাবার টেবিলে আদির পাশে তোহা বসে আছে। নিধি ওখানে যেতেই আদির মা ডাকে ওদের খাবার দেওয়া জন্য। নিধি রাগে গজগজ করতে করতে খাবার আনতে থাকে।
আদি নিধিকে দেখানোর জন্য তোহার সাথে কথা বলছে। তোহা নিজের ওড়নাটা এক পাশে দেয়। আদি ভুল বশত ওদিকে তাকিয়ে ঢোক গিলে। সাথে সাথে চোখ সরিয়ে নেয়।
নিধি পোলাও এর বাটি ঠাস করে টেবিলে নামায়। আদি আর তোহা মচকে ওঠে।
নিধি আদির পাতে পোলাও দিয়ে ঠাস করে আচল ফেলে দেয়। তোহা আর আদি চোখ বড় বড় করে তাকায়। আদির হেঁচকি উঠে যায়। চোখ সরাতে পারছে না। তোহা রাগী দৃষ্টিতে তাকায় নিধির দিকে।

” ও গো খাও না গো। এভাবে কি দেখছো? সব সময় ই তো দেখো
নিধি লাজুক হেসে আদিকে কনুই দিয়ে গুতা দিয়ে বলে।
তোহা ঠাস করে উঠে দাঁড়ায়।
“কি অসব্ভতামি হচ্ছে?
তোহা রেগে বলে।
” ওমা অসব্ভতামি কোথায় এটাকে রোমাঞ্চ বলে।
আদির গলা জড়িয়ে ধরে বলে নিধি
হনহনিয়ে চলে যায়। আদি হা করে তাকিয়ে আছে।
তোহা যেতেই নিধি আদির গলায় চামচ ধরে
“খুব তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে তাই না? আবার তাকাতে দেখলে চোখ তুলে দেবো।
বলে আদির থেকে দুরে সরে আসে৷ নিধি টমের প্লেট এ খাবার দিয়ে হনহনিয়ে চলে যায়।

” এটা আমার পিচ্চি বউ?
আদি নিজেকে নিজে প্রশ্ন করে।

বিকেলে ইভার বিয়ের শপিং করতে যাওয়া হবে৷ সেখানে আদি আর নিধি কেও খুব করে যেতে বলে দিয়েছে। নিধি শাশুড়ী মাকে রাজি করিয়ে নেয়। নানু একদম পছন্দ করে না নিধিকে। নিধিকে দেখলেই মুখ বাঁকিয়ে থাকে। নিধি বুঝতে পেরে আর ধারের কাছে চাপে না৷ দুরে দুরে থাকে।

নিধি একটা শাড়ি বাঁছে।
“শাড়ি পড়ো না। থ্রি পিছ পড়ো।
আদি নিধির থেকে শাড়িটা নিয়ে বলে।
” কেনো?
“আমি বলছি তাই। পড়ো না প্লিজ
নিধি মুচকি হেসে আদিকে নিচু হতে ইশারা করে আদি নিচু হয় না। নিধি আশেপাশে খুঁজে একটা মোরা নিয়ে আসে। তারপর মুরার ওপর দাঁড়িয়ে আদির গলা জড়িয়ে ধরে।
আদি ভ্রু কুচকে তাকায়।
” আপনি কি বুঝতে পারেন? আপনি এই পিচ্চি ইডিয়েট টাকে ভালোবেসে
আদি নিধির কথা শেষ হওয়ার আগেই বলে
“আগে বড় হও তারপর বুঝবে
বলেই নিধির গাল টেনে দেয়। নিধি হেসে ফেলে। আদি নিধির হাসি মাখা মুখটা দেখে নিজেও হাসে। এই মেয়েটার মুখটা মায়া দিয়ে ভরা। একে মায়াবী বলাটা ঠিক হবে না৷ একে মায়ার রানী বলতে হবে। কিছু একটা ভাবে আদি।
নিধির কপালে গাড়ো চুমু দেয়। আবেগে নিধি চোখ বন্ধ করে ফেলে। তৃপ্তির হাসি হাসে নিধি।
” সব সময় ভালোবাসি ভালোবাসি বলে ভালোবাসা প্রকাশ করা যায় না। বা বালটাও জরুরি না।
নিধির কানে ফিসফিস করে বলে আদি।
নিধি ঝটকা দিয়ে দুরে সরে যায়
“উরে বাবারে
কানে হাত দিয়ে বলে নিধি।
আদি কপালে ভাজ ফেলে বলে
” কি হলো?
“এভাবে বইলেন না প্লিজ। আমার কেমন কেমন লাগে
নিধি অদ্ভুত বিহেব করে বলে।

চলবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে