রিভেঞ্জ পর্বঃ ০৫

0
2790

রিভেঞ্জ পর্বঃ ০৫
– আবির খান

সকাল ৮ টা,

তনু আজও প্রতিদিনের মতো ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে সুন্দর করে রেডি হয়ে নিচে চাচির কাছে যায়।

তনুঃ চাচি কেমন আছো??

চাচিঃ ভালো মা। তা তুই কেমন আছিস?? কোনো সমস্যা হচ্ছে নাতো??

তনুঃ না না চাচি কোনো সমস্যা নেই।

চাচিঃ আচ্ছা। তাহলে বস নাস্তা দিচ্ছি।

তনুঃ চাচি প্রেমা আসুক।

প্রেমাঃ এই যে আমি এসে গেছি।

চাচিঃ তোর আগে তনু রেডি হয়ে যায় আর তুই পারিস না।

প্রেমাঃ আরে ওতো মেকাপ করে না। নরমালই চলে যায়।

চাচিঃ তো কি হয়েছে। আমার তনু মাকে মেকাপ ছাড়াই অনেক বেশি সুন্দর লাগে। তুইও মেকাপ করবি না।

প্রেমাঃ এহহহ আসছে। আমিও দেখবো নে বিয়ের সময় ওর মেকাপ না করিয়ে কিভাবে ওকে বিয়ে দেও। মেকাপ হলো মেয়েদের রাষ্ট্রীয় অধিকার। হাহা।

তনুঃ হা হা হা। তুই পারিসও বটে বস তাড়াতাড়ি দেরি হচ্ছে।

প্রেমাঃ আচ্ছা আচ্ছা।

এরপর তনু আর প্রেমা নাস্তা করে ভার্সিটির উদ্দেশ্য রওনা দেওয়ার জন্য যেইনা বাইরে বের হয়ে আসে আর ওরা দুজন যাকে দেখে তাকে দেখার জন্য দুজন মোটেও প্রস্তুত ছিলনা। এ আর কেউ নয় নেহাল ওর বাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আজ নেহাল ফুল ব্লাক গেটাপে এসেছে। নেহাল চোখের ব্লাক সানগ্লাসটা কপালের উপর উঠিয়ে ওদের কাছে এগিয়ে আসে।

তনু আর প্রেমা দুজনই হা করে আছে নেহালকে দেখে।

নেহালঃ কি তনু কেমন সারপ্রাইজ দিলাম??

তনুঃ আপনি এখানে কেনো?? অবাক হয়ে।

প্রেমাঃ হ্যাঁ ভাইয়া তুমি আজ এখানে?? তনুকে নিতে এসেছো বুঝি??

নেহালঃ হুম তনুকে নিতে আসছি অবশ্য কিন্তু ভার্সিটির জন্য না অন্যকিছুর জন্য।

তনুঃ অন্যকিছু মানে!!! আমি ভার্সিটি যাবো৷ প্রেমা চল।

নেহালঃ এইযে ম্যামরা একটু দাঁড়ান। আসল সারপ্রাইজটাইতো শুনলেন না।

প্রেমাঃ আরো সারপ্রাইজ!! কি ভাইয়া??

নেহালঃ আজ ভার্সিটি বন্ধ। কি যেন গন্ডগোল হয়েছে তাই।

প্রেমাঃ কি বলেন ভাইয়া সত্যিই?? ধুহ আমার সাজুগুজুটা মাটি হয়ে গেলো।

তনুঃ ক্লাসটা বাদ গেলো আর তুই আছিস তোর মেকাপ নিয়ে।

নেহাল প্রেমার কাছে এগিয়ে গিয়ে ওর কানে কানে বলল,

নেহালঃ ভার্সিটির সামনে সে দাঁড়িয়ে আছে যার জন্য এত্তো সুন্দর করে সেজছো। অপেক্ষায় আছে তোমার। আজ সারাদিন নাকি তোমায় নিয়ে ঘুরবে।

প্রেমা অনেক লজ্জা পেয়ে যায়।

নেহালঃ তনু বাইকে বসো।

তনুঃ কেনো?? ভার্সিটিতো নাই। তাহলে কোথায় যাবো??

নেহালঃ কাল ফোনে কি বলেছিলাম মনে নাই। উঠো তাড়াতাড়ি।

প্রেমাঃ আরে যা তনু। আমিও যাচ্ছি।

তনুঃ তুই আবার কই যাচ্ছিস??

তনু কিছুই বুঝতে পারছে না।

নেহালঃ তুমি বাইকে উঠো আমি বলছি প্রেমা কোথায় যাচ্ছে।

প্রেমাঃ ভাইয়া থ্যাংকস। আর তনু আমি আসি তাহলে। ভাইয়া ওর খেয়াল রেখো।

নেহালঃ আচ্ছা যাও।

প্রেমা গাড়ি নিয়ে ভার্সিটিতে সালমানের কাছে চলে গেলো।

নেহালঃ এখন কি বাইকে উঠবে নাকি আমাকে রাগ করাবে??

তনু আর কোনো রাস্তা না পেয়ে হেলমেটটা পড়ে চুপচাপ নেহালের বাইকে গিয়ে বসে।

নেহালঃ আমাকে ধরে বসো নাহলে পরে যাবে।

তনুঃ এহহহ আসছে, ওনাকে ধরে বসবো আমি। কখনো না। মনে মনে।

নেহালঃ ঠিক আছে। না ধরলে নাই।

নেহাল বাইক স্টার্ট দিয়ে জোরে টান দিলে তনু ভয়ে সেই নেহালকেই জড়িয়ে ধরে। এরপর নেহাল আস্তে আস্তে করে চালিয়ে যায়।

নেহালঃ সোজা ভাষায় বললে কথা কানে যায়না না। এখন বুঝো মজা। মনে মনে।

এরপর দীর্ঘ ১ ঘন্টা বাইক যাত্রা করে নেহাল আর তনু ওদের গন্তব্যে পৌঁছায়।

নেহালঃ তনু নামো। আমি বাইকটা পার্ক করে আসি।

তনু বাইক থেকে নেমে চারদিকটা ভালো করে দেখছে। তনু খেয়াল করলো এটা একটা অনাথাশ্রম এর সামনে। নেহাল বাইক পার্ক করে তনুর পাশে এসে দাঁড়ালো।

তনুঃ আমরা এখানে??

নেহালঃ আসো ভিতরে।

নেহাল আর তনু ভিতরে ঢুকে কিছু পথ হাঁটতেই একদল বাচ্চা-কাচ্চা দৌড়ে নেহালকে ঘিরে ধরে। অনাথ বাচ্চাগুলোর সাথে নেহাল খেলা, আনন্দ, হাসি,মজায় মেতে উঠে। তনু বিষ্ময়মাখা চোখ নিয়ে শুধু ওদের দেখছে। হঠাৎই অনাথাশ্রমের একজন বয়ষ্ক লোক এসে তনুকে প্রশ্ন করে,

লোকঃ মা, তুমি নেহাল বাবার কি হও??

তনু হঠাৎ কারো প্রশ্নে চমকিত হলেও পরে নিজেকে সামলে তনু উত্তর দেয়,

তনুঃ আমি উনার বন্ধু।

লোকঃ ও..

তনুঃ আচ্ছা উনি এখানে কবে থেকে আসেন??

লোকঃ হা হা কি বলো তুমি। তুমিতো তাহলে কিছুই জানো না।

তনুঃ মানে আঙ্কেল বুঝলাম না।

লোকঃ এই অনাথাশ্রম আমাদের নেহাল বাবাই আমাদের জন্য বানিয়ে দিয়েছেন। আজ থেকে ২ বছর আগে আমি কিছু অনাথ বাচ্চা নিয়ে একটা ঝোপের ভেতর থাকতাম। দিনে রিকশা চালাতাম। যা আয় করতাম তা দিয়ে এই অনাথ বাচ্চাদের খাওয়াতাম।

তনুঃ আপনার ছেলে মেয়ে??

লোকঃ হা হা মা, আমিও যে এখন অনাথ। আমার সব থেকেও আমি নিঃস্ব।

তনুঃ কেনো আঙ্কেল???

লোকঃ বউটা যেদিন মারা যায় একটা ছেলেকেও হাতের কাছে পায়নি। কেউ আসেও নি। ৩ ছেলে আমার। সবার বিয়ে দিয়েছি। ওদের মাকে আমি নিজের টাকা দিয়ে কাফনের কাপড় কিনে সব করে কবর দিয়েছি। ওরা কেউ আসে নি। কাঁদে দেয়।

তনুঃ আঙ্কেল কাঁদবেন না। তারপর??

লোকঃ তারপর ওরা আমাকে তিরস্কার করে। আমাকে পথে ফেলে দেয়। আমি দমে যায় নি। একটা রিকশা ভাড়া নিয়ে অনেক কষ্টে চালাতাম। একদিন এই পথ শিশুগুলোর সাথে আমার দেখা হয়। ওরা নষ্ট হয়ে যাচ্ছিলো খারাপ সঙ্গে। তাই এই বাচ্চা গুলোকে আমার কাছে নিয়ে আসি। যাতে ওরা খারাপ না হয়ে যায়। ওদের আমি মানুষ করতে শুরু করি। কিন্তু টাকার অভাবে আমি পারছিলাম না। দেখা যেতো একবেলা খাবার জোগাড় করতেই আমি হিমসিম খেয়ে যেতাম। কিন্তু একদিন ফেরেস্তার মতো আমার রিকশায় নেহাল বাবা উঠে। সে আমার সবটা শুনে আমার বাসাটা শুধু চিনে যায়। এরপর আগামী ৬ মাস প্রতিদিন সকালে সারাদিনের খাবার আর টাকা পাঠিয়ে দিতেন। ঠিক ৬ মাস পর আমাদের সবাইকে এই বিশাল বড় অনাথাশ্রমটা উপহার দেন। মা বিশ্বাস করবে না, সেদিন আমরা সবাই অনেক কেঁদে ছিলাম খুশিতে। এই বাচ্চা গুলো এখন প্রতিদিন আরবি পড়ে। তারা সবাই আল্লাহকে চিনে আর ভয় পায়। আর নেহাল বাবা এদের সবার দায়িত্ব আমাকে দিয়েছেন। আমরা সবাই নেহাল বাবার আর উপরওয়ালার দোয়ায় বেঁচে আছি।

তনু কি বলবে ভাষা হারিয়ে ফেলেছে। নেহাল যে এতো বড় মনের মানুষ আর এত্তো ভালো একটা মানুষ এখানে না আসলে তনু কোনোদিনও জানতো না।

লোকঃ আজ কি জানো মা??

তনুঃ কি অাজকে আঙ্কেল??

লোকঃ আজ আমাদের নেহাল বাবার জন্মদিন। প্রতি বছর এদিনে নেহাল বাবা সারাদিন এই অনাথ বাচ্চাদের সাথে কাটায়। তাদের অনেক উপহার দেয়, অনেক খাবার খাওয়ায় আরো কতো কি।

তনু আজ অবাকের পর অবাক হচ্ছে। আজ নেহালের জন্মদিন কিন্তু তনুর কাছে নেহালকে দেওয়ার মতো কোনো গিফটই নেই। তনুর মনটা খারাপ হয়ে যায়।

তনুঃ আঙ্কেল আমি একটু উনার কাছ থেকে আসছি।

লোকঃ আচ্ছা মা।

তনু নেহালের কাছে এগিয়ে যায়। নেহাল বাচ্চাদের সাথে খেলা করছিলো।

তনুঃ এইযে শুনছেন এদিকে একটু আসবেন??

নেহালঃ হ্যাঁ আসছি দাঁড়াও।

নেহাল বাচ্চাদের খেলা করতে দিয়ে তনুর কাছে চলে আসে।

নেহালঃ হ্যাঁ বলো।

তনুঃ শুভ জন্মদিন। অসহায় ভাবে।

নেহালঃ হা হা। রহিম চাচা তোমাকেও সব বলেছে তাইনা। চাচাকে কতোবার বললাম এগুলো কাউকে বলতে না তাও বলে। কিন্তু তোমার মন খারাপ কেনো??

তনুঃ মন খারাপ হবে না, আজ আপনার জন্মদিন অথচ আপনাকে দেওয়ার মতো আমার কিছুই নেই। বাচ্চাদের মতো করে বলল।

নেহাল কিছুক্ষণ তনুর দিয়ে তাকিয়ে রইলো। তনু মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে।

নেহালঃ আহলে আমাল বাবুটা কত্তো কিউট। ইসসস। কষ্ট পাইছে আমাকে কিছু দিতে পারবে না বলে। আহলে। মজা করে।

তনু নেহালের কথা শুনে হেসে দেয়। নেহাল তনুর একদম কাছে এগিয়ে যায়। ওর দুগালে হাত রেখে বলে,

নেহালঃ এইযে আমার সাথে তুমি আছো এটাই আমার সবচেয়ে বড় গিফট। আমার আর কিছু চাইনা।

তনু নেহালের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। কারণ তনু যথেষ্ট বড়। ওর একটু বুঝার ক্ষমতা আছে যে নেহাল ওকে কি বলেছে। আর এই বুলির অর্থ কি। তনু ভাবতেই পারছে না ওর মতো সাধারণ একটা মেয়ে এই মহৎ মানুষের মনের মধ্যে বাসা বেঁধে ফেলেছে। তনুর নিজেকে আজ পৃথিবীর সবচেয়ে খুশি মানুষ মনে হচ্ছে৷ একটা অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করছে নেহালের প্রতি তনুর। এক অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছে ওর। মন বলছে, এই লোকটাকে আমার চাই। সারাজীবনের জন্য চাই। কিন্তু…

নেহালঃ ম্যাম এখন চলেন বাচ্চাদের জন্য খাবার আসছে। তুমি আর আমি মিলে আজ ওদের খাবার দিবো। ঠিক আছে??

তনু মাথা নাড়িয়ে সায় দেয়। এরপর নেহাল আর তনু মিলে বাচ্চাদের খাবার দেয়। নেহাল যখন তনুর হাতে হাত রেখে বাচ্চাদের খাবার দিচ্ছিলো তখন তনুর কাছে যা লাগছিলো না। ও শুধু নেহালের দিকে তাকিয়ে ছিলো। এরপর সব বাচ্চাদের সাথে নেহাল আর তনুও খেতে বসে। এখানে ধনী গরীবের কোনো ভেদাভেদ নেই। সবাই এক। তনু শুধু নেহালের দিকেই তাকিয়ে আছে। এই দুষ্ট বানরটাকে ওর অনেক বেশি মনে ধরেছে। ভালো লাগে শুধু এই বানরটাকে দেখতে।

নেহালঃ এভাবে আমার দিকে তাকিয়ে থাকলে প্রেমে পরে যাবে কিন্তু। খেতে খেতে বলল।

তনু অনেক লজ্জা পাচ্ছে নেহালের কথা শুনে। হঠাৎই

নেহালঃ নেও হা করো।

তনু পাশে তাকিয়ে দেখে নেহাল খাবার হাতে নিয়ে ওর দিকে ধরে আছে। তনুর মনের অজান্তেই হা করে নেহালের হাত থেকে খাবার খাচ্ছে। কিছুক্ষণ পর,

নেহালঃ পিচ্ছু বাবু মজা লাগছে তো?? আরো খাবে?? মজা করে।

তনুঃ হ্যাঁ অনেক মজা লাগছে। বাচ্চাদের মতো করে।

নেহালঃ কিহহহ!!! হা হা হা।

তনুর এভাবে বলা দেখে সবাই হেসে দেয়। আর তনু সেতো লজ্জায় মুখ একদম গোলাপি হয়ে গিয়েছে।

নেহালঃ একটা ছোট বাবু তুমি।

তনুঃ নাহহহ আমি বাবু না। অভিমানী কণ্ঠে।

নেহালঃ আচ্ছা বাবু। হাহা।

এরপর খাওয়া দাওয়া শেষ করে সবাইকে নিয়ে নেহাল আর তনু কেক কাঁটে। নেহাল তনুকে সামনে নিয়ে ওর হাতে হাত রেখে কেক কাঁটে। সে সময় তনু যেন নেহালের মাঝে হারিয়ে গিয়েছিল। নেহাল কেক কেঁটে প্রথম বাইটটি তনুকেই খাওয়ায়। তনুর যে তখন কি ভালো লাগছিলো তা বলার বাইরে। এরপর কেক খাওয়া শেষ হলে রহিম চাচার হাতে ৫ লক্ষ টাকার চেক ধরিয়ে নেহাল আর তনু চলে আসে।

তনু নেহালকে খুব সুন্দর করে জড়িয়ে ধরে বসে আছে বাইকে। নেহালের বিষয়টা খুব ভালো লাগছে। ও বুঝতে পারছে যে, তনুর মনে ওর জন্য জায়গা হয়েছে। নেহালের খুব ভালো লাগছে। নেহাল তনুকে নিয়ে একটা জুয়েলারি শপে গেলো। তনু অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে নেহালের দিকে। অনেক দামি একটা হার কিনলো নেহাল। তনু কিছুই বুঝতে পারছে না। তনুর হারটা খুব পছন্দ হয়েছে। কিন্তু তনু জানে এত্তো দামি আর সুন্দর হারটা ওর না। অবশ্যই নেহালের গার্লফ্রেন্ডের জন্য। নেহাল আর তনু বাইরে বেরিয়ে এলো।

তনুঃ হারটা আপনার গার্লফ্রেন্ডের জন্য তাইনা??

নেহালঃ হুম।

তনুর মনটা অনেক খারাপ হয়ে যায়। ফর্সা মুখটা কালো হয়ে যায়। নেহাল বিষয়টা স্পষ্ট খেয়াল করে। তাই ওকে আরো জ্বালানো জন্য ওর সাথে মজা শুরু করে।

নেহালঃ জানো আমার গার্লফ্রেন্ডটা না অনেক সুন্দর। খুব মিষ্টি। একদম বাচ্চাদের মতো।

তনুঃ আমার থেকেও বেশি?? অসহায় ভাবে বাচ্চাদের মতো করে।

নেহালঃ হ্যাঁ বাবু। তোমাল থেকেও অনেক বেতি তুন্দর। হাহাহা।

তনুর মনটা আরো খারাপ হয়ে যায়।

নেহাল বাইকে বসে বলে,

নেহালঃ কি হলো উঠো।

তনুঃ আমি বাসায় যাবো।

নেহালঃ একা একা যাবে?? রাস্তা চিনো??

তনু ভাবে, আসলেইতো ওতো কিচ্ছু চিনে না। কি আর করার বিষন্ন মন নিয়ে তনু বাইকে উঠে বসে। তবে এবার দূরত্ব বজায় রাখে। খুন খারাপ লাগছে তনুর। আর নেহাল এদিকে সেই মজা পাচ্ছে। নেহাল এবার আস্তে করেই চালালো। তনু ব্যাপারটা বুঝলো যে নেহাল চায়না ও তাকে জড়িয়ে ধরে বসুক। তনু বিষন্ন মন নিয়ে অন্যমনস্ক হয়ে বাইকে বসে ছিলো। হঠাৎই…

চলবে…?

কোনো ভুল হলে জানাবেন।

সবার অনেক বেশি সাড়া চাই। আর কেমন লেগেছে জানিয়েন কিন্তু।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে