#রাত_যখন_গভীর
#জান্নাতুল_মাওয়া_মহুয়া
#(jannatul_mawa_moho)
Season:02
Part :২৩
************
সুমি কিছু না বলে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে।তখনই, আচমকা সুমি ও রহমান জিন একটা রুমে আবিষ্কার করে নিজে দের কে।দুজনের চোখ বন্ধ করে ছিল।
রহমান জিন আকর্ষণ টা আর এখন অনুভব করছে না।সুমির কাছ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নেই রহমান।
রহমান (শয়তান জিন) চোখ জোড়া খুলে দেখে। সামনে তার বন্ধু প্রিন্স (ইনতিয়াজ) বসে আছে। প্রিন্স এর চোখ লাল হয়ে আছে।রাগে ফুসফুস করছে ও জোরে জোরে নিশ্বাস নিচ্ছে ।প্রিন্স এর রাগ হলে, জোরে জোরে নিশ্বাস নেই এটা রহমান জিন জানে।
অন্য দিকে,
এমন সময় চোখ জোড়া খুলে সুমি দেখে। তার সামনে তার সব আপন জন বসে আছে। সুমি তাড়াতাড়ি উঠে।
সুমি ও শয়তান প্রিন্স এবং প্রিন্স ইনতিয়াজ এর বৃত্ত থেকে বেরিয়ে অন্য বৃত্ত প্রবেশ করে।
আর জান্নাত কে জড়িয়ে ধরে।
রহমান তার বউকে ক্ষতি করতে পারবে না।কারণ তাদের নিয়মে নেই। তাদের নিয়ম মোতাবেক কোন প্রকার ক্ষতিকর জাদুর প্রয়োগ বউয়ের উপর না করা।যদিও বউ মানুষ হোক বা জিন হোক।একথা না মানলে রহমানের রাজ্যে শাস্তি দেয়া হয়।
তবে,
সুমির বেরিয়ে যাওয়ার পরপরই।
তখনই, রহমান ও বের হতে চাইলো।কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে।
প্রিন্স (ইনতিয়াজ) এমন সব দোয়া পড়ে বৃত্ত বানিয়েছে।শয়তান প্রিন্স যাতে কিছু করতে না পারে।আর যাতে বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে না পারে।কারণ বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতেই ক্ষতি করবে রহমান সবার।
সবার আগে,
প্রিন্স বলেঃ বাহ রহমান! তুই ও যে কখনো আমার বন্ধু ছিলি ভাবতেই ঘৃণা হচ্ছে। কেন এমন করলি? আমার ভালবাসার মানুষ টা ও আমাকে খারাপ মনে করে। আমার প্রিয় বোন ও আমাকে শাস্তি দিতে পরোয়া করে নি!
যে বোন এর আপন জন ছিলাম আমি ।আমার বোন শাম্মি আমাকে ছাড়া এক মূহুর্ত ও কাটাতো না সে যে কতো কষ্টে তার দিন গুলো পার করেছে সে জানে আর আল্লাহ পাক জানে।বল রহমান তুই এমন কেন করচস? কেন তুই বলিস নি তুই শয়তান রাজ্যের প্রিন্স????
কেন বন্ধু নামের পবিত্র একটা সম্পর্কের অমর্যাদা করচস?
কেনো রহমান কেনো?কেনো নিজেকে লুকিয়ে রেখেছিলি???
রহমান চুপ হয়ে বসে আছে। কিছু বলছে না। রিনি নিরব হয়ে তাকিয়ে আছে। রহমান এবার তার পিছনে ফিরে দেখে। সাথে সাথে দেখে রিনি।।।।
রহমান এবার মুখ খোলে বলেঃ আরে রিনি????
তুমি কি ভালো আছো? আরেকটুর জন্য তোমাকে আমার করতে পারলাম না!!!
রিনি,
” তুই ছাড়া হয়তো,
কেউ বুঝতে পারবে না,
এই মনের আবদার,
তাই তো ছুটে আসি রোজ,
আমি বার বার,
তোর চোখের সেই মায়ার,
আড়ালে চাই হারিয়ে যেতে।
দিবি কি একটু টাই!!!
এটা বলতেই,প্রিন্স শক্ত করে রহমান জিন কে ধরে। প্রিন্স বলেঃ তুর সাহস তো কম না,
তুরে কি জিজ্ঞেস করলাম তুই কি বলছিস? তুর এইসব পাও কথা শুনতে চাইনা।
সত্যি বল,কেন এসব ব্লেন্ডার করলি?কেন সুন্দর সম্পর্ক গুলো নষ্ট করে দিলি???
রহমান আবার চুপ হয়ে বসে আছে। এমন সময় রিনি মুখ খোলে বলেঃ আপনি কেনো এসব করছেন?
কেন বা আমার জীবন নষ্ট করলেন? কি দোষ ছিলো আমার???
এসব বলে রিনি কান্না করছে। সবাই নিরব হয়ে আছে। কারণ তারা কথা বললে,সমস্যা সমাধান না হয়ে সমস্যা বাড়বে তাই।তারা চুপ থাকাটা শ্রেয় বলে মনে করছে।
তখনই,রহমান জিন বলে উঠেঃযদি জানতাম তোমার কষ্টের কারণ হব আমি।তোমার এক ফোটা অশ্রুর কারণ হব আমি।তবে সত্যি বলছি আমি কখনোই আসতাম না তোমার জীবনে।শুধু দূর থেকে ভালোবেসে যেতাম তোমায়।
রিনি বলেঃ তাহলে হঠাৎ করে এসে ঝড়ের গতিতে কেন আমার জীবন নষ্ট করলেন???
রহমান জিন বলেঃরিনি মনে রেখো,খুব যারে অবহেলিলে, সে তো মরে বাঁচিলে, তুমি বৃথা জল ফেলবে একদিন!!সেদিন যেনো তোমার দুচোখ জল না ফেলে। সেদিন শুধু দুহাত তুলে দোয়া করো,যতো পারো ততবার।অনেক ভালোবাসি রিনি তাই এমন করেছি।হয়ছে নে এবার উত্তর কি পাইছো?
রিনি বলেঃ মিথ্যা হলো রাতের অন্ধকারের মত,আর সত্যি হলো দিনের আলোর মতো।রাতের শেষে দিন আসবেই এটাই সত্যি।
রহমান জিন তুমি যতো কথা ঘোরার চেষ্টা করো না কেন সত্যি, একদিন সবার সামনে আসবেই। আপনি কি বলবেন না কেনো এসব করেছেন?
রহমান চুপ হয়ে আছে। রহমান মনে মনে বলছে,রিনি, আসলে, নিরবতা হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় চিৎকার। যেটা বুঝতে পারার,ক্ষমতা সবার নেই। এবং তোমার ও নেই। সত্যি জানলে সবাই আমাকে আরও দূরে সরিয়ে দিবে।
রহমান এর নিরবতা সবার রাগ বাড়িয়ে দিচ্ছে। প্রিন্স বারবার নিজের রাগ কে কন্ট্রোল করছে।কারণ, কোন অঘটন ঘটলে সত্যি টা জানতে পারবে না তারা সবাই।
রিনি এমন সময়, বলে উঠেঃরহমান জিন তুমি যদি সত্যি না বলো তাহলে নিজের হাত কেটে ফেলবো আমি!!! তারপর একদম কাহিনি শেষ হয়ে যাবে আমার।
আর আমার অভিশপ্ত এই জীবনের।
প্রিন্স (ইনতিয়াজ) বলেঃ রি….. রি নি….
প্লিজ এমন কিছু করো না।তাছাড়া তুমি কি বৃত্ত থেকে বেরিয়ে চুরি টা আনলে?
যদি বৃত্তের থেকে বের হয়ে থাকো তাহলে অনেক সমস্যা হবে। ইভেন সবাই রিস্কে পড়ে যাবে।
রিনি বলেঃ হা হা কি মনে করলে! আমি এতো বোকা।এটা আমি এখানে আসার আগেই নিয়েছি।
আমি জানি বৃত্ত থেকে বেরিয়ে পড়লে মসিবত হবে। তাই,নাস্তা করার সময় নিজের শরীরে লুকিয়ে রেখে ছিলাম চুরিটা। আমি মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত আছি।আমি আর বাঁচতে চাইনা! এমন রহস্যময়ী জীবন আমাকে ভেতর থেকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। আমি ক্লান্ত।
আরেকটা কথা,
মানুষ যখন কষ্ট পাই তখন সেই মানুষ টা পরিবারের কাছে শান্তি খুঁজে।পরিবার কে কাছে না পেলে মানুষ টা তার প্রিয় মানুষের কাছে গিয়ে শান্তি খুঁজে। প্রিয় মানুষ, পরিবার, ফ্রেন্ড সার্কেল কোথাও গিয়েই যখন মানুষ শান্তি খুঁজে পাই না সম্ভব তখনই সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়া। কেউ কেউ আত্মহত্যার পথটাও বেচে নেয়।
আমার ক্ষেত্রে ও এমন হয়েছে। আমি শান্তি পাই নি,পাচ্ছি না।তাই এই সিদ্ধান্ত টা নিলাম।
রাবেয়া বলেঃ মা, ঠান্ডা হো।প্লিজ চুরি টা ফেলে দে।তুর কিছু হলে আমি মরে যাবো!!!
কামাল বলেঃ আমি ও বেচে থাকার ইচ্ছে হারিয়ে ফেলবো।যে জীবনে আমার সন্তান টা আমার চোখের সামনে স্বইচ্ছায় প্রাণ দিবে।আর তার সুখে আমার বউটা ও পরপারে পাড়ি দিবে।চাইনা এমন জীবন!!! আমিও এমন কিছু করে ফেলবো দেখিস।প্লিজ বোকামি করিস না রিনি।ওই রহমান প্লিজ সত্যি টা বলো!!!
রিনি বলেঃ বাবা,মা।
যখন পরিবারের থেকে শান্তি খোঁজার জন্য উদ্বেগ নিলাম।তখন আমাকে কিডন্যাপ করে ফেলে আমার মা-বাবা ছাড়া অন্য কোন প্রিয় মানুষ ছিল না।তাছাড়া, কলেজে নতুন ছিলাম বলে, তেমন ভালো কোন বন্ধুরা ছিল না।আর যদি থাকতো তাও শান্তি খুজতে যেতে পারতাম না।কারণ, আমি তখনো রহমানের নিয়ন্ত্রণে ছিলাম।মানে আমাকে শান্তি খুঁজার সময় টা ও দেয় নি।রাত যখন গভীর তখনই, হঠাৎ করে উদাও করে ফেলে রহমান।।আমি শান্তি চাই।i Just need peace…..
হঠাৎ, রহমান জিন একটা গর্জন দিয়ে উঠে। রহমান বলেঃ রিনি প্লিজ এমন কিছু করো না।আমি নিজেকে মাফ করতে পারবো না।রিনি।
রিনি বলেঃ তাহলে, কেন এমন করলেন বলেন? কেনো প্রিন্স ইনতিয়াজ ও প্রিন্স রহমান আমার জীবন টাকে শেষ করে দিলো কেনো????
উত্তর দাও তোমরা দুজনেই!!!
রহমান জিন বলেঃ হঠাৎ একদিন প্রিন্স আমার কাছে আসে। প্রিন্স বলে,রহমান জানিস আমি না একটা মেয়ে কে দেখে মন দিয়ে বসেছি।মেয়ে টার কন্ঠো ও ঘায়েল করার মতো ছিল। মেয়ে টা অনেক মায়াবী। সাথে তার লম্বা চুল গুলো আরও সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলেছে।
সেদিন আমি বলি,মেয়ে টা কোন রাজ্যের?কোন জিনের মেয়ে?
প্রিন্স বলেছিল,সেটা জিনের মেয়ে না।এটা হচ্ছে মানুষের মেয়ে। আর শুন কাল তুকে দেখাবো, স্কুল ফেরার পথে দাড়িয়ে থাকবো।তেতুল গাছের পাশে আমরা দুজন। এই বলে প্রিন্স চলে গেল।
আমি ভালো ভাবে বুঝতে পারছি প্রিন্স মেয়ে টার বিষয়ে সব কিছু জেনে নিয়েছে।
তাই যথারীতি,
পরদিন সকালে, দাড়িয়ে ছিলাম আমি ও প্রিন্স ইনতিয়াজ তেঁতুল গাছের পাশে।
তবে,
মেয়ে টা আসে নি সেদিন।কিন্তু, হঠাৎ করে একদিন, স্কুল ফেরার পথে মেয়ে টার মানে রিনির দেখা মেলে। আমি ও প্রিন্স সাথে ছিলাম তখন।
সেদিন আমি প্রিন্স কে বলি,আবে শালা,মেয়ে টা সুন্দর নাই,আমাদের রাজ্যে আরও ভালো মেয়ে পাবি।আমার মেয়ে টাকে মানে রিনি কে দেখে পছন্দ হয়নি।
কারণ,সেদিন মেয়ে টার চুল ভর্তি তেল ছিল। তেল সব মুখে এসেছে।যার ফলে মুখ টা একদম কালো হয়ে গেছে। তার সাথে অগোছালো ড্রেস। একদম কোন শ্রিছাড়া মনে হয় ছিল।
এর বেশ কিছু সময় পর, প্রিন্স আবার আমার কাছে আসে।প্রিন্স বলেঃ চল এক জায়গায় যাই।
আমি মানা করে ছিলাম।প্রিন্স এর বাড়াবাড়ির ফলে তার সাথে যায়।
প্রিন্স আমাকে একটা ঘরের ছাদে নিয়ে আসে।
আমি লক্ষ্য করে দেখছিলাম। এমন সময় দেখি,একটা মেয়ে চুল গুলো খোলা রেখে। বসে আছে। চেহারা দেখা যাচ্ছে না। আমি উৎসাহ নিয়ে সামনে চেহারা দেখতে গেলাম।তখন আমি দেখি,,,,
চলবে……
#রাত_যখন_গভীর
#জান্নাতুল_মাওয়া_মহুয়া
#(jannatul_mawa_moho)
Season:02
Part :২৪
************
আমি লক্ষ্য করে দেখছিলাম। এমন সময় দেখি,একটা মেয়ে চুল গুলো খোলা রেখে। বসে আছে। চেহারা দেখা যাচ্ছে না। আমি উৎসাহ নিয়ে সামনে চেহারা দেখতে গেলাম।তখন আমি দেখি,,,,
একটা মায়াবিনী খোলা চুলে বসে আছে আনমনে ভাবিতেছিলু কি জানি।ঠোঁটের মাঝে তার বাঁকা হাসি।
সে মূহুর্তে মেয়ে টাকে মানে রিনি কে দেখে আমার হৃদয়ের মধ্যে একটা ভালো লাগা কাজ করে। সেই সময় রিনি প্রকৃতির মাঝে বসে থাকা এক অপসরী মনে হয়েছে আমার কাছে ।
রিনির কন্ঠে সেদিন একটা গান শুনার সৌভাগ্য হয়ে ছিল। সেদিন তার সেই কন্ঠে রীতিমতো আমিও ঘায়েল হয়ে গেছিলাম। প্রিন্স আমাকে নিয়ে আসে সেখান থেকে। আমরা দুজন বসে ছিলাম একটা পরিত্যক্ত বাসায়।দুজন দুদিক হয়ে বসে ছিলাম।
আমার মনে শুধু রিনির সেই মুখখানি ভেসে উঠছিল আর তার সাথে সাথে
রিনির চোখ ও তার হাসিটা ও ভেসে বেড়াচ্ছে আমার মন মন্দিরে।
এসব মনে মনে ভাবছিলাম।
তখনই, আমার মুখ থেকে হঠাৎ করে কিছু লাইন বেরিয়ে আসে। আমি সেদিন বলি,
“মনের মানুষ টাকে চাই আরও কাছে,
মন থেকে খুব বাসবো ভালো,
খুব আদরে বুকের ভিতর রাখবো লুকিয়ে ,
কখনো কষ্ট দিবাে না,
সারাজীবন পাশে থাকবো।আমি তার পৃথিবী হতে চাই।পাবো তো তাকে?
আমি যখন এসব আপন মনে বকবক করছি তখন প্রিন্স (ইনতিয়াজ) অন্য মনস্ক হয়ে ছিলো। তাই আমার বলা কোন কথা লক্ষ্য করে নি।
হঠাৎ করে,
প্রিন্স বলে উঠেঃ তা কেমন লাগলো মেয়ে টা মানে আমার রিনি কে?
রহমান বলেঃ দুস্ত বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।মেয়ে টা অপুর্ব। তার শ্যাম রঙের কারণে তাকে আরও বেশি রূপবতী লাগে। সেদিন আমার ধারণা ভুল ছিল।
এমন সময় প্রিন্স বলেঃ রহমান একটা কথা মনে রাখিস,
মেয়ে জিন হোক বা মানুষ,
একটা মেয়ের মধ্যে সব গুণ খুঁজতে নেই।
কারণ, মেয়ে রা লাইব্রেরীর প্রকাশিত কোন পুস্তক নয়,যে একের ভিতর আমরা সব পেয়ে যাবো।বা সব থাকবে।।
প্রিন্স আবার বলেঃ জানিস রহমান,
শ্যাম রঙের মেয়ে গুলোর কিছু আলাদা সুন্দর থাকে।তাদের চোখ সুন্দর হয়।আর বিশেষ করে, তাদের ঠোঁট জোড়া সুন্দর হয়।আর তাদের হাসিটা একদম মন ঘায়েল করা সুন্দর হয়।তাছাড়া বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অহংকারী হয় না তারা।
আমার রিনির মাঝে আমি এসব দেখেছি।
সেদিন আমি মনে মনে বলছি,প্রিন্স, যা বলছিস।সব আমি মেনে নিলাম।আসলে,সেদিন রিনিকে দেখে, তার চোখ, ঠোঁট, বাঁকা হাসি জাস্ট আমাকে মুগ্ধ করে দেয়।
💮
💮
💮
এভাবে যাচ্ছি লো সময়।অন্য দিকে, রিনি দিন দিন অপরুপ সৌন্দর্যের অধিকারী হচ্ছিলো।তার আগে পিছে অনেক ছেলে ঘুরে বেড়াতো।ততদিনে আমিও রিনির প্রেমে সম্পূর্ণ ডুবে যায়। তবে একথা জানতো না প্রিন্স।
আমি অনেক চেষ্টা করেছি।প্রিন্স কে রিনির থেকে দূরে রাখতে কিন্তু পারিনি।আমার মন চাইতো রিনিকে নিয়ে হারিয়ে যায়। তাছাড়া প্রিন্স যে রাতে পর রাত রিনি কে দেখে কাটাতো সেই কথা টা আমাকে প্রিন্স বলেনি।
আমার মন বলেছে,যদি কোন ভাবেই আমি রিনির চোখে প্রিন্স কে খারাপ করে দি।তাহলে হয়তো রিনি আমার হবে।তাই নানা প্রচেষ্টা করি।যেদিন রিনিকে প্রপোজ করে সেদিন রিনির মাথা গরম ছিল। আমি জানতাম।আমি এটাও জানতাম রিনির মাথা গরম থাকলে সে কি বলে সে নিজে ও জানে না।আমি প্রিন্স কে সরানোর জন্য, রিনির এই রাগ কে কাজে লাগালাম।সেদিন রিনি প্রচুর অপমান করে।আমি বুঝতে পারিনি প্রিন্স এতো টা রেগে যাবে।জ্বলে উঠবে প্রতিশোধের নেশায়।
সেদিন পর থেকে প্রিন্স আমার সাথে কথা বলা,দেখা করা বন্ধ করে দিয়েছে।রিনির উপর রাগ করে।
তাছাড়া সে কি কি করতো কোন খবর পেতাম না।এভাবে দুবছর হয়ে যাই।
আমি অনেক দোয়া পড়ে পড়ে , একটা শক্তি অর্জন করি।একদিন বসে সেই শক্তি টা কাজ করে নাকি ট্রাই করে দেখি।
সেদিন দেখি,রিনির সাথে অতীতে কি কি হয়েছে। এটাও দেখি,রাতের পর রাত প্রিন্স রিনিকে ভোগ করছে।অতচ,রিনি জানে না।তারপর, আপনারা প্রিন্স কে বোতল বন্দী করেন।ভাগ্য ক্রমে, যেদিন বোতল বন্দী করেন সেদিন আমি আরেক টা শক্তি অর্জন করি।
সেদিন, প্রিন্স কে বোতল বন্দী করে, সাগরে ফেলার পরপরই।আমি এই বাসায় প্রবেশ করি।কালো বিড়াল হয়ে। আর আমার শক্তি দিয়ে রিনিকে মায়া করি।আসলে,আমার চোখে তাকালেই, যে কেও মায়ার জালে জড়িয়ে যাবে।রিনির ক্ষেত্রে ও তাই হয়ে ছিল।বিদ্যুৎ নিয়ে নিলাম আমি।অন্ধকারে রিনি কে ঘাযেব হওয়ার পর আবার বিদ্যুৎ দিয়ে দি।
তারপর, ১ মাস ধরে রিনিকে ঘুম পাড়িয়ে রাখি।বিয়ে করার জন্য রিনিকে ঘুম আর পাড়িয়ে রাখতাম না।সব ভালো যাচ্ছি লো।
আমি অনেক খুশি ছিলাম বিয়ে টা রিনির সাথে হওয়া তে।।কিন্তু সেদিন বাসরঘরে দেখি বিয়েটা রিনির সাথে হয়নি।হয়েছে সুমির সাথে।
তবে বিয়ের দিন কেমনে জানি রিনি ঘাযেব হলো।সেই রহস্য উদ্বার করতে, আমার শক্তি দিয়ে চেষ্টা করেছি জানার। রিনি কেমনে পালালো ওটা জানতে??
কিন্তু আমি ব্যর্থ হয় বারবার।
এসব বলে চুপ হয়ে যাই রহমান।
💮
💮
💮
রিনি বলেঃ মন অনেক কিছু ই চাইবে,কিন্তু তা বিবেক দিয়ে বিচার করবেন,
তাহলেই বুঝতে পারবেন কোনটা করা উচিত আর কোন টা করা উচিত না।
আপনার মনের কথা না শুনে বিবেক এর কথা শুনলে হয়তো আমার জীবন টা এমন হতো না।
অর্ক বলেঃ তাহলে লাবু,হাবিব,রাবেয়ার সাথে যা যা হয়েছে এগুলো কে করলো?
এটার রহস্য কি??
রহমান জিন চুপচাপ হয়ে যাই আবার।রিনির মেজাজ খারাপ টা খারাপ হয়ে গেছে। রিনি আলতো করে চুরিটা হাতে চালিয়ে দেয়। সাথে সাথে মুগ্ধ হাতটা চেপে ধরে রক্ত বন্ধ করার চেষ্টা করছে।
মুগ্ধ বলেঃ জান্নাত। তোমার ওড়না টা ছিড়ে একটা কাপড়ের টুকরো দাও।
জান্নাত দিলো।রিনির রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে গেছে। রহমান জিন রিনির হাত কাটা দেখে মনের মধ্যে আহতো হলো।তাই,
রহমান জিন আবার বলা শুরু করেঃ আমি রিনির সিকিউরির জন্য এসব করিয়ে ছিলাম।রিনিকে কেউ যদি অনুসন্ধান করতে চাই,তাহলে এমন পরিস্থিতির শিখার হয় মতো করে রেখেছিলাম।ওরা সব আমার গোলাম জিন ছিল। তবে,লাবুকে দেখে একটা জিন প্রেমে পড়ে ছিল। তাই লাবু কে আক্রমণ করতে চেয়েছে বারবার কিন্তু অর্ক আশেপাশে থাকতো বলে সফল হতে পারেনি।রাবেয়ার কে জিনটা আক্রমণ করেছিলো যাতে সুমি ও জান্নাত কে মেরে ফেলতে পারে।কিন্তু তা সফল হয়নি ওই ছেলে জিনপরি টার জন্য। ওই ছেলে মুগ্ধ জিনপরি।সেদিন নদীর মধ্যে জান্নাত কে মারতে পারে নি মুগ্ধের জন্য। মুগ্ধ সঠিক সময়ে না গেলে,জান্নাত মাস্ট বি বাঁচতো না।
সবাই স্তব্ধ হয়ে গেছে। এমন সময় প্রিন্স সবার উদ্দেশ্যে বলেঃ রিনি তোমাকে আমি চাই। তুমি আমার সাথে বাকি জীবন টা কাটাবে।হা বা না কোনটা?
তুমি যেটাই বলবে তাই মেনে নেবো।
রিনি বলেঃ না।কাটাতে চাই না।
তখনই, প্রিন্স বলেঃ আমি যাচ্ছি মা বাবা।তোমরা পরে এসো।প্রিন্স যেতে প্রস্তুত হলো।
প্রিন্স যাওয়ার সময় বলেঃরিনি,
তুমি যত দূরেই হওনা কেনো রিনি,
আছি তো আমরা একটা চাঁদের নিচে।
একই সূর্যের আলোর নিচর।
একই আকাশের নিচে।
আমি নাহয় চোখ বন্ধ করে পাশে তুমি আছো ভেবে,
চাঁদ টাকে দেখে নিবো।।
রিনি চুপ হয়ে আছে। আসলে,এতো সব শুনে রিনির মাথা কাজ করছে না।তাই সে সোজা না বলে দিয়েছে। তবে,এখন কেমন জানি রিনি শূন্য তা অনুভব হচ্ছে একটু একটু।
তখনই,
প্রিন্স আবার বলেঃ রিনি জানো অভিমান গুলো একদিন সব স্মৃতি হয়ে যাবে।হাজার ও বার্তা পাটালে ও ফিরতি কোন বার্তা যাবে না,তখন প্রতি ক্ষণে ক্ষণে মনে পড়বে এই পাগলের কথা,
পাগলটাকে অনেক দূরে চলে যাবে তোমার কাছ থেকে।
আবার প্রিন্স বলেঃ I’m sorry rini.
And every sorry has a reason
Simple,mine is never
To lose YOU…
Because, i feel for you rini,
I love u rini.
তাছাড়া, রিনি আমি একটাই দোয়া করতাম।
আর আমি এখনো ও একটাই দোয়া করেই যাবো।শেষ মেষ যেনো আমি ই তোমাকে পাই রিনি।
তাছাড়া রিনি,তুমি কি জানো,
dua,ek aysi ibadat hai,
Jis se sab kuch hasil😍
Hotea Hai…
আসছি রিনি।আল্লাহ হাফেজ।
প্রিন্স চলে গেল চোখের পলকে।কিন্তু রিনির মনে প্রশ্ন। আচ্ছা প্রিন্স আল্লাহ হাফেজ বললো কেন?
খোদাহাফেজ না বলে?
তাহলে কি আবার দেখা হবে তাদের???
💮
💮
তখনই,
রিনি, রহমানের উদ্দেশ্য করে বলেঃ সুমি, আন্টি কে দেখে রাখবেন।আর নিজেকে খোঁজেন।নিজেকে জানেন।নিজেকে ভালোবাসেন তবেই আপনি অন্য জনের জন্য ভালবাসা টা অনুভব করতে পারবেন।আর অন্য কে ভালোবাসতে পারবেন।
আমার প্রতি আপনার যা ছিলো সব মায়া ছিল।আপনার থেকে জাস্ট আমাকে ভালো লাগতো যে। আমার প্রতি আপনার মায়া ও ভালোলাগা ছিল। সো,এটা বলা যায়, আপনারটা ভালোবাসা ছিল না।আমার যা ধারণা।
রহমান জিন বলেঃ রিনি,ভালো থেকো তুমি।তোমার জন্য আমার মনে রাখা জায়গা টা থাকবে আজীবন।সেটা কেউ নিতে পারবে না রিনি।আমি জানি, আর আল্লাহ জানে তোমার প্রতি আমার টা মায়া নাকি ভালোবাসা নাকি ভালোলাগা।আমি বলে বুঝাতে পারচিনা।এটা আমার ব্যর্থতা।তবে আল্লাহ সব জানেন।রিনি,নিজের যত্ন নিও।ভালো থেকো।
রিনি বলেঃ জীবনে ভালোই থাকবো, আপনি ও ভালো থাকবেন।
তাছাড়া ভালো থাকার সিক্রেট কি জানেন?
সিক্রেট হচ্ছে,
বেলা শেষে চোখ বুজে ভাবতে হবে,আমি আমার মতো,।আমি কারো মতো না।আমি আমি তেই অন্যন্যা, আমি যেমন যারা আমাকে তেমন ভাবে গ্রহণ করতে পারবে।তারাই আমার নিজের মানুষ, আমার কাছের মানুষ। আমার মা বাবা আমাকে আমি যেমন, তেমন ভাবেই গ্রহণ করবে।তাই তারাই আমার আপনজন।তারা আমার জীবনে আছে। সো আমি ভালো থাকবো।
একথা শেষ করতেই রিনি,
হঠাৎ করে, প্রিন্স রহমান জিন উদাও হয়ে গেছে।
💮
💮
প্রিন্স দাঁড়িয়ে আছে। সমুদ্রে তীরের কাছে। এমন সময়, কে যেনো পিছন থেকে প্রিন্সের কাঁধে হাত দিলো।প্রিন্স পিছনে ফিরে দেখে,,,,,,
চলবে……
#রাত_যখন_গভীর
#জান্নাতুল_মাওয়া_মহুয়া
#(jannatul_mawa_moho)
Season:02
Part :২৫
************
{গল্প শুরুর আগে একটা অনুরোধ পেইজে লাইক এবং follow করেন। এতে করে আপনারা সহজে গল্প পাবেন।অনেকে গল্প খুঁজে পাই না।
মেসেজ করে অনেকে বলেন।সো,
পেইজে লাইক দিয়ে follow করলে তাদের আর সমস্যা হবে না গল্প খুঁজতে}}}
story STAR :::
*****
একথা শেষ করতেই রিনি,
হঠাৎ করে, প্রিন্স রহমান জিন উদাও হয়ে গেছে।
প্রিন্স দাঁড়িয়ে আছে। সমুদ্রে তীরের কাছে। এমন সময়, কে যেনো পিছন থেকে প্রিন্সের কাঁধে হাত দিলো।প্রিন্স পিছনে ফিরে দেখে,,,,,,
এটা আর কেউ না তার সো কল্ড বেস্ট ফ্রেন্ড রহমান।যার জন্য এতো সব হলো।
প্রিন্স (ইনতিয়াজ) বলেঃতুই আমার পিছনে কেন নিলি?
যা চলে যা।এখন তো ভালোই হলো তাইনা! রিনিকে তুই ও পেলি না?
আমিও পেলাম না।মেয়ে টার জীবন টা নষ্ট করে দিলাম আমি। তুই ওইখান থেকে কেমনে আসলি?
তাদের সবাই কে কি বললি!
তাছাড়া কেমনে বুঝলি বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে পারিস মতো যে আমি বৃত্ত টার গুণাবলি কমিয়ে দিছি!!!
রহমান ( শয়তান প্রিন্স জিন) বলেঃ সবার মধ্যে থেকে হঠাৎ করে গায়েব হলাম।রিনি কথা বলছিলো ওর কথা শেষ হতেই চলে আসলাম।
আমি জানতাম, তুই আসার সময় এমন কিছু করে দিবি।
তাছাড়া,
বিশ্বাস কর, আমি জানতাম না এতো কিছু হয়ে যাবে!আমাকে মাফ করে দে।প্লিজ। প্রিন্স। প্লিজ।
প্রিন্স বলেঃ রহমান একটা কথা কি জানিস,
সবার সাথে দেখা হলে,
এমন আচরণ করবি,যাতে
তোমার মৃত্যুতে তারা
কাঁদে এবং বেঁচে থাকলে
দির্ঘায়ো কামনা করে।(হযরত আলী রাঃ)বলেছেন।
আমার কষ্ট গুলো একান্ত আমার নিজের। যা মাফ করে দিলাম।আমার প্রিয় নবী (সাঃ)যদি তার শত্রু ও অন্যায় করিকে মাফ করতে পারে তাহলে আমি কেন পারবো না!
মাফ করে দেওয়া হচ্ছে শ্রেষ্ঠ গুণ। রহমান যা মাফ করে দিলাম।
রহমান জিন বলেঃ তাহলে, আগের মতো জড়িয়ে ধরে কাছে টেনে নে।
আমি খুব অনুতপ্ত, আজকে রিনির কথা শুনে আমার ভুল বুঝতে পারছি। আমার জন্য সব হলো।মাফ করলি বলছস,তাহলে কি জড়িয়ে ধরবি না,???তাছাড়া তুই চাইলে শাস্তি দিতে পারিস।শাস্তি মেনে নিবো!
প্রিন্স বলেঃ জানিস রহমান,এই পৃথিবীতে সে সবচেয়ে বেশি অসহায়, যে নিজের অভিমান, রাগ, কষ্ট কিছু কাউকে দেখাতে পারে না। আমি ও তেমন একজন।
তাছাড়া কষ্ট গুলো আমি কুড়িয়ে রাখছি।আজ কষ্ট পেতে ও ভালো লাগে। কেউ একজন বলেছিল,people will throw Stone at you,
Don’t throw them back.
Collect them all And build an empire.
আমি তুকে মাফ করে দিলাম। কিন্তু আমাদের সম্পর্ক টা আগের মতো করতে পারবো না।সরি
কিছু সম্পর্ক এমন তাকে,যেগুলো শেষ হয়ে ও শেষ হয়না।
মায়ার টানে অথবা,
অভ্যাসগত কারণেই
সম্পর্ক গুলো মাঝ পথে ঝুলে থাকে।
তুর আর আমার বন্ধুত্ব এই পর্যায়ে আছে।
যারা আমার ক্ষতি চায়,তাদের আঘাত করবো না।তাদের সামনে একটু হাসি মুখে বাচবো।দেখা যাবে আমি আঘাত করলে যা কষ্ট পেতো।ও তার চেয়ে ও বেশি কষ্ট পাবে।
তুর জন্য এটাই অনেক বড় শাস্তি হবে। আমাকে সামনে দেখবি হাসি খুশি। কিন্তু ভেতর টা যে চুরমার হয়ে গেছে তা তুই জেনে ও কিছু করতে পারবি না।তিলে তিলে অনুতপ্ত হবি।কষ্ট পাবি তুই।
রহমান জিন বলেঃ প্লিজ এমনটা করিস না।আমি চাই সব আগের মতো হয়ে যাক।তুর রাগ, অভিমান সব কিছু সহ্য করার জন্য আমিতো আছি রে?তুর কষ্টের মধ্যে সান্ত্বনা দিতে আমি আছি!
কি তুর কষ্ট কি আমার সাথে ভাগ করে নিবি না???
প্রিন্স বলেঃ যারা নিজের সান্তনা নিজেকে দিতে শিখে যায়, তারাই শেষ পর্যন্ত টিকে থাকে।তাছাড়া আমি কাদলে সবসময় কেউ না কেউ এসে মাথায় হাত রাখবে নাহ।তাই নিজের জীবন সঙ্গী নিজের হতে হয়।
আমি একাই নিজেকে সামলে নিবো। তুই তুর রাস্তায় চল আমি আমার রাস্তায় চলি।
আর শোন রহমান, তুকে যে আমি মাফ করলাম তার বিনিময়ে যদি কিছু চাই দিবি?
রহমান জিন বলেঃ একটা কথা মনে রাখিস,
when your intention are pure you Don’t lose anyone. They lose you.
তুই কিন্তু আমাকে হারিয়ে ফেলবি!আমার ইন্টেশন কিন্তু এখন খারাপ কিছু করা না।।।
তাছাড়া,
কি চাস বল?
সব দিবো তুকে!!!জাস্ট মুখ খুলে বল।।।😟😟😟
প্রিন্স বলেঃ তুই সুমিকে রাজ্যে নিয়ে যা।তাকে তুর বউ এর অধিকার দে।তার সাথে সংসার কর।
তাকে কখনো কষ্ট দিস না।
তাছাড়া, রিনি কথা কি আর বলবো!
এতো কিছুর পর। আমি জানি তুই আর রিনির সামনে যাবি না।
তাই এই বিষয়ে আর কিছু বললাম না।
রহমান জিন বলেঃ তুই কি আমার কাছ থেকে এটাই চাস?
এর বিনিময়ে কি আমাদের বন্ধুত্ব ফিরে পাবো?
প্রিন্স বলেঃহ্যা এটাই চাই।চিন্তা করিস না সময়ের সাথে সাথে সব ক্ষত মুছে যাবে,তখন আবার আমাদের মধ্যে যে অদৃশ্য দেয়াল এর সৃষ্টি হয়েছে সেটা মুছে যাবে। তবে আমি একা থাকতে চাই।
এখান থেকে চলে যা।নিজের রাজ্যে চলে যা।আমাকে একটু একা থাকতে দে।
নিজেকে একটু সামলে নি।
আর শোন,রহমান
যাওয়ার আগে একটা প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যা।আমার কাছে তুর পরিচয় লুকায়িত করছিলি কেন???
সত্যিটা বলিস নি কেনো?
এতটা সময় ধরে !!!
রহমান জিন বলেঃ আমি তুর কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের দোয়া শিখতে পারার লোভে প্রথমে বন্ধুত্ব করলে ও।সময়ের সাথে সাথে তুই অনেক আপন হয়ে গেছস।
আমার রাজ্যের সাথে তোদের সম্পর্ক তেমন ভালো না।যদি সত্যি জানতি,তখন যদি আমাকে দূরে সরিয়ে দিতি।সেই ভয়ে নিজেকে গোপন করে ছিলাম।
প্রিন্স বলেঃ একবার যদি বলে দেখতি।আমি কি করতাম দেখতে পারতি।
এই বিশ্বাস ছিল তুর বন্ধুত্বের উপর। আমার বন্ধুত্ব এতোটা ঠুনকো ছিল না।বুঝতে পারলি না রে।হায় আল্লাহ।
আর শোন তুই চলে যা এবার।আমার আর কিছু জানার নেই। তবে তুই যখন সুমিকে আপন করে স্বাভাবিক হয়ে সংসার করতে পারবি।তখনই আমার সামনে আসিস।এর আগে তুর মুখ দর্শন করাইস না আমাকে।
রহমান জিন বলেঃ এই কোন উভয় সংকটে ফেলে দিলি!! এমন করিস না। প্লিজ।
প্রিন্স বলেঃ তুই কি যাবি নাকি আমি দোয়া পড়ে তুকে জ্বালিয়ে ফেলবো!
রহমান জিন ভালো ভাবে জানে প্রিন্স এমন কিছু করবে না।তাছাড়া,
রহমান এর ক্ষতি করতে না পারলে ও প্রিন্স নিজের ক্ষতি করে বসবে।তাই রহমান চলে গেল।
প্রিন্স তাকিয়ে আছে সমুদ্রের জলের দিকে।এক ঝাঁক পাখি উড়ে বেড়াচ্ছে।
প্রিন্স বলেঃ এই সেই জায়গা রিনি।যেখানে তোমাকে প্রথম দেখে ছিলাম।
আর প্রথম দেখাতে ভালো লাগা হয়ে যাই। তারপর ভালোবাসা।।।
হুহ্
রিনি একটা কথা কি জানো,
আমাকে দেখে তুমি
মুখতো ফিরিয়ে নাও, কিন্তু তুমি কি জানো। আমি তোমার ছায়া দেখে ও তােমাকে চিনতে পারি।
এতো অবহেলা আর যে সইতে পারছিনা।
একটা কথা কি জানো রিনি,
ভালবাসা সম্পর্কে সক্রেটিস ঠিকই বলেছেন, ভালবাসা অগ্নিকুন্ড।
আর শেক্সপিয়ার বলেছেন,ভালবাসা পাগলামি।
অ্যারিস্টোটল বলেছেন, ভালবাসা অভিশাপ।
রিনি,তোমার কাছে আমার ভালোবাসা গুলো তোমার অভিশাপ মনে হয়। কিন্তু এই পাগল হার মানবে না।তার পাগলামি আরও বাড়িয়ে দিবে।তুমি ভালোবাসতে বাধ্য হবে। নিজ মুখে বলবে,ভালবাসি প্রিন্স। rini,just wait and watch. আমি কি করি!!!!
💮
💮
💮
সবাই তো অবাক হঠাৎ রহমান কই গেছে তা দেখে সুমি মন মরা হয়ে বসে আছে।
অন্য দিকে, জান্নাত এর বুকের মধ্যে বড় একটা ঝড় ভয়ে যাচ্ছে। জান্নাত এটা কি শুনলো,মুগ্ধ মানুষ নই।একটা জিনপরী।
💮
মুগ্ধ ও এক জায়গায় গিয়ে বসেছিল।কারণ সে কোন মুখে জান্নাত এর সামনে যাবে!
হাবিব ও শাম্মি বসে আছে। কি হয়ে গেছে সবার সাথে।
শাম্মি বলেঃ আচ্ছা সত্যি এতো থেথো কেন হাবিব???
হাবিব নিশ্চুপ হয়ে বসে আছে।
💮
অর্ক অবাক হয়ে আছে। কারণ, সে যদি লাবুর কাছাকাছি না থাকতো তার লাবু কে শয়তান প্রিন্স রহমানের গোলাম টা শেষ করে ফেলতো।
এটা চিন্তা করতেই,অর্কের বুকে মুচড় দিয়ে উঠে। সাথে সাথে লাবুর হাতটা ধরে ফেলে।
💮
রাবেয়া ও কামাল চিন্তা করছে।কি করবে তারা এখন?
তারা মেয়ে টা কিভাবে স্বাভাবিক জীবনে নিয়ে আসবে!!!
💮
রাহাত হুজুর বলেঃ রেশমি, তোমার কিছু হলে নিজেকে মাফ করতে পারতাম না।
কারণ, রিনির খুঁজ নেয়ার জন্য এতো বড় মাশুল দিতে হবে জানলে,আমি খুঁজ ই নিতাম না।
রেশমি বলেঃ এমনটা বলে না।এটা তোমার কাজ।
বিপদে একে অপরের পাশে থাকাটা তো মানব জীবনের ধর্ম।
রাহাত হুজুর একটা নিশ্বাস নিয়ে রেশমি কে কাছে টেনে নেই।
💮
💮
অন্য দিকে,
রিনি দাড়িয়ে আছে। একটা হ্রদের কাছে।হ্রদ টা অর্কের বাসার পাশে।
রিনির মনটা বড্ড জ্বালাচ্ছে। কোন বারণ মানছে না।কাকে জানি মিস করছে!!!!
তাই রিনি মনটা রিফ্রেশ করতে হ্রদে এসেছে।তাছাড়া, এখন সবার মন খারাপ। যে যার মতো করে নিজেকে গুছিয়ে নিচ্ছে।।।।।
রিনি,
দূরে তাকিয়ে আছে। আর চিন্তা করছে কি কি ঘটে গেছে তার সাথে।
তখনই, রিনি একটা কবিতা বলেঃ
“প্রতিটি দীর্ঘ শ্বাস হোক,
বেঁচে থাকার শক্তি,
প্রতিটি দীর্ঘ শ্বাস হোক অতীত টা ভুলে যাওয়ার,
প্রতিটা অশ্রুর ফোঁটা হোক,
ঘুরে দাড়াবার দৃঢ় পদক্ষেপ।
প্রতিটি অশ্রুর ফোটা হোক,
নিজেকে গড়ে তোলার,
আজকের এই মন খারাপের বিকেলটা হোক,
এক নতুন আলোর সূচনার।।(কবিতা লেখিকাঃজান্নাতুল মাওয়া মহুয়া)
রিনি সিদ্ধান্ত নিল। সে নিজেকে গড়ে তোলবে।পড়াশোনা শুরু করবেন।
অতীত টা ভুলে যাবে। একটা খারাপ স্বপ্ন ভেবে।
রিনির অতীত কি সত্যি তাকে ভুলতে দিবে?
নাকি এমন কিছু অপেক্ষা করছে যা রিনি কল্পনা ও করে নি????
চলবে……