#লাভ_উইথ_মাই_বেটারহাফ
#পর্ব-৩
#সাদিয়া_খান(সুবাসিনী)
সকাল সকাল শাশুড়ি মায়ের চিৎকার, রাগীস্বরে কথা শুনে দীর্ঘশ্বাস ফেলল তৃষ্ণা।
আজ নতুন নয়, এ বাসার নিত্যদিনের কাহিনী এসব। শাশুড়ি তার বউয়ের উপর বিরক্তি প্রকাশ করে আর শ্বশুর খবরের কাগজ পড়তে পড়তে মুচকি হাসে।
একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে তৃষ্ণা এগিয়ে গেল খাবার টেবিলের পাশে।
তার শাশুড়ি সাদা ভাতের প্লেট এবং ডিম ভাজি নিয়ে বসে আছেন।বলা বাহুল্য অপেক্ষা করছে তৃষ্ণার জন্য।
তৃষ্ণা এগিয়ে যেতেই বলল,
“এই মেয়ে, কোনো বাহানা না।চুপচাপ এসে বসো বলছি।”
হিজাবে ক্লিপ লাগাতে লাগাতে তৃষ্ণা বলল,
“মা সত্যি আজ সময় নেই। আমার বাস ধরতে হবে৷ আমি রুটি রোল করে নিয়ে যাচ্ছি তাতেই হয়ে যাবে। পরে না হয়…… ”
“নাও হা করো। রুটি নিতে নিষেধ করেছে কে?নিয়ে যাও। আগে ভাত খেয়ে নাও।”
“আপনি হাটুর ব্যথা নিয়ে আবার ভাত চড়িয়েছেন?”
“আতুরঘরে তিন দিন থাকার পরেই আমার শাশুড়ি আমাকে ধান বানতে দিয়েছিল।হাটুর ব্যথা নিয়ে ভাত রান্না তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নয়।”
এই পর্যায়ে শ্বশুর বললেন,
“তোমার কপাল দেখো, তোমার শাশুড়ি তোমাকে নিজ হাতে ভাত খাইয়ে দিচ্ছে।”
“কেন দিবো না।ও কী কম করে আমাদের জন্য?এই কাজের মেয়ের রান্না খেতে কষ্ট হয় বলে নিজে রান্না করে। আমি দু মুঠো ভাত খাইয়ে দিলেই কী এমন হয়?”
তৃষ্ণার চোখে হঠাৎ পানি এলেও প্রকাশ করলো না সে। তাগাদা দিয়ে বেরিয়ে এলো বাসা থেকে। এতটা সুখ বুঝি তার পরাণে লাগেনি আগে৷
পরীক্ষা শেষ করে টিচার্স রুমে প্রবেশ করতেই তৃষ্ণার ফোন বেজে উঠলো।
কথা শেষ করে তৃষ্ণা খেয়াল করলো আড্ডা জমে উঠেছে সবার মাঝে।
গরম চা’য়ের কাপে চুমুক, সমুচার মুড়মুড় শব্দে।
বিষয় বস্তু বয়স্ক শ্বশুর শাশুড়ি। তাদের কথা বলতে বলতে একেকজন নাট ছিটকাচ্ছে।
মিসেস রহমান বললেন,
“মিস বিশ্বাস করবেন না আমার সাহেবের বাবা টয়লেট ফ্ল্যাশ করতে জানে না। কি যে অবঘেন্না।”
অংকের ম্যাম বললেন,
“আমি পিতপিতে স্বভাবের সেই আমার শাশুড়ি যত্রতত্র কফ ফেলে, ভুরভুর করে গ্যাস ছাড়ে। আর পারি না।ভেবেছি বৃদ্ধাশ্রমে দিয়ে দিবো। কারণ বাসায় রাখলে আমার সন্তানের লেখাপড়া হচ্ছে না।”
একসময় তৃষ্ণাকে জিজ্ঞেস করে তার পরিবারের কথা। সে কবে তার শ্বশুর শাশুড়ি কে বৃদ্ধাশ্রমে দিবে। যেহেতু সবাই মোটামুটি এমনটাই করার ভাবছে তাই সবাই মিলে যে কোনো একটা জায়গায় দিলে বিষয়টা মন্দ হয় না।
তৃষ্ণা তাদের কথায় প্রথমে অবাক হয় তারপর বিরক্ত তবুও কন্ঠে নমনীয়তা রেখে বলল,
“আমার মা-বাবা সাথেই থাকবে।কারণ সংসারটা আমার শাশুড়ির আমিই বা এলাম কদিন হলো।তাছাড়া তারা যাই হোক বর্তমানে আমার অভিভাবক আমার স্বামীর মা-বাবা।”
তার কথায় তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে মিসেস রহমান বললেন
“যাক আর বছর দুই। তখন এই নীতি কথা থাকবে না।”
“জানেন মিস, আমার এক ভাই। আমার ভাইয়ের সাথেই বাবা-মা থাকে। যদি তাদের কে ভাই বৌ না রাখে তখন আমি কী জোর করতে পারবো?আমার বাবা মা বৃদ্ধাশ্রমে থাকবে এটা আমি ভাবতেও পারি না।যদি নিজের বাবা-মা কে না দিতে পারি তবে অন্যের বাবা-মা কে পাঠানোর চিন্তা করা কী উচিৎ?
আপনি বললেন না?সন্তানের পড়াশোনা ক্ষতি হচ্ছে অথচ আপনার স্বামীও কারো সন্তান। সেই সন্তানের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে কতই না আত্মত্যাগ করেছে তারা। অথচ শিক্ষিত হয়ে, চাকরি পেয়ে কী লাভ হলো তাদের?যদি তাদের বৃদ্ধাশ্রমে থাকতে হয়?
আজ যে সন্তানের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে আজ তাদের বৃদ্ধাশ্রমে পাঠাতে চাচ্ছেন,আগামী দিনে আপনার ভবিষ্যৎ কী?
ধরেন আপনি এলাকার একজন মানুষ যার অনেক জমিজমা আছে, অন্য একজন ব্যবসায়ী। সেই ব্যবসায়ী শুধুই আপনাকে কটাক্ষ করে কারণ সে মনে করে তার মতোন ভালো আর দুটো নেই। কিন্তু দিনে দিনে তার ব্যবসায় মন্দা দেখা দিচ্ছে কারণ বাজারে নতুন একজন এসেছে। সে আর কেউ নয় আপনি।যে নিজের জমিতে ফসল ফলিয়ে নিজেই সব করছেন।আপনার লাভ লোকসান আপনার নিজের কাছেই রইল।অপর দিকে ব্যবসায়ীকে অন্যের থেকে ফসল কিনে, নানা উপায়ে প্রচারণা করে এরপর ব্যবসা করতে হচ্ছে।
কিন্তু এতে সে খুব একটা লাভ হচ্ছে না।
কারণ লাভের পরিমাণ খুব অল্প।ঠিক তেমনি শ্বশুর শাশুড়ি হচ্ছে জমি। যে আমাদের আগলে রাখছে তাদের সব’টা দিয়ে। তাদের অবহেলা করে আমরা কী সুখী হতে পারি?
আজ আমি বৌ কাল তো শাশুড়ি হবো।
হ্যাঁ মানি অনেক শাশুড়ি বৌকে অত্যাচার করে তাই বলে তো আর সবাই সমান নয়। বরফ মিশ্রিত
ঠান্ডা পানিও ধীরেধীরে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় গরম হয়ে যায়। আর রইল বাকী মানুষের মন!”
আরশাদ চিন্তিত মুখে বসে আছে। তার পাশে বসে আছে রাকিব,আসিফ,শাকিল সহ আরো দুই একজন।
রাকিব জানপ্রাণ দিয়ে চেষ্টা করছে আরশাদকে বোঝানোর জন্য।
তৃষ্ণা যায় না আরশাদের লাইফ স্টাইলের সাথে। কর্পোরেট দুনিয়ায় একটা ভালো পদে চাকরি করা ছেলের বউ নিয়মিত যাতায়াত করে সামান্য বাসে।কালেভদ্রে বেড়াতে যায় না। দামী পোশাক পরে খুব কম।সব’চে বড় কথা ড্রিংকস করে না।
ইদানীং কালের কোনো মেয়ে আছে না কী?এই সোসাইটিতে? যে ক্লাবে যায় না। যত্তসব ন্যারো মেন্টালিটির কাজ।
রাকিবকে থামিয়ে দিয়ে শাকিল আরশাদকে জিজ্ঞেস করলো,
“তুই আমাকে বল,তুই কেন ডিভোর্স চাইছিস?”
“কারণ আমি ফেড আপ। ওর মিডেলক্লাস ন্যারো মেন্টালিটির কারণে আমি ফেড আপ হয়ে আছি।”
“কী রকম?”
“রাকিব তো বলল।”
আরশাদের জবাবে নিঃশব্দে হাসে শাকিল। কাধে হাত রেখে সে ধীরে ধীরে বলল,
“আলোতে নিলে চোখ ধাধানো আলো কিন্তু কাঁচেও পাওয়া যায় কিন্তু হীরে সব সময় ঝলমলিয়ে উঠে না।তাই কাঁচ আর হীরের মধ্যে পার্থক্য নিজে নিজে বুঝতে শিখেনে। না হলে হীরে হারিয়ে কাঁচে হাত কেটে বসবি।”
রাত তখন সাড়ে বারোটা। আরশাদ ফিরেছে নেশায় বুদ হয়ে। ঘরে ফিরেই নিজের স্বাক্ষর করা ডিভোর্স পেপার ছুড়ে দিলো তৃষ্ণা সামনে। জঘন্য ভাষায় গালি দিয়ে বলল
“এই মুহুর্তে স্বাক্ষর করে বেরিয়ে যা ফকিন্নির বাচ্চা।”
চলবে।
#লাভ_উইথ_মাইবেটারহাফ
#পর্ব-৪
#সাদিয়া_খান(সুবাসিনী)
প্রেমের সম্পর্কের বিয়েতে যখন ভাঙ্গন ধরে তখন আশেপাশের মানুষ মুখ লুকিয়ে অট্টহাসি হাসে।
ভকভক শব্দে বমি করে ফ্লোর ভাসিয়ে দিয়েছে আরশাদ। পাশেই কাঠ কাঠ মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে আরশাদের বাবা।
ছেলের বেগতিক অবস্থা দেখেও এগিয়ে যায়নি তার মা। সে শক্ত হাতে নিজের বুকের সাথে তৃষ্ণার মাথা চেপে ধরে আছেন।
তৃষ্ণা তখন থরথর করে কাঁপছে।
ঘাড়ের পিছনে, কাধে অসহ্য ব্যথা হচ্ছে। মাথার ভিতর শ’ টনের বোঝা, শ্বাস নিচ্ছে।
খুব ধীর গতিতে। চোখের সামনে বেহুশ অবস্থায় পড়ে আছে তার স্বামী। আশেপাশে ছড়িয়ে আছে ডিভোর্স পেপার এর তিনটে পাতা।ঠোঁটের বা পাশে জমাট বাধা রক্ত হাত দিয়ে স্পর্শ করলো তৃষ্ণা। কেমন শুকিয়ে জমে আছে রক্ত।
আরশাদের হাতে থাকা ঘড়িতে লেগে তার ঠোঁটে আঘাত লাগার পর শাশুড়ি মা তাকে যে ধরেছে আর ছাড়ার নাম নেই।
কিন্তু তাকে তো উঠতে হবে। এই পরিবেশে থাকা সম্ভব নয়। শাশুড়ীকে ছাড়িয়ে সে উঠে বসলো,চুলগুলো হাত খোপা করে এগিয়ে গেল আরশাদের দিকে।
এতক্ষণ চুপ করে থাকা তার শ্বশুর এবার বজ্রকন্ঠে তাকে ধমকের সুরে বলল,
“ঘরে যাও। ওকে ধরার প্রয়োজন নেই।সে কোনো স্বর্ণপদক জিতে আসেনি।বন্ধুদের সাথে মাতলামো করে এসেছে।
তোমার জন্য তালাক নামা বানিয়ে এনেছে।
ওর সেবা করার কোনো দরকার নেই।যাও ঘরে যাও। বিশ্রাম নাও, কাটা জায়গা পরিষ্কার করো।
ওকে থাকতে দাও ওখানেই। নেশা কেটে গেলে তখন বুঝতে পারবে ও কোথায়, তুমি ছাড়া ওর স্থান এ বাড়িতে কোথায়।”
শ্বশুর মশাইয়ের কথা শুনে চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইল তৃষ্ণা। কিছুক্ষণ পর বলল,
“বাবা এখানে থাকলে অসুস্থ হয়ে যাবে। সারা রাত নিজের করা বমির মধ্যেই গড়াগড়ি খাবে। দূর্গন্ধ ছড়াবে।”
“এই ময়লা না হয় পরিষ্কার করলে, দূর্গন্ধ তুমি সরিয়ে দিলে কিন্তু ও নিজের ব্যক্তিগত জীবনে যে ময়লা ঘাটছে, সেই দূর্গন্ধ কীভাবে দূর করবে?”
“সে যদি আমাকে বাধতে না চায় আমি কীভাবে বাধবো নিজেকে তার সাথে?”
তৃষ্ণা দাঁড়ায় না, দ্রুত চলে যায় ওয়াশরুমে৷শাশুড়ি সাহায্যে আরশাদ কে ঘরে নিয়ে পরিষ্কার করে তাকে। বিছানায় যখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন আরশাদ, তৃষ্ণা তখন ব্যস্ত স্মৃতির চিঠিগুলো পড়তে।
আরশাদের সাথে প্রেমটা হুট করে হয়নি।
হয়েছিল বুঝে,শুনে,মেপে মেপে। কারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে মেয়েদের আবেগে ভেসে বেড়ালে চলে না। তাদের পদক্ষেপ নিতে হয় অনেক ভেবে চিন্তে।
দশ টাকার বাদাম কিনেও পার্কে আড্ডায় সময় নষ্ট করা যায় না, বিকেলটা থাকে দুটো এক্সট্রা টিউশনির জন্য।
মাস শেষে দুজনের দেখা, প্রিয় মানুষের জন্য রান্না করে নিয়ে আসা খাবার দুজনে ভাগ করে খাওয়ায় এক তৃপ্ততা আছে যা পাওয়া যায় না রেস্টুরেন্টের বার্গার কিংবা অন্য কোনো খাবারে।
একই এলাকায় বাসা ছিল দুজনের। তৃষ্ণা মায়ের জন্ম দিনে সোনার দুল উপহার দিবে বলে তখন বিকেলে টিউশনি করাতো।
ফিরতে রাত হতো না তবে সন্ধ্যে হতো।সেই সন্ধ্যে বেলা কখনো তৃষ্ণার বাবা বা ভাই এগিয়ে নিয়ে আসতো তাকে। বিড়ালছানার মতো একটা মেয়ে চুপচাপ হেটে যেত বাবা বা ভাইয়ের পাশে। রাস্তায় কুকুর দেখলে বাবা বা ভাই তাকে আগলে নিয়ে যেত এমন ভাবে যেন সদ্য স্কুলে ভর্তি হওয়া বাচ্চা মেয়ে।
একদিন সন্ধ্যেবেলা তুমুল বৃষ্টি। টিউশনি থেকে বেরিয়ে বাবা বা ভাই কাউকে না পেয়ে দাঁড়িয়ে ছিল তৃষ্ণা। বৃষ্টির থামার নাম নেই, হয়তো এজন্য কেউ আসতে পারেনি। কিন্তু এমন তো হয় না, কেউ না কেউ তো আসেই।সন্ধ্যে হচ্ছিলো তৃষ্ণা ধীরে ধীরে এগুতে থাকে বাসার দিকে। কিন্তু রাস্তার মাঝে কয়েকটা কুকুরের ঝগড়া দেখে চুপচাপ দাঁড়িয়ে যায়। সদ্য কলেজে পড়া তৃষ্ণার চোখে মুখে ভয় দেখে টং দোকান থেকে এগিয়ে আসে আরশাদ।কোনো কথা না বলেই চলতে থাকে তার আগে।তৃষ্ণা তাকে চেনে না এমন নয়, এলাকার ভাই হিসেবে চিনে, সে বুঝতে পারে লোকটা তাকে সাহায্য করছে যা এখন তার খুব প্রয়োজন তাই চলতে থাকে তার পিছন পিছন।
বাকী রাস্তা কেউ কোনো কথা বলেনি,বাসার কাছাকাছি আসতেই তাদের সামনে একটা রিক্সা এসে দাঁড়ায়। রিক্সায় ছিল তৃষ্ণার বড় ভাই। কোনো কথা না বলেই বোনকে জড়িয়ে ধরে বলল,
“আমি কতটা ভয় পেয়েছি তোকে না পেয়ে। একা আসতে গেলি কেন?বৃষ্টির সময় যদি বিপদ হতো?”
এরপর আরশাদকে দেখে কৃতজ্ঞতার সুরে তাকে বলল,
“ভাই তুই বড্ড উপকার করলি।দাদী আছাড় পড়ে পা ভেংগে ফেলেছে। আমরা সবাই হাসপাতালে ছিলাম।ওকে আনতে যাবো তখন বৃষ্টি। তবুও যেতে যেতে দেখি এসে পড়েছে।
এগিয়ে দিয়ে গেলি এর জন্য অনেক ধন্যবাদ।”
“উল্টো কেনো ভাবলেন না? আমি তো ক্ষতিও করতে পারতাম?”
“চা মামার কাছে যখন জিজ্ঞেস করতে গেছিলাম তখন সে বলল কুকুরের ঝগড়ার কথা। তাছাড়া তোকে অবিশ্বাস করার কিছুই নেই।”
রাত পেরিয়ে ভোর হচ্ছে। তৃষ্ণা সালোয়ার কামিজ পাল্টে শাড়ি পরেছে। জানালার ধারে দাঁড়িয়ে সে কিছু একটা মনে মনে আওড়াচ্ছে।
আরশাদের যখন ঘুম ভাংলো তখন বেলা প্রায় অনেক।ঘরটা ফাঁকা ঠিক যেমন লাগছে তার মাথার ভিতরটা। এ সময় তৃষ্ণা কখনো বিছানায় থাকে না কিন্তু বাসায় থাকে। বার কয়েক ডাক দেওয়ার পরও কোনো খোঁজ না পেয়ে আরশাদ বেরিয়ে এলো রুম থেকে।
এক গ্লাস ঠান্ডা পানি নিয়ে ঘরে ফিরে এসে দেখলো,
ঘরের কোথাও তৃষ্ণা নেই, না আছে তৃষ্ণার কোনো স্পর্শ। হুট করে তৃষ্ণা যেন মিলিয়ে গেছে যেমনটা মিলিয়ে যায় এক রাশ নিস্তব্ধতায় দীর্ঘশ্বাস।”
চলবে।