#গল্পঃ রোমান্টিক কালো বউ ?
#লেখকঃ Md: Aslam Hossain Shovo
#পর্বঃ ১৪…(- শেষ পর্ব -)
√-তরীঃ সাদিয়াদের বাড়ি গেলে আমায় আম্মু রাগ করতে পারে…
আমিঃ সেটা আমি দেখে নিবো। আপনি চলুন তো…
~ এই বলে তরীর হাত ধরে বাড়ি থেকে বের হয়ে গাড়ি নিয়ে সাদিয়াদের বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা হলাম। ১০ মিনিটের মধ্যে সাদিয়াদের বাসায় পৌঁছে গেলাম। গিয়ে সরাসরি বাসার মধ্যে যেতেই দেখি সাদিয়া উঠানে চেয়ার নিয়ে বসে আছে। আমায় দেখেই চমকে উঠলো। ভয়ে মুখ চুপসে গিয়েছে সাদিয়ার। সাথে সাথে উঠে দাঁড়ালো ~
সাদিয়াঃ শুভ তুমি এখানে?
আমিঃ তরী তোমার কি করেছিলো বলো?
সাদিয়াঃ মানে কি..(ভিতু ভাবে)
আমিঃ আমার বউ তরী তোমার কি করেছিলো?
সাদিয়াঃ কিছু না।
আমিঃ তাহলে ওর গায়ে হাত দিয়েছো কেনো তুমি?
~ সাদিয়া চুপ করে আছে ~
আমিঃ কি হলো বলো, তরীর গায়ে হাত তোলার সাহস তোমায় কে দিয়েছে?
~ সাদিয়া এখনো চুপ করে আছে। চারদিকে তাকিয়ে দেখতে লাগলো কেউ আছে কিনা ~
আমিঃ ওই তোমার বলতে কি হচ্ছে? তুমি আমার বউয়ের গায়ে হাত দেও, এতো সাহস পেলে কোথায়..? (রাগী ভাবে)
সাদিয়াঃ ওই মেয়ে তোমার আর আমার মধ্যে আসলো কেনো?
আমিঃ মানে..?
সাদিয়াঃ তোমার বউ হওয়ার কথা ছিলো আমার। এই মেয়ে জোর করে তৃতীয় ব্যাক্তি হলো কেনো?
আমিঃ এই তুই কি পাগল..?
সাদিয়াঃ তুমি আমায় তুই করে বললে শুভ..?
আমিঃ তুই এখন আর তুমি বলার সম্মান রাখিস নাই। তুই নিজে আমাদের সম্পর্কের মধ্যে ঢুকে তৃতীয় ব্যাক্তি হয়েছিস, আবার তুই আমার বউকে বলিস তৃতীয় ব্যাক্তি… (রেগে)
সাদিয়াঃ শুভ আমি জানি তুমি তোমার বউকে মেনে নেও নাই। ওই মেয়েকে তুমি ঘৃণা করো। আর আমায় এখনো ভালোবাসো…
আমিঃ এগুলো তোকে কে বলছে?
সাদিয়াঃ আমি একা বলবো কেনো? এলাকার সবাই জানে তুমি তোমার বউকে মেনে নেও নাই। তুমি ওকে ঘৃণা করো…
~ তরী পাশে দাঁড়িয়ে আমাদের সব কথা শোনছে ~
আমিঃ তোমার ধারণা একদম ভুল। আমি তরীকে অনেক অনেক ভালোবাসি।
সাদিয়াঃ আমি এটা বিশ্বাস করি না। এখন তরী সামনে বলে এমন বলছো শুভ তুমি, আমি জানি…
আমিঃ হা হা, তুমি পাগল হয়ে গিয়েছো।
সাদিয়াঃ তাহলে প্রমাণ দেও যে তুমি আমায় নয়, তরীকে ভালোবাসো…
আমিঃ আমি তোমায় প্রমাণ দিতে যাবো কোন দুঃখে। তুমি বিশ্বাস করো বা না করো, তাতে আমায় কিছু যায় আসে না।
সাদিয়াঃ এর মানে প্রমাণ হলো তুমি এখনো আমায় ভালোবাসো…
আমিঃ তোর প্রমাণের কিছু কই, তুই আমার বউয়ের গায়ে হাত দিয়েছিস কেনো বল আগে…(রেগে)
সাদিয়াঃ দিয়েছি তো ভালো করছি। ও আমাদের মধ্যে তৃতীয় ব্যাক্তি হলো কেনো?
আমিঃ ভালো করছিস মানে…?
সাদিয়াঃ মানে ওকে তো একটা দিয়েছি মাত্র, আবার যদি আমাদের মধ্যে আসার চেষ্টা করে তাহলে আবার থাপ্পড় দিবো…
আমিঃ ও তাই নাকি? কি করবেন আপনি আবার শুনি?
সাদিয়াঃ একবার মারছি, আবার মারবো…
~ তরীর দিকে তাকিয়ে বললাম ~
আমিঃ ওর মুখে জোরে একটা থাপ্পড় দেন আপনি..
সাদিয়াঃ কি? আমি ওই মেয়েকে একটা থাপ্পড় দিবো?
আমিঃ তোর সাহস তো কম না সাদিয়া। তুই আবার আমার বউয়ের গায়ে হাত তুলতে চাচ্ছ।
~ সাদিয়া চুপ ~
আমিঃ এই তরী ম্যাডাম আপনাকে বলছি, বললাম তো ওর মুখে গায়ের জোরে একটা থাপ্পড় দেন…
~ তরী ও সাদিয়া আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে ~
আমিঃ কি হলো দেন…
তরীঃ আমি পারবো না ভাইয়া…
আমিঃ পারবেন না মানে, থাপ্পড় দিতে বলছি থাপ্পড় দেন…
তরীঃ আমি পারবো না।
আমিঃ মেজাজ গরম করবেন না। গায়ের জোরে একটা থাপ্পড় দিতে বলছি ও এখনি দেন…
তরীঃ আমি পারবো না। বাদ দেন এগুলো…
আমিঃ আপনাকে যেটা বললাম সেটা করুন। আপনি কি ভয় পাচ্ছেন নাকি থাপ্পড় দিতে?
তরীঃ না তো…
আমিঃ ভয় পেলে আমি আছি তো। দেরী না করে দিয়ে ফেলুন…
— সাদিয়াঃ শুভ তুমি আমায় থাপ্পড় দিতে বলছো তোমার বউকে…?
আমিঃ এই তুই একদম চুপ। আগে থাপ্পড় খাবি, তারপর কথা বলবি..(ধমক দিয়ে)
তরীঃ বাদ দেন এগুলো ভাইয়া। চলুন বাসায় চলুন…
আমিঃ আপনাকে না থাপ্পড় দিতে বললাম, তাহলে দিচ্ছেন না কেনো?
তরীঃ বললাম তো আমি পারবো না…
~ তরীর দিকে চোখ গরম করে ধমকের সাথে বললাম ~
আমিঃ এই তোকে না আমি থাপ্পড় দিতে বললাম, দে থাপ্পড়…(ধমক দিয়ে)
~ বলতে দেরী, তরীর থাপ্পড় দিতেও দেরী নাই।
ঠাসসসসসসসসসস
আমি নিজেই অবাক হয়ে গিয়েছি থাপ্পড়ের জোর দেখে। সাদিয়া থাপ্পড় খেয়ে মুখে ঘুরে অন্য দিকে চলে গিয়েছে। চুল গুলো উড়ে গিয়ে এলোমেলো হয়ে গিয়েছে সাদিয়ার। তরী এতো জোরে থাপ্পড় দিয়েছে, নিজের হাত এখন নিজেই ডলছে, হয়তো থাপ্পড় দিয়ে ব্যাথা পেয়েছে। এতো জোর পেলো কোথায় তরী এটায় ভাবছি।
সাদিয়ার আম্মু থাপ্পড়ের শব্দ পেয়ে বাইরে বের হয়ে এলো। আমি তাকে সব বললাম। সে আরো সব শোনে সাদিয়াকে বকা দিতে দিতে সাথে থাপ্পড় দিতে লাগলো। তরীকে বললাম আন্টিকে আটকাতে। তরী গিয়ে আন্টিকে আটকালো। সাদিয়া পরে বললো, তার ভুল হয়েছে। আর কারো জীবনের তৃতীয় ব্যাক্তি সে হবে না। এমন আরো অনেকের সম্পর্ক নষ্ট করছে সে, নিজ মুখে বললো এবং ক্ষমা চাইলো ওর আম্মুর কাছে।
তারপর আমি আর তরী আবার বাসার দিকে রওনা হলাম। গাড়ির মধ্যে বসে খেয়াল করলাম তরীর হাতের তালু লাল হয়ে গিয়েছে ~
আমিঃ আপনার হাতে তো ম্যাডাম খুব জোর। কি থাপ্পড় টাই না দিলেন… (হেসে)
তরীঃ আমি কি ইচ্ছা করে জোরে দিয়েছি নাকি?
আমিঃ তাহলে..?
তরীঃ আপনি এতো জোরে ধমক দিয়েছেন যে আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। আর তাতেই এতো জোর হয়ে গিয়েছে থাপ্পড়ে…
আমিঃ হা হা, তাহলে বলুন আমার ধমকেও কাজ হয়..
তরীঃ আমার যে এখন হাত ব্যাথা করছে…
আমিঃ আপনি দেখি বয়লার মুরগির চেয়েও নরম…
~ তরী মুখ ফুলিয়ে রাখলো ~
আমিঃ কি করবো বলুন, সে আমার সামনে দাড়িয়ে বলে সে আপনাকে আবার থাপ্পড় দিবে,, কত বড় সাহস…
তরীঃ হুমম।
আমিঃ আরেকটা কথা বললো, এলাকার সবাই নাকি জানে আপনাকে আমি ঘৃণা করি।
তরীঃ ঠিকই তো বলছে। বিয়ের দিন থেকে যত ঝামেলা করছেন, তাতে তো সবাই তাই জানে আপনি আমায় ঘৃণা করেন…
আমিঃ ওহহ তাই? তাহলে তো এর একটা সমাধান ও করতে হবে…
তরীঃ মানে…
আমিঃ এই যে সবাই জানে আপনাকে আমি ঘৃণা করি। এটার তো একটা সমাধান করতে হবে…
তরীঃ কিভাবে?
আমিঃ সেটা আপনাকে ভাবতে হবে না। যা করার সেটা আজই করবো। এখন আপনি গাড়ি থেকে নামুন…
তরীঃ আমি গাড়ি থেকে নামবো মানে?
আমিঃ আরে পেত্নী, বাড়ির সামনে চলে এসেছি। আপনি নামুন তো…
তরীঃ আর আপনি এখন এই সকালে কোথায় যাবেন একা..?
আমিঃ সেটা আপনাকে চিন্তা করতে হবে না। আপনি নামুন…
~ তরী গাড়ি থেকে নামার পর আমি গাড়ি নিয়ে চলে গেলাম। পিছনে ফিরে তাকিয়ে দেখলাম তরী মন মরা মুখ করে বাসার সামনে দাড়িয়ে গাড়ির দিকে তাকিয়ে আছে।
আমি সরাসরি গাড়ি নিয়ে নাঈমের বাসার সামনে গেলাম। গিয়ে ফোন দিয়ে ওকে রাস্তায় এসে গাড়িতে বসিয়ে চলে গেলাম আমার মামার দোকানে। এই মামাই আমার সাথে তরীর বিয়ে দিয়ে দিয়েছে। গিয়ে দেখি মামা বসে আছে। আমি আর নাঈম গিয়ে পাশে বসলাম ~
আমিঃ মামা, অনেক বড় ঝামেলার মধ্যে পড়ছি।
মামাঃ রাখো তোমার ঝামেলা। তুমি বউ নিয়ে কি শুরু করছো আগে বলো…(রেগে)
আমিঃ কই কিছু না তো।
মামাঃ আমি সব খবর রাখি বুঝলে। সব কথা কিন্তু আমার কানে এসেছে।
আমিঃ কি কথা শুনছেন আপনি?
মামাঃ তুমি যে বউ নিয়ে ঝামেলা শুরু করছো, বউ কালো, বিয়ে মানো না, বউয়ের অধিকার দিবে না, এগুলো কিন্তু সব আমার কানে এসেছে।
আমিঃ হা হা…
মামাঃ আরে ভাগনা হেসো না বুঝলে। মেয়েটা অনেক ভালো। দেখবে তোমার জীবন অনেক সুখের হবে ওর সাথে। সব জায়গায় তো আর গায়ের রং দিয়ে চলে না।
আমিঃ মামা ওগুলো তো সব আগের কথা।
মামাঃ আগের কথা মানে? এখনকার কথা কি?
আমিঃ আমিতো তরীকে বউ হিসাবে মেনে নিয়েছি।
মামাঃ তাহলে তো হলোই, আর ঝামেলা থাকলো কিসের?
আমিঃ ঝামেলা তো অন্য জায়গায়।
মামাঃ কি ঝামেলা খুলে বলো তো…
আমিঃ তরীকে বউ করে আনার পর তো আমি অনেক ঝামেলা করছিলাম। কালো বউ মানি না, এই বউকে তাড়িয়ে দিবো, আমায় জোর করি বিয়ে দিয়েছে সহ অনেক ঝামেলা করছিলাম। পরে তো এলাকায় এই কথা ছড়িয়ে গিয়েছে আমি তরীকে ঘৃণা করি। কিন্তু এখন তো তরীকে আমি অনেক ভালোবাসি। এখন কিভাবে মানুষকে বুঝাবো তরীকে আমি ঘৃণা নয়, আরো অনেক পছন্দ করি। তরী কোথাও বের হলেই মানুষ দেখিয়ে বলে, এর স্বামী একে ঘৃণা করে। এগুলো বাজে কথা থেকে তরীর বাচার কি উপায় আছে বলুন মামা….
মামাঃ এখন বুঝো তুমি। আগে এতো ঝামেলা করার কি দরকার ছিলো তোমার…
আমিঃ তখন কি আর জানতাম নাকি তরীকে পছন্দ করে ফেলবো। কিছু একটা বুদ্ধি দেন মামা…
মামাঃ আচ্ছা ভেবে দেখি।
~ তারপর মামা, আমি ও নাঈম অনেকক্ষন ধরে আলোচনা করে একটা বুদ্ধি বের করলাম। মামা আমাদের বলে দিলো কি কি করতে হবে। আমি রাজী হলাম মামার কথা মত সব করতে। নাঈম ও বললো একটায় সঠিক বুদ্ধি।
মামা আমার আম্মুকে ফোন করে বললো এখনি মামাদের বাসায় পুরো পরিবার সহ যেতে। এমন ভাবে গুছিয়ে বললো যে আমাদের বাসার সবাই মামাদের বাসায় যেতে বাধ্য।
আম্মু আমায় ফোন করে বললো, তোর মামা এখুনি সবাইকে নিয়ে তোর মামা বাড়ি যেতে বলছে । আমি আম্মুকে বললাম, মামা যখন বলছে তোমরা তাহলে তাড়াতাড়ি চলে যাও, আর বাসার চাবি পাশের বাসায় রেখে যাও। আমার কথার পর আম্মুও বললো এখনি তারা যাবে।
আমাদের বাসার সবাই মামার বাসার উদ্দেশ্য রওনা হলো। এদিকে আমি, মামা ও নাঈম বাজারের উদ্দেশ্য রওনা হলাম।
মার্কেটে গিয়ে প্রথমে একটা নীল শাড়ি কিনলো মামা তরীর জন্য। সাথে ৫০-৬০ জন লোকের জন্য কাচ্চি বিরিয়ানি রান্নার সব পন্য সামগ্রি কিনে নিলো। বাবুর্চি ফোন করে আমাদের বাসায় আসতে বললো দুপুরে।
আমি আর নাঈম চলে গেলাম ফুলের দোকানে। ওখানে গিয়ে তাদের সাথে কথা হলো একটা রুম সুন্দর করে ফুল দিয়ে সাজিয়ে দিতে হবে।
তাদের সাথে কথা পাকা করে, তাদের দুই জন কর্মি সাথে ফুল এবং কাচ্চি বিরিয়ানির সব পন্য সামগ্রি নিয়ে আমি আর মামা বাসায় চলে এলাম আমাদের। এসে দেখি আমাদের বাসার সবাই মামাদের বাসায় চলে গিয়েছে। তখন দুপুর ২ টা বাজে। আর নাঈম গিয়ে ইলেক্ট্রনিক ডেকারেটারে গিয়ে তাদের কয়েকজন কর্মি নিয়ে আসলো পুরো বাড়ি ঝারবার্তি/মরিচবার্তি দিয়ে সাজাতে।
বেলা ৩ টায় বাবুর্চিকে রান্নার সব বুঝিয়ে মামা তরীর জন্য আনা নীল শাড়ি নিয়ে চলে গেলো তাদের বাসায়। এদিকে বাবুর্চি রান্না শুরু করলো কাচ্চি বিরিয়ানি। ফুলের দোকানের লোক আমার রুম ফুল দিয়ে সাজাতে লাগলো, আর ইলেকট্রনিক কর্মি পুরো বাড়ি নীল কালারের লাইট দিয়ে সাজাতে লাগলো। আমি গিয়ে আশেপাশের বাসার মুরব্বি ও ছোট বাচ্চাদের রাতে আমাদের বাসায় খাওয়ার দাওয়াত দিয়ে আসলাম।
~- সন্ধ্যা ৭ টা বাজে। বিরিয়ানি রান্না শেষ, বাড়ি সাজানো শেষ, সাথে রুম সাজানোও শেষ। মামাকে ফোন করে বললাম সব কাজ হয়ে গিয়েছে। মামা বললো ১ ঘন্টার মধ্যে সবাইকে নিয়ে আমি আসছি।
রাত ৮ টার একটু আগে আমার মা-বাবা, ভাই বোন সাথে তরী ও মামার পরিবারের সবাই এলেন। বাড়ির মেন সুইচ অফ করে রাখা। পুরো বাড়ি অন্ধকার করা। আম্মু বাসার গেটের সামনে দাড়িয়ে আমায় ডাকতে লাগলো। অন্ধকারের মধ্যে আমি তাদের সামনে গিয়ে দাড়ালাম ~
আম্মুঃ এই শুভ, বাড়ি এতো অন্ধকার কেনো? লাইট জ্বালাস নাই?
আমিঃ একটু সমস্যা হয়েছে তাই ঠিক করা হচ্ছে।
আম্মুঃ কে ঠিক করছে?
আমিঃ নাঈম…
আম্মুঃ নাঈম আবার বিদ্যুৎয়ের কাজ করতে পারে নাকি.?
আমিঃ আগে ভিতরে চলো বাসার। তারপর সব দেখতে পারবে…
~ অন্ধকারের মধ্যে সবাই আস্তে আস্তে বাসার মধ্যে গেলো। বাসার মধ্যে গিয়ে বাড়ির সামনাসামনি যেতেই সবাইকে দাঁড়াতে বললাম। তারপর নাঈমকে ফোন করে বললাম মেন সুইচ অন করে দিতে।
সাথে সাথে নাঈম মেন সুইচ অন করে দিলো। এক সাথে পুরো বাড়ি ঝারবার্তি/মরিচবার্তিতে নীল হয়ে গেলো। চারদিকে শুধু নীল রংয়ের ছড়াছড়ি মনে হচ্ছে। সবাই তো চমকে উঠে হা করে আছে। তরী অবাক হয়ে আমার কাছে এসে বললো ~
তরীঃ বাড়ি এতো সুন্দর করে সাজিয়েছেন কেনো শুভ ভাইয়া? আপনার বুঝি আজ বিয়ে…
আমিঃ হুমম বিয়ে তো। করবেন নাকি আমায় বিয়ে?.. (হেসে)
তরীঃ আমায় বয়েই গিয়েছে বুড়োকে বিয়ে করতে… (হাসি দিয়ে)
আমিঃ আমি বুঝি বুড়ো তাই না? আজ রাতে দেখাবো আমি কেমন বুড়ো ওকে… (হাসি দিয়ে)
তরীঃ ইয়ে মানে, আমি কিন্তু তেমন কিছু বলি নাই। ক্ষমা চাই….
আমিঃ হা হা, ভয় পেলেন…
তরীঃ হি হি, বলবো কেনো হুমম। তাই ভাইয়া সাজানো বাড়ির লাইটের রংয়ের সাথে আমার শাড়ির রং মিলে গিয়েছে তো, দুইটায় নীল…
আমিঃ মিলবেই তো। বাড়িটাও আমার, বউটাও আমার…
তরীঃ হি হি, তাই…?
আমিঃ চমক আরো আছে বুঝলেন…
তরীঃ কি চমক আরো.? (অবাক হয়ে)
আমিঃ অপেক্ষা করুন। উত্তর পেয়ে যাবেন কেমন।
~ বাড়ি হঠাৎ করে সাজানো দেখে তো সবাই অবাক হয়ে আছে। আম্মু বার বার জিগ্যেস করছে এমন সাজানোর কারন কি, আমি শুধু বলছি অপেক্ষা করো সব বলবো। ছোট বোন মায়া খুশিতে নাচতে শুরু করলো।
সবাই এক এক বাসার মধ্যে গেলো। আশেপাশে যাদের দাওয়াত দিয়েছিলাম তারা আসতে শুরু করলো।
রাত ৯ টা বাজে–
আশপাশের বাসার আত্মীয় স্বজনরা, আমাদের বাসার ও মামাদের পরিবারের সবাই মিলে ৫০-৫৫ জন মানুষ হলো বাসার মধ্যে। আম্মুকে ডেকে রান্না ঘরে নিয়ে বিরিয়ানির পাত্র দেখিয়ে বললাম সবাইকে খেতে দিতে। আম্মু, নিলা ভাবি, মায়া তো বার বার বলছে হঠাৎ এমন আয়োজন করার কারণ কি, আমি শুধু অপেক্ষা করতে বলছি।
রাত ১০ টা বাজে–
সবার খাওয়া দাওয়া শেষ। আত্মীয় স্বজনরা যাওয়ার সময় হয়ে এসেছে। আম্মু এসে বললো ~
আম্মুঃ এই শুভ, এবার তো বল এগুলো করার কারন কি.?
আমিঃ আরেকটু অপেক্ষা করো…
আম্মুঃ আরে সবাই তো বাসায় চলে যেতে চাচ্ছে
আমিঃ আচ্ছা তাহলে এক মিনিট সব বলছি….
~ আমি তরীর দিকে এক পা দুই পা করে এগিয়ে যাচ্ছি। যেমন যেনো একটা লজ্জা লাগছে আবার নার্ভাস ও লাগছে। এতো মানুষের সামনে কিভাবে তরীকে কথাটা বলবো বুঝতে পারছি না। কিন্তু না বলেও উপায় নেই আমার। এখন যদি কথাটা বলতে লজ্জিত হয়, তাই কিছু করার নেই। কারন, তরীকে বিয়ের পর সবার সামনে যতটা লজ্জা দিয়েছি যে, এখন সবার সামনে তার সম্মান ফেরাতে হলে নিজের লজ্জা কাটিয়ে সাথে নিজেকে ছোট করে হলেও তাকে কথাটা সবার সামনে বলে তার সম্মান বাড়াতে হবে।
তাই বেশি দেরী না করে তরীর হাত ধরে নিয়ে রুমের মাঝে দাড় করিয়ে দিলাম। সবাই আমাদের দিকে এক নজরে তাকিয়ে আছে। তরীও বিষয়টি বুঝার জন্য আমার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে।
আমি লজ্জা শরম রেখে তরীর সামনে এক হাটু গেরে বসে তার হাতের দিকে একটা বড় লাল গোলাপ ফুল এগিয়ে দিয়ে তার চোখের দিকে তাকিয়ে বললাম –
“কিছুদিন আগেও ভাবতাম তুমি আমার যোগ্য না, কিন্তু আজ মনে হচ্ছে আমি তোমার যোগ্য না। যায় হক, আমি বেশি ঘুরিয়ে কথা বলতে পারি না, আমি তোমায় অনেক অনেক ভালোবাসি। তুমি কি আমায় একটু ভালোবাসা দিবে?”
~ বাসার মধ্যে সবাই তো হা হা করে হেসে উঠলো। বাবাকে দেখলাম দূরে দাড়িয়ে মুচকি মুচকি হাসি দিচ্ছে। আর আম্মু, মামি, নিলা ভাবি যেনো হেসে পাগল হয়ে যাচ্ছে। সবার হাসি দেখে আমার খুব লজ্জা লাগছে। কিন্তু তরী যে আমার হাত থেকে ফুলটা নিবে তার কোনো নামেই নেই, উল্টো হা করে অবাক চোখে তাকিয়ে আছে।
আমিঃ কি হলো তরী, ফুলটা নেও… লজ্জায় ফেলে দিলে তো তুমি আমায়…
তরীঃ কি শুভ ভাইয়া?… (অবাক ভাবে)
— নিলা ভাবি পাশ থেকে বললোঃ আরে আমার দেবরের মিষ্টি বউ, ভালোবাসি বলে ফুলটা দেবরের হাত থেকে নেও গো তাড়াতাড়ি। নাহলে কিন্তু আমি ভালোবাসি বলে নিয়ে নিবো বলে দিলাম। আমার কিন্তু খুব হিংসা হচ্ছে তোমাদের উপর… (হাসি দিয়ে)
মায়া বললোঃ তরী ভাবি, তরী ভাবি তুমি আগেই ফুল নিবে না কিন্তু…
নিলা ভাবিঃ কি বলিস মায়া, শুভ আর কতক্ষণ এভাবে তরীর সামনে ফুল ধরে হাটু গেরে বসে থাকবে…
মায়াঃ আমি এখনি মোবাইল নিয়ে আসছি, তারপর ভিডিও করবো। তারপর ফুল নিবে…
~ মায়া গিয়ে আব্বুর মোবাইল এনে ভিডিও করতে শুরু করলো। আমি মনে মনে বলি, ইজ্জত আমার আজ শেষ ~
মায়াঃ তরী ভাবি, এখন কি বলতে চাও বলো ভাইয়াকে…
~ তরী তো কিছু বলা দূরের কথা, এমন কাজ করলো পুরো লজ্জার সাগরে ভেসে গেলাম সবার সামনে। তরী আমার হাত থেকে ফুল না নিয়ে সরাসরি সেও হাটু গেরে বসে আমার গলা জরিয়ে ধরে বলতে শুরু করলো, “আমিও আপনাকে অনেক অনেক ভালোবাসি, অনেক অনেক ”
সবাই তো হেসে পাগল হয়ে যাচ্ছে। আমিও কি আর করবো, সবার সাথে মিল রেখে হেসে যাচ্ছি। এমন সময় মায়া বললো ~
মায়াঃ ভাইয়া ভাইয়া তুমি ভাবিকে কোলে নেও…
আমিঃ আমি পারবো না।
মায়াঃ কেনো পারবে না? অনেক সুন্দর লাগবে তাহলে…
আমিঃ তরী অনেক মোটা। আমি পারবো না..
~ তরী আমার কানের কাছে মুখ এলে বললো, আমি কিন্তু মোটেও মোটা না। আপনার শক্তি কম, তাই পারবেন না তাই বলেন।
আমি বললাম, আচ্ছা তাহলে দেখুন…
বলে দাড়িয়ে গিয়ে এক টানে তরীকে কোলে তুলে নিলাম। মায়া তো খুশিতে চিৎকার করতে লাগলো। মায়াকে বললাম আমার পকেট থেকে চাবি নিয়ে আমার রুম খুলতে। মায়া চাবি নিয়ে রুম খুলতেই সবার আরো অবাক হয়ে গেলো….?
নিলা ভাবিঃ কি গো দেবরজী, এ দেখি বাসর ঘর সাজিয়ে রাখছো….
~ তরীকে তখনো আমি কোলে নিয়ে আছি। তরী আমার গলা জরিয়ে ধরে আছে। আমি নিলা ভাবির কোনো উত্তর না দিয়ে মুচকি মুচকি হাসি দিচ্ছি। তরী আমার কানের কাছে মুখ এগিয়ে বললো ~
তরীঃ আপনি তো আমায় লজ্জায় ফেলে দিলেন সবার সামনে..
আমিঃ তোমার থেকে আমি আরো বেশি লজ্জা পেয়েছি বুঝলে।
তরীঃ কি দরকার ছিলো এগুলো করার.??
আমিঃ কেনো, সবাইকে দেখাতে হবে না আমি আমার বউকে ঘৃণা নয়, আরো অনেক ভালোবাসি।
তরীঃ তাই বলে কতবার বাসর করবেন..?
আমিঃ হা হা, প্রথম বিয়ের দিন বাসর সাজানো হয়েছে, কিন্তু বাসর হয় নাই। পরে যেই দিন বাসর হলো, বাসর ঘর সাজানো ছিলো না। তাই আজ বাসর ঘরও সাজানো আছে, সাথে বাসরও হবে..(হাসি দিয়ে)
তরীঃ ইশশশ শখ কত…
আমিঃ অনেক শখ গো আমার পেত্নী বউ…
তরীঃ হি হি….
নিলা ভাবিঃ এই তোমরা কি বলছো, একটু জোরে জোরে বলো তো, আমিও শুনি…
আমিঃ সব কথা তো আর জোরে বলা যায় না। এটা শুধু বউয়ের কানে কানে বলতে হয়….(হাসি দিয়ে)
নিলা ভাবিঃ ও তাই বুঝি… বুঝলাম। এককাজ করো, তোমার ভাইয়ের কানে কানে গিয়ে একটু রোমান্টিক হতে বলো তোমার ভাইকে । যেনো তোমার ভাই আমাকেও একদিন কোলে নেয় ওকে। আমার অনেক শখ কোলে উঠার…
আমিঃ রোমান্টিক বর পেতে হলে শুভকে বিয়ে করতে হবে বুঝলেন ভাবি…
নিলা ভাবিঃ তা আর কিভাবে সম্ভব বলো, তুমি কি আর আমায় বউ করবে এখন…
আমিঃ হা হা, সেটা আর সম্ভব নয় গো ভাবি। আমার এখন এই পেত্নী বউ আছেই…
তরীঃ এই ভাইয়া, আমি বুঝি পেত্নী..
আমিঃ হ্যা, তুমি তো পেত্নী।
তরীঃ আমায় পেত্নী বললে কিন্তু কামড় দিবো….
আমিঃ আচ্ছা এখন না। আগে রুমে যায়, তারপর রুম থেকে সবাই বের হয়ে যাক। তারপর ইচ্ছা মত কামড় দিয়ো…
তরীঃ সয়তানের দাদা…
~ তারপর তরীকে কোলে নিয়ে রুমে চলে গেলাম। খাটের মাঝে বসিয়ে দিলাম। এক এক করে সবাই যার যার রুমে চলে গেলো। রাত তখন প্রায় ১২ টা বাজে। রুমের মধ্যে চেয়ার নিয়ে আমি বসে আছি, তরী খাটের মাঝে নীল শাড়ি পড়ে বসে আছে, আর নিলা ভাবি তরীর কানে কানে কি যেনো বলছে। আর সেগুলো শুনে তরী হাসতে হাসতে গলে পড়ে যাচ্ছে। তাদের হাসি দেখে আমিও হাসি দিচ্ছি। ১৫-২০মিনিট ধরে কি কি যেনো তরীর কানে বলে নিলা ভাবি আমার সামনে এসে দাঁড়ালো ~
নিলা ভাবিঃ এই এখন চকচকা ১০০০ টাকার নোট দেও…
আমিঃ কেনো ভাবি…
নিলা ভাবিঃ এতোক্ষণ ধরে তোমার বউকে প্রশিক্ষণ দিলাম তার ফ্রি দিবে না..?
আমিঃ কি কি প্রশিক্ষণ দিলেন.?
নিলা ভাবিঃ সেটা তোমাকে বলা যাবে না। তোমার বউ জানলে হবে…
~ আমি ভাবির কথা শুনে হাসি দিচ্ছি ~
নিলা ভাবিঃ হাসো কেনো? তোমার বউকে বিড়াল মারা শিখিয়ে দিলাম, তার ফ্রি দিবে না..?
আমিঃ হায়রে ভাবি, বিড়াল তো আগেই মারা হয়ে গিয়েছে.. (হাসি দিয়ে)
নিলা ভাবিঃ ও মোর খোদা, তোমরা কত বড় সয়তান। এতোক্ষণ ধরে বললাম আর সয়তান গুলো মজা নিয়ে হেসেই যাচ্ছিলো….
আমিঃ হা হা…
নিলা ভাবিঃ ঢং দেখে আর বাঁচি না। বিড়াল টিড়াল আগেই মেরে এখন আবার বাসর করছে…(ভেংচি কেটে)
আমিঃ একবার মারছি তাকে কি, আরো মারবো…
নিলা ভাবিঃ তাহলে আমার আর হাজারের নোট পাওয়া হলো না বুঝি…
আমিঃ সেটা আর হলো না। কিন্তু আগামী শুক্রবারে তরী ও আপনাকে ঘুরতে নিয়ে যাবো, সাথে যা যা খেতে চাইবেন সব পাবেন…
নিলা ভাবিঃ ও মা তাই। আমি রাজি…
~ নিলা ভাবিও খুশি হয়ে রুম থেকে চলে গেলো। আমি দরজা বন্ধ করে খাটের উপর শুয়ে পড়লাম। প্রায় ১০ মিনিট হয়ে গিয়েছে তরী ওই ভাবে খাটের উপর বসেই আছে ~
আমিঃ এই যে তরী ম্যাডাম, এতো লজ্জা পাচ্ছেন কেনো… আসুন বুকের উপর আসুন…
তরীঃ আমার বুঝি লজ্জা লাগে না বুঝি…
আমিঃ হা হা, সব কিছু হয়েছে, তাও মেয়ের লজ্জা কাটে নাই ..
~ বলে তরীকে ধরে বুকের মধ্যে নিলাম জরিয়ে। সাথে কপালে চুমু দিতে থাকলাম ~
তরীঃ আমিও একটা দেয়…(হাসি দিয়ে)
আমিঃ তুমি দিবে সত্যি নাকি, তাহলে তাড়াতাড়ি দেও…
~ তরী সরাসরি আমার নাকে একটা কামড় দিলো ~
আমিঃ উফফ, ব্যাথা পেলাম তো। কি দিলে এটা…
তরীঃ কেনো কামড়….
আমিঃ ও মোর খোদা, তুমি কামড় দিতে চাইছিলে নাকি?
তরীঃ হুমম। কেনো আপনি কি ভাবছিলেন?
আমিঃ আমিতো ভাবছি পাপ্পি হয়তো…
তরীঃ আমি পাপ্পি দিতে পারি না লজ্জা করে…
আমিঃ এই তাহলে চলুন ঘুমিয়ে পড়ি। সারাদিন অনেক কাজ করছি, এবং খুব ক্লান্ত আমি। তাই ঘুমাবো….
তরীঃ এই না। আগে পাপ্পি দেন বলছি…
আমিঃ আমি পারবো না।
তরীঃ দেন না ভাইয়া..
আমিঃ আমি পারবো না। তুমি দেও…
তরীঃ আমিও পারবো না গো ভাইয়া।
আমিঃ আচ্ছা আমি দিচ্ছি। কিন্তু একটা শর্ত…
তরীঃ কি শর্ত…
আমিঃ এখন থেকে ভুলেও আর শুভ ভাইয়া বলতে পারবেন না ওকে। সব সময় সোয়ামী বলবেন…
তরীঃ হি হি। এক বাসর রাতে বলছিলেন শুভ ভাইয়া বলতে, আর আরেকটা বাসর রাতে বললেন ভাইয়া রেখে সোয়ামী বলতে হি হি। আচ্ছা তাই বলবো এখন থেকে… এখন পাপ্পি দেন…
আমিঃ এই আমার পেত্নী বউ, পাপ্পি দিলে কিন্তু এক ঘন্টার মধ্যে আর ছাড়াছাড়ি নেই….
তরীঃ আচ্ছা গো সোয়ামী আমি রাজি। তুমি পারলে আমি দুই ঘন্টাও পাপ্পি খেতে রাজি। এখন তো দেও…
~ আমি তরীর মুখ চেপে ধরে ঠোঁট মিল করে দিলাম। এই ভাবে সুন্দর ভাবে আমার ও তরীর সংসার চলতে লাগলো। তরী এখন অনেক সংসারী হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আমার আর তরীর সেই মজার দুষ্টুমি গুলো এখনো প্রতিদিন হয়….
একদিন বিকালে আছরের নামাজ শেষ করে বাসায় এসে খাটের উপর শুয়ে আছি। তরী নিচে বসে নামাজ শেষে মোনাজাত করছে। আমার দিকে চোখ কাত করে তাকালো। আমি চোখ দিয়ে ইশারা করে বললাম, কি… সে মাথা নেড়ে বললো, কিছু না।
শুনলাম মোনাজাতের মধ্যে তরী বলছে-
তরীঃ ইয়া আল্লাহ, তুমি আমার স্বামীর সম্পদ অনেক অনেক বৃদ্ধি করে দেও… ☺
~ আমি মনে মনে চিন্তা করি পাগলী মেয়ে বলে কি এটা। আমিও আবার জোরে জোরে বললাম ~
আমিঃ ইয়া আল্লাহ, আমার স্ত্রীই আমার সম্পদ ?
~ তরী আমার দিকে কপাল, চোখ কুঁচকিয়ে তাকালো ?
যখন আমার কথার মানে বুঝতে পারলো, তখন বললো ~
তরীঃ ইয়া আল্লাহ, আমার স্বামীর সম্পদ আর বৃদ্ধি করো না। যা আছে তাই রেখো ?
— এখন যদি আপনারা কিছু বুঝতে পারেন–
তাহলে বুজপাতা….
আর না বুঝলে তেজপাতা… ??
.
.
? গল্প সমাপ্ত ?
#ভদ্র_ছেলে_
#গল্পঃ_রোমান্টিক_কালো_বউ_
#Writer_Md_Aslam_Hossain_Shovo_
#লেখকঃ_মোঃ_আসলাম_হোসেন_শুভ_
★ স্বামী/স্ত্রী কালো হক বা ফর্সা, সেটা দেখার বিষয় নয়। কারণ, আল্লাহ তাকে আল্লাহর পছন্দ মত তৈরি করছেন। দেখার বিষয় হল তার মন কতটা ভালো,কতটা পরিস্কার। সে কালো হক বা ফর্সা। কালো হলে যে মন পরিস্কার তার, সেটা কিন্তু না। আবার ফর্সা হলেই যে সে অহংকারী খারাপ মনের মানুষ, সেটাও কিন্তু না। ভালো মন্দ কালো বা ফর্সা দুই জনের মধ্যেই আছে। সেটা চিনে নিতে হবে আপনাদের। আর বড় কথা, ইসলামে বলছে যে যেমন তার জীবন সঙ্গীও পাবে তেমন…
মেন কথা, জীবন সঙ্গী ভালো পেতে হলে আগে নিজেকে ভালো করতে হবে। নিজে ভালো তো জগৎ ভালো….
ভালো থাকবেন…
সুস্থ থাকবেন…
আল্লাহ হাফেজ…
Khub khub khub sundor golpota…. Kalo mayeder ato kichu tolerate korte hoi…. But tarao to manus….. Mon valo hole sob valo… Sondorjo sarajibon thakbe na…. But moner sondorjota sarajibon thakbe….. Thanks for beautiful story.