রিভেঞ্জ পর্বঃ ০৪
– আবির খান
তনু ক্লাস শেষ করে প্রেমার সাথে ভার্সিটি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলো হঠাৎই বাইকের লাউড এক্সহস্ট শব্দে তনু আর প্রেমা কানে হাত দেয়। নেহাল ড্রিফট দিয়ে বাইক ওদের সামনে নিয়ে যায়। তনু নেহালের দিকে তাকিয়ে আছে। নেহাল রাগী ভাবে তনুর দিকে তাকিয়ে আছে।
নেহালঃ কোথায় যাচ্ছো?? আমি গতকাল রাতে কিছু বলেছিলাম মনে নেই?? রাগী কণ্ঠে।
তনুর আসলেই মনে ছিলো না। তনু মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে।
নেহালঃ প্রেমা তুমি বাসায় যাও। আমি ওকে নিয়ে আসছি।
প্রেমাঃ আচ্ছা ভাইয়া। আপনার উপর আমার বিশ্বাস আছে।
তনুঃ আমি কোথাও যাবো না। বাচ্চাদের মতো করে।
নেহালঃ উঠো পিছনে। রাগী ভাবে।
তনুঃ না…
প্রেমাঃ আরে যা। ভার্সিটির সবচেয়ে হ্যান্ডসাম ছেলে তোকে তার বাইকের পিছনে নিতে চাচ্ছে। তুই কত ভাগ্যবান। বোকা মেয়ে যা। ভাইয়া অনেক ভালো আছে। কিছু করবে না যা।
নেহালঃ কই আসো।
তনু একপ্রকার বাধ্য হয়ে নেহালের সাথে ওর বাইকে উঠলো। নেহাল বাইক ঘুরিয়েই ভোওওও করে সোজা টান। স্পোর্টস বাইক হওয়ায় অনেক জোরে চলছে। আর এদিকে তনুর ভয়ে অবস্থা খারাপ। নেহালকে শক্ত করে জড়িয়ে আছে ভয়ে। নেহালও ব্যাপারটা বুঝতে আরো জোরে টেনে ৩০০ ফিট চলে আসে। এখন এ জায়গাটা একদম নিরিবিলি শান্ত। আশেপাশেও তেমন কেউ নেই।
নেহালঃ কি হলো নামবে না?? তনু….
তনু এখনো নেহালের পিঠে মাথা ঠেকিয়ে চুপচাপ ওকে জড়িয়ে ধরে আছে।
নেহাল ধমকের স্বরে তনুকে ডাক দেয়।
নেহালঃ তনু…
তনু কেঁপে উঠে আর মাথা তুলে আশেপাশে তাকায়।
নেহালঃ নামো।
তনু বাইক থেকে নেমে দাঁড়ায়। নেহাল ওর হেলমেট খুলে বাইকে রাখে। তনু কাছে এগিয়ে গিয়ে যেই ওর হেলমেটটা খুলে অমনি তনু কান্না শুরু করে। নেহাল তনুর কান্না দেখে বোকা হয়ে যায়। নেহাল তাড়াতাড়ি হেলমেটটা রেখে তনুর একদম কাছে এগিয়ে যায়। তনু আরো জোরে কাঁদছে।
নেহালঃ একি এভাবে বাচ্চাদের মতো কাঁদছো কেনো??
তনুঃ…..কান্না করছে।
নেহালঃ আহহা কেঁদো নাতো। কি হয়েছে বলো।
তনুঃ আজ জীবনে প্রথম বাইকে উঠেছি। এত্তো জোরে কেউ বাইক চালায়?? আমি কত্তো ভয় পেয়েছি। এখনো আমার হাত-পা কাঁপছে। এএএএ…আরো জোরে কান্নায় ভেঙে পরে।
নেহাল তনুর এই বাচ্চাপানা দেখে খুব মায়া হচ্ছে। আসলেই ওকে এভাবে ভয় দেখানো ঠিক হয়নি। নেহাল তনুর কাছের গিয়ে ওকে খুব আদরের সহিত বুকে জড়িয়ে ধরে। জীবনে প্রথম কোনো পুরুষের বুকে তনুর ঠাঁই মিলেছে। অন্যরকম একটা অনুভূতি হচ্ছে। মনের অজান্তেই তনুর কান্না সব বন্ধ হয়ে যায়। খুব শান্তি লাগছে। নিজেকে সেইফ মনে হচ্ছে।
এদিকে নেহালের মনে হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে নরম কোনো কিছুকে সে জড়িয়ে ধরে আছে। কি যে ভালো লাগছে না। এই নরম জিনিসটা তার সারাজীবনের জন্য চাই। যেভাবে হোক। এভাবে অনেকটা সময় পাড় হলো। তনুও চুপচাপ নেহালের বুকে মাথা রেখে চোখদুটো বন্ধ করে দাঁড়িয়ে আছে। মনে হচ্ছে নেহাল ওর কতো জনমের পরিচিত। নেহাল আস্তে করে তনুকে ওর কাছ থেকে ছাড়িয়ে তনুর দিকে তাকায়। তনু লজ্জায় মাথা নিচু করে আছে। নেহাল আস্তে করে ওর মুখটা তুলে। তনুও নেহালের চোখের দিকে তাকায়। নেহাল দেখে তনুর চোখে অশ্রু জমে আছে। নেহাল তনুর দুগালে হাত রাখে তনু কেঁপে উঠে। নেহাল সুন্দর করে তনুর চোখদুটো মুছে দেয়। মুছে দিয়ে তনুর ঠোঁটের দিকে নজর যায় নেহালের। ঠোঁটটাও অশ্রুসিক্ত হয়ে আছে। নেহাল কি করবে বুঝতে পারছে না। তনুর ঠোঁটটা এত্তো নেশাকাতর যে দেখলেই স্বাদ নিতে ইচ্ছে করে। তনু দেখছে নেহাল আবার ওর ঠোঁটের দিকে তাকিয়ে আছে। তনু মনে মনে বলছে, আজতো এখানে প্রেমাও নাই। এখন কি করবো?? তনু হঠাৎই নেহালের কাছ থেকে সরে যায়। নেহাল জানে তনু কেনো সরেছে। নেহাল কিছু মনে করে নি। নেহাল ওর পকেট থেকে তনুকে একটা ছোট্ট টিস্যুর প্যাকেট বের করে ওর দিকে এগিয়ে দেয়।
নেহালঃ নেও মুখটা মুছে ফেলোতো। এভাবে ভালো লাগছে না।
তনু আর কিছু না বলে টিস্যুটা নিয়ে মুখ মুছে। আর বাকিটা হাতে রেখে দেয়।
নেহালঃ চলো ওদিকটায় যাই।
তনুঃ আচ্ছা আমাকে এখানে এনেছেন কেনো?? ভয়ে ভয়ে।
নেহালঃ রিভেঞ্জ নিতে। মজা করে।
তনুঃ কিহহহ….ভয়ে।
নেহালঃ এতো কথা বলো কেন?? আসোতো।
নেহাল তনুর হাত ধরে দুজন পাশাপাশি হাঁটছে। জায়গাটা খোলামেলা বিধায় দমকা হাওয়া এসে ওদের গায়ে লাগছে। নেহাল যে তনুর হাত ধরে হাঁটছে। তনু বারবার সেই হাত ধরার দিকে তাকাচ্ছে আর ভাবছে,
লোকটা কেমন?? আমাকে কতোটা আপন করে নিচ্ছে। আমার চোখ মুছে দিচ্ছে, হাত ধরছে। আচ্ছা ওনার কি কোনো খারাপ উদ্দেশ্য আছে নাকি। তনু নেহালের দিকে তাকায়। নাহ দেখেতো মনে হচ্ছে না। কিন্তু হতেও পারে। খুব ভয় করছে। আমার যদি এখন কোনো সর্বনাশ হয় মা বাবাকে কিভাবে মুখ দেখাবো??
নেহালঃ আমি ও ধরনের ছেলে না তনু। তোমাকে, আমার একটা পছন্দের জায়গা আছে সেটা দেখাতে নিয়ে এসেছি।
তনুঃ উনি দেখি আমার মনের কথাও বুঝতে পারছেন। উনিকি আবার মন পড়তে পারে নাকি??মনে মনে।
নেহালঃ সবারটা পারি না। শুধু তোমারটা কেনো যেন পারছি।
তনু এবার যেন অবাক হয়ে যায়। আর মনে মনে বলে, এও কি সম্ভব?? উনি কিভাবে আমার মনের কথা বুঝতে পারছেন। এসব ভাবতে ভাবতে তনু আর নেহাল হাঁটতে হাঁটতে নেহালের সেই পছনের জায়গায় গিয়ে দাঁড়ায়।
নেহালঃ এই হলো আমার সেই পছন্দের জায়গা।
তনু জায়গাটা দেখছে। একটা বিশাল বড় গাছ। গাছে নিচে একটা বেঞ্চ পাতা। আর গাছের ঠিক সামনে অনেক বড় একটা খাল। ঢাকায় এত্তো স্বচ্ছ পানির খাল আর এরকম জায়গা দেখে তনু অবাক হয়ে যাচ্ছে। তনুর পরিবেশটা খুব ভালো লাগছে।
নেহালঃ চলো বেঞ্চটায় গিয়ে বসি।
ওরা দুজনে বেঞ্চে গিয়ে বসলো। উপরে গাছের ছায়া। সামনে পানি ভরা খাল। দমকা হাওয়ায় গাছের শুকনো পাতাগুলো ঘুরে ঘুরে মাটিতে পরছে। তনুর যে কি ভালো লাগছে না বলার বাইরে।
নেহালঃ কি ভালো লাগছে?? মনটা ভালো হলো।
তনুঃ হুম। আস্তে করে বলল।
নেহালঃ বেশি ভয় পেয়েছো তাইনা?? আচ্ছা সরি। আসলে আমি ইচ্ছে করেই তোমাকে ভয় দেখিয়েছি জোরে বাইক চালিয়ে। আমার বন্ধুদের সামনে আমাকে মন্দ বললে তাই রিভেঞ্জ নিয়েছি। কিন্তু তুমি এত্তো ভয় পাবে বুঝিনি৷
তনু অবাক হয়ে যাচ্ছে শুধু আজকে। নেহালের এই রুপও যে আছে তনু ভাবতেও পারেনি।
তনুঃ প্লিজ আপনি সরি বলবেন না। বরং আমি সরি। সেদিন আসলেই ভুলটা আমার ছিলো। আমি সরি।
নেহালঃ যাক মানলে তাহলে। হ্যাঁ সব ভুল তোমারই। মজা করে।
তনু নেহালের কথা শুনে অভিমান করে অন্যদিকে তাকিয়ে আছে। আর মনে মনে হাসছে।
নেহালঃ আহলে ছোট্ট বাবুটা বুঝি রাগ করেছে?? এইযে সলি কান ধরে বলছি সলি। মজা করছিলাম।
তনু নেহালের এমন আহ্লাদী কথা শুনে ওর দিকে তাকিয়ে হেসে দেয়। সেকি হাসি। নেহাল যেন এই হাসিটারই অপেক্ষায় ছিলো। কি সুন্দর মিষ্টি হাসি তনুর। যেন মুক্তা ঝরছে সে হাসি থেকে। তনু হাসছে আর নেহাল তা মন ভরে দেখছে। তনু খেয়াল করে দেখলো নেহাল ওর দিকে কিভাবে যেনো তাকিয়ে আছে আর মিটিমিটি হাসছে।
তনুঃ এভাবে কি দেখছেন??
নেহালঃ একটা বাচ্চা পরীর হাসি।
তনু অনেকটা লজ্জা পায় নেহালের কথায়। লজ্জায় তনুর ফর্সা মুখটা গোলাপি আভা লাভ করে। আর তা দেখে নেহাল আরো পাগল হয়ে যায়।
তনুঃ বাসায় যাবো। চাচি অপেক্ষা করে আছে। দেরি হলে রাগ করবে। বাচ্চাদের মতো করে বলল।
নেহালঃ ইইইহহ…এক্কেবারে একটা বাচ্চা মেয়ে। তুমি কি এখনো ফিটার টিটার খাও নাকি?? মজা করে।
তনুঃ আমি মোটেও বাচ্চা না। আমার ১৮ হবে সামনে। আমি বাচ্চা না। অভিমানী কণ্ঠে।
নেহালঃ ওলে বাবা তোমাল এখনো ১৮ ও হয়নায়। আল্লাহ। কি পিচ্ছু মেয়ে। আসো বাবু তোমাকে কোলে নি। বলেই নেহাল অট্টো হাসিতে ভেঙে পরে।
তনুর যেখানে খারাপ লাগার কথা ছিলো সেখানে তনুর অনেক ভালো লাগছে। কারণ নেহালের হাসিটা অনেক সুন্দর। তনু মুগ্ধ হয়ে সেই হাসি দেখছে। কিছুক্ষন পর।
নেহালঃ হয়েছে আর আমার হাসি দেখতে হবেনা। চলো তোমাকে বাসায় দিয়ে আসি। হাহা।
তনুও হাসছে। আজ তনুর মনটা অনেক ভালো লাগছে। নেহালকে মনে মনে অনেক ধন্যবাদ দিচ্ছে তনু। এরপর ওরা হাঁটতে হাঁটতে আবার বাইকের কাছে চলে যায়। নেহালের বাইকে করে তনুকে ওর বাসায় নিয়ে যায়। এবার আর তনু একটুও ভয় পায়নি। কারণ নেহাল খুব আস্তে করে চালিয়েছে। তনু বাইক থেকে নেমে দাঁড়ালো।
নেহালঃ তনু…
তনুঃ জ্বি বলুন।
নেহালঃ আজ যে জায়গাটায় তোমাকে নিয়ে গিয়েছিলাম সেটা শুধু একমাত্র আমার কাছের যারা তারাই দেখেছে বুঝলে??
তনু অবাক দৃষ্টিতে নেহালের দিকে তাকিয়ে আছে।
নেহালঃ কাল কিন্তু ছুটির পর আমার বাইকের কাছে দাঁড়াবে। নাহলে কিন্তু রিভেঞ্জটা এখনো বাকি আছে।
তনু মাথা নাড়িয়ে সায় দেয়। মানে আচ্ছা।
নেহালঃ আচ্ছা যাও এখন।
তনু তাড়াতাড়ি ভিতরে চলে যায়। এরপর নেহালও চলে যায়।
রাতে তনুর বাসায়,
প্রেমাঃ কিরে নেহাল ভাইয়ার সাথে আজ সারাদিন কি কি করলি??
তনুঃ সারাদিন কই?? মাত্র ২ ঘন্টা ছিলাম।
প্রেমাঃ আচ্ছা বুঝলাম। কিন্তু কি করলি এই ২ ঘন্টা???
তনুঃ তেমন কিছু না। কিন্তু জানিস সে না আমাকে তার সবচেয়ে পছন্দের জায়গায় নিয়ে গিয়েছিলো। কি যে সুন্দর ছিলো না জায়গাটা তোকে বুঝাতেই পারবো না। আর সে লাস্টে বললো, এই জায়গা নাকি তার কাছের মানুষরাই দেখেছে শুধু।
প্রেমাঃ বাহ। কি বলিস। আমার কি মনে হয় জানিস??
তনুঃ কি??
প্রেমাঃ ভাইয়ার তোকে অনেক পছন্দ হয়েছে। মনে হয় তোর প্রেমে পরছে।
তনুঃ হ্যাঁ প্রেম না ছাই। সে আরো অপেক্ষায় আছে কখন তার রিভেঞ্জ নিবে। এই রিভেঞ্জ রিভেঞ্জ বলে কালকেও নাকি কোথাও নিয়ে যাবে বলল। বলছে ছুটির পর আবার দাঁড়াতে।
প্রেমাঃ তো কি হইছে৷ ভাইয়ার সাথে ঘুরবি। আর তুইতো এখানে নতুন। তাই ভালো করে ঢাকাটা ঘুরাও হলো। আর ভাইয়া কেমন তাতো জানলিই।
তনুঃ হ্যাঁ খুব জেনেছি। খালি সুযোগ পেলেই। আস্তে করে বলল।
প্রেমাঃ কি..কি বললি বুঝিনি।
তনুঃ কিছুনা। চল ঘুমাই।
প্রেমাঃ ঘুমাবো। কিন্তু একজনের ফোন আসবে।
তনুঃ কার ফোন??
প্রেমা অনেক লজ্জা পাচ্ছে।
তনুঃ ও মা লজ্জা পাচ্ছিস কেনো?? বল কার ফোন আসবে।
প্রেমাঃ নেহাল ভাইয়ার বন্ধু সালমান।
তনুঃ ওওও….উহুম উহুম…বুঝলাম এবার। ভালোইতো। আচ্ছা আমি তাহলে ঘুমাই। কাল আবার ভার্সিটি আছে।
প্রেমাঃ আচ্ছা।
হঠাৎই তনুর ফোন বেজে উঠলো।
প্রেমাঃ কে রে??
তনুঃ নেহাল। অসহায় ভাবে।
প্রেমাঃ উহুহ উহুহ উহুম… মজা করে।
তনুঃ কেঁটে দেই??
প্রেমাঃ ধুর বোকা ধর তাড়াতাড়ি না হয় রাগ করবে।
তনুঃ আচ্ছা।
প্রেমাঃ আমি যাই। দেখি আমারটা আবার কখন ফোন দেয়। তুই প্রেম কর। মজা করে।
তনু প্রেমার দিকে রাগী ভাবে তাকিয়ে নেহালের কল রিসিভ করে।
তনুঃ হ্যালো।
নেহালঃ কি ঘুমিয়ে পরেছিলে নাকি?? এতোক্ষণ লাগলো??
তনুঃ না না ঘুমায় নি। অন্যদিকে ছিলাম শুনেনি।
নেহালঃ আচ্ছা। তা রাতে খাওয়া দাওয়া হয়েছে??
তনুঃ হ্যাঁ। আপনার??
নেহালঃ হুম শেষ। ঘুমাবে না??
তনুঃ বেটা এখনতো ঘুমাতামই তুই না ঘুমাতে দিচ্ছিস না। বজ্জাত ছেলে।
নেহালঃ আমাকে বকা দিচ্ছো নাকি এতো রাতে ফোন দিলাম বলে??
তনুঃ না না। এখনই ঘুমাবো।
নেহালঃ আচ্ছা ঘুমাও। আর শুনো কাল একটা সারপ্রাইজ আছে তোমার জন্য। রেডি থেকো।
তনুঃ মানে কি সারপ্রাইজ?? হ্যালো… হ্যালো???
নেহাল ফোন কেঁটে দিয়েছে।
তনুঃ এখন কি আর আমার ঘুম হবে। বজ্জাত,পাজি, হনুমান, বানর। হঠাৎই তনুর ফোনে মেসেজ আসে।
তনু মেসেজ পড়ে যেন সক খায়। কারণ তাতে লিখা,
– আমাকে বকাবকি না করে ঘুমাও। নাহলে কিন্তু রিভেঞ্জ…
তনুঃ উফফফফ…
এরপর তনু ঘুমিয়ে পরে।
সকালে,
চলবে… ?
কোনো ভুল হলে জানাবেন।
সবার অনেক বেশি সাড়া চাই। আর কেমন লেগেছে জানিয়েন কিন্তু।