#শুধু তুই ২
#পর্বঃ২৯
#Tanisha Sultana (Writer)
“কথা বলছো না কেনো নিধি? বিয়ে করবে আমায়? রানীর মতো করে রাখবো তোমায়। কখনো তোমায় রাগাবো না। তোমার ভালো লাগে না এমন কিছু আমি কখনোই করবো না। সব সময় হাসিখুশি রাখবো তোমায়। কখনো কোনো বিপদ আসলে আমিএকাই তার মোকাবিলা করবো।
নিধি হাত কচলাচ্ছে। আদি অধিক আগ্রহে তাকিয়ে আছে নিধি কিছু বলবে তার অপেক্ষায়। কিন্তু নিধি কিছু বলছে না বলে আদির বিরক্ত লাগছে।
নিধি জোরে একটা শ্বাস নিয়ে বলে
” আই লাইক ইউ বাট ডোন্ট লাভ।
রোহন উঠে দাঁড়ায়।
“আমি জানি তুমি আমায় ভালোবাসো না। তাই তো তোমায় বিয়ের প্রপোজাল দিলাম আমি। বিয়ের পরেও ভালোবাসা যায়। তোমার যত সময় লাগবে আমি দেবো বাট সেটা বিয়ের পর। এখন আমার তোমায় লাগবেই। আই নিড ইউ
নিধি এখন পড়েছে মারাক্তক বিপদে। কি করবে বুঝতে পারছে না।
” রোহন তুমি চিন্তা করো না নিধি তোমাকে বিয়ে করবে
পেছন থেকে নিধির শশুড়মশাই বলে। নিধি আর আদি চমকে ওঠে। রোহন খুশি হয়।
“কিন্তু আংকেল ও তো কথাই বলছে না।
আদির বাবা রোহনের পিঠ চাপড়ে বলে
” আমার নিধি মা নার্ভাস তো তাই কিছু বলছে না। নিধি যাও রুমে যাও
“বাবা বলছিলাম
” তোমার কিছু বলতে হবে না। রুমে যাও
নিধি আদির দিকে এক নজর তাকিয়ে রুমে চলে যায়। আদিও নিধির পেছন পেছন যেতে নেয়
“কোথায় যাচ্ছো?
আদি বাবার কথায় দাঁড়িয়ে যায়।
” রুমে যাচ্ছি
বলে আদি হনহনিয়ে চলে যায়।
“রোহন বসো
রোহন বসে। আদির বাবার সাথে গল্প করতে থাকে।
নিধি রুমে গিয়ে পায়চারি করছে। নিচে কি হচ্ছে কিছুই জানে না। আদির বাবা করতে চাইছে কি নিধি বুঝতে পারছে না। মাএ ভুল বোঝাবুঝির পালা শেষ করে দুজনের কাছাকাছি আসার সময় এসেছে এখনই নতুন ঝামেলা এসে জুটেছে। ভাল্লাগে না।
আদি রুমে এসে ধাম করে দরজা বন্ধ করে দেয়। মাথা চেপে ধরে খাটে বসে পড়ে।
” কি হয়েছে?
আদি রেগে বলে
“কি হয়েছে তুমি জানো না?
নিধি দুপা পিছিয়ে যায়
” আআআমার কি দোষ
“তোমার কোনো দোষ নেই। দোষ তো আমারই
নিধি ঠাস করে আদির পাশে বসে বলে
” এতোদিনে ঠিক কথা বলেছেন আপনি।
আদি গরম চোখে নিধির দিকে তাকায়। নিধি চুপসে যায়
“আমার কি দোষ বলো
” না না আআআপনার কোনো দোষ নেই
কাঁপা কাঁপা গলায় বলে নিধি।
“বলতে বলছি
কর্কশ গলায় বলে আদি।
” না মানে আপনি যদি না বলতেন আমি আপনার বোন তাহলে এসব কিছু হতোই না
মাথা নিচু করে বলে নিধি।
“আর তুমি যে রোদকে বলেছিলে আমি তোমার ভাই
” রোদ আর রোহন এক হলো
“প্রথমে তো একই মনে হচ্ছিলো
বিরবির করে বলে আদি।
” এখন কি হবে? ইনোসেন্ট ফেস করে বলে নিধি।
“কি আর হবে তোমাকে রোহনের সাথে বিয়ে দিয়ে দেবো।
” ওহহ
নিধি ছোট করে বলে।
“ওহহ মানে কি? আদি অবাক হয়ে বলে।
” আমাকে রোহনের সাথে বিয়ে দেবেন
আদি নিধিকে খাটের সাথে চেপে ধরে
“খুব শক না রোহনের সাথে বিয়ে করার।
” না মানে আপনিই তো বললেন
“আমি বলছি বলেই তুমি বলবা।
” ভুল হয়ে গেছে
“মেরে ফেলে দেবো একদম। তুই আমার বুঝলি
” হুমমম
আদি নিধিকে জড়িয়ে শুয়ে পড়ে।
“আআআপনার দাঁড়িতে আমার শুরশুরি লাগছে
আদি মাথা উঁচু করে নিধির দিকে তাকায়। এইরকম একটা রোমান্টিক মোমেন্টে এরকম কথা।
” এভাবে তাকিয়ে আছেন কেনো?
আদি হতাশার নিশ্বাস ত্যাগ করে দুরে গিয়ে শয়।
নিধি আদির একটু কাছে এসে বলে
“কি হলো
আদি খাটের মাঝে গোল হয়ে বসে বলে
” পবলেম কি তোমার? দুরে গেলে বলে কি হলো? কাছে আসলে আবার তোমার আমার দাঁড়িতে পবলেম হয়। আবার নিরামিষ বলো। করবোটা কি?
“এরকম একটা চিন্তিত পরিবেশে রোমাঞ্চ আসে আপনার?
দরজায় নক করে আদির বাবা
” আদি দরজা খুলো
নিধি উঠে দরজা খুলে দেয়। আদির বাবা হনহনিয়ে রুমে ঢুকে। আদি সুয়ে ছিলো উঠে বসে
“তুমি আর নিধি এক রুমে থাকবা না
” কেনো?
“তোমরা তো ভাই বোন তাই না
” ডিভোর্স না হওয়া পর্যন্ত আমি আর নিধি একরুমেই থাকবো। আর এটা নিয়ে কোনো আমি শুনবো না
আদির এরকম লাগাম ছাড়া কথা শুনে নিধি লজ্জায় লতিয়ে যাচ্ছে। বাবা সামনে কেউ এভাবে বলে
আদির বাবা নিধির দিকে তাকায়।
নিধি মাথা নিচু করে আছে
“তুমি ওর রুমে থাকবা না
” ও আমার সাথেই থাকবে
আদি নিধির হাত ধরে টান দিয়ে খাটে বসিয়ে বলে।
“না মানে আমি
” একটা কথা বললে চাপকে গাল লাল করে দেবো
আদির ধমকে নিধি চুপ হয়ে যায়। আদির বাবা বিরক্তির নিশ্বাস ফেলে রুম থেকে বেরিয়ে যায়।
“ছি বাবাকে কেউ এভাবে বলে
” বাবা তাহলে এরকম একটা কথা বললো কেনো?
“ধুর
নিধি কাবাড থেকে ড্রেস নিয়ে চেঞ্জ করতে যায়। আদি বেলকনিতে চলে যায়।
নিরার শরীর খারাপ। সকাল থেকেই বমি হচ্ছে কিচ্ছু খেতে পারছে না। শাশুড়ী পৃতির জন্য গহনা কিনতে যাবে তো রান্নার দায়িত্ব নিধি ওপর পড়েছে। নিধি রান্নাটা ভালোই পারে।
কিচেনে গিয়ে একমনে নিধি ভাবছে কি রান্না করবে। দুপুরে সবাই কই মাছ ডাল করলা ভাজি খেয়েছে। তাহলে রাতের জন্য নতুন কোনো আইটেম বানালে মন্দ হয় না। করলা ভাজি কিছুটা বেচে গেছিলো সেটা নিধি ফ্রিজের নরমালে রেখে ছিয়েছে রাতে আদিকে খেতে দেবে বলে। বেচারা আদির তো আবার করলা ছাড়া আর কিছু মুখে রোচে না।
অনেক ভেবে নিধি ফ্রিজ থেকে খাসির মাংস বের করে। আর অনেক খুঁজে বাসমতী চাল পায়। ব্যাস নিধি এবার বিরিয়ানি বানাবে। কিন্তু কথা হলো ফ্রিজে দই নেই। দই ছাড়া তো বিরিয়ানি বানানো যাবে না। যদি মজা কম হয়। কোমরে গোঁজা ওড়না ভালোভাবে গায়ে জড়িয়ে দোকানে যায় দই আনতে।
দই কেনা শেষ করে রিকসার জন্য দাঁড়িয়ে আছে নিধি। তখন দেখতে পায় সৌরভ বড় গাড়ি নিয়ে কোথাও একটা যাচ্ছে আর ফোনে কথা বলছে। সৌরভকে দেখে বেশ চিন্তিত লাগছে। নিশ্চয় কাউকে মেরে টেরে এসেছে। তবে নিধি এবার নিশ্চিত পরির খুনটা সৌরভ করেছে। কিন্তু প্রমাণ ছাড়া মুখ খোলা যাবে না। নিধির এবার একমাত্র কাজ সৌরভের মুখ থেকে সত্যিটা শোনা। পৃতির বিয়ের পরেই নিধি কাজে লেগে পড়বে। এক বছরের পুরনো কেছ একটু নরা দিলেই পুরোটা বেরিয়ে আসবে। আর তাই নিধি চাইছে না পৃতির বিয়েতে এসব কোনো প্রভাব পড়ুক।
এসব চিন্তা মাথা থেকে বের করে নিধি রিক্সায় ওঠে। চটপট বাড়িতে ঢুকে মেইন দরজা বন্ধ করে দিয়ে পা টিপেটিপে রান্না ঘরে যায়। রান্না ঘরে গিয়েই স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে। কেউ দেখে নি। দেখলে হাজারটা প্রশ্ন করতো সাথে বকা ফ্রী।
নিধি এবার মাংসটা ভালোভাবে মেখে ঢেকে রেখে দেয়। একঘন্টা পরে রান্না করবে। এই ঘন্টা কি করবে ভাবছে। খরগোটা থাকলে ওকে ঘাস খাওয়াতো কিন্তু ওটাও হারিয়ে গেলো। নিধি মন খারাপ করে রুমে এসে দেখে আদি উপুড় হয়ে শুয়ে ঘুমচ্ছে। একদম নিশ্পাপ বাচ্চাদের মতো। দেখলেই গাল দুটো টেনে দিতে ইচ্ছে হয়।
নিধি অনেক খুঁজেও একটাও সিম পায় না ফোনে ঢোকানোর মতো। ছিম না থাকলে সৌরভের সাথে যোগাযোগ করবে কি করে? আর প্রমাণ পাবে কি করে? আদিকে বললে আদি কিছুতেই ছিম দেবে না। অন্য কোনো উপায় ভাবতে হবে। অন্য কারো কাছ থেকে ছিম আনতে হবে। নিধির আবার স্মার্ট কার্ড নাই। স্মার্ট কার্ড ছাড়া এযুগে ছিম কেনা যায় না।
চলবে
#শুধু তুই ২
#পর্বঃ৩০
#Tanisha Sultana (Writer)
নিধি মনে মনে বুদ্ধি বের করে ফেলে। কাল একবার বাবার বাড়ি যাবে আর সেখান থেকে বাবাকে দিয়ে সিম কিনিয়ে নিয়ে আসবে।
“ওই ভাবনাকুমারী কি ভাবো?
আদি ঘুম ঘুম কন্ঠে বলে।
নিধি আদির দিকে এক নজর তাকিয়ে আবার নখ মুখে নিয়ে বলে
” ভাবছিলাম সৌরভ
আদি আবার চোখ বন্ধ করছিলো নিধির কথায় লাফ দিয়ে বসে।
“সৌরভ
নিধি চমকে ওঠে।
” কি বলতে যাচ্ছিলাম আমি
এখন গোয়েন্দার মতো পিছু লেগে থাকবে আর আমার পেট থেকে কথা বের করেই ছাড়বে। কিন্তু আমিই নিধিরা নিধি আমি কিচ্ছু বলবো না। হুমম
আদি হাত ধরে টান দিয়ে নিধিকে খাটে বসায়।
“বলো সৌরভকে নিয়ে কি ভাবছিলে।
” কককোথায় সৌরভ বললাম? আমি কখন সৌরভ বলছি
আদি দাঁত কটমট করে নিধিকে টান দিয়ে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়। একহাতে নিধির কোমর জড়িয়ে আর একহাত চুল ধরে
“আমাকে কপি করা
” এরকম করেন কেন? বাচ্চা মেয়ে আমি
ইনোসেন্ট ফেস করে বলে নিধি
আদি গাল টেনে বলে
“আমার সোনা বাবুটা তোমার ভাষায় টুনুমুনু। বলো বেবি কি ভাবছিলে
” আমাকে আপনার বাচ্চা মনে হয়। চোখ পাঁকিয়ে বলে নিধি।
“তুমিই তো বললে তুমি বাচ্চা
” একদম আমি বাচ্চা না। ঠিক সময় আমাকে কাছে টেনে নিলে আমিও এতোদিন দুই বাচ্চার মা হয়ে যেতাম।
গাল ফুলিয়ে বলে নিধি।
আদি হাবলার মতো তাকিয়ে আছে।
“আমাদের বিয়ের মাএ পাঁচমাস। এর মধ্যে দুইবাচ্চার মা কি করে হতে?
নিধিও তাই ভাবছে। সত্যিই তো এটা কখনোই পসিবল না। তুমি নিধি হারবে না। মুখের ওপর পড়ে থাকা চুল কারনে পিঠে গুঁজে বলে
” আমার তো টুইন বেবি হবে। তো হতোই তো
আদি বুঝতে পারে নিধির কাছে ভালো কোনো যুক্তি নেই।
“তুমি চাইলে এখনই তোমাকে বেবি দিতে পারি নিবা
দুষ্টু হেসে বলে আদি।
” হুমম সেই। আপনার বাবা চায় না আপনি আমার ধারেকাছে থাকেন আর আপনি বেবির কথা বলছেন। আপনাকে তো বাড়ি থেকে বের করবেই সাথে আমাকেও
আদি নিধির ঘাড়ে থুতনি রেখে বলে
“আমার হাত ধরে না হয় বাড়ি ছাড়লে। হ্মতি কি তাতে? দুজনে একসাথে পথে পথে ঘুরবো। ভালোবাসবো। ছোট্ট একটা কুড়োঘরে থাকবো। আমি মাঠে গরু চরিয়ে বাসায় ফিরবো আর তুমি যত্ন করে আমাকে খায়িয়ে দেবে। ইন্টারেস্টিং না বেপারটা
আদি নিধির চুলে মুখ গুজে বলে। নিধি সরে যেতপ নেয় আদি শক্ত করে ধরে।
” ররান্না করবো আমি
কাঁপা কাঁপা গলায় বলে নিধি।
আদি নিধির মুখের দিকে তাকিয়ে ভ্রু কুচকে বলে
“নিরামিষ কে? আমি না তুমি?
নিধি আদির চোখের দিকে তাকিয়ে বলে
” রান্না টা শেষ করে আসি তারপর আমিষ কতো প্রকাশ ও কি কি? দেখাবো কেমন
নিধি আদির নাক টেনে গালে একটা চুমু দিয়ে দৌড়ে চলে যায়। আদি গালে হাত দিয়ে মুচকি হেসে বলে
“পাগলি একটা
কিচেনে গিয়ে বিরিয়ানি চুলায় দেয়। মনোযোগ দিয়ে বিরিয়ানি রান্না করছে আর পরির কথা ভাবছে।
“মেয়েটার কেমন ভাগ্য। যখন সে একটা নতুন মানুষকে দুনিয়ায় আলো দেখাতে গেলো তখন সেই মরে গেলো। আর নিষ্পাপ শিশু সেও চলে গেলো। কিন্তু আমি শিওর বাচ্চাটা আদির না। আমি আদির বিয়ে করা বউ এতোদিন একসাথে থাকলাম তাও এখনো আমাকে একটা কিসও করে নাই। কপালে চুমু দিতে গিয়েও পারমিশন নেয়। সে এতো জঘন্য একটা কাজ করতেই পারে না। খুব বড় একটা রহস্য আছে। আর সব প্রশ্নের উওর আছে সৌরভের কাছে।
ভাবনার জগৎ থেকে বেরিয়ে দেখে বিরিয়ানি হয়ে গেছে। দারুণ একটা গন্ধ বেরিয়েছে। নিধি চামচে করে একটু বিরিয়ানি নিয়ে ফু দিচ্ছে। একটু ঠান্ডা হলে খেয়ে দেখবে কেমন হয়েছে। বিরিয়ানি ঠান্ডা হওয়ার পরে মুখে দেবে তখন হঠাৎ করে ইমন এসে নিধির থেকে চামচ কেড়ে দিয়ে পুরোটা খেয়ে ফেলে। নিধি কোমরে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে রাগী কন্ঠে বলে
” সবটা খেয়ে নিলি কেন?
ইমন আরও একটু বিরিয়ানি নিতে নিতে বলে
“ফাটাফাটি হয়েছেরে খেতে। তুই এতো ভালো রান্না করতে পারিস আগে তো জানতাম না
নিধি একটু ভাব নিয়ে বলে
” আমি আরও অনেক কিছু পারি
“নিধি দুটো প্লেট নিয়ে আয়
” কেনো?
“আমি আর তুই খাবো
” কেউ দেখে নিলে কি বলবে?
“কি বলবে?
” বলবে কেমন বউ রে বাবা। রান্না শেষ করে আগে আগে খেতে বসেছে। তাও আবার ফ্রেশ না হয়েই
“কেউ দেখলে তো বলবে। যা তো
নিধি দুটো প্লেট নিয়ে আসে। ইমন বিরিয়ানি নেয় তারপর কিচেনের ফ্লোরে বসে দুজনে আরামসে বিরিয়ানি খায়।
আদি তখন নিধিকে খুঁজতে কিচেনে আসছিলো। নিধি আর ইমনকে এমন লুকিয়ে খাওয়া দেখে ভিডিও করে। খাওয়া শেষ করে হাত ধুতে উঠে দেখে আদি পকেটে হাত ঢুকিয়ে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছে। নিধি চমকে ওঠে
” আআআপনি
নিধির কথা শুনে ইমনও উঠে দাঁড়ায়।
“সবাইকে বলে দিলে কেমন হয়?
নিধি তারাহুরো করে বলে
” প্লিজ প্লিজ বইলেন না
“ভাই বলিস না প্লিজ
দুইজনের ইনোসেন্ট ফেস দেখে আদির হাসি পাচ্ছে। মুখ চেপে হাসি আটকায় আদি।
” বলবো না যদি
“যদি
নিধি আর ইমন একসাথে বলে
” এই গাঁধাটা আমাকে খাইয়ে দেয়।
নিধি হা করে তাকিয়ে আছে।
“এই নিধি খায়িয়ে দে
নিধি বিরিয়ানি প্লেটে সার্ভ করে। আদির মুখের সামনে ধরে
” আমি এখানে খাবো না।
“তাহলে
” রুমে গিয়ে খাবো
রুমের কথা শুনে নিধির মুখটা কালো হয়ে যায়। নিশ্চয় আমাকে জ্বালানোর জন্য এই কথা বলছে। নিধি বিরক্ত হয়ে বলে
“চলুন
নিধি আগে আগে হাটছে আর আদি পিছে পিছে। আদি আবার শান্ত ভাবে হাঁটছে না। নিধির চুল টানছে আবার শুরশুরি দিচ্ছে। নিধি এক দৌড়ে রুমে চলে যায়। আদিও তাই। রুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়।
” দরজা বন্ধ করলেন কেনো?
নিধি খাটে গোল হয়ে বসে বলে
“খাওয়ার সময় কেউ ডিস্টার্ব করলে আমার পেট ভরে না।
বাঁকা হেসে বলে আদি
” তারাতাড়ি খান না প্লিজ। আপনার খাওয়া শেষ হলে আমি আপির রুমে যাবো। না জানি আপি কি করছে। সকাল থেকে তো খালি বমি করছে। কি হলো? আমি তো টেনশনে পাগল হয়ে যাচ্ছি। তার থেকেও বড় কথা আব্বু যদি আপিকে নিতে আসে তো আমাকেও নিয়ে যাবে। পৃতির বিয়ের দুই দিন বাকি। দুইদিন ওই বাড়িতে থাকতে হবে। আপনাকে ছাড়া
কথাটা বলেই নিধি থেমে যায়।
“আমাকে ছাড়া থাকলে কি হবে?
নিধি মুখ টা ছোট করে বলে
” কিছু না
আদি নিধির পাশে বসে নিধির হাত ধরে বলে
“তুমি কখনো আমার ওপর বিরক্ত হবে না প্লিজ। তুমি বিরক্ত হলে আমার এখানে (বুকের বা পাশে হাত দিয়ে) খুব ব্যাথা করে।
নিধি মুচকি হেসে বলে
” হুমমম
“কি হুমম
” হবো না
“কি?
” বিরক্ত
“লাভ ইউ
নিধি আদির ঠোঁটে আঙুল রাখে
“লাভ ইউ শব্দটা প্রেমিক প্রেমিকারা বলে। এই শব্দটার মধ্যে ধোঁকা শব্দটা আছে। ভালোবাসি বলতে হয়।
” একই তো
“এক না। ভালোবাসি ভেতর থেকে আসে। মন থেকে। আর লাভ ইউ আর পাঁচটা কথার মতো মুখ দিয়ে বের হয়। এতে কোনো ফিলিং নেই।
” ওহহহ মাই গড।
“তাহলে বলেন
” ভালোবাসি
“আমিও মারাক্তক।
এবার হা করেন
আদি হা করে নিধি খাইয়ে দেয়। আদি এক দৃষ্টিতে নিধিকে দেখছে আর খাচ্ছে মাঝেমাঝে কামর দিচ্ছে নিধির হাতে। নিধি চোখ গরম করে তাকায় আদি কানে হাত দিয়ে সরি বলে।
খাওয়া শেষে আদির ফোন বেজে ওঠে। স্কিনে রোহন নামটা দেখে আদি অগ্নি দৃষ্টিতে নিধির দিকে তাকায়।
” যাহহ বাবা আমি কি করলাম? এভাবে তাকাচ্ছেন কেনো?
“তোর নাগর তোকে ফোন দিছে। নে কথা বল।
নিধির দিকে ফোন এগিয়ে দেয়। নিধি একটা ঢোক গিলে। মনে মনে ইচ্ছে মতো রোহনের চোদ্দ গুষ্টি উদ্ধার করছে
চলবে