#রৌদ্দুরে_প্রেমের_বৃষ্টি
#পার্টঃ২৮
#রুবাইদা_হৃদি(sheikh ridy)
কাঁচের দেয়াল ভেঁদ করে এক ফালি রোদ এসে কার্পেটে মোড়া মেঝেতে লুকোচুরি খেলছে৷ কোথায় যেন ক্ষীণ স্বরে নাম না জানা একটা পাখি কিচকিচ করে ডেকে চলেছে৷ রোদের হালকা ঝলমলে আলো আমার চোখের উপর পড়তেই চোখমুখ কুঁচকে ফেলি৷ কালকের কথা একদম ভুলে গেছি সাথে রাই নামক মেয়েটার কথা৷ আমি হাত দিয়ে চোখের উপর ঘষতেই ব্যাথা অনুভব হয়৷ সাথে সাথেই ভ্রু কুচকে উঠে পড়তেই রাতের সব কথা মনে পড়ে৷ আমার পাশেই চেয়ার রাখা এখনো৷ কিন্তু সে নেই৷ সারা রুমে চোখ বুলিয়েও তাকে পেলাম না৷ দরজার দিকে তাকাতেই দেখলাম দরজা খোলা৷ সে যদি রাইয়ের কাছে গিয়ে থাকে?এতোটুকু কথা মনে হতেই আমি দ্রুত পায়ে নেমে দাঁড়িয়ে বাইরে যাওয়ার জন্য পাঁ বাড়াই৷ ড্রাইনিং রুমেও উনাকে না পেয়ে আমার বুকের মাঝে ধক করে উঠে৷ আমি রাইয়ের বেডরুমে গিয়েও দরজা খোলা দেখলাম৷ সারা রুম নিস্তব্ধ..! বারান্দায় কেও নেই৷ আমাকে না বলে কোথাগ গেলেন উনি৷ আমি এতোটা পর হয়ে গেছি? আজ প্রাক্তন কে পেয়ে আমাকে না বলেই বেরিয়ে যাচ্ছেন৷ কিন্তু গিয়েছেন কোথায়৷ নিজেকে পাগল পাগল লাগছে৷ কি হচ্ছে আমার সাথে এইসব৷ রুমে গিয়ে মোবাইল বের করে ফুঁপিকে কল দিলাম৷ তার মোবাইল অফ..! জিনিয়াকে ফোন দিয়েও পেলাম না৷ হাঁত-পাঁ কাঁপছে৷ ধপ করে মেঝেতে বসে পড়লাম৷ তাহলে কি আমাকে রেখেই সে চলে গেছে রাইয়ের সাথে? যদি রাইয়ের সাথে চলেই যাবেন আমাকে কেন নিয়ে এসেছে এখানে? আজ কান্না করছি..!চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছে৷ চিৎকার করে কান্না করছি..! শব্দ গুলো ঘুরেফিরে আমার কানেই এসে বারি খাচ্ছে৷ কোথায় গিয়েছেন উনি? আমি কান্নারত অবস্থায় আবার উঠে দাঁড়ালাম৷ যদি বাইরে গিয়ে থাকেন এই আশায়৷ দৌড়ে বাসার মেইন গেইট খুলতে গিয়ে বুঝতে পারি গেইট বাইরে থেকে লাগানো৷ বুকের ভেতর চিনচিনে ব্যাথার সাথে মনের কোণে ভয় জমা হয়৷ আমি দরজা ধরেই বসে পড়ি৷ আমি বাংলাদেশে যাবো৷ দরজা ধরেই জোরে জোরে কাঁদছি৷ এমনটা করতে পারলেন উনি? শেষে আমাকে তালাবদ্ধ করেই চলে গিয়েছেন রাইয়ের সাথে..!
__________________________
কাঁদতে কাঁদতে ক্লান্ত হয়ে হাঁটু মুড়ে বসে আছি গেইটের সামনেই৷ মাথার ভেতর ফাঁকা লাগছে৷ উনার সব কিঁছু আমার কাঁছে অভিনয় লাগছে৷ এইভাবে আমার জীবনকে বিষিয়ে কেন তুললেন উনি৷ কোথায় পাবো উনাকে৷ আমার কাছে মৃত্যু কষ্টের মতো লাগছে সব৷ আমি পাগল হয়ে যাচ্ছি৷ আমাকে কাব্য ভাইয়া ঠকালেন৷ কিন্তু কেন? আমি কি করেছি..!
দরজার সাইডের দেয়ালে হেলান দিয়ে ডুকরে কেঁদে উঠছি৷ দরজা খোলার আওয়াজে মুখ তুলেও তাঁকালাম না৷ সব কিছু আমার কাছে সপ্নের মতো লাগছে৷ দরজা খোলার শব্দটা হলেও আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হচ্ছে না৷ শুধু মনে হচ্ছে,আমি ঠকে গিয়েছি..! আর সুন্দর নিপুণ ভাবে আমাকে ঠকিয়েছেন সে..!
কাব্য ভাইয়া ঘরে ঢুকেই অস্থির ভাবে আমার সামনে বসে পড়লেন৷ আমাকে জড়িয়ে ধরলেন৷ আমি অনুভূতি শূন্য হয়ে বসে আছি৷ আমি শক টা নিতে পারছি না৷ আমার কাছে উনাকে কল্পনা মনে হচ্ছে৷ ভয় পাওয়া কন্ঠে বললেন,
–‘ নীতু..এই নীতু কি হয়েছে.. ভয় পেয়েছিস৷ এই দেখ আমি এসেছি৷ ‘
আমি উনার দিকে মুখ তুলে তাঁকালাম৷ পাশেই সেই মেয়েটাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে উনার কাছে থেকে পিছিয়ে গিয়ে বললাম,
–‘ ছুঁবেন না আমায়..দূরে সরুন৷ আপনি ধোঁকা দিয়েছেন আমায়৷ ‘
উনি অবাক চোখে তাকিয়ে আছেন৷ আমার কথার মানে হয়তো বুঝতে পারেন নি৷ উনি আবার আমার কাছে এসে শান্ত ভাবেই বললেন,
–‘ ভয় পেয়েছে পিচ্চিটা? ‘
উনার এতোটুকু কথা শুনে হাত দিয়ে তার বুকের মাঝে ধাক্কা দিয়ে কান্না করতে করতে বললাম,
–‘ আপনি মিথ্যুক.. কেন নিয়ে এসেছেন আমাকে বার্লিনে? কেন এনেছেন? কষ্ট দেওয়ার জন্য? রাই আর আপনার ভালোবাসা দেখার জন্য৷ কেন বেঁধেছেন আমায় আপনার মাঝে? আমি তো আপনাকে চাই নি আগে৷ ‘
আমার কথা শুনে উনি রাইয়ের মুখের দিকে তাকালেন৷ তারপর আমার মুখের দিকে৷ গালের মাঝে হাত রেখে বললেন,
–‘ রাইজুম,. উনার সাথে আমার সম্পর্ক মানে? ‘
আমি আরেকবার থমকালাম৷ রাই থেকে জুম আবার আসলো কোথা থেকে? আমি তাও থামলাম না৷ নিজের মনের কথার উপর ভিত্তি করে বললাম,
–‘ রাই৷ উনি রাই..! আপনার সেই রাই৷ যার সাথে আপনার সম্পর্ক ছিলো৷ আপনার প্রাক্তন সে..!’
উনি আমার দিকে কিছুক্ষণ বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে রইলেন৷ রাই মানে রাইজুম বললেন,
–‘ কি বলছো? ও এইভাবে কাঁদছে কেন? সে তো তোমার ওয়াইফ তাই না? ‘
কাব্য ভাইয়া আমার থেকে উঠে দাঁড়িয়ে উনার সামনে গিয়ে বললেন,
–‘ ও ভেবেছে আপনি আমার প্রাক্তন..! উল্টা পাল্টা ভেবে বসে আছে৷ লাস্ট চব্বিশ ঘন্টা সে এই বিষয় নিয়ে অহেতুক আমাকে সন্দেহ করে গেছে৷
আমি উনাদের কথা শুনে কি বলবো বুঝতে পারলাম না৷ রাইজুম আপু আমার সামনে এসে হাসি মুখে বললেন,
–‘ কেন ভুল বুঝেছো? আমি কাব্যর অফিসের হেড অফিসার৷ আমি এখানে কাজের জন্য আর তাকে কাজ বুঝিয়ে দিতে এসেছিলাম৷
আমি উনার কথা শুনে কাব্য ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে আছি৷ উনি দাঁতে দাঁত চেপে বললেন,
–‘ অতিরিক্ত বেশি বুঝা মেয়েদের স্বভাব…আমাকে কিছু না জিজ্ঞেস করেই টানা একটা দিন সন্দেহ করেছিস৷ তোর কি আমাকে বিবেকহীন লাগে? টেল মি ড্যাম ইট…! ‘
আমি উনার কথা শুনে আবারও কেঁদে দিলাম৷ রাইজুম আপু আমার মাথায় হাত বুলিয়ে কাব্য ভাইয়াকে উদ্দেশ্য করে বললেন,
–‘ রিলাক্স ডিয়ার… কাম ডাউন….. ও ছোট বুঝতে পারে নি, আর তোমাকে বেশিই ভালোবেসে ফেলেছে তাই হয়তো হাইপার হয়ে গিয়েছে৷ ‘
উনি তার কথা না শুনেই শুধু বললেন,
–‘ আপনি রুমে যান…! ‘
উনি আবারো মুচকি হেসে চলে গেলেন৷ আমি উঠে দাঁড়ালাম তার সামনে৷ জিজ্ঞাসু চোখে বললাম,
–‘ সকালে আমাকে না বলে কেন বেরিয়ে গেছেন? একা একটা বাসায় রেখে? ‘
উনি পকেটে হাত গুজে নির্লিপ্ত ভাবে দাঁড়িয়ে বললেন,
–‘ ড্রাইনিং টেবিলে খাবার রাখা ছিলো দেখেছিস..?’
আমি তো দেখেই নি৷ উত্তর দিবো কি৷ আমাকে চুপ থাকতে দেখে আবার ধমকে উঠে বললেন,
–‘ দেখেছিস? ‘
–‘ ন..না..! ‘ আমি চমকে উঠে বললাম৷ উনি আবার বললো,
–‘ কাবার্ডের উপর তোর জন্য কাপড় রাখা সেটা দেখেছিস? ‘
আমি আবারো কাঁপা কন্ঠে না বলতেই উনি হাত ধরে টেনে ড্রাইনিং এ নিয়ে গেলেন৷ খাবারের প্লেটের সাইডে একটা চিরকুট রাখা৷ উনি আমার হাত ধরেই সেই চিরকুট উঠিয়ে আমার হাতে দেয়৷ আমি খুলে দেখি লেখা আছে,
–‘ ফ্রেশ হয়ে এসে চুপচাপ খাবার খেয়ে নে,,আর না বলে যাওয়ার জন্য এসে ভালোবাসা দিবো৷ রাইজুম ম্যাম সকালেই বললেন, অফিসে আজ ইম্পর্ট্যান্ট মিটিং আছে,,সে এই মিটিং এর জন্যই ইন্ডিয়া থেকে বার্লিন ছুটে এসেছে, তাও আমাকে সব দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য৷ বাকিটা আমি এসে বলবো মহারাণী..! আর কাল রাতের বিহেভিয়ার এর জন্য এসে এক থাপ্পড় মারবো৷ হাত পুড়িয়েছিস তার উপর আমার সাথে অকারণে রাগ করে কেন আছিস? শক্তপোক্ত কারণ না হলে উঠিয়ে আছাড় মারবো৷ ‘
আমি চিরকুট পড়ে উনার দিকে তাকাতেই আবার আমাকে হাত ধরে টেনে নিয়ে যায় কাবার্ডের কাছে৷ কাপড়ের নিচে আরেকটা চিরকুট ওইটা আমার হাতে দিলেন৷ আমি খুলেছি না দেখে নিজেই খুলে দিলেন৷ আমি পঁড়লাম,
–‘ ঘুম কুমারীর ঘুম ভেঙেছে কি? এতো ঘুম কোথায় পাস? আমার ঘুম কেঁড়ে নিয়ে আরামে ঘুমিয়েছিস সারা রাত৷ ভয় পাবি না একদম..!আমি একটু পর এসে যেন দেখি এই ড্রেস টা পড়ে আছিস৷ জলদি ফ্রেশ হয়ে নে…!’
উনি আবার চিরকুট আমার হাত থেকে কেড়ে নিয়ে ছুড়ে মারলেন৷ রাগী গলায় বললেন,
–‘ এখন জিজ্ঞেস কর তোকে ডাকি নি কেন..! ‘
আমি সত্যিই জিজ্ঞেস করতে উনি রাগে আরো জ্বলে উঠলেন৷ বললেন,
–‘ কতবার ডাকি নি তাই বল,,তোর হুশ থাকে ঘুমালে? এতো কেয়ারলেস কেন তুই? আর তোর এতো চিপ মেন্টালিটি তো ছিলো না৷ কোথাকার কোন রাই তাকে নিয়ে এখনো পরে আছিস৷ ‘
আমি আমতা আমতা করে বললাম,
–‘ আপনি সেদিন রাই বলেছিলেন..! ‘
উনি দুই আঙুল দিয়ে কঁপাল ঘষছেন৷ মনে হচ্ছে রাগে ফেঁটে যাবেন এইবার৷ রাগে চোখ মুখ লাল হয়ে উঠেছে৷ আমার দিকে এগিয়ে আসলেন৷ আমি সরলাম না..আরো এগিয়ে এসে বললেন,
–‘ গাঁধি, আস্ত একটা গাঁধি, এতোবড় নাম ডাকার চেয়ে রাই ডেকেছিলাম৷ আর রাই কি দুনিয়ার একটা? আর হলেও ওই ছ্যাঁচড়া কে কেন আনবো৷ আল্লাহ আমায় উঠিয়ে নেও..! ‘
আমি উনার কথা শুনে হাফ ছাড়লাম৷ ইশ..! একটাবার জিজ্ঞেস করলে এতো ঝামেলা হতোই না৷ আমি পিটপিট করে উনার মুখের দিকে তাকাতেই উনি রেগে ঘরে থেকে বেরিয়ে যায়৷ রাগ ভাঙাবো কিভাবে এইবার?
বিকেলের মেঘে ঢাকা রোদের সাথে পানির খেলা চলছে৷ নীল রঙের পানিতে রোদের মিষ্টি ছটা পড়তেই পানি গুলো চিকচিক করে উঠছে৷ আমি মাথা নীচু করে বসে আছি তার সামনে বাগানের পুলের সাইডে৷ সে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে৷ নিজের কাছে নিজেকে অপরাধী লাগছে৷ তার সম্পর্কে কতকিছু ভেবেছি আমি৷ এতোটাই দূর্বল ভিত্তি আমার মনে তার সম্পর্কের জায়গা ভাবতেই শিউরে উঠছি৷ উনি কিছু না বলেই একের পর এক সিগারেট ধরাচ্ছেন আর নিমিষেই শেষ করে ফেলছেন৷ রাইজুম আপু চলে গিয়েছে দুপুরেই৷ লজ্জায় আমার মাথা কাটা যাচ্ছে৷ আমি সিগারেটের ধোঁয়া সহ্য করতে পারছি না একদম৷ থেকে থেকে কেঁশে উঠছি৷ উনি আমার কাঁশি দেখেও স্মোকিং থামালেন না৷ আমি চোরা চোখে উনার দিকে তাকিয়ে দেখি তার কাঁপা ঠোঁটে সিগারেটের ধোঁয়া৷ আমি কম্পিত কন্ঠে সাহস যুগিয়ে বললাম,
–‘ অ..আমা..র দম আঁটকে আসছে কাব্য ভাইয়া..!’
উনি ছয় নাম্বার সিগারেট এস্ট্রে তে পিষে আরেকটা ধরিয়ে নিয়ে বললেন,
–‘ আমার হৃদপিন্ডে রক্তক্ষরণ হচ্ছে..! ‘
তার কথা শুনে কাঁন্না পাচ্ছে৷ নিজের অজান্তেই তাকে কত কষ্ট দিয়েছে৷ মিথ্যুক বলেছি৷ ভাবতেই আরো কান্না পাচ্ছে৷ উনার লাল চোখ দেখে আরো ভয় লাগছে৷ আমার মানষিকতা এতোটা নিম্ন কেন? ভাবতেই আরেকদফা নিজেকে ফালতু নামক ট্যাগ লাগাতে ইচ্ছা হচ্ছে৷ আমি কান্না করে দিয়ে বললাম,
–‘ আমার মাথায় রাই নামটা গেঁথে গিয়েছে৷ আমি শুধু নামটা শুনেই থমকে গিয়েছিলাম৷ আর কিছু ভাবি নি৷ ‘
আমার কাঁন্নার ফলেও তার মাঝে কোনো ভ্রুক্ষেপ হলো না৷ সে আমার থেকে কিছুটা দূরেই বসে আছে৷ কাওকে কষ্ট দিতে চান? ” তার সামনে নীরবতা বজায় রাখুন..!”এর চেয়ে বড় কষ্টের ব্যাপার আর কিছুই মনে হচ্ছে না আমার৷ নীরবতা সবচেয়ে বড় হাতিয়ার সামনে বসে থাকা মানুষটাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য৷ আমি উঠে গিয়ে উনার পাশে বসলেও উনার মাঝে কোনো পরিবর্তন হলো না৷ সে সামনে তাকিয়ে ধোঁয়া উড়াতে ব্যাস্ত৷ আমার ঊনিশ বছরের জীবনে বোঝার ক্ষমতা হওয়ার পর আমি উনাকে স্মোকিং করতে দেখি নি৷ সে আবার তার ঠোঁটে সিগারেটের স্পর্শ দিতেই আমি টেনে নিয়ে ফেলে দেই৷ উনি আমার দিকে তাকালেন না৷ আবার প্যাকেট থেকে আরেকটা বের করে আগুন জ্বালাতে নিলে আমি আবারও টেনে ফেলে দেই৷ এইভাবে একেরপর এক সিগারেট আমি ফেলছি আর উনিও ধরাচ্ছেন৷ আমি বিরক্ত হয়ে গেলেও উনি নামক মানুষটা বিরক্ত হচ্ছেন না৷ আমিও দমে গেলাম না,, এইবার উনার হাত আঁকড়ে ধরে রাখলাম৷ উনি আমার দিকে শীতল চোখে তাকালেন৷ উনার চোখের ভাষা অনুযায়ী, ” এইটা তোর শাস্তি নীতু,তোর অন্যায়ের শাস্তি৷ তুই আমাকে পুড়িয়েছিস তোর দহনে তাও মিথ্যার উপর ভিত্তি করে এতো সহজে তোকে আমি ক্ষমা করবো না৷ ”
চলবে,,,