#রৌদ্র_মেঘের_জুড়ি(১০)
অনলদের বাড়ির সামনে রিক্সা থামতেই নেমে পরে দুজনে। অনলের মা আর আরও একটা মেয়ে এগিয়ে আসে। ওদের থেকে ব্যাগ গুলি নিয়ে ভেতরে নিয়ে যায়। মেয়েটার নাম মিষ্টি। মিষ্টি অনলের সামনে মাথা নুয়ে জিজ্ঞেস করে , কেমন আছো তুমি?অনেক দেরি করে এলে যে এবার?
ব্যস্ত ছিলাম তাই আসতে পারিনি।
ওহ। আর ওই মেয়েটা?
অনল মৈএীকে দেখিয়ে বলে, আমার কলেজের স্টুডেন্ট!কখনো গ্রাম দেখেনি তাই সাথে করে নিয়ে এসেছি। তোর রুমে নিয়ে যা……
মিষ্টি হাসি মুখে মৈএীর সাথে কথা বলে গেট পেরিয়ে ভেতরে নিয়ে যায়। একতলা খুবই ছোট একটা বাড়ি অনলদের চারটা শোবার রুম আর কিচেন বাথরুম রয়েছে। মৈএীকে একটা রুমে নিয়ে এসে মিষ্টি বলে।
আমি জানতাম শুধু অনল আসবে তুমি আসবে তা জানতাম না। তাই অন্য একটা রুম পরিস্কার করে রাখিনি। এখানে আমার সাথে এক রুমে থাকবে কি তুমি?একটা রাত?
সমস্যা নেই আপু।
।আচ্ছা। বসো আমি খাবার সাজিয়ে নিচ্ছি।চেঞ্জ করে নাও তুমি।
হুম আপু।
মিষ্টি মৈএীকে রুমে দিয়ে এসে টেবিল সাজিয়ে দেয়। অনল আর মৈএীকে ও গিয়ে ডেকে নিয়ে আসে। খাবার শেষ করে মৈএী মিষ্টির সাথে রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পরে।
পরের দিন সকাল সকাল মৈএী উঠে দেখে মিষ্টি মেয়েটা এখনো ঘুমিয়ে আছে ওর পাশে তাই ব্রাশ বের করে ফ্রেশ হয়ে রুমের বাইরে আসে। গত রাতে অনল যে রুমে গিয়েছিলো মৈএী সেই রুমের দিকে যায় দরজা খুলেই রাখা আছে ভেতরে লাইট অন তার মানে অনল উঠেছে। মৈএী ভেতরে গিয়ে দেখে অনল একটা বই নিয়ে বিছানার সাথে আধশোয়া অবস্থাই রয়েছে। অনল ওকে আসতে দেখেই ঠিক করে বসে এই প্রথম অনল মৈএীকে এত সকালে স্নিগ্ধ অবস্থায় দেখছে একদম সকালে বাগানে ফোটা ফুলের মতো লাগছে। অনল ওর দিকে তকিয়ে হাতের বই বন্ধ করে।
কি করছিলে অনল?
ইশ্ এই মৈএী তাকে এভাবে ডাকে কেন একদম অনলের বুকের বাম পাশে এসে ধাঁক্কা লাগে। অনলের সেভাবেই সাড়া দিতে ইচ্ছে করে তবুও নিজ ইচ্ছা লুকিয়ে বলে,
বই দেখছিলাম। কোন দরকার?
হ্যাঁ।
কি হয়েছে?
আমি সকালের রাস্তা দিয়ে ঘুরতে চাই।
এখন?
হুম।
একটু পর নিয়ে যাই?
না এখনই চলো…আমার ইচ্ছে হয়েছে প্রেমিকের হাত ধরে সকালের সুর্য দেখতে বের হব।
অনল আবার ও নিজেকে শক্ত করে বলে,
প্লিজ মৈএী আমি তোমায় ভালোবাসিনা। কেন বুঝনা?
ভালো কেন বাসছো না অনল?
অনল কঠিন গলায় বলে,কেন. এর জবাব দিতে বাধ্য নই আমি মৈএী! আমি শুধু এটা বলছি তুমি ভালো করে শুনে নাও, আমি তোমায় ভালোবাসিনা, আর কখনো ভালোবাসতেও পারবো না। শুধু তোমার পাগলামি দেখানো বন্ধ করে দাও প্লিজ!
– আমার ভালোবাসা তোমার কাছে পাগলামি মনে হয়?
-তা নয়তো কি? তুমি যা সব করেছো আর করছো সেই সব কি ঠিক হয়েছে বুঝাও আমাকে?
– অনল তুমি এভাবে কেন আমার সাথে কথা বলছ?
-তুমি কি আমাকে শিক্ষক এর সন্মান দিবে না মৈএী? বিশ্বাস করো আমার নুন্যতম ইচ্ছাও ছিলো না তোমাকে আমার গ্রামে নিয়ে আসার। শুধু মাত্র তোমার বাবার কথা ফেলতে না পেরে নিয়ে এসেছি। প্লিজ এখন এমন কোনো ঝামেলা করো না যে আমি বিরক্ত হয়ে তোমাকে দিয়ে আসি ফিরিয়ে। মিষ্টিকে বলে দেব যে কয়দিন তুমি এখানে আছো ও নিজে তোমাকে এই গ্রাম সহ আশে পাশের কয়েকটি গ্রাম ঘুরিয়ে দেখাবে।
মৈএী অনলের কথা গুলো শুনে এক ধাপ রে*গে যায় আরেএ ও কি এখানে শুধু গ্রাম ঘুরবে বলে এসেছে?সে এসেছে অনলের মনে জায়গা করে নিতে।
অনল বললাম না আমি তোমায় ভালোবাসি! বুঝতে কেন চাও না তুমি? চলো আমার সাথে…. আমি আজকেই তোমাকে বিয়ে করতে চাই। তুমি যাবে??নাকি যাবেনা?
অনল হুট করেই বিছানা থেকে নেমে মৈএীর সামনে দাঁড়িয়ে পরে এবং ডান হাত দিয়ে মৈএীর বাম গালে ঠাস করে একটা থা প্প ড় বসিয়ে দেয়। থা প্প ড় টা দেওয়ার সাথে সাথেই অনলের বুকের মাঝে ব্যাথা অনুভুত হয়। সে মুখে না বলুক ভালো তো মৈএীকেই বাসে।আর এখন এই মেয়েটা যা সব বলছে ভুল না হয়ে যায় কিছু একটা মৈএীর বাবার কাছে তাহলে কি জবাব দেবে সে?
অনল…….তুমি আমার সাথে প্রথম দিনে প্রতিশোধ নিলে?
মৈএী আমি…….
আমায় এখন ভালোবাসবে তুমি?
উফফ্ মৈএী প্লিজ এখন আমাকে একা থাকতে দাও প্লিজ!!
মৈএী মুখে হাসি বজায় রাখলেও ভেতরে সব টা ভাংচুর হয়ে যায়……অনল কি তাকে কখনোই ভালোবাসবে না?
চলবে
#মিশকাতুল
#রৌদ্র_মেঘের_জুড়ি(১১)
অনল বাবা শোন, দুই দিন হয় আমাদের গ্রামে মেলা বসেছে মিষ্টি এখনো যায়নি বলেছে তুই আসলে তোর সাথে যাবে ওকে নিয়ে বিকেলে ঘুরেফিরে আয়।
অনলের মা বিছানায় বসে অনলকে কথা গুলো বলছিলো মিষ্টিও পাশেই বসে আছে। মাথা লজ্জায় নিচু করে রেখেছে। অনল সম্পর্কে ওর চাচার ছেলে। মিষ্টি কে জন্ম দিতে গিয়েই ওর মা ম*রে যায় সেই তখন থেকেই অনলের মায়ের হাতে মানুষ হয়েছে সে। অনল মিষ্টির চার বছরের বড়। ছোট থেকে অনলের সাথেই বেড়ে ওঠে এই বাড়িতে। অনলকে ঘিরে রয়েছে ওর ঘর বাধাঁর সপ্ন। সেই অনলের সাথে মেলাতে না গিয়ে কি বন্ধুদের সাথে যাওয়া চলে??
বিকেলে নিয়ে যাবো।
মিষ্টি খুশি হয় অনল ওকে নিয়ে যাবে বলেছে যখন তখন নিয়ে যাবেই।
দুপুরের পর মিষ্টি তৈরি হয়ে অনলের রুমে যায়।
কই তুমি?
এসেছিস?মৈএী কি করছে?
রুমে নেই।
নেই মানে?ও এখানে নতুন একা একা কই যাবে?
জানিনা। আমি বলেছিলাম রুমেই থাকতে কিন্তু নেই।
ওহ। তুই বোস
আমি ওকে খুঁজে আনি ও আমাদের সাথেই যাবে এখানে আসার পর কোথাও নিয়েই গেলাম না এখনো।
অনল তুমি ওকে পরে নিয়ে যেও আমাদের সাথে……
অনল ভ্রঁ কুচকে বলে, পরে কেন?এখনই যাবে আমাদের সাথেই যাবে……
অনল বের হয়ে মৈএীকে বাড়ির পেছনে পায় তখন ওভাবে চ*ড় টা দেওয়ায় জন্যই হয়তো আর ওর সামনে যায়নি। এ জন্যই মোন খারাপ করে বসে আছে…..অনল মুখে শিট! বলে এগিয়ে যায় ওর দিকে।
মৈএী……
অনলে কন্ঠে মৈএী উঠে পেছনে ফিরে তাকায় অনলের সকালের ব্যাবহারে যে দুঃখ পেয়েছে তা অনলকে বুঝতে দিতে চায়না মৈএী তাই মিথ্যা হাসি ফুটিয়ে বলে,
হ্যাঁ…
অনল মৈএীকে দেখেই বুঝতে পারে ওর মোন ভালো নেই না হলে প্রফুল্লতায় মত্ত হয়ে থাকতো মৈএী।
অনল কি যেনো বলতে এসেছে. তা মনেই করতে পারছেনা মৈএীকে দেখে।
মৈএী অনলের গেটআপ দেখে বলে,
কোথাও যাবে অনল?
হুম।
ওহ আচ্ছা।
চলো তুমিও যাবে।
কোথায়?
মেলাতে যাবো।
মেলা?
হুম….
এতক্ষনে মৈএী আবারও চঞ্চল হয়ে ওঠে,
ওহ্ গ্রামের মেলা বুঝি অন্যরকম হয়?আচ্ছা চলো চলো…….
মিষ্টি আর মৈএীকে নিয়ে অনল মেলাতে এসে নানারকম খাবার খাওয়াচ্ছে। কেউ কেউ সাজঁ গোছের জিনিস পত্র ও নিচ্ছে মৈএী একটা দোকানে গিয়ে কয়েকটি ক্লিপ সহ এটা ওটা নিলো মিষ্টির সাথে সাথে ঘুরছে বলে ওকেও নিয়ে দিলো।
অনলের অগোচরে অনলের জন্য একটা গিফট ও নিয়ে নিয়েছে। বাসায় গিয়ে দেওয়া যাবে আচ্ছা অনল কি নিবে?
ওদিকে অনল বেশ সময় ধরে দুজনের জন্য অপেক্ষা করছে ওদিকে মেয়েদের যাতায়ত বেশ রয়েছে সেখানে অনল পা রাখার মতো জায়গা পাচ্ছেনা বলে একাই দাঁড়িয়ে রয়েছে। চুড়ির দোকান চোখে পরছে। ওখান থেকে নিল রং এর কাচেঁর চুড়ি গুলি নিলে মৈএীর হাতে কেমন লাগবে?অসম্ভব সুন্দর লাগবে!!অনলের চোখে উকিঁ দিচ্ছে সেই সৌন্দর্যতা।নেওয়াই যায়!!
সন্ধ্যা হতেই অনল দুইজনকে নিয়ে বাসায় ফিরে এসেছে। অনলের মা খাবার রান্না করে রেখেছে। অনল রুমে গিয়েছে। মৈএী মিষ্টির সাথে কিচেনের সামনে এসেছে। অনলের মা ওদের দেখেই বলেন,
ভেতরে আয় দুজনে…..
কি করছো এখনো আম্মু?
কিছুনা সব কাজ শেষ! তা আমার ছেলের সাথে বিয়ের কথা এবার তুলবো? ছেলের বয়স হয়ে যাচ্ছে…. আমার কত দিনের সপ্ন তোকে ছেলের বউ বানাবো…. আমি জানি আমার অনল তোকে বিয়ে করবে তুইও রাজি এখন কি তোর বাবার সাথে কথা বলবো?
মিষ্টি লজ্জায় মুখ নামিয়ে নেয় মুখে বলে,
আগামীকাল যেও বাবার কাছে…..
আচ্ছা। এখন যা অনলকে ডেকে নিয়ে আয় খাবার খাবি কখন?
মিষ্টি উঠে অনলের রুমের দিকে যায়….
আর মৈএী যেনো পাথর বনে গেছে…. অনল আর মিষ্টির বিয়ে হবে??এ সব কি শুনছে ও??তার মানে……….
মৈএী আর ভাবতেও পারেনা…… উঠে মিষ্টির রুমে যায়…..অনল কি এই জন্যই এত দিন ওকে ফিরিয়ে দিয়েছে?এ জন্যই মৈএীকে ভালোবাসেনা?কি করে ভালোবাসবে?এখানে যে প্রেম সংঘটিত হয়ে আছে অনেক আগে থেকেই। অনল আর মিষ্টির বিয়ের কথা আগামীকাল পাকাপোক্ত হবে??
মৈএীর ভাবনার মাঝেই মিষ্টি আসে রুমে….
কই মৈএী এসো খাবার খাবে না?
মৈএী সাহস করতে পারে না আর অনলের সামনে যাওয়ার না জেনে কত বিরক্তই না করেছে অনলকে! এভাবে কাউকে বিরক্ত করা ঠিক হয় নি মৈএীর।
আমার ভালো লাগছেনা আপু। আপনারা খেয়ে নিন! আমার ক্ষুদা নেই…..
অল্প করে খেয়ে নাও। অনল তোমার কথা জিজ্ঞেস করছে চলো….
স্যারকে বলবেন আমার ক্ষিদে নেই আর মাথা ব্যাথা করছে একটু ঘুমুতে হবে।
মিষ্টিও আর জোর করেনা চলে যায় খাবার খেতে।
অনল খাবার শেষ করে রুমে এসে দরজা লাগিয়ে চুড়ি গুলো দেখে আর ভাবে… এখন কি দিতে যাবে?
নাহ্ ওর সমস্যা হবে ঘুমুচ্ছে হয়তো কাল সকালে দিয়ে দেওয়া যাবে……
সকাল সকাল মৈএীর ঘুম ভেংগেছে গত রাতে খাবার না খাওয়াতে এই সাতসকালেই ক্ষিদে লাগছে ওর। দ্রুত উঠে ব্রাশ করে নেয় কিচেনের দিকে যেতেই দেখে অনলের মা রান্নার কাজে হাত লাগিয়েছে। মহিলা দেখতে একদম অনলের মতো ফর্সা, লম্বা সুন্দরী। কথা বার্তায় মনে হয় হালকা করে হলেও শিক্ষিত। অবশ্য শিক্ষিত না হলে কি আর স্বামী ছাড়া ছেলেকে এত দূর পড়াশোনা করাতে পেরেছে?
আন্টি আসবো?
হ্যাঁ মা এসো। রাতে খাবার না খেয়েই ঘুমালে?
এখন ক্ষিদ্ব লাগছে খাবার কি পেতে পারি আমি এখন?
হ্যাঁ মা কেন নয়?আমি এক্ষুনি প্লেট সাজিয়ে দিচ্ছি।
বলতে বলতেই তিনি মৈএীর হাতে প্লেট দিলেন। মৈএী বুঝলো অনলের মা খুবই মিশুক। না হলে কি আর সামান্য চেনায় ওকে এত আদর করবেন?মৈএী খাবার শেষ করে রুমের দিকে যেতেই দেখলো,
মিষ্টি অনলের রুম থেকে নিল রঙ এর কাচের চুড়ির মুঠো নিয়ে আসছে। নিশ্চয় অনল দিল?? মৈএীর ভিষন কান্নাঁ পাচ্ছে……এখানে আর থাকা যাবেনা…..অনলের সাথে অন্য একটা মেয়েকে সে নিজ চোখে আর দেখতেও চায় না……..
রুমে গিয়ে নিজের ল্যাগেজ গুছিয়ে নিয়ে বের হয়। অনল, মিষ্টি আর ওর মা মিলে খাবার খাচ্ছে। মৈএী ল্যাগেজ নিয়ে সেদিকেই যায়।ওকে দেখে অনল ব্যাস্ত হয়ে বলে,
এগুলো বাইরে নিয়ে এসেছ কেন মৈএী?
আসলে, আসলে আমি চলে যাচ্ছি।
অনল হাত পরিস্কার করে চেয়ার থেকে উঠে বলে,
চলে যাবে মানে?
আমার বাসায় যাবো।
কিন্তু এখন এভাবে?আমি তো আজকে চলে যাওয়ার জন্য আসিনি। তোমার বাবা বলেছেন যেদিন আমি যাই সেদিন এক সাথে ফিরতে।
না স্যার । আমার গ্রাম দেখার ইচ্ছে ছিলো দেখেছি…..আর ভালো লাগছেনা….তাই চলে যাচ্ছি…আর আপনি আপনার কাজ শেষ হলেই চলে আসবেন। আজ আমি একাই যেতে চাচ্ছি।
কিন্তু মৈএী এভাবে তুমি কেন যাবে… এছাড়াও আমি তোমাকে একা যেতে দিতে
পারবোনা।
ভাইয়াকে রাতে কল করেছিলাম স্টেশনে গাড়ি নিয়ে এসেছে আমার জন্য অপেক্ষা করছে।
অনল যেনো কথা বলতেও ভুলে যাচ্ছে। কি এমন হলো যে মৈএী চলে যেতে চাইছে!! আচ্ছা গত কাল সকালের ওই একটা থা প্প ড় এর জন্য নয় তো?
মৈএী তুমি কি আমার সাথে রা*গ করে……
মৈএী অনলের মা আর মিষ্টি কে দেখে নিয়ে অনলকে মাঝ পথে থামিয়ে দিয়ে বলে,
সেরকম নয় স্যার। আমি যাচ্ছি…. আমার ভালো লাগছেনা …..
অনল আর কিছুই বললো না চলে যাওয়া নিয়ে। মৈএীর হাত থেকে ল্যাগেজ নিজের হাতে নিয়ে বলে,
চলো এটুকু রাস্তা আমি দিয়ে আসছি।
মৈএী চুপচাপ অনলের সাথে রিক্সা নিয়ে চলে আসে মুহিবের গাড়ির কাছে। এইটুকু সময়েও মৈএী অনলের সাথে কোন কথাই বলেনি। রিক্সা থেকে নেমে মৈএী অনলের দিকে তাকায় অনল টাকা দিচ্ছে চালক কে। অনল ঘুরে দাড়াঁতেই
দেখে মৈএী ওর দিকে কেমন ছল ছল নয়নে দেখছে।
কি হয়েছে মৈএী?
কিছুনা।।
এভাবে কথা বলছো কেন?আমার আচরণের জন্যই কি চলে যাচ্ছ?আমি সরি মৈএী ওভাবে আমার বলা উচিৎ হয়নি আর না তোমাকে আঘা*ত করা। আমি তোমাকে অনেক আগে থেকেই আমার দিকটা জানিয়েছি। তারপর ও তুমি বার বার……, তোমার বাবার কথা ফেলতে পারিনা বলেই তোমায় আমার বাড়িতে এনেছিলাম তুমি এখানেও ওই একই……..
ভুল করেছি স্যার…..আর হবেনা ক্ষমা করে দেবেন। আমি আপনাকে ভুল বুঝে বা আপনার সাথে অভিমান করে চলে যাচ্ছিনা। আমি কে আপনার সাথে অভিমান করার?না জেনে না বুঝেই বার বার বিরক্ত করেছি। এজন্যই গতকাল ওভাবে রিয়েক্ট করেছেন। আপনার তো কোনো ভুল নেই এখানে। যাই হোক ওই যে ভাইয়ার গাড়ি……………
চলবে
#মিশকাতুল