#গল্পঃ রোমান্টিক কালো বউ ?
#লেখকঃ Md: Aslam Hossain Shovo
#পর্বঃ ৬…
√-আমিঃ কি বলছে সাদিয়া…
তরীঃ আমি বলতে পারবো না..
~ তরীর চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছে ~
আমিঃ আপনি কান্না করছেন কেনো? কি বলছে সাদিয়া বলুন…
তরীঃ আমি বলতে পারবো না।
~ বলে তরী চোখের পানি মুছতে মুছতে রুম থেকে বের হয়ে যাচ্ছে ~
আমিঃ এই তরী রুম থেকে যাবেন না কিন্তু…(রেগে)
~ কিন্তু তরী আমার কোনো কথা না শোনেই রুম হয়ে গেলো। আমার মেজাজ গরম হয়ে গেলো তরীর এমন আচরণে ~
আমিঃ আম্মু, ওই আম্মু..
~ আম্মু রুমে আসলো ~
আম্মুঃ কি হয়েছে?
আমিঃ তরীকে কিছু বলবে..(রাগ হয়ে)
আম্মুঃ কেনো? বউমা আবার কি করলো?
আমিঃ কি করবে আবার, ত্যাড়ামো শুরু করছে আমার সাথে।
তরীঃ কি ত্যাড়ামো করছে.?
আমিঃ সাদিয়া নাকি বাসার মোবাইল ফোন করছিলো। তরীর সাথে কথা হয়েছে। কি কথা হয়েছে কয়েকবার জানতে চাইলেও কেনো উত্তর না দিয়ে রুম থেকে কান্না করে বের হয়ে গেলো।
আম্মুঃ আচ্ছা আমি দেখছি।
~ বলে আম্মু চলে গেলো। অন্য রুম থেকে তরীকে নিয়ে আবার আমার রুমে আসলো। তরী আমার কাছে এসে আমার চোখের দিকে তাকালো ~
আমিঃ ওই মেয়ে, আপনাকে না বললাম সাদিয়া কি বলছে বলতে। তাহলে কিছু না বলে গেলেন কেনো.?
~ তরী মাথা নিচু করে চুপ করে আছে ~
আমিঃ ওই বলেন না কেনো..?.(ধমক দিয়ে)
~ তরী ভয়ে একপা পিছনে চলে গেলো। আম্মু গিয়ে তরীকে ধরলো ~
আম্মুঃ ওই শুভ, হচ্ছে টা কি.? ধমক দিচ্ছিস কেনো তুই.?
আমিঃ তাহলে উত্তর দেয় না কেনো..?
আম্মুঃ আচ্ছা আমি দেখছি।
~ আম্মু তরীর দিকে তাকিয়ে চোখ দিয়ে শান্ত হওয়ার জন্য ইশারা করলো ~
আম্মুঃ বউমা, কি বলছে সেই সাদিয়া.?
~ তরী চুপ করে আছে ~
আম্মুঃ কি হলো বলো বউমা, সাদিয়া এমন কি বলছে তোমায়, যে কান্না করলে.??
তরীঃ বাসার নাম্বারে ফোন আসে। আমি রিভিউ করি। তারপর যখন আমি আমার পরিচয় দেয়, ওমনি আমায় আজেবাজে কথা বলা শুরু করে। আমায় বলে নিজের ভালো চাইলো শুভ ভাইয়ার জীবন থেকে সরে যেতে…
আমিঃ আর কিছু বলছে?
তরীঃ হুমম।
আমিঃ কি বলছে.??
তরীঃ বলছে, আমি একটা কালো ভুত। কালো ভুত হয়েও কিভাবে স্বপ্ন দেখি শুভ ভাইয়ার বউ হওয়ার। যদি আয়নায় কখনো নিজের কালো মুখ দেখে থাকি, তাহলে শুভ ভাইয়াকে ছেড়ে চলে যেতে।
আমিঃ আর কিছু..?
তরীঃ আর বলছে, আমি যত চেষ্টা করি, আমি কখনো শুভ ভাইয়াকে নিজের করে নিতে পারবো না। কারন, শুভ ভাইয়া আমায় ঘৃণা করে অনেক। আর সে এখনো সাদিয়াকে মানে তাকেই ভালোবাসে, সে সেই খবর নিয়েছে গোপনে…
আমিঃ আর কিছু..?
তরীঃ না।
~ আম্মু কথা গুলো শোনে রেগে গেলেন ~
আম্মুঃ ওই মেয়ের সাহস হয় কিভাবে তুরীকে আজেবাজে কথা শোনানোর। আজই ওই মেয়ের মা-বাবার কাছে মেয়ের এমন বেয়াদবি কাজের কথা বলতে হবে।
আমিঃ না আম্মু থাক। একবার বলতে তো মাত্র, আবার এমন কিছু বললে তখন নাহয় দেখা যাবে।
আম্মুঃ সুযোগ দিলে আরো বেড়ে যাবে এই সব মেয়েরা।
আমিঃ সমস্যা নেই আমি কথা বলবো।
আম্মুঃ আচ্ছা তুই যেটা ভালো মনে করিস….
~ বলে আম্মু রুম থেকে চলে গেলেন। তরী আমার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে। আমিও তরীর চোখের দিকে তাকালাম ~
আমিঃ ওই মেয়ে এই টুকুর জন্য আবার কান্না করতে হয় নাকি? এতেই চোখের পানি পড়তে শুরু করছে হুম। এখন থেকে চোখে বাঁধ দিবেন, সামান্য ব্যাপারের যেনো চোখের পানি না পরে..(রাগ হয়ে)
~ তরী চুপ হয়ে আছে ~
আমিঃ সামান্য ব্যাপার নিয়ে এতো ন্যাকামো করতে হয় না বুঝলেন? আমার কিন্তু ন্যাকামো একদম পছন্দ না। যান হাত মুখ ধুয়ে আসুন…
~ তরী হাত মুখ ধুইতে চলে গেলো। আমি এই সুযোগে সাদিয়াকে ফোন করলাম। ৩ বার কল করার পর রিসিভ করলো ফোন ~
আমিঃ হ্যালো কে সাদিয়া?
সাদিয়াঃ কেমন আছো শুভ…?
আমিঃ ভালো। আপনি আমার বাসার নাম্বারে কল করছিলেন কেনো?
সাদিয়াঃ কেনো কি হয়েছে? আমি ফোন করলে কোনো সমস্যা।
আমিঃ অবশ্যই সমস্যা। আপনি আর কখনো ফোন করবেন না।
সাদিয়াঃ কেনো করবো না..?
আমিঃ কেনো মানে আবার কি? আপনার সাথে আমার সম্পর্ক শেষ হয়েছে আরো ৬ মাস আগে। এখন আপনি আমার জন্য একজন অপরিচিত মানুষ শুধুমাত্র, বুঝলেন। ফোন করতে মানা করছি তো ফোন করবেন না।.. (রাগ হয়ে)
সাদিয়াঃ তুমি আমার সাথে এমন ব্যবহার করছো কেনো? নিশ্চয়ই ওই কালা পেত্নীর জন্য।
আমিঃ কথাবার্তা ঠিক করে বলবেন। সে আমার স্ত্রী। আপনি সাহস পেলেন কিভাবে ওই ভাবে কথা বলার.?(রাগ হয়ে)
সাদিয়াঃ আমি জানি শুভ, তুমি এখনো আমায় ভালোবাসো।
আমিঃ আপনার ধারণা একদম ভুল। আপনাকে আমি ঘৃণা করি।
সাদিয়াঃ এটা তোমার মনের কথা না আমি জানি। তুমি ওই কালো মেয়েকে একদম সহ্য করতে পারো না আমি জানি।
~ তরী মুখে ধুয়ে মুখ মুছতে মুছতে আমার পাশে এসে আমার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে। আমি মোবাইলে সাদিয়ার সাথে কথা বলছি ~
আমিঃ হা হা, আপনি ভুল জানেন। আর সহ্য করতে পারি কি পারি না, সেটা আমার ব্যাক্তিগত ব্যাপার। আপনাকে ফোন করতে মানা করছি তো ফোন করবেন না।
সাদিয়াঃ তুমি শুধু আমার, আর কারো না। তুমি কালো মেয়েটাকে ডিভোর্স দিলে, আমি তোমার বউ হবো কথা দিলাম।
আমিঃ হা হা, আমায় কি পাগল পেয়েছেন। আপনার মত মেয়েকে আমি করবো বউ, হাসালেন…
সাদিয়াঃ শুভ তুমি আমায় বিয়ে করলে কথা দিলাম আর কেনো ছেলের সাথে নোংরামি বা গোপনে প্রেম করবো না।
আমিঃ জীবনে সব মানুষের কথা বিশ্বাস করা যায়, কিন্তু চরিত্রহীন মানুষের কথা কোনোদিন বিশ্বাস করা যায় না। যার একবার চরিত্র খারাপ হয়, তার চরিত্র আর কখনো ভালো হয় না।
সাদিয়াঃ তুমি আমায় চরিত্রহীন বলতে পারলে..?
আমিঃ যে যেমন, তাকে তেমনি বলতে হয়।
সাদিয়াঃ আমি জানি তুমি এগুলো মন থেকে বলছো না, ওই মেয়ের জন্য বলছো তো। আচ্ছা ওই মেয়েকে আমাদের পথ থেকে সরিয়ে দিবো…
আমিঃ আমি গালি দিতে জানি না, তাহলে আপনাকে এতোক্ষণে…
সাদিয়াঃ শুভ আমি তোমায় ওই কালো মেয়ের থেকে নিজের করে নিবো…
~ তরীকে বার বার কালো বলায় মেজাজ গেলো গরম হয়ে ~
আমিঃ ওই নষ্টা মেয়ে, ফোন রাখ বলছি। ভুলেও আর কখনো আমার বাড়ি ফোন দিবি না, নাহলে তোর জন্য ভালো হবে না বলে দিলাম… (রাগ হয়ে)
~ বলে ফোন কেটে দিলাম। তরীর দিকে তাকিয়ে দেখি তরী আমার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে ~
আমিঃ কেমন দিলাম সাদিয়াকে, তরী ম্যাডাম..?..(হাসি দিয়ে)
~ তরী লজ্জা পেয়ে হি হি করে হেসে দিয়েছে ~
আমিঃ কি বললেন না কেমন হলো আমার পারফরম্যান্স?
তরীঃ আমি তো ভাবছি আপনি শুধু আমায় ধমক দিতে জানেন, কিন্তু এখন দেখি আপনি সবাইকেও ধমক দিতে জানেন…(হাসি দিয়ে)
আমিঃ আপনাকে তো এখনো দেয় নাই, এখন দেবো…
তরীঃ কেনো?
আমিঃ আপনার চোখের পানি কথার আগে পড়ে কেনো হুমম? আর কিছু জিগ্যেস করলে সাথে সাথে উত্তর দিলেই কি হয় শুনি..??
তরীঃ ইয়ে মানে…
আমিঃ ইয়ে মানে কি..?..(ধমক দিয়ে)
তরীঃ আপনি আবার আমায় ধমক দিচ্ছেন.. (নরম কন্ঠে)
আমিঃ দিচ্ছি এবং আরো দিবো। যদি এর পর কিছু জিগ্যেস করলে উত্তর দিতে দেরি হয়, তখন আরো বেশি দিবো..(রাগী ভাবে)
তরীঃ আচ্ছা এর পর থেকে সব উত্তর সাথে সাথে দিবো।
আমিঃ এই তো গুডগার্ল… এর পর ওই সাদিয়া আবার ফোন করলে সাথে সাথে আমায় বলবেন কেমন..
তরীঃ আচ্ছা ভাইয়া। কিন্তু শুভ ভাইয়া তাহলে আপনি কিন্তু আর আমায় ধমক দিবেন না।
আমিঃ আমি ধমক দিলে বুঝি ভয় লাগে..?
তরীঃ ধমক না দিয়ে সবার সাথে একটু মিষ্টি মিষ্টি কথা বলতে পারেন না..?
আমিঃ আমার কথা গুলো মিষ্টি না বুঝি। তিতা তিতা লাগে.?
তরীঃ একটু তিতা তিতা.. (হাসি দিয়ে)
আমিঃ এর থেকে আমি আর কথায় মিষ্টি দিতে পারবো না। পরে যদি আমার মিষ্টি কথা শোনে আবার সবার ডায়বেটিস হয়ে যায়.. (হাসি দিয়ে)
তরীঃ হা হা…
আমিঃ এতো হাসতে হবে না। যান তাড়াতাড়ি রেডী হন..
তরীঃ কেনো..?
আমিঃ সকালে দেখলেন না মায়া,নুপুর চাই নুপুর চাই বলে ঘ্যান ঘ্যান করছিলো, তাকে নুপুর না দিয়ে উপায় আছে বুঝি।
তরীঃ তাহলে আমি রেডী হবো কেনো.?
আমিঃ আপনার জন্যও নতুন নুপুর বানাতে দিবো। একসাথে আপনার ও মায়ার জন্য। আপনার পায়ে যেটা আছে সেটা তো মেলার কম দামি নুপুর, তেমন ভালো না।
তরীঃ সেটা কম দামি হলেও আমার কাছে লক্ষ টাকা দামি।
আমিঃ এই দরদ ভরা কথা বলে আমার মন জয় করতে চান বুঝি, সেটা কখনো সম্ভব না।
~ তরীর সাথে সাথে মন খারাপ হয়ে গেলো। হয়তো কথাটা বলা উচিত হয় নাই এখন ~
আমিঃ আচ্ছা রেডী হয়ে আসুন…
~ তরী বোরকা পরে আসার পর তরী ও মায়াকে নিয়ে সরাসরি জুয়েলার্সের দোকানে গিয়ে দুই জনের জন্য দুই সেট রূপার নুপুর বানাতে দিলাম। তরী আমার পছন্দে বানাতে দিলেও মায়া তার নিজের পছন্দে বানাতে দিলো। এই জন্য অনেকে বলে, সব জোর বউয়ের খাটানো গেলেও বোনের উপর জোর খাটানো যায় না।
জুয়েলার্সের দোকান থেকে বের হয়ে রাস্তার পাশে দিয়ে হেঁটে সামনের দিকে যাচ্ছি। আমি ডান সাইডে মায়ার হাত ধরে, মাঝে মায়া ও মায়ার অপর পাশে তরী। শীতের দিন হালকা ঠান্ডা থাকায় মানুষের যাতায়াত খুব কম। ঠান্ডা বাতাস এসে মুখে লাগছে, একটু একটু শীতও লাগছে ~
আমিঃ গরম গরম মোগলাই পরোটা খাবেন নাকি গরম গরম আলু,বেগুন, মাংসের চপ..?
মায়াঃ ভাইয়া তুমি কি আমায় বলছো.?
আমিঃ তোর মত ছুছিকে কে বলতে যাবে রে…
মায়াঃ ভাবি আপনাকে বলছে, কি খাবেন বলুন… (রাগ হয়ে)
তরীঃ ইয়ে মানে…
আমিঃ ইয়ে মানে আবার কি.? এখন আবার বলবেন নাকি আপনার পাশে বসে খাওয়ার যোগ্য আমি নয়।
তরীঃ আপনি তো খুব ঝগড়াটে। ইয়ে মানে বলতে খেতে গেলে তো বোরকার মুখ খুলতে হবে, তখন যদি কেউ দেখে আপনার পাশে কালো মেয়ে বসে খাচ্ছে আপনার ইজ্জত থাকবে নাকি.??
আমিঃ আপনি সব সময় নিজেকে এই ভাবে কালো কালো করেন কেনো?
তরীঃ সত্যি যেটা তাই তো বলি।
আমিঃ হয়েছে আর সত্যি বলতে হবে না। মনে রাখবেন কে কি মনে করলো তাতে আমার কিছু যায় আসে না। আপনি ভাবছেন আপনাকে আমি স্ত্রী হিসাবে মেনে নেই নাই আপনার রং কালো তাই বলে.?
তরীঃ হুমম।
আমিঃ এটা আপনার ভুল ধারণা। সময় আসুক একদিন সব বলবো। আচ্ছা ওই সব বাদ দিন, কি খাবেন বলুন..?
তরীঃ বেগুনি ও চপ…
আমিঃ আর তুই কি খাবি মায়া..?
মায়াঃ আমায় ছুছি বলে আবার জিগ্যেস করা হচ্ছে কি খাবো তাই না। আচ্ছা যাও ভাইয়া তোমায় মাফ করে দিলাম। আমি মোগলাই খাবো..
আমিঃ দেখছেন তরী ম্যাডাম। আমি মাফ চাইলাম না, তাও আমার পিচ্চি বোন আমায় মাফ করে দিলো। কত দয়ার সাগর সে..
তরীঃ হি হি হি…
~ আমি, তরী ও মায়া মোগলাই পরোটা, সাথে গরম গরম বেগুনি চপ খেয়ে বাসায় চলে এলাম। রাতের খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমি বিছানায় শুয়ে শুয়ে টিভি দেখছি, আর তরী আমার পাশেই বসে আমার মোবাইল নিয়ে গেমস খেলছে। তরীর সাথে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক নাহলেও একটু বন্ধু বন্ধু সম্পর্ক সৃষ্টি হয়ে গিয়েছে। এমন সময় আম্মু আমাদের রুমে এলো ~
আম্মুঃ তুরী, জামা-কাপড় প্যাক করা হয়ে গিয়েছে..?
তরীঃ না আম্মা।
আম্মুঃ এখনো হয় নাই কেনো? তাড়াতাড়ি গুছিয়ে নেও…
তরীঃ ঠিক আছে আম্মা।
– আমিঃ জামা-কাপড় প্যাক করবে মানে? কোথায় যাবে তরী.?
আম্মুঃ তুই ভুলে গিয়েছিস নাকি? আগামী কাল তোর ফুফুর বড় নাতীর জন্মদিনের দাওয়াত। তাই সকাল সকাল চলে যাবো তোর ফুফুর বাসায়, তাহলে একটু বেড়ানোও যাবে। আসবো পরশুদিন। যাবি নাকি তুই..?
আমিঃ না আম্মু। আমিতো আগেই বলছি আমি যাবো না। এই সব অনুষ্ঠান আমার ভালো লাগে না।
তরীঃ আপনি যাবেন না শুভ ভাইয়া?
আমিঃ না গো বোইন, যাবো না…
~ তরীর মুখ কালো হয়ে গেলো আমার মুখে বোন ডাক শোনে ~
আম্মুঃ কত বড় সয়তান ছেলে। বউকে বোইন বলছে। এই পাজি বউকে কেউ বোন বলে নাকি..?
আমিঃ সবাই না বললেও আমি বোন বলি।
তরীঃ আপনি যাবেন না কেনো ভাইয়া?
আমিঃ আমার ওই সব ঝামেলার অনুষ্ঠান একদম পছন্দ না। তাই আপনি গিয়ে আপনার কাপড় গুছিয়ে নেন তাহলে।
তরীঃ আমিও যাবো না।
আমিঃ আপনি আবার কেনো যাবেন না?
তরীঃ কাল তো শুক্রবার, আপনি বাসায় থাকবেন। যদি আপনার কিছু প্রয়োজন হয় তাই থাকতে চাই আপনার সাথে।
আমিঃ মানে আমার প্রয়োজনে আমার পাশে থেকে সাহায্য করে আমার উপর দরদ দেখাতে চান.? যেনো আপনাকে আমি বউ হিসাবে মেনে নেই তাই না.? (রাগ হয়ে)
~ তরী চুপ হয়ে গেলো ~
আম্মুঃ ওই সয়তান ছেলে, দরদ আবার কি রে? তুরী তোর বউ, তোর সেবা করা ওর দায়িত্ব। এতে দরদের কি আছে?
আমিঃ আর বউ!
আম্মুঃ সব সময় মেয়েটার মন খারাপ করে দেয় সয়তান ছেলে।
~ বলে আম্মু চলে গেলো।
তরী অন্য দিকে মুখ করে ঘুমিয়ে পড়লো। আমিও একটু পর ঘুমিয়ে পড়লাম।
সকাল বেলা নাস্তা করে বাসার সবাই ফুফাদের বাড়ীর উদ্দেশ্যে চলে গেলেন। আমি আর তরী বাসায়। গতকাল রাত থেকে তরী আর আমার সাথে কথা বলে নাই।
সবাই ফুফু বাসায় যাওয়ার ঘন্টা খানিক পর দেখি তরী আর বাসায় নেই। পুরো বাড়ি খুঁজেও তরীর খোঁজ পেলাম না…………….. (..#চলবে..)