শুকনো ঘাস ফুল part: 12

0
1354

#শুকনো_ঘাস_ফুল?
#natasa_islam_muntaha
#part::12

???

আহিবার ঙ্গান আসতেই আহাদ ওকে নিয়ে টেস্ট করাতে নিয়ে যায় ….

টেস্ট করিয়ে রাফিকে বলে রিপোর্ট গুলো ডা.মুন্নির কাছে নিয়ে পাঠায় আর আহাদ আহিবাকে নিয়ে বাসায় চলে আসে ………

বাসায় এসে চুপ চাপ বসে থাকে ..আহিবা নিজের রুম গিয়ে সুয়ে আছে …রাফি কিছুক্ষন এর মধ্যেই বাসায় চলে আসে

আহাধ:কি রে ডাক্তার কি বল্লো
রাফি:দা ভাই আমার সাথে একটু রুম চল
কাকা:কেন এখানে বল্লে কি হবে
রাফি:বাবা প্লিজ …দা ভাই তুই আয় না
আহাধ:আচ্ছা চল

আহাধ রুমে যেতেই রাফিও যায় দরজা লাগিয়ে দেয় …রাফি মাথা নিচু করে বসে আসে ..

আহাধ:কিরে কিছু বলবি তো

রাফি দীর্ঘশ্বাস ফেলে :দা ভাই আহিবা pregnant

আহাধ:কি সত্যি বলছিস তুই ও না এমন একটা খবর এখানে এনে দিচ্ছিস …ধূর চল তো বসার রুমে
রাফি:দা ভাই দারা আরো আছে
আহাধ :মানে ..কি বলতে চাস ক্লিয়ার করে বল
রাফি :pregnant আর আহিবার মাথায় যে সিটি স্কানটা করতে দিয়েছিল সেটাতে কি রিপোর্ট এসেছে যানিস ..ওর ব্রেন টিউমার
আহাধ:কিহহহহ

(ধপ করে খাটের কোনার মাটিতে বসে পরে

??

রাফি:দা ভাই ওর টিউমার টা অনেক বড় হয়ে গেছে …এখন অপারেশন করানো অনেকটাই রিক্স আর pregnancy এর জন্য আরো রিক্স….ডাক্তার ওর বেবীটা নস্ট করে দিতে বলেছে না হলে আহিবাকে বাচানো যাবে না …কিন্তু একেই তো ওর বসয়টা বেশী না [আমার কাছে একজন জানতে চেয়েছেন ওদের বয়সের পার্থক্য কত ….ওদের বয়সের পার্থক্য এা একটু বেশী ..এনির সাথে ঠিক হলেও আহিবার সাথে ৮ বছরের পার্থক্য …আর আহাধ বিজনেস যাস্ট দেখা শুনা করে নিজেদের এই জন্য তা ছারা সেও পড়াশুনা করে ] আর এর জন্য ওর ফাস্ট বেবী যদি নস্ট করে দেওয়া হয় তবে ওর pregnant হওয়ার ক্ষমতা ৭০ থেকে ৭৫ % কমে যাবে …এমনকি মা হওয়ার ক্ষমতাটাও হাড়িয়ে ফেলতে পারে ….

আহাধ চুপ করে নিচে তাকিয়ে আছে চোখ থেকে টপ টপ করে তার পানি গড়িয়ে নিচে পরছে ….কি বলবে সে ….কি করবে তার কি করার আছে …প্রকৃতি বরউ নিষ্টুর ..

রাফি:দা ভাই নিজেকে শক্ত কর না হলে কি করে হবে ..

আহাধ এবার আর নিজেকে আটকাতে পারে না …কেদে দেয় সে রাফি কি বলবে তা তার জানা নেই ..

?

আহাধ:কেন এমন হয় বলতে পারিশ …ভালোই তো ছিলাম ..তবে আজ কেন প্রকৃতি আবার এমন সব এলো মেলো করে দিলো কেন …বাবা মা বোনকে হাড়িয়ে তো নিস্ব হয়ে গিয়েছিলম আহিবাই তো আমায় আবার এই হাসি খুশির মধ্যে মিলতে শিখেয়ে ছিল ..তবে আজ আবার এ কোন পরিক্ষ এসে সামনে হাজির হলো ..কি করবো ..আহিবা কখনই সন্তান হাড়ানোর চিন্তাও মাথায় ও আনবে না ..যা করার আমায় করতে হবে …কিন্তু বাবা হয়ে নিজের সন্তানকে নিজের হাতে কি করে শেষ করবো ..কি করে নিজের সন্তানের খুনি হবো …না হলে আহিবাকেই বা বাচাবো কি করে …..কেন এমন হয় কি করবো আমি …ঠিক কি করবো …

??

রাফি কি বলবে তার ও জানা নেই ….রাফির চোখ থেকেও আজ পানি পরছে …সে তো কখনও এমনটা চায় নি …আহিবাকে অসজ্য করতো তাকে শেষ করে দিতে চাইতো কিন্তু এক সময় নিজের ভুল বুঝে আপন বোন বানিয়ে নিয়েছিল ..ভালোবাসে সে আহিবাকে নিজের বোনের মতো…আর আজ এ কেমন কঠর পরিস্থিতিতে দারিয়ে আছে সবাই …কি জবাব দিবে যখন আহিবা রাফির কাছে কি রিপোর্ট এ এসেছে সপটা জানতে চাবে …এর উওর জানা নেই রাফির ..

এর মধ্যেই হঠাৎ রুমের দরজায় আহিবা টোকা দেয়

আহিবা:তোমরা কি করছো বলো তো দুজন কাকা বল্লো সেই কখন থেকে এক সাথে কি গুজুর গুজুর ফুসুর ফুসুর করছো হুম আমাদের বলা যায় না …ভাইয়া দরজা খুলো

আহাধ আর রাফি তারাতারি করে নিজেদের সামনলে নিয়ে দরজা খুলে ..

দরজা খুলতে দোরী আহিবার রুমে ডুকতে দেরী নাা|

আহিবা:কি করছিলে তোমরা আর ভাইয়া তুমি কাদছিলে কেন
রাফি এবার জোরেই কেদে দেয় …কাদতে কাদতে খাটে গিয়ে বসে পরে
আহিবা :কি হলো তুমি কাদছো কেন …এই আপনি কিছু জানেন ভাইয়া কাদছে কেন (আহাধ কে উদ্দেশ্য করে )
আহাধ:নাহ তো
রাফি:ও জানবে কি রে ..?আমার প্রমিকা আমায় ছ্যাক্যা দিয়েছে
আহিবা জোরেই হেসে দেয়
আহিবা:তুমি ছ্যাক্যা খেয়ে ব্যাকে হয়ে গেছে ভাইয়া ?..আহারে আবার বাচ্চাদের মতো কাদছেও
রাফি:মজা নাও তুমি
আহিবা:নাহ একদমই না?
রাফি আহাধ এর দিকে তাকায় ..আহাধ এর দৃষ্টি শুন্যের দিকে
আহিবা:ওহহ দেখেছো যার জন্য এসেছিলাম ঐ রিপোর্ট এ কি এসেছে

রাফি চট করে আহাধ এর দিকে তাকায় আর আহাধ আহিবার দিকে

আহাধ:রিপের্ট একদম ঠিক আছে
আহিবা:আচ্ছা আমায় একটু দাও …ওহ এই তো পেয়েছি ..

আহিবা রিপোর্টের প্যাকেট টা হাতে নেওয়ার সাথে সাথে রাফি সেটা ছো মেরে নিয়ে যায়

আহিবা:এটা কি হলো
রাফি:কিছুনা তুমি বুঝবা না …পিচ্চি
আহিবা:এটা কোনো কথা বল্লা ..দাও না আমি একটু দেখি না
আহাধ ধমকের সুরে :না করেছে যখন জেদ ধরছো কেন ….বড়দের কথা মানতে হয় শুনতে হয় জানো.না……এটা কোন ধরনের বেয়াদবি

আহিবা মাথা নিচু করে :সরি

বলেই রুম থেকে চলে যায় …আহিবা কষ্ট পেয়েছে সেটা ওরা দুজনই বুঝতে পেরেছে

রাফি:দা ভাই এটা কি করলি
আহাধ:কি করতাম বল ও জোর করে হলেও রিপোর্টটা দেখতো আর ও মা হতে চলেছে এটাও যেনে যেতো

আহিবা দরজার বাহিরে গিয়েছিল কিন্তু কিছু একটা মনে করে আবার আসে তখনই আহাধ এর কথা শুনতে পায়

আহিবা:মানে

রাফি আর আহাধ দুজনই দরজার দিকে তাকায় ..তারপর একজন আর এক জনের দিকে

আহাধ:মমমমানে কি
আহিবা:আমমমমমি মমমা হহহবো …আপনারা এটা বলেন কি কেন
আহাধ দীর্ঘশ্বাস ফেলে :তোমায় সারপ্রাইজ দিতে চেয়েছিলাম
আহিবা :আপনারা বড্ড খারাপ

বলেই হন হন করে নিজের রুমে চলে যায় আহাদ আবার খাটে বসে পরে

আহাধ:এখন কি করবো
রাফি:আহিবা যেনে শুনে কিছুই করতে দিবে না …দা ভাই বুঝতে পারছি না এর ফল ঠিক কি হবে …

আহাধ চুপ করে বসে আছে ……..

??
এনি আর রাহুল এর মধ্যে এই দুমাসে অনেক কিছুই পাল্টে গেছে এনিও বদলে গিয়েছে অনেকটাই|এখন আর আহাধ এর কথা তার মনে পরে না যদিও রাহুল পরতে দেয় না …
রাহুলের মা একদিন দুজনকে ডেকে অনেক কিছু বুঝায় …যাতে তারা তাদের অতীত ভুলে নতুন করে জীবন শুরু করে…অনেক কাঠ খর পুড়িয়ে সে এনি আর রাহুলকে বুঝাতে সক্ষম হয় ..আর আজ রাহুলদের বাড়ি না না রং এর আলোর সজ্জায় সজ্জিত …চারিদিকে মেহমান আর মানুষ গিজ গিজ করছে ..বাচ্চাদের খুশির আর্থনাথ …হৈ হুল্লুর …সবার মুখেই আজ হাসির রেখা ফুটে উঠেছে …সবাই আনন্দে মেতে উঠছে …আর তাদের এই আনন্দের মুল কারন এনি আর রাহুল …হুম আজ তাদের বিয়ে ..স্টেজে বসে আছে একজন বর সাজে আর একজন কনো সেজে ….রাহুল একটু ওর পর এনিকে জ্বালাচ্ছে আর এনি কিছু না বলতে পেরে রাগী চোখে তাকাচ্ছে বার বার…কিন্তু রাহুল এটা গায়েই লাগাচ্ছে না …এনি অতিষ্ট হয়ে গেছে তবুও নতুন বউ কিছু বলতে পারছে না …….

বাসর ঘরে বসে আছে এনি বউ সেজে …তবে আজ আর তার পুরনো কথা মনে পরছে না …নতুন করে স্বপ্ন দেখছে সে ..ওহ বর একটা কথা এই দু মাসে ডিভোর্স হয়ে গেছে এনি আর আহাধ এর …….

রাহুল রুমে আসতেই এনি আস্তে করে উঠে রাহুল এর সামনে দারায় রাহুল মুচকি হাসে ..এনি তাকে সালাম দেয় ….

সালাম দিয়েই নিজের ঘোমটা নিজেই টান দিয়ে খুলে ফেলে এনি

রাহুল :এটা কি হলো
এনি:কি হলো তাই না …স্টেজে বসে ইচ্ছা মতো জালিয়েছো তোমার খবর আছে …
রাহুল :এটা ঠিক না আজ না আমাদের বাসর
এনি:রাখো তোমার বাসর ..আগে তোমায় পিটাই তারপর দেখা যাবে
রাহুল:এই না

কে শোনে কার কথা দুজন মিলে রুমে দৌড়া দৌড়ি শুরু করে দেয় ..রাহুল এর বাধ্য হয়ে দু চারটা কিল খেতে হয়

রাহুল:আহহহহ থামো
এনি:হুহ

রাহুল তার বাহু ডোরে এনিকে আবদ্ধ করে নেয়

এনি:তততততুমমমমি
রাহুল:হুস

বলেই কোলে তুলে নেয় এনিকে …এনিও রাহুল গলা জড়িয়ে ধরে আছে ..

হাড়াতে চায় একজন আর একজন এর জগৎ এ …ডুবে থাকতে চায় পুরনো অতীত ভুলে ….তাদের সাজানো জগৎ এ ….থাকুক তারা তাদের মতো ….

[আমি কাবাব মে হাড্ডি হতে চাই না আমি গেলাম …আপনারার চলেন এখান থেকে কেমন ??]

?
আহিবা ঘুমিয়ে পরেছে আহাধ এর চোখে ঘুম নেই ..

??
আহাধ আস্তে করে আহিবার কপালে চুপু দিয়ে বেলকনিতে চলে যায় …সিকারেট খাওয়ার তার মোটেও অভ্যাস নেই তবে আজ খাবে …সিকারট এর আগুন টা জ্বালিয়ে বারান্দায় যায় …সিকারেটের ধোয়ায় নাকি কষ্ট ভোলা যায় আদোও কি সম্ভব এটা …আহাধ রাতের অন্যকারে নিশ্চুপ শহরটার দিকে তাকিয়ে আছে….কোনো বাড়িতে আলোর ছিটে ফোটাও দেখা যাচ্ছে না …রোড লাইটের আলোয় আলোকিত হয়ে আছে রাস্তা …তার পাশেই ঘুমিয়ে আছে কিছু কুকুর …আহাধ আপন মনে সিকারেটের ধোয়া ছারছে তবুও শন্তি পাচ্ছে না সে ….আহাধ এর চোখ দিয়ে পানি পরছে টপ টপ করে …বাহিরের আকাশ টাও ডাকা ডাকি করছে অনেক হয়তো বৃষ্টি নামবে তার জানান দিচ্ছে …মেঘ গুলো তার শব্দ দিয়ে …

কারো জন্য এই রাত টা সুখের আর কারো জন্য নিত্তান্তই কষ্টের …যেমন আহাধ আর আহিবা ….আহিবা জানেই না কিছু কিন্তু আহাধ ঠিক ই কষ্টে পুরছো …সে দিক খুজে পাচ্ছে না কি করবে আর অন্যদিকে এনি রাহুল ..যারা সব অতীত ভুলে নতুন ভালোবাসার রাজ্যে নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত …হুম এটাই জীবন …

চলবে ,,,,,,, ,,,,,,, ,,,,,,

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে